Tag Archives: Water Problem

Water Problem: জলের দাবিতে রাস্তায় বালতি রেখে পথ অবরোধ, বিক্ষোভ মহিলাদের

বহরমপুর: জলের দাবিতে রাস্তায় বালতি রেখে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ মহিলাদের। বুধবার বহরমপুরের চালতিয়া এলাকার ঘটনা। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এই ঘটনায়। অভিযোগ, দীর্ঘ এক বছর ধরে জলকষ্টে ভুগছেন এলাকার মানুষ। ব্লক অফিস ও পি এইচ ই দফতরে অভিযোগ জানালে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। গত তিনদিন ধরে এলাকায় কোনও জল নেই। নেই কোনও টিউবয়েলে জল, ট্যাপগুলিতেও  জল আসে না। আবার জলের পাম্পেও জল উঠছে না। কার্যত তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা এলাকার সকলের।

পানীয় জল এমনকি নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের জন্য জলের চরম সংকট এলাকায়। এরই প্রতিবাদে এদিন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসীরা। সকলের দাবি অবিলম্বে জলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে বিক্ষোভকারী প্রিয়াঙ্কা দাস বলেন, “এক বছর ধরে আমরা জলের সমস্যায় ভুগছি। পি এইচ ই দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল ৬মাসের মধ্যে জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কিন্তু এক বছর হয়ে গেল তাও কোনও সুরাহা হল না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা পথে নেমেছি।”

বিক্ষোভকারী রেখা চৌধুরী বলেন, “গত তিনদিন ধরে আমাদের এলাকায় কোথাও জল নেই। পাম্পে জল উঠছে না পানীয় জলটাও আমরা পাচ্ছি না। এত গরমের মধ্যে জল না পেলে আমরা কি করে বাঁচব? কিন্তু প্রশাসন নির্বিকার। তাই আমরা পথ অবরোধ করছি, অবিলম্বে আমাদের জলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।”

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পি এইচ ই দফতরের কর্মীরা। পি এইচ ই-র কনট্রাকটর মুজিবর শেখ বলেন, “অবৈধভাবে একাধিক জলের কানেকশন নেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই জল পাওয়া যাচ্ছে না। নতুন ভাল্ব লাগানোর ফলে জলের পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। একেবারেই জল পাওয়া যাচ্ছে না এই অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা।” এই বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “বহরমপুর শহরজুড়ে চরম জলের সংকট চলছে। বড় বড় বিল্ডিং তৈরির জন্য যেভাবে জল তোলা হচ্ছে তাতে জলের স্তর ক্রমশ কমে যাচ্ছে। আমি কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে পাঠিয়েছি।”

Bankura News: বেঁচে যাবে হাজার হাজার টাকা! গরমে জলের সমস্যা থেকে নিমেষে মুক্তি

বাঁকুড়া: বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় গরম পড়লেই জলের সমস্যা নতুন কিছু নয়। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে গরম না পড়লেও মাটির তলায় জল পাম্পে করে উপরে তুলতে কালঘাম ছুটে যায় মানুষের। পাম্পের জল টানার সময় মাটির নিচে যথেষ্ট জল না থাকলে ঘটে যায় “ড্রাই রান”। ড্রাই অবস্থায় পাম্প দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকলে পাম্প নষ্ট হয়ে যেতে পারে। প্রায় প্রতি বছরই এই সমস্যার সম্মুখীন হন বাঁকুড়ার একাধিক মানুষ কারণ বাঁকুড়ার এক বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে মাটির তলার জলের স্তরের বিপুল তারতম্য ঘটে সামান্য দূরত্বের মধ্যেই। এই সমস্যার সমাধান করতে DPSS অর্থাৎ “ড্রাইরান প্রটেকশন সেন্সিং সিস্টেম” নামের একটি প্রযুক্তি ডেভেলপ করেছেন বাঁকুড়ার বাসিন্দা বিপুল কুন্ডু।

এই প্রযুক্তি ব্যাবহার করলে মাটির নীচে জলের স্তর নেমে গিয়ে পাম্পে ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ড জল না উঠলে, DPSS প্রযুক্তি পাম্পটিকে নিজে থেকেই বন্ধ করে দেবে। ফলে মোটা টাকার আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবেন পাম্পের মালিক। প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে এই প্রযুক্তি বাঁকুড়ার প্রায় ১০০টিরও বেশি পাম্পে বসিয়েছেন বিপুল কুন্ডু নিজে। ইনলেট পাইপের গায়ে প্রহরীর মত লাগানো থাকবে দুটি সেন্সর। এই সেন্সর দুটি ইনলেট পাইপের মধ্যে সবসময় পরখ করতে থাকবে জলের ফ্লো। জলের পরিমাণ নির্দিষ্ট একটি মানের নীচে নামলেই ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে পাম্প। পাম্পের ভিতরেই লাগানো আছে আরও দুটি সেন্সর। এই সেন্সর গুলি ট্যাঙ্কির মধ্যে জলের লেয়ার বুঝে প্রায় নিজে থেকেই বন্ধ করে দেবে পাম্প, এবং বন্ধ হবে জলের অপচয়।

আরও পড়ুন- শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

বাঁকুড়ার দামোদরপুরের বাসিন্দা উজ্জ্বল গড়াই, তার বাড়িতে দু’দুটি কোম্পানির পাম্প বসিয়েছিলেন তিনি। জলের স্তরের তারতম্য ঘটার জন্য ড্রাই রান করে পাম্প নষ্ট হয়ে যায়। প্রায় ২০০০০ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় উজ্জ্বল গড়াই-এর। বর্তমানে উজ্জ্বল গড়াই-এর বাড়িতে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিপিএসএস প্রযুক্তি। তারপর থেকেই ড্রাই রান হলেও নিজে থেকেই পাম্প ১ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়।

 

বাঁকুড়ার বিপুল কুন্ডু ইলেকট্রনিক্স ব্যবহার করে নতুন নতুন। সমস্যার সমাধান করছেন নিত্যদিন। নিজের পেশাকে নেশায় পরিণত করে ব্যাবসার রূপ দিয়েছেন। প্রান্তিক বাঁকুড়া থেকে বাঁকুড়ার এই প্রযুক্তির নাম পোঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বড় শহর গুলিতে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Water Problem: ‘অবাক জলপান’ বোধহয় একেই বলে, ৫ কোটি টাকা খরচ, কিন্তু গোটা গ্রাম জল খেল মাত্র একবার!

জলপাইগুড়ি: ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মাত্র একবার পানীয় জল পেল এই গ্রামের বাসিন্দারা! তারপর আর মেলেনি পানীয় জল। দীর্ঘ ৭ বছর কেটে গেলেও মেটেনি পানীয় জলের সমস্যা। পানীয় জলের অভাবে হাহাকার করেই দিন কাটছে এদের। ঠিক এমনই করুণ অবস্থা জলপাইগুড়ি সংলগ্ন দক্ষিণ বেরুবারী অঞ্চলে।

৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারের তরফে জলের রিজার্ভার বানানো হলেও, সেই রিজার্ভার থেকে জল মিলেছে মাত্র একবার। এখন পাতকুয়োর জলই ভরসা। স্থানীয়দের কথায়,পানীয় জল সংকট মেটানোর জন্য ৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়নি বরং সেই পাঁচ কোটি টাকা জলেই গিয়েছে। তারপর আর ফিরেও তাকায় নি কেউ।ভোট আসে ভোট যায়, জলের পিপাসা আর মেটে না এই সীমান্ত গ্রামের।

আরও পড়ুন –  KKR Mistakes: দুরন্ত ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয়, কিন্তু শাহরুখের দল যে ভুলগুলি আর করতে চাইবেন না

জল প্রকল্পে জমিদাতা আজ পরিযায়ী শ্রমিক। জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনের অন্তর্গত দক্ষিণ বেরুবাড়ী অঞ্চল, যে গ্রামে শেষ হয় দেশের ভৌগলিক সীমানা। ওপারে রয়েছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সময় থেকেই বহু বার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে এই সীমান্তবর্তী গ্রামটি। কখনও ছিট মহল আবার কখনও অ্যাডভার্স ল্যান্ড বিতর্ককে ঘিরে বারবার হয়েছে শোরগোল । তবে এবারের কাহিনী আশপাশের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে বসবাসকারী প্রায় ছয় হাজার মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের।

গত বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন বোর্ড এর পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের দীর্ঘ দিনের করা পানীয় জলের দাবি মেটাতে উদ্যোগী হয়।দীর্ঘ দিনের জলকষ্ট মেটানোর কাজ শুরু হবে শুনেই এগিয়ে আসেন গ্রামের মেয়ে বাবলি দাস দে। জমি দান করেন জল প্রকল্পের জন্য। সেই থেকেই অপেক্ষা বিশুদ্ধ পানীয় জলে পিপাসা মেটানোর পাশপাশি, সরকারী চুক্তি অনুযায়ী জমি দাতা হিসেবে পরিবারের এক সদস্যের চাকরি পাওয়ার। যদিও সে সবই এখনও বিশ বাও জলে। জীবিকার টানে নিজের ভাই আজ পরিযায়ী শ্রমিক। অপরদিকে, সীমান্ত গ্রাম দক্ষিণ বেরুবাড়ি অঞ্চলে নির্মিত নীল সাদা রঙের জলাধারটির সামনে দাঁড়িয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে এলাকার বাসিন্দা লোকমান মণ্ডলের সাফ কথা, উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে চোখের সামনে।

Surajit Dey

Water Problem : জলের দাবিতে বিক্ষোভ আবাসিকদের, নেই বিদ্যুৎও! কিন্তু কেন? রইল ভিডিও

বরানগর: বরাহনগরের আবাসনে জলকষ্ট। জলের দাবিতে বিক্ষোভ আবাসিকদের। বিল না দেওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। আবাসনের কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় আবাসিকরা। পালটা টাকা না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে কমিটির বিরুদ্ধে।

Water Problem: দীর্ঘদিনের অভিযোগের অবসান! অবশেষে মার্চেই জলকষ্ট থেকে মুক্তি শহরের এই ওয়ার্ডের

কলকাতাঃ পর পর সাজানো বালতি ভর্তি জল। বাথরুমের সামনে ছোট মাঝারি রকমের দুটো রিজার্ভার। তাতেও জল ভর্তি। এই বাড়ি থেকে বেরিয়ে কয়েকটা গলি পেরিয়ে আরও একটা বাড়ি। সেখানে কল তলায় তিন তিনটি রিজার্ভার। সব কটি জল ভরে রাখা আছে। ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গলির বাঁক নিতেই দেখা গেল মধ্য চল্লিশের এক গৃহবধূ টিউবওয়েল অর্থাৎ চাপা কল থেকে জল ভরছেন। সঙ্গে দু থেকে তিনটি বালতি। এই ছবিগুলো দেখলে বুঝতে অসুবিধা নেই যে এই মানুষগুলো কাটান তীব্র জলকষ্টে। এই ছবি খাস কলকাতার ব্রহ্মপুর ও সংলগ্ন এলাকার।

আরও পড়ুনঃ বেলগাছিয়ায় বিধ্বংসী আগুন! ঘটনাস্থলে দমকলের ১২টি ইঞ্জিন

জলকষ্টের অভিযোগ বহুবছরের। সেই সঙ্গে পানীয় জলের দাবি বহু দিনের। অবশেষে মিলতে চলেছে পানীয় জল। শুধু তাই নয়, তাঁদের জন্য তাঁদেরই এলাকাতেই তৈরি হয়েছে জলাধার। সব ঠিক থাকলে মার্চের গোড়া থেকেই নতুন জলাধার থেকে জল পাবেন এলাকাবাসী। যে খবরে খুশির ছোঁয়া এলাকায়। ১৯৮৬ সালে কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয় গড়িয়ার ব্রহ্মপুর, কামডহরি, আতাবাগনের বিস্তীর্ণ এলাকা। ওয়ার্ড নম্বর ১১১।

বাম আমল হোক বা তৃণমূল সরকারের প্রথম দশ বছর, এলাকায় কান পাতলেই একটি অভিযোগ সবার প্রথমে আসে। অভিযোগ জলকষ্টের। অর্থাৎ কলকাতা পুরসভার অন্তর্গত হলেও এই ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের মূল সমস্যা পানীয় জলের সমাধান হয়নি দীর্ঘ বছর। দাবির পর দাবি জমা পড়েছে। সমস্যা মেটাতে এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে নলকূপ বা চাপা কল বসানো হয়েছে। অন্য ওয়ার্ড থেকে পাইপের মাধ্যমে জল দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু জলকষ্ট মেটেনি।

আজও এলাকার মানুষ বাড়িতে একাধিক রিজার্ভার, বালতি বালতি জল ভরে রাখেন। বাইরের নলকূপ থেকে জল ভরে ব্যবহার করেন দৈনন্দিন কাজে । আর পানীয় জল কিনে নেন। এই সমস্যার এবার সমাধান হতে চলেছে। ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লিতেই তৈরি করা হয়েছে নয়া জলাধার। ৩.২ মিলিয়ন গ্যালন জল ধারন ক্ষমতার এই জলাধার তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৮ কোটি টাকা। যে জলাধারের মাধ্যমে মার্চের শুরু থেকেই ওয়ার্ডের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে পানীয় জল।
যা নিয়ে আশাবাদী এলাকার কাউন্সিলর সন্দীপ দাস। তিনি বলেন, নিজেও এই এলাকার বাসিন্দা তাই জলকষ্ট কী নিজে ভুক্তভোগী। সাধারণ মানুষের প্রধান ও প্রথম চাহিদা জল সমস্যা মেটাতে এই জলাধার করা হয়েছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও কলকাতা পুরসভার সহযোগিতার ফলেই এই কাজ করা সম্পন্ন হয়েছে ।জল পাওয়ার আশাতে খুশি এলাকাবাসীও।

এলাকার দীর্ঘদিনের বাসিন্দা পাপিয়া দাস বলেন, ‘জল ছাড়া কি কোনও কাজ হয়! কিন্তু এই জলের জন্য কতবার কতজনের কাছে তদবির করতে হয়েছে আমাদের। বালতি বালতি জল ভরে রাখতে হয়। এই কষ্ট মিটবে শুনছি। মার্চ মাস থেকে নতুন জলাধার থেকে আমরা জল পাব। ভীষণ খুশি আমরা।’ রানু কর ওই এলাকার গৃহবধূ। তিনি বলেন, ‘রীতিমতও জল নিয়ে ঝামেলা ঝগড়া বেধে যায়। বাইরের কল থেকে জল নিয়ে আসতে হয়। এতদিন পর কাউন্সিলর মুখ চেয়ে দেখেছেন । বাড়িতে জল আসবে নতুন ট্যাঙ্ক থেকে। সত্যি আমরা খুশি।’