Category Archives: দক্ষিণবঙ্গ

Electrocution in Airport: দুর্যোগ-বজ্রপাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! আশঙ্কাজনক কলকাতা বিমানবন্দরের দুই কর্মী

কলকাতা: চরম দুর্যোগে জেরবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। ঝড়বৃষ্টির দাপটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বজ্রপাতে ফালাফালা হচ্ছে আকাশ। সেই বজ্রপাতের জেরেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কলকাতা শহরে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গুরুতর অসুস্থ আশঙ্কাজনক এআই এয়ারপোর্ট সার্ভিস লিমিটেডের দুই কর্মী। দু’জনের শারীরিক অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। আপাতত দুই কর্মীই কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গত সপ্তাহেও একাধিক জেলায় মুহুর্মুহু বজ্রপাতে একাধিক মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। বৃহস্পতিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর ঘনঘন বজ্রপাতে মালদহে মৃত্যু হয় ১১ জনের। একইদিনে বজ্রাঘাতে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের পাঁচগ্রামের এক ব্যক্তির। এছাড়াও আহত হন আরও ৩ জন। জলপাইগুড়িতেও মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে।

আরও পড়ুন: হাতে সময় আর ৭২ ঘণ্টা! সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির প্রবল সম্ভাবনা, শঙ্কা চরমে, ল্যান্ডফলের স্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা

আজ, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় দুর্যোগ ঘনিয়ে এসেছিল দুপুরের দিকে। প্রবল ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব চলে ঘণ্টাখানেক। প্রবল বাজ পড়ে সেই সময়ে। আর তখনই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

Lok Sabha Election 2024: এ কী হল! ভোট দিতে গিয়ে চমকে গেলেন দম্পতি! অবিশ্বাস্য কাণ্ড

এ কী হল! ভোট দিতে গিয়ে চমকে গেলেন দম্পতি! অবিশ্বাস্য কাণ্ড! ভোটার তালিকায় তাঁরা মৃত! ভোটদিতেএসেও ভোট না দিয়ে ফিরে যেতে হল দম্পতিকে। অদ্ভুত এই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ায়। নিজের ভোট নিজে দিতে এসেও হতাশ হয়ে ফিরতে হল দম্পতিকে

Serampore Fire: ভোট-শেষে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড শ্রীরামপুরে, দাউদাউ করে জ্বলল একাধিক ওয়্যার-হাউজ

ভোট-শেষে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড শ্রীরামপুরে, দাউদাউ করে জ্বলল একাধিক ওয়্যার-হাউজ। শ্রীরামপুর বেলু মোর এলাকায় প্রস্পেস ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এর ভিতরে একধিক ওয়্যার-হাউজে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যা ৬’টা নাগাদ। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যায় আকাশে। চারপাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।

Loksabha Election 2024: বাধা ঝড়বৃষ্টি! হলদিয়া যেতে পারলেন না মোদি… ঝাড়গ্রাম থেকেই ভার্চুয়াল ভাষণ

তমলুক: বাধ সাধল খারাপ আবহাওয়া।হলদিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা বাতিল। আবহাওয়ার অবনতি হওয়ার কারণে হেলিকপ্টার  উড়তেই পারেনি। ঝাড়গ্রামে দ্বিতীয় সভা করার কথা ছিল মোদির। সেখান থেকেই কাঁথি এবং তমলুক কেন্দ্রের ভোটারদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। তমলুক লোকসভার জনগণের কাছে ক্ষমা চাইলেন স্বয়ং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সোমবারের এই জনসভা ঘিরে রবিবার থেকেই জেলাজুড়ে সাজো সাজো রব ছিল। সোমবার সকাল থেকেই তমলুক লোকসভার বিভিন্ন প্রান্তের কর্মী সমর্থকেরা গাড়ি বোঝাই করে হলদিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। এদিন দুপুর ২.৩০-এ  প্রধানমন্ত্রীর হলদিয়ায় হেলিকপ্টারে করে আসার কথা ছিল। কিন্তু বাধ সাধল দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণেই হেলিকপ্টার হলদিয়ায় অবতরণ করতে পারেনি। ফলে প্রধানমন্ত্রী হলদিয়ার জনসভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। কিন্তু পরে ঝাড়গ্রামের জনসভা থেকে ভার্চুয়ালি হলদিয়ার জনসভায় যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং কাঁথির প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সমর্থনে সভা করার কথা ছিল মোদির। হলদিয়ার এই জনসভায় হাজার হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জড়ো হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার জন্য।

Offbeat News: ব্রেকফাস্টে আলু, লাঞ্চে লাউ, বিকেলে বাঁধাকপি! দিনভর ৭-৮ কেজি কাঁচা সবজি খেয়ে গত ২০ বছর বহাল তবিয়তেই এই আনাজ বিক্রেতা

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: মনের আনন্দে এক ব্যক্তি খেয়ে চলেছেন লাউ, কুমড়ো, আলু, বাঁধাকপি- সহ নানা সবজি। ভাবছেন, এ আবার এমন কী? সবজি তো সবাই-ই খায়! কিন্তু এখানেই রয়েছে চমক! সবজিগুলো রান্না করা কিংবা সেদ্ধ নয়, একেবারেই কাঁচা। গত প্রায় ২০ বছর ধরে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের কাছে বাঁদরা গ্রামের বাসিন্দা বামাপদ গড়াই কাঁচা সবজিই খান, কোনওরকম সমস্যা ছাড়াই। এই ব্যক্তির কাণ্ডকারখানায় হতবাক শহরবাসী।

এই অদ্ভুত স্বভাবের জন্য শহরবাসী বামাপদ গড়াইকে এক ডাকে চেনেন। তাঁর খাদ্য তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজি, তবে সবই কাঁচা অবস্থায়। বামাপদবাবুর ব্রেকফ্রাস্ট থেকে শুরু করে ডিনার, সবই চলে বিভিন্ন রকমের কাঁচা সবজি দিয়ে। বামাপদ গড়াই পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। নিত্যদিন কাটোয়া শহরের স্টেশন বাজার এলাকায় সকাল থেকে বসেন সবজি নিয়ে। বিক্রির পাশাপাশি নিজেও খেতে থাকেন বিভিন্ন রকমের কাঁচা সবজি। বামাপদ সকালের দিকে আলুটাই বেশি খান। দু’তিনটে আলুতেই ব্রেকফাস্ট হয়ে যায় তাঁর। বেলা বাড়লে অল্প কিছুটা কুমড়ো বা লাউ খেয়ে নেন। দুপুরের আগে বাঁধাকপি খান বেশ কিছুটা। তারপর হাতের কাছে যা সবজি পান, তাই খান।

সন্ধ্যার দিকে খুব বেশি খান না। লাউ, কুমড়া, বাঁধাকপি অল্প করে খেয়ে নেন। সব মিলিয়ে সারাদিনে প্রায় সাত থেকে আট কেজি কাঁচা সবজি খাওয়া হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন বামাপদ। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘‘বছর কুড়ি হবে আমি কাঁচা সবজি খাচ্ছি। কাঁচা সবজি দিয়েই আমি টিফিন  করি। যখন যে সবজি থাকে তখন সেই সবজি দিয়ে টিফিন করি। এই সবজি না খেলে আমার অসুবিধা হয় , খেলে কোনও অসুবিধা হয়না। ক্রেতা সবজি কিনতে এসে সবজি ভাল নয় বললে আমি খেয়ে দেখিয়ে দিতাম । সেই থেকে কাঁচা সবজি খাওয়া অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।’’

আরও পড়ুন : শহরের বুকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কে! বিরল প্রজাতির এই প্রাণীকে দেখতে ভিড় আমজনতার 

শুধুমাত্র এই কাঁচা সবজি  খেয়েই শহরবাসীর কাছে পরিচিত নন বামাপদ । তাঁর আরও একটি প্রতিভা রয়েছে। তিনি বিভিন্ন রকম পশুপাখির আওয়াজ করতে পারেন, যাকে এক কথায় বলে হরবোলা। বক পাখি থেকে শুরু করে কুকুর, কোকিল , শূকর থেকে বিড়াল, ব্যাঙ… সবেরই ডাক ডাকতে পারেন বামাপদ। গত প্রায় ২০ বছর ধরে কাঁচা সবজি খেয়ে আসছেন বামাপদ গড়াই । কাঁচা সবজি খাওয়া এবং পশুপাখির আওয়াজ করার জন্য কলকাতা, দুর্গাপুর, আসানসোল-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যে তিনি একাধিক অনুষ্ঠানও করেছেন। আধুনিকতার যুগে কদর বেড়েছে কাটোয়ার বামাপদ গড়াই-এর।

Loksabha Election 2024: ঝাড়গ্রাম রক্ষায় গেরুয়া শিবিরের ভরসা মোদি! বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে জঙ্গলমহলে প্রধানমন্ত্রী…

ঝাড়গ্রাম: বঙ্গে একের পর এক সভা করছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের পর সোমবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর সমর্থনে সভা করলেন মোদি। হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের সামনে তিনি ভোট প্রার্থনা করেন প্রার্থীর হয়ে। শুধু তাই নয় ফের একবার বিজেপি সরকার গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। ছোট্ট জেলা ঝাড়গ্রামে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দলীয় কর্মসূচিকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

জঙ্গলমহলের সঙ্গে তার যেন একাত্মতা। প্রথমেই বাংলায় বলেন ঝাড়গ্রামবাসীকে আমার নমস্কার। মঞ্চে এসে জড়িয়ে ধরেন ঝাড়গ্রাম লোকসভার বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুকে। ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু পেশায় সরকারি চিকিৎসক। সেই চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে ভোটে লড়ছেন বিজেপির টিকিটে। অন্যদিকে তৃণমূলের হয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কালিপদ সোরেন খেরওয়াল। অপরদিকে এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী করেছে জঙ্গলমহলের ‘প্যাড‌উম্যান’ নামে খ্যাত মোনামণি মুর্মু (টুডু) কে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা চালু সহ একাধিক কেন্দ্র সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯ মে রবিবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের সমর্থনে নরেন্দ্র মোদি সভা করেন খড়গপুরে। ঠিক তার পরের দিন প্রণত টুডুর সমর্থনে আসেন ঝাড়গ্রামে। স্বাভাবিকভাবে নরেন্দ্র মোদির বঙ্গ সফর এবং লোকসভা ধরে ধরে প্রচার নির্বাচনের আগে বেশ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

Ancient Horse Race: ধান ক্ষেতে ধুলো উডিয়ে ছুটছে ঘোড়া! জয়নগরে চমক

জয়নগর, লক্ষ্মীকান্তপুর, কুলপি, পাথরপ্রতিমা এই সমস্ত বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
জয়নগর, লক্ষ্মীকান্তপুর, কুলপি, পাথরপ্রতিমা এই সমস্ত বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ টি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
এই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় তিনটি রাউন্ডে খেলা হয়। যে ঘোড়া প্রথম স্থান অধিকার করবে তার মালিকের মিলবে বিশেষ পুরস্কার।

এই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় তিনটি রাউন্ডে খেলা হয়। যে ঘোড়া প্রথম স্থান অধিকার করবে তার মালিকের মিলবে বিশেষ পুরস্কার।
রেসের মাঠে নয়, টগবগিয়ে ঘোডা ছুটছে ধানের খেতে। তা দেখতেই নামল মানুষের ঢল। দক্ষিণ ২৪ পরগণার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী খেলা জয়নগরে।
রেসের মাঠে নয়, টগবগিয়ে ঘোডা ছুটছে ধানের খেতে। তা দেখতেই নামল মানুষের ঢল। দক্ষিণ ২৪ পরগণার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী খেলা জয়নগরে।
এই তীব্র দাবদহ উপেক্ষা করে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা দেখতে মাঠের চারপাশে উপচে পড়া দর্শকের সমাগম ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা ঘিরে সাজো সাজো রব।
এই তীব্র দাবদহ উপেক্ষা করে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা দেখতে মাঠের চারপাশে উপচে পড়া দর্শকের সমাগম ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা ঘিরে সাজো সাজো রব।
মূলত এই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে আবারও ফিরিয়ে আনতে এমনই আয়োজন জয়নগর সাশা পাড়া সদস্যদের।
মূলত এই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে আবারও ফিরিয়ে আনতে এমনই আয়োজন জয়নগর সাশা পাড়া সদস্যদের।
বিগত কয়েক বছর ধরে আজও তারা এই হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যপূর্ণ ঘোড়া দৌড় টিকিয়ে রেখেছে।
বিগত কয়েক বছর ধরে আজও তারা এই হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যপূর্ণ ঘোড়া দৌড় টিকিয়ে রেখেছে।

Birbhum Satipeeth: নাটোরের রানি ভবানীর তৈরি প্রাচীন মন্দির, সতীপীঠ নলাটেশ্বরীতে অগণিত ভক্ত সমাগম

সৌভিক রায়, বীরভূম: বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত পাঁচটি সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম সতীপীঠ নলাটেশ্বরী। এই সতীপীঠে প্রচুর তীর্থযাত্রীদের সমাগম লক্ষ করা যায়। যাঁরা বীরভূম ঘুরতে আসেন, তাঁরা একবার হলেও এই সতীপীঠ নলাটেশ্বরী থেকে ঘুরে আসেন।প্রসঙ্গত পঞ্চ সতীপীঠের জেলা বীরভূম।সতীপীঠ ছাড়াও রয়েছে শক্তিপীঠ সিদ্ধপীঠ তারাপীঠ।এই সকল তীর্থক্ষেত্রের টানে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার পর্যটক, পুণ্যার্থীদের আগমন হয়ে থাকে। এই সকল তীর্থক্ষেত্রগুলির মধ্যে বীরভূমের অন্যতম একটি তীর্থক্ষেত্র হল নলাটেশ্বরী।

মন্দির এলেই আপনি একসঙ্গে দর্শন করতে পারবেন ৫১ টি সতীপীঠের প্রতীকী চিত্র।এ ছাড়াও মন্দিরে পাশে রয়েছে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা। আর এই মন্দির থেকে মাত্র ২৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত রয়েছে তারাপীঠ মন্দির। আপনি চাইলে ট্রেন অথবা নিজের গাড়িতে এসে প্রথমে তারাপীঠ এবং তার পর সেখান থেকে নলহাটি মন্দির দর্শন করতে আসতে পারেন।

আরও পড়ুন : বুদ্ধপূর্ণিমায় সত্যনারায়ণপুজো করবেন? জানুন সঠিক মুহূর্ত! এই সময়ে পুজো করলে সেরা ফল পাবেন

ওই পীঠে যে দেবী কালিকার অবস্থান তাঁকে নলাটেশ্বরী বলা হয়ে থাকে। একটা সামান্য উঁচু টিলার উপরে অবস্থিত এই মন্দিরের প্রবেশপথের মাথায় রয়েছে গণেশের মূর্তি এবং দু’ধারে লক্ষ্মী ও সরস্বতীর মূর্তি। পৌরাণিক ব্যাখ্যা অনুসারে, প্রত্যেক শক্তিপীঠেই একজন করে পীঠরক্ষক ভৈরবকে থাকতে হয়। বীরভূমের এই পীঠেও তার ব্যতিক্রম নয়। নলাটেশ্বরী মন্দিরের পীঠরক্ষক হিসেবে রয়েছে যোগেশ ভৈরবের মন্দির।

তেমন কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ না থাকলেও কিংবদন্তি অনুসারে বলা হয়, ৮৪৪ বঙ্গাব্দ নাগাদ এই জায়গাটা পীঠ হিসেবে আবিষ্কৃত হয়। তখন একটা ছোট মন্দির ছিল। অষ্টাদশ শতকে নাটেরের জমিদার রানী ভবানী টিলার গায়ে এই মন্দির নির্মাণ করিয়ে দেন। বীরভূমের আরও কয়েকটা পীঠের মতই নলাটেশ্বরী মন্দির দর্শন করতে সারা বছরই বহু ভক্তের সমাগম হয়।বিশেষ করে কালীপুজোর সময় মহাসমারোহে পুজো হয়ে থাকে।

Lok sabha election: ভোট উত্‍সব! লুচি, ঘুগনি, আলুকষা…চলছে দেদার খাওয়াদাওয়া! ভোটের অন‍্য ছবি পাঁচলায়

রাজনৈতিক রঙ নয়, ভোটের উৎসবে মেতেছে মানুষ। ২০শে মে সোমবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ভোট দান উৎসব। মেশিনের মাধ্যমে অর্থাৎ ইভিএম মেশিনে ভোট দান। খুব অল্প সময়ে লাইনে দাঁড়িয়েই ভোট দেদার সুযোগ পাচ্ছেন মানুষ। বুথে বুথে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

ভোট অধিকার প্রয়োগ করতে ১৮ বছর পর থেকে প্রায় সমস্ত বয়সের মানুষ দাঁড়িয়েছে লাইনে। পঞ্চম দফায় নির্বাচন হাওড়া জেলায়। হাওড়া ও উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন সকাল থেকেই চলছে ভোট গ্রহণ।
তবে এই ভোটগ্রহণের মধ্যেই সকাল পেরিয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় দেখা গেল এক অন্য স্বাদের চিত্র।

Bangla Video: গরমের ছুটিতে বিকেল ফুরোলেই ছুটতে হচ্ছে! পড়ুয়ারা যা করছে দেখলে অবাক হবেন

বীরভূম: তীব্র গরম রয়েছে জেলায়। বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন থেকেই তাপমাত্রা ঊর্ধ্বমুখী। এই তীব্র গরম থেকে পড়ুয়াদের রেহাই দিতে এবার আগেভাগেই এপ্রিল মাসে গ্রীষ্মের ছুটি পড়ে গিয়েছে স্কুলগুলোয়। আর এতেই ড্রপ আউটের সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন শিক্ষকদের একাংশ।

করোনাকালে স্কুল যখন দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল তখন ড্রপ আউটের সংখ্যা বেড়েছিল লাফিয়ে লাফিয়ে। এদের অনেককেই আর স্কুলমুখী করা যায়নি। এবার দীর্ঘ গরমের ছুটির ফলে স্কুল ড্রপ আউটের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে শিক্ষকদের একাংশের আশঙ্কা। এই পরিস্থিতি ঠেকাতে কী করা যায় সেই নিয়ে নানান পরিকল্পনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: ভবাদিঘি বাঁচাতে ভোট, লোকসভা নির্বাচনে ওয়ান পয়েন্ট অ্যাজেন্ডা!

ড্রপ আউট ঠেকাতে গরমের ছুটিকেই হাতিয়ার করেছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পড়ুয়াদের সুবিধার্থে সন্ধেতে বিশেষ ক্লাস শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে সিউড়ি পাবলিক অ্যান্ড চন্দ্রগতি মুস্তাফি মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মূলত স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পরিকল্পনায় এবং বাকি সহ শিক্ষকদের সহযোগিতায় ওই বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে। শনিবার থেকে ওই বিশেষ ক্লাসের সূচনা হয়েছে।

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পড়ুয়াদের আরও স্কুলমুখী করে তুলতে এই বিশেষ ডাউট ক্লিয়ারিং ক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে। যেহেতু এখন গ্রীষ্মের ছুটি চলছে তাই এখন প্রতিদিন সন্ধেয় এই বিশেষ ক্লাস করানো হবে। ছুটি শেষ হলে সপ্তাহের শনি ও রবিবার এই বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করা হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষের এই ভিন্ন পরিকল্পনায় খুশি পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরা। অভিভাবকদের দাবি, পড়ুয়াদের পঠন-পাঠনের মান উন্নত করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

চন্দ্রগতি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুমন্ত রাহা জানান, মূলত গরমের কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে স্কুলের ছুটি রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের সঙ্গে যাতে স্কুলের দূরত্ব না বাড়ে তাই এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সৌভিক রায়