Tag Archives: solid waste management

Darjeeling Pollution: পর্যটকদের ফেলে আসা প্লাস্টিকে ভুগছে পাহাড়

দার্জিলিং: পাহাড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের নিত্যদিনের ফেলে যাওয়া প্লাস্টিকের জঞ্জালে অসুস্থ পাহাড়। বর্তমানে বিভিন্ন পর্যটককেন্দ্রে বিভিন্ন জায়গায় প্রকৃতির মাঝে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্লাস্টিকের জঞ্জাল। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিজের উদ্যোগে এই জায়গা গুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করলেও অধিকাংশ সময়েই প্লাস্টিকের আবর্জনায় মুড়ে থাকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একাধিকবার পর্যটকদের বলা হলেও বছরের পর বছর একই রকম ভাবে চলে আসছে দুধিয়া ও বালাসন নদীর ধারে গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্র। অবশেষে সেখানকার স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন আমরা একাধিকবার সকলকে অনুরোধ করেছি তারপরেও এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা প্লাস্টিকের নানা রকম প্যাকেট থেকে শুরু করে বিভিন্ন জিনিস ফেলে চলে যায়। এলাকাটি অত্যন্ত বড় হওয়ায় সমস্ত জায়গাটি আমাদের পক্ষে পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না।

আরও পড়ুন: গঙ্গা ভাঙন রুখতে দায়িত্ব নিক ফরাক্কা ব্যারেজ, কাতর অর্জি সাধারণ মানুষের

সেই অর্থে আগামী দিনে এই জায়গাটিকে পরিষ্কার রাখতে এখানকার স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী মিলে ডাস্টবিন বসানোর উদ্যোগ নিয়েছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও যদি কোন সাহায্য করা হয় তাহলে প্রকৃতির মাঝে এই সুন্দর জায়গাটিকে প্লাস্টিক জঞ্জালের হাত থেকে মুক্ত করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে অনেকটাই সুবিধা হবে।

Bangla Video: শহর ছাড়িয়ে এবার গ্রামাঞ্চল পরিষ্কারে জেলা প্রশাসন, নেওয়া হল এই বিশেষ উদ্যোগ

উত্তর ২৪ পরগনা: শহরাঞ্চলে কঠিন তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প চালু হয়েছে অনেকদিন হল। এবার গ্রামাঞ্চলের মানুষদের সুবিধার্থে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের প্রত্যন্ত এলাকাগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করল জেলা প্রশাসন।

আরও পড়ুনঃ নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতুর বেহাল দশা, মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে ভয়ানক বিপদ

এদিন জেলার কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাচুড়িয়া গোপালপুর এলাকায় তৈরি করা ‘কঠিন তরল বর্জ্য প্রকল্প ব্যবস্থাপনার উদ্বোধন হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সহ জেলা প্রশাসনে কর্তারা। সাংসদ জানান, পরিবেশকে সুরক্ষিত না রাখতে পারলে আমরাও সুরক্ষিত থাকব না। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহরের পাশাপাশি গ্রামগুলিকে সুরক্ষিত করবার জন্য এই প্রকল্প চালু করেছেন। এ ক্ষেত্রে আইসিডিএস ও আশা কর্মীদের দায়িত্ব নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোঝাতে হবে কোন বালতিতে পচনশীল আর কোন বালতিতে অপচনশীল জিনিস রাখতে হবে।

এই বিষয় সম্পর্কে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, বারাসাত-১ ব্লকের কোটরা ছাড়াও কাশিমপুর, ইছাপুর নীলগঞ্জ ও পশ্চিম খিলকাপুর এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই প্রকল্প চালু হল। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, এখান থেকে যে জৈব সার উৎপাদন হবে সেই সার বিক্রি করেও পঞ্চায়েত আয় বাড়তে পারবে এবং সেই টাকা আপনাদের উন্নয়নেই ব্যবহার হবে। ১৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে এই মূল প্রকল্পটি নির্মাণ হলেও, আনুষাঙ্গিক খরচ হয়েছে আরও ১৪ লক্ষ টাকা। মোট ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে।

রুদ্র নারায়ণ রায়

Garbage Collection: এবার থেকে রাতেও বাজবে হুইসেল! পুরসভার নতুন পরিকল্পনা

উত্তর ২৪ পরগনা: এবার থেকে রাতেও বাজবে হুইসেল, এলাকায় থাকবে না আর কোনও ময়লা। অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভার তরফে ঘোষণা করা হয়েছে এমন‌ই এক পরিষেবার কথা। শুধু ঘোষণাই নয়, রাতে এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও দেখা মিলছে পুর কর্মীদের।

সকালে হুইসেল বাজিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে জঞ্জাল ময়লা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। তবে বাড়ির ময়লা পরিষ্কার হলেও, বাজার ও রাস্তার ধারে নানা প্রান্তে ময়লার স্তূপ লক্ষ্য করা যেত। তাই এবার অশোকনগর-কল্যাণগড় পুর এলাকাকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে রাত্রিকালীন ময়লা পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হল পুরসভার তরফে। রাতে এলাকার গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলি থেকে এবার আবর্জনা সংগ্রহ করবে পুরকর্মীরা।

আর‌ও পড়ুন: তৃতীয় দিনেও রামপুরহাট মেডিকেলে আন্দোলন জারি

সকালে বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহ করা হলেও বিকেলের পর থেকে মূলত স্থানীয় বাজার, হোটেল, রেস্তোরাঁ-সহ মিষ্টির দোকান এবং ফাস্টফুড সেন্টারগুলিতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। ফলে ওই সব দোকানগুলির আবর্জনার পরিমাণ বাড়তে থাকে। তাই পুর এলাকায় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টকে গুরুত্ব দিয়ে রাজ্য সরকারের নির্দেশ মেনে বাজার থেকে রাত্রিকালীন আবর্জনা সংগ্রহ পরিষেবা চালু করল পুরসভা। এদিন অশোকনগরের কচুয়া মোড়, স্টেশন বাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলল এই আবর্জনার পরিষ্কারের কাজ করতে। উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং পুরপ্রধান সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। পাশাপাশি যত্রতত্র নোংরা আবর্জনা ফেলা হলে ৫০০ থেকে ৫০০০ টাকা অব্দি জরিমানা করা হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

এই সুবিধার ফলে অশোকনগর যেমন একদিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে, তেমনই বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রেও কিছুটা লাগাম টানা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।

রুদ্রনারায়ণ রায়

Solid Waste Management: দুর্দান্ত ভাবনা বর্ধমানের এই পুরসভার, জানলে আপনিও খুশি হবেন

পূর্ব বর্ধমান: পরিবেশের কথা ভেবে এবার অভিনব উদ্যোগ নিল গুসকরা পুরসভা। এই শহরের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে কুনুর নদী। গুসকরা শহরের রটন্তী কালী মন্দিরের কাছে গেলেই দেখা মিলবে এই নদীর। শহরের এই জায়গাতেই রয়েছে ডাম্পিং গ্রাউন্ড। গোটা শহরের আবর্জনা ফেলা হয় এই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা জমা হওয়ার কারণে বর্তমানে সেখানে যেন আবর্জনার পাহাড়ের তৈরি হয়েছে। এবার সেই আবর্জনা পৃথকীকরণ করে শহরবাসীকে দূষণমুক্ত পরিবেশ দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছে পুর কর্তৃপক্ষ।

সম্পূর্ণভাবে আবর্জনা মুক্ত করা হবে এই জায়গা। আর নতুনভাবে যে আবর্জনা জমা হবে সেগুলোকেও পৃথকীকরণ করা হবে। আবর্জনা থেকে সৃষ্ট দুর্গন্ধের কারণে নির্দিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদেরও চরম সমস্যা হয়। এছাড়াও আবর্জনা নদীতে পড়লেও দূষণ ঘটে। তাই সবরকম চিন্তাভাবনা করে ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে অন্যরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুসকরা পুরসভা।ইতিমধ্যেই ডাম্পিং গ্রাউন্ডের চারপাশ জুড়ে বাউন্ডারি ওয়াল দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে গুসকরা পুরসভার এসএই সপ্তম কুমার মাঝি জানান, ওইখানে যে ময়লাগুলো রয়েছে সেইগুলোকে পৃথকীকরণ করা হবে। পৃথকীকরণ করে ওই জায়গা সম্পূর্ণভাবে আবর্জনা মুক্ত করে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে যাতে আগের মত নতুন করে আবর্জনা না জমে তার জন্য ওখানে কিছু মেশিন বসানো হবে। তবে মেশিন বসার আগে সম্পূর্ণ জায়গার পরিকাঠামো উন্নতির প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে সেই কাজই করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের কথা ভেবে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় জোর

এই প্রজেক্ট সফল হলে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে। যেমন পরিবেশকে সম্পূর্ণভাবে দূষণমুক্ত রাখা যাবে। এছাড়াও এই জায়গায় বর্তমানে বেশ কিছু বাসিন্দা রয়েছেন, আবর্জনা জমে থাকার কারণে তাদেরও সমস্যা হয়। এই প্রজেক্ট সফল হলে তাঁরাও দুর্গন্ধের সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। নদীর জলও আর দূষিত হবে না।

এছাড়াও আবর্জনা থেকে যে গুড আর্থ পাওয়া যাবে, সেখান থেকে সার তৈরি করে অল্প দামে বাজারজাত করার চিন্তাভাবনাও রয়েছে। সবকিছু সঠিকভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য পরিকাঠামো উন্নতিকরণের কাজ চলছে বর্তমানে। পরিকাঠামো উন্নত হলে এই কাজে খরচ হতে পারে প্রায় ১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Garbage Tax: বাংলায় প্রথম আসানসোলে চালু হতে চলেছে বর্জ্য কর!

পশ্চিম বর্ধমান: তীব্র দাবদাহের মধ্যে আসানসোল শহরের বেশ কিছু জায়গায় দেখা দিয়েছে জল সঙ্কট। বিশেষ করে কুলটিতে জল সঙ্কটের বড় অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। কেন পুরনিগমের বিভিন্ন এলাকায় জল সঙ্কটের দেখা দিয়েছে তার উত্তর খুঁজছেন পুর কর্তারা। যে কারণে পুরনিগমের সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন মেয়র।

কিন্তু কু কারণে জল সঙ্কট? বৈঠকে বেশ কিছু কারণ উঠে এসেছে। যার মধ্যে অন্যতম জলের পাইপলাইনের সমস্যা। অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের কাজের কারণে অনেক জায়গার জলের পাইপলাইন ফেটে গিয়েছে। ফলে জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্রুত পরিকল্পনা শুরু হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: মালদহের হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোপালভোগ দেদার বিক্রি হচ্ছে দিল্লির আম উৎসবে

অন্যদিকে আসানসোল শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নতুন আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। সূত্রের খবর, আসানসোল পুরসভা খুব শীঘ্রই বর্জ্য কর চালু করতে চায়। যাতে শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যায় বা যেখানে সেখানে আবর্জনার স্তূপ দেখা না যায়। সূত্রের খবর, কীভাবে বর্জ্য কর লাগু করা হবে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, বর্জ্য কর লাগু করা প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই বণিক সংগঠনগুলি বিস্তর আলোচনা করেছে। সেখানে বনিক সংগঠনগুলির মতামত জানতে চেয়েছেন মেয়র। তবে সূত্রের খবর খুব শীঘ্রই এই বর্জ্য কর শহরে চালু করা হবে। কিন্তু কীভাবে এই কর লাগু করা হবে তা নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। উল্লেখ্য, শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ১০০০ অস্থায়ী সাফাই কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরনিগম।

নয়ন ঘোষ

Solid Waste Management: বর্জ্য বহন করবে পরিবেশ বান্ধব এই যান

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এতদিন যা দেখে এসেছেন সেটা সম্পূর্ণ বদলে যেতে চলেছে। এবার থেকে টোটোতেও বওয়া হবে বর্জ্য পদার্থ। মথুরাপুর-২ ব্লকের ১১ টি অঞ্চলেই সেজন্য জায়গা দেখার কাজ শেষ হয়েছে।এই কাজ শেষ হলে সমগ্র ব্লক হয়ে উঠবে বর্জ্য পদার্থ মুক্ত ব্লক।

প্রশাসনের এই ধরনের পদক্ষেপ এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। এর মাধ্যমে জোর দেওয়া হয়েছে কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনাপনার উপর। গাড়িতে করে বর্জ্য পদার্থগুলি সংগ্রহ করে প্রথমে সেগুলিকে নিয়ে যাওয়া হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। এরপর সেগুলিকে বাছাই করা হবে। একেবারে অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পদার্থগুলিকে পুড়িয়ে ফেলা হবে।

আর‌ও পড়ুন: নিরক্ষর বৃদ্ধাদের মধ্যে শিক্ষার আলো জ্বালাতে এগিয়ে এল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা

মূলত দূষণমুক্ত ও নির্মল গ্রাম গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প নিয়ে আসা হয়েছে। নির্মল ভারত অভিযান কর্মসূচির অধীনে এই কাজ করা হবে। পরিবেশকে বর্জ্য মুক্ত রাখার পাশাপাশি দূষণ নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট কতগুলি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যেমন আবর্জনা সর্বদা ডাস্টবিনে ফেলা, বাড়িতে পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনাকে রাখার জন্য আলাদা পাত্র ব্যবহার করা। এলাকাকে সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। এই প্রকল্প সফল হলে এই ব্লক জেলার মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সফল ব্লক হয়ে উঠবে।

নবাব মল্লিক

Digital Waste Management: কিউআর কোড দিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ! এমনটা আগে কখনও দেখেননি

উত্তর ২৪ পরগনা: বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় এবার ডিজিটালাইজেশন! বসিরহাটে কিউআর কোড ব্যবহার করে সংগ্রহ করা হবে বর্জ্য। যে উদ্যোগ ইতিমধ্যেই সারা ফেলে দিয়েছে মানুষের মধ্যে।

ইছামতি নদীর তীরে সীমান্ত শহর বসিরহাট। জেলা তথা রাজ্যে জন ঘনত্বের নিরিখে প্রথম সারিতে অবস্থান শহর বসিরহাটের। আর এই শহর বসিরহাটের উপর দিয়েই ভারত-বাংলাদেশের ঘোজাডাঙা সীমান্তে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চলে। নিত্যদিনে যানজটে জর্জরিত বসিরহাট শহর। জনঘনত্বের বেড়াজালে বর্জ্য ব্যবস্থনাপনায় রাজ্যে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। বসিরহাট পুরসাভার ২৩ টি ওয়ার্ড থেকে প্রতিদিন ৩৫ টন আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়। যা থেকে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। তবে বসিরহাট পুরসভা প্রতিদিন বাড়ি থেকে দৈনন্দিন সঠিক পরিমাণে বর্জ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে কিনা তা জানতে এবার বর্জ্য সংগ্রহকারী প্রতিটি বালতিতে বসাবে কিউআর কোড।

আর‌ও পড়ুন: চিকিৎসকের অভাবে সঙ্কটে রায়দিঘির হাসপাতাল

বসিরহাট পুরসভার ট্যাক্স সহ একাধিক পরিষেবা ইতিমধ্যে ডিজিটাল হয়ে গিয়েছে। এবার বর্জ্য সংগ্রহকে ও তারা ডিজিটাল করল। বর্জ্য সংগ্রহকারী বালতিতে বসানো কিউআর কোড থেকে জানা যাবে যে কারা কবে বর্জ্য পদার্থ পুরসভার কাছে জমা দিচ্ছে। একটা সুস্থ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

জুলফিকার মোল্যা