Tag Archives: R G Kar Hospital

Kanchan Mullick gets Slammed on RG Kar Issue: ‘একেবারে অচেনা হয়ে গেলি’…কাঞ্চনের ক্ষমাপ্রার্থনায় রাজনীতি দেখছেন দেবলীনা, মন্তব্যে বাকরুদ্ধ সুদীপ্তা

কলকাতা: ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে এবং বাইরে লাগাতার চরম নিন্দার মুখে কা‍ঞ্চন মল্লিক। সোমবার রাতেই ক্ষমা চেয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন বটে অভিনেতা তথা বিধায়ক। কিন্তু তাতে ছবিটা বদলায়নি। তাঁর সহ-অভিনেতাদের নিশানায় এখনও উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর ক্ষমা চাওয়ার মধ্যেও রাজনীতি খুঁজে পেয়েছেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত। কা‍ঞ্চন প্রশ্ন করেছিলেন, আরজি কর কাণ্ডে যে ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন তাঁরা সরকারের কাছ থেকে বেতন এবং পুজোর বোনাস নেবেন তো? যাঁরা সরকারি উপাধি ও পুরস্কার পেয়েছেন তাঁদেরও ছাড়েননি কাঞ্চন। ভিডিওতে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁরা সে সব ফিরিয়ে দেবেন তো? এর পরই নিন্দার ঝড় ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাঁদের পোস্টে মনে করিয়ে দেন যে সরকারি বেতন বা যে কোনও পারিশ্রমিকই হয় করদাতাদের করের টাকায়। দিনভর নিন্দিত হয়ে কাঞ্চন অবশেষে নতিস্বীকার করেন। ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে বলেন, তিনি ধর্নামঞ্চে কিছু মন্তব্য করে ফেলেছেন। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। তিনি তাঁর বক্তব্যের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত।

 

ভিডিওতে কাঞ্চন জানান তাঁর বাড়িতেও স্ত্রী, অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন। যাঁকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসা পরিষেবার প্রয়োজন পড়ে। আরও অনেককেই প্রয়োজন অনুযায়ী পরিষেবার ব্যবস্থা করে দেন তিনি। কিন্তু তাঁর ধৈর্যচ্যুতির কারণ অন্যত্র। বলেন, তাঁর ভ্রাতৃসম এক বন্ধুর মা মৃতপ্রায় ছিলেন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে।

 

কা‍ঞ্চনের অভিযোগ, ডাক্তারদের ধর্মঘট থাকায় তাঁকে বাঁচানো যায়নি। সে দিনই তাঁর ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে পড়ে। তবে কা‍ঞ্চন এও সংযোজন করেন যে ডাক্তার এবং ডাক্তারি পরিষেবা নিয়ে কোনও খারাপ মন্তব্য মন থেকে করতে চাননি। সকলে অশান্ত পরিস্থিতির চাপে। তিনিও আন্তরিক ভাবে ন্যায়বিচার চাইছেন নিহত তরুণী ডাক্তারের জন্য। ভিডিওর শেষে তিনি ফের সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন।

আরও পড়ুন : যৌন লাঞ্ছনা থেকে নৃশংস নারীঘাতক–বার বার মেয়েদের উপর হওয়া অপরাধের প্রতিবাদের হাতিয়ার ‘রিক্লেম দ্য নাইট’

কা‍ঞ্চনের এই মন্তব্যেই রাজনীতির গন্ধ খুঁজে পেয়েছেন দেবলীনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘ক্ষমা চাওয়ার মধ্যেও রাজনীতি! একেবারে অচেনা হয়ে গেলি!’ চেনা বন্ধুর কাছ থেকে এহেন মন্তব্য পেয়ে বাকরুদ্ধ সুদীপ্তা চক্রবর্তী। জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘এক সময়ের বন্ধু/সহকর্মী Kanchan Mullick, তোকে ত্যাগ দিলাম। অনুপ্রেরণার লকারে চোখ, কান, মাথা, মনুষ্যত্ব,বিবেক, বুদ্ধি, বিবেচনা, শিক্ষা সব ঢুকিয়ে রেখে চাবিটা হারিয়ে ফেলেছিস মনে হয়। চাবিটা খুঁজে পেলে খবর দিস বন্ধু। তখন আবার কথা হবে, আড্ডা হবে।’

Arijit Singh: অরিজিৎ-এর লেখা গান ঘুরছে মুখে মুখে, জিয়াগঞ্জে তাঁর বাড়ির সামনে আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে পথে যুব সমাজ

মুর্শিদাবাদ: আরজিকর কাণ্ডে বিচার চেয়ে ফের জিয়াগঞ্জে পথে নামল নাগরিক সমাজ। সাংস্কৃতিক কর্মী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নিলেন প্রতিবাদে। জিয়াগঞ্জে অরিজিৎ সিং-এর শহরে আরজিকর কাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে গান করে মিছিল করা হয়। জিয়াগঞ্জে আরজিকর কাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে জিয়াগঞ্জ শহর জুড়ে পদযাত্রার মধ্যে দিয়েই গান করে প্রতিবাদ করলেন বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য ও সদস্যরা এবং সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি, জিয়াগঞ্জে গায়ক অরিজিৎ সিং তাঁর বাসভবনের সামনে বেশ কিছুক্ষণ গান করে সুর মিলিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।

বর্তমানে তিলোত্তমাকে নিয়ে যে গান বেঁধেছেন সেই গান করতে দেখা যায় প্রতিবাদীদের। যদিও অরিজিৎ সিং-এর দেখা পাওয়া না গেলেও তাঁর বাবাকে বেড়িয়ে আসতে দেখা যায়। অরিজিৎ সিং আগেই বলেছিলেন তিনি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করতে পারেন না, কারণ তাঁকে দেখলেই ভিড় জমে যায়। এরপর তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইভ করে ঘঠনার তীব্র নিন্দা করেন এবং গান বেঁধেছিলেন। তিনি তো গায়ক। তাই গান দিয়েই করেছিলেন প্রতিবাদ।

আরও পড়ুনArijit Singh: “নেমে গেলেই তো আর হল না”….ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অরিজিৎ সিং, Live-এ এসে মন খুলে কথা

তিলোত্তমার হয়ে বেঁধেছিলেন গান, সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানে সেই গান ভাইরাল হয়। ফলে জিয়াগঞ্জে অরিজিতের শহরেই তাঁর গানের সুরে প্রতিবাদে মুখরিত হল যুব সমাজ। একটাই আওয়াজ ওঠে we want justice। যদিও অরিজিৎ সিং আগেই বলেছিলেন, “আমি পথে নামলে সেলফি তোলার ভিড় হবে। অনেকে ভাবছে আমি বেরোলে আমার সঙ্গে ওঁরাও হাঁটবে। অত ভিড় বাড়িয়ে কী হবে? আমি পথে নামব কি না, তা নিয়ে রাজনীতি করার কোনও মানে হয় না। খুব তুচ্ছ ব্যাপার। যাঁরা কথা বলছেন বলুন। এতেও জনমত তৈরি হবে। বিতর্ক হলেও ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা তো হবে।” বলেই মুখ মন্তব্য করেছিলেন গায়ক। তবে এদিন গায়কের শহরে প্রতিবাদী কন্ঠে গান হতেই আওয়াজ ওঠে “আর কবে, আর কবে।”

কৌশিক অধিকারী

Bangla Video: নারী নিরাপত্তায় এবার বিশেষ উদ্যোগ নিল রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ 

উত্তর দিনাজপুর: নারীদের নিরাপত্তায় এবার বিশেষ উদ্যোগ নিল রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ। শহর জুড়ে টোল ফ্রি নাম্বারের মাধ্যমে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের এবং সেসঙ্গে রায়গঞ্জ শহরকে মুড়ে ফেলা হয়েছে সিসিটিভি নিরাপত্তার বেষ্টনীতে। আরজিকর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নৃশংস ঘটনার পর বারংবার মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নারীর স্বাধীনতার দাবিতে রাত দখলের গ্রহণ করেছে গোটা রাজ্য। সে ক্ষেত্রে মেয়েরা রাস্তা ঘাটে কিংবা কর্মক্ষেত্রে কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা।

আরও পড়ুন: হাসপাতালে সিটি স্ক্যানের ঘরে কিশোরীকে নির্যাতনের অভিযোগ! হাওড়ায় ধুন্ধুমার

যেখানে রয়েছে উইমেন্স হেল্পলাইন নম্বর, রায়গঞ্জ পুলিশ স্টেশন নম্বর এবং কন্ট্রোল রুমের নম্বর। উইমেন্স হেল্পলাইন কন্ট্রোলরুমে ফোন করে সাহায্য চাইলে সকাল সন্ধ্যা উইনারস টিম দ্রুততার সাথে সেখানে পৌঁছে গিয়ে তাদের সাহায্য করবে। একইভাবে কালিয়াগঞ্জ শহরে ও যথেষ্ট ভাবে সজাগ রয়েছে উইনারস টিম। এছাড়াও কন্ট্রোল রুমের নম্বরে ফোন করলে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অন্তর্গত যে কোন এলাকায় সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সেই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করবে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুন্তল ব্যানার্জি জানান সহজ জুড়ে ইতিমধ্যেই ১০০ টি ভোট লাগানো হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় সেখানে মনিটরিং চলছে। কোথাও সমস্যা নজরে এলেই তৎক্ষণাৎ পুলিশ মোবাইল ভ্যান সেখানে পৌঁছে গিয়ে ঘটনা তদন্ত করছে। যেকোন রকম সমস্যায় ওমেন্স হেল্পলাইন নম্বর ৮৩৭০৯৫৪৫৪৩, রায়গঞ্জ পুলিস স্টেশনের ০৩৫২৩২৫২৩৩৭ এবং কন্ট্রোল রুমের ৯১৪৭৮৮৯১১৯ নাম্বারে ফোন করলে মিলবে সমাধান।

পিয়া গুপ্তা

‘তাড়াতাড়ি করুন..’, বাবা-মাকে ফোনে কী বলেছিল আরজি কর? ফাঁস চাঞ্চল্যকর অডিও-ক্লিপ

এবার আরজি কর ঘটনায় কথোপকথনের দুটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ্যে এসেছে আর তা নিয়েই ছড়াল চাঞ্চল্য। CNN-News18 -এই অডিও ক্লিপ পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে এটি স্পষ্ট প্রকাশ করছে কীভাবে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কর্মকর্তারা মৌখিক কথোপকথনে নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা-কে একের পর এক বিভ্রান্তিকর ‘স্টেটমেন্ট’ দিয়ে গিয়েছেন।

Bangla video: ময়ুরেশ্বরের যুবকদের ‘ভয় নেই’ ছড়িয়ে পড়ল গোটা জেলায়

বীরভূম: সম্প্রতি আরজি কর কাণ্ডের পর কার্যত তোলপাড় রাজ্য থেকে রাজনীতি। চলতি মাসের নয় তারিখ ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ ওঠে। তারপর শুরু হয় মিছিল আন্দোলন। তাই এবার মহিলাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে একটি বিশেষ কর্মসূচীগ্রহণ করেছে বীরভূমের যুবসমাজ।

এবার বিপদে পড়া মহিলার এক ফোনেই রক্ষাকর্তা হিসেবে পৌঁছে যাবে কয়েকজন যুবক। বীরভূমের কৃষ্ণ রুজ, সুবীর বায়েন ও আকাশ মন্ডলের মত জনাকয়েক ছাত্র মহিলা সুরক্ষা দেওয়ার প্রকল্প শুরু করেন ‘ভয় নেই’। এরপর ময়ূরেশ্বরের দুটি ব্লকের অন্তর্গত প্রায় সাতটি গ্রামকে তারা সুরক্ষিত  করে ফেলেছে বলে দাবি করছেন।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এই অভিনব উদ্যোগ, দেখলে অবাক হবেন!

ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের জন্য বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টারের সামনে যুবকরা লাগাচ্ছে পোস্টার। বিলি করা হচ্ছে লিফলেট। যেখানে লেখা ৭ জন যুবকের নাম ও ফোন নম্বর। যদি গ্রামের কোনও মেয়ে কখনওবিপদে পড়ে তাহলে এই ফোন নম্বর গুলির মধ্যে একটিতে ফোন করলেই মিনিট দশেকের মধ্যে তার কাছে পৌঁছে যাবে কমপক্ষে তিনজন যুবক। তারপর তাকে সেই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করে যুবকরা সুরক্ষিতভাবে পৌঁছে দেবে বাড়িতে। স্বাভাবিক ভাবেই, যুবকদের এই উদ্যোগ এখন প্রশংসিত এলাকায়।এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে ছাত্রী বা শিক্ষিকা সকলের মুখে এখন একটিই নাম ‘ ভয় নেই ‘।

সৌভিক রায়

BJP Bangla Bandh: কোথাও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, কোথাও বা ট্রেনে পাথর-বাসে আগুন, বিজেপির বাংলা বনধ কি আদৌ সফল

উত্তর ২৪ পরগনা: ১২ ঘণ্টার বনধে মিশ্র প্রভাব জেলায়। সীমান্ত শহর বনগাঁয় এদিন সকাল থেকেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বনধ সফল করতে নামেন রাস্তায়। প্রথমেই অবরোধ করা হয় বনগাঁ স্টেশন। যার ফলে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া-সহ বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এদিন ট্রেন লাইনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের উপর পুলিশি প্রতিরোধ লক্ষ করা গিয়েছে গতকাল, মঙ্গলবার। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আজ, বুধবার স্লোগান চলে বিভিন্ন জায়গায়। যার ফলে সকালে নিত্যযাত্রীদের প্রায় ঘণ্টাখানেক আটকে পড়তে হয় ট্রেনেই।

পরবর্তীতে তৃণমূলের তরফ থেকে বনগাঁ আইএনটিটিইউসি সভাপতি নারায়ণ ঘোষ কর্মীদের নিয়ে স্টেশনে হাজির হলে স্টেশন চত্বরেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রীতিমত তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদের। পরিস্থিতির সামাল দিয়ে প্রায় ঘণ্টা খানেক পর ট্রেন চলাচল শুরু করাতে পারে পুলিশ।

অপরদিকে বনধ সফল করতে পতাকা হাতে বনগাঁর রাজপথেও মিছিল করে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। যে মিছিলের নেতৃত্ব দিতে দেখা যায় বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলকে। বিজেপির তরফে জানানো হয়, সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফ থেকেও রাস্তায় নেমে জনজীবন সচল রাখার চেষ্টা চালানো হয় জেলায়। বনগাঁর দোকানপাট অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশ কিছু বন্ধ থাকায়, বনধের প্রভাব লক্ষ করা গেল সীমান্ত শহরে।

আরও পড়ুন: অভিনেতার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ! বাড়িতে ডেকে ঘরবন্দি করে হেনস্থা অভিনেত্রীকে

অপরদিকে জেলা সদর শহর বারাসতে প্রথমে কলোনি মোড়ে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় নেমে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে চলাচল করা বাস ও লরি-সহ অটো থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন। রাস্তার মাঝেই আড়াআড়ি ভাবে বাস ও লরি দাঁড় করিয়ে দিতেও দেখা যায় বিজেপি সমর্থকদের। এরপর পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি সামাল দিতেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বারাসত স্টেশনে গিয়ে ট্রেন অবরোধ করেন। খবর শুনেই বারাসত স্টেশনে পৌঁছান স্থানীয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি-সহ তৃণমূল কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের সময় বেঁধে দিয়ে জনজীবন স্বাভাবিক করার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে বনধ-সমর্থকদের সরিয়ে স্বাভাবিক করে ট্রেন চলাচল। পরবর্তীতে আবারও চাপাডালি মোর সংলগ্ন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানেই রীতিমতো তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের ধস্তাধস্তি, হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। এরপরই উত্তেজনার সামাল দিতে ময়দানে নামে পুলিশ।

অপরদিকে শিল্পাঞ্চলে সকাল থেকেই অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল কাজ। তবে ভাটপাড়া এলাকায় অর্জুন সিং অনুগামীর উপর গুলি চালানোর অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয় গোটা এলাকায়। পরবর্তীতে দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও বচসা বাঁধলেও পরিস্থিতির সামাল দেয় পুলিশ। কলকাতা বিমানবন্দরে যদিও তেমনভাবে বনধের কোনও প্রভাব লক্ষ করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। সকালের দিকে জেলার নানা প্রান্তে কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনজীবন অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক হয়ে যায় অনেকটা।

সরকারি বাস সেভাবে নজরে না পড়লেও বেসরকারি বাস চলতে দেখা যায়। এদিনের বনধ ঘিরে জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।

Rudra Narayan Roy

Nabanna Abhijan: ৬ হাজারেরও বেশি পুলিশ, ২৬ জন ডিসি মোতায়েন! নবান্ন অভিযানে কড়া নজরদারি প্রশাসনের

কলকাতা: আরজি করে চিকিত্‍সক পড়ুয়াকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার নবান্ন অভিযানের কথা ঘোষণা করে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’। নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে বিশেষ নজরদারি কলকাতা পুলিশের।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৬ হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। ১৯ টি পয়েন্ট ব‍্যারিকেড থাকছে। ২৬ জন ডিসি থাকবেন। সকাল ৮ টা থেকে ফোর্স মোতায়েন করা হবে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। সেইসঙ্গে ড্রোনের মাধ‍্যমেও চলবে নজরদারি।

আরও পড়ুন: জারি ১৬৩ ধারা! নাকা চেকিং’, নিরাপত্তার কড়া বলয়ে নবান্ন চত্বর

পুলিশ সূত্রে খবর, যারা আয়োজক তাদের মেল করে জানতে চাওয়া হয়েছিল কত সংখ্যায় লোক থাকবে? কোথায় কোথায় জমায়েত হবে? তবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এখনও কিছু জানান হয়নি। উল্লেখ্য হেস্টিংস, সেকেন্ড ব্রিজের ওঠা ও নামা, স্ট্র্যান্ড রোড, হাওড়া ব্রিজ ওঠা ও নামার মুখে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবে।

আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমীতে কেমন ভাবে সেজে উঠেছে মায়াপুর, ইসকন? মহাসমারোহে পালন শ্রীকৃষ্ণের জন্মোত্‍সবের

প্রসঙ্গত নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে মুড়েছে নবান্ন চত্বরও। নবান্ন এলাকায় ৫০০ বেশি সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন। সব বাড়িতে নজরদারি। অযাচিত ব্যক্তি প্রবেশ আটকানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে মনে হলে। ১৬৩ ধারা এলাকায় যা নবান্ন আশেপাশে। ভারতীয় দণ্ড বিধিতে যা আগে ১৪৪ ধারা ছিল, তা ভারতীয় ন‍্যায় সংহিতা অনুযায়ী বর্তমানে সেটি ১৬৩ ধারা। জানা গিয়েছে, নতুন গাড়ি ওই এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না। বৈধ কারণ দেখাতে পারলে তবেই প্রবেশের অনুমতি। আন্দুল রোড ও কোনা রোডে যে বাস চলাচল করবে আগামীকাল সেখানেও সাদা পোষাকের পুলিশ মোতায়েন।

RG Kar Hospital Transfer: প্রিন্সিপালের নামে নিখোঁজ ব্যানার! সরলেন সুহৃতা, এবার আরজি করের দায়িত্বে কে?

কলকাতা: দুপুরেই তাঁর খোঁজে পড়েছিল নিখোঁজ ব্যানার৷ সন্ধের মধ্যেই অপসারিত হতে হল তাঁকে৷ আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে এবং হাসপাতালে পরিষেবার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নব নিযুক্ত অধ্যক্ষ সুহতা পালকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল স্বাস্থ্য ভবন৷ তাঁর বদলে আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হল বারাসাত সরকারি হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডঃ মানস কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷

পাশাপাশি, বুধবার সরানো হয় আরও তিন আধিকারিককেও। MSVP সহ চেস্ট মেডিসিনের প্রধান ও অ্যাসিট্যান্ট সুপারকেও৷

বদলে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের বর্তমান সুপার ডক্টর সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়কে আরজি কর হাসপাতালের নতুন সুপার পদে নিযুক্ত করা হল বুধবার৷

আরও পড়ুন: হাসপাতালেই যান না তিনি! সরিয়ে দেওয়া হল আরজি করের নয়া প্রিন্সিপালকে, বাতিল সন্দীপ ঘোষের অর্ডারও

আরজি কর হাসপাতালের অপসারিত প্রিন্সিপাল সুহৃতা পালকে পাঠানো হল বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল পদে৷

আরজি কর হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অরুণাভ দত্ত চৌধুরীকে পাঠানো হল মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট নিয়ে জটিলতা কাটাতে তৎপর সিবিআই! বৃহস্পতিতেই হাইকোর্টে যাওয়ার ভাবনা

বুধবার দুপুরে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যভবন চত্বর। শোনা যায়, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের ১ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অন্যতম দাবি ছিল, সন্দীপ ঘোষ সহ ঘটনার দিন আরজি করে শীর্ষপদে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের অন্য কোনও প্রশাসনিক পদে নিয়োগ করা যাবে না। ১ ঘণ্টার মধ্যে কোনও সিদ্ধান্ত না জানানো হলেও, সন্ধ্যায় সন্দীপ ঘোষকে সরানোর কথা জানান স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। সরানো হয় আরজি করে অন্যান্য শীর্ষপদে থাকা বাকি ৪ জনকেও৷

RG Kar Incident: ‘রাজ্যবাসী হিসেবে আমরা লজ্জিত’…আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারকে খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে বিবৃতি দিলেন কবীর সুমন, জয় গোস্বামী, সুবোধ সরকার-সহ বহু বিদ্বজ্জন

কলকাতা : অবশেষে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তারকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় বিবৃতি দিলেন বাংলার বিদ্বজ্জন মহলের একাংশ। এই নারকীয় ঘটনার পর থেকে অনেক বিদ্বজ্জন, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই এখনও এই কাণ্ডে প্রত্যক্ষ ভাবে ততটা প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন না বলে অভিযোগ, তাঁদের নাম বার বার উঠে এসেছে নেটিজেনদের আলোচনায়। আন্দোলনকারীরাও বার বার প্রশ্ন তুলেছেন এই বিদ্বজ্জনদের ভূমিকায়। এরকমই কয়েক জন বিদ্বজ্জনের নাম সম্বলিত প্রেসবিবৃতি জারি করা হয়েছে মঙ্গলবার। বিবৃতির নীচে নাম আছে প্রতুল মুখোপাধ্যায়, কবীর সুমন, গৌতম ঘোষ, জয় গোস্বামী, আবুল বাশার, সুবোধ সরকার, পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, অভিরূপ সরকার-সহ বহু বিদ্বজ্জনের৷

সেখানে বলা হয়েছে ‘‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে গত ৯ অগাস্ট মহিলা চিকি‍‍ৎসকের উপর যে অবর্ণনীয় নির্যাতন, ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, তাতে ঘৃণা জানানোর ভাষা নেই৷ রাজ্যবাসী হিসেবে আমরা লজ্জিত’’৷ বিবৃতিতে সিবিআই-এর কাছে আবদন জানানো হয়েছে দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে বিচার প্রক্রিয়ায় শাস্তিদানের জন্য৷ তাঁদের বিবৃতিতে উঠে এসেছে কলকাতার সাম্প্রতিক পরিস্থিতিও৷ বিদ্বজ্জনদের কথায়, ভালবাসার শহর আজ গভীর অসুখে৷ তাই তাঁদের মন ভাল নেই৷ বাকি রাজ্যবাসীর সঙ্গে তাঁরাও সাগ্রহে অপেক্ষা করছেন বিচারের জন্য৷ এই প্রসঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক দলদের প্রসঙ্গও এসেছে৷ বিবৃতিতে আক্ষেপ, এই সময়ে কিছু সুযোগসন্ধানী রাজনৈতিক দল লাগাতার গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাইছে৷ এই দলগুলি বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে চাইছে বলে অভিযোগ এই বিদ্বজ্জনদের৷ বিরোধী দলের ছায়ায় যে কোনও আন্দোলন থেকে কার্যত বিরত থাকতে রাজ্যবাসীর কাছে আর্জি জানানো হয়েছে এই বিবৃতিতে৷ বরং বিদ্বজ্জনরা বিশ্বাসী, যে সুবিচার আসবেই৷

কর্মক্ষেত্রে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ ও স্থায়ী সুরক্ষার বন্দোবস্ত করার আবেদনও রেখেছেন বিদ্বজ্জনরা৷ পাশাপাশি আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে তাঁদের অনুরোধ, কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেই তাঁরা যেন প্রতিবাদ চালিয়ে নিয়ে যান৷ রয়েছে প্রশাসনের প্রতি সতর্কবাণীও৷ বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘আশা রাখি প্রশাসন এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেবে৷ আগামীতে যে কোন ঘৃণ্য অপরাধ রুখতে সজাগ, তৎপর হবে৷’’

আরও পড়ুন : ‘শক্ত থাকুন, ন্যায় বিচার পাবেন’, আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মাকে ফোন রাজ্যপালের

সামগ্রিক পরিস্থিতিতে সমাজমাধ্যমের ভূমিকাও অনুল্লেখিত থাকেনি এই বিবৃতিতে৷ আজকের দিনে সামাজিক মাধ্যমের ভূমিকা স্বীকার করেও বলা হয়েছে, ‘‘সামাজিক ও সংবাদ মাধ্যমে পরের পর অজস্র গুজব, বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ঘটনা পরম্পরা এবং তদন্ত প্রক্রিয়াকে রসালো পণ্যে পরিণত করা হচ্ছে৷’’ বাংলার আপামর শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের কাছে তাঁরা আবেদন রেখেছেন এই প্রচেষ্টা রুখে দেওয়ার৷