Tag Archives: India Railways

Train Ticket Booking: কনফার্ম টিকিট পাবেনই, ২৫ শতাংশ টাকা দিয়ে ‘সিট লক’ করুন আগেভাগে! কীভাবে জানুন

*ট্রেন যাত্রা সহজ করতে বেশ কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন করল MakeMyTrip। টিকিট বুকিংয়ের সময় যে সব সমস্যার মুখে পড়তেন যাত্রীরা, তার সমাধানে চালু করা হল নতুন ফিচার। টিকিট বুকিংয়ের পুরো প্রক্রিয়াটিকে বেশ কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক পর্যায়ে কাজ সহজ করতে নেওয়া হয়েছে প্রযুক্তির সাহায্য। এই বিশেষ ফিচারগুলির মধ্যে একটি হল ‘সিট লক’। সংগৃহীত ছবি। 
*ট্রেন যাত্রা সহজ করতে বেশ কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন করল MakeMyTrip। টিকিট বুকিংয়ের সময় যে সব সমস্যার মুখে পড়তেন যাত্রীরা, তার সমাধানে চালু করা হল নতুন ফিচার। টিকিট বুকিংয়ের পুরো প্রক্রিয়াটিকে বেশ কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক পর্যায়ে কাজ সহজ করতে নেওয়া হয়েছে প্রযুক্তির সাহায্য। এই বিশেষ ফিচারগুলির মধ্যে একটি হল ‘সিট লক’। সংগৃহীত ছবি।
*এটা একদম নতুন ফিচার। এই ফিচারে যাত্রী টিকিটের দামের মাত্র ২৫ শতাংশ দিয়ে আগেভাগেই সিট বুক করতে পারেন। বাকি টাকা দিতে হবে যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে। ফলে সিট পাওয়া নিয়ে আর ঝামেলা পোহাতে হবে না। সংগৃহীত ছবি। 
*এটা একদম নতুন ফিচার। এই ফিচারে যাত্রী টিকিটের দামের মাত্র ২৫ শতাংশ দিয়ে আগেভাগেই সিট বুক করতে পারেন। বাকি টাকা দিতে হবে যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে। ফলে সিট পাওয়া নিয়ে আর ঝামেলা পোহাতে হবে না। সংগৃহীত ছবি।
*MakeMyTrip-এর কানেক্টেড ট্রাভেল ফিচার: ট্রেনের টিকিট বুক করার সময় আরও একটা সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। সেটা হল, পছন্দসই দিনে টিকিট পাওয়া খুব মুশকিল। তাছাড়া সরাসরি ট্রেনের কনফার্ম টিকিটও মেলে না। এমন পরিস্থিতিতে হাতে খুব কম বিকল্প থাকে। সংগৃহীত ছবি। 
*MakeMyTrip-এর কানেক্টেড ট্রাভেল ফিচার: ট্রেনের টিকিট বুক করার সময় আরও একটা সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। সেটা হল, পছন্দসই দিনে টিকিট পাওয়া খুব মুশকিল। তাছাড়া সরাসরি ট্রেনের কনফার্ম টিকিটও মেলে না। এমন পরিস্থিতিতে হাতে খুব কম বিকল্প থাকে। সংগৃহীত ছবি।
*এই সমস্যা মেটাতে ‘কানেক্টেড ট্রাভেল’ ফিচার চালু করেছে MakeMyTrip। পছন্দসই দিনে বাস আর ট্রেন মিলিয়ে কীভাবে গন্তব্যে পৌঁছনো যায়, তা বাতলে দেয় এই ফিচার। কতক্ষণ সময় লাগবে, কতক্ষণ দাঁড়াতে হবে, সব কিছু ছকে দেওয়া হয়। সংগৃহীত ছবি। 
*এই সমস্যা মেটাতে ‘কানেক্টেড ট্রাভেল’ ফিচার চালু করেছে MakeMyTrip। পছন্দসই দিনে বাস আর ট্রেন মিলিয়ে কীভাবে গন্তব্যে পৌঁছনো যায়, তা বাতলে দেয় এই ফিচার। কতক্ষণ সময় লাগবে, কতক্ষণ দাঁড়াতে হবে, সব কিছু ছকে দেওয়া হয়। সংগৃহীত ছবি।
*MakeMyTrip-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা এই কথা জানিয়েছেন: MakeMyTrip-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং গ্রুপ সিইও রাজেশ মাগোভান বলছেন, “ট্রেন যাত্রা উন্নত করতে এবং প্রতিটা ভ্রমণকে স্মরণীয় করে তুলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভ্রমণের জন্য সঠিক ট্রেন বেছে নেওয়া থেকে শুরু করে টিকিক কেনা, সবকিছুই এর মধ্যে রয়েছে। আমরা প্রযুক্তির সাহায্যে যাত্রীকে আরও স্বাচ্ছন্দ্য, সুবিধা এবং আরামে রাখার চেষ্টা করেছি। ট্রেন যাত্রাকে সহজ, সুবিধাজনক এবং মজাদার করাই আমাদের লক্ষ্য”। সংগৃহীত ছবি। 
*MakeMyTrip-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা এই কথা জানিয়েছেন: MakeMyTrip-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং গ্রুপ সিইও রাজেশ মাগোভান বলছেন, “ট্রেন যাত্রা উন্নত করতে এবং প্রতিটা ভ্রমণকে স্মরণীয় করে তুলতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভ্রমণের জন্য সঠিক ট্রেন বেছে নেওয়া থেকে শুরু করে টিকিক কেনা, সবকিছুই এর মধ্যে রয়েছে। আমরা প্রযুক্তির সাহায্যে যাত্রীকে আরও স্বাচ্ছন্দ্য, সুবিধা এবং আরামে রাখার চেষ্টা করেছি। ট্রেন যাত্রাকে সহজ, সুবিধাজনক এবং মজাদার করাই আমাদের লক্ষ্য”। সংগৃহীত ছবি।
*রুট এক্সটেনশন অ্যাসিস্টেন্স: আরেকটি নতুন ফিচার হল ‘রুট এক্সটেনশন অ্যাসিস্টেন্স’। এটা MakeMyTrip-এর নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। যাত্রী যদি পছন্দের ট্রেনে টিকিট না পান, এই ফিচার বিকল্প রুটের হদিশ দেয়। সংগৃহীত ছবি। 
*রুট এক্সটেনশন অ্যাসিস্টেন্স: আরেকটি নতুন ফিচার হল ‘রুট এক্সটেনশন অ্যাসিস্টেন্স’। এটা MakeMyTrip-এর নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি। যাত্রী যদি পছন্দের ট্রেনে টিকিট না পান, এই ফিচার বিকল্প রুটের হদিশ দেয়। সংগৃহীত ছবি।
*যদি ক স্টেশন থেকে খ স্টেশনে যাওয়ার কনফার্ম টিকিট না মেলে তাহলে এই ফিচার একই ট্রেনে ক স্টেশন থেকে গ স্টেশনে যাওয়ার পরামর্শ দিতে পারে। তারপর সেখানে নেমে খ স্টেশনে চলে এলেই হল। এর জন্য আলাদাভাবে রুট ম্যাপ বা ট্রেনের কম্বিনেশনও দেখতে হবে না। সংগৃহীত ছবি।
*যদি ক স্টেশন থেকে খ স্টেশনে যাওয়ার কনফার্ম টিকিট না মেলে তাহলে এই ফিচার একই ট্রেনে ক স্টেশন থেকে গ স্টেশনে যাওয়ার পরামর্শ দিতে পারে। তারপর সেখানে নেমে খ স্টেশনে চলে এলেই হল। এর জন্য আলাদাভাবে রুট ম্যাপ বা ট্রেনের কম্বিনেশনও দেখতে হবে না। সংগৃহীত ছবি।

Rail Toilet: ভারতের ট্রেনে টয়লেট কিন্তু এক বাঙালির অবদান! এক চিঠিতেই কাজ, তারপর যা হল…চমকে যাবেন শুনে

দূরপাল্লার ট্রেনে সব ক্লাসের কামরাতেই টয়লেট, এ একান্তই ব্রিটিশদের ভাবনা, এমনটাই হয়তো ভেবেছেন এতদিন।
দূরপাল্লার ট্রেনে সব ক্লাসের কামরাতেই টয়লেট, এ একান্তই ব্রিটিশদের ভাবনা, এমনটাই হয়তো ভেবেছেন এতদিন।
কিন্তু না, ভুল ভেবেছেন। দূর পাল্লার ট্রেনে এই প্ল্যানিংয়ের পিছনে ছিল এক বাঙালির অবদান। আরও বিশেষ ভাবে বললে, তাঁর কড়া চিঠি।
কিন্তু না, ভুল ভেবেছেন। দূর পাল্লার ট্রেনে এই প্ল্যানিংয়ের পিছনে ছিল এক বাঙালির অবদান। আরও বিশেষ ভাবে বললে, তাঁর কড়া চিঠি।
সেটা ১৯০৯ সালের কথা। জনৈক অখিলচন্দ্র সেন রেলগাড়িতে করে যাচ্ছেন। বাড়ি থেকে আসার সময় সুস্বাদু বেশ কয়েকটি কাঁঠাল খেয়ে এসেছেন। হঠাৎ প্রকৃতির ডাক। ট্রেন চলছে, ওয়াশরুম নেই! প্রমাদ গুনলেন অখিল সেন। এ বার কী হবে? ভীষণ ভোগান্তিতে পড়লেন তিনি। পরের স্টেশন অবধি অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই!
সেটা ১৯০৯ সালের কথা। জনৈক অখিলচন্দ্র সেন রেলগাড়িতে করে যাচ্ছেন। বাড়ি থেকে আসার সময় সুস্বাদু বেশ কয়েকটি কাঁঠাল খেয়ে এসেছেন। হঠাৎ প্রকৃতির ডাক। ট্রেন চলছে, ওয়াশরুম নেই! প্রমাদ গুনলেন অখিল সেন। এ বার কী হবে? ভীষণ ভোগান্তিতে পড়লেন তিনি। পরের স্টেশন অবধি অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই!
ট্রেনে যাত্রাকালে পেটে ‘বিশেষ কাজ’ এর চাপ নিয়ে উসখুশ করছিলেন অখিল চন্দ্র। কিন্তু কোথাও কোনও ব্যবস্থা নেই। প্রচণ্ড চাপে ধুতি নষ্ট হওয়ার জোগাড়। কোনও মতে, চেপে ধরে পরবর্তী স্টেশনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
ট্রেনে যাত্রাকালে পেটে ‘বিশেষ কাজ’ এর চাপ নিয়ে উসখুশ করছিলেন অখিল চন্দ্র। কিন্তু কোথাও কোনও ব্যবস্থা নেই। প্রচণ্ড চাপে ধুতি নষ্ট হওয়ার জোগাড়। কোনও মতে, চেপে ধরে পরবর্তী স্টেশনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
মহারাষ্ট্রের আহমেদপুর স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে পড়িমরি লোটা হাতে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে শৌচালয়ে ছুটলেন। এক দিকে, শরীর হালকা হচ্ছে, আর এক দিকে শৌচালয় থেকেই শুনতে পাচ্ছেন গার্ড হুইসল বাজিয়ে দিয়েছেন। ট্রেন ছাড়ছে। ফলে হালকা হওয়ার কাজ ‘হাফ ডান’ রেখেই তিনি ফের পড়িমরি করে শৌচালয় থেকে বেরিয়ে এক হাতে লোটা আর এক হাতে ধুতি ধরে ট্রেন ধরার জন্য দৌড় লাগালেন।
মহারাষ্ট্রের আহমেদপুর স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ালে পড়িমরি লোটা হাতে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে শৌচালয়ে ছুটলেন। এক দিকে, শরীর হালকা হচ্ছে, আর এক দিকে শৌচালয় থেকেই শুনতে পাচ্ছেন গার্ড হুইসল বাজিয়ে দিয়েছেন। ট্রেন ছাড়ছে। ফলে হালকা হওয়ার কাজ ‘হাফ ডান’ রেখেই তিনি ফের পড়িমরি করে শৌচালয় থেকে বেরিয়ে এক হাতে লোটা আর এক হাতে ধুতি ধরে ট্রেন ধরার জন্য দৌড় লাগালেন।
এক হাতে নিজের জিনিসপত্র ধরে, আরেক হাতে ধুতি সামলাতে সামলাতে দৌড়াতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে প্ল্যাটফর্মের ওপর পড়ে গেলেন। প্ল্যাটফর্মভর্তি লোকের সামনে ধুতিটুতি খুলে গিয়ে বিতিকিচ্ছি অবস্থা! গন্তব্যের মাঝপথে ট্রেন হারিয়ে রেগে যান অখিল চন্দ্র সেন।
এক হাতে নিজের জিনিসপত্র ধরে, আরেক হাতে ধুতি সামলাতে সামলাতে দৌড়াতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে প্ল্যাটফর্মের ওপর পড়ে গেলেন। প্ল্যাটফর্মভর্তি লোকের সামনে ধুতিটুতি খুলে গিয়ে বিতিকিচ্ছি অবস্থা! গন্তব্যের মাঝপথে ট্রেন হারিয়ে রেগে যান অখিল চন্দ্র সেন।
ক্ষেপে গিয়ে সাহেবগঞ্জ ডিভিশনাল রেলওয়ে অফিসে ভুলভাল ইংরেজিতে একটি চিঠি লিখলেন। চিঠিটির সারকথা হল- অতিরিক্ত কাঁঠাল খাওয়ার কারণে তাঁর পেট ফেঁপেছিল। তিনি কোষ্ঠ সাফ করে হালকা হতে গিয়েছিলেন। তিনি টয়লেটে যাওয়ার আগে গার্ডদের বলেওছিলেন।
ক্ষেপে গিয়ে সাহেবগঞ্জ ডিভিশনাল রেলওয়ে অফিসে ভুলভাল ইংরেজিতে একটি চিঠি লিখলেন। চিঠিটির সারকথা হল- অতিরিক্ত কাঁঠাল খাওয়ার কারণে তাঁর পেট ফেঁপেছিল। তিনি কোষ্ঠ সাফ করে হালকা হতে গিয়েছিলেন। তিনি টয়লেটে যাওয়ার আগে গার্ডদের বলেওছিলেন।
কিন্তু গার্ডরা তার কথা মনে রাখেনি এবং ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে, এ কারণে বহু নারী-পুরুষের সামনে তাকে হেনস্তা হতে হয়েছে। এ কারণে তিনি গার্ডদের জরিমানা করার দাবি জানান, নচেৎ সংবাদপত্রে খবর দিয়ে এই ঘটনা ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন।
কিন্তু গার্ডরা তার কথা মনে রাখেনি এবং ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে, এ কারণে বহু নারী-পুরুষের সামনে তাকে হেনস্তা হতে হয়েছে। এ কারণে তিনি গার্ডদের জরিমানা করার দাবি জানান, নচেৎ সংবাদপত্রে খবর দিয়ে এই ঘটনা ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেন।
অখিলচন্দ্র সেনের এই চিঠিটি রেলের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ, ব্রিটিশ সরকার ওই চিঠির ভিত্তিতেই গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয় যার জেরে ভারতে ট্রেনের মধ্যে বাথরুমের প্রচলন হয়। অখিলের সেই চিঠি এখনও দিল্লির রেল মিউজিয়ামে রাখা আছে।
অখিলচন্দ্র সেনের এই চিঠিটি রেলের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ, ব্রিটিশ সরকার ওই চিঠির ভিত্তিতেই গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয় যার জেরে ভারতে ট্রেনের মধ্যে বাথরুমের প্রচলন হয়। অখিলের সেই চিঠি এখনও দিল্লির রেল মিউজিয়ামে রাখা আছে।

Minor Death: অপরিসীম কৌতুহল প্রাণ কেড়ে নিল নাবালকের! রেলের বৈদ্যুতিন পোস্টে উঠতেই সব শেষ

জলপাইগুড়ি: অপরিসীম কৌতুহল‌ই কাল হয়ে দাঁড়াল নাবালকের। রেলের হাই ভোল্টেজ লাইনে ইলেকট্রিক চার্জ করা আছে কিনা তা দেখতে লাইনের পাশে থাকা বিদ্যুৎ পোস্টে উঠে পড়ে বছর ১৬-এর রোহিত রায়। মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে মৃত্যু হল ওই নাবালকের।

এই মর্মান্তিক ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতে ময়নাগুড়ির ব্রহ্মপুর এলাকায় ঘটেছে। নাবালকের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে, হঠাৎই রোহিত রায় নামে ঐ নাবালক রেলের ইলেকট্রিক পোলে উঠে পড়ে। ওঠার আগে সে জানিয়েছিল, পোস্টে বিদ্যুৎ আছে তা পরখ করে দেখবে। বৈদ্যুতিন খুঁটির উপর উঠে তারে হাত দিতেই তার গোটা শরীর ঝলসে যায়। উল্লেখ্য রেলের বৈদ্যুতিন পোস্টগুলি দিয়ে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়।

আর‌ও পড়ুন: পঞ্চপ্রাপ্তির পথে জমিদার গ্রামের পিতলের রথ! ভোটের আগে করুণ আবেদন

অতি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরকে দ্রুত জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান স্থানীয়রা। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকা । এদিকে ওই নাবালকের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এর পিছনে অন্য কোন‌ও কারণ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সুরজিৎ দে

Hooghly News: ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে বিপত্তি! দেড় ঘন্টারও বেশি সময় বন্ধ ডাউন বর্ধমান লাইনে ট্রেন চলাচল

হুগলি: সপ্তাহের শুরুর দিনের দুপুরেই ট্রেন চলাচলের বিপত্তি। ডাউন পান্ডুয়া লোকালের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে যাওয়াতে এই বিপত্তির সৃষ্টি। ঘন্টা দেড়েকের জন্য সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। বিঘ্নিত হয় বর্ধমান হাওড়া ডাউন লাইনের ট্রেন চলাচল। একই গরমের দাবদাহ তার উপরে ট্রেনের বিপত্তির ফলে নাজেহাল রেল যাত্রীরা।

রেল সূত্রে খবর, ডাউন পান্ডুয়া লোকাল পান্ডুয়া স্টেশন ছেড়ে বেরোনোর পর ১.৩৩ মিনিটে জয়পুর রেল গেটে প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে দাঁড়িয়ে যায়। ক্রসিং এ ট্রেন দাঁড়িয়ে পরায় রিভার্স লাইন দিয়েও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পরে।শুধু আপ লাইনে ট্রেন বর্ধমানের দিকে যাচ্ছিল। প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চলে প্যান্টোগ্রাফ মেরামতের কাজ, বন্ধ থাকে সেই সময় ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল। প্রচন্ড গরমে ট্রেন থেকে নেমে পড়েন যাত্রীরা। রেল গেট বন্ধ থাকায় গাড়ির সমস্যা হয় গাড়ি চলাচলেও।

আরও পড়ুন –  সব রেকর্ড ভেঙে দেবে তাপমাত্রা? রাজ্যে তাপপ্রবাহে কী হবে এই সপ্তাহে? ভাবতেও পারছেন না

আরও পড়ুন –৫ হাজার চাকরি বাতিল! ফেরত দিতে হবে বেতনও, হাইকোর্টের এসএসসি রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে কমিশন

ট্রেনের গার্ড জানিয়েছেন কাজ চলছে প্যান্টোগ্রাফ সারানোর। দুপুর তিনটের পরে, ট্রেনটিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয় আবারও পান্ডুয়া স্টেশনে। ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ মেরামতির জন্য বিঘ্নিত হয় ট্রেন চলাচল। বিকাল থেকে আবারও পুনরায় স্বাভাবিক হয়ে যায় ডাউন লাইনের ট্রেন চলাচল। তবে দীর্ঘ সময় ট্রেনের মধ্যে গরমে বসে থাকার জন্য রেল যাত্রীরা ক্ষোভ উগরে দেন সংবাদ মাধ্যমের সামনে।

রাহী হালদার

Rail Protest: ট্রেন ফেরানোর দাবিতে গরম উপেক্ষা করে মিছিল

নদিয়া: রেল ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল নবদ্বীপ ঘাট স্টেশনে। নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক নেতাদের চাপে ফেলতে ট্রেনের ফেরানোর দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। ১৪ বছর আগে নবদ্বীপ ঘাট স্টেশনে বন্ধ হওয়া রেল ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তুলে বিক্ষোভে শামিল হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নবদ্বীপ ঘাট রেলস্টেশন থেকে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত ট্রেন চালুর দাবি তুলে এক পদযাত্রায় শামিল হল ভাগীরথীর পূর্ব পাড়ের সাধারণ মানুষ। এদিনের রেল ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলনে শামিল হয়েছিল অসংখ্য মহিলা সহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। জাতি ধর্ম এমনকি দলমত নির্বিশেষে সমস্ত মানুষ পা মেলান প্রতিবাদ মিছিলে।

আর‌ও পড়ুন: প্রচারে বিরতি নিয়ে রাজবাড়ির পুজোয় ‘রানি মা’

ইতিমধ্যেই আমঘাটা পর্যন্ত রেললাইন ন্যারোগেজ থেকে ব্রডগেজ রূপান্তরিত হয়েছে। শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকভাবে চলার অপেক্ষায় সেই ট্রেন। পরবর্তী নবদ্বীপ ঘাট স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চালুর দাবি নিয়েই এদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে নবদ্বীপ ঘাট রেলস্টেশন বাঁচাও কমিটি।

উল্লেখ্য প্রায় ১৪ বছর আগে শেষবারের মত ট্রেন চলেছিল নবদ্বীপ ঘাট থেকে শান্তিপুর পর্যন্ত। সেটা ছিল ন্যারোগেজ ট্রেন। ন্যারোগেজ থেকে ব্রডগেজে রূপান্তরিত করার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে চালু হওয়া এই ন্যারোগেজ অর্থাৎ ছোট ট্রেনের পরিষেবা। বেশ কিছু টালবাহানার পরে প্রায় ১৪ বছর পর ওই রুটে ফের ট্রেন চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করা হয় ব্রডগেজ লাইনের। তবে আপাতত শুধু আমঘাটা স্টেশন পর্যন্তই চালু করা হবে। ইতিমধ্যে সেই লাইনে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো সম্পন্ন হয়েছে। আর এতেই হবে ক্ষুব্ধ স্বরূপগঞ্জ ঘাট এলাকার মানুষজনেরা। তাঁরা চান আমঘাটা থেকে লাইন টেনে এনে নবদ্বীপ ঘাট পর্যন্ত রেল পরিষেবা চালু হোক।

মৈনাক দেবনাথ

Indian Railway News: কবচে আরও সুরক্ষিত উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল! কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে

‘কবচ’ বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় রেলওয়ের প্রশংসায় ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের এইচডিএম ও এইচইউএন রুটকে ‘কবচ’-এর জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। ট্রেনে স্বদেশী স্বয়ংক্রিয় ট্রেন সুরক্ষা ব্যবস্থা ‘কবচ’-এর বাস্তবায়নের জন্য ভারতীয় রেলওয়ের দ্বারা গৃহীত পদক্ষেপের ১৫ এপ্রিল, ২০২৪ তারিখে ভারতের মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশংসা করেছেন। মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে যে, ইউনিয়ন অব ইন্ডিয়া ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ট্রেনগুলিতে সংঘর্ষ প্রতিরোধী ব্যবস্থা উন্নত করার ক্ষেত্রে সেফটি সিস্টেম ইনস্টলেশন, ট্র্যাকের মান উন্নত করা, কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ ও সংবেদনশীলতা, রক্ষণাবেক্ষণ পদ্ধতির সংস্কার এবং কবচ সিস্টেমের বাস্তবায়নের মতো একাধিক পদক্ষেপ করেছে।

কবচ হল ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রির সহযোগিতায় রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন (আরডিএসও)-এর দ্বারা দেশীয়ভাবে বিকশিত করা অটোমেটিক ট্রেন প্রটেকশন সিস্টেম। এটি হল সেফটি ইন্টিগ্রিটি লেভেল-৪ স্ট্যান্ডার্ডের অত্যাধুনিক বৈদ্যুতিন পদ্ধতি। এখানে কবচের মানে হল বিপদ (লাল) সংকেত অতিক্রম প্রতিরোধ করা এবং মুখোমুখি সংঘর্ষ পরিহার করার দ্বারা সুরক্ষা প্রদান করা। গতির সীমবদ্ধতা অনুযায়ী যদি চালক ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন, তা হলে ট্রেনের ব্রেকিং সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকরী করে তোলাইয়ের কাজ। অতিরিক্তভাবে, কর্মক্ষম কবচ পদ্ধতির দ্বারা দু’টি লোকোমোটিভের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষও প্রতিরোধ করা যায়। ‘কবচ’ হলো অন্যতম সস্তার সেফটি ইন্টিগ্রিটি লেভেল ৪ (এসআইএল-৪) প্রমাণীত প্রযুক্তি, যার ত্রুটির সম্ভাবনা ১০,০০০ বছরের মধ্যে ১ বার। এছাড়াও, এটি রেলওয়ের জন্য দেশীয় প্রযুক্তি রপ্তানির পথ উন্মুক্ত করে দেবে।

আরও পড়ুন: এক কাপ ১০ হাজার! সত্যি নাকি? স্থায়ী ঠিকানা পেলেন স্মার্ট চা-ওয়ালা, উপচে পড়া ভিড়

আরও পড়ুন: ২৬৪০ বর্গফুটের রাম! দেখা যাবে এই বাংলাতেই

রেলওয়ে ট্র্যাফিকের অধিকাংশই ভারতীয় রেলওয়ের হাই ডেনসিটি নেটওয়ার্ক (এইচডিএন) এবং হাইলি ইউজড নেটওয়ার্ক (এইচইউএন) রুটে পরিবহণ করা হয়।  এই ট্র্যাফিক সুরক্ষিত ভাবে পরিবহণ করার জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কবচের কাজকর্ম গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের হাই ডেনসিটি নেটওয়ার্ক (এইচডিএন) এবং হাইলি ইউজড নেটওয়ার্ক (এইচইউএন) রুটগুলিকে কবচ বাস্তবায়নের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশীয়ভাবে নির্মিত এই ট্রেন সুরক্ষা পদ্ধতি মালদা টাউন থেকে ডিব্রুগড় পর্যন্ত প্রায় ১৯৬৬ রুট কিলোমিটার দৈর্ঘে চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।