Tag Archives: Cyclist

Accident: মার্সিডিজ পিষে দিল সাইকেল, কাকভোরে ঘটল ভয়াবহ দুর্ঘটনা!

নয়াদিল্লি: পুনে কাণ্ডের ছায়া এবার খোদ রাজধানী শহর দিল্লিতে। শনিবার, দিল্লির আশ্রম এলাকায় এক সাইকেল আরোহীকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি মার্সিডিজ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই সাইকেল আরোহীর।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম রাজেশ, তিনি মদনপুরের খাদার এলাকার বাসিন্দা। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা গিয়েছে তিনি ওইদিন সকালে আশ্রম এলাকার উড়ালপুলের উপর দিয়ে সাইকেল হাঁটিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়েই দ্রুতগতিতে আসা মার্সিডিজটি সজোরে সাইকেল-সহ রাজেশকে ধাক্কা মারে। ঘটনার অভিঘাতে সেখানেই মারা যান রাজেশ। দুমড়ে মুচড়ে যায় সাইকেলটিও। এরপরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান চালক।

আরও পড়ুন: মেঘ ভাঙা বৃষ্টি-হড়পা বানে বিপর্যস্ত হিমাচল, মৃত ৩১! বন্ধ বহু রাস্তা

অবশ্য পরে চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার সময় তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হবে জানানো হয়।
উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে, ১৯মে পুনে শহরে এমনই এক বিলাসবহুল গাড়ি পোর্শে ২ ইঞ্জিনিয়ারকে পিষে দেয় এক কিশোর। তা নিয়ে পথচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু, এখানেই থেমে থাকে নি পর পর ঘটনা ঘটতেই থাকে। কখনও মুম্বইয়ের ঠানে কিংবা নাসিকে একের পর এক পথ দুর্ঘটনায় পথচারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবারে এই ঘটনায় যোগ হল দিল্লির নাম। আবারও প্রশ্ন উঠল, হুঁশ ফিরবে কবে?

Bangla Video: নেশামুক্ত ভারত গড়তে সাইকেলে কেদারনাথ যাত্রা

আলিপুরদুয়ার: লক্ষ্য নেশা মুক্ত দেশ গড়া। আর তাই সাইকেলে করে কেদারনাথ যাত্রায় বের হলেন ফালাকাটার যুবক কৃষ্ণেন্দু দে। তাঁর এই পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই গোটা জেলায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

শখের বশেই হোক বা মানসিক কোনও সমস্যা, ক্রমশ নেশার অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে যুব সমাজ। মূলস্রোতে তাঁদের ফিরিয়ে আনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছে না। শরীরচর্চার বিষয়টি একদম মাথায় থাকছে না কারোর। এদিকে কৃষ্ণেন্দু দে-র মতে, শরীরচর্চা মানে শুধু যোগব্যায়াম নয়। খেলাধুলো, সাইকেলিং’ও এর মধ্যে পড়ে। এই বার্তাই যুব সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে তাঁর এই যাত্রা।

আর‌ও পড়ুন: শঙ্খ ধ্বনি, ফ্ল্যাশ লাইটে নতুন স্বাধীনতার ভোর দেখল কাটোয়া

ফালাকাটা থেকে কেদারনাথের দূরত্ব প্রায় ২০০০ কিলোমিটার। পৌঁছতে ঠিক কতদিন সময় লাগবে তা জানা নেই কৃষ্ণেন্দুর। তবে এই যাত্রা পথে যতগুলি গ্রাম পড়বে প্রতিটিতে গিয়ে তিনি নেশা সম্পর্কে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেবেন। কৃষ্ণেন্দু দে-কে এই কাজে সহায়তা করেছেন তাঁর বন্ধুরা। কেদারনাথ যাত্রায় তাঁর যাবতীয় খরচপাতি বন্ধুরা নিজেদের উদ্যোগে জোগাড় করে দিয়েছেন। পরবর্তীতে আরও অর্থের প্রয়োজন হলে সেটাও তাঁরা জোগাড় করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অনন্যা দে

Nepali Cyclist: ১৯৬ দেশ ভ্রমণের ইচ্ছা! নেপালি তরুণের সঙ্গী সাইকেল আর তাঁবু, পৌঁছলেন হাওড়ায়

হাওড়া: ১৯৬টা দেশ ভ্রমণের ইচ্ছা। সাইকেল নিয়ে যাত্রা শুরু করলেন নেপালের যুবক রোশন লামিচান। নেপাল থেকে যাত্রা শুরু করে, বাংলাদেশ হয়ে ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় এসে পৌঁছান রোশন। সাইকেল চালিয়ে বিশ্ব ভ্রমণ। তাঁর এই অভিযানের উদ্দেশ্য, একটানা কয়েক বছর সাইকেল চড়ে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দেওয়া। এই যাত্রায় রোশনের সঙ্গী সাইকেল। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রয়োজনীয় কিছু সামগ্রী। সাইকেলের সামনে পিছনে বাধা রয়েছে নেপালের জাতীয় পতাকা। সাইকেলের সামনে বাঁধা ব্যানারে পরিবেশ বাঁচাতে বৃক্ষরোপণ এবং প্রাণ বাঁচাতে রক্তদানের বার্তা।

আরও পড়ুন: যে কোনও ডাল খাচ্ছেন? ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে! মুগ নাকি মুসুর… কোনটি স্বাস্থ্যকর? বলছেন চিকিৎসক

বাইসাইকেল চালিয়ে বিশ্ব ভ্রমণে বেরিয়েছেন নেপালের ২৮ বছরের যুবক রোশন লামিচান। তিনি নেপাল থেকে সাইকেল চালিয়ে ভারতের শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাবান্ধা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ছোটবেলা থেকেই ভ্রমণে আগ্রহী। রোশনের বসবাস নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে | শখের বসেই নিজের সাইকেল নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছেন বলে জানালেন রোশন। তিনি জানান, স্কুলে পড়ার সময় থেকে ইচ্ছা ছিল তিনি সাইকেলে বিশ্বভ্রমণ করবেন। তাঁর দেশ থেকে সাইকেল চালিয়ে সারা বিশ্ব ঘুরেছেন, এমন মানুষদের দেখেই এই উৎসাহ। আর সেই ইচ্ছা থেকে সাইকেলে চেপে নেপাল হয়ে বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ।

সাইকেল চড়ে পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিচ্ছে রোশন। পরিবেশ বাঁচাতে বৃক্ষরোপণ, জীবন বাঁচাতে রক্তদান-সহ একাধিক পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন। হাওড়ার ইন্ডিয়ান রেড ক্রস সোসাইটির ডিস্ট্রিক্ট কোঅর্ডিনেটর মন্দিরা চৌধুরী জানান, এই উদ্যোগ অভাবনীয়। পরিবেশ বাঁচাতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই দিক থেকে রোশনের হাওড়া পৌঁছানো থেকে, হাওড়া ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত তাঁকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে হাওড়া রেড ক্রস সোসাইটি।

রাকেশ মাইতি

Cycle Trip: সাইকেল নিয়ে বিশ্ব ভ্রমণ, সঙ্গে সবুজানের বার্তা! প্রসেনজিতকে কুর্নিশ

দক্ষিণ দিনাজপুর: সাইকেল নিয়ে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করায় এক অন্যরকম আনন্দ রয়েছে। তা প্রথম এক বাঙালি ভূপর্যটকের কাছ থেকেই জানা গিয়েছিল। সাইকেলে করে ১২ বছর ধরে সারা বিশ্বভ্রমণের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাঙালি ভূপর্যটক বিমল মুখোপাধ্যায়ের নাম। তাঁকে অনুপ্রেরণা করে সেই একই পথে পা বাড়িয়েছেন লালবাগের প্রসেনজিৎ দাস।

গত কিছুদিন ধরেই তীব্র তাপপ্রবাহে নাজেহাল রাজ্যের মানুষ। পরিবেশের ব্যাপক বদল হচ্ছে৷ ব্যাপক পরিমাণে গাছ লাগানো প্রয়োজন। দিন দিন বিশ্ব উষ্ণায়ন বাড়ছে। তবু একটা বড় অংশের মানুষ অদ্ভুতভাবে উদাসীন থেকে গিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে গাছ লাগানো এবং সবুজায়নের বার্তা নিয়ে সাইকেলে করে ভারত ভ্রমণে বের হলেন মুর্শিদাবাদের লালবাগের যুবক প্রসেনজিৎ দাস। ২০২১ সালে সাইকেল করে দেশের ২০ টি রাজ্য ও ৬ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘুরেছেন তিনি। এবার সাইকেল করে বিশ্ব ভ্রমণ করার ইচ্ছে।

আর‌ও পড়ুন: আম পাগল নাতির জন্য বাড়ির ছাদেই আস্ত আমবাগান তৈরি করল দাদু!

এই বিষয়ে প্রসেনজিৎ জানান, সুস্থ পরিবেশ আর শান্তির বার্তা দিতেই তাঁর এই বিশ্বভ্রমণ। ইউটিউবে সাইকেল নিয়ে অনেকের বিশ্বভ্রমণের কথা তাঁকে আকৃষ্ট করেছে। এরপরই নিজের সাইকেলে ভর করে সেই স্বপ্নই পূরণ করার পথে তিনি এগিয়ে চলেছেন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ২৩ টি জেলা ভ্রমণ করবেন তিনি। গত ৩ জুন বিশ্ব সাইকেল দিবসে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন প্রসেনজিৎ। তাঁকে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Road Accident: বাসের ধাক্কায় ৩০ ফুট দূরে ছিটকে পড়লেন সাইকেল আরোহী! ছুটে এসে এলাকার মানুষ যা করল…

পূর্ব মেদিনীপুর: তমলুকে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক সাইকেল আরোহীর। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা পথ নিরাপত্তার দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এদিন দুর্ঘটনাটি ঘটে তমলুক থানার অন্তর্গত ডিমারি চৌরাস্তায় হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের উপর। প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা গিয়েছে, ওই সাইকেল আরোহী রাস্তা পারাপারের জন্য রাজ্য সড়কের উপর কিছুটা উঠেছিলেন। সেই সময় দ্রুত গতির একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে। বাসের চাকার তলায় চলে যায় সাইকেলটি। কানাইলাল শাসমল নামে ওই সাইকেল আরোহী প্রায় ৩০ ফুট দূরে ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রাই গুরুতর আহত সাইকেল আরোহীকে তুলে প্রথমে জানুবসান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে কানাইলালবাবু-কে তাম্রলিপ্ত মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: চলন্ত অটোর উপর ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান দোকান! গুরুতর জখম ৫

মৃতের বাড়ি তমলুক থানার পাকুড়িয়া গ্রামে। এদিকে দুর্ঘটনার পরই বাসচালক বাস রেখে পালিয়ে যায়। হলদিয়া-ঝাড়গ্রাম রুটের একটি বেসরকারি বাস ছিল। এর পরই পথ অবরোধ করে এলাকাবাসী। স্থানীয় মানুষজন পথ সুরক্ষা ও পথ নিরাপত্তার দাবিতে হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। তমলুক থানার পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয় এবং যানজটমুক্ত করে। প্রসঙ্গত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় প্রতিনিয়ত পথদুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। যা নিয়ে মানুষের মধ্যে খুব ও আতঙ্ক বাড়ছে। প্রশাসন নানান পদক্ষেপ নিলেও পরিস্থিতি পুরোপুরি যে নিয়ন্ত্রণে এসেছে তা বলা যাবে না।

সৈকত শী

Viral Young Man: সাইকেল নিয়ে দিনমজুরের অবাক কাণ্ড

কোচবিহার: সমাজ সচেতনতার বার্তা দেওয়া এবং দেশ ভ্রমণের ইচ্ছে। এই দুই বিষয়ে যখন একত্রে মিলে যায় তখন মানুষ করতে পারে না এমন কাজ বলতে গেলে নেই। এমনটাই প্রমাণ করে দিয়েছেন বাঁকুড়া জেলার এক যুবক। তাঁর নাম বিপ্লব সিংহ। তিনি পেশাগতভাবে একজন দিনমজুর। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ার রানিবাঁধ এলাকায়।

ছোট থেকেই তাঁর দেশ ঘুরে দেখার অদম্য ইচ্ছে। মূলত এই কারণেই একদিন সাইকেল নিয়ে দেশ ভ্রমণের বেরিয়ে পড়েন। তবে শুধুমাত্র দেশ ভ্রমণ নয়, পাশাপাশি দেশের মানুষকে সমাজ সচেতনতার বিভিন্ন বার্তা দিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত।

আরও পড়ুন: ৬ মাসের উপর বন্ধ চা বাগান, এখন চালু হল না ভাতা

বিপ্লব সিংহের সাইকেলের সামনে একটি ল্যামিনেশন করা কাগজের মধ্যে লেখা রয়েছে এই সমাজ সচেতনতার বার্তাগুলি। প্রথমত, ধূমপান ও মদ্যপান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এছাড়াও বাইক চালানোর সময় সব সময় হেলমেট পরা উচিত। তাতে নিজের জীবন যদি বাঁচে। তেমনই অন্যের জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়। দ্বিতীয়ত, পরিবেশ রক্ষা মানব সমাজের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই তো মাটি এবং গাছপালা রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য। যাত্রা শুরু করেছিল বাঁকুড়া থেকে। সেখান থেকে এসে যায় ভুটান পর্যন্ত। তারপর সেখান থেকে এসে যায় অরুণাচলপ্রদেশ। তবে তাঁর এখানেই ইচ্ছে শেষ হয়নি।গোটা দেশের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখা বাকি।

বিপ্লব সিংহ জানান, ছোট থেকেই তাঁর দেশ ঘুরে দেখার অদম্য ইচ্ছে ছিল। সামর্থের অভাবে এতদিন স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। পেশাগতভাবে দিনমজুরির কাজ করে সংসার চলে তাঁর। তবে কিছুদিন পূর্বে তাঁর এলাকার এক সমাজসেবী চিত্তরঞ্জন মাহাত তাঁকে উৎসাহ প্রদান করেন। তারপরেই তিনি সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দেশ ভ্রমণের উদ্দেশ্য।

এখনও পর্যন্ত ৩৬ দিনে প্রায় সাড়ে ছাব্বিশশো কিলোমিটার সাইকেল চালিয়েছেন। চলার পথে রাত্রিযাপন করতে তিনি থামছেন বিভিন্ন থানাগুলিতে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২২ টি থানায় রাত্রি যাপন করেছে। আগামী দিনে আরও অনেকটা পথচলার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।

সার্থক পণ্ডিত