Tag Archives: Indian Railway

Indian Railway: আর ভাবনা নেই! আরও সহজ হল বাড়িতে বসে রেলের টিকিট কাটার নিয়ম… জানুন বিশদে

কলকাতা: ইউটিএস মোবাইল অ্যাপে জিও-ফেন্সিং রেষ্ট্রিকশনের আউটার লিমিট প্রত্যাহার করল রেলওয়ে। বাড়ি থেকেই সুবিধাজনকভাবে ইউটিএস টিকিট বুক করা যাবে এবার।

যাত্রীদের সুবিধা বৃদ্ধি করতে এবং যাত্রীদের জন্য টিকিট বুকিংয়ের প্রক্রিয়া সহজ করে তুলতে ভারতীয় রেলওয়ের পক্ষ থেকে মোবাইল অ্যাপে ইউটিএসএ জিও ফেন্সিং রেষ্ট্রিকশনের আউটার লিমিট প্রত্যাহার করেছে। এটি হল টিকিট বুকিং করার সময় তিনটি ‘সি’ তথা কনট্যাক্টলেস টিকেটিং (সংস্পর্শহীন টিকিট কাটা), ক্যাশলেস ট্র্যানজেকশন (নগদহীন লেনদেন) এবং কাস্টোমার কনভেনিয়েন্স এন্ড এক্সপিরিয়েন্স(গ্রাহক সুবিধা ও অভিজ্ঞতা) প্রচারের লক্ষ্যের সঙ্গে ডিজিটালাইজেশন উদ্যোগের একটি অংশ।

পূর্বে কোনও যাত্রী স্টেশনের ভিতরে অথবা বাড়ি থেকে টিকিট বুক করতে পারতেন না। রেলওয়ের জিও-ফেন্সিং থেকে যাত্রীদের টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে বাধা এসেছিল। স্টেশনের ২০ কিমি থেকে ৫০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে যাত্রীরা অসংরক্ষিত টিকিট এবং প্ল্যাটফর্ম টিকিট বুকিং করতে পারতেন না। জিও-ফেন্সিঙের বাইরের সীমা প্রত্যাহারের পর যাত্রীরা এখন থেকে যে কোনও স্থান থেকে যে কোনও গন্তব্যস্থলের জন্য টিকিট বুক করতে পারবেন,  এমনকি বাড়িতে থেকেও সুবিধাজনকভাবে এই টিকিট বুক করা যাবে। অবশ্যে টিকিট বুক করার দুই ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীদের স্টেশন চত্বরে পৌঁছতে হবে। যাত্রীরা স্টেশনের ভিতর থেকে অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুক করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন– কলকাতায় মঙ্গলবার ও দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় সোমবার কালবৈশাখী ঝড়ের সম্ভাবনা! রাজ্য জুড়েই বৃষ্টির পূর্বাভাস

মোবাইল অ্যাপে ইউটিএস ব্যবহার করার একটি অন্যতম সুবিধা হল অ্যাপের মাধ্যমে অসংরক্ষিত টিকিট বুকিঁয়ের জন্য যাত্রীরা যখন নিজেদের আর-ওয়ালেট রিচার্জ করবেন তখন তাঁরা ৩% বোনাস লাভ করবেন।  এর লক্ষ্য  অসংরক্ষিত টিকিট বুকিং ও ক্রয়ের দক্ষতা বৃদ্ধি করা, টিকিট কাউন্টারগুলিতে দীর্ঘ লাইন হ্রাস করা এবং ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল বুকিং প্রক্রিয়াতে স্থানান্তরিত করতে উৎসাহিত করা।

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, ভারতীয় রেল চাইছে অনলাইন প্রক্রিয়ার উপরে ভীষণ জোর দিতে৷ সেই প্রক্রিয়ায় রেল যে নয়া সিদ্ধান্ত নিল তা একেবারেই যথাযথ সিদ্ধান্ত হতে চলেছে রেল যাত্রীদের কাছে।

Indian Railway: আরও নিরাপদ হবে ভ্রমণ! পর্যটনের মানোন্নয়নে বাড়তি গুরুত্ব পেতে চলেছে আপার অসমের রেলপথ 

 অসম: ​উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব আজ তিনসুকিয়া ডিভিশনের অন্তর্গত নর্থ লখিমপুর-ডিব্রুগড় সেকশনের পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিদর্শন করেন। এই পরিদর্শনের সময় জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে ছিলেন তিনসুকিয়ার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার  উত্তম প্রকাশ সহ হেড কোয়ার্টার এবং ডিভিশনের আধিকারিকোরা।

জেনারেল ম্যানেজার আপার আসামের বিভিন্ন স্টেশনের সমস্ত ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ, বৈদ্যুতীকরণের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি স্টেশনটির রেলওয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সুরক্ষা সম্পর্কিত সরঞ্জামগুলি খতিয়ে দেখেন। এছাড়াও তিনি রেলওয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধাগুলির ক্ষেত্রে উন্নত প্রদর্শনের পরামর্শ দেন।

এই পরিদর্শনের সময়ে জেনারেল ম্যানেজার নর্থ লখিমপুর, বরদলনি, ধেমাজি, টঙ্গানি, ধামালগাঁও ও ডিব্রুগড় স্টেশনের নতুন স্টেশন বিল্ডিং, ক্রু লবি, ফুট ওভার ব্রিজ, প্ল্যাটফর্ম এবং যাত্রীদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কাজের পরিকল্পনা  পরিদর্শন করেন। তিনি ধেমাজি থেকে বগিবিল ব্রিজ নর্থ ব্লক হাট পর্যন্ত এবং বগিবিল ব্রিজ নর্থ ব্লক হাট থেকে টঙ্গানি পর্যন্ত  উইন্ডো ট্রেলিং পরিদর্শন পরিচালনা করেন। লেভেল ক্রসিং গেট, মার্শালিং ইয়ার্ড, কোচিং ইয়ার্ড, মাইনোর ও মেজর ব্রিজ, রানিং রুম, হেল্থ ইউনিটের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিও পরিদর্শন করেন।

এই সেকশনগুলির চলমান কার্যকলাপগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ পরিদর্শন করেন এবং উন্নয়নমূলক পরিকল্পনাগুলি পরীক্ষা করেন। এছাড়াও উন্নত যাত্রী সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য অমৃত ভারত স্টেশন স্কিমের অধীনে স্টেশনের পুনর্বিকাশের কার্যকলাপগুলিও পরিদর্শন করা হয়।

চলমান কাজগুলি সম্পর্কে জেনারেল ম্যানেজার যে মূল্যায়ন করেছেন, তাতে যাত্রীদের নিরাপদ, দক্ষ এবং আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দিতে ক্ষেত্রে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের যে একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা রয়েছে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।

Indian Railways: লাইন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একাধিক ট্রেন বাতিল, বাড়ি থেকে বেরনোর আগে দেখে নিন 

লামডিং: ট্রেনের বাতিলকরণ, নিয়ন্ত্রণ ও সময় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধীনে লামডিং ডিভিশনের জাতিঙ্গা লামপুর এবং নিউ হারাঙ্গাজাও স্টেশনের মধ্যে ট্র্যাক সুরক্ষা সম্পর্কিত কাজের জন্য। ১৮:০০ ঘন্টা থেকে ০৬:০০ ঘন্টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচলের উপর অস্থায়ী রেষ্ট্রিকশ্যন এবং ০২.০৫.২০২৪ তারিখের ০৯:০০ ঘন্টা থেকে ১৫:০০ ঘন্টা পর্যন্ত জাতিঙ্গা লামপুর এবং হারাঙ্গাজাও-এর মধ্যে ট্র্যাফিক ব্লকের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নলিখিত ট্রেনগুলি নিম্নবর্ণিত হিসাবে বাতিল, নিয়ন্ত্রণ এবং সময় পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ‘১০ লাখের মধ্যে ৭ থেকে ৮ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে’, কোভিশিল্ড নিয়ে বললেন ডঃ রমন গঙ্গাখেদকর

ট্রেন পরিষেবার বাতিলকরণ: ➢ ০২.০৫.২০২৪ তারিখে রওনা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ট্রেন নং. ১৫৬১৫ (গুয়াহাটি – শিলচর) এক্সেপ্রস, ট্রেন নং. ১৫৬১৬ (শিলচর – গুয়াহাটি) এক্সপ্রেস, ট্রেন নং. ১৫৬১১ (রঙিয়া – শিলচর) এক্সপ্রেস, ট্রেন নং. ০৫৬২৮ (আগরতলা – গুয়াহাটি) স্পেশাল এবং ০৩.০৫.২০২৪ তারিখে রওনা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ট্রেন নং. ১৫৬১২ (শিলচর – রঙিয়া) এক্সেপ্রস ও ট্রেন নং. ০৫৬২৭ (গুয়াহাটি – আগরতলা) স্পেশাল।

ট্রেনের নিয়ন্ত্রণ:➢ ০১.০৫.২০২৪ তারিখে রওনা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ট্রেন নং. ১৩১৭৫ (শিয়ালদহ – শিলচর) কাঞ্চনজঙ্গা এক্সপ্রেস গুয়াহাটি ও লামডিং-এর মধ্যে ০৪ ঘন্টা নিয়ন্ত্রণ করা হবে।➢ ২৯.০৪.২০২৪ তারিখে রওনা দেওয়া ট্রেন নং. ০৭০৩০ (সেকেন্দ্রাবাদ – আগরতলা) স্পেশাল এবং ৩০.০৪.২০২৪ তারিখে রওনা দেওয়া ট্রেন নং. ১২৫০৩ (এসএমভিটি বেঙ্গালুরু – আগরতলা) হমসফর এক্সপ্রেস গুয়াহাটি ও নিউ হাফলং-এর মধ্যে আবশ্যক অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

ট্রেনের সময় পুনর্নির্ধারণ:➢ ০২.০৫.২০২৪ তারিখে রওনা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ট্রেন নং. ১৪৬১৯ (আগরতলা – ফিরোজপুর) ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেসের সময় ১৫:১০ ঘণ্টার পরিবর্তে ২৩:১০ ঘণ্টায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।➢ ০২.০৫.২০২৪ তারিখে রওনা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ট্রেন নং. ১২৫০৮ (শিলচর – তিরুবনন্তপুরম সেন্ট্রাল) এক্সপ্রেসের সময় ১৯:৫০ ঘণ্টার পরিবর্তে ২৩:৫০ ঘণ্টায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।সামার স্পেশাল ট্রেন বাতিলকরণ: যাত্রীর সংখ্যা কম হওয়ার জন্য, ট্রেন নং. ০৮৩৫১/০৮৩৫২ (সম্বলপুর – গুয়াহাটি – সম্বলপুর) সাপ্তাহিক সামার স্পেশাল-এর বাকী ০৯টি ট্রিপ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Indian Railway: ইংরেজ আমলে ছিল রেলের সদর দফতর, আজ সেই স্টেশনে ‘ঘুঘু’ চড়ে

জলপাইগুড়ি: সরকারের উদ্যোগে আধুনিকতার ছোঁয়ায় উন্নত হচ্ছে একের পর এক রেলস্টেশন। কিন্তু অদ্ভুতভাবে সেই তালিকা থেকে বাদ জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ের দোমহনি স্টেশন। এক সময়কার ইতিহাসের সাক্ষী বহনকারী এই রেলপথ যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের অভাবে আজ ধুঁকছে।

উত্তরবঙ্গের রেল পথ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নীত করার লক্ষ্যে অমৃত ভারত প্রকল্প শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিন্তু জলপাইগুড়ির এই ঐতিহ্যবাহী রেল স্টেশন যেন নজরের আড়ালেই থেকে গিয়েছে বছরের পর বছর। তবে এবার উত্তরের অন্যতম প্রাচীণ এই রেল স্টেশনকে ঘিরে উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন নাগরিক মঞ্চের সকল সদস্য। রেল স্টেশনের পাশেই বিনা ব্যবহারে পড়ে রয়েছে কয়েক একর জমি। কিন্তু না আছে ব্যবহার, না আছে কোনও উন্নয়ন।

আর‌ও পড়ুন: গরমে টবে লাগানো গাছ বাঁচাতে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন

তিস্তা পাড়ের দোমোহনি রেল স্টেশন ইংরেজ আমলে তৈরি। এই স্টেশন ছিল তৎকালীন বেঙ্গল-ডুয়ার্স রেলওয়েজের সদর দফতর। এই স্টেশন থেকেই জঙ্গল পথে ছুটত বাষ্প চালিত ট্রেন। তবে সেসব আজ ইতিহাসের পাতাতেই বন্দি। স্বাধীনতার পর বদলে যায় দোমোহনির আর্থসামাজিক চিত্র। বন্ধ হয়ে যায় রেল যোগাযোগ। এরপর প্রায় ৭৫ বছর পর অন্যান্য রেল স্টেশন যখন আধুনিকীকরণের পথে হেঁটেছে সেই সময় দোমোহনি বঞ্চিতের তালিকাতেই থেকে গিয়েছে। শুধু মাত্র গুটি কয়েক ট্রেন চলাচলের মধ্যেই আটকে আছে দীর্ঘ সময় ধরে।

এই স্টেশন আধুনিকীকরণের দাবিতে এবার জোট বাঁধল এলাকার নাগরিকেরা। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি-ময়নাগুড়ির নাগরিক সচেতনতা মঞ্চ এই দাবির স্বপক্ষে দোমোহনি বাজারে এক পথসভা করে‌। তাঁরা দাবি জানান, রেল স্টেশনের পাশে পড়ে থাকা প্রায় চারশো একর জমিতে এইমস-এর মত অত্যাধুনিক হাসপাতাল এবং রেলের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা স্থাপন করতে হবে। এতে করে এলাকার যুবক- যুবতীদের যেমন কর্মসংস্থান বাড়বে তেমনই যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। ঐতিহাসিক ঐতিহ্য বহনকারী এই রেলপথ জেগে উঠবে পুনরায়।

সুরজিৎ দে

Indian Railway: হাওড়া স্টেশন দিয়ে যাতায়াত? এবার যা হতে চলেছে, অবিশ্বাস্য মনে হবে! কিন্তু হবে বাস্তবেই

এই গরমে হাওড়া স্টেশনে ইস্টার্ন রেলওয়ে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে। এই অসহ্য গরমের কারণে যেমন সাধারণ যাত্রীরা অস্বস্তিতে। এই অস্বস্তি কয়েক গুণ বেড়ে যায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে। সেই দিক থেকে যাত্রীদের সুরক্ষিত রাখতে। রেলের পরিষ্কার এবং মনোরম পরিবেশ দানের উদ্যোগ।
এই গরমে হাওড়া স্টেশনে ইস্টার্ন রেলওয়ে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে। এই অসহ্য গরমের কারণে যেমন সাধারণ যাত্রীরা অস্বস্তিতে। এই অস্বস্তি কয়েক গুণ বেড়ে যায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে। সেই দিক থেকে যাত্রীদের সুরক্ষিত রাখতে। রেলের পরিষ্কার এবং মনোরম পরিবেশ দানের উদ্যোগ।
এই উদ্যোগের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন গুলিকে আরও বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। এর ফলে যাত্রীদের চোখে নজরে পড়বে ঝাঁ চকচকে স্টেশন এবং স্টেশনের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর থাকবে।
এই উদ্যোগের ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন গুলিকে আরও বেশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে। এর ফলে যাত্রীদের চোখে নজরে পড়বে ঝাঁ চকচকে স্টেশন এবং স্টেশনের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর থাকবে।
স্টেশন প্ল্যাটফর্ম গুলিতে সময়ে সময়ে বিশেষ যান্ত্রিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করার কাজ চলছে। এতে স্টেশন চত্বর, যে কোনও ধরণের দূষণ থেকে মুক্ত থাকবে।
স্টেশন প্ল্যাটফর্ম গুলিতে সময়ে সময়ে বিশেষ যান্ত্রিক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করার কাজ চলছে। এতে স্টেশন চত্বর, যে কোনও ধরণের দূষণ থেকে মুক্ত থাকবে।
সেই দিক থেকে পরিচ্ছন্নতার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার জন্য বিশেষ ভাবে উদ্যোগ নিয়েছে রেল। এতে যাত্রীদের রেলে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরও বেশি আগ্রহ বজায় থাকবে। তবে এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মূল সমস্যা হল প্লাস্টিক, সেই দিক থেকে মূল ফোকাস হল রেলওয়ে চত্বর থেকে প্লাস্টিক বন্ধ করা।
সেই দিক থেকে পরিচ্ছন্নতার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার জন্য বিশেষ ভাবে উদ্যোগ নিয়েছে রেল। এতে যাত্রীদের রেলে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আরও বেশি আগ্রহ বজায় থাকবে। তবে এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মূল সমস্যা হল প্লাস্টিক, সেই দিক থেকে মূল ফোকাস হল রেলওয়ে চত্বর থেকে প্লাস্টিক বন্ধ করা।
একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক নির্মূল করার উপর বিশেষ জোর। প্লাস্টিক দূষণের পরিবেশগত প্রভাবকে তুলে ধরা। পূর্ব রেলওয়ে প্রচারের মাধ্যমে নানা দূষণ কম করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
একবার ব্যবহার যোগ্য প্লাস্টিক নির্মূল করার উপর বিশেষ জোর। প্লাস্টিক দূষণের পরিবেশগত প্রভাবকে তুলে ধরা। পূর্ব রেলওয়ে প্রচারের মাধ্যমে নানা দূষণ কম করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এই উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে কার্যকর করতে যাত্রী এবং স্টেক হোল্ডারদের উৎসাহিত করা। হাওড়া স্টেশনে একটি ডেডিকেটেড প্লাস্টিক বর্জ্য নিষ্পত্তি জার রাখা হয়েছে।
এই উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে কার্যকর করতে যাত্রী এবং স্টেক হোল্ডারদের উৎসাহিত করা। হাওড়া স্টেশনে একটি ডেডিকেটেড প্লাস্টিক বর্জ্য নিষ্পত্তি জার রাখা হয়েছে।
যা যাত্রীদের জন্য দায়িত্বশীল ভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য নিষ্পত্তি করতে এবং পরিষ্কার এবং প্লাস্টিক-মুক্ত পরিবেশ গড়তে সাহায্য করবে। হাওড়া স্টেশনে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মত উদ্যোগের মাধ্যমে রেল সকলের জন্য একটি নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন এবং দৃঢ় পরিষেবা প্রদানে লক্ষ্যবদ্ধ।

যা যাত্রীদের জন্য দায়িত্বশীল ভাবে প্লাস্টিক বর্জ্য নিষ্পত্তি করতে এবং পরিষ্কার এবং প্লাস্টিক-মুক্ত পরিবেশ গড়তে সাহায্য করবে। হাওড়া স্টেশনে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মত উদ্যোগের মাধ্যমে রেল সকলের জন্য একটি নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন এবং দৃঢ় পরিষেবা প্রদানে লক্ষ্যবদ্ধ।

Indian Railway: হু হু করে চড়ছে তাপমাত্রার পারদ! চাহিদা বাড়ছে সামার স্পেশাল ট্রেনের… রেলের বিশেষ বন্দোবস্ত

নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে বাড়ছে গরম। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আরও কয়েকটি সামার স্পেশাল ট্রেন চালানো শুরু হল।  গ্রীষ্মকালীন ভিড়ের সময় যাত্রীদের  চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে আরও কয়েকটি সামার স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই প্রচন্ড গরমে ভ্রমণের সময় যাত্রীরা যাতে হাইড্রেটেড থাকে তার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সমস্ত স্টেশনে বিনামূল্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা করেছে।

ট্রেন নম্বর ০৬৫৬৯ (এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি) স্পেশাল ২৮ এপ্রিল থেকে ১৯ মে, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক রবিবার এসএমভিটি বেঙ্গালুরু থেকে রওনা দেবে।

ফেরত যাত্রার সময় ট্রেন নম্বর ০৬৫৭০ (গুয়াহাটি-এসএমভিটি বেঙ্গালুরু) স্পেশাল ১ থেকে ২২ মে, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক বুধবার গুয়াহাটি থেকে ০৬.০০ ঘণ্টায় রওনা দিয়ে শুক্রবার ১০.০০ ঘণ্টায় এসএমভিটি বাঙ্গালুরু পৌঁছবে। অন্যদিকে, ট্রেন নং. ০৯১০১ (ভদোদরা-কাটিহার) স্পেশাল ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ (বুধবার) ভদোদরা থেকে ২৩.৩০ -এ রওনা দিয়ে শুক্রবার ১৬.৩০-এ কাটিহার পৌঁছবে।

ফেরত যাত্রার সময়, ট্রেন নম্বর ০৯১০২ (কাটিহার-ভদোদরা) স্পেশাল ২৭ এপ্রিল, ২০২৪ (শনিবার) কাটিহার থেকে ১৫.০০ ঘণ্টায় রওনা দিয়ে সোমবার ০৭.৩০ ঘণ্টায় ভদোদরা পৌঁছবে। ট্রেন নং. ০৪০১০ (আনন্দ বিহার টার্মিনাল-যোগবাণী) স্পেশাল ৩০ এপ্রিল থেকে ২৫ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক মঙ্গলবার আনন্দ বিহার টার্মিনাল থেকে ২৩.৪৫ ঘণ্টায় রওনা দিয়ে বৃহস্পতিবার ৫.২০ ঘণ্টায় যোগবাণী পৌঁছবে। ফেরত যাত্রার সময়, ট্রেন নং. ০৪০০৯ (যোগবাণী-আনন্দ বিহার টার্মিনাল) স্পেশাল ০২ মে থেকে ২৭ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক বৃহস্পতিবার যোগবাণী থেকে ০৯.০০ ঘণ্টায় রওনা দিয়ে শুক্রবার ১৬.০৫ ঘণ্টায় আনন্দ বিহার টার্মিনাল পৌঁছবে।

আরও পড়ুন:  রাজ্যে বৃষ্টির আশা মাত্র দুই জেলায়, চরম তাপপ্রবাহ কোথায় কোথায়? রইল সর্বশেষ আপডেট

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, এই ট্রেনগুলির স্টপেজ ও সময়সূচির বিশদ বিবরণ আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে এবং বিভিন্ন সংবাদপত্র ও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও দেওয়া হয়েছে। যাত্রা করার আগে বিশদ বিবরণগুলি দেখে নেওয়ার জন্য যাত্রীদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

Indian Railway: জিরো স্ক্র্যাপ মিশন! বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি করে রেকর্ড আয় ভারতীয় রেলের 

নয়াদিল্লি: বিগত অর্থবর্ষে সর্বাধিক বর্জ্য সামগ্রী বিক্রির কৃতিত্ব অর্জন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের।  ভারতীয় রেলওয়ের ‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন’ অনুযায়ী উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিজের সব কয়েকটি ডিভিশনে বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই মিশন সফল করতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি ডিভিশন, ওয়ার্কশপ ও শেডগুলিকে বর্জ্য সামগ্রী মুক্ত রাখতে বলা হয়েছে।

বিগত অর্থবর্ষ  ২০২৩-২৪ সালে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি থেকে ২০২.৮৪ কোটি টাকা আয় করেছিল। এই বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি করার দ্বারা উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড অর্জন করে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের ১৮৯.৯২ কোটি টাকার বর্জ্য বিক্রির তুলনায় এই বৃদ্ধি ৬.৮ শতাংশ।

‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন’-এর অধীনে এই অভিযান চলাকালীন, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বিগত অর্থবর্ষে ২৩৫৫৩ এমটি স্ক্র্যাপ রেল/পি-ওয়ে উপকরণ এবং ১৯১৯২ এমটি বিভিন্ন বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি করেছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ২৬টি ডিজেল লোকোমোটিভ, ২৪৭টি কোচ এবং ২৮৪টি ওয়াগনও বিক্রি করে। ​‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন’ অভিযানের ফলে শুধুমাত্র যে ভারতীয় রেলওয়ের রাজস্বই উৎপন্ন হয়েছে তা নয়, বরং এর পাশাপাশি অন্যান্য বর্জ্য সামগ্রী এবং উপাদান জমা করার স্থানও তৈরি করেছে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে বৃষ্টির আশা মাত্র দুই জেলায়, চরম তাপপ্রবাহ কোথায় কোথায়? রইল সর্বশেষ আপডেট

স্টেশন, ডিপো, শেড, ওয়ার্কশপ ও সেকশনগুলি যাতে বর্জ্য সামগ্রী মুক্ত রাখা যায় তার জন্য এই মিশনের অধীনে ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই পর্যবেক্ষণের ফলে বর্জ্য সামগ্রী বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার পাশাপাশি স্টেশন, কর্মক্ষেত্র ও চারপাশের এলাকার সৌন্দর্যও বৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়াও রেলওয়ে চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ অনকূল করে রাখার ক্ষেত্রে এই মিশন সহায়ক হয়ে উঠেছে। রেল সূত্রে খবর, একটা সময় এই স্ক্র‍্যাপ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল৷ যদিও সেই অভিযোগ এখন আর নেই৷ পুরোপুরিভাবে এই স্ক্র‍্যাপ অন্যভাবে ব্যবহার করা হয়৷

Lok Sabha Election 2024: যন্ত্রণার নাম রেলগেট, সমাধানের ওভারব্রিজ যেন ভোটের ‘মোয়া’

পূর্ব মেদিনীপুর: ভোট এলেই পাঁশকুড়ার মানুষ পায় রেল যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পায়। কিন্তু ভোট মিটলেই আবার যেই কে সেই। প্রায় আড়াই দশক ধরে এই একই ছবি চলে আসছে। পাঁশকুড়া সাধারণ মানুষের এই অসুবিধাও দিন দিন গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। এবার অন্তত ওভার ব্রিজের এই কষ্ট থেকে মুক্তি চাইছেন তাঁরা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেল জংশন পাঁশকুড়া। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এই জংশনটি অন্যতম ব্যস্ত জংশন হিসাবেও পরিচিত। সারাদিন যাত্রীবাহী লোকাল, এক্সপ্রেস, প্যাসেঞ্জার ট্রেনের পাশাপাশি বহু মাল গাড়ি যাতায়াত করে এই স্টেশনের ওপর দিয়ে। স্টেশন পেরিয়েই রয়েছে রেলগেট। এই রেল গেটটি পাঁশকুড়াবাসীর কাছে বছরের পর বছর যন্ত্রণার কারণ হয়ে থেকে গিয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: সারনা ধর্মের স্বীকৃতি না মেলায় ভোট বয়কটের ডাক আদিবাসী সংগঠনের

পাঁশকুড়া স্টেশন সংলগ্ন পাঁশকুড়া সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড থেকে জাতীয় সড়কের মেচগ্রাম মোড় যাওয়ার পথেই রয়েছে এই রেলগেট। একবার গেটটি বন্ধ হলে প্রায় ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় লাগে গেট খুলতে। সামান্য এই রাস্তা পারাপারের সময় দীর্ঘক্ষণ লেভেল ক্রসিংয়ে আটকে থাকতে হয় সাধারণ মানুষকে। রেল গেট পেরিয়েই পাঁশকুড়াবাসীকে যেতে হয় পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিস্টি হাসপাতাল, পাঁশকুড়া কলেজ সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে। কিন্তু রেলগেট বন্ধ হলেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকায় সময় নষ্ট হয় সাধারণ মানুষের। পাঁশকুড়ার সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি এই জায়গায় ওভারব্রিজ বা বিকল্প কিছুর ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু প্রতিবার ভোট এলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বিকল্প ব্যবস্থার। কিন্তু ভোটের পর প্রতিশ্রুতি পূরণ হয় না আর।

আবারও লোকসভা নির্বাচনের সময়ও চর্চায় উঠে এসেছে পাঁশকুড়ার এই লেভেল ক্রসিং বা রেলগেট। পাঁশকুড়া সাধারণ মানুষের দাবি, দীর্ঘ সময় লেভেল ক্রসিং বা রেলগেটে আটকে থাকায় তাঁদের কাজের ক্ষতি হচ্ছে। দীর্ঘ সময় রেলগেট পড়ে থাকায় কলেজের ছাত্রছাত্রী বা মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে তাঁদের প্রায় তাদের পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘ আড়াই দশক ধরে তাঁরা শুনে আসছে এই জায়গায় ওভারব্রিজ তৈরি হবে, কিন্তু কাজের কাজ আর কিছু হচ্ছে না।

আর‌ও পড়ুন: বৈশাখে অসময়ের চড়ক দেখতে এখানে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়

প্রসঙ্গত বর্তমানেও রেল যন্ত্রণাকেই সঙ্গে নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সাধারণ মানুষের দাবি এবার ভোটের পর যেন তাদের এই সমস্যার সমাধান হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক তরফ থেকে পাঁশকুড়ার সাধারণ মানুষের কাছে আবারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে এবার নির্বাচনের পর এই সমস্যার সমাধান করা হবে। কিন্তু রেল যন্ত্রণার হাত থেকে কবে মুক্তি পাবে পাঁশকুড়াবাসী তা সময়ই বলবে।

সৈকত শী

Train News: হাওড়া-বর্ধমান লাইনে চলবে কাজ! ট্রেন যাত্রীদের কি দুর্ভোগ বাড়বে? সবটা জেনে নিন

হাওড়া: হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের বালিতে এবং হাওড়া-বর্ধমান মেন সেকশনে রেল ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে। নিত্যযাত্রীদের সুবিধার্থে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে হাওড়া ডিভিশন। রেলের পরিভাষায় যা বলা হয়েছে, তা হল এই আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ জুন, প্রতিদিন ১৫০ মিনিট ধরে ট্র্যাফিক এবং পাওয়ার ব্লক থাকবে।
হাওড়া: হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনের বালিতে এবং হাওড়া-বর্ধমান মেন সেকশনে রেল ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হবে। নিত্যযাত্রীদের সুবিধার্থে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে হাওড়া ডিভিশন। রেলের পরিভাষায় যা বলা হয়েছে, তা হল এই আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ জুন, প্রতিদিন ১৫০ মিনিট ধরে ট্র্যাফিক এবং পাওয়ার ব্লক থাকবে।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া দ্বারা বালিতে দ্বিতীয় বিবেকানন্দ সেতু তথা নিবেদিতা সেতুর এপ্রোচ রোডে ওভারব্রিজ ১৫এ জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ। এর জন্য আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত টানা ৪৬ দিন প্রতিদিন ১৫০ মিনিটের ট্রাফিক ও পাওয়ার ব্লকের প্রয়োজন হবে।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া দ্বারা বালিতে দ্বিতীয় বিবেকানন্দ সেতু তথা নিবেদিতা সেতুর এপ্রোচ রোডে ওভারব্রিজ ১৫এ জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ। এর জন্য আগামী ২২ এপ্রিল থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত টানা ৪৬ দিন প্রতিদিন ১৫০ মিনিটের ট্রাফিক ও পাওয়ার ব্লকের প্রয়োজন হবে।
সেই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিস্তারিত জানিয়েছেন পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র।প্রধানত গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত হাওড়া আপ এবং ডাউন লাইনে বর্ধমান কড এবং মেইন লাইন সেকশনের রিভের্সাল লাইনে লোকাল ট্রেনে চলার সময় কোনও প্রতিক্রিয়া অনুভব করা যায় না।
সেই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিস্তারিত জানিয়েছেন পূর্ব রেলের সিপিআরও কৌশিক মিত্র।প্রধানত গভীর রাত থেকে ভোর রাত পর্যন্ত হাওড়া আপ এবং ডাউন লাইনে বর্ধমান কড এবং মেইন লাইন সেকশনের রিভের্সাল লাইনে লোকাল ট্রেনে চলার সময় কোনও প্রতিক্রিয়া অনুভব করা যায় না।
সেই সব দিক ভেবে পরিকল্পনা করে শুধুমাত্র কয়েকটি মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনকে ন্যূনতম ডাইভারসেন্ট এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই ট্রাফিক ব্লকটি বিভিন্ন দিনে উপযুক্তভাবে মঞ্জুর করা হয়েছে। এতে মানুষের কিছুটা অসুবিধার কথাও জানিয়েছে পূর্ব রেল।
সেই সব দিক ভেবে পরিকল্পনা করে শুধুমাত্র কয়েকটি মেইল এক্সপ্রেস ট্রেনকে ন্যূনতম ডাইভারসেন্ট এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এই ট্রাফিক ব্লকটি বিভিন্ন দিনে উপযুক্তভাবে মঞ্জুর করা হয়েছে। এতে মানুষের কিছুটা অসুবিধার কথাও জানিয়েছে পূর্ব রেল।
সূত্রের খবর, তার জন্য ১২৩৭০ দেহরাদুন-হাওড়া কুম্ভ এক্সপ্রেসকে ব্যান্ডেল দিয়ে ঘুরিয়ে বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া হবে। ১২৩২৮ দেহরাদুন-হাওড়া উপাসনা এক্সপ্রেসকে ব্যান্ডেল দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ১৫২৭২ মুজফ্ফর-হাওড়া জনসাধারণ এক্সপ্রেসকেও ব্যান্ডেল দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ০৩০৫১ হাওড়া-বর্ধমান মেমু ট্রেনটিকে ডানকুনি দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।রাকেশ মাইতি
সূত্রের খবর, তার জন্য ১২৩৭০ দেহরাদুন-হাওড়া কুম্ভ এক্সপ্রেসকে ব্যান্ডেল দিয়ে ঘুরিয়ে বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া হবে। ১২৩২৮ দেহরাদুন-হাওড়া উপাসনা এক্সপ্রেসকে ব্যান্ডেল দিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ১৫২৭২ মুজফ্ফর-হাওড়া জনসাধারণ এক্সপ্রেসকেও ব্যান্ডেল দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ০৩০৫১ হাওড়া-বর্ধমান মেমু ট্রেনটিকে ডানকুনি দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।রাকেশ মাইতি

Summer Vacation: সুখবর! দুই জোড়া সামার স্পেশ‍্যাল ট্রেন চালবে গরমকালে, কোন কোন রুটে? জানুন

ত্রিপুরা: গরমের ভিড়ের সময় যাত্রীদের সুবিধার জন্য দুই জোড়া সামার স্পেশ‍্যাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। একটি ট্রেন গুয়াহাটি ও এসএমভিটি বেঙ্গালুরু মধ্যে এবং আরেকটি ত্রিপুরার আগরতলা থেকে মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস পর্যন্ত। দুটি ট্রেনই উভয় দিক থেকে এগারোটি করে ট্রিপের জন্য চলাচল করবে। এই রুটগুলিতে চলাচল করা অন্যান্য ট্রেনের ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীরা গরমের সময় স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য এই স্পেশাল ট্রেনগুলির সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ, অনন্তনাগে জঙ্গিহানায় নিহত বিহারের পরিযায়ী শ্রমিক

স্পেশ‍‍্যাল ট্রেন নং. ০৬৫২১ (এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি) ১৬ এপ্রিল থেকে ২৫ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক মঙ্গলবার রাত ১১:৪০ টায় এসএমভিটি বেঙ্গালুরু থেকে রওনা দিয়ে শুক্রবার সকাল ০৪:৫০ টায় গুয়াহাটি পৌঁছবে। ফেরত যাত্রার সময় স্পেশ‍্যাল ট্রেন নং. ০৬৫২২ (গুয়াহাটি-এসএমভিটি বেঙ্গালুরু) ২০ এপ্রিল থেকে ২৯ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক শনিবার সকাল ০৬:১৫ টায় গুয়াহাটি থেকে রওনা দিয়ে সোমবার সকাল ১০:৫৫ টায় এসএমভিটি বেঙ্গালুরু পৌঁছবে। এই স্পেশ‍্যাল ট্রেনটিতে শুধুমাত্র অসংরক্ষিত জেনারেল ও চেয়ার কার কোচ থাকবে। উভয় পথে যাত্রার সময় এই স্পেশ‍্যাল ট্রেনটি রঙিয়া, নিউ জলপাইগুড়ি, মালদা টাউন, খড়গপুর, বরহমপুর, রাজামুন্ড্রি, কাটপাড়ি জং. ইত্যাদি হয়ে চলাচল করবে।

আরেকটি স্পেশ‍্যাল ট্রেন নং. ০১০৬৫ (ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস-আগরতলা) ১৮ এপ্রিল থেকে ২৭ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক বৃহস্পতিবার সকাল ১১:০৫ টায় ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস থেকে রওনা দিয়ে রবিবার রাত ০১:১০ টায় আগরতলা পৌঁছবে। ফেরত যাত্রার সময় স্পেশাল ট্রেন নং. ০১০৬৬ (আগরতলা-ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস) ২১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক রবিবার বিকেল ০৩:১০ টায় আগরতলা থেকে রওনা দিয়ে বুধবার ভোর ০৩:৫০ টায় ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস পৌঁছবে।এই স্পেশাল ট্রেনটিতে দুটি এসি ৩-টিয়ার এবং আঠারোটি স্লিপার ক্লাস কোচ থাকবে। উভয় পথে যাত্রার সময় এই স্পেশাল ট্রেনটি বদরপুর, গুয়াহাটি, রঙিয়া, নিউ জলপাইগুড়ি, কাটিহার, পাটলিপুত্র, সাতনা, জবলপুর, খান্ডোয়া জং., ভুসবলজং., ইগাতপুরি, কল্যাণ জং., দাদর ইত্যাদি হয়ে চলাচল করবে।

এছাড়াও, রেল যাত্রীদের সুবিধা প্রদানের পদক্ষেপ হিসেবে ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে যাত্রা আরম্ভ করা ট্রেন নং. ১২৪২৩/১২৪২৪ (ডিব্রুগড়-নিউ দিল্লি-ডিব্রুগড়) রাজধানী এক্সপ্রেসের রঙিয়া স্টেশনে এবং ট্রেন নং. ১৫৬৬৫/১৫৬৬৬ (গুয়াহাটি-মরিয়নি জং.-গুয়াহাটি) বিজি এক্সপ্রেসের বোকাজান স্টেশনে দুই মিনিটের অতিরিক্ত স্টপেজ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে যাত্রা আরম্ভ করা ট্রেন নং. ১৩১৭৩/১৩১৭৪ (শিয়ালদহ-আগরতলা-শিয়ালদহ) কাঞ্চনজংঘা এক্সপ্রেসের বিহারা স্টেশনে দুই মিনিটের অতিরিক্ত স্টপেজ প্রদান করা হবে।​ট্রেন নং.১২৪২৩ (ডিব্রুগড়-নিউ দিল্লি) রাজধানী এক্সপ্রেস রঙিয়া স্টেশনে পৌঁছবে সকাল ০৭:৪৫ টায় এবং রওনা দিবে সকাল ০৭:৪৭ টায়। ফেরত যাত্রার সময় ১২৪২৪ (নিউ দিল্লি-ডিব্রুগড়) রাজধানী এক্সপ্রেস রঙিয়া স্টেশনে পৌঁছবে সন্ধ্যা ০৬:০৪ টায় এবং রওনা দিবে সন্ধ্যা ০৬:০৬ টায়।

ট্রেন নং.১৫৬৬৫ (গুয়াহাটি-মরিয়নি জং.) বিজি এক্সপ্রেস বোকাজান স্টেশনে পৌঁছবে সন্ধ্যা ০৮:০৫ টায় এবং রওনা দিবে সন্ধ্যা ০৮:০৭ টায়। ফেরত যাত্রার সময় ট্রেন নং.১৫৬৬৬ (মরিয়নি জং.-গুয়াহাটি) বিজি এক্সপ্রেস বোকাজান স্টেশনে পৌঁছবে সকাল ০৯:১৯ টায় এবং রওনা দিবে সকাল ০৯:২১ টায়। ট্রেন নং. ১৩১৭৩ (শিয়ালদহ-আগরতলা) কাঞ্চনজংঘা এক্সপ্রেস বিহারা স্টেশনে পৌঁছবে দুপুর ১২:০৩ টায় এবং রওনা দিবে দুপুর ১২:০৫ টায়। ফেরত যাত্রার সময় ট্রেন নং. ১৩১৭৪ (আগরতলা-শিয়ালদহ) কাঞ্চনজংঘা এক্সপ্রেস বিহারা স্টেশনে পৌঁছবে দুপুর ০১:২৫ টায় এবং রওনা দিবে দুপুর ০১:২৭ টায়।