Tag Archives: Food thali
Veg Thali: এই রাজধানীতে মাত্র ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ভেজ থালি! খাওয়ার খরচ কমে অর্ধেক
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতার যে কোনও পাইস হোটেলে দুপুরের ভেজ থালির দাম কত হয়? এর কোনও নির্দিষ্ট রেট নেই। তবে আজকের বাজার দরে ৫০ টাকার নিচে ভেজ থালি পাওয়া হাতে চাঁদ পাওয়ার সমান। কিন্তু প্রতিবেশী রাজ্য অসমের রাজধানী গুয়াহাটিতে গেলে রীতিমত চমকে যাবেন। এখানকার একটি ভাতের হোটেলে আপনি মাত্র ২০ টাকায় ভেজ বা নিরামিষ থালি পেয়ে যাবেন!
লকডাউনের ঠিক আগে জানু দত্ত নামে গুয়াহাটির এক স্থানীয় মহিলা এই হোটেলটি চালু করেছিলেন। স্বামী মারা যাওয়ায় সংসার চালাতে তিনি এই ব্যবসায় নামেন। হোটেলটি শহরের উলুবাড়ির ডাঃ বিকে কাকতি রোডে অবস্থিত। এখানে ভেজ থালিতে ভাত, ডাল, সবজি, লেবু এবং চাটনি থাকে। এছাড়াও ২০ টাকায় ডিমের তরকারি, ৪০ টাকায় মটর পনির, ৪০ টাকায় চিকেন কষা, চিকেন কারি, ৪০ টাকায় ডিম পাটোরি এবং মাত্র ৪০ টাকায় এখানে ফিশ কারিও পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: চিড়ে, দই, লাড়ু, পিঠে খাওয়ার জন্য এই সময় বিদেশ থেকে ছুটে আসেন পর্যটকরা!
এই ভাতের হোটেলের মালকিন জানু দত্তের দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। জানু দত্তের এই ভাতের হোটেলে প্রতিদিনই ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। ফলে দুপুরে ফুসরত ফেলার সুযোগ পান না তিনি। অত্যন্ত সস্তায় খাবার খাইয়েও সংসারে ফিরেছে স্থিতিশীলতা।
Food Thali: মাত্র ৩৫ টাকায় থালি! সঙ্গে আবর হরেক রকম পদ! কোথায় মিলছে জানেন?
মুর্শিদাবাদ: কথায় কথায় বলে ভোজন রসিক বাঙালি। কিন্তু নিজের সামর্থ্যের মধ্যে যদি অতি সহজেই হাতের কাছে সবজি-ভাত পান তাহলে কী করবেন। নবাবের জেলা মুর্শিদাবাদ জেলাতে সাধারণ মধ্যেবিত্ত মানুষের কথা মাথায় রেখে, শহর বহরমপুর এই শুরু হল এক রেস্তোরাঁয় ৩৫ টাকায় সবজি থালি।
আরও পড়ুনঃ চোখধাঁধানো সৌন্দর্য! পাখির চোখে সুবিশাল রাম মন্দির! দেখুন ‘তীর্থনগরীর’ ভিডিও
কী ভাবছেন মাত্র ৩৫টাকাতে এও সম্ভব নাকি। কিন্তু এও কি সম্ভব! আর সম্ভব করে তুলেছেন বহরমপুর শহরের এক রেস্তোরাঁ। সবজি থালিতে থাকছে শাক ও ভাজা, ভাত, ডাল, তরকারি, চাটনি ও পাঁপড়। আর বর্তমানের দুর্মূল্যের বাজারে এত কিছু মিলছে মাত্র ৩৫ টাকায়। যা খেয়ে তৃপ্তি পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। বহরমপুর, পাসপোর্ট অফিস লাগোয়া এই রেস্তোরাঁ, সুলভ মূল্য খাবারের ভীড় করছেন নিত্যদিন আমজনতার। মূলত, পাসপোর্ট অফিস সহ বেশ কিছু গাড়ির শোরুম ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ফলে অনেকেই নিত্যদিন আসে এই এলাকায়। সকলের কথা মাথায় রেখেই এই ৩৫ টাকাতে সবজি ভাত বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
তাই কথায় বলে বাঙালি মানেই ভোজন রসিক। আর ভোজন রসিক বাঙালি ভালো খাবার পেলে তা পেট পুরে খেতে পছন্দ করেন। ফলে ভোজন রসিকদের কথা মাথায় রেখে বহরমপুরে মিলছে মাত্র ৩৫টাকাতে বিভিন্ন পদের রান্না। যা দৈনন্দিন দুপুর হতেই ভিড় হচ্ছে এই হোটেলে।
বিক্রেতাদের কথায়, মুর্শিদাবাদ জেলা মানেই নবাবের জেলা। অনেকেই নানা কাজে আসে। কম খরচে কেও দুপুরের ভোজন করতে চান। তাই তাদের কথা মাথায় রেখে আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি সম্প্রতি। যার কারণে এখন মিলছে মাত্র ৩৫টাকাতে এই সব্জি ভাত। যার মধ্যে থাকছে শাক ও ভাজা, ভাত, ডাল, তড়কারি, চাটনি ও পাঁপড়।
ভোজন রসিক ক্রেতাদের কথায়, বাঙালিরা ভালো খাবার তৃপ্তি করে খেতে চান সকলেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে ভালো খেতে গেলে টাকা দিতে হয়। তবে মাত্র ৩৫ টাকায় এত গুলো পদের রাজকীয় খাবার খেতে পাচ্ছি এটাতে বেশ ভালো লাগছে বলেই জানান এক ভোজন রসিক বাঙালি।
কৌশিক অধিকারী
Rajasthani Thali: মাত্র ২৫০ টাকায় স্পেশ্যাল রাজস্থানি থালি! কোথায় মিলছে? রইল ঠিকানা
শিলিগুড়ি: সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী থালি হিসাবে রাজস্থানি থালি ভোজনরসিকদের কাছে ভীষণ প্রিয়।রাজস্থানের থালিতেও কিন্তু বেশ মশলাদার এবং ঝাল খাবার থাকে। ডাল বাটি চুরমা এই থালির অন্যতম অঙ্গ। এছাড়া থাকে বিভিন্ন ধরনের রুটি, বুন্দি বা বোঁদের রায়তা। এছাড়াও গাট্টে কি সবজি, রাজমা, মুগ ডালের হালুয়া, গুন্দ কা লাড্ডু নিরামিষ পদের আকর্ষণ। শিলিগুড়ির সরস মেলার এই রাজস্থান থেকে তাঁদের নিজস্ব খাবারের পরিচিতি ঘটাতে এসছেন সুরিন্দর সিং। তাঁর দোকানে অথেনটিক রাজস্থানি থালি খেতে ভিড় উপচে পড়ছে শহরবাসীর।
আরও পড়ুনঃ ব্রেকফাস্ট ফেলে অফিস যাচ্ছেন? বাড়বে ওজন, হবে ডায়াবেটিস! কী বলছে বিশেষজ্ঞ? জানুন
রাজস্থানের জনপ্রিয় ডাল বাটি, চুর্মা, বাজরা রুটি, ছোলে মসালা, গাট্টের তরকারি, আচার স্যালাড, রসুন চাটনি, মুগ ডালের হালুয়া, মুগ ডালের লাড্ডু নিয়ে গোটা থালি সাজানো রয়েছে। এই থালির দাম মাত্র ২৫০ টাকা। তাই সামান্য এই টাকা খরচ করে রাজস্থানী খাবার খেতে প্রচুর মানুষ ভিড় করছেন তাঁদের দোকানে। সুরিন্দর বলেন, “শিলিগুড়িতে এ নিয়ে আমি দ্বিতীয়বার এসেছি। আমাদের রাজস্থানী খাবার মানুষ এত পছন্দ করছে যে তাঁদের সামলাতে আমাদের রীতিমত ও হিমশিম খেতে হচ্ছে ।”এছাড়াও তিনি জানান সরকারের তরফ থেকে যেখানে যেখানে মেলার আয়োজন করা হয় তাঁরা সেখানে গিয়ে থাকেন এবং প্রতিটি জায়গাতেই তাঁদের খাবর লোকজন পছন্দ করছেন।
রাজস্থানী থালি খেতে এসে প্রিয়াঙ্কা শর্মা জানান, “সরস মেলায় আমি এই নিয়ে দুদিন আসলাম এবং দুদিনই এই রাজস্থানী থালি উপভোগ করেছি। অসাধারণ খেতে তাঁদের সমস্ত খাবার। যারা শিলিগুড়িতে অথেন্টিক রাজস্থান খাবার খেতে চান তাঁরা একবার ঘুরে যেতে পারেন এই দোকানে।” রাজস্থানী থালি ছাড়াও, বিভিন্ন রকমের হালুয়া দই বড়া, জিলিপি, পিয়াজ কচুরি, ডালের কচুরি সহ আরও নানান রাজস্থানী খাবার মিলছে এই দোকানে। তাই ভোজন রসিক মানুষরা দেরি না করে একবার এখানে ঢুঁ মেরে আসলে মন্দ হবে না।’
অনির্বাণ রায়