Tag Archives: Electrocution

Electrocution in Airport: দুর্যোগ-বজ্রপাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! আশঙ্কাজনক কলকাতা বিমানবন্দরের দুই কর্মী

কলকাতা: চরম দুর্যোগে জেরবার দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। ঝড়বৃষ্টির দাপটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বজ্রপাতে ফালাফালা হচ্ছে আকাশ। সেই বজ্রপাতের জেরেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কলকাতা শহরে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গুরুতর অসুস্থ আশঙ্কাজনক এআই এয়ারপোর্ট সার্ভিস লিমিটেডের দুই কর্মী। দু’জনের শারীরিক অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। আপাতত দুই কর্মীই কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গত সপ্তাহেও একাধিক জেলায় মুহুর্মুহু বজ্রপাতে একাধিক মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। বৃহস্পতিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর ঘনঘন বজ্রপাতে মালদহে মৃত্যু হয় ১১ জনের। একইদিনে বজ্রাঘাতে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের পাঁচগ্রামের এক ব্যক্তির। এছাড়াও আহত হন আরও ৩ জন। জলপাইগুড়িতেও মৃত্যু হয়েছে বজ্রপাতে।

আরও পড়ুন: হাতে সময় আর ৭২ ঘণ্টা! সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির প্রবল সম্ভাবনা, শঙ্কা চরমে, ল্যান্ডফলের স্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা

আজ, সোমবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলায় দুর্যোগ ঘনিয়ে এসেছিল দুপুরের দিকে। প্রবল ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব চলে ঘণ্টাখানেক। প্রবল বাজ পড়ে সেই সময়ে। আর তখনই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

West Bengal news: বিয়ের তিনমাসের মধ্যেই অঘটন, মালদহে বজ্রপাতে মৃত্যু দম্পতির, কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা 

মালদহ: বৃহস্পতিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর ঘন ঘন বজ্রপাতে মালদহে মৃত্যু হয় ১১ জনের। আজ দুপুরের মধ্যে সমস্ত মৃতদেহ ময়নাতদন্তের কাজ শেষ করে পরিবারের হাতে তুলে দিল প্রশাসন। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও জানিয়েছে প্রশাসন। এদিকে গতকালের এই আকস্মিক মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুর্শাডাঙি গ্রামের নব দম্পতি নয়ন রায় এবং প্রিয়াঙ্কা রায়। মাত্র তিন মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল দম্পতির।

আশা করেছিলেন ছেলে- বৌমাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে পরিবার নিয়ে কাটাবেন। কখনও ভাবেননি, ছেলে- বৌমার মৃতদেহ  নিতে আসবেন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। ছেলের ধুমধাম করে বিয়ে দিয়েছিলেন ফাল্গুন মাসের ১৩ তারিখে।  আর ঘরে এনেছিলেন নতুন বৌমা। এইভাবে ছেলে-বৌমাকে তিন মাসের মাথায় হারাতে হবে বুঝতেই পারেননি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদার তেঁতুল গাছি এলাকার বৃদ্ধা চুনিয়া  রায়। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন চুনিয়া রায়।

আরও পড়ুন: ট্রেনের মিডল বার্থে টিকিট কেটেছেন? ইচ্ছে হলেই ঘুমাতে পারবেন না, নির্দিষ্ট নিয়ম আছে রেলের

চুনিয়া রায় জানান, গতকাল দুপুরে নিজেদেরই জমিতে ফসল চাষ করতে গিয়েছিলেন ছেলে, বৌমা। হঠাৎই কালো মেঘে ঘনিয়ে আসে গোটা আকাশে। নিমেষের মধ্যেই শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। বৃষ্টির সাথে আচমকা বাজ। আর তাতেই সব সর্বনাশ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পরেই অন্যান্য প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পাই ছেলে-বৌমা আর নেই। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেইখানেই ছেলে-বৌমাকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এদিন মালদা মেডিকেল কলেজে পৌঁছে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া তদারকি করেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, মালদহের জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া, ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী প্রমূখ। হাজির ছিলেন জেলা সিপিএম নেতৃত্বও ।

Youth Death: চাষের জমির সামান্য উপর দিয়ে হাইভোল্টেজ লাইন! মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের

ঝাড়গ্রাম: সামান্য বেখেয়ালে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ লাইনের সংস্পর্শে এসে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক ব্যক্তির। সাঁকরাইল থানার ঘোড়াপাড়া এলাকায় অরুণ মান্ডি (৪০) নামে ঐ ব্যক্তির মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একটি মোষেরও। একটি কৃষি জমির উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার একটি চাষের জমির উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন অরুণ মান্ডি। ওখানে খুব নীচ দিয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ লাইন। তারই সংস্পর্শে চলে আসেন তিনি। আর তাতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি কিছুক্ষণ পরে স্থানীয়দের নজরে আসে। তাঁরা দেখেন কিছুটা দূরে একটি মোষ একইরকমভাবে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতরের দিকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন: চাল-চোরকে ধরিয়ে দিল CCTV ফুটেজ!

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অরুণ মন্ডির বাড়ি ঝাড়গ্রামের লাউদহ গ্রামে। সূত্রের খবর, তিনি সকালে একটি মোষকে মাঠের দিকে চড়াতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই খুব নীচ দিয়ে যাওয়া হাইভোল্টেজ লাইনের সংস্পর্শে চলে আসেন। আর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।

রঞ্জন চন্দ

Minor Death: অপরিসীম কৌতুহল প্রাণ কেড়ে নিল নাবালকের! রেলের বৈদ্যুতিন পোস্টে উঠতেই সব শেষ

জলপাইগুড়ি: অপরিসীম কৌতুহল‌ই কাল হয়ে দাঁড়াল নাবালকের। রেলের হাই ভোল্টেজ লাইনে ইলেকট্রিক চার্জ করা আছে কিনা তা দেখতে লাইনের পাশে থাকা বিদ্যুৎ পোস্টে উঠে পড়ে বছর ১৬-এর রোহিত রায়। মুহূর্তের মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে মৃত্যু হল ওই নাবালকের।

এই মর্মান্তিক ঘটনাটি বৃহস্পতিবার রাতে ময়নাগুড়ির ব্রহ্মপুর এলাকায় ঘটেছে। নাবালকের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয়দের থেকে জানা গিয়েছে, হঠাৎই রোহিত রায় নামে ঐ নাবালক রেলের ইলেকট্রিক পোলে উঠে পড়ে। ওঠার আগে সে জানিয়েছিল, পোস্টে বিদ্যুৎ আছে তা পরখ করে দেখবে। বৈদ্যুতিন খুঁটির উপর উঠে তারে হাত দিতেই তার গোটা শরীর ঝলসে যায়। উল্লেখ্য রেলের বৈদ্যুতিন পোস্টগুলি দিয়ে হাই ভোল্টেজ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়।

আর‌ও পড়ুন: পঞ্চপ্রাপ্তির পথে জমিদার গ্রামের পিতলের রথ! ভোটের আগে করুণ আবেদন

অতি আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই কিশোরকে দ্রুত জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান স্থানীয়রা। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকা । এদিকে ওই নাবালকের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এর পিছনে অন্য কোন‌ও কারণ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সুরজিৎ দে