Tag Archives: Dress

Tea Stain on Dresses: জেদি নোংরা নিমেষে ভ্যানিশ! জামা-কাপড়ে চা, কফির দাগ তুলতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই টোটকা, রইল টিপস

চায়ে চুমুক দিতে কার না ভাললাগে? প্রত্যেকেই দিনে অন্তত একবার চা পান করে, কিন্তু এই তাগিদটি প্রায়ই একজনকে সমস্যায় ফেলে দেয় যখন কয়েক ফোঁটা চা কাপড়ে পড়ে এবং দাগ পড়া যায়, যা পরিষ্কার করা যুদ্ধের চেয়ে কম কিছু নয়।
চায়ে চুমুক দিতে কার না ভাললাগে? প্রত্যেকেই দিনে অন্তত একবার চা পান করে, কিন্তু এই তাগিদটি প্রায়ই একজনকে সমস্যায় ফেলে দেয় যখন কয়েক ফোঁটা চা কাপড়ে পড়ে এবং দাগ পড়া যায়, যা পরিষ্কার করা যুদ্ধের চেয়ে কম কিছু নয়।
চলুন আপনাকে এমন ঘরোয়া প্রতিকার বলি, যার সাহায্যে আপনি নিমিষেই চায়ের দাগ পরিষ্কার করতে পারবেন-
চলুন আপনাকে এমন ঘরোয়া প্রতিকার বলি, যার সাহায্যে আপনি নিমিষেই চায়ের দাগ পরিষ্কার করতে পারবেন-
চায়ের স্বাদ সকলের মন জয় করতে সক্ষম, তবে এর কয়েক ফোঁটা এমনকী সবচেয়ে দামি কাপড়ের শো নষ্ট করতে পারে। আসলে, কাপড় থেকে চায়ের দাগ দূর করা খুব কঠিন।
চায়ের স্বাদ সকলের মন জয় করতে সক্ষম, তবে এর কয়েক ফোঁটা এমনকী সবচেয়ে দামি কাপড়ের শো নষ্ট করতে পারে। আসলে, কাপড় থেকে চায়ের দাগ দূর করা খুব কঠিন।
লেবু খুবই উপকারীযদি চা কাপড়ে ছিটকে থাকে তাহলে চিন্তা করতে হবে না। লেবুর সাহায্যে আপনি সহজেই কাপড়ের চায়ের দাগ পরিষ্কার করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে একটি লেবু কাটতে হবে। এবার এই টুকরোটি কাপড়ের দাগযুক্ত অংশে কিছুক্ষণ ঘষুন। এর পর কাপড় ধুয়ে ফেলুন। চায়ের দাগ নিমিষেই দূর হয়ে যাবে, কারণ লেবু সবচেয়ে ভাল ব্লিচিং এজেন্ট।
লেবু খুবই উপকারী
যদি চা কাপড়ে ছিটকে থাকে তাহলে চিন্তা করতে হবে না। লেবুর সাহায্যে আপনি সহজেই কাপড়ের চায়ের দাগ পরিষ্কার করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে একটি লেবু কাটতে হবে। এবার এই টুকরোটি কাপড়ের দাগযুক্ত অংশে কিছুক্ষণ ঘষুন। এর পর কাপড় ধুয়ে ফেলুন। চায়ের দাগ নিমিষেই দূর হয়ে যাবে, কারণ লেবু সবচেয়ে ভাল ব্লিচিং এজেন্ট।
ভিনেগারও কাজ করে
ভিনেগার লাগিয়ে কাপড়ের চায়ের দাগও পরিষ্কার করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে এক বালতি জল নিতে হবে, এতে আধা কাপ সাদা ভিনেগার যোগ করুন। এবার এই জিনিসে কাপড়টি প্রায় ২০-২৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন, তারপর কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন। এই কৌশলে কাপড় সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যাবে।

ভিনেগারও কাজ করে
ভিনেগার লাগিয়ে কাপড়ের চায়ের দাগও পরিষ্কার করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে এক বালতি জল নিতে হবে, এতে আধা কাপ সাদা ভিনেগার যোগ করুন। এবার এই জিনিসে কাপড়টি প্রায় ২০-২৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন, তারপর কাপড়টি ধুয়ে ফেলুন। এই কৌশলে কাপড় সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আলু দিয়েও কাপড় পরিষ্কার করতে পারেনআপনি যদি লেবু এবং ভিনেগার ব্যবহার করতে না চান তবে আপনি আলুর সাহায্যে সহজেই কাপড়ের চায়ের দাগ পরিষ্কার করতে পারেন। প্রথমে আলু সিদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হওয়ার পর আলু খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার খোসা ছাড়ানো আলু একটি কাপড়ে ঘষে কিছুক্ষণ পর কাপড় ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন নিমিষেই কাপড় থেকে চায়ের দাগ মিলিয়ে গেছে।
আলু দিয়েও কাপড় পরিষ্কার করতে পারেন
আপনি যদি লেবু এবং ভিনেগার ব্যবহার করতে না চান তবে আপনি আলুর সাহায্যে সহজেই কাপড়ের চায়ের দাগ পরিষ্কার করতে পারেন। প্রথমে আলু সিদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ হওয়ার পর আলু খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার খোসা ছাড়ানো আলু একটি কাপড়ে ঘষে কিছুক্ষণ পর কাপড় ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন নিমিষেই কাপড় থেকে চায়ের দাগ মিলিয়ে গেছে।

Bengal Weavers: প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি পোশাক পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে, হাল ফিরেছে তাঁতিদের

পূর্ব বর্ধমান: গ্রাম বাংলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে তৈরি পোশাক পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে। শুনতে অবাক লাগলেও আদতে এটাই সত্যি। মার্কিন মূলক, অস্ট্রেলিয়া, চিন সহ আরও বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যাচ্ছে এই পোশাক।

কিন্তু কোথায় তৈরি হচ্ছে এই পোশাক? পূর্ব বর্ধমানের প্রত্যন্ত গ্রাম ঘোড়ানাশ, সেখানে তৈরি পোশাক‌ই পৌঁছে যাচ্ছে দেশ-বিদেশে। কাটোয়ার এই ঘোড়ানাশ গ্রামের জামদানি শাড়ির ভাল কদর রয়েছে। এখানকার শিল্পীদের হাতে তৈরি শাড়ি এখনও বিদেশে পাড়ি দেয়। কিন্তু এবার জামদানি কাপড় দিয়ে তৈরি মহিলাদের অন্যান্য আধুনিক ডিজাইনের পোশাকের চাহিদাও বাড়ছে বিদেশে।

এই প্রসঙ্গে ঘোড়ানাশ গ্রামে তাঁতশিল্পী রাঘবেন্দ্র দাস বলেন, আগে আমাদের শাড়ি এবং স্কার্ফ ছিল। এখনও আছে। তার পাশাপাশি আমরা এখন দুবছর ধরে রেডিমেড পোশাক তৈরি করছি, যেগুলো বিভিন্ন দেশে পাঠাচ্ছি। এই পোশাকের এখন ভাল চাহিদা রয়েছে। এক একটা ভাল পোশাক তৈরি করতে প্রায় ১০-১৫ দিন করে সময় লাগে।

আর‌ও পড়ুন: ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, পথেই সব শেষ!

পূর্ব বর্ধমানের এই ঘোড়ানাশ গ্রামে রয়েছে ঘোড়ানাশ সিল্ক খাদি গ্রামোদ্যোগ সমিতি নামে একটি সংস্থা। বর্তমানে এই সংস্থার অধীনেই তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পোশাক। ঘোড়ানাশ গ্রামের এই সংস্থার সঙ্গে প্রায় ৩০০ জন তাঁতি, ১০০ জন মহিলা এবং ট্রেলারের কাজ জানা প্রায় ৩০ জন যুক্ত রয়েছেন।

বেশ কয়েকবছর আগেও এখানকার তাঁতিদের অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। কিন্তু এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকে তাঁরাও বর্তমানে ভাল রোজগার করছেন। পুরুষদের পাশাপাশি এখন কাজ পেয়েছেন গ্রামের মহিলারাও। শাড়ির পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী বর্তমানে জামদানি কাপড়ের পোশাক তৈরি করতেই ব্যস্ত সকলে।

এই ঘোড়ানাশ গ্রামে মহিলাদের জন্য তৈরি হওয়া পোশাক ৫ হাজার, ১০ হাজার, আবার ১৫ হাজার টাকার‌ও বেশি দামে বিক্রি হয়। তবে বিদেশে এই পোশাকের দাম হয়ে যায় আরও বেশি। জানা গিয়েছে পোশাকের মধ্যে যে জিজাইন থাকে তা সবই হাতে বোনা হয়। যে কারণেই দাম থাকে অনেকটা বেশি। তবে সমস্ত পোশাক পিওর কটন হওয়ার কারণে এবং আধুনিক ডিজাইন থাকার জন্য বিদেশে ভাল চাহিদা রয়েছে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Jamai Sasthi 2024: বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী? ট্রেন্ডিং কোন পোশাক বাজার মাতাচ্ছে জানেন

উত্তর দিনাজপুর: বিয়ের পর প্রথম জামাইষষ্ঠী। প্রথমবারের জামাইষষ্ঠীর অনুষ্ঠানে নতুন জামাই কিংবা শাশুড়ির জন্য কী পোশাক নেবেন বুঝতে পারছেন না? জামাইয়ের জন্য কেমন পোষাক নেওয়া ভাল তা নিয়ে চিন্তা করতে করতেই অনেক শাশুড়ির গলদঘর্ম অবস্থা। তবে আর ভাববেন না, সেই চিন্তা দূর করব আমরা।

জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের পোশাক বাছাই করা নিয়ে শুধু শাশুড়িদের চিন্তায় পড়তে হয় তা নয়, জামাইরা শাশুড়িদের কী উপহার তানিয়া চিন্তায় পড়ে যান অনেকে। তবে এবারের জামাইষষ্ঠীর আগে বাজারে এসেছে নতুন ট্রেন্ডিং পোশাক। উত্তর দিনাজপুরের বিখ্যাত কাপড় বিক্রেতা সুভাষচন্দ্র রায় জানান, জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের পোশাক বাছাই করার আগে আভিজাত্যের কথা যেমন মাথায় রাখতে হবে তেমনই এই গরমে আরামের দিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। তাই জামাইষষ্ঠীতে পাঞ্জাবির থেকে ট্র্যাডিশনাল কিছু হতে পারে না। তাই জামাইকে দেওয়ার জন্য শাশুড়িরা বেছে নিতে পারেন পাঞ্জাবি। এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি ট্রেন্ডিং হল চিকেন কারির পাঞ্জাবি।

আর‌ও পড়ুন: প্লাস্টিকের রমরমায় অবলুপ্তির পথে হুগলির বেত শিল্প

এছাড়াও এই গরমে পাঞ্জাবি পরতে না চাইলে সুতির কুর্তা কিংবা বোম্বে ফ্যাশনেবল টি-শার্ট ছাড়াও সিল্ক ও প্রিন্টের উপরে বিভিন্ন ধরনের শার্ট’ও রয়েছে। তবে শুধু তো জামাই বরণে নয়, শাশুড়িদের জন্য উপহারেও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাড়ির কালেকশন। এর মধ্যে সবথেকে বেশি ট্রেন্ডিং হল মলমল শাড়ি, ঢাকাই শাড়ি। এছাড়া সিল্ক, লিনেন, জামদানি সহ বিভিন্ন ধরনের শাড়ির কালেকশন রয়েছে। ৭০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনের কালেকশন পেয়ে যাবেন।

জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে জামাইয়ের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে এসে টুলটুলি বৈশ্য জানান, জামাইয়ের জন্য শুধু পাঞ্জাবি নিলে হবে না, সাথে প্যান্ট-শার্ট নিতে হবে। জামাই বরণ এবং জামাইষষ্ঠীর উপহারে আলাদা আলাদা পোশাক কিনতে হচ্ছে।

পিয়া গুপ্তা

Holi 2024: নতুন পোশাক পরে রং খেলাই ট্রেন্ড, দোলের আগে রঙের পাশাপাশি ভিড় পোশাকের দোকানে

দক্ষিণ দিনাজপুর: অপেক্ষার আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই হাজির হবে বহু অপেক্ষার দোল উৎসব। ফলে এই মুহূর্তে শেষ পর্যায়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। রঙের প্যাকেট, আবির, পিচকারি সহ বাড়িতেও আয়োজনে কোনও ত্রুটি নেই। বাজারে গেলেই চোখে পড়বে বাহারি সব রং। তবে শুধু রং খেললেই তো হল না, দোলের ফ্যাশন’ও এখন একটা ট্রেনিং টপিক। তাই আসন এই উৎসবমুখর দিনে কী পরবেন, অন্যরা কী ভাবছেন তা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।

আর‌ও পড়ুন: দাম বাড়লেও কুছ পরোয়া নেই, দোলের আগে বেশি টাকা দিয়ে ভেষজ আবির কেনায় ঝোঁক

একটা সময় দোল মানেই ছিল বাড়ির সবচেয়ে পুরনো বা মলিন ছেঁড়াফাটা পোশাক পরে রং খেলা। কিন্তু দিন বদলেছে। এখন দোলে অনেকেই নতুন পোশাক পরে রং খেলেন। এই ট্রেন্ড পরিবর্তনের হাত ধরেই দোল বা হোলি উপলক্ষে চালু হয়েছে নতুন ফ্যাশন।

ছোটবেলায় দোল খেলতে যাওয়ার আগে মা একটা পুরনো জামা পরিয়ে দিতেন, যাতে রং লেগে নষ্ট হয়ে গেলেও গায়ে না লাগে। তবে এখন সময় বদলেছে। উৎসবের দিনে ভাল পোশাক না পরলে ঠিক জমে না। সেই পোশাকে রং লেগে নষ্ট হয়ে গেলেও আফসোসের জায়গা ছিল না। এখনকার বৈশিষ্টই হল যে কোনও উৎসবেই ভাল পোশাক পরে জমিয়ে সেলফি তোলা মাস্ট। দোলে শুধু মেয়েরা সাজবেন তা কিন্তু একেবারেই নয়। অত্যাধুনিক যুগে ফ্যাশনে পিছিয়ে নেই ছেলেরাও। ছেলেদের দোলের সাজেও থাকুক বসন্তের ছোঁয়া। হাজারো মানুষের ভিড়ে কীভাবে আপনার সাজ হবে নজরকাড়া তা জানতে এবার আসতে হবে বালুরঘাটে

স্থানীয় টি শার্ট বিক্রেতা সৌমেন বিকাশ রায় জানান, যুগ যত এগচ্ছে ততই আধুনিক হচ্ছে সবকিছু। তেমনই ট্রেন্ড চলছে হোলিতে সাদা কাস্টমাইজ করা পোশাকের। ব্যাপক চাহিদাও রয়েছে। এবছর হোলিতে রয়েছে স্পেশাল অফার। মাত্র ৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে বিশেষ ধরনের গেঞ্জি। ক্রেতারাও কিনছে বেশ ভালই।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বন। পয়লা বৈশাখ, দুর্গা পুজো, কালি পুজোয় পোশাক কেনার যেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায় ঠিক তেমনই এ যেন বাঙালির আরও এক উৎসব। ঠিক তেমনই রয়েছে সাদা কাস্টমাইজ পোশাক কেনার ব্যাপক ভিড়। এ যেন সত্যিই নজরকাড়া। যেকোনো সাদা রঙের পোশাক যে হোলিতে পরার জন্যে আদর্শ, সে কথা তো বলাই বাহুল্য! এ যেন এক নতুন ট্রেন্ড। তাই সাদা টি শার্ট এর উপর কাস্টমাইজ করা রকমারি ডিজাইনের হোলির পোশাক যেন মন কাড়ছে সকলের। চাহিদাও ব্যাপক। বাচ্চা থেকে বড় সকলকেই দেখা যাচ্ছে দোকানে গিয়ে এই হোলির সাদা পোশাক কিনতে। তাই আপনিও হোলির আগে এমন কাস্টমাইজ করা সুন্দর একটি সাদা পোশাক কিনে ফেলতে পারেন। তাতেই আপনার লুক সবার নজর কাড়বে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Bengali News: হারিয়ে যেতে বসা পটচিত্র ফিরছে শাড়ি, পাঞ্জাবির হাত ধরে

হাওড়া: হারিয়ে যেতে বসা পটচিত্র আবার ফিরে আসছে শাড়ি-পাঞ্জাবি-জামার মাধ্যমে! বিষয়টা ঠিক বুঝলেন না তো? আসলে পাতলা ক্যানভাসের মত কাপড়ে আঁকা পটচিত্র ক্রমশই হারিয়ে যেতে বসেছিল। বর্তমানে সেই পটচিত্র শাড়ি, পাঞ্জাবি, জামার নকশা হয়ে আবার ফিরে আসছে। এভাবেই রোজগারের নতুন পথ খুঁজে পেয়েছেন পটচিত্রের শিল্পীরা।

আরও পড়ুন: সবিতা, দাশশাল, থুবি এগুলো কীসের বীজের নাম জানেন? এমন ১২১ টি…

মেদিনীপুরের শিল্পীদের পটচিত্রের দারুন চাহিদা, দেদার বিকোচ্ছে হাওড়ার মেলায়। পটচিত্র বলতে আমাদের প্রথমেই মনে পড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার কথা। পিংলার ঐতিহ্যমণ্ডিত পটচিত্র বিশ্ববিখ্যাত। কিন্তু পটচিত্র এঁকে গান গেয়ে প্রাচীন কাহিনী বর্ননা এখন অতীত। বর্তমানে বিভিন্ন মেলায় শিল্পীরা তাঁদের সৃষ্টি নিয়ে হাজির হচ্ছেন অন্য রূপে। তাতে বিক্রিও হচ্ছে ভাল।

সংস্কৃতে ‘পট’ শব্দের অর্থ হল কাপড়, আর ‘চিত্র’ মানে ছবি। অর্থাৎ সবমিলিয়ে পটচিত্র বলতে কাপড়ের উপর আঁকা ছবিকে বোঝানো হয়। পাতলা কাগজ অথবা বাঁশের বিভিন্ন জিনিসের উপর পটচিত্র আঁকা হোত। এখনও আর্ট পেপারের পিছনে কাপড় আটকে পেপারের উপর পটচিত্র আঁকা হয়। তবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন শাড়ি, ওড়না, টি শার্ট প্রভৃতি জিনিসের উপরেও পটচিত্র আঁকা হচ্ছে। বর্তমানে পটচিত্র বাজারে বিক্রি করার জন্য এবং মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য ট্রে, টি শার্ট, ওড়না, শাড়ি, পাঞ্জাবি, শাড়ির মধ্যে পটচিত্র এঁকে বাজারে বিক্রি করছেন শিল্পীরা। এতে রোজগার হচ্ছে ভাল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পটচিত্র আঁকার জন্য বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে রং তৈরি করা হয়। যেমন- গাছের সিম দিয়ে সবুজ রং, ভুসোকালি দিয়ে কালো রং, অপরাজিতা ফুল দিয়ে নীল রং, সেগুন গাছের পাতা দিয়ে মেরুন রং, পান-সুপারি চুন দিয়ে লাল রং, পুঁই ফল দিয়ে গোলাপি রং, কাঁচা হলুদ দিয়ে হলুদ রং, পুকুর খনন করে মাটি বের করে তা দিয়ে সাদা রঙ ইত্যাদি। সাধারণত এই সমস্ত প্রাকৃতিক রঙ দিয়ে, ছাতা, হাতপাখা, হ্যান্ডব্যাগ, মোড়া, লন্ঠন, কেটলি ইত্যাদি আঁকা হলেও শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, টি-শার্ট, ওড়নায় তারা ফেব্রিক রঙ করে থাকেন, যার চাহিদা এখন তুঙ্গে।

রাকেশ মাইতি

Winter Wear: সোয়েটার, জ‍্যাকেট থেকে হুডি সবেতেই ৫০ শতাংশ ছাড়! খাদি বাজারে পোশাক কিনতে লম্বা লাইন

ঠান্ডায় কাঁপছে গোটা দেশ। ফলে প্রচণ্ড শীতে খাদির জামাকাপড়ের চাহিদা আরও বাড়ছে। খাদির জামাকাপড়ের দাম একেবারে কমে গিয়েছে। গ্রাহকদের জন‍্য ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টে পাওয়া যাচ্ছে খাদির শাল, কুর্তা, জ‍্যাকেট, শোয়েটার সব ধরনের সুতি ও উলের পোশাকে এই ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

বিহারের খাদি মলে খাদির জামাকাপড় পাওয়া যাচ্ছে ছাড়। ৫০ শতাংশ ছাড়ের এই অফারটি ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈধ। এখানে পশমি কোট, শাল, টুপি ও মোজা সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: অদ্ভুত কাণ্ড, আগুন ছাড়াই তৈরি হচ্ছে ধোঁয়া ওঠা কফি! দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিও

প্রসঙ্গত, বিহারে খাদি তাঁত ও হস্তশিল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর মৈথিলী ঠাকুরও। বর্তমানে এখান থেকে ডিসকাউন্ট রেটে সব ধরনের জামা কাপড় কিনতে পারবেন। এখানে শীতের জামাকাপড় অত‍্যন্ত কম টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

এই খাদি মলে বিহার খাদি তাঁত ও হস্তশিল্পের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর শিল্পী মৈথিলী ঠাকুরও। তিনিও জানালেন এই দোকানের বিশেষত্ব সম্পর্কে।

শীতের জামাকাপড়ের পাশাপাশি, এখানে ভাগলপুরি সিল্ক, মধুবনী মসলিন, সুতি এবং নালন্দা, আরা, গয়ার উলের কাপড়ও পাবেন। এখানে গ্রামীণ শিল্পের সামগ্রীতে ফুলের ধূপকাঠি থেকে শুরু করে সাবান সবই পাওয়া যাবে। এ ছাড়াও শতাধিক গ্রাম‍্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্য পাওয়া যায়।