Tag Archives: Rajasthan

Student Death: ‘মা-বাবা আমি JEE পারব না…’ কাগজে লেখা ৫ লাইন! ফের কোটায় আত্মঘাতী ১৮-র হবু ইঞ্জিনিয়ার

রাজস্থান: ফের পরীক্ষার চাপে আত্মঘাতী পড়ুয়া। জয়েন্ট পরীক্ষা দেওয়ার জন‍্য কোটাতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলে তরুণী। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই আত্মহত‍্যার পথ বেছে নিল তরতাজা প্রাণ। এক মাসের মধ‍্যেই এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আরও এক ছাত্রীর আত্মহত‍্যার খবর সামনে এল কোটা থেকে।

কোটাতে থেকেই জয়েন্ট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। কোটার বরখেদায় নিজের বাসভবনে ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ‍্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এরপর ছাত্রীকে পার্শবর্তী চিকিত্‍সা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। চিকিত্‍সকরা ছাত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: ‘আটকাবার চেষ্টা করতেই আমাকে…’ মাদক খাইয়ে ধর্ষণ! সোশ‍্যাল মিডিয়ার বন্ধুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তরুণী

ছাত্রীর মৃতদেহ পোস্ট মর্টামের জন‍্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেই স্থানে ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন সেখান থেকে একটি চিঠিও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, চিঠিতে লেখা ছিল, ‘‘ মা, বাবা, আমি JEE পারব না। তাই আমি নিজেকে শেষ করে দিচ্ছি। আমি খুব খারাপ মেয়ে। আমাকে ক্ষমা করো মা, বাবা। এটাই আমার শেষ পথ।’’

সূত্রের খবর অনুযায়ী, পড়াশোনার চাপ সামলাতে না পেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই ছাত্রী। সারাদিনে প্রায় ৭ ঘন্টা ধরে পড়াশোনা করছেন ছাত্রী। কিন্তু এত কঠিন পরীক্ষায় পড়াশোনার চাপ আরও বাড়ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ছাত্রীর বাবা এক ব‍্যাঙ্ক কর্মী।

(DISCLAIMER:This news piece may be triggering. If you or someone you know needs help, call any of these helplines: Aasra (Mumbai) 022-27546669, Sneha (Chennai) 044-24640050, Sumaitri (Delhi) 011-23389090, Cooj (Goa) 0832- 2252525, Jeevan (Jamshedpur) 065-76453841, Pratheeksha (Kochi) 048-42448830, Maithri (Kochi) 0484-2540530, Roshni (Hyderabad) 040-66202000, Lifeline 033-64643267 (Kolkata))

ভাড়াটিয়া সেজে ঘাঁটি গেড়েছিল সাইবার জালিয়াত; তল্লাশিতে বেরলো এক কোটি মানুষের আধার ডেটা

জয়পুর: সাইবার ক্রাইম বাড়ছে। সম্প্রতি রাজস্থানে ধরা পড়েছে চারজনের একটি আন্তর্জাতিক জালিয়াত দল।

জানা গিয়েছে, জয়পুরের বিধাধরনগর থানার পুলিশ আন্তর্জাতিক সাইবার প্রতারকদের আস্তানায় অভিযান চালিয়ে ওই চার দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে একটি উন্নত প্রযুক্তির মডিফাইড কম্পিউটার সিস্টেম, একটি ল্যাপটপ, রাউটার, দু’টি হেডফোন, দু’টি ইয়ারবাড, তিনটি Apple iPhone-সহ বেশ কিছু দামি স্মার্টফোন, সাতটি ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড। পুলিশের দাবি, এদের কাছে দেশি-বিদেশি ১৫ কোটিরও বেশি মানুষের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের তথ্য রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর নাম। ২ কোটিরও বেশি মানুষের পাসওয়ার্ড এবং এক কোটিরও বেশি মানুষের আধার কার্ডের তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

আরও পড়ুন– রাশিফল ১৩ জানুয়ারি; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ

ডিসিপি উত্তর, রাশি ডোগরা জানান, ধৃত চারজনের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। অথচ, এরা সকলেই মাত্র দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। বিহার, তেলঙ্গানা, জামতাড়ার সাইবার জালিয়াতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেই এরা হ্যাকিংয়ের কৌশল শিখেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর সাইবার প্রযুক্তিতে বিশেষজ্ঞ হয়ে নিজেরাই কারবার শুরু করে। ধৃতরা YouTube-এ হ্যাকিং ভিডিও দেখেও কিছু কৌশল রপ্ত করেছিল বলে পুলিশের দাবি।

পুলিশ জানিয়েছে, এই দলটি খুবই চতুর। বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে নিজেদের অনলাইন লোকেশন বাউন্স করাত, যাতে তাদের সঠিক অবস্থান সনাক্ত না করা যায়। বিভিন্ন সফ্টওয়্যার বা অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ক্র্যাক করে ফেলত। তারপর সেখান থেকে তথ্য চুরি করে আন্তর্জাতিক ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের ডেটা এবং অন্য ব্যক্তিগত তথ্য বের করে নিত।

আরও পড়ুন-রণবীর-নাগা চৈতন্যদের সঙ্গে ডেটিং, ব্রেক-আপই শেষ করে দিচ্ছিল প্রভাসের নায়িকার কেরিয়ার; ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প শোনালেন সুন্দরী

বিধাধরনগর থানা এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকত এরা। স্থানীয়দের দাবি, এরা কোনও দিন কোনও কাজ করতে যেত না। কিন্তু প্রতিদিনই বাড়িতে অনলাইন ডেলিভারি পার্টনাদের ভিড় লেগে থাকত। তা থেকেই সন্দেহ হয় সকলের। খবর পেয়ে পুলিশ টানা ১০ দিন বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায়। তারপর গ্রেফতার করা হয় চারজনকে।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জেনেছে, এরা ডিসকর্ড অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে স্ক্রিন শেয়ারিং থেকে প্রতারণা করত। হাতানো টাকা ক্রিপ্টো কারেন্সিতে ডেবিট বিনিয়োগ করা হত। সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যেও অভিযোগ রয়েছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Rajasthani Thali: মাত্র ২৫০ টাকায় স্পেশ‍্যাল রাজস্থানি থালি! কোথায় মিলছে? র‌ইল ঠিকানা

শিলিগুড়ি: সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী থালি হিসাবে রাজস্থানি থালি ভোজনরসিকদের কাছে ভীষণ প্রিয়।রাজস্থানের থালিতেও কিন্তু বেশ মশলাদার এবং ঝাল খাবার থাকে। ডাল বাটি চুরমা এই থালির অন্যতম অঙ্গ। এছাড়া থাকে বিভিন্ন ধরনের রুটি, বুন্দি বা বোঁদের রায়তা। এছাড়াও গাট্টে কি সবজি, রাজমা, মুগ ডালের হালুয়া, গুন্দ কা লাড্ডু নিরামিষ পদের আকর্ষণ। শিলিগুড়ির সরস মেলার এই রাজস্থান থেকে তাঁদের নিজস্ব খাবারের পরিচিতি ঘটাতে এসছেন সুরিন্দর সিং। তাঁর দোকানে অথেনটিক রাজস্থানি থালি খেতে ভিড় উপচে পড়ছে শহরবাসীর।

আরও পড়ুনঃ ব্রেকফাস্ট ফেলে অফিস যাচ্ছেন? বাড়বে ওজন, হবে ডায়াবেটিস! কী বলছে বিশেষজ্ঞ? জানুন

রাজস্থানের জনপ্রিয় ডাল বাটি, চুর্মা, বাজরা রুটি, ছোলে মসালা, গাট্টের তরকারি, আচার স্যালাড, রসুন চাটনি, মুগ ডালের হালুয়া, মুগ ডালের লাড্ডু নিয়ে গোটা থালি সাজানো রয়েছে। এই থালির দাম মাত্র ২৫০ টাকা। তাই সামান্য এই টাকা খরচ করে রাজস্থানী খাবার খেতে প্রচুর মানুষ ভিড় করছেন তাঁদের দোকানে। সুরিন্দর বলেন, “শিলিগুড়িতে এ নিয়ে আমি দ্বিতীয়বার এসেছি। আমাদের রাজস্থানী খাবার মানুষ এত পছন্দ করছে যে তাঁদের সামলাতে আমাদের রীতিমত ও হিমশিম খেতে হচ্ছে ।”এছাড়াও তিনি জানান সরকারের তরফ থেকে যেখানে যেখানে মেলার আয়োজন করা হয় তাঁরা সেখানে গিয়ে থাকেন এবং প্রতিটি জায়গাতেই তাঁদের খাবর লোকজন পছন্দ করছেন।

রাজস্থানী থালি খেতে এসে প্রিয়াঙ্কা শর্মা জানান, “সরস মেলায় আমি এই নিয়ে দুদিন আসলাম এবং দুদিনই এই রাজস্থানী থালি উপভোগ করেছি। অসাধারণ খেতে তাঁদের সমস্ত খাবার। যারা শিলিগুড়িতে অথেন্টিক রাজস্থান খাবার খেতে চান তাঁরা একবার ঘুরে যেতে পারেন এই দোকানে।” রাজস্থানী থালি ছাড়াও, বিভিন্ন রকমের হালুয়া দই বড়া, জিলিপি, পিয়াজ কচুরি, ডালের কচুরি সহ আরও নানান রাজস্থানী খাবার মিলছে এই দোকানে। তাই ভোজন রসিক মানুষরা দেরি না করে একবার এখানে ঢুঁ মেরে আসলে মন্দ হবে না।’

অনির্বাণ রায়

লম্বা পথ পায়ে হেঁটে স্কুল পৌঁছতে হতো গ্রামের মেয়েদের, PF -এর টাকা দিয়ে বাস কিনে দিলেন প্রবীণ চিকিৎসক

#কোটপুটলি : রাজস্থানের কোটপুটলিতে এক ৬১ বছরের বর্ষীয়ান চিকিৎসক গ্রামের মেয়েদের পড়াশোনার জন্য এমন সাহায্য করেছেন যার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা। স্থানীয় চিকিৎসক আর পি যাদব দেখেছিলেন যাতায়াতের কোনও তেমন ব্যবস্থা না থাকায় কয়েক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটেই স্কুল কলেজ যেতে হতো গ্রামের মেয়েদের। সহানুভূতিপ্রবণ চিকিৎসক ভাবতেন কীভাবে এর থেকে বাঁচানো যায় ওঁদের। কোনওভাবে সুযোগ করে দেওয়া যায় যাতায়াতের। ভাবতে ভাবতে পথও পেয়ে যান তিনি। ঠিক করেন অবসরের পর পাওয়া পি এফ-এর টাকাতেই কিছু একটা করা যাবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ।

এতো লম্বা পথ হেঁটে স্কুল যেতে যাতে আর কষ্ট না হয় গ্রামের মেয়েদের, তাই পি এফ-এর ১৯ লক্ষ টাকা দিয়ে গোটা একটা বাসই কিনে নেন তিনি। অবনীস স্মরণ নামের এক আইএএস অফিসার ট্যুইটারে শেয়ার করে বিষয়টি জানিয়েছেন। আইএএস অফিসারের সেই ট্যুইট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। ৫০০ র বেশি মানুষ এই পোস্টটি রিট্যুইট করেছেন। লাইক করেছেন প্রায় ৩০০০ জন।  সকলেই একবাক্যে বলেছেন এমন সহনাগরিক থাকলে বোধহয় দেশের অর্ধেক সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। এটাই সত্যিকারেরটা দেশভক্তি বা দেশসেবা বলেও মন্তব্য করেন অনেকে।

বস্তুত, নিজের প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ১৯ লক্ষ টাকা বের করে মেয়েদের জন্য বাস কিনে ফেলেন তিনি। চিকিৎসক আর.পি. যাদবের এই কাজের জন্য দেশজুড়ে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা মুখর হয়েছে। আইপিএস আর কে বিজ লিখেছেন, “এমন ব্যক্তিকে আমি প্রণাম জানাই।”

পিপিই কিট পরে মালাবদল-সিঁদুরদান! কোভিড কেয়ার সেন্টারেই বসল বিয়ের আসর! ভাইরাল ভিডিও…

#রাজস্থান: করোনাভাইরাস মহামারী বিশ্বজুড়ে এনেছে এক অস্বাভাবিক পরিবর্তন যা প্রভাব বিস্তার করেছে বহুক্ষেত্রেই৷ উৎসব এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিও প্রভাবিত করেছে এই মহামারী। তবে সমস্ত বাধা থাকা সত্ত্বেও স্বল্প আড়ম্বরে বা ভিন্ন উপায়ে বিভিন্ন উৎসব উদযাপন করেছে বিশ্ববাসী৷

এমতাবস্থায় রাজস্থানের এক দম্পতির বিয়ে উদাহরণ হয়ে রইল। পাত্রী করেনা পজিটিভ হওয়ায় বিয়ের সব প্ল্যান ভেস্তে যায়৷ কিন্তু যে কোনও উপায়ে বিয়ে করতেই হবে৷ তাই অবশেষে তারা কোভিড কেয়ার সেন্টারে পিপিই কিট পড়ে বিয়ে করেন৷ নজিরবিহীন এই ঘটনায় হতবাক দেশবাসী৷ রবিবার রাজস্থানের বড়ার কেলওয়ারা কোভিড সেন্টারে আয়োজন করা হয় বিয়ের অনুষ্ঠান৷ সংবাদসংস্থা এএনআই-র প্রকাশিত এই ক্লিপটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল৷

ভিডিওটিতে আরও বলা হয়েছে যে সরকার কর্তৃক করোনাভাইরাসের প্রোটোকলের কথা মাথায় রেখে এই বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। পিপিই কিটের পরা থাকলেও  বরের মাথায় ছিল পাগড়ি৷ ভিডিওটিতে আরও দেখা যায়, দম্পতি যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিয়ের কাজ সারেন৷ গ্লাভস পরেই হয়েছে মালাবদল থেকে সিঁদুরদান৷

ভিডিওটিতে নেটিজেনদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে৷ কেউ কেউ করেছেন প্রশংসা তো কেউ কেউ করেছেন রসিকতা৷ কয়েকটি মিমস্ ও তৈরী হয়েছে এই ঘটনাকে ঘিরে৷

Simli Dasgupta