Category Archives: লাইফস্টাইল

Healthcare: গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ? দামি পারফিউম নয়, ব্যবহার করুন বাসক পাতা! জানুন নিয়ম

শীতের শুরুতে হঠাৎ বেশি ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা যায়। শীতের শুরুর দিকে এই সর্দি কাশি কমাতে বাসক পাতায় হতে পারে কামাল।
শীতের শুরুতে হঠাৎ বেশি ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশির সমস্যা দেখা যায়। শীতের শুরুর দিকে এই সর্দি কাশি কমাতে বাসক পাতায় হতে পারে কামাল।
বাসক পাতায় থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান হুপিং কাশি, ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে।
বাসক পাতায় থাকা অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান হুপিং কাশি, ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যাকে দূর করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন সকালে দুই থেকে চারটি বাসক পাতা ধুয়ে তা কেটে নিয়ে তার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে তা উপকার দেয় কাশিতে।
প্রতিদিন সকালে দুই থেকে চারটি বাসক পাতা ধুয়ে তা কেটে নিয়ে তার রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে তা উপকার দেয় কাশিতে।
বাতের ব্যথায় বাসকের উপকার পাওয়া যায়। ব্যথাযুক্ত স্থামে বাসক পাতা বেঁটে হলুদ চুন মিশিয়ে লাগালে ব্যথা কমে যায়।
বাতের ব্যথায় বাসকের উপকার পাওয়া যায়। ব্যথাযুক্ত স্থামে বাসক পাতা বেঁটে হলুদ চুন মিশিয়ে লাগালে ব্যথা কমে যায়।
ব্রণর সমস্যায় বাসক- বাসক পাতা ত্বককে ভালো রাখতেও সাহায্য করে। পেট অপিষ্কারজনিত কারণে সমস্যায় বাসক পাতার রস খেলে পাবেন উপকার।
ব্রণর সমস্যায় বাসক- বাসক পাতা ত্বককে ভালো রাখতেও সাহায্য করে। পেট অপিষ্কারজনিত সমস্যায় বাসক পাতার রস খেলে পাবেন উপকার।
গায়ের দুর্গন্ধ সরাতে দারুণ উপাদেয় বাসক পাতা। বাসক পাতার জল ফুটিয়ে স্নান করলে তা গায়ের দুর্গন্ধ দূর করে।
গায়ের দুর্গন্ধ সরাতে দারুণ উপাদেয় বাসক পাতা। বাসক পাতার জল ফুটিয়ে স্নান করলে তা গায়ের দুর্গন্ধ দূর করে।

Healthcare: গর্ভের শিশুকে সুস্থ রাখতে গর্ভবতী মহিলারা খান এই ফল! চিকিৎসকের জাদু মন্ত্র জানুন

জেলায় দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ড্রাগন ফল। বহু কৃষকই এখন এ ড্রাগন ফলের চাষের সাথে যুক্ত। খেতে সুস্বাদু ড্রাগন বিদেশি এই এদেশেও প্রচুর জনপ্রিয়। ড্রাগন ফল কম ক্যালরিযুক্ত এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ সরবরাহ করে এই ড্রাগন ফল। গর্ভাবস্থায় ভীষণ উপযোগী এই ফল। (তথ্য: পিয়া গুপ্তা)  photo source collected 
জেলায় দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ড্রাগন ফল। বহু কৃষকই এখন এ ড্রাগন ফলের চাষের সাথে যুক্ত। খেতে সুস্বাদু ড্রাগন বিদেশি এই এদেশেও প্রচুর জনপ্রিয়। ড্রাগন ফল কম ক্যালরিযুক্ত এবং ফাইবার সমৃদ্ধ, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ সরবরাহ করে এই ড্রাগন ফল। গর্ভাবস্থায় ভীষণ উপযোগী এই ফল। (তথ্য: পিয়া গুপ্তা)  photo source collected
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা এ ড্রাগন ফল খেলে পাবেন অনেক উপকার। তাই গর্ভবতী মায়েরা রোজ খান একটি করে ড্রাগন ফল।অনেক মা রয়েছেন যারা গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারগুলো জানেন না।photo source collected 
গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মায়েরা এ ড্রাগন ফল খেলে পাবেন অনেক উপকার। তাই গর্ভবতী মায়েরা রোজ খান একটি করে ড্রাগন ফল।অনেক মা রয়েছেন যারা গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারগুলো জানেন না।photo source collected 
এই ব্যাপারে বিশিষ্ট ডাক্তার চিন্ময় দেবগুপ্ত জানান ড্রাগন ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল হজমে সহায়তা করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ড্রাগন। এছাড়া গর্ভবতী মহিলারা রোজ ড্রাগন ফলের সেবন করলে হবে না শিশু বিকলাঙ্গ। শুধু তাই নয় ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ড্রাগন ফল।photo source collected 
এই ব্যাপারে বিশিষ্ট ডাক্তার চিন্ময় দেবগুপ্ত জানান ড্রাগন ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ড্রাগন ফল হজমে সহায়তা করে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ড্রাগন। এছাড়া গর্ভবতী মহিলারা রোজ ড্রাগন ফলের সেবন করলে হবে না শিশু বিকলাঙ্গ। শুধু তাই নয় ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ড্রাগন ফল।photo source collected 
এই ফলটিকে দুই ভাগে কেটে, খুব সহজেই চামচ দিয়ে ভিতরের শাঁস খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া মিল্কশেক, কিংবা স্মুদি তৈরি করেও ড্রাগন ফ্রুট খাওয়া যায়। এই ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন বি, ফোলেট এবং আয়রন, যা গর্ভবতীদের জন্য আদর্শ ফল।photo source collected 
এই ফলটিকে দুই ভাগে কেটে, খুব সহজেই চামচ দিয়ে ভিতরের শাঁস খাওয়া যেতে পারে। তাছাড়া মিল্কশেক, কিংবা স্মুদি তৈরি করেও ড্রাগন ফ্রুট খাওয়া যায়। এই ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন বি, ফোলেট এবং আয়রন, যা গর্ভবতীদের জন্য আদর্শ ফল।photo source collected
ভিটামিন বি এবং ফোলেট নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সহায়তা করে এবং গর্ভাবস্থায় শক্তি সরবরাহ করে। তাছাড়া এতে থাকা ক্যালসিয়াম ভ্রূণের হাড়ের বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারী।photo source collected

ভিটামিন বি এবং ফোলেট নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি রোধ করতে সহায়তা করে এবং গর্ভাবস্থায় শক্তি সরবরাহ করে। তাছাড়া এতে থাকা ক্যালসিয়াম ভ্রূণের হাড়ের বিকাশের জন্য অত্যন্ত উপকারী।photo source collected
এতে ম্যাগনেসিয়ামও রয়েছে, যা নারীদের পোস্টমেনোপজাল জটিলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। তাই গর্ভাবস্থায় কোন নারী যদি ড্রাগন ফল খায় তবে শিশুর জন্মগত ত্রুটি থাকবে না। (তথ্য: পিয়া গুপ্তা)photo source collected 
এতে ম্যাগনেসিয়ামও রয়েছে, যা নারীদের পোস্টমেনোপজাল জটিলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। তাই গর্ভাবস্থায় কোন নারী যদি ড্রাগন ফল খায় তবে শিশুর জন্মগত ত্রুটি থাকবে না। (তথ্য: পিয়া গুপ্তা)photo source collected

 

Healthy Lifestyle: পিরিয়ডের কত দিন পর প্রেগন্যান্সির ঝুঁকি কম থাকে? যা বলছেন চিকিৎসকরা

অযথা গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট খাবেন না, এতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রচুর! বরং মাথায় ঢুকিয়ে নিন সহজ একটা ব্যাপার! মহিলাদের স্বাভাবিক ঋতুচক্র প্রাকৃতিকভাবে নির্ধারিত৷ এতে এমন কিছুদিন রয়েছে, যাকে নিরাপদ দিন বা সেফ পিরিয়ড বলে। এই দিনগুলিতে যত ইচ্ছে সঙ্গম করুন, আপনি প্রেগন্যান্ট হবেন না! চিকিৎসকরা একে ক্যালেন্ডার পদ্ধতিও বলেন।

আপনার ঋতুচক্রের নিরাপদ দিন কোনগুলি? এটা জানতে হলে আগে জানতে হবে আপনার পিরিয়ড নিয়মিত হয় কি না। যদি নিয়মিত হয়, তা হলে কতদিন অন্তর হয়। সবচেয়ে কম যত দিন পর পর মাসিক হয়, তা থেকে ১৮ দিন বাদ দিতে হবে। পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে এই দিনটিই হল প্রথম অনিরাপদ দিন। আবার সবচেয়ে বেশি যতদিন পরপর পিরিয়ড হয়, তা থেকে ১০ দিন বাদ দিলে পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে এই দিনটিই হল শেষ ঝুঁকির দিন।

ধরুন আপনার পিরিয়ড ২৮ থেকে ২০ দিন অন্তর হয়৷ তবে ২৮-১৮= ১০, অর্থাৎ পিরিয়ড শুরুর পর থেকে প্রায় ৯ দিন আপনার জন্য নিরাপদ, এই দিনগুলিতে কোনও সুরক্ষা ছাড়াই সঙ্গম করতে পারেন। গর্ভধারণ হবে না! ১০ নম্বর দিন থেকে শুরু হচ্ছে অনিরাপদ দিন! এই সময়ে সুরক্ষা ছাড়া সঙ্গম করলে প্রেগন্যান্সির ঝুঁকি বিশাল! তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন, প্রেগন্যান্ট হন কী না হন, সঙ্গমের সময় সুরক্ষা অর্থাৎ কন্ডোম ব্যবহার করা কিন্তু মাস্ট! এমনও তো হতে পারে, আপনি প্রেগন্যান্ট হলেন না, অথচ সঙ্গীর থেকে কোনও যৌনরোগে আক্রান্ত হলেন! অযথা রিস্ক কেন নেবেন?

৩০ দিন হল দীর্ঘতম মাসিকচক্র অর্থাৎ মেন্সটুরাল সাইকেল ৷ তাই ৩০-১০= ২০, অর্থাৎ ২০ নম্বর দিনটিই হল শেষ ঝুঁকির দিন ৷ ২১তম দিন থেকে আবার নিশ্চিন্তে যৌনসঙ্গম করুন, প্রেগন্যান্সির কোনও চান্স নেই। কিন্তু ১০ থেকে ২০ দিনের মধ্যে সুরক্ষা ছাড়া সঙ্গম করলে গর্ভধারন হতে পারে৷ আপনি যদি প্রেগন্যান্ট না হতে চান, তবে পিরিয়ড শুরুর প্রথম সাতদিন ও শেষের প্রথম সাতদিন যৌনমিলনের জন্য নিরাপদ৷ তবে, পিরিয়ড নিয়মিত না হলে এই পদ্ধতি কার্যকর হবে না

Joynagarer Moya Benefits: জয়নগরের মোয়া ভালবাসেন? শীতে এই মিষ্টি খেলে কী হয় জানুন

নলেন গুড়ের পাকে কনকচূড় ধানের খই জারিয়ে তৈরি হয় জয়নগরের মোয়া। এই স্বাদ ছাড়া বাঙালি রসনার শীতকাল বৃথা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহড়ু এবং জয়নগরই এই মোয়া তৈরির আঁতুড়ঘর। গুড়ের পাকে খইয়ের পাশাপাশি মোয়ায় উপকরণ হিসেবে থাকে চিনির সিরা এবং খোয়া ক্ষীর।

জয়নগরের মোয়া খেলে শরীরে নলেন গুড়ের উপকারিতাও পৌঁছয়। শীতে নলেন গুড়ের স্বাদ অত্যন্ত উপাদেয়। আয়ুর্বেদ মতে নলেন গুড়ের প্রভাবে শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। কর্মশক্তির যোগান হয়। নিয়ন্ত্রিত হয় শরীরের গাঁটের যন্ত্রণা। পুষ্টিবিদ প্রিয়াঙ্কা শর্মার মতে, সুস্থতার জন্য চিনির তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর হল নলেন গুড়। মোলাসেস থাকার ফলে গুড়ের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তাছাড়া নলেন গুড় প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব নিয়ে আসে।

প্রিয়াঙ্কার মতে নলেন গুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং পটাশিয়াম আছে। পাশাপাশি আছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্ক। নলেন গুড়ে থাকা আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখে।প্রচুর পটাশিয়াম থাকার কারণে নলেন গুড় শরীরের ওয়াটার রিটেনশন কমিয়ে ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স বজায় রাখে। এন্ড্রোফিন্স নিঃসরণ করিয়ে ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা প্রশমিত করে নলেন গুড়।

একইসঙ্গে মরশুমি ঠান্ডায় গলার সংক্রমণ রোধ করে সর্দিকাশি রোধে সক্রিয় নলেন গুড়। ভারতীয় সংস্কৃতিতে হজমের সমস্যা দূর করতে দেওয়া হয় গুড়। কর্মশক্তি ও এনার্জি বৃদ্ধিতেও জুড়িহীন গুড়। যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে, তাঁরা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে গুড় খেতে পারেন। প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে বলে হাড় মজবুত করে নলেন গুড়। কমায় আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা।

জয়নগরের মোয়া খেলে নলেন গুড়ের বৈশিষ্ট্য তথা উপকারিতা পায় শরীর। একইসঙ্গে কনকচূড় ধানের খই, চিনি এবং খোয়া ক্ষীরের উপকারিতা থেকেও বঞ্চিত হতে হয় না। তবে তাই বলে স্বাস্থ্য ও স্বাদের দোহাই দিয়ে বেশি বেশি মোয়া খেতে চলবে না। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শীতে জয়নগরের মোয়া খান পরিমিত পরিমাণে।

Isabgol Benefits: কোষ্ঠকাঠিন্য-কোলেস্টেরল সারাবে ইসবগুলের ভুসি, কিন্তু খাওয়ার নিয়মে ভুল নেই তো? বলছেন বিশেষজ্ঞ

অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস বা শারীরিক নানা সমস্যার কারণে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই ডাক্তারের দ্বারস্থ হন। নানা ওষুধ সেবন করেন। (তথ্য: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস বা শারীরিক নানা সমস্যার কারণে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই ডাক্তারের দ্বারস্থ হন। নানা ওষুধ সেবন করেন। (তথ্য: বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
কিন্তু ওষুধের সাহায্য ছাড়াই এই সমস্যা থেকে মিলতে পারে রেহাই। ঘরোয়া টোটকা নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? দেখুন পূর্ব বর্ধমানের ডাক্তার মিলটন বিশ্বাস ঠিক কী জানাচ্ছেন এই প্রসঙ্গে।
কিন্তু ওষুধের সাহায্য ছাড়াই এই সমস্যা থেকে মিলতে পারে রেহাই। ঘরোয়া টোটকা নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? দেখুন পূর্ব বর্ধমানের ডাক্তার মিলটন বিশ্বাস ঠিক কী জানাচ্ছেন এই প্রসঙ্গে।
অনেকেরই পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে। অর্থাৎ যাদের মলত্যাগ নিয়মিত হয় না। তাদের জন্য ইসবগুলের ভুসি অত্যন্ত উপকারী। আন্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য যুক্ত হওয়ার কারণে ইসবগুলের ভুসি অনেকগুলো রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
অনেকেরই পাইলস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে। অর্থাৎ যাদের মলত্যাগ নিয়মিত হয় না। তাদের জন্য ইসবগুলের ভুসি অত্যন্ত উপকারী। আন্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য যুক্ত হওয়ার কারণে ইসবগুলের ভুসি অনেকগুলো রোগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
এটি পাইলসের ইনফ্ল্যামেশন কমায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এটি কার্যকরী ভূমিকা নেয়। উচ্চ রক্তচাপ কোলেস্টেরল ওজন কমানোর পাশাপাশি যেসব রোগীদের ক্লোরেক্টাল ক্যানসার রয়েছে, তাঁদের জন্যেও এটি ভীষণ উপকারী।
এটি পাইলসের ইনফ্ল্যামেশন কমায়। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এটি কার্যকরী ভূমিকা নেয়। উচ্চ রক্তচাপ কোলেস্টেরল ওজন কমানোর পাশাপাশি যেসব রোগীদের ক্লোরেক্টাল ক্যানসার রয়েছে, তাঁদের জন্যেও এটি ভীষণ উপকারী।
তবে এসব ছাড়াও এই জিনিসটির রয়েছে আরও উপকারী গুণ। অন্তত তেমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। ইসবগুলের ভুসির সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করা যেতে পারে। যাঁদের ব্রণর সমস্যা রয়েছে, তাঁদের সেই সমস্যারও উপশম ঘটাবে।
তবে এসব ছাড়াও এই জিনিসটির রয়েছে আরও উপকারী গুণ। অন্তত তেমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। ইসবগুলের ভুসির সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করা যেতে পারে। যাঁদের ব্রণর সমস্যা রয়েছে, তাঁদের সেই সমস্যারও উপশম ঘটাবে।
কিন্তু কীভাবে ব্যবহার করবেন ইসবগুলের ভুসি? ডাক্তাররা বলছেন, সকালবেলা বা রাত্রিবেলা খাবার খাওয়ার অন্তত এক ঘন্টা আগে ২ টেবিল চামচ ইসবগুল এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখতে। এর পর সেই পানীয়টি পান করতে। আর তাতেই নাকি মিলবে সুফল।
কিন্তু কীভাবে ব্যবহার করবেন ইসবগুলের ভুসি? ডাক্তাররা বলছেন, সকালবেলা বা রাত্রিবেলা খাবার খাওয়ার অন্তত এক ঘন্টা আগে ২ টেবিল চামচ ইসবগুল এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখতে। এর পর সেই পানীয়টি পান করতে। আর তাতেই নাকি মিলবে সুফল।
তবে যাঁদের কিডনির সমস্যার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে জল খাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাঁরা ইসবগুলের ভুসি খাবেন না। এটা ছাড়াও ইসবগুলের ভুসিতে ফাইবার বেশি থাকে, ফলে যাদের পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে।
তবে যাঁদের কিডনির সমস্যার কারণে অতিরিক্ত পরিমাণে জল খাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাঁরা ইসবগুলের ভুসি খাবেন না। এটা ছাড়াও ইসবগুলের ভুসিতে ফাইবার বেশি থাকে, ফলে যাদের পেট ফুলে যাওয়ার সমস্যা রয়েছে।

Heart Attack among Youngsters: কোভিড টিকার জন্যই হৃদরোগে অল্পবয়সিদের মৃত্যু বাড়ছে? জানুন কী বলছে মেডিক্যাল জার্নালের রিপোর্ট

নয়াদিল্লি: কোভিড ১৯-এর টিকা নেওয়ার জন্যই নাকি অল্পবয়সিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর প্রবণতা বাড়ছে-এই দাবি বিভিন্ন বার সম্প্রতি উঠে এসেছে নানা ভাবে। সেই দাবি বা গুঞ্জনকে খারিজই করে দেওয়া হল ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এ প্রকাশিত এক সমীক্ষায়। প্রথম সারির এই মেডিক্যাল পত্রিকায় বলা হয়েছে কোভিডের টিকার সঙ্গে হৃদরোগের কোনও সম্পর্ক তো নেই-ই। বরং, অল্পবয়সিদের আচমকা অকালমৃত্যুর ঝুঁকি নানাভাবে হ্রাস করেছে এই প্রতিষেধক।

প্রসঙ্গত কোভিডে বাড়াবাড়ির কারণে হাসপাতালে ভর্তি হলে, অকালমৃত্যুর পারিবারিক ইতিহাস থাকলে, মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে অল্পবয়সিদের মধ্যে অকালেই নেমে আসে মৃত্যুর ছায়া। ১৬ নভেম্বর প্রকাশিত হওয়া রিপোর্টে এই মর্মেই দাবি করা হয়েছে।

১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সিদের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। আগে থেকে চেনা অসুস্থতা এবং অতীতে অসুস্থতার নজির ছাড়াই তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অজ্ঞাত কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। ১ অক্টোবর ২০২১ থেকে ২০২৩-এর ৩১ মার্চের মধ্যে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। অথচ মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা আগেও তাঁদের সুস্থ অবস্থায় দেখা গিয়েছিল।

গবেষণায় স্পষ্ট বলা হয়েছে ‘‘ভারতে তরুণদের অজানা কারণে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধির কারণ কোভিড ১৯-এর টিকাকরণ নয়। দেশের সর্বোচ্চ চিকি‍ৎসা সংক্রান্ত গবেষণার সংস্থা অর্থাৎ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর পত্রিকা ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চে বলা হয়েছে ‘‘কোভিড উত্তর সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, অকালমৃত্যুর পারিবারিক ইতিহাস এবং জীবনযাপনগত আচরণের কারণেই অজানা কারণে তরুণদের মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে৷’’

সমীক্ষকদের মত, কোভিডের দু’টি টিকা গ্রহণ করার কারণে নানা ঝুঁকি কমেছে অনেক ক্ষেত্রে৷ কিন্তু টিকার একটি ডোজ নিলে সেই প্রভাব বা ফলাফল দেখা যায়নি৷

Fasting: উপোস করবেন? অথচ আপনি ডায়াবেটিস বা হাই ব্লাড প্রেশারের রোগী? মাথায় রাখুন এই কয়েকটা বিষয়

উপবাসের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। ডা. মনোজ কুমার  জানিয়েছেন, সারা বছরই ভারতে কোনও না কোনও পুজো, পার্বণ বা অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিভিন্ন উপবাসের নিয়মও রয়েছে। মানুষে বিভিন্ন উপায়ে উপবাস করে নিজেদের আরাধ্য ঈশ্বরকে খুশি করার চেষ্টা করেন। তাই প্রত্যেক নারী-পুরুষই উপবাস রাখতে চান। যাঁদের ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশার বা বিপির মতো সমস্যা রয়েছে তাঁরাও এই উপবাস পালন করেন। এমন পরিস্থিতিতে উপবাস রাখার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

পটনা নিউ গার্ডিনার রোড হাসপাতালের পরিচালক ডা. মনোজ কুমারের মতে, সুগার ও বিপির মাত্রাতিরিক্ত ওঠানামা হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধের ডোজ ঠিক করতে হবে, যাতে উপবাস চলাকালীন কোনও সমস্যা না হয়।

ডা. মনোজ কুমার বলেছেন, ডায়াবেটিস রোগীরা যদি উপবাস করার কথা ভাবেন, তবে তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবন করা উচিত নয়। ওই সময় তাঁদের শর্ট অ্যাক্টিং ডায়াবেটিসের ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। যাতে শরীরে হঠাৎ করে সুগার বৃদ্ধি বা কমার কোনও আশঙ্কা না থাকে।

উপবাসের সময় ইনসুলিনও এড়িয়ে চলতে হবে। ইনসুলিন স্বল্পমেয়াদি সময়ের জন্যই নেওয়া উচিত। প্রায়ই দেখা যায়, যাঁরা উপবাস রাখেন, তাঁরা নিয়ম মানতে গিয়ে দিনের শেষে ওষুধ খান, এমনটা করা উচিত নয়। উপবাস চলাকানীন, মিষ্টি কম খাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। উপবাস শেষ করার তিন-চার দিন পর রোগীর সুগার পরীক্ষা করানো উচিত। সুগারের মাত্রা জানা হয়ে গেলে, সেই অনুযায়ী বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ওষুধের ডোজে পরিবর্তন আনা উচিত।

যদি কারও রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকে এবং তাঁরা উপবাস করতে চান, তাহলে তাঁদের ডায়াবেটিস রোগীদের মতোই একই নিয়ম মানা উচিত। ওষুধ সম্পর্কে একবার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা এবং তারপর ওষুধ খাওয়া উচিত। অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগীদেরও উপবাস শুরু করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Red Amaranth (Laal Shaag) Vs Spinach (Palang): লাল শাক না পালং শাক? ওষুধকেও দশ গোল দেয় কোন শাক…? ডায়াবেটিসের ‘যম’ কোনটি? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের মত

শীতকালে শাক খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। আর সুস্থ থাকতে এবং শারীরিক জটিলতা এড়াতে, পুষ্টির যোগান পেতে খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি রাখার উপর জোর দেন পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকেরাও।
শীতকালে শাক খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে। আর সুস্থ থাকতে এবং শারীরিক জটিলতা এড়াতে, পুষ্টির যোগান পেতে খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি রাখার উপর জোর দেন পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকেরাও।
ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্যও শাক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে শাক নিয়েও আমাদের মধ্যে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষত, লাল শাক ও পালং শাক দুই নিয়েই মত বিরোধ রয়েছে অনেকেরই মধ্যে।
ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্যও শাক খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে শাক নিয়েও আমাদের মধ্যে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। বিশেষত, লাল শাক ও পালং শাক দুই নিয়েই মত বিরোধ রয়েছে অনেকেরই মধ্যে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এই প্রশ্নে ঠিক কী বলছেন পুষ্টিবিদরা? বাংলার জল-হাওয়ায় মাঠে ঘাটে বেড়ে ওঠা শাক-সবজি অনেকসময়ই ওষুধের থেকেও বেশি ভাল কাজ করে শরীরের পুষ্টির ভাণ্ডার হিসেবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এই প্রশ্নে ঠিক কী বলছেন পুষ্টিবিদরা? বাংলার জল-হাওয়ায় মাঠে ঘাটে বেড়ে ওঠা শাক-সবজি অনেকসময়ই ওষুধের থেকেও বেশি ভাল কাজ করে শরীরের পুষ্টির ভাণ্ডার হিসেবে।
আর এই শাকের তালিকায় বিশেষ নজর কাড়ে পালং শাক ও রেড আমারান্ত বা লাল পালং বা লাল শাক। কারণ, এই দুটিই মূলত পুষ্টির ভাণ্ডার। এমনকী এই দুই শাকের গুণে একাধিক বড় রোগ ব্যাধির ছুটি হয়ে যায়।
আর এই শাকের তালিকায় বিশেষ নজর কাড়ে পালং শাক ও রেড আমারান্ত বা লাল পালং বা লাল শাক। কারণ, এই দুটিই মূলত পুষ্টির ভাণ্ডার। এমনকী এই দুই শাকের গুণে একাধিক বড় রোগ ব্যাধির ছুটি হয়ে যায়।
তবে একদলের কথায়, পালং শাক হল সর্বশ্রেষ্ঠ। এদিকে অপর দলের মত সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাঁদের কথায়, পালং শাক উপকারী হতে পারে, তবে পুষ্টিগুণে কম যায় না লাল শাকও। বরং কয়েক গুণ বেশি উপকারী এই শাক।
তবে একদলের কথায়, পালং শাক হল সর্বশ্রেষ্ঠ। এদিকে অপর দলের মত সম্পূর্ণ ভিন্ন। তাঁদের কথায়, পালং শাক উপকারী হতে পারে, তবে পুষ্টিগুণে কম যায় না লাল শাকও। বরং কয়েক গুণ বেশি উপকারী এই শাক।
পালং ও লাল শাক দুইই শীতকালের অন্যতম প্রিয় শাকের তালিকায়। তাই আগে জেনে নেওয়া ভাল কোনটি পুষ্টিতে এগিয়ে। শীতের মরশুমে লাল শাকের উপর ভরসা রাখলে যে সুফল মিলবে হাতেনাতে, তা তো বলাই বাহুল্য়!
পালং ও লাল শাক দুইই শীতকালের অন্যতম প্রিয় শাকের তালিকায়। তাই আগে জেনে নেওয়া ভাল কোনটি পুষ্টিতে এগিয়ে। শীতের মরশুমে লাল শাকের উপর ভরসা রাখলে যে সুফল মিলবে হাতেনাতে, তা তো বলাই বাহুল্য়!
পালং শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন এ, ফোলেট, ভিটামিন কে, ফসফরাস, থিয়ামিন, ফাইবার সহ একাধিক জরুরি উপাদান। তাই নিয়মিত পালং শাক খাওয়া অবশ্যই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এতে ডায়াবিটিস থেকে শুরু করে কোলেস্টেরল, অ্যাজমা, হাই ব্লাড প্রেশারের মতো অসুখকে বশে রাখা সম্ভব হবে। এমনকী এতে মজুত থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে ক্যানসার সেলের বৃদ্ধিও আটকে দেবে।
পালং শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন এ, ফোলেট, ভিটামিন কে, ফসফরাস, থিয়ামিন, ফাইবার সহ একাধিক জরুরি উপাদান। তাই নিয়মিত পালং শাক খাওয়া অবশ্যই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এতে ডায়াবিটিস থেকে শুরু করে কোলেস্টেরল, অ্যাজমা, হাই ব্লাড প্রেশারের মতো অসুখকে বশে রাখা সম্ভব হবে। এমনকী এতে মজুত থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে ক্যানসার সেলের বৃদ্ধিও আটকে দেবে।
অন্যদিকে লাল শাকেও রয়েছে বিপুল পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ। বিশেষ করে মজুত রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, কপার, জিঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়ামের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই নিয়মিত লাল শাক খেলেই বাড়বে ইমিউনিটি। এমনকী চোখের স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর কাজেও এই শাকের জুড়ি মেলা ভার। সেই সঙ্গে অ্যানিমিয়া থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার ইচ্ছে থাকলেও রোজের পাতে এই শাককে জায়গা করে দিতে হবে।
অন্যদিকে লাল শাকেও রয়েছে বিপুল পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ। বিশেষ করে মজুত রয়েছে ভিটামিন কে, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, কপার, জিঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়ামের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই নিয়মিত লাল শাক খেলেই বাড়বে ইমিউনিটি। এমনকী চোখের স্বাস্থ্যের হাল ফেরানোর কাজেও এই শাকের জুড়ি মেলা ভার। সেই সঙ্গে অ্যানিমিয়া থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠার ইচ্ছে থাকলেও রোজের পাতে এই শাককে জায়গা করে দিতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লাল শাক একটি ভাল বিকল্প কেন?লাল পালং শাকের স্বল্প-ক্যালোরি এবং উচ্চ-ফাইবার উপাদান এটিকে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভাল 'অপশন' করে তুলেছে। জিন্দাল নেচারকিউর ইনস্টিটিউটের ডায়েটিশিয়ান সুষমা পিএস বলেছেন, “লাল পালং শাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে তার কারণ এর কম গ্লাইসেমিক সূচক এবং উচ্চ পুষ্টি উপাদান।"
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লাল শাক একটি ভাল বিকল্প কেন?
লাল পালং শাকের স্বল্প-ক্যালোরি এবং উচ্চ-ফাইবার উপাদান এটিকে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভাল ‘অপশন’ করে তুলেছে। জিন্দাল নেচারকিউর ইনস্টিটিউটের ডায়েটিশিয়ান সুষমা পিএস বলেছেন, “লাল পালং শাক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর বিকল্প হতে পারে তার কারণ এর কম গ্লাইসেমিক সূচক এবং উচ্চ পুষ্টি উপাদান।”
গ্লাইসেমিক সূচক পরিমাপ করে একটি খাবার কত দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়, কম সূচক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর। লাল পালং শাকের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, তাই এটি রক্তে শর্করার বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। উপরন্তু, লাল পালং শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার রয়েছে, যা গ্লুকোজ শোষণকে হ্রাস করতে এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এতে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ রাসায়নিকও রয়েছে, যার অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে”।
গ্লাইসেমিক সূচক পরিমাপ করে একটি খাবার কত দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়, কম সূচক ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যকর। লাল পালং শাকের গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে, তাই এটি রক্তে শর্করার বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। উপরন্তু, লাল পালং শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার রয়েছে, যা গ্লুকোজ শোষণকে হ্রাস করতে এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। এতে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো স্বাস্থ্যকর উদ্ভিদ রাসায়নিকও রয়েছে, যার অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে”।

পালং না লাল শাক, কোনটা উপকারী?​পুষ্টিবিদ সুষমা পিএস বলেন, "পালং ও লাল শাক, এই দুটি শাকই পুষ্টিগুণের ভাণ্ডার। তাই এই দুইয়ের মধ্যে কোনও একটিকে বেছে নেওয়া কঠিন। তবে পালং শাকের তুলনায় লাল শাকে বিটা ক্যারোটিন অনেকটা বেশি পরিমাণে রয়েছে। তাই নিয়মিত এই শাক খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়তে সময় লাগবে না। অন্যদিকে পালং শাক দেহের সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত।
পালং না লাল শাক, কোনটা উপকারী?​
পুষ্টিবিদ সুষমা পিএস বলেন, “পালং ও লাল শাক, এই দুটি শাকই পুষ্টিগুণের ভাণ্ডার। তাই এই দুইয়ের মধ্যে কোনও একটিকে বেছে নেওয়া কঠিন। তবে পালং শাকের তুলনায় লাল শাকে বিটা ক্যারোটিন অনেকটা বেশি পরিমাণে রয়েছে। তাই নিয়মিত এই শাক খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়তে সময় লাগবে না। অন্যদিকে পালং শাক দেহের সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত।
ভুবনেশ্বরের কেয়ার হসপিটালস-এর সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান গুরু প্রসাদ দাস তাঁর পরামর্শে জানালেন, "লাল পালং শাকের ফাইবার রক্ত ​​​​প্রবাহে চিনির শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করতে পারে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি কার্যকরী"। তাই দুটি শাকই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ভুবনেশ্বরের কেয়ার হসপিটালস-এর সিনিয়র ডায়েটিশিয়ান গুরু প্রসাদ দাস তাঁর পরামর্শে জানালেন, “লাল পালং শাকের ফাইবার রক্ত ​​​​প্রবাহে চিনির শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করতে পারে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আরও বেশি কার্যকরী”। তাই দুটি শাকই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
শাক খেতে পছন্দ করেন অনেকেই, তবে শাক ভেজে খেলে তেমন কোনও উপকারই মেলে না। বরং এই কাজটা করলে শাকের সব পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সমস্ত উপকার পেতে চাইলে শাক সিদ্ধ করে রান্না করুন। স্যালাড বা স্যুপ বানিয়ে খাওয়ারও পরামর্শ চিকিৎসকদের। এভাবে খেলেই শাকের সমস্ত ভিটামিন এবং খনিজ অক্ষত অবস্থায় থাকবে। আর তাতেই দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে।
শাক খেতে পছন্দ করেন অনেকেই, তবে শাক ভেজে খেলে তেমন কোনও উপকারই মেলে না। বরং এই কাজটা করলে শাকের সব পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সমস্ত উপকার পেতে চাইলে শাক সিদ্ধ করে রান্না করুন। স্যালাড বা স্যুপ বানিয়ে খাওয়ারও পরামর্শ চিকিৎসকদের। এভাবে খেলেই শাকের সমস্ত ভিটামিন এবং খনিজ অক্ষত অবস্থায় থাকবে। আর তাতেই দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটে যাবে।
কারা শাক খাবেন না?​সাধারণত সকলেই শাক খেতে পারেন। তবে যাঁদের গ্যাস, অ্যাসিডিটির প্রবণতা আছে তাঁরা এই খাদ্যটি এড়িয়ে যাওয়ায় ভাল। এমনকী ডায়ারিয়াও শুরু হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে শাক এড়িয়ে চলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
কারা শাক খাবেন না?​
সাধারণত সকলেই শাক খেতে পারেন। তবে যাঁদের গ্যাস, অ্যাসিডিটির প্রবণতা আছে তাঁরা এই খাদ্যটি এড়িয়ে যাওয়ায় ভাল। এমনকী ডায়ারিয়াও শুরু হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে শাক এড়িয়ে চলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

Benefits Of Ripe Papaya: ‘এই’ ফল পুষ্টির ভান্ডার, রোজ খেলেই যৌবন থাকবে তরতাজা! কাঁচা না পাকা, কোনটা শরীরের জন্য অলৌকিক?

পেঁপেকে পুষ্টির ভান্ডার বলা হয়৷ এই ফল ভিটামিন সি এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। পেঁপে পেটের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও অত্যন্ত কার্যকরী পেঁপে৷
পেঁপেকে পুষ্টির ভান্ডার বলা হয়৷ এই ফল ভিটামিন সি এবং শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। পেঁপে পেটের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শুধু তাই নয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও অত্যন্ত কার্যকরী পেঁপে৷
হেলথলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ১৫০ গ্রাম পেঁপেতে ৫৯ ক্যালরি, ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩ গ্রাম ফাইবার এবং ১ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফোলেট এবং পটাশিয়াম ভাল পরিমাণে রয়েছে। পেঁপেতে রয়েছে অনেক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
হেলথলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ১৫০ গ্রাম পেঁপেতে ৫৯ ক্যালরি, ১৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৩ গ্রাম ফাইবার এবং ১ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ফোলেট এবং পটাশিয়াম ভাল পরিমাণে রয়েছে। পেঁপেতে রয়েছে অনেক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পেঁপে কাঁচা ও পাকা দুইভাবেই খাওয়া যায়। সারা বছরই পেঁপে পাওয়া যায়৷ এর অনেক উপকারিতাও রয়েছে৷ পেটের স্বাস্থ্যের জন্য পেঁপেকে  ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে উপস্থিত প্যাপেইন এনজাইম প্রোটিন হজম করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যর চিকিৎসার জন্য পেঁপে দারুণ ওষুধ৷
পেঁপে কাঁচা ও পাকা দুইভাবেই খাওয়া যায়। সারা বছরই পেঁপে পাওয়া যায়৷ এর অনেক উপকারিতাও রয়েছে৷ পেটের স্বাস্থ্যের জন্য পেঁপেকে ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে উপস্থিত প্যাপেইন এনজাইম প্রোটিন হজম করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যর চিকিৎসার জন্য পেঁপে দারুণ ওষুধ৷
 সমীক্ষায় দেখা গেছে একটানা ৪০ দিন ধরে পেঁপে খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ফোলাভাব থেকে অনেক উপশম পাওয়া গেছে। নিয়মিত পেঁপে খেলে আলসারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে একটানা ৪০ দিন ধরে পেঁপে খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ফোলাভাব থেকে অনেক উপশম পাওয়া গেছে। নিয়মিত পেঁপে খেলে আলসারের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
দীর্ঘ সময়ের জন্য যৌবন ধরে রাখতে চাইলে পেঁপে খেলে উপকার পাওয়া যায়। অত্যধিক ফ্রি ব়্যাডিকেল ত্বকে বলিরেখা সৃষ্টি করতে পারে এবং ত্বক আলগা হয়ে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। পেঁপেতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং লাইকোপেন ত্বককে রক্ষা করে এবং  অকাল বার্ধক্য রুখতে সাহায্য করে৷
দীর্ঘ সময়ের জন্য যৌবন ধরে রাখতে চাইলে পেঁপে খেলে উপকার পাওয়া যায়। অত্যধিক ফ্রি ব়্যাডিকেল ত্বকে বলিরেখা সৃষ্টি করতে পারে এবং ত্বক আলগা হয়ে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হতে শুরু করে। পেঁপেতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং লাইকোপেন ত্বককে রক্ষা করে এবং অকাল বার্ধক্য রুখতে সাহায্য করে৷
গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁপেতে উপস্থিত লাইকোপিন এবং ভিটামিন সি হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পেঁপেতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টকে রক্ষা করতে পারে এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁপেতে উপস্থিত লাইকোপিন এবং ভিটামিন সি হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পেঁপেতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টকে রক্ষা করতে পারে এবং ভাল কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে পারে।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অশান্ত জীবনযাপন শরীরে প্রদাহ বাড়াতে পারে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁপের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল এবং শাক-সবজি শরীরের এই প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অশান্ত জীবনযাপন শরীরে প্রদাহ বাড়াতে পারে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে পেঁপের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল এবং শাক-সবজি শরীরের এই প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে।

Mental Health: রাতে ঘুম হয় না? স্ট্রেস, মানসিক চাপ, অবসাদে ভুগছেন? ভরসা রাখুন এই ভেষজে, ম্যাজিকের মত ফল পাবেন

শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রকৃতির ভাণ্ডারে লুকিয়ে রয়েছে নানা ধরনের নিদান। এমনই একটি গাছ আমাদের মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে।

আধুনিক জীবনে মানসিক চাপ, উদ্বেগের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। এই মানসিক সমস্যা ডেকে আনছে নানা ধরনের রোগ— উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, তা থেকে হৃদরোগের মতো সমস্যা আমাদের জীবনে চেপে বসছে। মানসিক চাপ কমাতে দারুন সাহায্য করতে পারে সর্পগন্ধা। এনে দেয় একটানা নিশ্চিন্ত ঘুম। সর্পগন্ধা সেবনে অনিদ্রা, হিস্টিরিয়া এবং মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

এই ঔষধি গাছের মূলের রস এবং গুঁড়ো পেটের জন্য খুবই উপকারি। এতে পেটের কৃমি দূর হয়। মৃগীর মতো মস্তিষ্কের রোগেও অত্যন্ত কার্যকরী বলে মনে করা হয়।

উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানিতে অবস্থিত বন গবেষণা কেন্দ্রের বন কর্মকর্তা মদন সিং বিস্ত বলেন, আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় সর্পগন্ধা গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে এর ব্যবহারের ইতিহাস প্রায় তিন হাজার বছরের পুরনো। সর্পগন্ধার তিক্ত স্বাদ। একটি ছোট চিরসবুজ, বহুবর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর আঁকাবাঁকা শিকড় প্রায় ১৮-২০ ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। মূলের বাকল বাদামি-হলুদ রঙের হয়ে থাকে। এই মূল গন্ধহীন। তবে স্বাদে তিক্ত। গাছের বাকলের রঙও হলুদ।

সাধারণত নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসে এই গাছে ফুল আসে। সর্পগন্ধার গুচ্ছপত্র সাধারণত ৩-৭ ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। পাতাগুলি উপরের অংশ গাঢ় সবুজ এবং নিচের অংশ হালকা সবুজ রঙের হয়।

এর ছোট ছোট, মাংসল ফল এক সঙ্গে একটি বা দু’টি জন্মায়। প্রথমে ফলের রঙ সবুজ থাকে, পাকলে বেগুনি বা কালো।

সাধারণত সর্পগন্ধার মূল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। প্রধান প্রজাতি ছাড়াও সর্পগন্ধার আরও দু’টি প্রজাতি রয়েছে। সেগুলিও যেগুলো ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

মদন বিস্ত বলেন, ‘সর্পগন্ধায় সেরোটোনিন পাওয়া যায়। এর কাজই হল মস্তিষ্কের কোষের মধ্যে বার্তা পাঠানো। এতে ভাল ঘুম আসে।’

তিনি জানান, মনে করা হয়, সর্পগন্ধার নির্যাস পান করলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে কোনও ভাবেই নিজে নিজে এই গাছে রস পান করা যাবে না। অবশ্যই একজন নির্ভরযোগ্য চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে হবে।

সর্পগন্ধার নির্যাসে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। যা মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা দূর করতে পারে। ট্যাবলেট, সিরাপ ও অন্য আকারে বাজারে সর্পগন্ধা নির্যাস পাওয়া যায়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো নির্ধারিত পদ্ধতিতে সেবন করতে হবে।