কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিভাগীয় প্রধান পদত্যাগ করলেন। বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন। সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক (তৃণমূল ঘনিষ্ঠ) আর্টস ফ্যাকাল্ট-এর বৈঠকে আপত্তিকর কথা বলেন।
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, পিএইচডি-এর তালিকায় একজন ছাত্রের নাম রাখার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছিল বিভাগীয় প্রধানের উপর। তার জেরেই পদত্যাগ বলেই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। যদিও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ উপাচার্য।
আরও পড়ুন: সেমেস্টারে পরীক্ষা, পাশ-ফেলের নিয়মেও আমূল পরিবর্তন! উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে বড় ঘোষণা
গত বুধবার আর্টস ফ্যাকাল্টির পিএইচডি কমিটির মিটিং ছিল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক-সহ ৩ টি বিভাগের ভর্তির লিস্ট বের করা হয়। শাসক দলের এক নেতা যিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক, তিনি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে অভিযোগ করে বলেন যে, তাঁকে নাকি সুপারভাইজার হিসাবে বিভাগীয় পিএইচডি কমিটির মিটিংয়ে ডাকা হয়নি গাইড হিসাবে। যদিও ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী ৩ বছর চাকরি না থাকলে আইনত গাইড হওয়া যায় না যেটি ওই অধ্যাপকের নেই।
তারপর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ওই অধ্যাপককে ফ্যাকাল্টির পিএইচডি কমিটির মিটিংয়ে পাঠিয়ে দেন তিনি ওই কমিটির সদস্য না হওয়া সত্ত্বেও। ওই অধ্যাপক সেখানে গিয়ে মিটিংয়ের পুরোটা সময় বসে থাকেন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে বাকি সমস্ত সদস্যদের সামনে চরম অপমান করেন।
একজন মহিলা বিভাগীয় প্রধানের উদ্দেশ্যে এমন ভাষায় কথা বলেন যেটা বলা যায়না। ওই অবস্থায় অন্য বেশ কিছু বিভাগীয় প্রধান ও সদস্যরা ওই অধ্যাপকের ব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ করেন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে বিভাগীয় প্রধান যিনি একজন মহিলা অধ্যাপক, তিনি পদত্যাগ করলেন। অভিযোগ আরও মারাত্মক।
ওই সিনিয়র অধ্যাপক নাকি একজন ছাত্রের নাম যাতে না রাখা হয় সেজন্য বিভাগীয় প্রধানকে চাপ দিচ্ছিলেন। চাপ দিচ্ছিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য। কিন্তু বিভাগীয় প্রধান বিভাগের পিএইচডি কমিটির তৈরি করে দেওয়া লিস্টে কোনও পরিবর্তন করতে রাজি হননি। সেইজন্যই ভাররাপ্ত উপাচার্য এই লিস্ট আটকে দেওয়া ও তদন্তের কথা বলছেন। আর ওই সিনিয়র অধ্যাপককে দিয়ে ফ্যাকাল্টির পিএইচডি কমিটির মিটিংয়ে বিভাগীয় প্রধানকে অপমান করান যাতে করে ওই প্রধান অপমান করেন এবং লিস্ট ঝুলে যায়।