ওজন কমাতে সকলে চাই। বিভিন্ন টোটকার সাহয্য রোগা হওয়ার চেষ্টা করে ছোট থেকে বড় সকলেই। তেমনই এক টোটকা হল সকালে ঘুম থেকে উঠে পাতিলেবুর রস (Lemon Water) খাওয়া।ওজন কমাতে সকলে চাই। বিভিন্ন টোটকার সাহয্য রোগা হওয়ার চেষ্টা করে ছোট থেকে বড় সকলেই। তেমনই এক টোটকা হল সকালে ঘুম থেকে উঠে পাতিলেবুর রস (Lemon Water) খাওয়া।ডায়েটিশিয়ান কামিনী বলেন, লেবুর জল পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং মেটাবলিজম বাড়ে। যে কোনও খাবারে লেবু ছিটিয়েও খেতে পারেন। এতে শরীরেরও উপকার হবে। তবে, যাদের লেবুতে অ্যালার্জি আছে তাঁদের এটি খাওয়া উচিত নয়। এ ব্যাপারে চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শও নিতে পারেন।দিনে দুবার লেবু জল পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং সর্দি, কাশি এবং গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সকালে লেবু জল পান করলে শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের হয়ে যায় এবং শরীরে জমে থাকা চর্বি কম হয়। লেবু জল ওজন কমাতে খুবই সহায়ক।লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করতে সক্ষম হতে পারে। জনপ্রিয় বিশ্বাসের বিপরীতে, সাইট্রেট, সাইট্রিক অ্যাসিডের একটি উপাদান, প্রস্রাবের অম্লতা কমায় এবং এমনকি ছোট পাথর দ্রবীভূত করতে সাহায্য করতে পারে।কিডনিতে পাথর প্রতিরোধের জন্য অন্যান্য ওষুধের পাশাপাশি, ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন জলের সাথে ৪ আউন্স ঘনীভূত লেবুর রস একত্রিত করার একটি সম্পূরক খাদ্যতালিকাগত থেরাপির সুপারিশ করে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
মালদহ: বোতলবন্দি সোডা নয়, আপনার সামনেই জল থেকে তৈরি করা হবে সোডা। সেই সোডা দিয়ে তৈরি হচ্ছে নিম্বু পানি। মালদহে একমাত্র এই নিম্বু পানির দোকান ভ্রাম্যমাণ। প্রচণ্ড গরমে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে টাটকা সোডার এই নিম্বু পানি বিক্রি করছেন বিক্রেতা। চোখের সামনে সোডা তৈরি করা হচ্ছে। সেই সোডায় বরফ, লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে নিম্বু পানি।
প্রচণ্ড গরম থেকে তৃপ্তি পেতে মানুষ ভিড় করছেন এই নিম্বু পানির দোকানে। বিক্রেতা অনুপ সিংহ। সোডা তৈরির এই মেশিন কিনে এনেছেন রাজস্থান থেকে। এই মেশিনে একসঙ্গে তিন বোতল সোডা তৈরি করা যায়। বোতলে পরিষ্কার জল ভরে মেশিনে দিয়ে দিচ্ছেন। কার্বন ডাই-অক্সাইড সিলিন্ডারের সঙ্গে মেশিনের সংযোগ রয়েছে। বিশেষ পদ্ধতিতে মেশিনের সাহায্যে বোতল ঘোরানো হচ্ছে। কয়েক মিনিট ঘুরিয়েই জলের সঙ্গে কার্বন ডাই-অক্সাইড মিশে দ্রুত তৈরি হচ্ছে সোডা। সেই সোডা বার করে সঙ্গে সঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে নিম্বু পানি। সোডার সঙ্গে মেশানো হচ্ছে বরফ, চিনি ও লেবুর রস। এছাড়াও স্বাদের জন্য চাট মশলা দেওয়া হচ্ছে।
১০ টাকা ও ২০ টাকার গ্লাস করে বিক্রি হচ্ছে এই টাটকা সোডার নিম্বু পানি। বিক্রেতা অনুপ সিংহ বলেন, ”অনেকেই কিনে খাচ্ছেন। টাটকা সোডা তৈরি করে সেই সোডা দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে নিম্বু পানি। সোডা তৈরির মেশিন ভিন রাজ্য থেকে কিনে নিয়ে এসেছি।” এই সোডা তৈরির মেশিন বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে তাঁকে। সোডা তৈরির মেশিন-সহ গাড়ি তৈরি করতে খরচ পড়েছে প্রায় দুই লক্ষ টাকা। রোজগারও ভাল হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা রোজগার করছেন তিনি নিম্বু পানি বিক্রি করেই। স্থায়ী দোকান নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছেন।
পেটে বাড়তি মেদ জমেছে? কিছুতেই কমছে না? যোগা, ব্যায়াম সবেতেই ফল পাচ্ছেন না! তাহলে জেনে নিন সহজ একটা উপায়! মাত্র সাতদিনে পেটের মেদ দূর হবে! পাতলা ছিপছিপে কোমর পাবেন! photo source collectedসকালে খালি পেটে হালকা গরম জলে লেবুর রস আমরা অনেকেই খাই! কেউ কেউ তাতে মধু যোগ করি! কিন্তু দিনের পর দিন খেয়েও লাভ হচ্ছে না! photo source collectedমেদ কমার নাম নেই! আসলে আপনি একটা ছোট্ট ভুল করে ফেলছেন! শুধু লেবুর জলে মেদ কমাতে হলে অনেক সময় লাগবে! সেই সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করতেই হবে! photo source collectedকিন্তু এমন একটি সহজ টোটকা আছে যা ব্যায়াম ছাড়াই সাত দিনে পেটের মেদ কমাবে! photo source collectedহালকা গরম জলে লেবু তো দেবেনই, সেই সঙ্গে দিতে হবে এক চামচ চিয়া সিড! এই চিয়া সিড এক ঝটকায় সব মেদ কমাবে! চিয়া সিড ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার ও অন্যান্য পুষ্টিতে ভরপুর! photo source collectedপ্রোটিন ও ফাইবারে ভরপুর লেবু ও চিয়ার জল খিদে কমাতে এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বাড়তি মেদ সহজে কমায়! বিশেষ করে পেটের! photo source collectedলেবু ও চিয়ার জলে থাকা ভিটামিন সি, দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়! ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়! চুল ভাল করে! photo source collectedলেবু ও চিয়ার জল প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। যা ক্লান্তি দূর করে! গরমে শরীরকে সতেজ রাখে! হজম শক্তি বাড়াবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে! photo source collectedরোজ রাতে এক গ্লাস জলে এক চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই জল হালকা গরম করে, একটা পাতিলেবু মিশিয়ে খালি পেটে খান! উপকার দেখলে চমকে যাবেন! photo source collected
গরমে শরীরকে হাইড্রেটেট রাখার জন্য হাঁসফাঁস করি আমরা সকলে। গ্রীষ্মের দাবদাহে শরীর তরতাজা রাখতে আমাদের অন্যতম ভরসা ডাবের জল এবং লেবুর শরবত।
এই দুই স্বাস্থ্যকর পানীয়ের মধ্যে কোনটা বেশি উপকারী, সে নিয়ে প্রশ্ন থাকে। সেই দ্বন্দ্ব দূর করেছেন পুষ্টিবিদ অবনী কৌল।
গরমে প্রচণ্ড আর্দ্রতায় কাহিল হয়ে পড়লে শরীরের হারিয়ে যাওয়া জলীয় অংশ ফিরিয়ে আনে ডাবের জল। কারণ এই পানীয়ে প্রচুর ইলেক্ট্রোলাইটস।
ডাবের জলের পটাশিয়াম দূর করে ডিহাইড্রেশন এবং মাসল ক্র্যাম্প। অ্যাথলিট এবং শরীরচর্চায় আগ্রহীদের কাছে ডাবের জল সেরা অপশন।
অন্যদিকে লেবুর রসে অত ইলেক্ট্রোলাইটস নেই। হাইড্রেশন করার পাশাপাশি নানা উপকারিতায় ভরা এই পানীয়।
লেবুর রসের ভিটামিন সি সাহায্য করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে শরীরকে। দিনভর হাইড্রেটেড রাখে।
গরমে কোনটা খাবেন, নির্ভর করছে পরিস্থিতির উপর। যদি আপনি দীর্ঘ ক্ষণ কায়িক পরিশ্রম করেন, রোদে সময় কাটাতে হয়, তাহলে ইলেক্ট্রোলাইটে ভরা ডাবের জল পান করুন।
আবার আপনার যদি এমন পানীয় প্রয়োজন হয়, যার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং রোগ প্রতিরোধ শক্তি বেশি, তাহলে বেছে নিন লেবুর রস।
আমাদের শাস্ত্রে যখনই কোনও উত্তম কিছুর বর্ণনা করা হয়েছে, উদাহরণ প্রসঙ্গে এসেছে মধুর কথা। অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল নয়, এই প্রসঙ্গ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলা হয়েছে মধু অতীব উপকারী, তবে তা বেশি মাত্রায় পান করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতিই হয়। আর যদি পান করা হয় দৈনন্দিন ভিত্তিতে, যথাযথ অনুপানে?আমরা অনেকেই জানি যে শীতকালে কাশি-সর্দি কমানোর জন্য মধু ব্যবহার করা হয়। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এর ব্যবহারের কথা আমাদের জানা, ত্বকের যত্নেও বেশ উপকারী এই প্রাকৃতিক উপাদান।কী ভাবে, সেই তথ্য দিতে গিয়ে উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেহরাদুনের বাসিন্দা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. শালিনী জুগরান বলেন, আয়ুর্বেদে মধুকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। তিনি বলেন, আচার্য সুশ্রুত মধুকে মধুর রূপে আখ্যায়িত করার পাশাপাশি একে অনুরসকষায় ও ত্রিদোষ নিবারক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মধু ত্বক ফর্সা করার জন্যও উপকারী, বেশ কিছু আয়ুর্বেদিক উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে আমাদের ত্বক নরম ও পরিষ্কার হয়।পিগমেন্টেশন মুক্ত ত্বকের জন্য মধু সহায়ক। যাঁরা ঠান্ডা বা গলা ব্যথায় ভুগছেন তাঁদের জন্যও এটি কার্যকর। আদার রস ও মধু মিশিয়ে খেলে গলা পরিষ্কার হয়। মধুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়ালের মতো অনেক গুণ রয়েছে, তাই এটি হাড় ভাঙার এবং অন্য ক্ষতের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।একই সঙ্গে মধু দৃষ্টিশক্তিও উন্নত করে। ডা. শালিনী জুগরান বলেন, প্রতিদিন মধু ও ত্রিফলা গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে দৃষ্টিশক্তি ভাল হয়। এ ছাড়া মধুতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ রয়েছে, যার কারণে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াও দূর হয়।মধু ও লেবু খাওয়া ওজন কমাতে যে কার্যকর, তাও আমরা অনেকেই জানি, তবে এর পরিমাপ অনেকেরই অজানা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলছেন যে সকালে খালি পেটে জলে ১ চা চামচ মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে মেদ কমে যায় এবং হজমের অনেক সমস্যা দূর হয়। হজম ভাল থাকার কারণে পেট সংক্রান্ত সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, বদহজম হয় না।মধু প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফেট, সোডিয়াম, ক্লোরিন, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এর পাশাপাশি এতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিবায়োটিক গুণাবলী এবং ভিটামিন বি১ ও বি৬ও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। তবে মধু গরম করে বা গরম জলে মিশিয়ে খাওয়া উচিত নয়, সতর্ক করছেন ডা. শালিনী জুগরান, বলছেন তাতে শরীরের ক্ষতি হবে।
*অনেকেই বলেন যে এক গ্লাস গরম লেবুর জলে মধু মিশিয়ে পান করলে নাকি ওজন কমে। আবার আয়ুর্বেদও খালি পেটে লেবুর জল পান করার পরামর্শ দেয়। কিন্তু এটা কতটা সঠিক? আদৌকি কোনও উপকার হয় ? সংগৃহীত ছবি। *বিশেষজ্ঞদের মতে, গরম জলে লেবু এবং মধু মিশিয়ে খেলে তা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমানোর পাশাপাশি লেবু জলের এই মিশ্রণ পান করলে আরও বহু উপকার পাওয়া যায়। তবে এই মিশ্রণ খালি পেটে খেলে হবে না। সংগৃহীত ছবি। *মেদহীন, ছিপছিপে চেহারা পছন্দ করেন কমবেশি সবাই। মনের মতো শারীরিক গঠন পেতে তাই নানান পন্থা অবলম্বনও করেন অনেকে। যোগ ব্যায়াম কিংবা জিমের পাশপাশি বিভিন্ন খাবার ও পানীয় এর পরামর্শ দেন অনেকে। সংগৃহীত ছবি। *শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে তাই অনেকেই উষ্ণ গরম জলে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই এটি পান করে থাকেন সকালে খালি পেটে। কিন্তু সকালে খালি পেটে লেবুর রস মেশানো জল খাওয়া কি আদৌ শরীরের পক্ষে উপকারি? সংগৃহীত ছবি। *ড: মিলটন বিশ্বাস বলছেন, খালি পেটে লেবুর রস খেলে তা আমাদের পাকস্থলীতে অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। কারণ পাকস্থলীর মধ্যে আগে থেকেই অ্যাসিড থাকে এবং লেবুর মধ্যেও অ্যাসিডিক গুণ থাকে। দুয়ে মিলে শরীরে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। সংগৃহীত ছবি। *খালি পেটে লেবু জল পান করলে হাড়ের সমস্যা, দাঁতের সমস্যা, জলশূন্যতা, ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে। তাই এই সমস্যা এড়াতে তাই ডাক্তার মিল্টন বিশ্বাস পরামর্শ দিচ্ছেন, খালি পেটে লেবুর রস ও মধু মেশান জল পান না করতে। সংগৃহীত ছবি। *দাঁত মেজে, দুই গ্লাস সাধারণ জল পান করার পর উষ্ণ গরম জলে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এটি শরীরের মেটাবলিজম রেট ভালো রাখে। সেই সঙ্গে শরীরের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে, ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। সংগৃহীত ছবি।