সুস্মিতা গোস্বামী, দক্ষিণ দিনাজপুর : ছুটির দিনগুলোতে চিকেন, মটন নিয়ে মেতে থাকলেও, সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে একটু অন্য ধরনের খাবারই মন চায়। আর তাছাড়া অফিস বাড়ির দৌড়া-দৌড়িতে রান্নাও করতে হয় চটজলদি। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে মাথায় রাখতে হয় স্বাদের দিকটিও।
স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন যারা তাঁরা মাংস নয়, মেটের উপকার সম্পর্কে বেশ ভাল জানেন। মেটে এমনিতে খুবই পুষ্টিকর, তবে হজম হতে একটু বেশি সময় নেয়। তাই পরিমাণে অল্প খাওয়াই ভাল। তাই মাংস নয় মেটে দিয়েই তৈরি করা যায় সুস্বাদু একটি রান্না-মেটে চচ্চড়ির রেসিপি। ভাত, রুটি ও পরোটার সঙ্গে দারুণ লাগে মেটের এই পদটি। তাই আজ আপনাদের জন্য রইল চটজলদি ও সুস্বাদে ভরপুর মেটে চচ্চড়ি। দেখে নিন এই রান্নার সহজ রেসিপি।
উপকরণ হিসেবে লাগছে খাসির মেটে, পেঁয়াজ কুচি, টুকরো করে কেটে রাখা টম্যাটো, ছোট টুকরো করে কেটে রাখা আলু, আদা, রসুন, কাঁচালঙ্কা বাটা, তিনটে চিরে রাখা কাঁচালঙ্কা, ফোড়নের জন্য তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, বড় এলাচ, মশলা হিসেবে জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ, লবণ, চিনি, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, মিট মশলা, গরমমশলা গুঁড়ো।
আরও পড়ুন : দিতে হবে তাঁর দান করা কিডনি বা ১২ কোটি টাকা! ডিভোর্সের পর প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে দাবি হতাশ স্বামীর
প্রথমেই কড়াইতে সরষের তেল গরম করে তাতে টুকরো করে কেটে রাখা আলু হালকা লালচে করে ভেজে তুলে নিতে হবে একটি পাত্রে। এবারে ওই তেলেই জিরে, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা, এলাচ দারচিনি ও উপর থেকে সামান্য মেথি পাতা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিতে হবে। তারপর অপর একটি পাত্রের মধ্যে জিরেগুঁড়ো, ধোনে গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো সামান্য জল দিয়ে ভালভাবে মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে।
এবারে কড়াইতে পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে তাতে একসঙ্গে বেটে রাখা আদা, রসুন ও কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে ভালভাবে নেড়ে চেড়ে এবার তাতে একে একে হলুদ গুঁড়ো, লবণ, তৈরি করে রাখা মশলার মিশ্রণ ও টম্যাটো দিয়ে বেশ ভালভাবে মশলা কষিয়ে নিতে হবে। এবারে তার মধ্যে কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, সামান্য হিং গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে নিয়ে এবার তাতে খাসির মেটে ও ভেজে রাখা আলু দিয়ে ভালভাবে নেড়ে চেড়ে নিতে হবে। যেন মশলার মিশ্রণের সঙ্গে মেটে ভালভাবে মিশে যায়। এরপর উপর থেকে সামান্য মিট মশলা ছরিয়ে পরিমাণ মতো জল দিয়ে একটা পাত্র দিয়ে ঢাকা দিয়ে বেশ ভালভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে। কিছু ক্ষণ পর জল শুকিয়ে গিয়ে সিদ্ধ হয়ে গেলে উপর থেকে গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে নিলেই তৈরি খাসির মেটে চচ্চড়ি। এরপর একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে লুচি পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন। মন কাড়বে সকলের।
পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমানের খাদ্য রসিকদের জন্য সুখবর। অল্প দামেই মিলছে মন ভাল করা খাবার। আজকের এই প্রতিবেদনে রইলো তারই বিস্তারিত। খেতে ভালোবাসেন এমন বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। খাদ্য প্রিয় এই বাঙালির একটা বড়ো অংশই ভালবাসেন মাংস খেতে। আর সেই মাংস খাসির হলে, তো সোনায় সোহাগা। অল্প বাজেটের মধ্যেই তেমিনই এক দোকানের হদিস রইলো আজকের এই প্রতিবেদনে। যেখানে গেলে আপনি পাবেন মন ভাল করা স্বাদের খাবার।
আরও পড়ুনঃ এক চুটকিতে ঘর থেকে বাথরুম হবে ঝকঝকে! পরিষ্কার করার সময় জাস্ট ৩টে টিপস মাথায় রাখুন
মাত্র ৬০ টাকার বিনিময়ে এখানে পাওয়া যাবে খাসির মাংস দিয়ে সাজানো ভাতের থালি। তবে, শুধু খাসির মাংস নয় , এই হোটেলে যা খাবেন সবকিছুর দামই মাত্র ৬০ টাকা। এই প্রসঙ্গে হোটেলের কর্ণধার অনিল দত্ত বলেন, “গরীব থেকে ধনী সবাই খাসির মাংস খায়। এছাড়াও মাছ, ডিম,মুরগির মাংস খেতেও অনেকে পছন্দ করেন । তাই অল্প টাকায় সবাই যাতে ভাল খাবার খেতে পারে সেই কারণেই এই কম টাকায় দেওয়া হচ্ছে ।”
বর্ধমান শহরের এই হোটেল বর্তমানে সকলের কাছে পিসির হোটেল নামেই পরিচিত। জানা গিয়েছে, এই হোটেলে যাঁরা কাজ করেন তাঁরা কেউই বাইরের লোক নয়। অর্থাৎ এই দত্ত পরিবারের সকলেই যুক্ত রয়েছেন এই হোটেলের সঙ্গে । পরিবারের সকলে মিলে চালাচ্ছেন এই হোটেল । তবে এই হোটেলে যিনি রান্না করেন তিনিই সকলের কাছে ‘ পিসি ‘ নামেই পরিচিত। পিসির নাম সারথী দত্ত। সারথী দেবীকে সকলে ভালবেসে পিসি বলেই ডাকেন। যেকারণে হোটেলটিও এখন সকলের কাছে পিসির হোটেল নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এই হোটেলের পিসি অর্থাৎ সারথী দেবী তাঁর রান্না প্রসঙ্গে বলেন, তিনি নিজের হাতে সম্পূর্ন রান্না করেন তবে তিনি জানান তাঁর হাতের তৈরি রান্নার স্বাদ বাকিদের কেমন লাগবে তা তিনি বলবেন না । বাকিরা খাবার খেয়ে যা বলবে তিনি সেটায় মেনে নেবেন।
ইতিমধ্যেই অল্প টাকার মধ্যে খাসির মাংসের স্বাদ নিতে অনেকেই হাজির হচ্ছেন পিসির হোটেলে। তবে, ৬০ টাকায় শুধু খাসির মাংস নয় , চিকেন, মাছ অথবা ডিম থালি নিলেও একই দাম পড়বে। ডিমের থালিতে ডিম থাকবে দু-পিস এবং চিকেন নিলে থাকবে ২ পিস চিকেন। এছাড়াও থালির মধ্যে থাকছে ভাত, তরকারি, ডাল, পাপড়, স্যালাড এমনকি চাটনিও।
পিসির হোটেলে মাত্র ৬০ টাকাতেই পাওয়া যাচ্ছে এত কিছু খাবার। তবে অনেকের মনে একটা প্রশ্ন জাগবে যে কম টাকায় খাবার পাওয়া গেলেও তার স্বাদ এবং কোয়ালিটি কেমন হবে। এই প্রসঙ্গে এক ক্রেতা বলেন, ‘অনেকের বেশি টাকা দিয়ে খাবার খাওয়ার সামর্থ্য থাকে না। এখানে তো মাত্র ৬০ টাকাতেই খাসির মাংস পাওয়া যাচ্ছে। এই কনসেপ্টটা দারুণ সুন্দর। আর এখনকার খাবার সত্যিই ভাল খেতে, পরিমাণও যথেষ্ট দেওয়া হয়। এই পিসির হোটেল সপ্তাহে প্রত্যেক দিন খোলা থাকে। প্রত্যেকদিন সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪তে পর্যন্ত খাবার পাওয়া যায় হোটেলে।
এছাড়াও বিকেলে থাকেফাস্টফুডের বিভিন্ন আইটেম । বর্ধমান শহরের বিরহাটা থেকে উল্লাস মোড় যাওয়ার রাস্তায় , মুচি পাড়া এলাকায় , একদম হাইরোডের ধারে ডানদিকে এই দোকানে দিনরাত লেগে থাকে ভিড়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী
আদিম যুগের পন্থাকে অবলম্বন করে বড় পাথরের উপর সুস্বাদু মাংস রান্না করে সকলের নজর কাড়ছেন কালিম্পং এর তেজস্বী রাই। এই রান্নার সবচেয়ে ভালো দিক এখানে কোন ধরনের তেল মশলা দেওয়া হচ্ছে না। তা সত্ত্বেও এই পাথরের উপর রান্না করা মাংস নাকি বেশ সুস্বাদু।