হুগলি: ১৫ বছর পর নিজের বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন শতায়ু বৃদ্ধা। ২০০৯ সালে শেষবার ভোট কেন্দ্র গিয়ে ভোট দিয়েছিলেন। তার পর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে যেতে পারেননি ভোট দিতে। টানা ভোট না দেওয়ায় নাম বাদ পড়েছিল ভোটার তালিকা থেকে। পরে আবার পরিবারের সদস্যরা ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যবস্থা করে দেন। ফলে দীর্ঘ দেড় দশক পর ভোট দিলেন ১০১ বছরের বৃদ্ধা প্রিয়বালা কুন্ডু।
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ পঞ্চম দফার ভোট লাইভ
চুঁচুড়া কপিডাঙার বাসিন্দা এই বৃদ্ধা। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে শেষবার তিনি ভোট দিয়েছিলেন। তার পর অজ্ঞাত কারণে ভোটার তালিকা থেকে তাঁর নাম বাদ পড়ে। ভোটার কার্ড থাকলেও তালিকায় নাম না থাকায় ভোট দিতে পারতেন না। ভোটার তালিকায় নাম তোলার জন্য অনেক চেষ্টা করেন বৃদ্ধার নাতিরা। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। অবশেষে গত ২৫ জানুয়ারী জাতীয় ভোটার দিবসের দিন বিষয়টি জানতে পারেন সদর মহকুমা শাসক স্মিতা সান্যাল শুক্লা। তিনি বৃদ্ধার বাড়িতে সরকারি আধিকারীকদের পাঠিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যবস্থা করেন। নতুন এপিক কার্ড হাতে পান বৃদ্ধা প্রিয়বালা কুন্ডু।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই চলছে ২৪ ঘণ্টার বনধ! পড়ল ব্যাপক প্রভাব
৮০ বছরের উর্ধ্বে বয়স এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সেইমত আজ বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন এই শতায়ু। কেন্দ্রীয় বাহিনী সঙ্গে নিয়ে ভোট কর্মীরা বৃদ্ধার বাড়ি গিয়ে তাঁর ভোট গ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন পর ভোট দিতে পেরে যারপরনাই খুশি বৃদ্ধা। এখন কানে একটু কম শোনেন, ভাল হাঁটাচলাও করতে পারেন না। তবে তাঁর ইচ্ছা ছিল শেষ বয়সে একবার ভোট দেবেন। সেই ইচ্ছা পূরণ হল।
বৃদ্ধার নাতি সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, ঠাকুমা ভোট দিতে পারতেন না। তালিকায় নাম তুলতে অনেক চেষ্টা করেছি। অবশেষে ঠাকুমা ভোট দিতে পারলেন।ঠাকুমার রেশনও বন্ধ হয়ে গেছে। প্রশাসন ভেবেছিল হয়ত ঠাকুমা মারা গেছেন। উনি যে বে়ঁচে আছেন তা আজ ভোট দিয়ে প্রমাণ করলেন।
রাহী হালদার