বর্ধমান: পরিকল্পনা ছিল মাটির বাড়ি পাকা করার। সেইমতো কাটা হয়েছিল নীচের একাংশ। সেখানে লোহার রড ঢুকিয়ে পিলার তৈরির পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল বিপর্যয়। সেই বাড়ি ধসে মৃত্যু হল এক মহিলার। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই মহিলা।
পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের গোপালবেড়া অঞ্চলের পূর্বচক গ্রামে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে তিনজন চাপা পড়ে যাওয়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ধ্বংসস্তুপের নিচে যারা চাপা পড়ছেন তারা তিনজনই মহিলা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় খন্ডঘোষ, রায়না থানা ও সেহারাবাজার ফাঁড়ির পুলিশ। জেসিবি মেশিন দিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন গোটা গ্রামের মানুষও।
প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় শেষমেষ তিনজন মহিলা কে উদ্ধার করে দ্রুততার সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে তাদের মধ্যে জুলেখা বেগম (৩৩) এর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে বাড়ির মালিকের নাম শেখ হবিবর ইসলাম। আহতরা হলেন প্রতিবেশী মধুরানী বেগম ( ৩৮ ) এবং সাবানা বেগম (২৮)। তাঁরা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ‘সবাই SSKM যাচ্ছেন, আপনি যাবেন না?’ প্রশ্ন শুনেই চমকে ওঠা উত্তর পার্থর! কাকে নিশানা?
ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর বর্ধমান থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী রয়েছে। গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গেছে, মাটির দোতলা বাড়িটির মেরামতের কাজ চলছিল। মাটির মেঝে খুঁড়ে দেওয়ালে লোহার রড ঢোকানোর কাজ চলছিল। নিচ থেকে দোতলায় বেশ কিছু সামগ্রী, আসবাব ওপরে তুলে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ির বড় বউমা জুলেখা বেগম একটি আলমারি সরাতে যাওয়ার সময়ই আচমকা ওপরের দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে পড়ে আলমারিটির ওপর। এইসময় আরো দুই প্রতিবেশী মহিলা সেখানে ছিলেন। তিনজনই দেওয়াল চাপা পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: কী চরম দুর্দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে! যা বললেন আইনজীবী, মাথায় হাত অনুগামীদের
বাড়িটির কিছুটা অংশ পাশেই পুকুরের দিকেও ভেঙে পড়ে। আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। এরপরই একটি জেসিবি মেশিন নিয়ে এসে উদ্ধারকাজ শুরু করে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় চাপা পড়া তিনজন মহিলাকেই উদ্ধার করে দ্রুততার সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য পাঠায় পুলিশ। যদিও আহতদের মধ্যে জুলেখা বেগমের মৃত্যু হয় হাসপাতালে। এই ঘটনায় তীব্র আলোড়ন ছড়িয়েছে গোটা গ্রাম জুড়ে। পাশাপাশি শোকের ছায়া নেমে এসেছে সেখানে।