Tag Archives: Development

Birthday of Alipurduar District: দশম জন্মদিন জেলার, কেক কেটে উন্নয়নের শপথ

আলিপুরদুয়ার জেলার দশম জন্মদিন পালিত হল ডুয়ার্সকন্যা ভবনে
আলিপুরদুয়ার জেলার দশম জন্মদিন পালিত হল ডুয়ার্সকন্যা ভবনে
কেক কেটে জেলার জন্মদিন উদযাপন করলেন জেলাশাসক আর বিমলা সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা
কেক কেটে জেলার জন্মদিন উদযাপন করলেন জেলাশাসক আর বিমলা সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা
এদিন দুপুরে ডুয়ার্সকন্যা প্রশাসনিক ভবনে হাজির হন জেলাশাসক সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানটি ছোট করে আয়োজিত হয়।
এদিন দুপুরে ডুয়ার্সকন্যা প্রশাসনিক ভবনে হাজির হন জেলাশাসক সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা। অনুষ্ঠানটি ছোট করে আয়োজিত হয়।
জন্মদিন পালনের পর আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন জেলাশাসকের সঙ্গে।
জন্মদিন পালনের পর আধিকারিকরা বৈঠকে বসেন জেলাশাসকের সঙ্গে।
জেলাশাসক আর বিমলা জানিয়েছেন,
জেলাশাসক আর বিমলা জানিয়েছেন, “১০ বছরে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সবেতেই এগিয়েছে জেলা। আরও উন্নয়ন করা হবে এই জেলাটির।”

Lok Sabha Election 2024: ভারতীয় ভূখণ্ডে পরাধীনের মত বসবাস! তবু ভোট দেয় গদাইচর

মালদহ: গদাইচর মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি গ্রাম। গঙ্গা নদীর চরে রয়েছে মালদহের এই গ্রাম। এক প্রান্তে বাংলা, অপর প্রান্তে ঝাড়খণ্ড। মাঝে গঙ্গার চরে গজিয়ে উঠেছে এই গ্রাম। তবে এই গ্রাম উন্নয়ন থেকে একে বারেই বঞ্চিত। এখনও গ্রামে পৌঁছায়নি বিদ্যুৎ। উন্নয়নের ছিটে ফোটাও পৌঁছায়নি এই গ্রামে। স্বাস্থ্য শিক্ষা থেকে শুরু করে সমস্ত রকম পরিসেবা থেকে প্রায় বঞ্চিত এই গ্রাম। এখনও এই গ্রামের যোগাযোগের মূল মাধ্যম নদীপথ। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে তবে চিকিৎসক নেই, প্রাথমিক স্কুল থাকলেও শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে পড়াশোনা হয় না বললেই চলে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষিকা এমনকি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা এখানে আসেন না নিয়মিত। ফলে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত গ্রামের বাসিন্দারা।

আর‌ও পড়ুন: প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি হচ্ছে শস, লাভের আশায় মিষ্টি কুমড়ো চাষ কৃষকদের

মালদহের অন্তর্গত এই গ্রামের বাসিন্দা বিজয় ঘোষ বলেন, রাস্তা না থাকায় রোগীদের নিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। এই গ্রামে কোন‌ওরকম উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও এখনও পৌঁছায়নি। তবে ভোটের সময় এলেই রাজনৈতিক দলগুলি নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়।

ভোট এলেইপ্রার্থীরা এলাকায় প্রতিশ্রুতির বানী নিয়ে হাজির হয়ে যান। তারপর অবশ্য তা আর কার্যকরী হয় না। ফলে গদাইচরের বাসিন্দারা সেই তিমিরেই রয়ে গেছেন। মালদহের মানিকচক ব্লকের হীরানন্দপুর পঞ্চায়েতে গদাইচর। বাংলা ভুখন্ডের একটি অংশ এই গদাইচর। যেখানে বসবাস করেন কয়েক হাজার পরিবার। আজও সেই গ্রামে জ্বলে না কোন‌ও আলো। রাত হলেই ভরসা লন্ঠন বা প্রদীপের আলো। একটু অর্থকরী পরিবারের ঘরে জ্বলে ব্যাটারির আলো। গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার মাহাতো বলেন, গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছায় নি এখনও। স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা নেই। এছাড়াও বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে আমাদের গ্রামে সমস্যার সমাধানে কেউ এগিয়ে আসে না তবে ভোটের সময় ভোট নিতে সকলেই আসেন। আমরা চাই গ্রামের উন্নয়ন।

আর‌ও পড়ুন: ডুয়ার্সের জঙ্গল দর্শনে ফরাসি রাষ্ট্রদূত, পরিদর্শন শেষে সন্তোষ না অসন্তোষ জানালেন?

তবে ভোটে অংশগ্রহন করেন তারা। পঞ্চায়েত থেকে লোকসভা সব ক্ষেত্রেই ভোটদান করেন গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু সরকারি সাহার্য্যের নূন্যতম পরিসেবা নেই এই গ্রামে।এই এলাকায় ভোটের সময় অস্থায়ী তাবুতে ভোটগ্রহণকেন্দ্র তৈরী করা হয়। দুইটি বুথ রয়েছে।প্রায় ১৪০০ভোটার। তবুও ভারত ভূখন্ডে পরধীনতার মতন বসবাস তাদের। উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছেছে ভুতনি চরে। এখনও বঞ্চিত গদাইচর।‌ আবারও লোকসভা নির্বাচন প্রতিশ্রুতির ঝুড়ি নিয়ে গ্রামে আসছেন ভোট প্রচারে রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু উন্নয়নের ছোঁয়া কি পৌঁছাবে এই গদাইচরে সেই প্রশ্নই এখন স্থানীয়দের মনে।

হরষিত সিংহ

Chief Minister Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রীর ছোঁয়ায় বদলে গেল গোটা গ্রাম, ঠিক কী হয়েছে?

জলপাইগুড়ি: অবশেষে ঘুচল এই গ্রামের শত কষ্ট। স্বপ্নের মত সেজে উঠেছে জঙ্গল ঘেরা এই গ্রাম। কার সুবাদে এই গ্রাম এত ঝাঁ চকচকে? মুখ্যমন্ত্রীর স্পর্শে জঙ্গল ঘেরা এই গ্রাম এখন বদলে গিয়েছে। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের দোসর হয়েছে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন।

আর‌ও পড়ুন: আমের মুকুল ঝরে যাচ্ছে? কী করবেন জেনে নিন

খোদ মুখ্যমন্ত্রীর স্পর্শে গ্রামের এই ভোল বদলে বেজায় খুশি গ্রামবাসীরা। জলপাইগুড়ি জেলার গরুমারা বনাঞ্চলের পার্শ্ববর্তী এলাকার রামসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বধুরাম বড় বস্তির এমন অবাক পরিবর্তন দেখে সকলে যেমন বিস্মিত তেমনই খুশি। এতদিন অবধি এই গ্রামের সকলে কোনওরকমে দিন যাপন করত। শৌচকর্মের জন্য যেতে হত বাড়ির বাইরের ঝোপে। এমনকি ছিল না বিদ্যুৎ বা পানীয় জলের সু-ব্যবস্থা। রাস্তাঘাটও ছিল বেহাল। কিন্তু এখন সেসব অতীত। সম্প্রতি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সরকারি তরফে সাজিয়ে তোলা হয়েছে এই গ্রামকে। এখন প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে আলাদা শৌচালয়। রাস্তাঘাট বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সুন্দর পরিবেশের স্বার্থে এই গ্রামের নানান জায়গায় অলঙ্কার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রাস্তার পাশে ল্যাম্পপোস্টে রয়েছে পানীয় জলের ব্যবস্থা। এক কথায় বাংলা বইয়ের কবিতার মত সুন্দর এই গ্রাম। জঙ্গল ভ্রমণে এলে এই গ্রামের উপর দিয়েই যেতে হয় পর্যটকদের। এই গ্রামের শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ তাঁরাও উপভোগ করে। শান্ত পরিবেশ, অচেনা পাখির ডাক আর চারদিকে ঘন সবুজের মাঝে হারিয়ে যেতে মন চাইবেই। মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন উদ্যোগে খুশি প্রতিটি গ্রামবাসী৷ আপাতত এই বসন্তে এখনও উৎসবের আমেজ এই গ্রামে।

সুরজিৎ দে