সুন্দরবন: ভারতের সেরা পুষ্টিকর খাবারের দৌড়ে প্রথম পাঁচে জায়গা করে নিল সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের গৃহবধূর তৈরি ‘কাঁকড়া-ডাল।’ একটি সর্বভারতীয় সংস্থার উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশব্যাপী পুষ্টিকর খাবারের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সেই প্রতিযোগিতায় মৈপিঠ কোস্টাল থানার পূর্ব গুড়গুড়িয়ার বাসিন্দা গঙ্গারানি হালদারের তৈরি কাঁকড়া-ডালের রেসিপি পাঠিয়েছিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। গোটা দেশের প্রায় ৮০০ রেসিপির মধ্যে থেকে গঙ্গারানির সেই রান্না জায়গা করে নিয়েছে সেরা পাঁচে। মুম্বই যাবেন গঙ্গারানি। সেখানে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বিচারকদের সামনে নিজেই রাঁধবেন কাঁকড়া-ডাল।
শ্বশুর, শাশুড়ি, স্বামী, দুই ছেলেকে নিয়ে গঙ্গারানির সংসার। স্বামী চাষ-বাস করেন। বছর পঁয়তাল্লিশের গঙ্গারানি মূলত ঘর সামলান। রোজকার প্রয়োজনেই রান্নাঘরে কাটে অনেকটা সময়। চিরাচরিত নানা পদের সঙ্গে নিজের ভাবনা মিশিয়ে প্রায়ই বানিয়ে ফেলেন নিত্যনতুন খাবার।
আরও পড়ুনঃ ধেয়ে আসবে কালবৈশাখী? টানা ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণের কোন কোন জেলায় বৃষ্টি? বদলাচ্ছে আবহাওয়া
সুন্দরবন ঘেঁষা এই সব এলাকায় কাঁকড়া খুবই সহজলভ্য। কাঁকড়ার নানা চেনা পদ বাড়িতে প্রায়ই বানাতেন গঙ্গারানি। এক দিন সেই কাঁকড়ার সঙ্গে ডালের মিশেলে তৈরি করে ফেলেন কাঁকড়া-ডাল। পরিবারের লোকের পাশাপাশি বাড়িতে আসা অতিথিদের প্রায়ই খাওয়াতেন তাঁর তৈরি এই পদ। এ ভাবেই একদিন তাঁর বাড়িতে আসা এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কয়েক জন সদস্য কাঁকড়া-ডালের স্বাদ পান। তাঁরাই পুষ্টিকর খাবারের সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতায় পাঠিয়ে দেন গঙ্গারানির ওই রেসিপি।
গঙ্গারানি জানিয়েছেন, “দু’ধরনের ডাল আর কাঁকড়া দিয়ে এই পদ তৈরি হয়। খুব বেশি মশলা লাগে না। হালকা খাবার হিসেবেই খাওয়া যায়। বাড়িতেই খাওয়ার জন্য বানাতাম। কেউ এলেও বানিয়ে দিতাম। ভাবিনি, কোনও দিন মুম্বইয়ে গিয়ে বানাতে হবে। খুবই ভাল লাগছে।” স্ত্রী সাফল্যে খুশি গঙ্গারানির স্বামী। বলেন, ঘরের সামান্য একটা রান্না এত বড় মঞ্চে স্বীকৃতি পাবে ভাবিনি।
সুমন সাহা