Tag Archives: Chattisgarh

Hula Party: গোটা দেশ ব্যর্থ, মধ্যপ্রদেশ থেকে হাতি তাড়িয়ে ছত্তিশগড়ে পৌঁছে দিল বাংলার ছেলেরা

পশ্চিম মেদিনীপুর: অবশেষে মিশন সফল করে বাড়িতে ফিরছেন। পাহাড়ি এলাকার দুর্গম পথ চার দিনে পেরিয়ে হাতিকে পৌঁছে দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশ থেকে ছত্তিশগড়ে। মধ্যপ্রদেশে গিয়ে বাংলার ছেলেদের এই দামালপনা রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

যেখানে এক এক করে ব্যর্থ হয়েছে বন বিভাগ থেকে শুরু করে দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত হুলা পার্টি, সেখানে দুর্গম পথ পেরিয়ে সফল হয়েছে খড়গপুরের হুলা টিম। জেলা ছাড়িয়ে মধ্যপ্রদেশে হাতি তাড়াতে ডাক পড়েছিল খড়গপুরের এই হুলা টিমের। সমতলে হাতি তাড়ানোয় দক্ষ হলেও পাহাড়ি এলাকায় হাতি তাড়ানো রীতিমত চ্যালেঞ্জিং ছিল তাদের কাছে।

নিজেদের মুখ রক্ষা করতে পারবে কিনা তা নিয়ে বেশ সংশয় ছিল। অবশেষে সেই সংশয় কাটিয়ে দুর্গম পাহাড়ি পথ পেরিয়ে মধ্যপ্রদেশের জনবহুল এলাকায় ঢুকে পড়া হাতিকে পৌঁছে দিল ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে।

আরও পড়ুন: চোখের নিমেষে গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি! ভিডিও দেখলে বুক কেঁপে উঠবে

কর্নাটকের হুলা টিম ফেল করায় হাতি তাড়াতে ডাক পড়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডার বাপি মাহাত, আকাশ মাহাত, বাবলু মাহাত, মথুর মাহাতদের।

মধ্যপ্রদেশের অনুপপুর বন বিভাগের দুটি হাতিকে তাড়াতে রাতের ঘুম উড়েছিল গ্রামবাসীদের। আশঙ্কায় ছিল বন বিভাগ। অবশেষে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরের হুলা টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মধ্যপ্রদেশ নিয়ে যায় সেই রাজ্যের বন বিভাগের আধিকারিকরা। শনিবার মধ্যপ্রদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ১৪ জনের একটি দল। অবশেষে পাহাড়ি এলাকায় হাতি তাড়িয়ে বাংলায় ফিরছে তারা। হুলা টিমের সদস্য আকাশ মাহাত বলেন, আমরা সমতল এলাকায় হাতি তাড়াতে অভ্যস্ত। তবে এবার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সফল হয়ে ভাল লাগছে। বাংলার দামাল ছেলেদের এই কৃতিত্বকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই।

রঞ্জন চন্দ

Job Placement Record Salary: IIT-কে রীতিমতো টক্কর, এই কলেজে পড়ে মিলল ৮৫ লক্ষ টাকা প্যাকেজের চাকরি! কীভাবে ভর্তি?

প্রায়শই দেখা যায়, দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করার পর তরুণ-তরুণীরা ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা ডাক্তারি পড়তে চান। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পিছনে উদ্দেশ্য হল, ভাল বেতনের একটা চাকরি পাওয়া। আর যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান, তাঁরা আইআইটি অথবা এনআইটি থেকেই তা পড়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন। এর জন্য অবশ্য জেইই মেন অথবা জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে হয়।
প্রায়শই দেখা যায়, দ্বাদশ শ্রেণী পাশ করার পর তরুণ-তরুণীরা ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা ডাক্তারি পড়তে চান। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পিছনে উদ্দেশ্য হল, ভাল বেতনের একটা চাকরি পাওয়া। আর যাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চান, তাঁরা আইআইটি অথবা এনআইটি থেকেই তা পড়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন। এর জন্য অবশ্য জেইই মেন অথবা জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করতে হয়।
পাশ না করলে আর সেসব জায়গা থেকে পড়ার স্বপ্নপূরণ হবে না। যদি কেউ এই উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তাহলে তিনি কোথায় ভর্তি হবেন এবং কোথায় প্লেসমেন্টের মাধ্যমে একটি ভাল বেতনের প্যাকেজ-সহ চাকরি পাবেন, তা নিয়ে একটা চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।
পাশ না করলে আর সেসব জায়গা থেকে পড়ার স্বপ্নপূরণ হবে না। যদি কেউ এই উভয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন, তাহলে তিনি কোথায় ভর্তি হবেন এবং কোথায় প্লেসমেন্টের মাধ্যমে একটি ভাল বেতনের প্যাকেজ-সহ চাকরি পাবেন, তা নিয়ে একটা চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।
তাই আজকের প্রতিবেদনে আমরা একটি দুর্দান্ত কলেজের কথা বলতে চলেছি। যেখান থেকে প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৮৫ লক্ষ টাকা বেতনের প্যাকেজ পাওয়া যায়। এখানে যে কলেজটির কথা বলছি, সেটি হল - ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি নয়া রায়পুর (আইআইআইটি-এনআর)।
তাই আজকের প্রতিবেদনে আমরা একটি দুর্দান্ত কলেজের কথা বলতে চলেছি। যেখান থেকে প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ৮৫ লক্ষ টাকা বেতনের প্যাকেজ পাওয়া যায়। এখানে যে কলেজটির কথা বলছি, সেটি হল – ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি নয়া রায়পুর (আইআইআইটি-এনআর)।
এখানকার বি.টেকের ছাত্রী রাশি বগ্গা গত বছর ৮৫ লক্ষ টাকার বার্ষিক চাকরির প্যাকেজ পেয়েছিলেন। আর এটাই ছিল ২০২৩ সালে আইআইআইটি-এনআর-এর কোনও পড়ুয়াকে দেওয়া সর্বোচ্চ প্যাকেজ। রাশি বগ্গা এই অফারের আগে অবশ্য অন্য একটি কোম্পানি থেকে ভাল চাকরির অফার পেয়েছিলেন। তিনি সক্রিয় ভাবে আরও ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত এই দুর্দান্ত চাকরির প্রস্তাব পেতে সফল হন।
এখানকার বি.টেকের ছাত্রী রাশি বগ্গা গত বছর ৮৫ লক্ষ টাকার বার্ষিক চাকরির প্যাকেজ পেয়েছিলেন। আর এটাই ছিল ২০২৩ সালে আইআইআইটি-এনআর-এর কোনও পড়ুয়াকে দেওয়া সর্বোচ্চ প্যাকেজ। রাশি বগ্গা এই অফারের আগে অবশ্য অন্য একটি কোম্পানি থেকে ভাল চাকরির অফার পেয়েছিলেন। তিনি সক্রিয় ভাবে আরও ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত এই দুর্দান্ত চাকরির প্রস্তাব পেতে সফল হন।
আইআইআইটি-এনআর এর আর এক ছাত্র যোগেশ কুমার। তিনি একটি বহুজাতিক সংস্থা থেকে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের পদের জন্য বার্ষিক ৫৬ লক্ষ টাকার চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন।
আইআইআইটি-এনআর এর আর এক ছাত্র যোগেশ কুমার। তিনি একটি বহুজাতিক সংস্থা থেকে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের পদের জন্য বার্ষিক ৫৬ লক্ষ টাকার চাকরির প্রস্তাব পেয়েছেন।
২০২০ সালে আইআইআইটি-এনআর এর ছাত্র রবি কুশওয়াহা একটি বহুজাতিক কোম্পানি থেকে বার্ষিক ১ কোটি টাকা প্যাকেজের চাকরির প্রস্তাব পেয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট কলেজের প্লেসমেন্ট অফিস জানিয়েছে যে, বর্তমান ব্যাচের গড় সিটিসি বার্ষিক ১৬.৫ লক্ষ টাকায় সংশোধিত হয়েছে। যার মধ্যে গড় সিটিসি হল বছরে ১৩.৬ লক্ষ টাকা৷
২০২০ সালে আইআইআইটি-এনআর এর ছাত্র রবি কুশওয়াহা একটি বহুজাতিক কোম্পানি থেকে বার্ষিক ১ কোটি টাকা প্যাকেজের চাকরির প্রস্তাব পেয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট কলেজের প্লেসমেন্ট অফিস জানিয়েছে যে, বর্তমান ব্যাচের গড় সিটিসি বার্ষিক ১৬.৫ লক্ষ টাকায় সংশোধিত হয়েছে। যার মধ্যে গড় সিটিসি হল বছরে ১৩.৬ লক্ষ টাকা৷
কিন্তু এখানে ভর্তি হতে গেলে কী কী করতে হবে। এর জন্য প্রার্থীদের জেইই মেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এর পরে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সমস্ত নির্বাচিত প্রার্থীদের JoSAA কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার জন্য ডাকা হয়। কাউন্সেলিং রাউন্ডে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য আইআইআইটি নয়া রায়পুরে আসন বরাদ্দ করা হবে। JoSAA কাউন্সেলিংয়ের ভিত্তিতে ৫০% আসন বরাদ্দ করা হয় এবং বাকি ৫০% ছত্তিশগড় কোটার মাধ্যমে পূরণ করা হয়।
কিন্তু এখানে ভর্তি হতে গেলে কী কী করতে হবে। এর জন্য প্রার্থীদের জেইই মেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এর পরে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সমস্ত নির্বাচিত প্রার্থীদের JoSAA কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ার জন্য ডাকা হয়। কাউন্সেলিং রাউন্ডে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের জন্য আইআইআইটি নয়া রায়পুরে আসন বরাদ্দ করা হবে। JoSAA কাউন্সেলিংয়ের ভিত্তিতে ৫০% আসন বরাদ্দ করা হয় এবং বাকি ৫০% ছত্তিশগড় কোটার মাধ্যমে পূরণ করা হয়।
আইআইআইটি-এনআরে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র: ১. দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর মার্কশিট ২. প্রবেশিকা পরীক্ষার স্কোরকার্ড (জেইই মেইনস/গেট/ইউজিসি-নেট)৩. আবেদনপত্রের প্রিন্ট-আউট ৪. ফটো আইডি কার্ড ৫. কাস্ট সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়) ৬. এনটিপিসি কর্মচারী শংসাপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়) ৭. মেডিকেল সার্টিফিকেট
আইআইআইটি-এনআরে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র: ১. দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর মার্কশিট ২. প্রবেশিকা পরীক্ষার স্কোরকার্ড (জেইই মেইনস/গেট/ইউজিসি-নেট)
৩. আবেদনপত্রের প্রিন্ট-আউট ৪. ফটো আইডি কার্ড ৫. কাস্ট সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য হয়) ৬. এনটিপিসি কর্মচারী শংসাপত্র (যদি প্রযোজ্য হয়) ৭. মেডিকেল সার্টিফিকেট

Maoist attack: সুকমায় আইইডি বিস্ফোরণ মাওবাদীদের, নিহত দুই সিআরপিএফ জওয়ান

সুকমা: ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় ফের মাওবাদী হানায় নিহত হলেন দুই সিআরপিএফ জওয়ান, আহত আরও অনেকে। দেশের মাওবাদী উপদ্রুত এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম ছত্তীসগঢ়ের সুকমা।

আরও পড়ুন: ক্যানের দুধ কিনলে এবার দিতে হবে জিএসটি! কিসের খরচ কমল, কিসেরই বা বাড়ল, শোনালেন অর্থমন্ত্রী

সূত্রের খবর, রবিবার বিস্পোরণের সময় একটি ট্রাকে করে যাচ্ছিলেন সিআরপিএফের জওয়ানরা। দুপুর ৩টে নাগাদ জগর গুণ্ডা থানা এলাকার সিলবের এবং টেকুলগুডেমের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় কোবরা ২০১ ব্যাটেলিয়নের দুই জওয়ানের। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন কেরালার বিষ্ণু আর এবং উত্তরপ্রদেশের শৈলেন্দ্র।

বিস্ফোরণের খবর পাওয়ার পরেই সেখানে ছুটে যায় উদ্ধারকারী দল। আহত জওয়ানদের উদ্ধার করে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত সপ্তাহেই ছত্তীসগঢ়ের মাড় অঞ্চলে মাওবাদী দমনে বড়সড় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। সেই অভিযানে ৮ জন মাওবাদী নিহত হয়। শুধু তাই নয়, এক দিন আগেই সুকমায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে মাওবাদী শিবির থেকে জালনোট চক্রের হদিস পায়, সেখান থেকে টাকা ছাপার মেশিন, কালি, জালনোট উদ্ধার করে। সেই অভিযানে পুলিশের সঙ্গে ছিল, ডিস্টিক্ট রিজার্ভ গার্ড এবং সিআরপিএফ। তারপরেই রবিবার আইইডি বিস্ফোরণ ঘটাল মাওবাদীরা। এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই।

Lok Sabha Election Results 2024: জিতেছে এনডিএ, আঙুল কেটে কালীকে উৎসর্গ করলেন বিজেপি সমর্থক

বলরামপুর, ছত্তীসগড়: সকালে উঠে প্রাথমিক ট্রেন্ডে দেখেছিলেন কংগ্রেস বিজেপির থেকে এগিয়ে। মনমরা হয়ে কালী মন্দিরে ছোটেন দুর্গেশ পাণ্ডে নামের এক বিজেপির সমর্থক, তাঁর একটাই প্রার্থনা ছিল, ‘বিজেপি যেন জেতে’। ‍

আরও পড়ুন: চিরাগ পাসোয়ান থেকে কুমারস্বামী- মোদির মন্ত্রিসভায় কারা? বাংলা থেকেই বা কে মন্ত্রী হতে পারেন?

পরে যত সময় যায়, দেখা যায় যে বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেতে চলেছে। শুধু তাই নয়, বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৭২টি আসন পেরিয়ে গিয়েছে। স্বভাবতই তিনি নিশ্চিত হন যে এবারও সরকার গড়তে চলেছে এনডিএ। সেই আনন্দে আবার কালী মন্দিরে যান এবং বাঁ হাতের আঙুল কেটে কালীকে উৎসর্গ করেন। আঙুল কাটার ফলে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল মন্দির। সেই যুবক একটি কাপড়ের টুকরো দিয়ে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করলেও রক্ত বন্ধ হয়নি।

পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ওই যুবককে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় তাঁর পরিবার। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে দুর্গেশকে মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা রক্ত বন্ধ করার জন্য অপারেশন করেন। যদিও চিকিৎসায় দেরি হয়েছে বলে কাটা আঙুল আর জোড়া লাগানো যায়নি। তবে চিকিৎসার ফলে ওই বিজেপির সমর্থকের বিপদ এখন অনেকটাই কেটেছে। সমস্ত ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে ওই যুবক জানিয়েছে, “বিজেপি এবার সরকার গড়বে তাতে আমি খুশি, তবে ৪০০ পার করলে আরও খুশি হতাম।

বলুন তো ভারতের কোন রাজ্যে মদের বিক্রি সবচেয়ে বেশি? বাংলার নাম ধারে-কাছে নেই!

মদ্যপাননের শখ অনেকের। আবার অনেকের মদ্যপানের নেশা। তবে বহু মানুষ আছেন যাঁরা নিয়মিত মদ্যপান করেন।
মদ্যপাননের শখ অনেকের। আবার অনেকের মদ্যপানের নেশা। তবে বহু মানুষ আছেন যাঁরা নিয়মিত মদ্যপান করেন।
মদ্যপান একেবারেই পছন্দ করেন না, এমন মানুষও প্রচুর। তবে আজ আমরা এমন এক রাজ্যের কথা বলব, যেখানে মদের বিক্রি সবচেয়ে বেশি।
মদ্যপান একেবারেই পছন্দ করেন না, এমন মানুষও প্রচুর। তবে আজ আমরা এমন এক রাজ্যের কথা বলব, যেখানে মদের বিক্রি সবচেয়ে বেশি।
যাঁরা শখে মদ্যপান করেন, তাঁরা গ্লাস হাতে তোলেন মাঝেসাঝে। তবে নিয়মিত মদ্যপান করেন যাঁরা, সেই হিসেবেই আমরা আজ এই প্রতিবেদন লিখছি।
যাঁরা শখে মদ্যপান করেন, তাঁরা গ্লাস হাতে তোলেন মাঝেসাঝে। তবে নিয়মিত মদ্যপান করেন যাঁরা, সেই হিসেবেই আমরা আজ এই প্রতিবেদন লিখছি।
মদের বিক্রিকতে দেশের মধ্যে এক নম্বর রাজ্য ছত্তিশগঢ়। সেখানে ৩ কোটি মানুষের বাস। তার মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ মদ্যপান করেন।
মদের বিক্রিকতে দেশের মধ্যে এক নম্বর রাজ্য ছত্তিশগঢ়। সেখানে ৩ কোটি মানুষের বাস। তার মধ্যে প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষ মদ্যপান করেন।
মদ্যপানে এগিয়ে থাকা দ্বিতীয় রাজ্য ত্রিপুরা। সেখানে প্রায় ৩৪ শতাংশ মানুষ মদ্যপান করেন।
মদ্যপানে এগিয়ে থাকা দ্বিতীয় রাজ্য ত্রিপুরা। সেখানে প্রায় ৩৪ শতাংশ মানুষ মদ্যপান করেন।
তিন নম্বরে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখানেও প্রায় ৩৪ শতাংশ মানুষ মদ্যপান করে বলে জানা যায়।
তিন নম্বরে অন্ধ্রপ্রদেশ। সেখানেও প্রায় ৩৪ শতাংশ মানুষ মদ্যপান করে বলে জানা যায়।
চার নম্বরে পঞ্জাব। সেখানে প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ নিয়মিত মদ্যপান করেন।
চার নম্বরে পঞ্জাব। সেখানে প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ নিয়মিত মদ্যপান করেন।
তালিকায় পাঁচ নম্বরে অরুণাচল প্রদেশ। সেখানেও প্রায় ২৭ শতাংশ মানুষ মদ্যপান করেন।
তালিকায় পাঁচ নম্বরে অরুণাচল প্রদেশ। সেখানেও প্রায় ২৭ শতাংশ মানুষ মদ্যপান করেন।
৬ ও ৭ নম্বরে যথাক্রমে রয়েছে গোয়া ও কেরল।
৬ ও ৭ নম্বরে যথাক্রমে রয়েছে গোয়া ও কেরল।
৮ নম্বরে রয়েছে বাংলা। এখানে প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ নিয়মিত মদ্যপান করেন।
৮ নম্বরে রয়েছে বাংলা। এখানে প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ নিয়মিত মদ্যপান করেন।

Naxal Attack: ‘নকশাল কাকু, আমার বাবাকে ফিরিয়ে দাও প্লিজ’, কাঁদতে কাঁদতে বলছে ৫ বছরের মেয়েটা

#জম্মু: নকশাল, মাওবাদী মানে কী, পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়েটা বোঝে না৷ কিন্তু সে এটুকু বুঝেছে, নকশালরাই তার বাবাকে আটকে রেখেছে৷ ছত্তীসগড়ের বিজাপুরে মাওবাদী হামলার পর অপহৃত সিআরপিএফ জওয়ান রাকেশ্বর সিং মানহসের পাঁচ বছরের ‘ছোট্ট পরী’ এ দিন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বাবাকে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছে৷ ছোট্ট মেয়েটির কান্নাভেজা গলার কথাগুলো যে কাউকে নাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট৷

রাঘবি নামে পাঁচ বছরের ওই শিশুকন্যা নকশাল কাকুদের উদ্দেশে বলেছে, ‘পাপার পরী পাপাকে খুব মিস করছে৷ আমি আমার বাবাকে খুব ভালবাসি৷ প্লিজ নকশাল আঙ্কেল, আমার বাবাকে বাড়ি পাঠিয়ে দাও!’

পাঁচ বছরের মেয়েটা যখন এই কথাগুলি বলছে, তার দু’ চোখ বেয়ে জলের ধারা নেমে আসছে৷ ছোট্ট মেয়েটার চোখে জল দেখে পরিবারের বাকিরাও কান্নায় ভেঙে পড়েছে৷ উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও হয়তো কারও কারও চোখের পাতা চিক চিক করে উঠেছে৷ কিন্তু যাদের উদ্দেশে তার এই আবেদন, তাদের মন কি ভিজবে?

শনিবার ছত্তীসগড়ের বিজাপুরে মাওবাদী হামলায় নিহত হন ২৩ জন সিআরপিএফ জওয়ান৷ এখনও খোঁজ নেই জম্মুর বাসিন্দা রাকেশ্বর সিং মানহসের৷ মনে করা হচ্ছে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে মাওবাদীরা৷ ফলে নিখোঁজ জওয়ানের বাড়ির আর সবার মতো ছোট্ট মেয়েটাও বাবার ফিরে আসার খবরের অপেক্ষায় রয়েছে৷ ওই নিখোঁজ জওয়ানের মেয়েই শুধু নয়, তাঁর ৭ বছর বয়সি ভাইপোও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কাছে তার কাকুর খোঁজ জানতে চেয়েছে৷

এই দুঃসংবাদ আসার পরই রাকেশ্বরের বাড়িতে চলে এসেছেন তাঁর আত্মীয়রা৷ চিন্তায় ঘুম উড়েছে প্রত্যেকের৷ আগামী ১৫ এপ্রিলই পারিবারিক একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়িতে আসার কথা ছিল নিখোঁজ জওয়ানের৷

রাকেশ্বর নামে ওই জওয়ানের স্ত্রী মিনু বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে ফোনে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়৷ উনি জানিয়েছিলেন একটা অভিযানে যাচ্ছেন, ফিরে এসে ফোন করবেন৷ যখন টেলিভিশনে এই হামলার খবর জানতে পারলাম, দুশ্চিন্তায় বার বার ওকে ফোন করছিলাম৷ কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি৷’

স্বামীকে ফোনে না পেয়ে তাঁর এক সহকর্মীকে ফোন করেন মিনু৷ তিনি তখন জানান, রাকেশ্বর অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন৷ মিনুর দাবি, এর পর সোমবার বিকেলে বিজাপুর থেকে স্থানীয় সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করেন৷ ওই ব্যক্তি রাকেশ্বরের স্ত্রীকে বলেন, তিনি যেন তাঁর স্বামীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়ে মাওবাদীদের কাছে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অনুরোধ করেন৷

মিনু বলেন, ‘ওই ব্যক্তি আমাকে বলেন যে আমার স্বামীকে মাওবাদীরা অপহরণ করেছে এবং আমি যেন ভিডিও রেকর্ড করে তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি৷ আমি ভিডিও রেকর্ড করে ওই ব্যক্তিকে পাঠিয়েও দিয়েছি৷ কিন্তু বিজাপুরে থাকা কেউ কী ভাবে আমার ফোন নম্বর পেলেন, এটা আমি বুঝতে পারছি না৷ এই বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত৷’

মিনু আশাবাদী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর স্বামীকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবেন৷ তাঁর কথায়, ‘পাকিস্তান থেকে উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ আমি আশাবাদী আমার স্বামীকেও নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবেন তিনি৷’ মিনু অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর মেয়ে এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারছে না ঠিক কী হয়েছে৷ কিন্তু বাবার জন্য আশঙ্কায় একটানা কেঁদে চলেছে সে৷ মিনু বলেন, ‘ঠিক কী হয়েছে সেটা তো ওর পক্ষে বোঝা কঠিন৷ কিন্তু এত মানুষ বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করছে দেখে ও সমানে কেঁদে চলেছে আর প্রত্যেককে অনুরোধ করছে যাতে ওর বাবাকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়৷’

নিখোঁজ জওয়ানের ৭৫ বছর বয়সি মা-ও আশাবাদী, মাওবাদীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁর ছেলেকে নিরাপদে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে সরকার৷ সন্তানের জন্য চিন্তায় কাতর বৃদ্ধা বলেন, ‘আমার স্বামীও সিআরপিএফ-এ ছিলেন৷ তিনি দেশের জন্য শহিদ হয়েছিলেন৷ আমরা আশাবাদী আমার ছেলেকে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার চেষ্টার ত্রুটি রাখবে না৷’

সিআরপিএফ-এর তরফে নিখোঁজ জওয়ানদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারও নিখোঁজ জওয়ানদের ফেরাতে সবরকম চেষ্টা করবে বলে দাবি করা হয়েছে৷

জম্মুতে সিআরপিএফ-এর সদর দফতরের কম্যান্ড্যান্ট পি সি গুপ্তা নিখোঁজ জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে বলেন, ‘আমি এখানে এসে নিখোঁজ জওয়ানের পরিবারকে আশ্বস্ত করেছি যে আমরা এবং কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের পাশেই রয়েছি৷ আমরা আমাদের সাহসী জওয়ানদের এই অভিযানে হারিয়েছি৷ তবে আমরা এই পরিবারকে আশ্বস্ত করছি যে তাঁরা তাঁদের ছেলেকে ফিরে পাবে৷’