Category Archives: দক্ষিণবঙ্গ

Kali Puja 2023: শান্তিপুরের চাঁদুনি মাতার পুজোতে ঐতিহ্যই সব, নহবত সানাইয়ের মজলিস আজও বসেছে…

নদিয়া: বহু প্রাচীন শান্তিপুরের চাঁদুনি মাতার পুজোতে আজও বসে নহবত সানাইয়ের মজলিস। সানাই অত্যন্ত পুরনো ও ঐতিহ্যশালী এক বাদ্যযন্ত্র। আমাদের দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে বাড়ি পুজো ইত্যাদিতে এই সানাই নহবত বাজানোর রীতি এবং রেওয়াজ ছিল যথেষ্ট। তবে কালের কালান্তরে অত্যাধুনিক বাদ্যযন্ত্রের আবিষ্কার ও ব্যবহারের কারণে শোনা যায় না সানাইয়ের আওয়াজ।

তবে এখনও পুরনো ঐতিহ্যকে বজায় রেখেছেন অনেকেই। শান্তিপুরের বহু প্রাচীন চাঁদুনি মাতার পুজোতে আজও আসেন তাঁরা অন্য জেলা থেকে সানাই বাজাতে। মুর্শিদাবাদের কান্দি শহর থেকে সানাইয়ের দল নিয়ে বহু বছর ধরে চাঁদুনি বাড়িতে সানাই ও অন্যান্য ঐতিহ্যময় বাদ্যযন্ত্র সহকারে মজলিস বসাতে আসেন মহেশ্বর বিত্তার। বংশ পরম্পরায় তাঁরা সানাই বাদক। মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে তাঁরা নদিয়ার শান্তিপুরে বছরের দুটি সময়ে আসেন।

আরও পড়ুন: আরিয়া ৩-এর এই দৃশ্য শ্যুটিংয়ের সময় হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল সুস্মিতার, দেখুন সেই ভিডিও

রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে তাঁরা আসেন বড় গোস্বামী বাড়িতে এবং কালীপুজো উপলক্ষে তাঁরা আসেন শান্তিপুরের চাঁদুনি বাড়িতে। একাদশীতে তাঁরা চলে আসেন তাঁদের সমস্ত বাদ্যযন্ত্রের সরঞ্জাম নিয়ে। একাদশী দিন থেকেই তাঁরা সানাইয়ের সুরে আহ্বান জানান পুজোর। কালী পুজো পর্যন্ত তাঁরা বাজিয়ে আবার ফিরে যান বাড়িতে। বছরের অন্যান্য সময় এই পেশায় খুব একটা রোজগার হয় না তাঁদের। সেই কারণে এই পেশার পাশাপাশি তাদের রয়েছে প্রত্যেকেরই অর্থ উপার্জনের বাড়তি উপায়।

আরও পড়ুন: এবার শীতে টানা ১ মাস রোজ সকালে নিমপাতা খান, আশ্চর্য উপকার পাবেন! তবে এক মাসই, জানুন

সানাই বাদক মহেশ্বর বিত্তার জানান, বর্তমানে আধুনিক বাদ্যযন্ত্রের রমরমা বাজারে সানাইয়ের প্রচলন অনেকটাই কমে গিয়েছে। এখনও অনেক অভিজাত বাড়িতেই পুরনো পরম্পরাকে তাঁরা ধরে রেখেছেন। এ কারণেই আজও বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং পুজো পার্বণে ডাক পড়ে তাদের। ঢোল, সানাই, হারমোনিয়াম, প্রেমঝুড়ি ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র সহকারে তাঁরা আধুনিক গান থেকে শ্যামাসঙ্গীত সুর তুলে আজও মন জয় করে নেন সকলের।

এই বাড়ির সদস্য প্রীতম মুখোপাধ্যায় জানান, প্রায় সাড়ে ৫০০ বছরের পুরনো শান্তিপুরের চাঁদুনী বাড়ির কালীপুজো। কথিত আছে, কাশীনাথ সার্বভৌম ছিলেন গৌরাঙ্গ দেবের গৃহ শিক্ষক। সৃষ্টিকালে এই স্থান দিয়ে বইত গঙ্গা। বালক কাশীনাথ তাঁর মায়ের কাছে আবদার করেছিলেন কালীমূর্তি করে গড়ে দেওয়ার জন্য। মা মূর্তি তৈরি করে দিয়েছিলেন কাশীনাথ নিজে সেই পুজো করেছিলেন। দূর দূরান্ত থেকে এসে শান্তিপুরের চাঁদুনি মাকে দেখতে ভিড় জমান ভক্তরা।

Mainak Debnath

শব্দবাজির ব্যবসা ছেড়ে অন্য পেশায়, ব্যবসায়ীদের বাড়িতে ফুল মিষ্টি দিল পুলিশ

ডায়মন্ডহারবার: শব্দবাজির ব্যবসা ছেড়ে অন্য পেশায় যাওয়া মানুষদেরকে সম্মান জ্ঞাপন করলেন ডায়মন্ড হারবার এসডিপিও মিতুন কুমার দে।

সকলকে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে সম্মান জ্ঞাপন করেছেন তিনি। অপরদিকে, যারা এখনও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।

রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ৫০০ কেজি বাজি ও ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোনও শব্দ বাজি যাতে কোনও দোকানে বিক্রি না হয় সেই দিকে নজর রেখেছে পুলিশ। প্রথম থেকেই মাইকিং প্রচারের মাধ্যমে সচেতন করা হয়েছে স্থানীয় দোকানদারদের।

আরও পড়ুন- ‘জীবনে লুডো খেলেছেন?’ জুনকে কেন এহেন মন্তব্য দিলীপ ঘোষের? তুঙ্গে শোরগোল

ঠিক তেমনই ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে গভীর রাত পর্যন্ত ডায়মন্ড হারবার শহরের বিভিন্ন জায়গায় টহলদারি চালান। ডায়মন্ড হারবার সহ উস্তি, ফলতা, মগরাহাট বিভিন্ন থানা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০০কেজি নিষিদ্ধ শব্দ বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ প্রশাসন।

অপরদিকে বেশ কিছুদিন আগে ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কিছু বাজি প্রস্তুতকারক শ্রমিক এবং মালিকদেরকে সচেতন করেন পুলিশ প্রশাসন।

এর পর থেকে শব্দবাজি কাজ ছেড়ে অন্য পেশায় যায় তারা। তারপর থেকেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের উপরে নজর রাখা হয়েছিল। সেই বাজি তৈরির কাজ ছেড়ে দিয়ে ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু বাজি প্রস্তুতকারক ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাজি প্রস্তুতকারক শ্রমিকেরা অন্য পেশার সঙ্গে নিযুক্ত হন।

আরও পড়ুন- কালীপুজোর দিন দেবী বর্গভীমা মন্দিরে ভক্তের ঢল

কেউ শ্রমিকের কাজ করেন, কেউ ভ্যান চালান আবার কেউ দোকান শুরু করেছেন। আর সেই সমস্ত শ্রমিক মালিকদের বাড়িতে বাড়িতে সম্মান জানাতে এসডিপিও রাতে নিজে গিয়ে ফুল ও মিষ্টি তুলে দেন।  পাশাপাশি তাদের অন্য কাজে প্রশাসন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়।

নবাব মল্লিক

Paschim Medinipur News: তরুণ প্রজন্মের দিকে ব্যাঁকা চোখে দেখেন, টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে যা করে দেখাল ক্লাস ইলেভেনের পড়ুয়ারা

পশ্চিম মেদিনীপুর: কেউ বিজ্ঞান বিভাগ কেউ কলা বিভাগের ছাত্র কিংবা ছাত্রী। পড়ার কাছে নানান মতে পার্থক্য থাকলেও কাজে তারা এক। কেউ সামান্য হাত খরচ জমিয়ে কেউ আবার টিফিন খরচ বাঁচিয়ে শীতের আগে প্রান্তিক এলাকায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিছিয়ে পড়া পরিবারের কচিকাঁচাদের হাতে শীতের সোয়েটার তুলে দিল ছাত্রছাত্রীরাই। প্রান্তিক পিছিয়ে পড়া এলাকায় এই আয়োজন করতে পেরে খুশি ছাত্র-ছাত্রীরা।

প্রায় সকলেই একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রী। পড়ার চাপ সামলেও সমাজের কাজে প্রতি তারা। বয়সে নাবালক হলেও তাদের এই চিন্তাভাবনায় শ্রদ্ধায় মাথা নত হবে সকলের। পশ্চিম মেদিনীপুরে কেশিয়াড়ি ব্লকের প্রান্তিক একটি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে কচিকাঁচাদের হাতে তুলে দিল নতুন সোয়েটার।

আরও পড়ুন – Crime against woman: রক্ষকই যখন ভক্ষক, পুলিশের লালসার শিকার ৪ বছরের শিশু কন্যা, চরম সর্বনাশ

প্রসঙ্গত পড়াশুনোর ফাঁকে বেশ কিছু ছাত্র ছাত্রীদের, সমাজের জন্য কিছু করবার বীজ বপন হয়েছিল। সেই মত নিজেদের বন্ধুদের নিয়ে শুরু হয় টিম চারুলতার পথচলা। এরপর নিজেদের মধ্যে আলোচনা এবং নিজেদের জমানো অর্থ খরচ করে ৩৫ জন ক্ষুদেদের হাতে শীতের বস্ত্র হিসেবে সোয়েটার তুলে দিল তারা। পাশাপাশি আলোর উৎসব দীপাবলি যাতে আনন্দে কাটাতে পারে সেজন্য মোমবাতিও তুলে দেয় ছাত্র-ছাত্রীরা৷

আরও পড়ুন – Success Story : মাত্র ২১ বছর বয়সে দত্তক নিয়েছেন একটি গ্রাম, ট্রেনিং দেন IAS, IPS অফিসারদের, কুর্নিশ

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ী ব্লকের শাঁখমারির একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানকে পালন করে তারা। আয়োজক ছাত্রছাত্রীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকার পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্টজনেরা।

শহর এলাকায় এক কেন্দ্রিক হয়ে উঠছেন সাধারণ মানুষ। তবে এর মাঝেই ব্যতিক্রম এই ছাত্রছাত্রীরা। নিজেদের জমানো অর্থে ছোট ছোট শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে তাদের এই অভিনব আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে। ছাত্র-ছাত্রীদের এই কৃতিত্বের শ্রদ্ধায় মাথা নত হবে আপনারও
Ranjan Chanda

Dilip Ghosh June Malia: ‘জীবনে লুডো খেলেছেন?’ জুনকে কেন এহেন মন্তব্য দিলীপ ঘোষের? তুঙ্গে শোরগোল

শোভন দাস, পশ্চিম মেদিনীপুর: ”জীবনে লুডু খেলেছেন? আমরা খেলা হবে বলি না, খেলা করি!” তৃণমূল বিধায়ক জুন মালিয়ার উদ্দেশ্যে এমন ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুরে পুজা উদ্বোধনে এসে তৃণমূল বিধায়ককে কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে জুন মালিয়ার খেলা হবে বক্তব্যের বিরোধিতা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”জুন জীবনে কখনও লুডো খেলেছেন কিনা তাও সন্দেহ রয়েছে। তবে ২০২৪-এ খেলা হবে নয়, খেলা করিয়ে দেখাবে বিজেপি।”

মেদিনীপুরে অলিগঞ্জ স্টার ক্লাবের কালীপূজা উদ্বোধন করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দিলীপ ঘোষ। জুন মালিয়ার খেলা হবে প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে দিলীপ ঘোষ বলেন, জুন মালিয়া জীবনে লুডো খেলেছেন! আদৌ তিনি কখনও লড়াই করেছেন বলে আমার মনে হয় না। তবে এটুকু ওঁর উদ্দেশ্যে বলতে পারি, আমরা খেলা হবে বলি না, আমরা খেলা করি। সেটা ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে দেখিয়ে দেব।” পাশাপাশি সার নিয়ে কালো বাজারি প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকে একহাত নেন দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: কালী মূর্তির জন্য ৫৭০ ভরি গয়না ছিল অনুব্রতর! কোথায় গেল? ঘটনা শুনলে মাথায় হাত দেবেন

একই সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ”কেউ মরবে না। এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কেষ্ট মণ্ডলও বলেছিলেন। সবাই জেলে গিয়ে সুস্থ আছেন, সুরক্ষিত আছেন। বালু দাও জেলে সুরক্ষিত আছেন। কিছুদিন যেতে দিন, তারপর উনিও বুঝে যাবেন ওটাই ভাল জায়গা, ফিট হয়ে যাবেন।”

Anubrata Mondal News: কালী মূর্তির জন্য ৫৭০ ভরি গয়না ছিল অনুব্রতর! কোথায় গেল? ঘটনা শুনলে মাথায় হাত দেবেন

কলকাতা: বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে পুজো হওয়া কালী মূর্তির ৫৭০ ভরি গয়না কোথায় গেল। অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করার পরই ২০২২ সালের কালীপুজোয় দেখা গিয়েছিল নামমাত্র গয়না পরানো হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের কালী প্রতিমাকে। কিন্তু এ বছর তার থেকে একটু বেশি গয়না পরানো হল ৫৭০ অনুব্রতর বাড়ির কালী প্রতিমাকে। যদিও অনেকেই বলছেন, এ বার অনুব্রতর বাড়ির শ্যামাপুজোর জৌলুস কমল আরও। কালীর প্রতিমাকে সোনার বদলে ইমিটেশনের গয়না পরানো হয়েছে বলে খবর।

অনুব্রত মণ্ডল নিজে থাকাকালীন নিজে হাতে কালী মূর্তি সামনে বসে গয়না পরাতেন। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরই গয়নার পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছিল। যদিও এবছর গয়না ২০২২-এর তুলনায় একটু বেশি গয়না পরানো হয়েছে কালী প্রতিমাকে। এই গয়না নিয়ে যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনও কথাই বলা হচ্ছে না।

আরও পড়ুন: বালুর নির্দেশেই তাঁর স্ত্রী-কন্যা তিন সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন! ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত জ্যোতিপ্রিয়র

প্রতিবছর ধুমধাম করে কালীপুজো করে থাকেন অনুব্রত মণ্ডল। তার এই কালীপুজোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল প্রতিমার গয়না। প্রতিবছর গুণিতক আকারে এই গয়নার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে দেখা যায়। ২০২০ সালের কালীপুজোর সময় অনুব্রত মণ্ডলের কালী প্রতিমার গায়ে যে সোনার অলংকার ছিল তার পরিমাণ ছিল ৩৬০-৩৭০ ভরি। পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে সেই অলংকারের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৬০-৫৭০ ভরি। এই অলংকারের আনুমানিক বাজার মূল্য তিন কোটি টাকার বেশি। কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে পড়ে অনুব্রত মণ্ডলের আরাধ্যদেবী কালীর জন্য বানানো গয়নাও।

আরও পড়ুন: ‘বেসামাল’ অনুপম! বেকায়দায় পড়ে নাড্ডার কাছে নালিশ ঠুকলেন সুকান্ত মজুমদার

প্রশ্ন উঠছিল এত টাকা মূল্যের সোনার গয়না কোথায় থেকে এল? সেই তদন্তও করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে চেয়েছিলেন, এই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না কোথায় থেকে কীভাবে এল? যে স্বর্ণ ব্যবসায়ী এই সকল সোনার গয়না তৈরি এবং কেনা অথবা বিক্রির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তা ইতিমধ্যেই সিবিআই আধিকারিকরা ডেকে জেরা করেছেন। এবার তাই অনুব্রতর কালীপুজোর জৌলুস আরও কমল।

Hooghly News: পথ কুকুরদের গলায় মালা দিয়ে বরণ! বিশেষ উৎসব চন্দননগরে

নেপালের উৎসব পালন হচ্ছে হুগলি চন্দননগরে। নেপাল ছাড়ও উত্তরাখণ্ড, সিকিমের মতো এলাকায় পালন করা হয় এই কুকুর তিহার উৎসব।

Kali Puja 2023: কালীপুজোর দিন দেবী বর্গভীমা মন্দিরে ভক্তের ঢল

তমলুক: দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে শ্যামাকালীর পুজোয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে সকাল থেকেই ভক্তদের ঢল নেমেছে। প্রাচীন তাম্রলিপ্ত অধুনা তমলুক শহরে দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দির। দেবী এখানে ভীমাকালী রূপে পূজিতা হন। বছরের প্রতিদিনই মায়ের পুজোপাঠ চলে। বিশেষ তিথিতে দিনে বিশেষ পুজোপাঠ হয় মন্দিরে।

সতীর একান্ন পীঠের এক পীঠ তমলুকের দেবী বর্গভীমা।  শক্তি পুজো শুরুর আগে রয়েছে অনুমতি নেওয়ার প্রথা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সদর ঐতিহাসিক তাম্রলিপ্ত বা তমলুকের আজও মধ্যমণি মা বর্গভীমা। কয়েক হাজার বছর ধরে শক্তি স্বরূপিণী আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে দেবী বর্গভীমার আরাধনা চলে আসছে। ওড়িশি স্থাপত্যের আদলে এই দেউলের উচ্চতা প্রায় ৬০ ফুট। মন্দিরের দেওয়ালে টেরাকোটার কাজ। মন্দিরের গর্ভগৃহে কালো পাথরে তৈরি মায়ের মূর্তি বিরাজ করছে দেবী উগ্রতারা রূপে।

তমলুকে ক্লাব প্রতিষ্ঠান হোক বা বাড়ির পুজো, প্রথমে দেবী বর্গভীমা মাকে পুজো দিয়ে‌ অনুমতি নিয়ে শুরু হয় পুজো। দেবী বর্গভীমা মায়ের মন্দিরে সকাল থেকেই পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন। শুধু মেদিনীপুর জেলার মানুষজনই নন, পার্শ্ববর্তী হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বিভিন্ন জেলার মানুষ কালীপুজোর দিন মন্দিরে পুজো দেন। দীপান্বিতা অমাবস্যায়  রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিত হন দেবী বর্গভীমা।

Saikat Shee

Kali Puja 2023: সুবর্ণ জয়ন্তীতে গ্রামের পুজো উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী নিজে, দিলেন শান্তিপূর্ণতার বার্তা

বাঁকুড়া: গ্রামের কালীপুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে এলেন মন্ত্রী। গ্রামের কালীপুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে এলেন রাজ্যের খাদ্য ও গণবণ্টন প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি। শনিবার বিকেলে ছাতনার ঝগড়াপুর গ্রামে নেতাজি ইউনাইটেড ক্লাব আয়োজিত সার্বজনীন কালী পূজার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের পুজোর মণ্ডপের ফিতে কেটে মন্ডপ উন্মোচন করেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ দেবী চৌধুরানীর শ্মশানকালীর পুজো আজও জমজমাট, দূর-দুরান্ত থেকে আসে অগণিত ভক্ত

এ ছাড়াও এদিন গ্রামের কচিকাঁচাদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজিত হয়। এছাড়াও এদিন এই পুজো মণ্ডপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র ও পঞ্চায়েত কর্মাধ্যক্ষ  শংকর চক্রবর্তী ও ক্লাবের সদস্যরা।

জ্যোৎস্না মাণ্ডি জানান, “এই পুজো কমিটির সমস্ত সদস্যদের আমি ধন্যবাদ জানাব, প্রায় ৫০ বছরের প্রাচীন পুজোয় আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাঁরা।” শান্তিপূর্ণভাবে পুজো কাটুক, এমনটাই চেয়েছেন মন্ত্রী।

ইতিমধ্যেই জেলা জুড়ে কালী পুজোর প্রস্তুতি শেষ। লাগানো হয়ে গেছে লাইট। প্রতিমা হয়ে গেছে প্রস্তুত। এবার পুজো শুরুর পালা। গোটা বাঁকুড়া জেলা মাতবে কালীপুজো এবং শক্তি আরাধনায়।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Kali Puja in Tarapith: জয় মা কালী, দীপান্বিতা কালী পুজোর দিনে সেজে উঠেছে তারাপীঠ মন্দির, মায়ের সাজও অপরূপ

বীরভূম:  সারা বছর তিনি মা তারা। কালীপুজোয় তারাপীঠের সেই মা তারাই – মা কালী রূপে পূজিতা হন। তারাপীঠে সব দেবদেবীর ঊর্ধ্বে মা তারা, সেই কারণেই তারাপীঠে মা তারা দেবী মূর্তি ছাড়া অন্য কোন দেবীর পূজা হয় না। সেবায়েতদের কাছে মা তারা কালীপুজোর আজকের দিন তারা অঙ্গে কালি রূপে বিরাজ করেন।

আজকে কালীপুজোর রাতে মা তারাকে স্বর্ণালঙ্কারে রাজরাজেশ্বরী বেশে সাজানো হবে। আর এই রাজ রাজেশ্বরী বেশে মা তারাকে দেখার জন্য ইতিমধ্যেই তারাপীঠ দর্শনার্থীদের ভিড় শুরু করেছে।দর্শনার্থীদের জন্য আজকে তারাপীঠে ছোট বড় লজ গুলি ঝকঝক করছে দীপাবলীর আলোর রোশনাই।

তারাপীঠ মন্দির এর পুরোহিত গোলক মহারাজ জানান আজকে মা তারার জন্য বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয়েছে। এরই সঙ্গে ১৫ জন পুরোহিত মোতায়ন করা হয়েছে অতিরিক্ত ভোগ রান্না করার জন্য যাতে তারাপীঠ মন্দিরে আগত সমস্ত দর্শনার্থীরা সামান্য হলেও ভোগ গ্রহণ করতে পারেন।

আরও পড়ুন – Team India’s Diwali Celebration: রঙিন পোশাক, খাওয়াদাওয়া, পার্টি, ফূর্তি, উল্লাস, রইল ভাইরাল ভিডিও

অন্যান্য অমাবস্যা তিথির থেকে কালীপুজোর দিন গভীর রাতে সেবায়েতদের মতে নিশিপুজো হয় তারা মায়ের। নিশি পুজোর সময় মা তারাকে স্নান করিয়ে বেনারসী শাড়ির সঙ্গে স্বর্ণালঙ্কারে ভূষিত করা হয়।

আরও পড়ুন – Dakshineswar Kali Puja 2023: সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে, কী থাকবে মায়ের ভোগে

তারাময়বাবু ও ধ্রুববাবু জানান, কালীপুজোর দিন মা তারার জন্য দু’বেলা অন্নের ভোগ হয়। অন্নের ভোগে খিচুড়ি, পোলাও, ৫ রকম ভাজা, দু-তিন রকমের তরকারি, মাছ থাকে। একই সঙ্গে মন্দির চত্বরে ছাগ বলিদানের মাংস, পোড়ানো শোল মাছ, চাটনি, পায়েস ও মিষ্টির ভোগ নিবেদন করা হয়। এ ছাড়াও সন্ধ্যারতির সময় লুচি-মিষ্টির ভোগ নিবেদন করা হয়।

সকাল থেকে দর্শনার্থীদের সংখ্যা কম থাকলেও সময় যত এগোবে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হলেই দর্শনার্থীর সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়বে বলে আশাবাদী তারাপীঠ মন্দির কমিটি।

Souvik Roy