Tag Archives: National News

Rajasthan News : ২২০০ বছরের পুরোনো মুদ্রা পাওয়া যাচ্ছে এত কম দামে! দেরি না করে কোথায় জানুন

বিকানীর: এখনকার ভারতীয় মুদ্রা অর্থাৎ কয়েন এবং নোট তো আপনি দেখেছেন। কিন্তু হাজার বছর আগে কয়েনগুলো কেমন ছিল? মানুষ আগে কেনার জন্য কোন মুদ্রা ব্যবহার করত? এই মুদ্রা কেমন ছিল? আপনি নিশ্চয়ই এসবের ব্যাপারেও জানতে সমানভাবে আগ্রহী?

আসলে বিকানীরে চলছে মুদ্রার মহোৎসব। দেশ-বিদেশ থেকে অনেক মুদ্রা সংগ্রাহক এসেছেন এখানে। তাদের কাছে কাছে ২০০০ থেকে ৫০০ বছরের পুরনো মুদ্রার সংগ্রহ রয়েছে৷ এই মেলায় কম দামে লোকেদের কাছে তারা পুরোনাে মুদ্রা বিক্রি করছেন। আপনি আগ্রহী থাকলে এবং পুরোনো জিনিস জমানোর শখ থাকলে, দেরি না করে চলে যান এই বিশেষ মেলায়।

আরও খবর : সারা বছর দারুণ আয়, এই চাষ করে মালামাল উত্তরপ্রদেশের কৃষক

রাজকোট থেকে এসেছেন রক্ষিত বাম্বর৷ যিনি মুদ্রা সংগ্রাহক৷ তিনি একটি মুদ্রা দেখালেন যার নাম করচাপার। এর ইতিহাস গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো৷ এটির ওজন সাড়ে তিন গ্রাম এবং এটি রূপো দিয়ে তৈরি। চন্দ্রগুপ্তের আমলে এই মুদ্রার প্রচলন ছিল। বর্তমানে এর দাম প্রায় ৪০০ টাকা। তবে রক্ষিতের মতে, চন্দ্রগুপ্তের সময় এই মুদ্রার মূল্য ছিল আরও অনেক বেশি৷

এই মুদ্রার ইতিহাস কি? মুদ্রা সংগ্রাহক বলছিলেন, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে পঞ্চ চিহ্নিত মুদ্রার প্রবণতা শুরু হয়। বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন মুদ্রা থাকত। এর মধ্যে ছিল রৌপ্য ও তামার মুদ্রা। এগুলোর গায়ে পাঁচ ধরনের চিহ্ন থাকায় এগুলোকে পাঞ্চমার্ক কয়েন বলা হত। এর প্রত্যেকটির আলাদা স্ট্যাম্প ছিল। প্রতিটি ছোট ছোট জেলায় এর প্রচলন শুরু হয়েছিল।

আরও খবর : প্রবল গরম, বালিয়ায় কুলার নিয়ে বর-কনে পক্ষের মারপিঠে ভেঙে গেল বিয়ে!

এখানেই শেষ নয়৷ এসব মুদ্রায় সূর্য, বিভিন্ন প্রাণী, গাছ, পাহাড়ের ছবি ছাপা হতো। প্রাথমিকভাবে ছোট ছোট জেলায় শুরু হওয়ার পর রাজকীয় মৌর্য আমলে এর প্রচলন বৃদ্ধি পায়। এই মুদ্রাগুলি মগধ, চোল, কৌশল, পদ্মাবতী নাগা প্রভৃতি জেলায় প্রচলিত ছিল। মৌর্য শাসনকালে ছবি সম্বলিত মুদ্রা জারি করা শুরু হয়। যেখানে দেব-দেবী, প্রাচীন গল্প, সূর্য, চাঁদসহ অন্যান্য ছবি ছাপা হত। এমন বলা হয় যে, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমলে এই ধরনের মুদ্রা প্রচলিত ছিল। পঞ্চ চিহ্ন এবং ফটো সহ মুদ্রা, অর্থাৎ রাজবংশীয় মুদ্রা, প্রায় আটশ থেকে হাজার বছর ধরে প্রচলিত আছে বলে মনে করা হয়।

আপনি কি ইতিহাস ভালোবাসেন? পুরোনো মুদ্রা সংগ্রহ করতে চান? তাহলে আর দেরি করবেন না৷ ঘুরে আসুন বিকানীরের এই মুদ্রা মহোৎসবে৷

Uttar Pradesh News : সারা বছর দারুণ আয়, এই চাষ করে মালামাল উত্তরপ্রদেশের কৃষক

আমেঠি: সঠিক পরিকল্পনায় এগোলে কৃষিকাজের মাধ্যমেও জীবন বদলানো সম্ভব। এমনটাই প্রমাণ করেছেন উত্তরপ্রদেশের এক যুবক। তাঁর কাহিনী শুনলে চমকে যাবেন আপনিও।

আমেঠির তরুণ কৃষক কুলদীপ চৌরাসিয়া পান চাষ করে ভালো লাভ করেছেন। আমেঠি জেলার সিংপুর তহসিলের শতান পূর্বা গ্রামের বাসিন্দা এই তরুণ তিন একর জমিতে পান চাষ করছেন। এর আগে কুলদীপের বাবাও চাষাবাদ করতেন। পান চাষ করে অর্থ উপার্জন করে নিজের একটি বিশেষ পরিচিতি তৈরি করেছেন ওই যুবক।

আরও খবর : প্রবল গরম, বালিয়ায় কুলার নিয়ে বর-কনে পক্ষের মারপিঠে ভেঙে গেল বিয়ে!

কুলদীপ জানিয়েছেন, তিনি ২০২২ সাল থেকে পান চাষ করছেন। শুরুতে কিছু সমস্যা হলেও ধীরে ধীরে চাষ লাভজনক হতে থাকে। প্রথমে এক একর জমিতে পান চাষ করতেন।

তাঁর কথায়, “লাভ পাওয়া শুরু হলে ধীরে ধীরে চাষের জমি বাড়িয়ে এখন তিন একর জমিতে চাষ করছি। পান চাষের জন্য হর্টিকালচার বিভাগের সাহায্যও নিয়েছেন বলে জানান এই তরুণ কৃষক। হর্টিকালচার দফতরের তরফ থেকে সময়ে সময়ে গুরুত্বপূর্ণ টিপসও পাওয়া যায়। যে কারণে ফসল উৎপাদনে একটুও সমস্যা হয়নি আমাদের। দিন দিন চাষের পরিমাণ ও পরিধি বাড়াতে পারছি আমরা। লাভও খারাপ হচ্ছে না।”

আরও খবর : ধর্ষণ করে খুনের হুমকি! বেঙ্গালুরুতে রাস্তার উপরেই মহিলার উপরে চড়াও অটোযাত্রী

পান চাষ থেকে ঠিক কতটা আয় হয়? তরুন কৃষকের কথা শুনলে অবাক হবেন।

কুলদীপ জানিয়েছেন, তিনি প্রায় ২ বছর ধরে পান চাষ করছেন এবং এই চাষ করে লাভ পাচ্ছেন। এক বিঘায় চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা এবং তার লাভ হতে পারে এক লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে বৃষ্টি হলে লাভ কিছুটা কমে।

কুলদীপের কথায়, তিন একর জমিতে পান চাষ করে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা লাভ হয়। বেনারস, লখনউ, কানপুর, আজমগড়, প্রতাপগড় সহ স্থানীয় বাজারে পান সরবরাহ করা হয়। সব জায়গায় তিনি নিজেই গিয়ে বাজারে পান বিক্রি করেন। এতে লাভ বেশি হয়।

Uttarpradesh News : প্রবল গরম, বালিয়ায় কুলার নিয়ে বর-কনে পক্ষের মারপিঠে ভেঙে গেল বিয়ে!

বালিয়া: যৌতুক নিয়ে প্রবল ঝামেলা। আর সেই কারণে মণ্ডপেই বিয়ে ভেঙে যাওয়া৷ ব্যাপারটা নতুন কিছু নয়৷ তবে কুলার নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় বিয়ে ভেঙে গিয়েছে৷ এমন ঘটনা কখনও শুনেছেন? উত্তর প্রদেশের বালিয়ায় এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, যা আপনাকে অবাক করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট৷

আসল ব্যাপারটা কী? উত্তর প্রদেশের বালিয়ায় এই মুহুর্তে প্রচণ্ড গরম৷ একটু ঠান্ডার জন্য সবাই অস্থির হয়ে উঠেছে৷ এর মধ্যে আবার বিয়ে বাড়ি৷ পাত্র পক্ষ যথা সময়ে এসে পৌঁছায় মেয়ের বাড়িতে৷ এরপরেই সমস্যার সূত্রপাত৷ কন্যা পক্ষের তরফে কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ তার সামনে কে বসবে সে নিয়ে প্রবল ঝামেলা শুরু হয় পাত্র পক্ষ ও কন্যা পক্ষের লোকেদের মধ্যে৷ পরে যা মারামারিতে পরিণত হয়৷ এই ঝগড়া ও মারামারির খবর কনের কাছে পৌঁছতেই তিনি বেঁকে বসেন৷ বলে দেন, এই বিয়ে তিনি আর করবেন না।

আরও খবর : প্রবল বৃষ্টিতে জমে থাকা জলে ডুবে গেল XUV-700, মৃত্যু ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের

পুরো বিষয়টি বালিয়া জেলার নগর পঞ্চায়েতের চিতবরগাঁও থানা এলাকায় ঘটেছে। বর হুকুমচন্দ্র জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা সিকান্দারপুর থানা এলাকার মুস্তাফাবাদের বাসিন্দা। মেয়ে সুন্দর, তাই যৌতুক ছাড়াই বিয়েটা হত৷ কিন্তু পাত্র পক্ষ ও কন্যা পক্ষের মধ্যে সামান্য বিবাদ হওয়ায় মেয়েটি এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে।”

এক কুলারের জন্য বিয়ে ভেঙে যাওয়া৷ এমন ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি৷ কুলার নিয়ে বিয়ের অতিথিরা নিজেদের মধ্যে এমন ঝামেলা শুরু করেন যে তার ফল ভোগ করতে হয়েছে বরকে। বিয়ের সময় পাত্রী যখন জানতে পারেন যে কুলার নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি করেছে দুই পক্ষ, তখন তিনি বলেন, “এখনই এমন ঝগড়া-মারপিঠ শুরু হলে বাড়ি গিয়ে কী হবে? এই বিয়ে শুভ নয় এবং আমি বিয়ে করব না।”

আরও খবর : স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করলেন স্বামী, শিউরে ওঠা ঘটনা মহারাষ্ট্রে

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে আসরে নামতে হয় বরকে। তিনি কনেকে বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। বর বলেন, বিয়ের মতো বড় অনুষ্ঠানে এমন হতেই পারে। এটাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার দরকার নেই, কিন্তু পাত্রী এই বিয়েতে বসতে আর রাজি হননি।

বিয়েতে এয়ার কুলার নিয়ে বিবাদ শুধু ঝগড়াতেই থেমে থাকেনি, তা বড় লড়াইয়ের রূপ নেয়। পুলিশকে খবর দেওয়া হয। পুলিশ উভয় পক্ষকেই থানায় নিয়ে যায়। চিতবরগাঁও থানার সভাপতি প্রশান্ত চৌধুরীর জানিয়েছেন, “পুলিশ উভয় পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি এবং বিয়ে ভেঙে যায়। শেষ পর্যন্ত, শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়৷”

Faridabad Rains: প্রবল বৃষ্টিতে জমে থাকা জলে ডুবে গেল XUV-700, মৃত্যু ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের

ফরিদাবাদ: হরিয়ানার ফরিদাবাদে ভারী বৃষ্টির কারণে এক রেলওয়ে আন্ডার ব্রিজে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ব্রিজের নীচে একটি XUV-700 গাড়ি বৃষ্টির জলে ডুবে যায়৷ দুর্ঘটনার কারণে HDFC ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এবং ক্যাশিয়ারের মৃত্যু হয়েছে।

এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের কর্মী আদিত্য জানিয়েছেন, যে বিরাজ দ্বিবেদী ক্যাশিয়ার ছিলেন৷ তিনি গুরুগ্রামের ৩১ নম্বর সেক্টরে থাকতেন৷ পুণ্যশ্রে শর্মা ছিলেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এবং ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের সভাপতি। আদিত্য বলছিলেন, শুক্রবার সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। বিরাজ দ্বিবেদী এবং পুণ্যশ্রে শর্মা XUV-700 গাড়িতে ছিলেন। প্রবল বৃষ্টির কারণে, পুণ্যশ্রে শর্মার বাড়িতেই থাকতে হয়েছিল বিরাজকে। পরিকল্পনা ছিল এখানে রাতটুকু কাটিয়ে সকালেই দিল্লীর উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। কিন্তু রাতে পুরোনো ফরিদাবাদ রেলওয়ে আন্ডার ব্রিজের কাছে আসতেই অঘটন৷ জায়গাটি জলে ভরে ছিল৷ ছিল না ব্যারিকেডের ব্যবস্থাও৷

আরও পড়ুন : ১৮০০ গ্রাম বিষ বিক্রি করে আয় ২ কোটির বেশি, এরপরও অস্তিত্বের সংকটে ইরুলা

বিরাজ গুরগাঁওয়ে থাকতেন, এবং তিনি বুঝতে পারেননি যে ওল্ড ফরিদাবাদ রেলওয়ে আন্ডার ব্রিজের নীচে এতটা জল রয়েছে যে তাঁর গাড়িটি ডুবে যাবে। গাড়ির ভিতরে থাকা দুই জনই এরপর মরিয়া হয় গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন৷ কিন্তু গাড়ির দরজা লক হয়ে গিয়ে সেটি ডুবে যায়৷ ফলে মৃত্যু হল বিরাজ এবং তাঁর ম্যানেজারের৷

আদিত্য বলছিলেন, দীর্ঘক্ষণ কোন খবর না পাওয়ায় ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের স্ত্রী টেনশন করছিলেন৷ রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ফোন করেন৷ আদিত্যকে তিনি জানান, বারবার ফোন করলেও দুই জনের কারওরই ফোন লাগছে না৷ আদিত্য নিজে এরপর ব্যাঙ্ক ম্যানেজার এবং বিরাজকে ফোন করেন৷ লাভ হয়নি৷ এমন অবস্থায় তাঁরা দুজনেই ফরিদাবাদে পৌঁছে পুলিশকে ঘটনার কথা বলেন৷ সেখানে তারা দুর্ঘটনার ব্যাপারে জানতে পারেন৷ আদিত্য বলছিলেন, জায়গাটিতে পুলিশ যদি আগে থেকে ব্যারিকেড দিত তাহলে হয়তো প্রাণ বাঁচানো যেত দুজনের।

আরও পড়ুন : ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি মুছে ফেলে, ইয়ার্ড আধুনিকীকরণের জোর রাঙাপানি জুড়ে 

সাব ইন্সপেক্টর রাজেশ জানান, ঘটনাটি ঘটেছে রাত সাড়ে ১১টার দিকে। রেলওয়ে আন্ডার ব্রিজের কাছে পুলিশ ব্যারিকেড ও সতর্কতা বোর্ড লাগানো হয়েছে। পুলিশও সাধারণ মানুষকে এই পথ দিয়ে যেতে নিষেধ করেছে৷ বর্তমানে মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য বাদশা খান সিভিল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

Uttarpradesh Leopard Attack : নেকড়ে, বাঁদরের পর এবার উত্তর প্রদেশে মানুষখেকোর উৎপাত, ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীর

বিজনোর :  মাহসি তহসিলে ১০টি হত্যাকাণ্ডের জন্য শুধু বাহরাইচের নেকড়েরা দায়ী নয়। উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর জেলায়, ৮৫টি গ্রামের ৬০ হাজারের বেশি মানুষ রয়েছেন। যেখানে অন্তত ৫০০টি চিতাবাঘ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মানুষ খেকো চিতাবাঘের শিকার হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। গত দেড় বছর ধরে এই হত্যাকাণ্ড চলছে।

উত্তর প্রদেশের বনবিভাগ প্রায় ১০৭টি খাঁচা পেতেছিল মানুষ খেকো বাঘগুলিকে ধরার জন্য। তবে এটাও স্থানীয়দের স্বস্তি দিতে পারেনি। গ্রামবাসীরা এখনও বাড়ির ভিতরে ভয় ভয়েই বসবাস করছেন।

আরও খবর : বঙ্গোপসাগর ছুঁয়েছে ঘূর্ণাবর্ত…! আসছে নতুন অশনি! ৭ রাজ্য কাঁপাবে অতিভারী বৃষ্টি! কী সতর্কতা বাংলায়? জানিয়ে দিল আইএমডি

পিলানা, বিজনোরের চাঁদপুর তহসিলের এক প্রাণবন্ত গ্রাম ছিল। এখন তা নিস্তব্ধ। এখানে একসময় নারী-পুরুষরা একসঙ্গে মাঠে কাজ করতেন, দোকানপাট জমজমাট থাকত, স্থানীয়রা চায়ের স্টলে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করতেন। এখন সেখানে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। যে শিশুরা একসময় রাস্তায় ক্রিকেট খেলত, তারাও অনুপস্থিত, মহিলারা আর দল বেঁধে আড্ডাও দেন না।

মানুষখেকো চিতাবাঘের ভয় গ্রামবাসীরা বিকাল পাঁচটার পরে বাড়ির বেড়োচ্ছেন না। গ্রামের এক সময়ের ব্যস্ত দৈনন্দিন জীবনে ঘটেছে আমূল পরিবর্তন। যা চোখে লাগার মতো।

আরও খবর : হাসপাতালে কেটে দেওয়া হল সিসিটিভি, দরজায় তালা, মদ্যপ অবস্থায় নার্সের উপর হামলা ডাক্তারের, বিহার পুলিশ যা বলল

পিলানা গ্রামের বাসিন্দা কুলদীপ মুদগাল বলছিলেন, “আমাদের গ্রামের উপর কারও খারাপ নজর পড়েছে। গ্রামের বর্তমান অবস্থা আর আগের মতো নেই। আমাদের গ্রাম খুব হাসিখুশি ছিল। এখন সেসব অতীত।” কুলদীপ এই পরিবর্তনের জন্য মানুষখেকো চিতাবাঘকেই দায়ী করেছেন।

“গভীর জঙ্গল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে চিতাবাঘ দেখা মেলে। স্থানীয় ভাষায় লোকেরা এটিকে ‘গুলদার’ বলে ডাকেন। সব ঠিকই ছিল। কিন্তু, ২০২৩ সালের জানুয়ারির পর থেকে হঠা‍‍ৎই দৃশ্যপট বদলে যায়৷” কুলদীপ নিউজ 18-কে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, চিতাবাঘের আক্রমণ এখন রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং এটাই গ্রামের জীবনযাত্রাকে সম্পূর্ণ রূপে বদলে দিয়েছে।

চিতাবাঘের আক্রমণে পিলানা সম্ভবত একমাত্র গ্রাম নয়। ইউপি-র বন বিভাগের রেকর্ড অনুসারে, প্রায় ৮৭টি গ্রাম রয়েছে। “চিতাবাঘের দেখা এবং মানুষ-প্রাণীর সংঘর্ষের ভিত্তিতে, আমরা বিজনোরের চারটি তহসিলে অতি সংবেদনশীল বিভাগের অধীনে প্রায় ৮৭টি গ্রাম চিহ্নিত করেছি। এই গ্রামগুলি ঘন জঙ্গল এলাকায় ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে পড়ে,” বিজনোরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জ্ঞান সিং বলছিলেন।

জ্ঞান সিং আরও বলেছিলেন যে, বনবিভাগ মানুষখেকো চিতাবাঘটিকে ধরার জন্য বনকর্মীদের একটি দলকে নির্দেশ দিয়েছে এবং তারা ভয়ঙ্কর একটি অভিযানও শুরু করে দিয়েছে। সিং বলেছিলেন, লোকেদেরকে গৃহপালিত পশু নিয়ে আসার জন্য জঙ্গলে একা যেতে বারণ করা হয়েছে৷ মাঠে যাওয়ার সময় মোবাইল ফোনে বা রেডিওতে জোরে গান বাজিয়ে দলে দলে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া অন্ধকারে বাইরে না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে৷ মানুষখেকো চিতা ধরতে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ১০৭টি খাঁচা বসানো হয়েছে। তবে গ্রামবাসীর ওপর চিতা বাঘের হামলা এখনও চলছে৷ বিরাম নেই তাতে।

চিতাবাঘের আক্রমণে বিজনোরের চাঁদপুর তহসিলে ২৯ আগস্ট রাতে একজন ৩০ বছর বয়সী কৃষক মারা গিয়েছেন৷ সেটাই চিতাবাঘের আক্রমণের সিরিজের সর্বশেষ ঘটনা।

স্থানীয়রা জানায়, ব্রিজপাল সাইনি নামে ওই কৃষক তার গবাদি পশু চড়াতে মাঠে গেলে হামলার ঘটনা ঘটে। “পরিবারের সদস্যরা ব্রিজপালের চিৎকার শুনে মাঠে ছুটে গেলে রক্তের ছাপ দেখতে পান। প্রায় এক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর গ্রামবাসীরা মাঠে পড়ে থাকা কৃষকের মৃতদেহ দেখতে পান,” বলেন তারা।

ইউপি বন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ডঃ অরুণ কুমারও চিতাবাঘ আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেন এবং স্থানীয় কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করেন। তিনিই ঘনঘন চিতাবাঘ দেখা যায় এমন এলাকায় খাঁচা এবং ক্যামেরা ফাঁদ স্থাপনের নির্দেশ দেন এবং রাতের বেলা নিরাপত্তার উন্নতির জন্য ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহকে অগ্রাধিকার দেন।

এ পর্যন্ত প্রায় ৬৫টি চিতাবাঘকে ধরে ফেলেছে বন বিভাগ। ১০ সেপ্টেম্বর নাগিনা তহসিলের হুর নাগলা গ্রামে ধরা পড়ে সর্বশেষটি। “আমরা নাগিনা তহসিলের হুর নাগলা গ্রামের কাছে একটি মাঠে খাঁচাটি রেখেছিলাম। পরদিন সকালে গ্রামবাসীরা মাঠে গেলে খাঁচায় একটি স্ত্রী চিতাকে দেখতে পাওয়া যায় খাঁচায়। তারাই বনবিভাগকে খবর দিয়েছিলেন৷” জানিয়েছেন বনবিভাগের এই কর্তা। তিনি আরও বলেন, ওই দিনই তারা আরেকটি চিতাবাঘের খবর পান যেটি দুর্ঘটনাবশত শুকনো কূপে আটকা পড়েছিল। সেটিকে উদ্ধার করে খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়৷

গত ১৯ দিনে, এলাকায় ১১ তম চিতাবাঘ ধরা পড়েছে। পরিসংখ্যান বলে, গত ১৮ মাসে প্রায় ৬৭টি চিতাবাঘ ধরা পড়েছে। দুর্ঘটনা সহ বিভিন্ন ঘটনায় ৩৫ জন নিহত হয়েছে। এরপরও চিতাবাঘের সংখ্যা এই অঞ্চলে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এটাই এই অঞ্চলে সমস্যার কারণ হয়ে উঠেছে৷ সিং জানিয়েছেন, অঞ্চলে চিতাবাঘের সংখ্যা এখন প্রায় ৫০০-এর কাছাকাছি পৌঁচেছে৷

সম্প্রতি, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অঙ্কিত আগরওয়ালের সভাপতিত্বে ক্রমবর্ধমান চিতাবাঘের হুমকির বিষয়ে ডাকা একটি বৈঠক চলাকালীন, বিজনোরের সামাজিক বনায়নের বিভাগীয় পরিচালক, চিতাবাঘের কারণে ক্রমবর্ধমান মানব-বন্যপ্রাণী সংঘাত মোকাবেলায় আরও ১০০ টি খাঁচা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

গ্রামবাসীরা অবশ্য চিতাবাঘের হাত থেকে বাঁচতে নিজেরাও প্রস্তুতি নিয়েছেন। লোহার রড ছাড়াও স্পেশাল অস্ত্র ব্যবহার করছে তারা৷ যা মূলত চিতাবাঘকে ভয় দেখানোর জন্য৷ এতেও কি আদৌ সমস্যার সমাধান হবে? সাম্প্রতিক পরিস্থিতি অবশ্য সেই আশা দেখাচ্ছে না৷

Chennai Snake Catchers : ১৮০০ গ্রাম বিষ বিক্রি করে আয় ২ কোটির বেশি, এরপরও অস্তিত্বের সংকটে ইরুলা

চেন্নাই: তামিলনাড়ুর একটি উপজাতির নাম ইরুলা। এদের কাজটি কী? দেশে সাপের কামড়ের চিকিৎসার জন্য যে অ্যান্টি-ভেনম প্রয়োজন, সেটাই এরা সংগ্রহ ও সরবরাহ করে। গত ৩ বছরে ইরুলা উপজাতিদের সমবায় সংস্থা প্রায় ১৮০০ গ্রাম সাপের বিষ সংগ্রহ ও বিক্রি করে প্রায় ২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা লাভ করেছে। কিন্তু এত সাফল্যের পর চেন্নাইয়ের এই আদিবাসীদের পরিস্থিতি ভালো নয়৷ অস্তিত্বের সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে তারা৷

ইরুলা আদিবাসীরা বিষ আহরণের একটি পুরানো পদ্ধতি ব্যবহার করে। তবে দিন কে দিন তাদের বিশেষ বিষের চাহিদা বাড়ছে। পরিসংখ্যান বলে, সাপের বিষ নিষ্ক্রিয় করতে গোটা দেশে যে বিশাল পরিমান অ্যান্টি ভেনম বা প্রতিষেধক দরকার, তার ৮০ শতাংশ সরবরাহ করে এই ইরুলা সম্প্রদায়৷

আরও পড়ুন : সেনা কর্মীদের বেধরক মার, বান্ধবীকে গান পয়েন্টে গণধর্ষণ! ইনদউরে হাড়হিম ঘটনা

ইরুলা আদিবাসীদের এই সাপ ধরে বিষ সংগ্রহ বা তার থেকে বিষের প্রতিষেধক উৎপন্ন করার ব্যাপারটি দীর্ঘদিনের৷ প্রায় ৪৬ বছর ধরে এই কাজটি করে আসছে তারা চলে। ২০২১ সালে একটি তামিল সিনেমায় ব্যাপারটি সামনে নিয়ে আসা হয়৷ জয় ভীম-নামের সেই সিনেমায় দেখানো হয়েছিল, সাপের বিষ সংগ্রহ করা এবং তার থেকে প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে কতটা সমস্যার সামনে পড়তে হয় ইরুলা আদিবাসীর সদস্যদের৷ সম্প্রতি এই সম্প্রদায়ের দুজন তাঁদের কর্ম দক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ পদ্মশ্রী পুরস্কারও পেয়েছেন। তাতে যে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের যাবতীয় দুর্দশা দূর হয়েছে এমনও নয়৷ অবহেলিতই থেকে গিয়েছে তারা৷

আরও পড়ুন : সীতারাম ইয়েচুরির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল, শোকপ্রকাশ মমতা-রাহুল-অভিষেকের

প্রতি বছর দেশে সাপের কামড়ে মৃত্যুর সংখ্যাটা কম নয়৷ পরিসংখ্যান বলে, সংখ্যাটা গড়ে ৫০ হাজারেরও বেশি। ইরুলা উপজাতির প্রায় ৩৫০ জন সদস্য সাপের বিষ সংগ্রহ এবং তার থেকে প্রতিষেধক উৎপন্ন করা কাজ করে থাকেন৷ কোন কোন সাপ থেকে বিষ নেয় তারা? তালিকায় রয়েছে রাসেলস ভাইপার, কমন ক্রেইট এবং কোবরার সাপ৷ মূলত, কাঞ্চিপুরম, চেঙ্গলপাত্তু এবং তিরুভাল্লুর জেলার আশেপাশের খামার থেকে সাপগুলি ধরা হয়। প্রতিটি সাপ থেকে তিন থেকে চারবার বিষ বের করা হয়, এবং ২১ দিন পর সেগুলিকে আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Madhya Pradesh News : সেনা কর্মীদের বেধরক মার, বান্ধবীকে গান পয়েন্টে গণধর্ষণ! ইনদউরে হাড়হিম ঘটনা

নয়াদিল্লি : মধ্যপ্রদেশে দুষ্কৃতীদের আক্রমণের শিকার হলেন দুই সেনা কর্মকর্তা এবং তাদের দুই মহিলা বন্ধু৷ ইনদউরে বুধবার ভোরে দুষ্কৃতীরা এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে। ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে ওই দুই আর্মি অফিসার ও তাঁদের দুই মহিলা বন্ধু পিকনিক করতে গিয়েছিলেন৷ সেখানেই এই ঘটনাটি ঘটে।

আরও পড়ুন : নেকড়ের পর বাহরাইচে এবার নতুন আতঙ্ক, একশোরও বেশি মানুষ আহত, প্রবল আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর মতে, অফিসারদের বয়স ছিল ২৩ এবং ২৪৷ তাঁরা রাজ্যের মহউ ক্যান্টনমেন্ট শহরের ইনফ্যান্ট্রি স্কুলে ইয়ং অফিসারের (YO) কোর্স করছিলেন।

সব ঠিকই ছিল৷ তবে সমস্যা দেখা দেয় দুপুরের দিকে৷ মহউ-মন্ডলেশ্বর রোডের পিকনিক স্পটের কাছে হঠাৎই চলে আসেন সাত অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি৷ কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে বসে চারজনকে৷ বদগোন্ডা থানার ইনচার্জ লোকেন্দ্র সিং হিরোর জানিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা একজন অফিসার এবং দুই মহিলাকে প্রচণ্ড মারধর করেছেন।

আরও পড়ুন : হাতে ভারতীয় পাসপোর্ট থাকলেই হল…! এই ১০ দেশে পুজোয় বিনা ভিসায় ঘুরে নিন, কোন কোন জায়গা জানুন

দুষ্কৃতীরা অফিসারদের কাছে ১০ লাখ টাকাও দাবি করেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি চোখে পড়তেই কিছুটা দূরে থাকা সেকেন্ড অফিসার ঘটনাটি সিনিয়রদের জানান। বেশ কিছুক্ষণ পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুষ্কৃতিরা পালিয়ে যায়।

হিরোর জানিয়েছেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় একজন নারীকে ধর্ষণের বিষয়টা নিশ্চিত। তিনি আরও বলেন, লুট, ডাকাতি, ধর্ষণ এবং অস্ত্র আইন সম্পর্কিত বিভিন্ন ধারায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতা-এর (বিএনএস) অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।

ইনদউরের  পুলিশ সুপার (এসপি), হিতিকা ভাসাল জানিয়েছেন, “পুলিশের তথ্য অনুযায়ী চারজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে গভীর রাতে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। সেখানে দুজনকে মারধর করা হয়, এবং ১০ লাখ টাকা আনার হুমকি দেওয়া হয়।”

পুলিশ সুপার সঙ্গে যোগ করেছেন, “অভিযোগকারীর বয়ান অনুযায়ী, তাঁদের মহিলা বন্ধুকে একটি কোণে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তারপরে তিনি তাঁর চিৎকার শুনতে পান। অপ্রীতিকর কিছু ঘটেছে বলেই তাঁর ধারণা। পুলিশ খুব দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পুলিশের ১০টি দল তদন্ত করেছে এবং অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জনকে চিহ্নিত করেছে, তাদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

ভাসাল আরও বলেছেন যে পুলিশ এখনও মহিলার বক্তব্য রেকর্ড করতে পারেনি৷ সেটা পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Monkey Attack in Uttarpradesh : নেকড়ের পর বাহরাইচে এবার নতুন আতঙ্ক, একশোরও বেশি মানুষ আহত, প্রবল আতঙ্কে গ্রামবাসীরা

বাহরাইচ: বাহরাইচের চোখাদিয়া গ্রামে বানরের উপদ্রবে মানুষ অতিষ্ঠ। গ্রামের বৃদ্ধ, শিশু, যুবক ও নারীসহ শতাধিক মানুষকে কামড়ে ধরছে বানরগুলি। গ্রামবাসীরা এতটাই আতঙ্কিত যে এখন রাস্তাঘাটে আসা-যাওয়ার সময় লাঠি-রড সঙ্গে রাখছেন সবসময়।

গ্রামে কী ধরনের আতঙ্ক? বাহরাইচে নেকড়ের আক্রমণে অতিষ্ঠ মানুষ৷ এবার নতুন সংযোজন বানরের আক্রমণ৷ গ্রামবাসীদের মুখে মুখে ঘুরছে বানরের উপদ্রবের কথা। শিশুরা স্কুলে গেলে পথিমধ্যে এই বানররা তাদের বাধা দেয়, আক্রমণ করে এবং তাদের ব্যাগে রাখা খাবারের জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিচ্ছে প্রায় প্রতিদিন।

আরও খবর : নেকড়ে আতঙ্কে তটস্থ উত্তর প্রদেশ, ‘আলফা’কে ধরলেই কি সমস্যার সমাধান? জানুন কারণ

কোনও শিশু ব্যাগ খালি করার চেষ্টা করলে বা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বানরগুলি তাদের আক্রমণ করে কামড়ে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, মেয়েরা বাড়িতে খাবার তৈরি করতে বসলে আটা, চাল, সবজিও নিয়ে যাচ্ছে তারা। এমনকি তারা ক্ষেতে উৎপাদিত ফসল, শাক-সবজি ও শাকসবজি ধ্বংস করে ফেলছে প্রতিদিন।

গ্রামে কত বানর আছে? গ্রামবাসীগের বর্ণনা অনুযায়ী, সংখ্যাটা প্রায় হাজারেরও বেশি। সেটাও প্রায় দুই থেকে তিন হাজার। গ্রামবাসীরা ইতিমধ্য়েই সমস্যার কথা জানিয়ে বাহরাইচ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে। তাদের কথায়, প্রায় দুই বছর ধরে এই বানরের সমস্যা চলছে। আগে তাদের সংখ্যা কম ছিল, তাই সমস্যাও কম ছিল। এখন সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা আরও বেড়েছে।

আরও খবর : মরু রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি, ড্রেনের মধ্যে দেখা মিলল ভয়ঙ্কর প্রাণীর, ঘুম উড়ল স্থানীয়দের

এই বানরগুলো কোথায় থাকে? গ্রামবাসীদের কথায়, চোঘদিয়া গ্রামের গাছ ও পুরনো বন্ধ ঘরকে বানরা ঘাঁটি বানিয়েছে। যেখানে তারা খুব স্বাচ্ছন্দ্যে বসবাস করে, এবং লোকজন দেখলেই গাছ থেকে নেমে এসে আক্রমণ করে বসছে। গ্রামবাসীরা এতটাই ক্ষুব্ধ এবং বিরক্ত যে বানর সমস্যা কাটাতে তারা এখন লাঠি, উইকেট, গুলতি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে৷

Bhilwara Crocodile News: মরু রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি, ড্রেনের মধ্যে দেখা মিলল ভয়ঙ্কর প্রাণীর, ঘুম উড়ল স্থানীয়দের

ভিলওয়ারা: মরু রাজ্যে প্রবল বৃষ্টি৷ নদীর জল ঢুকে গিয়েছে শহরে৷ আর তার জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত৷ এখানেই শেষ নয়৷ নদীর জলে ভেসে এসেছে কুমির৷ আর এটাই আপাতত আতঙ্কে রেখেছে রাজস্থানের ভিলওয়ারার মানুষকে৷

ভিলওয়াড়া জেলা জুড়ে আপাতত প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে৷ বিরামহীন বর্ষনে জেলার অনেক বাঁধ এবং পুকুর উপচে গিয়েছে। ফলে বাড়ি-ঘরে ঢুকে গিয়েছে জল৷ এখানেই শেষ নয়৷ এবার বন্য প্রাণীরাও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঢুকতে শুরু করেছে। ভিলওয়াড়া জেলার মন্ডলগড় শহরে বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বিশালাকার কুমিরের দেখা মেলে৷ একটি ড্রেনের মধ্যে সেটির দেখা পেতেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠে লোকজন। ঘটনাস্থলে বিপুল মানুষের ভিড় জমে যায়। খবর পেয়ে বন বিভাগের টিম ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ অনেক চেষ্টার পর বন বিভাগের দল বিশালাকার কুমিরটিকে উদ্ধার করে বাঁধে ছেড়ে দেয়। এরপরই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে গ্রামবাসীরা।

আরও খবর : জম্মু -কাশ্মীরে পাকসীমান্তে গুলির লড়াইয়ে জখম ১ বিএসএফ, নির্বাচনের আগে ফের রক্তাক্ত ভূস্বর্গ

ভিলওয়াড়া জেলার মন্ডলগড় বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি ড্রেনের মধ্য়ে পড়েছিল কুমিরটি৷ সেটির দেখা পেতেই মুহূর্তে খবর ছড়িয়ে যায় চারপাশে। বন্য প্রাণীটিকে দেখতে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় জমায়৷ কেউ কেউ আবার মোবাইলে কুমিরের ছবি তুলতে থাকে।

আরও পড়ুন : প্রতি কেজিতে মেলে ৫০০ থেকে ৬০০ পিস, চিনুন এই জনপ্রিয় বিস্কুটকে

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দফতর ও মণ্ডলগড় থানার পুলিশ। বনবিভাগের কর্মীরা কুমিরটিকে উদ্ধার করে বুন্দি জেলার ভিমলত বাঁধে ছেড়ে দেয়। এত বড় একটি কুমির হঠাৎ জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঢুকল কী করে? বন দফতরের ধারণা, গৌতা বাঁধের মেনালি নদী প্রবল বৃষ্টিতে উপচে গিয়েছে৷ এবং সেখান থেকেই এই কুমিরটি চলে এসেছিল।

Bikaner Bakery Biscuits : প্রতি কেজিতে মেলে ৫০০ থেকে ৬০০ পিস, চিনুন এই জনপ্রিয় বিস্কুটকে

বিকানির : আপনি কি বিস্কুট লাভার? সকাল, সন্ধ্যা চায়ের সঙ্গে বিস্কুট না হলে চলে না? তাহলে সিক্সার বিস্কুটের ব্যাপারে অবশ্যই জানতে হবে আপনাকে৷

বিকানিরে যে সমস্ত বিস্কুট পাওয়া যায়, তাদের মধ্যে রীতিমতো বিখ্যাত এই সিক্সার বিস্কুট৷ সাইজে সবচেয়ে ছোট, কিন্তু খেতে দারুন৷ মূলত বেকারির দোকানগুলিতেই এই বিস্কুট পাওয়া যায়৷ সকালের জল খাবার বা দুপুরের লাঞ্চ, বিকানিরে মানুষের এই বিস্কুট ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না৷

আরও খবর : নেকড়ে আতঙ্কে তটস্থ উত্তর প্রদেশ, ‘আলফা’কে ধরলেই কি সমস্যার সমাধান? জানুন কারণ

এই সিক্সার বিস্কুটের দামও তেমন নয়৷ প্রতি কেজির দাম মাত্র ২০০ টাকা৷ এবং তাতে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০টি বিস্কুট থাকে৷ এবং এরমও ব্যাপার নয় যে, দীর্ঘদিন বিস্কুট রেখে দেওয়া তা নেতিয়ে যায়, বা এর স্বাদ এবং গন্ধ নষ্ট হয়ে যায়৷ বৃদ্ধ থেকে শিশু সবারই দারুণ পছন্দের এই বিস্কুট। এবং এই বেকারি বিস্কুট খুবই উপকারীও। ভিন্ন আকারের এই ছোট ছোট বিস্কুটের স্বাদও আলাদা হয়ে থাকে৷

বিস্কুটটি দেখতে কেমন? বিকানিরে বেকারি রয়েছে বনওয়ারী প্রজাপতের৷ এই ব্যবসায়ী বলছিলেন, বিস্কুটের আকার আধা ইঞ্চির মতো। ওজনও বেশ হালকা, এবং এর চাহিদা সারা বছর লেগেই থাকে৷

আরও খবর : ইলিশ না পাঠালেও বাংলাদেশকে সস্তায় ডিম ‘উপহার’ দিল ভারত, এক ধাক্কায় অর্ধেক ওপারে ডিমের দাম

কী ভাবে তৈরি করা হয় এই বিস্কুট৷ কী কী উপকরণ লাগে? নোনতা স্বাদের এই বিস্কুট তৈরির মূল উপাদান হল মাখন এবং ময়দা৷ মাত্র এক ঘণ্টা লাগে এটি তৈরি করতে৷ এই বিস্কুটের ব্যবসা খুবই লাভ জনক, এবং এর উপকারিতাও রয়েছে৷

‘সিক্সার’ এতটাই জনপ্রিয়, উপহারের জন্যেও এটিকে ব্যবহার করা হয়৷