Tag Archives: purba bardhaman

East Bardhaman News: ‘দোকানে রাজনৈতিক আলোচনা করবেন না!’, কোন দোকানে ভোটের কথা বলা মানা, দেখুন

“দোকানে কোনও রকম রাজনৈতিক আলোচনা করিবেন না।” পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান শহরের একটি চায়ের দোকানে ঝুলছে পোস্টার।
ভোটের মরশুম এলেই প্রায় প্রত্যেক জায়গাতেই চলে রাজনৈতিক আলোচনা। রাস্তাঘাট কিংবা খেলার মাঠ প্রত্যেক জায়গাতেই আলোচনা চলে তুঙ্গে। তবে সবথেকে বেশি আলোচনা লক্ষ্য করা যায় চায়ের দোকানে।
ভোটের মরশুম এলেই প্রায় প্রত্যেক জায়গাতেই চলে রাজনৈতিক আলোচনা। রাস্তাঘাট কিংবা খেলার মাঠ প্রত্যেক জায়গাতেই আলোচনা চলে তুঙ্গে। তবে সবথেকে বেশি আলোচনা লক্ষ্য করা যায় চায়ের দোকানে।
চায়ের দোকানে রাজনৈতিক আলোচনা চলাকালীন, বিভিন্ন সময় সেই আলোচনা থেকে তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনেক সময় সেই তর্ক-বিতর্ক পৌঁছে যায় হাতাহাতিতেও।
চায়ের দোকানে রাজনৈতিক আলোচনা চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে সেই আলোচনা থেকে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অনেক সময় সেই তর্ক-বিতর্ক পৌঁছে যায় হাতাহাতিতেও।
সেইরকমই বর্ধমান শহরের কাঞ্চন নগর এলাকায় রাজু মাঝি নামে এক ব্যক্তির চায়ের দোকান রয়েছে। এই রাজু মাঝি প্রায় ৩৫ বছর ধরে এই ব্যবসা করছেন। রাজু তার চায়ের দোকানে অনেক সময় রাজনৈতিক আলোচনা থেকে তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হতে দেখেছেন। সেই কারণে রাজু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে তার দোকানে ঝুলিয়েছে পোস্টার।
সেই রকমই বর্ধমান শহরের কাঞ্চন নগর এলাকায় রাজু মাঝি নামে এক ব্যক্তির চায়ের দোকান রয়েছে। এই রাজু মাঝি প্রায় ৩৫ বছর ধরে এই ব্যবসা করছেন। রাজু তাঁর চায়ের দোকানে অনেক সময় তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হতে দেখেছেন রাজনৈতিক আলোচনা থেকে। সেই কারণে রাজু আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে তার দোকানে ঝুলিয়েছেন পোস্টার।

width="1080"

Purba Bardhaman News: এক হাতে ধরবে না এত বড় মিষ্টি! কোথায় গেলে পাবেন, জেনে নিন

এক হাতে ধরা যায় না একটা মিষ্টি! দুটো হাত ব্যবহার করে গামলা থেকে তুলতে হয় মিষ্টিকে। বিশাল আকারের এক-একটা মিষ্টি কিনলে পেট ভরে যাবে পুরো পরিবারের। আর এই বিশালাকার মিষ্টির টানেই প্রতি বার মেলায় ভিড় জমান বহু মানুষ। দোল উৎসবকে ঘিরে পূর্বস্থলীর দোগাছিয়ার মেলা এখন ‘মিষ্টি মেলা’ নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। দোলের দিন থেকে চার দিনের মেলায় বিভিন্ন জিনিস বিক্রি হলেও, এখানকার বিশাল আকারের মিষ্টিই ক্রেতাদের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।

Purba Bardhaman News: এক হাতে ধরা যায় না! এত বড় মিষ্টি পাওয়া যাচ্ছে কোথায়, ভিড় জমাচ্ছেন সকলেই

পূর্ব বর্ধমান: এক হাতে ধরা যায় না একটা মিষ্টি! দুটো হাত ব্যবহার করে গামলা থেকে তুলতে হয় মিষ্টিকে। বিশাল আকারের এক-একটা মিষ্টি কিনলে পেট ভরে যাবে পুরো পরিবারের। আর এই বিশালাকার মিষ্টির টানেই প্রতি বার মেলায় ভিড় জমান বহু মানুষ। দোল উৎসবকে ঘিরে পূর্বস্থলীর দোগাছিয়ার মেলা এখন ‘মিষ্টি মেলা’ নামেই পরিচিত হয়ে উঠেছে। দোলের দিন থেকে চার দিনের মেলায় বিভিন্ন জিনিস বিক্রি হলেও এখানকার বিশাল আকারের মিষ্টিই ক্রেতাদের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।

চলতি বছরও পাঁচ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা মূল্যের মিষ্টি কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকে মিষ্টি কিনে খাচ্ছেন, আবার আত্মীয়দের জন্য কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে। তবে এই মেলা মিষ্টি মেলা নামে পরিচিত হলেও স্থানীয় জমিদারবাড়ির দোল উৎসব উপলক্ষেই মেলা বসে। সুজিত ঘোষ নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “৫০০ বছরেরও আগে থেকে জমিদারদের পরিচালনায় হয়ে থাকে এই মেলা। এখন দোগাছিয়া অঞ্চলের জাতীয় উৎসব হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে এই দোল উৎসব। তবে এখন এই মেলায় ব্যাপক মিষ্টি কেনাবেচা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে মিষ্টি কিনতে বহু মানুষ আসেন।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়চৌধুরী পরিবারের দোলপূর্ণিমা উপলক্ষে রাধা গোবিন্দের দোল উৎসব পালিত হয়। আগে মেলা বসলেও এত জাঁকজমকভাবে মেলা হতো না।

আরও পড়ুন: স্বাদ বদলাতে এবার খান বেসনের হালুয়া! চটপট বাড়িতে বানিয়ে নিন এভাবে, চমকে যাবেন অতিথিরা

আরও পড়ুন: হোটেলের থেকেও সুস্বাদু মালাই চা বানিয়ে নিন বাড়িতেই! জেনে নিন সহজ রেসিপি

তবে প্রায় চার দশক ধরে জাঁকজমকভাবে এখানেই হচ্ছে বড় মিষ্টির মেলা। পাঁচ টাকা থেকে শুরু করে দেড় হাজার টাকা দামের মিষ্টিও পাওয়া যায় এই মেলায়। দেড় হাজার টাকা পিসের বিশালাকার ল্যাংচা রসগোল্লা নজর কাড়ে সকলেরই। এছাড়াও মেলায় থাকে হরেক রকমের মিষ্টির সম্ভার। এক মিষ্টি বিক্রেতা বলেন, তাঁদের কাছে ৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা দামের মিষ্টিও পাওয়া যাচ্ছে। ছানা, চিনি, অ্যারারুট , সুজি দিয়ে তাঁরা বিশালাকার মিষ্টি তৈরি করেন। হাজার টাকা দামের মিষ্টি তৈরিতে দু’কেজি ছানা লাগে বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেন বিক্রিও বেশ ভালই হচ্ছে। বছরভর তাঁরা এই মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকেন বলেও জানান।

দোলের দিন থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলে চারদিন পর্যন্ত। বিশালাকার মিষ্টি দিয়ে দোগাছিয়া গ্রামে আত্মীয় আপ্যায়নের রেওয়াজও চলে আসছে গত কয়েকশো বছর ধরে। মিষ্টি কেনার জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলা ছাড়াও অন্যান্য জেলার মানুষেরাও ভিড় জমান এই মেলায়। মিষ্টিই যেন এখন হয়ে উঠেছে মেলার মূল আকর্ষণ।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Danta: সজনে ডাটা তো নিয়মিতই খান কিন্তু সস্তার এই ডাটা খেয়েছেন, গুণ অপরিসীম, খেতেও দারুণ

পূর্ব বর্ধমান: বাঙালির রান্নাঘরে অতিপরিচিত কাটোয়ার ডাঁটা। জেলা পেরিয়ে ভিনরাজ্য এমনকি, বিদেশেও ছড়িয়ে এর সুনাম। তবু হতাশ এর চাষিরা।কিন্তু কেন? আপনার পাতে যে ডাটা পড়ছে তা আদৌআসল কিনা, জানেন তো ? বাংলার খাদ্য মানচিত্রে এক অতিপরিচিত নাম কাটোয়ার ডাটা।

তবে পূর্ব বর্ধমান জেলার এই ডাটার বিস্তৃতি কেবল জেলাতে সীমাবদ্ধ নেই। এর মিষ্টি স্বাদের গুনে, এই ডাটা সমাদৃত ভিন রাজ্য এমনকি বিদেশের মাটিতেও। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে নাকিএর চাহিদা তুঙ্গে। যার জেরে কাটোয়ার ডাটা এক আলাদা স্বকীয়তা বজায় রেখে চলেছে। কিন্তু জানেন কোথায় চাষ হয় এই ডাটা? কাটোয়ার কোন জায়গার ডাটা সুস্বাদু?

আরও পড়ুন – Health Tips: শরীর হবে একবারে চাঙ্গা, হাতের মুঠোয় সব শক্তি, খালি বছরে একবার করান এই কাজ

পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া- ১ ব্লকের আলমপুর গ্রামে চাষ হয় এই ডাটা। বাইরের বাজারে, যা কাটোয়ার ডাটা নামে পরিচিত হলেওস্থানীয় মানুষদের কাছে এর পরিচিতি আলমপুরের ডাটা নামেই।

পূর্ব পুরুষদের আমল থেকে এই ডাটা চাষ করে আসছেন এখানকার চাষিরা।এই এলাকার কৃষকদের মতে, মাটির গুন এবং জৈব সারের জোরেই নাকি আলমপুরের ডাঁটার এই স্বাদ।চন্ডিচরণ ঘোষ বলেন, \”ডাটা চাষ তাঁরা ছোট থেকে দেখছেন। তবে কবে থেকে এই চাষ শুরু হয়েছে , তাঁরাও সঠিক বলতে পারবেননা বলে জানান। তিনি বলেন তাঁদের ডাটা চাষ ভালই হয়। আর ফলন হয়ে যায় মাত্র ২-৩ মাসের মধ্যেই। আর বীজ তাঁরা নিজেরাই তৈরি করেন।\”এই ডাটা চাষ করে খুশি ননউক্ত এলকার কৃষকেরা। সর্বস্তরে সমাদৃত, কাটোয়ার ঐতিহ্য এই ডাটা চাষে লাভবান হন না কৃষকেরা। কাজল মন্ডল বলেন, \” তাঁদের ডাটা পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশ কিছু জায়গাতেই বিক্রি হয়। তবে অন্যান্যরা তাঁদের ডাটার নাম ভাঙিয়ে অন্য ডাটা কাটোয়ার ডাটার নাম করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। তাঁদের আলমপুরের ডাটা ( কাটোয়ার ডাটা ) সেই জায়গায় পৌঁছায় না।\”

এর পাশাপাশি আরও এক বড়সমস্যার সম্মুখীন আলমপুরের ডাটা চাষিরা। দীর্ঘদিন দিন বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে তাদের সাবমার্সিবল। যার জেরে ব্যাঘাত ঘটছে ডাটা সহ অন্যান্য চাষে। বেশি দাম দিয়ে জলের ব্যবস্থা করে চাষ করতে হচ্ছে তাদের। ফলে বেড়ে যাচ্ছে চাষের খরচও। অভিযোগ, এই বিষয়ে চাষিরা নির্দিষ্ট দফতরে আবেদন জানালেও এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি।

রাজ্য,ভিন রাজ্য তথা পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি দেশে কাটোয়ার ডাটা কার্যত ব্র্যান্ডে পরিনত হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যেরই একধিক জায়গায় বিখ্যাত মন্দিরে ভগবানের ভোগের অন্যতম একটি পদ কাটোয়ার ডাটা। অথচ দীর্ঘদিন যাবৎ যারা আসল কাটোয়ার ডাটা উৎপন্ন করছেন, হাসি নেই তাদের মুখে।

Banowarilal Chowdhary

Viral Video: পুকুর থেকে পাওয়া যাচ্ছে সোনা! জেনে নিন কোথায়

পুকুর থেকে পাওয়া যাচ্ছে সোনা ! সোনা খুঁজতে ভিড় বহু মানুষের | পুকুরের জল মারতেই হুড়োহুড়ি এলাকাবাসীর! কিন্তু কেন ? কি এমন ঘটল, যার জেরে এমন কাণ্ড! পুকুর থেকে নাকি পাওয়া যাচ্ছে সোনা।

Gold From Pond: কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্ব, পুকুরের তলায় লুকনো সোনার ভাণ্ডার, ভিড় উপচে পড়ছে

পূর্ব বর্ধমান: পুকুরের জল মারতেই হুড়োহুড়ি এলাকাবাসীর! কিন্তু কেন ? কি এমন ঘটল, যার জেরে এমন কাণ্ড! নিছক পুকুরের জল মারাকে কেন্দ্র করে, কেনই বা এত উৎসাহ স্থানীয়দের? অদ্ভুত এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার ব্লকের কামারপাড়া এলাকার ঘটনা।

ভাতারের কামারপাড়া এলাকার একটি শতাব্দী প্রাচীন পুকুরের জল মারাকে ঘিরেই এই ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উক্ত পুকুরটি দু’শো বছরের বেশি পুরানো। স্থানীয়দের মতে, ১৮২৫ সালে পুকুরটির খনন কাজ হয়। পুকুর সংস্কারের কাজ করেন কামারপাড়ার তৎকালীন মহারানী অরম্বা সুন্দরী দেবী। তারপর দীর্ঘ দু’শো বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, পুকুর খননের কাজ হয়নি।

আরও পড়ুন – IMD Weather Alert : বাংলার কপালে চরম দুর্যোগ, একদিকে ঘূর্ণাবর্ত অন্যদিকে অ্যান্টি সাইক্লোন, তোলপাড় জেলায়-জেলায়

দু’শো বছরের বেশি পুরানো এই পুকুরের জল মারতেই তাই ছুটে আসছেন স্থানীয়রা। এত পুরানো পুকুর,পুকুরের তলায় নাকি সোনা পাওয়া যাবে! সেই বিশ্বাসেই পুকুর পারে ভিড় করছে তারা। এই প্রসঙ্গে অভিজিৎ কোনার নামের এক ব্যক্তি বলেন, “এই পুকুরে নাকি দেবতার প্রভাব আছে। সেকারণে আগে অনেকে দেবতার কাছে মানত করতেন। এবং মানত পূরণের জন্য তখনকার সময় সোনার দাম কম থাকায় এই পুকুরে সোনা ফেলেছেন। সেই হিসেবে সবাই সোনা খোঁজার জন্য ভিড় জমায়। তিনি বলেন তিনি শুনেছেন একজন নাকি একটা পাতলা সোনার আংটি পেয়েছে।”

জানা গিয়েছে, পুকুরটি সংস্কারের বরাত দেন রাজ পরিবারের বর্তমান বংশধর অয়ন রায়। ওই এলাকারই স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ কোনার ও অভিজিৎ কোনার পুকুরটি সংস্কারের কাজে হাত লাগান। পুকুরটিকে ঘিরে জনশ্রুতি রয়েছে, এর আগে বহু চেষ্টা করেও নাকি পুকুরের জল শুকানো যায়নি। কিন্তু এইবারে ১৬ দিনের চেষ্টায়, পুকুরের জল শুকানোয় সফল হওয়ায় একদিকে যেমন অবাক হচ্ছেন স্থানীয়রা। ঠিক তেমনি তাদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত।

বিশ্বজিৎ কোনার নামের এক ব্যক্তি বলেন, তিনি যখন এই পুকুরের জল মারার দায়িত্ব পান তখন অনেকে অনেক কথা বলেছিলেন। কেউ বলেছিলেন এই পুকুরে সুড়ঙ্গ আছে , জল মারতে পারবে না , এরকম বহু কিছু। এই পুকুরে ভয়ে মাছ ধরার জন্য কেউ নামতেও চাইতনা। কিন্তু বিশ্বজিৎ বাবু দায়িত্ব নিয়ে ১৬ দিনের মধ্যে পুকুরের জল মারেন।

ভাতারের কামারপাড়ার এক ব্যক্তি এই পুকুর থেকে নাকি সোনাও পেয়েছেন। অন্তত তেমনটাই চর্চা করছেন স্থানীয়রা। তবে এই তথ্যের সত্যতা জানা না থাকলেও, পুকুরের মধ্যে কাদায় নেমে সোনা খোঁজার ঘটনা সত্যিই বেশ খানিকটা বিরলই বটে।

Banowarilal Chowdhary

East Bardhaman News: আলুর পরোটার জন্য বিখ্যাত এই ধাবা, দূর-দূরান্ত থেকে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়, কোথায় জানেন?

পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে অন্যতম একটি ব্যস্ততম রাস্তা হল কাটোয়া-বর্ধমান রাস্তা। জেলার বিভিন্ন সদর দফতর রয়েছে বর্ধমান শহরেই। যেকারণে প্রত্যেকদিনই বহু জনকে বিভিন্ন কারণে যেতে হয় বর্ধমান। কাটোয়া - বর্ধমান রাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা রাস্তা। প্রায় প্রত্যেকদিনই বিভিন্ন কারণে কাটোয়া হয়ে বর্ধমান যেতে হয় মুর্শিদাবাদ, নদীয়ার বহু মানুষকে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে অন্যতম একটি ব্যস্ততম রাস্তা হল কাটোয়া-বর্ধমান রাস্তা। জেলার বিভিন্ন সদর দফতর রয়েছে বর্ধমান শহরেই। যে কারণে প্রত্যেকদিনই বহু জনকে বিভিন্ন কারণে যেতে হয় বর্ধমান। কাটোয়া – বর্ধমান রাস্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা রাস্তা। প্রায় প্রত্যেকদিনই বিভিন্ন কারণে কাটোয়া হয়ে বর্ধমান যেতে হয় মুর্শিদাবাদ, নদীয়ার বহু মানুষকে।
তবে এই কাটোয়া বর্ধমান রাস্তায় যারা যাতায়াত করেন তাঁদের খাবার খাওয়ায় জন্য কোনও না কোনও জায়গায় একবার হলেও দাঁড়াতে হয়। এই প্রতিবেদনে সেরকমই কাটোয়া-বর্ধমান রাস্তায় খাবার খাওয়ার একটি আদর্শ জায়গার সন্ধান দেওয়া হবে।
তবে এই কাটোয়া বর্ধমান রাস্তায় যারা যাতায়াত করেন তাঁদের খাবার খাওয়ায় জন্য কোনও না কোনও জায়গায় একবার হলেও দাঁড়াতে হয়। এই প্রতিবেদনে সেরকমই কাটোয়া-বর্ধমান রাস্তায় খাবার খাওয়ার একটি আদর্শ জায়গার সন্ধান দেওয়া হবে।
এই রোডেই রয়েছে একটি জনপ্রিয় ধাবা। বর্ধমান রোডে যাতায়াত করেছেন অথচ এই ধাবায় আসেননি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। রাস্তার দু’ধারে বেশ কয়েকটি ধাবা থাকলেও , এই রাস্তায় অবস্থিত তিরুপতি ধাবার জনপ্রিয়তা অন্য মাত্রায়।
এই রোডেই রয়েছে একটি জনপ্রিয় ধাবা। বর্ধমান রোডে যাতায়াত করেছেন অথচ এই ধাবায় আসেননি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। রাস্তার দু’ধারে বেশ কয়েকটি ধাবা থাকলেও , এই রাস্তায় অবস্থিত তিরুপতি ধাবার জনপ্রিয়তা অন্য মাত্রায়।
এই তিরুপতি ধাবায় বিভিন্ন ধরনের চাইনিজ খাবারও পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বল্পমূল্যে প্রায় ৫ থেকে ৭ রকমের পদ দিয়ে পাওয়া যায় সাজানো ভাতের থালি।
এই তিরুপতি ধাবায় বিভিন্ন ধরনের চাইনিজ খাবারও পাওয়া যায়। এছাড়াও স্বল্পমূল্যে প্রায় ৫ থেকে ৭ রকমের পদ দিয়ে পাওয়া যায় সাজানো ভাতের থালি।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু মানুষ এই ধাবায় খাবার খাওয়ার জন্য ভিড় জমান। জানা গিয়েছে এই ধাবার সবথেকে বিশেষ খাবার হল আলুর পরোটা। এই আলুর পরোটা খাওয়ার জন্য দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু মানুষ এই ধাবায় খাবার খাওয়ার জন্য ভিড় জমান। জানা গিয়েছে এই ধাবার সবথেকে বিশেষ খাবার হল আলুর পরোটা। এই আলুর পরোটা খাওয়ার জন্য দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন।
কাটোয়া বর্ধমান রাস্তায় যদি কাটোয়া থেকে বর্ধমান যাওয়া হয়, তাহলে নিগন বাসস্ট্যান্ডের পরেই রাস্তার বামদিকে পড়বে এই তিরুপতি ধাবা। সপ্তাহের প্রত্যেকদিন সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত এই ধাবা খোলা থাকে।
কাটোয়া বর্ধমান রাস্তায় যদি কাটোয়া থেকে বর্ধমান যাওয়া হয়, তাহলে নিগন বাসস্ট্যান্ডের পরেই রাস্তার বামদিকে পড়বে এই তিরুপতি ধাবা। সপ্তাহের প্রত্যেকদিন সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত এই ধাবা খোলা থাকে।

Success Story: পড়াশোনা করাতে পারেনি বাবা, বিয়ের পর ব্যবসা করে আজ সুপ্রতিষ্ঠিত, ৬০০ জন মহিলার অন্নসংস্থান করছেন ৬৫ বছরের ‘এই’ বৃদ্ধা

পূর্ব বর্ধমান: পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকলেও পড়াশোনা করাতে পারেনি বাবা।বিবাহের ৪০ বছর পর ও নিপুণ হাতে ঠাকুরের মালা,সাজ ও বিয়ের টোপর বানিয়ে নিজের পরিবারের এবং প্রায় ৬০০ জন মহিলার অন্নসংস্থান করে চলেছেন ৬৫ বছর বয়সের মঞ্জু দেবী। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন বয়স কোনও বাধা নয়। ইচ্ছা থাকলেই স্বনির্ভর হওয়া যায়। তিনি মহিলা হওয়া সত্বেও থেমে থাকেননি। তিনি আজ নিজের পরিচয়ে পরিচিত।

পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা পৌরসভার বারুইপাড়ার নিবাসী মঞ্জু পাল। জানা যায় , ছোটবেলায় তার বাবা তাকে পড়াশোনা করাতে পারেননি। সেই থেকেই তার ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে নিজে কিছু করে দেখাবেন। সেরকমই মঞ্জু দেবী তার মনের জেদ ইচ্ছা ও চেষ্টাকে ব্যর্থ হতে দেননি, সংসার সামলে তিনি তার কর্মের পথে অবিচল রয়েছেন এখনও পর্যন্ত। তার নিপুণ হাতের তৈরি ঠাকুরের মালা, বিবাহের টোপর, ঠাকুরের চাঁদ মালা, ঠাকুরের সাজ বিভিন্ন জায়গায় তিনি পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি প্রমান করে দিয়েছেন মহিলারা ঘরে বাইরে সব জায়গাতেই কাজ করতে পারেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছোট থেকে ইচ্ছা ছিল কিছু করার । তাই বিয়ের পর স্বামীর কাছে ভালভাবে কাজ শিখে আজও এগিয়ে চলেছেন। পড়াশোনা করার ইচ্ছা থাকলেও করতে পারেননি। তাই এই পথটাকে বেছে নিতে হয়েছে।

আরও পড়ুন-        মাত্র ১৯-এ অকালে সব শেষ, লাস্ট পোস্টে কী লিখেছিলেন আমিরের অনস্ক্রিন কন্যা, ভাইরাল হতেই চোখে জল ভক্তদের

নিজে স্বনির্ভর হওয়ার পাশাপাশি তিনি বহু মহিলাকেও কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন।মঞ্জু দেবীর কাছে কাজ শিখে কাজ করে উপকৃত হয়েছেন অনেকেই। তবে শুধু মহিলারাই নয় ,বর্তমানে তিনি তার এই ব্যবসায় তার দুই ছেলেকেও নিযুক্ত করেছেন। এই প্রসঙ্গে মঞ্জু দেবীর এক ছেলে বলেন , মাকে নিয়ে অহংকার করেন তাঁরা। কারণ এই বয়সে সবাই ঘুরতে যায়, হরিনাম করে। কিন্তু তাঁর মা সবসময় ব্যবসা নিয়েই পড়ে থাকেন। এমনও দিন গিয়েছে তিনি মায়ের সঙ্গে ভোর পর্যন্ত কাজ করেছেন।

আরও পড়ুন-         মহাশিবরাত্রিতে বিরল কাকতালীয় যোগ! সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে প্রসন্ন করুন শিবকে, রাতারাতি ‘ধনী’ হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না…!

মঞ্জু দেবীর তৈরি বিভিন্ন জিনিস এখন ছড়িয়ে পড়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলা তথা রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও। তার এবং তার কাছে কাজ করা অন্যান্য মহিলাদের তৈরি জিনিস এখন পৌঁছে যায় নদীয়া, হুগলি সহ আরও বেশ কিছু জেলায়। আর এভাবেই এই কাজ এগিয়ে চলেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বছর ৬৫ বছরের মঞ্জু পাল।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Purba Bardhaman News: একবার ঢুকলে চোখ ফেরাতে পারবেন না! আর ইচ্ছে করবে না ফিরতে, কী এমন আছে ‘এই’ গ্রামে?

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার এই গ্রামে গেলে রীতিমতো হতবাক হয়ে যাবেন সকলেই। গ্রামের ভিতর প্রবেশ করলেই মনে হবে যেন কোনও ছবির জগতে পৌঁছে গিয়েছেন। গ্রামে প্রবেশ করার পর যেদিকেই তাকাবেন শুধু চোখে পড়বে ছবি আর ছবি । পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে এই গ্রাম রয়েছে । গ্রামটির নাম লবণধার । এই গ্রামের কমবেশি প্রত্যেক বাড়ির দেওয়াল জুড়ে রয়েছে রয়েছে শুধু ছবি আর ছবি । জেলা ছাড়িয়ে ভিন জেলা , তথা রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্য থেকে প্রখ্যাত শিল্পীরা এসে সাজিয়ে তুলছেন এই গ্রাম । তবে ছবি দিয়ে কেন এই গ্রাম সাজিয়ে তোলা হচ্ছে ! কী উদ্দেশ্য রয়েছে এর পিছনে ? চলুন দেখে নেওয়া যাক ।

এই প্রসঙ্গে লবণধার অন্নপূর্ণা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সভাপতি অর্ণব ঘোষ বলেন , জঙ্গল দিয়ে ঘেড়া তাঁদের গ্রাম । এইসময় এই অঞ্চলে প্রচুর শালপাতা ঝরে পড়ে । সেই পাতার স্তূপের মধ্যে অনেকসময় কেউ আগুন লাগিয়ে দেয় অথবা কোনও কারণে আগুন লেগে যায় । তখন ধুলিস্যাৎ হয়ে যায় জঙ্গল। তাই মানুষকে সচেতন করতে , জঙ্গলকে বাঁচানোর জন্য , বিভিন্ন বার্তা সহযোগে এই কর্মশালা বা উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন-       মহাশিবরাত্রিতে বিরল কাকতালীয় যোগ! সর্বার্থ সিদ্ধি যোগে প্রসন্ন করুন শিবকে, রাতারাতি ‘ধনী’ হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না…!

আরও পড়ুন-      মাত্র ১৯-এ অকালে সব শেষ, লাস্ট পোস্টে কী লিখেছিলেন আমিরের অনস্ক্রিন কন্যা, ভাইরাল হতেই চোখে জল ভক্তদের

জানা গিয়েছে, এই লবণধার গ্রামে একটি অন্নপূর্ণা মন্দির রয়েছে । গ্রামবাসীদের ইচ্ছা ছিল টেরাকোটার মন্দির তৈরি করবেন । কিন্তু অর্থের অভাবের জন্য তা হয়ে ওঠেনি। তখনই গ্রামের মধ্যে সর্বপ্রথম অন্নপূর্ণা মন্দির ছবি দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়। সেই মন্দিরের ছবি পরবর্তিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক ভাবে । তখনই লবণধার অন্নপূর্ণা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে, সকলে মিলে ঠিক করেন মন্দিরের মতন করে পুরো গ্রাম সাজিয়ে তুলবেন। গ্রাম সাজিয়ে তুলবেন মূলত জঙ্গল রক্ষার বার্তা দেওয়ার জন্যই। বেশ কয়েক বছর আগে লবণধার গ্রামে ছবি আঁকার কাজ শুরু হয় এবং আজও ধীরে ধীরে সেই কাজ হয়ে আসছে । প্রত্যেক বছর ঝাড়খন্ড, ওড়িশা সহ আরও বিভিন্ন রাজ্য থেকে নামীদামী চিত্র শিল্পীরা আসেন এই গ্রামে । এছাড়াও উপস্থিত থাকে বিশ্বভারতী সহ অন্যান্য জায়গার বহু পড়ুয়া। শিল্পীরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন একটা বাড়ির দেওয়ালকে একটা নতুন রূপে নিয়ে আসতে । শিল্পীদের হাতে আঁকা ছবির মাধ্যমে যেন আলাদা রূপ পায় বাড়ির দেওয়াল ।

সেরকমই তারাকনাথ মণ্ডল নামে এক চিত্রশিল্পী এই প্রসঙ্গে বলেন , তিনি প্রথম এই গ্রামে ছবি আঁকার জন্য এসেছেন । গ্রামে আসার পর তাঁর খুবই ভাল লেগেছে । তিনি বলেন জঙ্গল বাঁচিয়ে রাখতে হবে এবং রক্ষা করতে হবে । জঙ্গল থেকে অনেক কিছু পাওয়া যায় । তাই জঙ্গল রক্ষা সকলের কর্তব্য।প্রতিবছরের মত এবারেও লবণধার গ্রামে বিভিন্ন কর্মশালার পাশাপাশি এই ছবি আঁকার কাজও চলছে । ছবি আঁকার জন্য উপস্থিত হয়েছেন জেলা সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রখ্যাত শিল্পীরা। মন্দির থেকে যে কাজের সূত্রপাত হয়েছিল আজ তা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো গ্রামজুড়ে ।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Purba Bardhaman News: মায়ের কোলে ৯ বছরের মিষ্টি তোড়া, ক্যারেটের প্যাঁচে কাত করছে প্রতিপক্ষকে, এল জাতীয় স্তরে সাফল্য

পূর্ব বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলার এই ছোট্ট শিশুটির প্রতিভা রীতিমত নজর কাড়া। নিজের কঠোর পরিশ্রম আর অনুশীলন দিয়ে সে অর্জন করেছে একাধিক খেতাব। ছোট্ট এই শিশুটির নাম তোড়া মজুমদার। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনা ১ ব্লকের কৃষ্ণদেবপুর গ্রামে। ছোটো বয়স থেকেই তোড়া ক্যারেটেতে বিশেষ পারদর্শী।

সে কৃষ্ণদেবপুর ডি এস পি স্কুলের ছাত্রী। চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া তোড়ার ঝুলিতে ইতিমধ্যেই রয়েছে ক্যারেটেতে জাতীয় স্তরের একাধিক পদক। পড়াশোনায় পাশাপাশি জোর কদমে সে চালাচ্ছে তার ক্যারেটে অনুশীলনও। এই প্রসঙ্গে তোড়া জানিয়েছে, তার যখন চার বছর বয়স তখন থেকে সে ক্যারাটে শিখছে । তার ক্যারাটে খুবই ভাল লাগে । এরই মধ্যে সে অনেক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করেছে । তার স্বপ্ন রয়েছে বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে ‌যোগ দেবে ।

আরও পড়ুন – IMD Weather Alert: বিকেলেই আঁধার ঘনিয়ে নামবে সন্ধ্যা, দমকা ঝড়ের দাপট, বাজ-বষ্টির নয়া ইনিংস, কবে, কখন রইল ওয়েদার আপডেট

তবে তোড়ার কাছে বর্তমানে একাধিক পদক থাকলেও, সে যখন শুরু করেছিল তখন তার মা কে শুনতে হয়েছে নানা কটূক্তি। প্রথম দিকে পড়শিদের নানা কথা শুনতে হয়েছে তোড়ার মাকে। তবে কটূক্তি শুনলেও সেই সময় তিনি চুপ ছিলেন। তোড়ার মা সুনিতা দেবী মেয়েকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখেন । তাই সেসব কটূক্তি উপেক্ষা করে মেয়েকে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন, তোড়ার মা সুনিতা মজুমদার।

জানা গিয়েছে, সপ্তাহে দুইদিন তোড়া তার প্রশিক্ষকের কাছে যায় প্রশিক্ষণ নিতে। তার পর বাড়িতে বাকি সময়টা তার মায়ের তত্তাবধনেই অনুশীলন করে সে। সংসারের কাজ সামলে সুনিতা দেবী তার সবটুকু সময় দেন মেয়ের পিছনেই।নিজের মেয়ের এই সাফল্য ও পরিশ্রম প্রসঙ্গে তোড়ার মা সুনিতা মজুমদার বলেন, প্রথম দিকে বাধা বিপত্তি এলেও তিনি থেমে থাকেননি। কারণ তিনি জানতেন পড়ে সবাই প্রশংসা করবে । তিনি মনের জোরে তোড়াকে নিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন এবং এসেছে বড় সাফল্য । এখন পাড়া, প্রতিবেশী সকলেই সমর্থনকরে তোড়াকে ।

তোড়ার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে , তার বাবা বেলপাতা বিক্রী করে । পরিবারের আর্থিক অবস্থাও খুব একটা ভাল নয় । তবুও এই খারাপ অবস্থার মধ্যে তার মা সুনিতা দেবী তাকে সাহস যুগিয়ে চলেছে । তবে শুধুমাত্র সাহস যুগিয়ে আর কতদিন চলবে ? তোড়ার ক্যারাটে শেখার পিছনে বেশ কিছু টাকা খরচ করতে হয় তার পরিবারকে । তবে অভাবের সংসারে তা আর সম্ভব হয়ে উঠছে না বলে জানা গিয়েছে । এখনও পর্যন্ত তোড়া শুধুমাত্র তার কোচের কাছ থেকেই মোটামুটি সাহায্য পায়। তবে তোড়ার মা আক্ষেপের সঙ্গে জানিয়েছেন , তার মেয়েকে সহযোগিতা করার মত কেউ নেই । ইতোমধ্যেই অল্প বয়সী তোড়ার কাছে একাধিক পদক থাকলেও, প্রশাসনের তরফে সে কোনওরকম সাহায্য পায়নি । জানা গিয়েছে অর্থাভাবে আগামী দিনে তার আন্তর্জাতিক স্তরের খেলার সুযোগও হাত ছাড়া হতে পারে । ঠিক এরকম ভাবেই অর্থাভাবে এবং প্রশাসনিক সহযোগিতার কারণে হয়তো হারিয়ে যাবে ছোট্ট তোড়ার বড় প্রতিভা।

Banowarilal Chowdhary