Tag Archives: 2024 Lok Sabha Elections

PM Modi To News18: সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক? মোদি বললেন, ‘জাতিভিত্তিক ভেদাভেদ করি না’

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী থেকে লড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবারই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। তারপরই মহাদেবের শহর কাশী থেকে নিউজ 18-এর জনপ্রিয় সঞ্চালক রুবিকা লিয়াকতকে একান্ত সাক্ষাৎকারে মোদি বললেন, “এই নির্বাচনে মোদি লড়ছে না, ১৪০ কোটি জনগণ লড়ছে”। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও এদিন মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকে সংখ্যালঘু পরিবারের মধ্যে বেড়ে উঠেছেন। আজও তাঁর অনেক সংখ্যালঘু বন্ধু রয়েছে। কিন্তু ২০০২-এর ঘটনার পর তাঁর ভাবমূর্তিতে কালি লেপে দিয়েছে বিরোধীরা। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং গোধরা নিয়েও এদিন খোলাখুলি কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আপনি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে, এমন ধারণা যে তৈরি করা হল, কিন্তু সেটা ভাঙতে পারলেন না কেন?

এই প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “প্রথম কথা হল, এই সমস্যাটা সংখ্যালঘুদের নয়। ব্যক্তিগতভাবে একজন সংখ্যালঘু যতই মোদির সঙ্গে থাকুন না কেন, একটা মতাদর্শগত প্রভাব রয়েছে, যা তাঁকে এটা করো বা ওটা করো-র মতো নির্দেশ দেয়। তার ভিত্তিতেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন। আমার বাড়ির চারপাশে অনেক সংখ্যালঘু পরিবার রয়েছে। আমাদের বাড়িতেও ইদ পালন হত, অন্যান্য উৎসবও হত। ইদের দিন আমাদের বাড়িতে রান্না হত না, আশপাশের মুসলিমদের বাড়ি থেকে খাবার আসত। মহরমে তাজিয়ার নিচ দিয়ে আমরা যেতাম, এটা শেখানো হয়েছিল। আমি এই পৃথিবীতে বড় হয়েছি। আজও আমার অনেক সংখ্যালঘু বন্ধু রয়েছে”।

আরও পড়ুন – হাতে সময় মাত্র দু’ঘণ্টা! রাজ্যের তিন জেলায় আসছে বৃষ্টি, সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার দাপট

গোধরা নিয়ে সোজাসাপটা জবাব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায়, “২০০২-এর পর আমার ভাবমূর্তি খারাপ করা হয়েছে। বিশেষ করে গোধরার পর। আমার মনে হল, বাস্তবটা জানা দরকার। আমি ৩০ জন কর্মীকে নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির চালিয়েছিলাম। কীভাবে সমীক্ষা চালাতে হয়, শিখিয়েছিলাম। তথ্যভিত্তিক সমীক্ষা নয়, কথোপকথন ভিত্তিক সমীক্ষা। আহমেদাবাদে মানিক চক নামে একটা জায়গা আছে। সাধারণ মানুষ সন্ধ্যার সময় সেখানে খাওয়াদাওয়া করতে যান। সেখানকার সব ব্যবসায়ী সংখ্যালঘু আর ক্রেতা হিন্দু। এত ভিড় হয় যে হাঁটার জায়গা থাকে না। দীপাবলিতেও প্রচুর ভিড় হয়। সব ধরনের জিনিস বিক্রি হয়।

আমি বললাম, এই বাজারে সমীক্ষা করতে হবে। ছেলেদের পাঠিয়ে প্রতিদিনের রিপোর্ট দেখতাম। ওঁরা গিয়ে জিজ্ঞেস করত, দীপাবলি কেমন কাটল? উত্তর এল, হ্যাঁ, ভাল কেটেছে। ২০০২-এর কথা বলছি। তখন সমীক্ষকরা বলত, আরে মোদি বসে আছে আর দীপাবলি… তখন উত্তর আসত, এ কথা বোলো না। একজন বলেছিল, মা শুনলে তোমায় রাতে খেতে দেবে না। কেন জিজ্ঞেস করতে জানা গেল, যখন মোদি ছিল না স্কুলে যেতে হত না, মোদি আসার পর স্কুলে যেতে হচ্ছে। দীপাবলির ছুটি বলে দোকানের কাজে হাত লাগিয়েছে। তাঁদের মা খুব খুশি। মোদি আসার পর তাঁর সন্তানদের জীবন বদলে গিয়েছে। প্রায় ৯০ শতাংশ দোকানদারের উত্তর ছিল এটাই”।

আরও পড়ুন – মনোনয়ন জমা দিলেন নরেন্দ্র মোদি, গোটা বারাণসী জুড়েই সাজোসাজো রব

মুসলিম মহিলার গল্প শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি:

”একবার এক মুসলিম মহিলা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কিছু প্রত্যাশা ছিল তাঁর। আমাকে অনেক অভিনন্দন জানিয়ে বললেন, তিনি জোহাপুরী থেকে এসেছেন। সেখানে তিন থেকে চার লাখ সংখ্যালঘু রয়েছে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোনও সমস্যায় পড়েছেন? পুলিশ বা প্রশাসন কি আপনাকে বিরক্ত করে? তিনি বললেন, না, না স্যার। আপনাকে শুধু অভিনন্দন জানাতে এসেছি। আপনি বিদ্যুতের কাজ করেছেন, এটা খুব ভাল কাজ। আমি বললাম, এটা তো খারাপ কাজ হয়েছে। ৩৫ কিমি এলাকার তার খুলে ফেলে দিয়েছি। সরকারের কেউ ওখানে যেতে পারে না। ওই মহিলা বললেন, এটাই তো ভাল কাজ। আমি জানতে চাইলাম, কীভাবে? আমি তো তার কেটে দিয়েছি। তিনি বললেন, না স্যার, আমাদের ওখানে প্রত্যেক মহল্লায় একজন করে বিদ্যুৎমন্ত্রী আছে। তিনি বিদ্যুৎ দিয়ে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিতেন। ওঁরা সরকারি বিদ্যুৎ চুরি করে আমাদের কাছে বিক্রি করতেন। আমাদের অনেক টাকা খরচ হত। এখন নিয়মিত বিদ্যুৎ আসে। কোনও মারপিট নেই। সে জন্যই আমরা এসেছি”।

হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ নয়:

সাক্ষাৎকারে মোদি আরও বলেন, “আগে আমাকে নিয়ে সংবাদপত্রে লেখা হত, মোদি জুলুম করছে। তার কেটে দিয়েছে। কিন্তু আদতে আমি ওঁদের ভালই করেছি। আমার জীবনে এরকম শত শত ঘটনা রয়েছে। আমি সেগুলো প্রকাশ্যে বলে বেড়াই না। ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করি না। সবকা সাথ সবকা বিকাশে বিশ্বাস করি”। বেশি সন্তান নিয়ে বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘বেশি সন্তানের কথা বলে সংখ্যালঘুদের প্রতি অবিচার করছেন কেন? আমাদের দরিদ্র পরিবারেরও একই অবস্থা। শিশুদের পড়াতে পারছেন না। যেখানে দারিদ্র্য সেখানে শিশুর সংখ্যা বেশি। আমি হিন্দু না সংখ্যালঘু বলিনি। আমি বলেছি ভাই, আপনি যতগুলো সন্তান বড় করতে পারবেন ততগুলো সন্তানই আপনার নেওয়া উচিত। এমন পরিস্থিতি তৈরি করবেন না যেখানে সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। যেদিন জাতপাতের রাজনীতি করব, জনজীবনে থাকার যোগ্য থাকব না। তাই জাতপাতের রাজনীতি করবও না”।

Lok Sabha Election 2024: স্ত্রী পুজো দিলেন মঙ্গল কামনায়! ভোটারদের সঙ্গে সেলফি তুললেন শত্রুঘ্ন

এ দিন শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহা, নির্বাচনে ভাল ফলের প্রার্থনা করে মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। পুজো পর্ব শেষে তিনি শত্রুঘ্নকে আশীর্বাদী টিকা দেন।
এদিন শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহা, নির্বাচনে ভাল ফলের প্রার্থনা করে মন্দিরে পুজো দিয়েছেন। পুজো পর্ব শেষে তিনি শত্রুঘ্নকে আশীর্বাদী টিকা দেন।
এ দিন ভোটপর্ব কেমন চলছে, তা পরিদর্শনে যান তৃণমূল প্রার্থী। অন্য দিকে তারকা প্রার্থীকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ভোটাররা। ভোটারদের সঙ্গে সেলফি তোলেন প্রার্থী।
এ দিন ভোটপর্ব কেমন চলছে, তা পরিদর্শনে যান তৃণমূল প্রার্থী। অন্য দিকে তারকা প্রার্থীকে দেখতে পেয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন ভোটাররা। ভোটারদের সঙ্গে সেলফি তোলেন প্রার্থী।
ভোটের দিন দুপুরের দিকে তিনি হোটেল থেকে বের হন। প্রথমে যান আসানসোলের ইদ্গা এলাকার একটি বুথে। তারপর যান দলীয় কার্যালয়ে।
ভোটের দিন দুপুরের দিকে তিনি হোটেল থেকে বের হন। প্রথমে যান আসানসোলের ইদ্গা এলাকার একটি বুথে। তারপর যান দলীয় কার্যালয়ে।
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। সকাল থেকেই সবার নজর ছিল তার দিকে। কিন্তু ভোটের দিন কী করলেন তিনি?
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের হেভিওয়েট তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। সকাল থেকেই সবার নজর ছিল তার দিকে। কিন্তু ভোটের দিন কি করলেন তিনি?
এদিন শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিজের জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, উপনির্বাচনের থেকেও এই লোকসভা নির্বাচনের ফল আরও ভাল হবে। অন্য দিকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বিরোধীদের কটাক্ষও করেছেন।
এদিন শত্রুঘ্ন সিনহাকে নিজের জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, উপনির্বাচনের থেকেও এই লোকসভা নির্বাচনের ফল আরও ভাল হবে। অন্য দিকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বিরোধীদের কটাক্ষও করেছেন।

Lok Sabha Election 2024: পরনে শাড়ি, মাথায় মুকুট, হাতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’! অভিনব কায়দায় ভোটের প্রচার হুগলিতে

হুগলি: হুগলি লোকসভার সুগন্ধা পঞ্চায়েতের এলেঙ্গা গ্রামে ভোটের প্রচারে প্রকাশ পেল অভিনবত্ব। ‘দেবী লক্ষ্মীর’ রূপে সেজে ভোটের প্রচার করলেন মহিলারা। পরনে শাড়ি, মাথায় মুকুট, এক হাতে আশীর্বাদের মুদ্রা ও অন্য হাতে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। অবিকল লক্ষ্মী ঠাকুরের মতো সেজে গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে চলছে তৃণমূলের ভোটের প্রচার।

হুগলি এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী রচনা বন্দোপাধ‍্যায়। রচনার হয়েই অভিনব উপায়ে প্রচার করল তৃণমূল। মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের প্রচারও করা হল এই নতুন উপায়ে।

আরও পড়ুন: ফ্লাইট মিস করেই বদলে গেল জীবন! ‘এক নামের’ ৮ সিনেমার নায়ক, বলিউডের সুপারস্টারকে চিনতে পারছেন?

এই বিষয়ে একজন উদ্যোক্তা তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানুষের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’।

আরও পড়ুন: YouTube-ভিডিও থেকে কত টাকা আয় হয়? ১ মিলিয়ন ভিউজ হলে কত রোজগার হয়? ৯৯% লোকজনই জানেন না

প্রথমে লক্ষীর ভান্ডার ৫০০ টাকা থাকলে পরবর্তীতে তা বর্ধিত করে হাজার টাকা করা হয়েছে। বিশেষ করে গ্রাম গঞ্জের মহিলারা এতে উপকৃত হয়েছেন। সেই কারণেই তাদের অভিনব এই প্রচার।

রাহী হালদার

Lok Sabha Election 2024: নদিয়ায় ভোট দিতে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভের মুখে মুকুটমনি অধিকারীর স্ত্রী

নদিয়া: ভোট দিতে এসে মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারীর প্রসঙ্গে বিরূপ মন্তব্য করলে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে মুকুটমনি অধিকারীর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। কিছুদিন আগেই বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর হাত ধরে তার সভাতেই বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারীর স্ত্রী।

আর এবার তার ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে তিনি।এ দিন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন, আর এই লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি তুঙ্গে। পাখির চোখ রয়েছে এই রানাঘাট কেন্দ্র। তবে কিছুদিন আগেই এই রানাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারীর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরীকে বিজেপিতে যোগদান করিয়ে রাজনৈতিক পরিকাঠামো অনেকটাই বিশ্লেষিত করেছে।

বিরোধী দল বিজেপি, তবে ১৩ তারিখ অর্থাৎ আজ দুপুরে মুকুটমনি অধিকারীর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী যখন শান্তিপুর বিধানসভার কন্দখোলা নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৬/৫০ বুথে যখন ভোট দান করেন তার পরবর্তীতে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার সময়ই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাকে, তবে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের প্রশাসন তৎসহ রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারীর বিষয় একাধিক অভিযোগ তোলেন স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী৷

পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ এই স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী কোনওদিন কন্দখোলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন না, তৎসহ সেখানকার তৃণমূল কর্মীদেরও অভিযোগ একজন বাসিন্দা না হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে তার নাম ভোটার লিস্টে এল। যদিও শীর্ষ নেতৃত্বকে উক্ত বিষয় জানিয়ে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থার হুশিয়ারিও দিয়েছেন তৃণমূল।

Mainak Debnath

Lok Sabha Election 2024: বহরমপুরে ভোট প্রচারে হঠাৎ মুখোমুখি অধীর-নির্মল! একে অপরকে দেখে ‌যা করলেন!

মুর্শিদাবাদ: শনিবার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটের নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন। শনিবার সকাল থেকেই কংগ্রেস থেকে বিজেপি তৃণমূল সবাই তাদের মতো করেই ভোটের নির্বাচনী প্রচার করে ঝড় তুললেন। আর এক রাজনৈতিক সৌজন্যে দেখা গেল বহরমপুরের লালদিঘীতে। শনিবার সকালে বহরমপুরে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় থেকে বাইক মিছিল সহকারে রোড শো শুরু করেন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী।

অপর দিকে বিজেপির প্রার্থী ডাঃ নির্মল সাহা তিনিও বহরমপুরের কুঞ্জঘাটা থেকে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে হুড খোলা গাড়িতে বাইক মিছিল সহকারে রোড শো শুরু করেন। রোড শো চলাকালীন তখনই বহরমপুর লালদিঘী এলাকায় দু’জন প্রার্থী মুখোমুখি হন। অধীর চৌধুরী ও ডাঃ নির্মল সাহা মুখোমুখি হতেই ওঠে স্লোগান পাল্টা স্লোগান। বিজেপি প্রার্থী ডাঃ নির্মল সাহা অধীর চৌধুরীকে দেখে হাতজোড় করেন এবং ফুল ছুড়ে দেন তার দিকে। তখনই দু’ জন প্রার্থী একে ওপরকে হাত জোর করে চলে সৌজন্যে বিনিময়। চতুর্থ দফায় সোমবার বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন।

মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে তৃতীয় দফায়। এবার লক্ষ্য বহরমপুরে শান্তিপূর্ণ ভাবেই নির্বাচন সম্পন্ন করা। শনিবার প্রচারের শেষ দিন। আর শেষ দিনে প্রচারে ঝড় তুললেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা। বহরমপুর শহর জুড়েই বাইক মিছিল সহকারে ভোট প্রচার করতে দেখা যায় কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে।

ঠিক তেমনই বহরমপুরে পদ্ম ফুটাতে মরিয়া বিজেপি শিবির। তাই বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি শাখার সরকারকে সঙ্গে নিয়ে হুড খোলা গাড়িতে ডাঃ নির্মল সাহা ভোটের নির্বাচনী প্রচার করলেন। আর তখনই দু’জন প্রার্থী তাদের মুখোমুখি হতেই সৌজন্য বিনিময় করা হয়। যা বহরমপুর লোকসভাতে অন্যভুমিকা নিল লোকসভার প্রচার।

কৌশিক অধিকারী

Lok Sabha Election 2024: ভোট প্রচারে বেরিয়ে গান গাইলেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়, কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরাও 

হুগলি: হুগলি শ্রীরামপুরের বিদায়ী সংসদ ও তৃনমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এর রনংদেহি রূপ বার বার উঠে এসেছে খবরের শিরোনামে। তবে সেই সবের থেকে একদম অন্যরকম রূপে দেখা গেলো আজ কল্যাণকে। বৈদ্যবাটিতে প্রচারে বেরিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কল্যাণ উই শ্যাল ওভারকাম গাইলেন। বিজেপি প্রার্থী শুনে বললেন, গান না করে একটু কাজ করুন।

আজ বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারে বেরিয়ে অন্য মুডে ধরা দিলেন শ্রীরামপুর লোকসভা তৃণমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারের ফাঁকে দলীয় কাউন্সিল ও কর্মিদের নিয়ে বসে গানের আড্ডায় মাতলেন কল্যাণ।কখনো গাইলেন উই শ্যাল ওভারকাম আবার কখনো রবীন্দ্র সংগীত ‘প্রাণ ভরিয়ে, তৃষা হরিয়ে, মোরে আরো আরো দাও প্রাণ।’ গতকাল পঁচিশে বৈশাখ রবীন্দ্রজয়ন্তীতেও ভোট প্রচারে বেরিয়ে রবীন্দ্রনাথের গান গেয়েছিলেন কল্যাণ।

প্রতিদ্বন্দ্বী গান করছেন একথা শুনে বিজেপি প্রার্থী কবীর শংকর বোস বলেন, ওঁকে বলব, একটু কাজ করুন মানুষের জন্য। আগেও গান করেছেন নাচ করেছেন। শ্রমিক মহল্লার কি অবস্থা? উনি কি ওভারকাম করবেন? আর ওটা তো বামপন্থীদের গান। ওরা এক হয়ে লড়ছে। বামকে ভোট দেওয়া মানে তৃণমূলকে ভোট দেওয়া।

রাহী হালদার

Irfan Pathan In Poll Campaign: ‘আমি ইমোশনাল হয়ে গিয়েছি’, বহরমপুরে প্রচারে এসে কথা দিয়ে গেলেন ইরফান পাঠান

বহরমপুর: দাদার হয়ে বহরমপুরের প্রচারে ইরফান পাঠান৷ বৃহস্পতিবার বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের হয়ে প্রচার করতে এলেন ভাই ইরফান পাঠান৷ আর জনসমুদ্রের রোড শো-ও করলেন তিনি৷ আর সেখান থেকে বেরিয়েই বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে বেশ কয়েকটি কথা বললেন তিনি৷ বললেন, ‘আমি নিজে আসবো দাদা কেমন কাজ করছে তা দেখার জন্য। আমি এখানে এসে খুব ইমোশনাল হয়ে গিয়েছি।’ সিএএ এনআরসি নিয়ে প্রসঙ্গ এড়ালেন ইরফান পাঠান। তিনি বললেন, ‘আমি দাদাকে সাপোর্ট দিতে এসেছি। বহরমপুর অনেক ভালবাসা দিচ্ছে দাদাকে।’

এ দিন বহরমপুর লোকসভার বেলডাঙা থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার রোড শো করেন ইরফান ও ইউসুফ। ফ্যানেদের আবদারও রাখতে দেখা গেল তাঁকে। হুডখোলা গাড়িতে করে দাদার হয়ে প্রচার করেন দুই ভাই৷ ফ্যানেদের আবদার রেখে ব্যাটে অটোগ্রাফও দিলেন তিনি। ইরফান পাঠানকে দেখে অনেকেই ব্যাট বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন অটোগ্রাফের জন্য। তাঁদের আবদার রাখার পাশাপাশি শুভেচ্ছা ও বিনিময় করলেন দুই ভাই।

৬ কিলোমিটার রোড শো করতে প্রায় ১ ঘণ্টা সময় লাগে দুই পাঠান ভাইয়ের। রাস্তার দুই ধারে প্রচুর মানুষের ভিড় করেন দুই পাঠান ভাইকে দেখতে। আগামী ১৩ মে বহরমপুর কেন্দ্রের লোকসভা ভোট। পাঠানকে নিয়ে এসে কার্যত বহরমপুর কেন্দ্রে চমক দিতে যায় তৃণমূল।

Rudranil Ghosh Viral Video: ‘হীরক রাজা’ হলেন রুদ্রনীল, আসল লক্ষ্য কিন্তু ‘হীরক রানি’! কে সে? তোলপাড় ফেলে দিলেন অভিনেতা

রুদ্রনীল ঘোষ। উচ্চ প্রশংসিত অভিনয়। বিশেষ করে কমেডি ধারায় তাঁর দখল সর্বজনবিদিত। জনপ্রিয় অভিনেতা বাংলা সিনেমায় নাম করার পর বলিউডেও পা রেখেছেন। অজয় দেবগন অভিনীত ‘ময়দান’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে।
রুদ্রনীল ঘোষ। উচ্চ প্রশংসিত অভিনয়। বিশেষ করে কমেডি ধারায় তাঁর দখল সর্বজনবিদিত। জনপ্রিয় অভিনেতা বাংলা সিনেমায় নাম করার পর বলিউডেও পা রেখেছেন। অজয় দেবগন অভিনীত ‘ময়দান’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে।
কিন্তু তিনি কেবল এক অভিনেতা নন। রাজনীতিবিদও। রুদ্রনীল বিজেপি নেতা। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে চারদিকে।
কিন্তু তিনি কেবল এক অভিনেতা নন। রাজনীতিবিদও। রুদ্রনীল বিজেপি নেতা। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে চারদিকে।
ভিডিওটি শেয়ার করে রুদ্রনীল লিখেছেন, ‘যারা বাংলাকে বানিয়েছে হীরক রাজার দেশ, তাদের স্বৈরাচার এ বার হবে শেষ।’ এবং ভিডিওটির শিরোনাম লেখা ‘হীরক রানি বাই বাই’। ভিডিওটি টিজার হিসেবেই প্রকাশ পেয়েছে।
ভিডিওটি শেয়ার করে রুদ্রনীল লিখেছেন, ‘যারা বাংলাকে বানিয়েছে হীরক রাজার দেশ, তাদের স্বৈরাচার এ বার হবে শেষ।’ এবং ভিডিওটির শিরোনাম লেখা ‘হীরক রানি বাই বাই’। ভিডিওটি টিজার হিসেবেই প্রকাশ পেয়েছে।
কী দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে? ‘হীরক রাজার ভূমিকা’য় দেখা যাচ্ছে রুদ্রনীলকে। রয়েছে রাজ্যসভা, পারিষদ বর্গ। রাজ্যের শাসকদল তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেই, গেরুয়া শিবিরের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এই নয়া চমক আনতে চলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ।
কী দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে? ‘হীরক রাজার ভূমিকা’য় দেখা যাচ্ছে রুদ্রনীলকে। রয়েছে রাজ্যসভা, পারিষদ বর্গ। রাজ্যের শাসকদল তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেই, গেরুয়া শিবিরের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে এই নয়া চমক আনতে চলেছেন রুদ্রনীল ঘোষ।
রুদ্রনীলের মতে, বাংলা বর্তমানে হীরক রাজার দেশের মতোই। তাই এমন ভাবনার সূত্রপাত, এমনই উল্লেখ করেছেন অভিনেতা। সিরিজের নাম রেখেছেন ‘হীরক রানি বাই বাই’। শীঘ্রই সম্পূর্ণ ভিডিওটি প্রকাশ পাবে।
রুদ্রনীলের মতে, বাংলা বর্তমানে হীরক রাজার দেশের মতোই। তাই এমন ভাবনার সূত্রপাত, এমনই উল্লেখ করেছেন অভিনেতা। সিরিজের নাম রেখেছেন ‘হীরক রানি বাই বাই’। শীঘ্রই সম্পূর্ণ ভিডিওটি প্রকাশ পাবে।
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত হীরক রাজার দেশে ছবিতে উৎপল দত্তের ভূমিকায় এবার রুদ্রনীল ঘোষ। দেখে অবাক হতে হবে, একেবারে হুবহু যেন মিল রয়েছে স্বর্ণযুগের সিনেমার সঙ্গে।
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত হীরক রাজার দেশে ছবিতে উৎপল দত্তের ভূমিকায় এবার রুদ্রনীল ঘোষ। দেখে অবাক হতে হবে, একেবারে হুবহু যেন মিল রয়েছে স্বর্ণযুগের সিনেমার সঙ্গে।

West Burdwan News: শেষবেলায় জমে উঠছে আসানসোলে প্রচার! আলুওয়ালিয়ার পাশে সুকান্ত, শত্রুঘ্নর হয়ে কৌশানি

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান: চতুর্থ দফা অর্থাৎ আগামী সোমবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। প্রচারের জন্য হাতে রয়েছে আর মাত্র কয়েকটা দিন। খুব স্বাভাবিকভাবেই শেষবেলায় জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার। বিজেপি, তৃণমূল, বাম প্রার্থীরা সকলেই প্রচারে নিজের সেরা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অন্য দিকে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা নেত্রীরা এসে প্রচার করছেন। প্রচারে আসছেন বিভিন্ন তারকাররা।

আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে শেষ বেলায় জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার। এদিন আসানসোলের বার্নপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিজেপি প্রার্থী এসএস আলুওয়ালিয়ার সমর্থনে প্রচার করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। হুড খোলা গাড়িতে চেপে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করেছেন তিনি। বার্নপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে এই প্রচার শুরু হয়ে এলাকা ঘুরে আবার একই জায়গায় এসে শেষ হয়েছে। এই প্রচারকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে দেখা গিয়েছে তুমুল উদ্দীপনা।

অন্য দিকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে প্রচার করেছেন অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত দুর্গাপুরের শংকরপুর মোড় এলাকায় বুধবার রাতে প্রচার চালিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে প্রচার করে গিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো শীর্ষ নেতারা।

সেই শত্রুঘ্ন সিনহার হয়ে লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার সারলেন অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রচার একেবারে শেষ বেলায় এসে পৌঁছেছে। ফলে নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসবে, যত প্রচারের সময় শেষ হয়ে আসবে, ততই আরও বাড়বে প্রচারের ঝাঁঝ। বাড়বে ভোটের উত্তাপ।

নয়ন ঘোষ

Lok Sabha Election 2024: রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারীর সম্পত্তির পরিমাণ সম্পর্কে কি বলছে হলফনামা

নদিয়া: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ছিলেন ছিলেন বিজেপির প্রার্থী। রানাঘাটের কেন্দ্র থেকে তিনি জিতে হন বিজেপির বিধায়ক। পেশায় চিকিৎসক আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারীর স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি কত রয়েছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা বা কত দূর!

নির্বাচনী হলফনামায় যেই তথ্য রয়েছে তার থেকে জানা যায় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২- ২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত আয়ের হিসেব দিয়েছেন রানাঘাট লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমনি অধিকারী। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তার আয় ছিল ৭ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৪০ টাকা। এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪৯০ টাকা আয় ছিল তার। ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা আয় করেছিলেন ২০২০ – ২১ অর্থবর্ষে। তার আগের অর্থ বর্ষ অর্থাৎ ২০১৯ – ২০ সালে আয় ছিল ৮ লক্ষ ৭০ হাজার ৭৪০ টাকা। এবং ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে মুকুটমনি অধিকারীর আয় ছিল ৬ লক্ষ ২৭ হাজার ৭৪০ টাকা। এ ছাড়াও হলফনামায় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিয়েছেন তিনি।

বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। একটি চার চাকা গাড়ি রয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর, যেটি ২০১৯ সালে ১৬ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকায় কিনেছিলেন তিনি। এক বছর পর আরও একটি গাড়ি কেনেন তিনি যার দাম ১০ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। সোনার গয়না রয়েছে তার মোট ১৬ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার। সব মিলিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৪৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৩৪০ টাকা।

স্থাবর সম্পত্তি বলতে একাধিক চাষের জমি রয়েছে তাঁর নামে। সব মিলিয়ে তাঁর স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ১৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৯০০ টাকা। আর তার ঋণের পরিমাণ ২ লক্ষ ১৩ হাজার ২৭৫ টাকা। আয়ের উৎস হিসেবে জানা যায় তিনি পেশায় চিকিৎসক চিকিৎসা পেশা ও বিধায়ক থেকে পাওয়া ভাতা উল্লেখ করেন তিনি। শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে তিনি হলফনামায় জানিয়েছেন ২০১৪ সালে এসএসকেএম থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন তিনি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে জগন্নাথ সরকারকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পরেই তৃণমূলে যোগ দেন মুকুটমনি অধিকারী। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

Mainak Debnath