Tag Archives: Reservoir

Bangla Video: জলাশয় ভরাট করলেই FIR, সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানা

মালদহ: ব্যাক্তিগত পুকুর বা জলাশয় থাকলেও ভরাট করা যায় না। তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনিভাবে জলাশয় ভরাট করেই চলেছে একশ্রেণির মানুষজন। তা নিয়ে এবার নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। সরকারি বা বেসরকারি যে কোন‌ও ধরণের জলাশয় ভরাট করলেই এবার এফআইআর করবে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর।

জলাশয় ভরাট করলেই এবার থেকে আইন অনুযায়ী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এমনকি সরকারিভাবে ভরাট করা জলাশয় পুনরায় উদ্ধার করা হবে। সমস্ত খরচ আইন মেনে দিতে হবে অভিযুক্তকে। সরকারি বা বেসরকারি পুকুর, জলাশয় ভরা রুখতে সরকারি এই আইন বা নির্দেশিকার উপর জোর দিয়ে প্রচার শুরু করছে মালদহ জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্নভাবে প্রচার অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর। শুধু তাই নয়, জেলা জুড়ে সরকারি জমি একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে। এমনকি বিভিন্ন দফতরের সরকারি জমির কোন‌ও নথি নেই প্রশাসনের কাছে। সরকারি জমি পুনরুদ্ধার করতে এবার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: উচ্ছেদ নয়, হকারদের বুঝিয়ে ফুটপাত দখলমুক্ত করার চেষ্টা

অতিরিক্ত জেলাশাসক( ভূমি ও ভূমি সংস্কার) দেবাহুতী ইন্দ্র বলেন, সরকারি হোক বা বেসরকারি, জলাজমি ভরাট করলেই এফআইআর করা হবে। নির্দিষ্ট আইন রয়েছে। সেই আইনের ভিত্তিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও বৈঠকে সরকারি জমি পুনরুদ্ধার সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত, জলাশয় ভরাট বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেইমত মালদহ জেলা প্রশাসন সমস্ত দফতরের কর্তা আধিকারিক, জেলার প্রতিটি ব্লকের বিএলআরওদের নিয়ে একটি বৈঠক করে। সরকারি জমি দখলমুক্ত করা সহ বিভিন্ন বিষয় যেগুলি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা করা হয়। সরকারিভাবে জেলার সমস্ত সরকারি জমিগুলি চিহ্নিত করে বোর্ড লাগানো হবে। সেই বোর্ডে উল্লেখ থাকবে সেটি সরকারি জমি, কোনও সাধারণ মানুষ সেটি ব্যবহার করতে পারবে না। এছাড়াও কোথাও সরকারি জমির উপর কোন‌ও পরিবার বসবাস করলে তাদের পাট্টা বিলির বিষয়েও চিন্তাভাবনা রয়েছে প্রশাসনের। বিশেষ করে জোর দেওয়া হয়েছে জেলা জুড়ে পুকুর ও জলাভূমি ভরাট বন্ধ করার উপর। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের পক্ষ থেকে একটি টিম তৈরি করা হচ্ছে। যারা নিয়মিত জেলার প্রতিটি প্রান্তের পুকুর ও জলাভূমিগুলির উপর নজরদারি চালাবে। কোথাও কোনও জলাভূমি ভরাট হলে তৎক্ষণাৎ আইনত ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এই বিষয়ে সচেতন করতে একাধিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর।

হরষিত সিংহ

Artificial Reservoir: তীব্র গরমে বন্যপ্রাণীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত, জঙ্গলে বাড়ল কৃত্রিম জলাশয়

আলিপুরদুয়ার: আবার গরমের দাপট শুরু হয়েছে বাংলায়। দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ মানুষের প্রাণ। ছাড় নেই উত্তরের মানুষদের‌ও। তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলা জুড়ে। এতে শুধু মানুষ নয়, সমস্যায় পড়েছে বন্য প্রাণীরাও। গরমে বিভিন্ন জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণীদের পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তাদের কথা মাথায় রেখে কৃত্রিম জলাশয়ের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে।

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের কোর এরিয়াগুলিতে ৯ টি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করা হয়েছে। বৈচিত্রময় বক্সা জঙ্গলে রয়েছে হাতি, বাইসন, হরিণ সহ নানান বন্য প্রাণী। রয়েল বেঙ্গল টাইগার থাকার অনুকুল পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে বক্সার জঙ্গলে। তার আগে বন্য প্রাণীদের তৃষ্ণা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর।জঙ্গলের ভেতরে তৈরি হয়েছে কৃত্রিম জলাশয়। জানা গিয়েছে প্রতিদিন ট্যাঙ্কার নিয়ে গিয়ে সেটা জলে পরিপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। শুধু জল নয়, তার সঙ্গে মেশানো হচ্ছে লবণ।

আর‌ও পড়ুন: সাতসকালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা! দাঁড়িয়েছিল নাবালিকা, হঠাৎ সব শেষ

বন্যপ্রাণীদের কথা মাথায় রেখে কৃত্রিম জলাশয় তৈরি প্রসঙ্গে রাজাভাতখাওয়ার রেঞ্জ অফিসার অমলেন্দু মাঝি জানান, গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি মানুষের। পশুদের‌ও একই অবস্থা, কিন্তু ওরা বলতে পারে না। তাই তাদের জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই গরমে যাতে বন্যপ্রাণীদের সমস্যা না হয় তার জন্য মেডিকেল টিমও তৈরি করেছে বন দফতর।

অনন্যা দে

Water Problem: দীর্ঘদিনের অভিযোগের অবসান! অবশেষে মার্চেই জলকষ্ট থেকে মুক্তি শহরের এই ওয়ার্ডের

কলকাতাঃ পর পর সাজানো বালতি ভর্তি জল। বাথরুমের সামনে ছোট মাঝারি রকমের দুটো রিজার্ভার। তাতেও জল ভর্তি। এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে কয়েকটা গলি পেরিয়ে আরও একটা বাড়ি। সেখানে কল তলায় তিন তিনটি রিজার্ভার। সব কটি জল ভরে রাখা আছে। ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গলির বাঁক নিতেই দেখা গেল মধ্য চল্লিশের এক গৃহবধূ টিউবওয়েল অর্থাৎ চাপা কল থেকে জল ভরছেন। সঙ্গে দু থেকে তিনটি বালতি। এই ছবিগুলো দেখলে বুঝতে অসুবিধা নেই যে এই মানুষগুলো কাটান তীব্র জলকষ্টে। এই ছবি খাস কলকাতার ব্রহ্মপুর ও সংলগ্ন এলাকার।

আরও পড়ুনঃ বেলগাছিয়ায় বিধ্বংসী আগুন! ঘটনাস্থলে দমকলের ১২টি ইঞ্জিন

জলকষ্টের অভিযোগ বহুবছরের। সেই সঙ্গে পানীয় জলের দাবি বহু দিনের। অবশেষে মিলতে চলেছে পানীয় জল। শুধু তাই নয়, তাঁদের জন্য তাঁদেরই এলাকাতেই তৈরি হয়েছে জলাধার। সব ঠিক থাকলে মার্চের গোড়া থেকেই নতুন জলাধার থেকে জল পাবেন এলাকাবাসী। যে খবরে খুশির ছোঁয়া এলাকায়। ১৯৮৬ সালে কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয় গড়িয়ার ব্রহ্মপুর, কামডহরি, আতাবাগনের বিস্তীর্ণ এলাকা। ওয়ার্ড নম্বর ১১১।

বাম আমল হোক বা তৃণমূল সরকারের প্রথম দশ বছর, এলাকায় কান পাতলেই একটি অভিযোগ সবার প্রথমে আসে। অভিযোগ জলকষ্টের। অর্থাৎ কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত হলেও এই ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের মূল সমস্যা পানীয় জলের সমাধান হয়নি দীর্ঘ বছর। দাবির পর দাবি জমা পড়েছে। সমস্যা মেটাতে এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে নলকূপ বা চাপা কল বসানো হয়েছে। অন্য ওয়ার্ড থেকে পাইপের মাধ্যমে জল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু জলকষ্ট মেটেনি।

আজও এলাকার মানুষ বাড়িতে একাধিক রিজার্ভার, বালতি বালতি জল ভরে রাখেন। বাইরের নলকূপ থেকে জল ভরে ব্যবহার করেন দৈনন্দিন কাজে । আর পানীয় জল কিনে নেন। এই সমস্যার এবার সমাধান হতে চলেছে। ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লিতেই তৈরি করা হয়েছে নয়া জলাধার। ৩.২ মিলিয়ন গ্যালন জল ধারন ক্ষমতার এই জলাধার তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৮ কোটি টাকা। যে জলাধারের মাধ্যমে মার্চের শুরু থেকেই ওয়ার্ডের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে পানীয় জল।
যা নিয়ে আশাবাদী এলাকার কাউন্সিলর সন্দীপ দাস। তিনি বলেন, নিজেও এই এলাকার বাসিন্দা তাই জলকষ্ট কী নিজে ভুক্তভোগী। সাধারণ মানুষের প্রধান ও প্রথম চাহিদা জল সমস্যা মেটাতে এই জলাধার করা হয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও কলকাতা পুরসভার সহযোগিতার ফলেই এই কাজ করা সম্পন্ন হয়েছে ।জল পাওয়ার আশাতে খুশি এলাকাবাসীও।

এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা পাপিয়া দাস বলেন, ‘জল ছাড়া কি কোনও কাজ হয়! কিন্তু এই জলের জন্য কতবার কতজনের কাছে তদবির করতে হয়েছে আমাদের। বালতি বালতি জল ভরে রাখতে হয়। এই কষ্ট মিটবে শুনছি। মার্চ মাস থেকে নতুন জলাধার থেকে আমরা জল পাব। ভীষণ খুশি আমরা।’ রানু কর ওই এলাকার গৃহবধূ। তিনি বলেন, ‘রীতিমতও জল নিয়ে ঝামেলা ঝগড়া বেধে যায়। বাইরের কল থেকে জল নিয়ে আসতে হয়। এতদিন পর কাউন্সিলর মুখ চেয়ে দেখেছেন । বাড়িতে জল আসবে নতুন ট্যাঙ্ক থেকে। সত্যি আমরা খুশি।’