Tag Archives: Ex-students

Bangla Video: শতাব্দী প্রাচীন বটগাছ বাঁচাতে এ কী করল প্রাক্তনীরা! শুনলে ধন্য ধন্য করবেন

ঝাড়গ্রাম: মানুষের শরীর খারাপ বা বিপদ কিছু হলে আমরা কত কিছুই না করে থাকি। কিন্তু রাস্তার পাশের কোনও গাছের ক্ষতি হলে আমরা কজন অন্তত একবার ভাবি? দেখেও হয়ত কেউ দেখে না। তবে এবার প্রকৃতিকে বাঁচাতে এক অনন্য উদ্যোগ নিল শহরের একটি নামকরা বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা। সুপ্রাচীন বটগাছ বাঁচাতে একযোগে এগিয়ে এল পেশায় শিক্ষক, অধ্যাপক, চিকিৎসক সহ প্রাক্তনীরা।

ঝড়ে ভেঙে যাওয়া শতবর্ষ প্রাচীন বটগাছকে ফের মাটি খুঁড়ে প্রতিস্থাপন করা হল নিজের জায়গায়। যে ছবি সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে র‌ইল। এমনই ঘটনার সাক্ষী রইল জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম

আর‌ও পড়ুন: দু’দিনের বৃষ্টিতেই নদী উপচে বাড়িতে ঢুকে পড়েছে জল, ফের গারুই নদী সংস্কারের দাবি

‘ঝাড়গ্রাম তোমায় ফিরিয়ে দেব ঐতিহ্যের বটগাছ’, এই মন্ত্রকে সামনে রেখে ঝড়ে উপড়ে পড়া শতাব্দী প্রাচীন বটগাছকে পুনর্জীবন দিল ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশনের প্রাক্তনীরা। বৃহস্পতিবার রাতে প্রবল বৃষ্টিতে ঝাড়গ্রাম শহরের জেলাশাসক অফিস সংলগ্ন ট্রেজারি বিল্ডিংয়ের পাশে রাস্তার উপরে থাকা একটি শতাব্দী প্রাচীন বটগাছ মাটি থেকে উপড়ে পড়ে। সেই শতাব্দী প্রাচীন বটগাছকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন স্কুলের প্রাক্তনীরা।

বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা রাতারাতি একজোট হয়ে বটগাছটিকে পুনর্জীবন দেওয়ার পরিকল্পনা নেন। শুক্রবার সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে প্রাক্তন দুই ছাত্র তাদের জেসিবি মেশিন এবং হাইড্রোলিক মেশিন নিয়ে হাজির হয়। এরপর বটগাছের তলায় মাটি খোঁড়া এবং অন্যান্য সমস্ত প্রক্রিয়া মেনে ফের প্রতিস্থাপন করা হয় বটগাছটিকে। শুধু তাই নয় পরিবেশ বাঁচাতে সামান্য কিছুটা দূরে নতুন একটি বটগাছ রোপন করেন প্রাক্তনীরা।

রঞ্জন চন্দ

Bangla Video: প্রাক্তনীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করল কলেজ! এমনটা আগে কখনও হয়নি

উত্তর দিনাজপুর: প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করতে বিশেষ উদ্যোগ কলেজের। বর্তমানে চাকরির বাজারে বেশ মন্দা। তাই কলেজ পাশ করেও অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে বেকার বসে থাকতে দেখা যায়। চাকরি না পেয়ে এক সময়ে তাঁরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এদিকে পুঁজির অভাবে ব্যবসা করার দিকেও এগোতে পারেন না অনেকে।

এই অবস্থায় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের জীবিকার কথা চিন্তা করে সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয় কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিল। রায়গঞ্জ সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক চন্দন রায় জানান, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটা বড় ক্যান্টিন খোলা হয়েছে। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের ওই ক্যান্টিন চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই ক্যান্টিনে কম দামে স্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করবে কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা। এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুলভ মূল্যে চিপস সেন্টার এবং বিভিন্ন বই-খাতা, পেন এমনকি ফটোকপিরও দোকানও খোলা হয়েছে। যা বাজার থেকে কম দামে কলেজের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরাই বিক্রি করবে।

আর‌ও পড়ুন: জিটি রোডের ফুটপাথ প্রোমোটারদের দখলে, রাস্তার ধারে ইমারতি দ্রব্যের পাহাড়!

এই কলেজের এক প্রাক্তন ছাত্র জানান, কলেজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর চাকরির জন্য এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়িয়েছেন। পুঁজি না থাকায় তেমন কোন‌ও ব্যবসাও করতে পারেননি। ফলে সংসার চালানো দুষ্কর হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে সুরেন্দ্রনাথ মহাবিদ্যালয়ের উদ্যোগে কলেজের মধ্যেই ক্যান্টিন চালানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে জীবিকার সমস্যা অনেকটাই দূর হবে বলে তিনি জানান।

পিয়া গুপ্তা

Ilish Festival: পুরনো বন্ধুত্ব ঝালিয়ে নিতে ইলিশ উৎসব, তমলুকের বুকে রসনা তৃপ্তি

তমলুক: বিখ্যাত সেই গানের লাইন ‘বন্ধুত্বের বয়স বাড়ে না’। গানের এই লাইনটিকেই পূর্ণ মর্যাদা দিল তমলুক হ্যামিলটন হাইস্কুলের ১৯৯০ সালের মাধ্যমিক ব্যাচ। পুরানো বন্ধুত্বের সেই সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে রূপনারায়ন নদীর পাড়ে এক অতিথি নিবাসে তারা আয়োজন করল ‘ইলিশ উৎসব’। এই ইলিশ উৎসবে নিজেদের সেই ফেলে আসা স্কুল জীবনের সময়কে ফিরে পেলেন পঞ্চাশের কোঠায় পৌঁছে যাওয়া মানুষগুলো। স্কুলে গড়ে ওঠা পুরানো বন্ধুত্বের সম্পর্ক বর্তমান সময়েও বজায় রাখতে ইলিশ উৎসবে মেতে উঠলেন তাঁরা।

কেউ ডাক্তার, কেউ উচ্চপদস্থ অফিসার, কেউ আবার সংবাদ মহলে সুনামের সঙ্গে কাজ করে চলছেন। চাকরি-সুত্রে সবাই একই শহরে থাকেন। কেউ থাকেন কাতারে, আবার কেউ থাকেন ভিন রাজ্যে। কর্মসূত্রে যে যার নিজের কাজের জায়গায় থাকেন। বছরে তিন-চারবার মিলিত হয়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবার ৩৪ বছর আগেকার পুরানো বন্ধুত্বের সম্পর্ক ফিরে পেতে জুলাইয়ে রূপনারায়ন নদীর পাড়ে ইলিশ উৎসবে শামিল হলেন। এপার বাংলায় সেইভাবে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ইলিশ নিয়ে এসে উদযাপন করা হল এই ইলিশ উৎসব।

আর‌ও পড়ুন: পরিত্যক্ত ছাত্রাবাস থেকে ছড়াচ্ছে দূষণ!

খুশি মনে ইলিশ উৎসবে মাতলেন তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলের ১৯৯০ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা। প্রায় ৫-৭ ধরনের ইলিশের পদ রান্না করা হয়। মরশুমের প্রথমে এই ধরনের ইলিশ উৎসব যা সকলকে খুবই আনন্দ দিয়েছে বলে জানান উপস্থিত প্রাক্তন ছাত্ররা। ১৯৯০ সালের ব্যাচের এক সদস্য সৌমেন মাইতি জানান, বয়স ৫০ ছুঁয়েছে। সবাই আমরা নিজেদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু তারই ফাঁকে স্কুলে গড়ে ওঠা সেই বন্ধুত্ব এখনও আমাদের মধ্যে অমলিন। এই বন্ধুত্ব আগামী ৫০ বছরেও থাকবে।

ইলিশ ভাজা, ইলিশ ভাপা, ইলিশ সরষে, ইলিশের টক, পুঁইশাক ইলিশ সব মিলিয়ে খাদ্য রসিক বাঙালির পছন্দের বিভিন্ন ইলিশের পদ নিয়ে ইলিশ উৎসবে মেতে উঠেছে অতীতের ছাত্ররা। আগামী দিন আরও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেতে উঠবে তমলুক হ্যামিলটন হাইস্কুলের নাইনটিন ব্যাচের ছাত্ররা।

সৈকত শী

Bangla Video: ছোটবেলার স্কুলকে সাজিয়ে তুলতে এগিয়ে এল ৯০ দশকের প্রাক্তনীরা

উত্তর ২৪ পরগনা: প্রাক্তন ছাত্রদের উদ্যোগে সুন্দরবনের স্কুলে সবুজায়নের লক্ষ্য। একসময় একই সঙ্গে পিঠে ব্যাগ নিয়ে স্কুলের বেঞ্চে বসে পড়াশোনা, আড্ডা দেওয়া কত না স্মৃতি আছে। সেই বন্ধুত্বের বন্ধন থেকে আজ সবাই জীবনের প্রতিষ্ঠিত। কর্মসূত্রে এক একজন এক এক জায়গায় ছড়িয়ে আছেন। তবে একটি সংগঠনের মাধ্যমে ছোটবেলার সেই বন্ধুত্ব অটুট রেখেছেন হিঙ্গলগঞ্জের সাহেবখালি নিত্যানন্দ হাইস্কুলের প্রাক্তন ছাত্ররা।

ওঁরা ১৯৮৯-৯০ ব্যাচের মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন এলাকার হিঙ্গলগঞ্জে পৈত্রিক ভিটে সকলের। সকালেই পড়াশোনা করতেন সাহেবখালি নিত্যানন্দ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। সেই তারাই এবার সবুজায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে এলেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিলেন গড়িয়া তেঁতুলবেড়িয়া অনুকূলচন্দ্র হাইস্কুলের প্রাক্তনীরা।

আরও পড়ুন: নাকে অক্সিজেন নল, সঙ্গে সিলিন্ডার নিয়ে কারখানার গেটের সামনে কর্মীরা!

উল্লেখ্য এবার গ্রীষ্মকালের শুরু থেকেই তীব্র দহনে দগ্ধ হয়েছে গোটা বাংলা। বসিরহাটে বৈশাখে রেকর্ড সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩-৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে ছুঁয়েছিল। যা গত ৫০ বছরের ইতিহাসে নজিরবিহীন। তাই সেই তীব্র দহন থেকে সুন্দরবনকে রক্ষার পাশাপাশি স্কুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এবার উদ্যোগী হল ওই প্রাক্তনীরা। উল্লেখ্য সুন্দরবনের বিজ্ঞান শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় তিনবার এসেছিলেন এই বিদ্যালয়ে। এর ফলশ্রুতিতে সাহেবখালি নিত্যানন্দ হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের বহু ছাত্রছাত্রী দেশে-বিদেশে সফলতার সঙ্গে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

জুলফিকার মোল্যা