Tag Archives: Aadhaar card

আধার কার্ড

আধার হল বিশ্বের বৃহত্তম বায়োমেট্রিক পরিচয়ের ব্যবস্থা। আধার হল একটি ১২ সংখ্যার অনন্য সনাক্তকরণ নম্বর, যা ভারতের নাগরিক এবং আবাসিক বিদেশি নাগরিক (যারা তালিকাভুক্তির জন্য আবেদনের তারিখের ঠিক আগের বারো মাসে ১৮২ দিনেরও বেশি সময় ভারতে থেকেছেন) স্বেচ্ছায় পেতে পারেন। ভারত সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ  ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI) নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে। আধার ঠিকানা বা বসবাসের প্রমাণ হিসাবে বিবেচিত হলেও এটা নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়। শুধু মাত্র আধার কখনই ভারতে বসবাসের কোনও অধিকার প্রদান করে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আধার আইন প্রণয়নের আগে, UIDAI ২৮ শে জানুয়ারী ২০০৯ সাল থেকে পরিকল্পনা কমিশনের (বর্তমান নীতি আয়োগ) সংযুক্ত অফিস হিসাবে কাজ করেছিল। ২০১৬ সালের ৩ মার্চ, আধারকে আইনী সমর্থন দেওয়ার জন্য সংসদে একটি অর্থ বিল পেশ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালের ১১ ই মার্চ, আধার আইন, ২০১৬, লোকসভায় পাস হয়।

ভারত সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (UIDAI) ১২ই জুলাই ২০১৬ আধার আইন, ২০১৬ -কে অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠিত হয় ।

UIDAI-কে ভারতের সমস্ত বাসিন্দাদের একটি ১২ সংখ্যার অনন্য সনাক্তকরণ (UID) নম্বর বা আধার বরাদ্দ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আধার নম্বরটির সঙ্গে বাসিন্দার মৌলিক জনসংখ্যাগত তথ্য এবং বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন ছবি, দশটি আঙুলের ছাপ এবং দুটি চোখের আইরিসের স্ক্যান যোগ করা থাকে। এই সব তথ্য একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেসে সংরক্ষিত থাকে।

বর্তমানে UIDAI ডেটা সেন্টার ইন্ডাস্ট্রিয়াল মডেল টাউনশিপ, মানেসারে অবস্থিত। এই আধার ভবন ৭ জানুয়ারি ২০১৩ সালে উদ্বোধন করেছিলেন হরিয়ানার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা । এখন বেঙ্গালুরু এবং মানেসারে প্রায় ৭,০০০ সার্ভারে আধার ডেটা রাখা হয়েছে।

২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথম আধার নম্বর জারি করার সাথে সাথে, একটা শক্তিশালী অথচ যে কোনও সময় অনলাইনে পরিচয় প্রমাণ করার অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে। মনে রাখতে হবে আধার কোনও চালু পরিচয়পত্র প্রতিস্থাপনের জন্য নয়। আসলে আধার নাগরিকত্ব প্রমানও করে না বা নাগরিকত্বের অধিকার, সুবিধা বা অধিকারের নিশ্চয়তা দেয় না। তবে রান্নার গ্যাসের সংযোগ থেকে ভর্তুকিযুক্ত রেশন, পিডিএস থেকে কেরোসিন অথবা পেনশন স্কিমের সুবিধা, ই-সাইন, ডিজিটাল লকার থেকে মোবাইল সিম কার্ড বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, সব কিছুতেই আধার ধারক তার আধার নম্বরের মাধ্যমে পরিচয়ের সত্যতা যাচাই করতে পারে।

Aadhaar Card: দেশজুড়ে ৩২ কোটি আধার কার্ড নিষ্ক্রিয়, ৫ মার্চ দিল্লিতে আন্দোলন তৃণমূলের!

কলকাতাঃ কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পর এবার আধার নিষ্ক্রিয় করার প্রতিবাদে নমঃশূদ্রদের নিয়ে দিল্লি যাচ্ছে  তৃণমূল। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পর এবার আধার নিষ্ক্রিয় করার প্রতিবাদে নমঃশূদ্রদের নিয়ে দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূল। মুকুল বৈরাগ্য জানিয়েছেন, তিনি রাঁচির অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সেখান থেকে জানতে পেরেছেন, দেশজুড়ে ৩২ কোটি আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে। এর মধ্যে এ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, জলপাইগুড়ি, হুগলি ও মালদহের প্রায় সোয়া দুলক্ষ কার্ড রয়েছে। তবে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার ফলে একদিকে যেমন ব্যাঙ্কে লেনদেন করা যাচ্ছে না, মিলছে না কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা। অন্যদিকে রেশন মিলছে না। আশঙ্কা, এর পর ভোটার কার্ডও নিষ্ক্রিয় করা দেওয়া হবে। অসমের মতো এ রাজ্যেও ‘ডি-ভোটার’ বা ‘ডাউটফুল ভোটার’ করে রাখা হবে।

আরও পড়ুনঃ আচমকাই সক্রিয় আধার! আবির খেলায় মাতলেন জামালপুরের বাসিন্দারা

রাজ্যের নমঃশূদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ডের চেয়ারম্যানের তথ্য অনুযায়ী, যাদের কার্ড বাতিল হয়েছে তাঁদের অধিকাংশই ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের জবকার্ড হোল্ডার। যা দেখে মুকুল বৈরাগ্যের আশঙ্কা, জবকার্ড হোল্ডারদের মনরেগা প্রকল্পের বকেয়া টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই টাকা পাওয়া বানচাল করতেই আধার বাতিলের ষড়যন্ত্র করা হতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে মতুয়া, নমঃশূদ্র, তফসিলি জাতি এবং গরিব মানুষের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। তাঁদের জন্য গত মঙ্গলবার থেকেই রাজ্য সরকার চালু করছে ‘আধার গ্রিভান্স পোর্টাল অব গভর্নমেন্ট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’। যাঁদের আধার কার্ড বাতিল হয়েছে, তাঁদের বলছি, এই পোর্টালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করুন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রাজ্যের উদ্যোগে বিকল্প কার্ড দেওয়া হবে। এই কার্ড দেখিয়েই মিলবে সরকারি পরিষেবা।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, এলাকায় এলাকায় ক্যাম্প করে বিকল্প কার্ডটি মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিও তুলে রাখবেন আধিকারিকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, ‘যা করার তাই করব। কিন্তু কোনও গরিব মানুষকে না খেয়ে মরতে দেব না।’লোকসভা ভোটের আগে আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার প্রতিবাদে দিল্লি অভিযানের ডাক দিয়েছে নমঃশূদ্র ওয়েলফেয়ার বোর্ড। বোর্ডের চেয়ারম্যান মুকুল বৈরাগ্য বলেছেন, ‘আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার ফলে মানুষ ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে পারছেন না। তাঁরা যাতে ভোট দিতে না পারেন সেই চক্রান্ত করেছে বিজেপি। এর প্রতিবাদে গত সোমবার উত্তরবঙ্গ থেকে পদযাত্রা শুরু হয়েছে। আগামী ৫ মার্চ দিল্লিতে হবে ধর্না কর্মসূচি।’ এই ইস্যুতে মুকুলবাবুকে চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, ‘বিচলিত হবেন না। সরকার সবসময় আপনাদের পাশে আছে।’

Aadhaar Card: আচমকাই সক্রিয় আধার! আবির খেলায় মাতলেন জামালপুরের বাসিন্দারা

জামালপুরঃ জামালপুরের অধিকাংশের আধার কার্ড সক্রিয় হয়ে গেল আচমকাই। মুখ্যমন্ত্রীর চাপে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার আধার বাতিলের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। সেই কারণেই তাঁদের আধার কার্ড আবার সক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। আধার কার্ড অ্যাক্টিভ হয়ে উঠতেই আনন্দে সবুজ আবির খেলা শুরু করেন বাসিন্দারা। একে অপরকে আবির মাখিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে মালা পরিয়ে আবির মাখিয়ে কৃতজ্ঞতা জানালেন বাসিন্দারা। এলাকায় গিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা শাসক-সহ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে ওইসব বাসিন্দাদের হাতে।

আরও পড়ুনঃ দিঘায় বিরাট আতঙ্কের আবহ! সমুদ্র স্নানে নামলেই ঘটছে ভয়ঙ্কর বিপদ! না জেনে ভুল করবেন না

একের পর এক আধার বাতিলের চিঠি আসছিল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের আবুঝহাটি, জৌগ্রাম-সহ বিভিন্ন এলাকায়। শতাধিক ব্যক্তির কাছে আধার বাতিলের চিঠি আসছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছ থেকে। মেমারিতেও বহু মানুষের কাছে এই আধার বাতিলের চিঠি এসেছিল। ফলে চরম উদ্বেগের মধ্যে পড়েছিলেন তাঁরা। এইসব বাসিন্দাদের রেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বন্ধ ছিল ব্যাঙ্কের লেনদেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের এ দেশের নাগরিকত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল এই চিঠিতে। আধার বাতিলের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপানউত্তর। আধার বাতিল হওয়া বাসিন্দারা সব রকম সুবিধা পাবেন, আধার কেন্দ্রীক কোনও পরিষেবা বাতিলের হবে না বলে ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যের নির্দেশে এলাকায় এলাকায় ক্যাম্প করে আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া বাসিন্দাদের তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়। এসবের মাঝেই মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ করেই আধার অ্যাক্টিভ করা হয়েছে বলে উৎকন্ঠায় থাকা বাসিন্দাদের ফোনে এসএমএস আসতে শুরু করে। অনেকেই এই এসএমএস পেয়েছেন। তাতে তাঁদের উদ্বেগ কমেছে অনৈকটাই। আধার কার্ড ফের সচল হওয়ায় আবির খেলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বাসিন্দারা। তার মধ্যে এদিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলাশাসক সাধারণ আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়া বাসিন্দাদের হাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শংসাপত্র তুলে দেন।

Nadia News: আধার কার্ড বাতিল নিয়ে অ‌যথা ভয় পাবেন না! নদিয়ার মানুষেরা কী বলছেন, জানুন

নদিয়া: আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেটশনের চিঠি এসেছে সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক বাড়িতে। বিভ্রান্তে বহু মানুষ, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। নাওয়া খাওয়া বন্ধ, একটাই চিন্তা, কী করবেন, বাংলাদেশে ফিরে যাবেন? না এই দেশেই থাকবেন? বাংলাদেশে থেকে ২০১৪ সালের পরে যাঁরা এদেশে এসেছেন,  তাঁদেরই চিঠি আসছে মনে করছে অনেকেই। নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন গ্রামে বেশ কিছু এলাকায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পোস্ট অফিসের মারফত চিঠি এসেছে। সীমান্তবর্তী এলাকার চিন্তিত সেই সকল মানুষের দাবি যখন তাঁরা এই দেশে এলেন তখন কেনই বা আধার ভোটার সমস্ত কার্ড করার অনুমতি দিল তাঁদের সরকার? সরকার আধার দিলই বা কেন আবার ডিঅ্যাক্টিভেট কেন করল। এই নিয়েই বর্তমানে জল্পনা চলছে জোরকদমে।

বাথানগাছি এলাকার বাসিন্দা কলেজ পড়ুয়া সৌরভ সাহারও এসেছে আধার কার্ড বাতিলের নির্দেশিকা! তিনি জানান, “বাংলাদেশ থেকে বিগত ২৫ বছর আগে আমার বাবা এসেছেন। তখন থেকেই বাবা এই দেশে ভোটাধিকার পেয়েছেন। ভোট দিয়েছেন। এখন আমি নতুন ভোটার হয়েছি, আমিও ভোট দিতাম এই বার। এখন হঠাৎ করে শুনছি আধার কার্ড বাতিল হয়ে গিয়েছে। আমাদের পরিবারের পাঁচজন সদস্য। তার মধ্যে আমি, আমার মা আর ঠাকুমার আধার বাতিলের নির্দেশিকা এসেছে! বাবা এবং বোনের ক্ষেত্রে তেমন কোনও নির্দেশিকা আসেনি। এ বার আমরা দুশ্চিন্তায় আছি এরপর কী করব! কোথায় যাব! সামনে চাকরির পরীক্ষা রয়েছে, সেটা দেওয়া তো দূর, বাড়ি থেকে বেরতেও খারাপ লাগছে”।

তবে যাঁরা এই আধার, ভোটার কার্ড সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে অভিজ্ঞ ঠিক তেমনই এক আধিকারিক অমিত দাস জানান, “এই চিঠি NRC বা CAA -এর ব্যাপারে কিনা সেই নিয়ে আমরা অবগত নই। তাই এই নিয়ে আমরা কিছু বলতে পারছি না। তবে প্রত্যেক বছরই আমরা বেশ কিছু আধার সংশোধন করে থাকি, তার কারণ ১০ বছর অন্তর-অন্তর প্রত্যেকের আধার কার্ড ভেরিফিকেশন করতে হয়, সেই সংক্রান্ত বিষয়ও এটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে আধার বন্ধের নির্দেশিকায় কার্যত ঘুম উড়েছে অনেকেরই।

Mainak Debnath

Nadia News: একের পর এক নির্দেশিকা আসছে আধার কার্ড বাতিলের, জানুন এর আসল কারণ

নদিয়া: আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করার চিঠি এসেছে সীমান্তবর্তী এলাকায় একাধিক বাড়িতে। বিভ্রান্তে বহু মানুষ, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁরা। নাওয়া খাওয়া বন্ধ, একটাই চিন্তা কী করবেন তাঁরা, বাংলাদেশে ফিরে যাবেন? না এই দেশেই থাকবেন? মূলত বাংলাদেশে থেকে ২০১৪ সালের পরে যাঁরা এদেশে এসেছেন, তাঁদেরই চিঠি আসছে মনে করছে অনেকেই। নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বাবলাবন-সহ নিধিপতা, গোবিন্দপুর, টুঙ্গী, কাদিপুর-সহ বিভিন্ন গ্রামে বেশ কিছু এলাকায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পোস্ট অফিসের মারফত।

গতকালই এসে হাজির আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছে তার চিঠি। তাতেই এই সকল মানুষজন ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলতে পারছেন না। রেশন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন,বলছেন ছেলে মেয়ে নিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও  উপায় নেই। সীমান্তবর্তী এলাকার চিন্তিত সেই সকল মানুষের দাবি আজ থেকে যারা ১৫ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন ভারতে। সরকার আধার দিলই বা কেন আবার ডিঅ্যাক্টিভেট কেন করল।

এ বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে বলা হচ্ছে, “ভয়াবহ একটি পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে বলা যায়। এ বিষয়ে আমাদের দলের থেকে নির্দিষ্ট ঘোষণা থাকবে। দলের নেতৃত্ব থেকে যা বলে দেওয়া হবে আমরা সেটিই মানুষের কাছে উপস্থাপিত করব। একটি কথা খুব পরিষ্কারভাবে বলা যেতে পারে এটা যদি এনআরসির পার্ট হয়ে থাকে, এনআরসি নিয়ে আমাদের দলের নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন যে যে সকল মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে রাষ্ট্র ব্যবস্থা সচল রেখেছেন অর্থাৎ ভোট দিয়েছেন তাঁরা দেশে নাগরিক, তাঁদের কোনও ক্ষতি হতে পারে না। এবং তিনি যেটা বলেন করে দেখান৷ এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই।

যদিও এ বিষয়ে বিজেপি নেতৃত্ব থেকে বলা হচ্ছে, “এঁদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। কেন না ভারত সরকার এদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ আইনটা পাস হয়েছে। এঁদেরকে অবশ্যই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, এঁদের মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশ থেকে এসে কোন দালালের মারফত কিংবা কোন নেতার মারফত আধার কার্ড ভোটার কার্ড করিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু তাতে প্রকৃতপক্ষে নাগরিকত্ব প্রমাণ হয় না। এজন্যই ভারত সরকার ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে এমন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন সমস্ত সংখ্যালঘুরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের সবাইকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।

সেই কারণেই ভারত সরকার এদেরকে প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত করার জন্য তাঁদের আধার কার্ড বাতিলের নির্দেশিকা এসেছে, এবং আশা করা যাচ্ছে লোকসভা ভোটের আগেই এদেরকে প্রকৃতপক্ষে চিহ্নিত করে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে নাগরিকত্ব দেওয়া হোক বা না হোক আপাতত আকস্মিকভাবে নিজেদের পরিচয় পত্র বাতিলের নির্দেশিকা আসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বেশ কিছু মানুষেরা।

Mainak Debnath

Aadhaar Cancellation Fear: আধার কার্ড বাতিল হচ্ছে কেন? কাদের হচ্ছে? কী করতে হবে? বড় নির্দেশ জারি নবান্নের

কলকাতা: বর্তমানে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে কোনও সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পেতে হলে আধার কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। তবে এরই মাঝে বাংলার বহু বাড়িতে ‘আধার নিষ্ক্রিয়’ হওয়ার চিঠি পৌঁছেছে বলে অভিযোগ। যার জেরে মাথায় হাত পড়েছে অনেকেরই। কিন্তু কেন এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই ধরনের চিঠি পাওয়া ব্যক্তিরা কী করবেন?

ভুক্তভোগীদের সাহায্যের জন্য বড় নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। নবান্ন সূত্রে খবর, যে সব জেলায় আধার কার্ড বাতিল হয়ে যাচ্ছে তাঁদের নামের তালিকা অবিলম্বে জোগাড় করতে হবে। জোগাড় করে দ্রুত পাঠাতে হবে নবান্নে। মুখ্যসচিবের নির্দেশ, ‘আপনারা প্রয়োজনে তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে যান। তাঁদের বিস্তারিত ঠিকানা এবং আধার কার্ডের জেরক্স কপি নিয়ে আসুন। নবান্নে তাঁদের বিস্তারিত তথ্য আমাদের পাঠান।’

আরও পড়ুন: ‘লোকসভার আগে বেছে বেছে ওঁদের টার্গেট, গেমপ্ল্যানটা কী?’ আধার কার্ড বাতিল নিয়ে মোদিকে চিঠি মমতার

সোমবারই জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব। সেখানেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্নে সূত্রে জানানো হয়েছে, ‘যাঁদের আধার কার্ড বাতিল হয়েছে তাঁদের জন্য আমরা একটি পোর্টাল চালু করছি। সেই পোর্টালের বিস্তারিত আপনাদের দেওয়া হবে।’ জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বলেন মুখ্যসচিব। আধার কার্ড বাতিল নিয়ে এদিন জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিট বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম জানেন? তালিকা দিল NIRF

মুখ্যমন্ত্রীর মারাত্মক অভিযোগ, ‘তফশিলি ফেডারেশন থেকে শুরু করে একাধিক জায়গা থেকে আমি অভিযোগ পাচ্ছি। লোকসভা ভোটের আগে এই ধরনের আতঙ্ক কেন তৈরি করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে? তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতিদের বেছে বেছে আধার কার্ড বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে এটা খুব দুঃখজনক।’ আধার বাতিলের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

Aadhaar Cancellation: ‘লোকসভার আগে বেছে বেছে ওঁদের টার্গেট, গেমপ্ল্যানটা কী?’ আধার কার্ড বাতিল নিয়ে মোদিকে চিঠি মমতার

কলকাতা: আধার কার্ড কেন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, ‘আধার কার্ডের আইন ভেঙে রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে দিল্লির অফিস থেকে একের পর এক আধার কার্ড বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। এটা খুব আশ্চর্যজনক। কাউকে কোনও কিছু না জানিয়েই আধার কার্ড বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে।’

মুখ্যমন্ত্রীর মারাত্মক অভিযোগ, ‘তফশিলি ফেডারেশন থেকে শুরু করে একাধিক জায়গা থেকে আমি অভিযোগ পাচ্ছি। লোকসভা ভোটের আগে এই ধরনের আতঙ্ক কেন তৈরি করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে? তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতিদের বেছে বেছে আধার কার্ড বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে এটা খুব দুঃখজনক।’ আধার বাতিলের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের সেরা ৫ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নাম জানেন? তালিকা দিল NIRF

আধার কার্ড বাতিল হওয়াকে কেন্দ্র করে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে সোমবারই মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আধার কার্ডের বিকল্প কার্ড তৈরি করবে রাজ্য সরকার৷ যাঁদের আধার কার্ড বাতিল হচ্ছে তাঁদের হাতে রাজ্য সরকারের ওই পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হবে৷ ওই কার্ড দিয়েই রাজ্য সরকারের সব প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ পাবেন বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিন চারদিনের মধ্যেই নতুন কার্ড মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

আরও পড়ুন: ‘বেবি ডল’ আলিশা ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ গেয়ে মাত করেছিলেন! কিন্তু গায়িকার ‘সর্বনাশ’ করেন অনু মালিক? জানলে শিউরে উঠবেন

মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন, বেছে বেছে নমঃশূদ্র, মতুয়াদের আধার কার্ডই বাতিল করা হচ্ছে৷ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁর কাছে আধার কার্ড বাতিলের অভিযোগ এসেছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি এ দিনও স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাজ্যে কোনও ভাবেই এনআরসি কার্যকর করতে দেওয়া হবে না৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মনে রাখবেন এটা পশ্চিমবঙ্গ, এটা দিল্লি নয়৷ জবাব দিন কেন আধার কার্ড বাতিল করছেন? এর পর বলবে এখন নাম কাটলাম পাঁচ বছর পরে নাগরিকত্ব দেব৷ এবার সংখালঘু, তফশিলি, মতুয়া ভাইবোনেরা বুঝতে পারছেন তো ওদের গেমপ্লানটা কী!’

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

Nabanna: ফেব্রুয়ারির শেষ থেকেই ব্যাঙ্কে ঢুকবে ১০০ দিনের টাকা! বাতিল আধার কার্ড নিয়ে তাই তড়িঘড়ি জরুরি বৈঠকে নবান্ন, নেওয়া হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

কলকাতা: শয়ে শয়ে বাতিল হচ্ছে আধার কার্ড৷ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এবার তাই জেলাশাসকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্য সচিব। আজ, সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকে সব জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন মুখ্য সচিব বিপি গোপালিকা। তেমনটাই খবর নবান্ন সূত্রের৷

এখনও পর্যন্ত কোথায় কোথায় আধার কার্ড বাতিলের ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে নবান্নের তরফে বিস্তারিত রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে বলে এই সূত্রের খবর। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকদের বকেয়া টাকা দিতে শুরু করবে রাজ্য।

আধার কার্ড বাতিল হওয়া বাসিন্দাদের যাতে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে অসুবিধার না হয় তা নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশ এদিনের বৈঠক থেকে দিতে পারেন মুখ্য সচিব বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, আধার কার্ড বাতিল নিয়েও আগামী দিনে কী করণীয় স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ এদিনের বৈঠকে দিতে পারেন মুখ্য সচিব বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবীকে লালবাজারে ডেকে পাঠাল পুলিশ! আদালতে দাঁড়িয়ে হেনস্থার অভিযোগ

গত রবিবার সিউড়ির সভামঞ্চ থেকেই আধার কার্ড বাতিল করা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ মমতা বলেন, “কোন অধিকারে, কাউকে না বলে, কীভাবে তুমি আধার কার্ড বাতিল করছ? মানুষ যাতে সরকারি পরিষেবা না পায়, তার জন্য কি এমন ব্যবস্থা হচ্ছে? আধার কার্ড থাকুক বা বাতিল হোক, রাজ্যের পরিষেবা বন্ধ হবে না।”

রীতিমতো আশ্বাসের সুরে আমজনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ”ভয় পাবেন না, আমি আছি। NRC করার চক্রান্ত হচ্ছে। ক্যা ক্যা করছে। CAA করার চক্রান্ত চলছে। এক মাসের মধ্যে ভোট ঘোষণা হবে। তার আগে নাম কেটে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।”

আরও পড়ুন: মঙ্গলবারই চোপড়া যাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস! রাতের ট্রেনেই কিষাণগঞ্জ, তারপর দিনভর সফর

মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নতুন স্লোগান, “NRC নয়, বাঁচতে চাই। আমরা ছিলাম, আছি, থাকব। যতদিন থাকব মানুষের গায়ে আঁচ লাগতে দেব না।” মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সতর্কতা, “আগামিকাল থেকে সরকার অনলাইন পোর্টাল খুলবে। যার আধার বাতিল হবে সে অনলাইন পোর্টালে জানান। ব্লকে ব্লকে নজর রাখুন। ভোটের জন্য এরা ক্যা ক্যা করছে। ভোট শেষ হলেই ধিতাং ধিতাং হয়ে যাবে।”

হারানো আধার কার্ড পাঠাতে পারে জেলে! সাবধান! ২ মিনিটের কাজ, না করলে বিপদ

কলকাতা: আধার কার্ড ভারতের সকল নাগরিকের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। এই নথিটি যাচাইয়ের জন্য অনেক জায়গায় ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, কারও আধার কার্ড হারিয়ে গেলে তা ভুল হাতে পৌঁছতে পারে এবং এটি জালিয়াতির জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।

আধার বায়োমেট্রিক ডেটা প্রতারণামূলক আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করতে, মোবাইল এবং ইন্টারনেট সংযোগে অ্যাক্সেস পেতে অপব্যবহার হতে পারে। এমনকি এটি পরিচয় চুরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

আধার কার্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে সেই আধার কার্ডের মালিকের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে। কারণ সেই আধার কার্ড দিয়ে এমন কোনও কাজ করা যেতে পারে, যার দ্বারা সেই আধার কার্ডের মালিকের জেল পর্যন্ত হতে পারে।

আরও পড়ুন- এক মিনিট অসতর্ক হলেই বিপদ, চুরি হবে সাধের বাইক! কাজে লাগান ‘এই’ টিপস

কিন্তু, আধার কার্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই। সঙ্গে সঙ্গে করতে হবে এই কাজ, যা মাত্র ২ মিনিটেই ঘরে বসে করা সম্ভব।

আধার কার্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে, আধার কার্ডের অপব্যবহার রোধ করতে, আধার কার্ড লক করার সুবিধা প্রদান করেছে UIDAI। একবার নিজেদের আধার কার্ড লক করা হয়ে গেলে, তা আর প্রমাণীকরণ প্রক্রিয়ার জন্য ব্যবহার করা যাবে না।

আধার (UID) লক এবং আনলক –

আধার কার্ড লক করার মাধ্যমে, নাগরিকরা বায়োমেট্রিক্স, ডেমোগ্রাফিকস এবং OTP-এর জন্য UID, UID টোকেন এবং VID-এর মতো যে কোনও ধরনের প্রমাণীকরণের জন্য আধার কার্ড ব্যবহার করা থেকে স্ক্যামারদের আটকাতে পারেন।

কেউ যদি লক করা আধার কার্ড বা একটি নতুন আধার কার্ড পান, তাহলে UIDAI ওয়েবসাইট বা mAadhaar অ্যাপের মাধ্যমে সেই UID আনলক করতে পারেন। UID আনলক হওয়ার পরে, তিনি UID, UID টোকেন এবং VID ব্যবহার করে প্রমাণীকরণ পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হবেন।

আরও পড়ুন- এবার হোয়াটসঅ্যাপ করেই জানানো যাবে শিশু অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা

অনলাইনে আধার কার্ড লক করার উপায় –

– এর জন্য প্রথমেই UIDAI ওয়েবসাইটে যেতে হবে – https://uidai.gov.in/

– এর পর My Aadhaar- অপশনে ক্লিক করতে হবে

– এর পরে Aadhaar Services অপশনে যেতে হবে এবং ‘Aadhaar Lock/Unlock’ অপশনে ক্লিক করতে হবে

– তারপর ‘Lock UID’ বিকল্পটি সিলেক্ট করতে হবে

– এরপর নিজেদের আধার নম্বর, পুরো নাম এবং পিন কোড লিখতে হবে

– তারপর ‘Send OTP’ বাটনে ক্লিক করতে হবে

– এর পরে, প্রাপ্ত OTP এন্টার করতে হবে এবং সাবমিট করতে হবে

– এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আধার কার্ড আনলকও করা যাবে

Bangla News: জঙ্গলে পরে গুচ্ছগুচ্ছ আধার কার্ড! রহস্য ভেদে তদন্তের নির্দেশ প্রশাসনের

মালদহ– ইটভাটার পাশে জঙ্গলে পড়ে গোছা গোছা আধার কার্ড! এমনই ঘটনা মালদহের কালিয়াচক -৩ ব্লকের লক্ষ্মীপুর এলাকায়। কোথা থেকে এতজনের আধার কার্ড জঙ্গলে এলো? তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। ঘটনার তদন্তের  নির্দেশ ব্লক প্রশাসনের। জানা গিয়েছে, এদিন ওই এলাকার জরলাহী মাঠ লাগোয়া জঙ্গলের পাশে বেশ কিছু আধার কার্ড পড়ে থাকতে দেখেন এক ইটভাটা শ্রমিক। তিনি আশপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানান। এদিন ওই জঙ্গল এলাকায় প্রায় ৪০টি আধার কার্ড উদ্ধার হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ আগামী কয়েক ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে শুরু বৃষ্টি! শীত কমবে কবে? বিরাট আপডেট IMD-র

বেশিরভাগই শিশুদের আধার কার্ড। আশপাশ এলাকার বাসিন্দাদের আধার কার্ড একসঙ্গে এভাবে জঙ্গলে পড়ে থাকার ঘটনায় চাঞ্চল ছড়ায় এলাকায়। খবর চাউর হতেই এলাকায় ভিড় করেন প্রচুর মানুষ। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জঙ্গলে উদ্ধার হওয়া আধার কার্ডের মধ্যে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের আধার কার্ড খুঁজে পান। এমন বেশ কয়েকজন জানান, কয়েক মাস আগেই তাঁরা আধার কার্ডের জন্য আবেদন করেন । কিন্তু , আধার কার্ডের জন্য অপেক্ষা করে থেকে এখনও তা হাতে পাননি। একসঙ্গে একগুচ্ছ আধার কার্ড উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে পোস্ট অফিসের যোগ থাকতে পারে বলে অনুমান স্থানীয়দের একাংশের।

এলাকার বাসিন্দারা আধার কার্ডগুলি নিয়ে লক্ষ্মীপুর পোস্ট অফিসে যান। কিন্তু, এদিন পোস্ট অফিসে কোনও কর্মীকে পাওয়া যায়নি। এরপর তাঁরা বিষয়টি জানাতে যান কালিয়াচক-৩ ব্লকের বিডিও-কে। গ্রামবাসীরা বিডিও অফিসে উদ্ধার হওয়া আধার কার্ডগুলি জমা দেন। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তের দাবি জানান তাঁরা । কালিয়াচক-৩ ব্লকের বিডিও সুকান্ত শিকদার জানান , উদ্ধার হওয়া কার্ডের বেশিরভাগই শিশুদের। পোস্ট অফিসের তরফে কোনও গাফিলতি রয়েছে কীনা অথবা এগুলো কি করে জঙ্গলে গেল তা দেখা হবে । এদিন পোস্ট অফিস বন্ধ থাকায় তদন্তের কাজ এগানো যায়নি । বৃহস্পতিবার সরকারি আধিকারিকদের পোস্ট অফিসে পাঠিয়ে ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে।

Aadhaar Card: ১টি মোবাইল নম্বরে সর্বোচ্চ কতগুলি আধার কার্ড লিঙ্ক করা যায়, জানেন কি? ৯৫ শতাংশ মানুষই কিন্তু ডাহা ফেল

আধার কার্ড আজকাল সর্বত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আধার কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র। নানা সময়ে আধার কার্ড পরিবর্তন হতে পারে। এর জন্য সাধারণত আধার কার্ডের কেন্দ্রে যেতে হয়। তবে তা এবার বাড়িতে বসেই করা যাবে। এর জন্য কেবল মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক থাকা প্রয়োজন।
আধার কার্ড আজকাল সর্বত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। আধার কার্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র। নানা সময়ে আধার কার্ড পরিবর্তন হতে পারে। এর জন্য সাধারণত আধার কার্ডের কেন্দ্রে যেতে হয়। তবে তা এবার বাড়িতে বসেই করা যাবে। এর জন্য কেবল মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক থাকা প্রয়োজন।
আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি এটি না করেন তবে আধার কার্ডের যে কোনও পরিবর্তনের জন্য আপনাকে আধার কেন্দ্রে যেতে হবে না।
আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি এটি না করেন তবে আধার কার্ডের যে কোনও পরিবর্তনের জন্য আপনাকে আধার কেন্দ্রে যেতে হবে না।
কিন্তু এখানে একটা প্রশ্ন আসে, যদি কারও বাড়িতে একটি মাত্র মোবাইল থাকে তাহলে সে কী করবে? এর উত্তরও রয়েছে আধার তৈরির সংস্থা UIDAI-এর কাছে।
কিন্তু এখানে একটা প্রশ্ন আসে, যদি কারও বাড়িতে একটি মাত্র মোবাইল থাকে তাহলে সে কী করবে? এর উত্তরও রয়েছে আধার তৈরির সংস্থা UIDAI-এর কাছে।
অনেকেই ভাবতে পারেন একটি নম্বরের সঙ্গে কয়টি আধার কার্ড লিঙ্ক করা যাবে?
অনেকেই ভাবতে পারেন একটি নম্বরের সঙ্গে কয়টি আধার কার্ড লিঙ্ক করা যাবে?
UAIDAI-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে একটি মোবাইল নম্বর সঙ্গে যে একাধিক আধার কার্ডের লিঙ্ক করতে পারেন। এর জন্য কোনও সীমাবদ্ধতা।
UAIDAI-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে একটি মোবাইল নম্বর সঙ্গে যে একাধিক আধার কার্ডের লিঙ্ক করতে পারেন। এর জন্য কোনও সীমাবদ্ধতা।
যদি আধার কার্ড মোবাইল নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা না থাকেন তাহলে আধার পরিষেবা কেন্দ্রে যান। আধারের সঙ্গে ফোন নম্বর লিঙ্ক করুন। এতে আপনার কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।
যদি আধার কার্ড মোবাইল নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা না থাকেন তাহলে আধার পরিষেবা কেন্দ্রে যান। আধারের সঙ্গে ফোন নম্বর লিঙ্ক করুন। এতে আপনার কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।
সেখানে একটি ফর্ম দেওয়া হবে। এই ফর্মটি পূরণ করুন এবং জমা দিন। এর সঙ্গে কিছু প্রয়োজনীয় নথিও দিতে হবে।
সেখানে একটি ফর্ম দেওয়া হবে। এই ফর্মটি পূরণ করুন এবং জমা দিন। এর সঙ্গে কিছু প্রয়োজনীয় নথিও দিতে হবে।
আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করার জন্য, ৫০ টাকা ফি দিতে হবে। নথি এবং ফি জমা দেওয়ার পরে আপনার অনুরোধটি গ্রহণ করা হবে।
আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করার জন্য, ৫০ টাকা ফি দিতে হবে। নথি এবং ফি জমা দেওয়ার পরে আপনার অনুরোধটি গ্রহণ করা হবে।