Tag Archives: RG Kar Hospital

RG Kar Doctor Murder Case: আরজি কর কাণ্ডের প্রভাব জেলাতেও, দু’ঘণ্টা বন্ধ রইল চিকিৎসা পরিষেবা

পূর্ব বর্ধমান: দু’ঘণ্টার জন্য পরিষেবা বন্ধ থাকল হাসপাতালে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা বাদে অন্যান্য সমস্তরকম পরিষেবা বন্ধ রাখলেন চিকিৎসক এবং নার্সরা। ঘটনাটি কালনা মহকুমা হাসপাতালের। এদিন সকালের দিকে প্রায় ২ ঘণ্টা কালনা মহকুমা হাসপাতালে জরুরী পরিষেবা বাদে বাকি অন্যান্য পরিষেবা বন্ধ রাখেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এইভাবেই তাঁরা রাজ্যব্যাপী চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান।

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার সকাল ন’টা থেকে বেলা এগারোটা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা ব্যতীত সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। যদিও এগারোটার পর থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় হাসপাতালে পরিষেবা। চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সিং স্টাফ এবং হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের কর্মীরা এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। মূলত চিকিৎসকদের আন্দোলন হলেও বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর্মী তাকে সমর্থন জানিয়েছেন।

আর‌ও পড়ুন: বাঁকে ফুটে উঠছে শিল্পের কারুকাজ, দেখতে শ্রাবণ মাসে রাস্তার দুই ধারে উপচে পড়ছে ভিড়

শিখা চক্রবর্তী নামে কালনা মহকুমা হাসপাতালের এক নার্স এই প্রসঙ্গে বলেন, নার্সিং-এর মেয়ে ছাড়া ডিউটি হয় না, হাসপাতাল চলে না। ডাক্তাররা যেমন ছাদ, সেরকম আমরা মেয়েরাও পিলার। ডাক্তার এবং নার্স ছাড়া কোনও হাসপাতাল চলতে পারে না। প্রত্যেকদিন আমাদের মেয়েরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ডিউটি করে চলেছে। বেশিরভাগ সময় কোনও সিকিউরিটি থাকে না। অমরা চাই উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক।

এদিনের এই আন্দোলন থেকে স্লোগান ওঠে ‘নো সেফটি, নো ডিউটি’। পাশাপাশি চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সিং স্টাফ সকলেই জানান, হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তার প্রচন্ড অভাব রয়েছে। আরজি করে’র মহিলা চিকিৎসকের নারকীয় মৃত্যুর পর তাঁরা আরও ভয় পেয়েছেন বলে জানান।

অন্যদিকে চিকিৎসায়ক ও নার্সদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচির ফলে আউটডোরে টিকিট কাটার জন্য দীর্ঘ লাইন পড়ে রোগীদের। টিকিটের লাইনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। যদিও পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

RG Kar Doctor Death: চিকিৎসা পাচ্ছেন না রোগী! হাসপাতালগুলির হাল ফেরাতে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক মমতার

কলকাতা: সোমবার স্বাস্থ্য সচিব নারায়ন স্বরূপ নিগমের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। বিক্ষোভের আঁচ শহরের হাসপাতাল ছাড়িয়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে গিয়েছে জেলা হাসপাতালগুলিতেও।

রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। বন্ধ পরিষেবা। জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে লাগাতার বিক্ষোভ হাসপাতাল চত্বরগুলিতে। কী ভাবে দ্রুত স্বাভাবিক করা যায় পরিস্থিতি, তা নিয়ে আলোচনা করতেই মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে এই বৈঠক করেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।

এ দিনের বৈঠকে আরজি করের পরিকাঠামো নিয়েও আলোচনা করেন মমতা। সেই সঙ্গে শহর এবং জেলা হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্টও নেওয়া হয়। বেহাল হাসপাতাল পরিস্থিতি অচিরেই ঠিক করার প্রয়াস মুখ্যমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত আজই বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিষেবা না মেলায় বিনা চিকিৎসায় তিনি মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন পিয়ারুল শেখ নামে সেই রোগীর পরিবারের সদস্যরা। আরজি কর কাণ্ডের জেরেই এই ভোগান্তি, এমনই দাবি আরও বহু চিকিৎসাপ্রার্থী রোগীর পরিবারের।

আরও পড়ুন- স্ত্রীকেও ছাড়েনি সঞ্জয়! কী কী করেছিল তাঁর অসুস্থ মেয়ের সঙ্গে? মুখ খুললেন শাশুড়ি

অন্য দিকে, আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণের পরে খুন হওয়া মহিলা চিকিৎসকের বাড়িতেও যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে এসে মমতা বলেন, ‘‘রবিবারের মধ্যে পুলিশ তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিবিআইকে তদন্ত ভার দেওয়া হবে।’’ শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “মেয়েটির বাবা-মা বলেছেন, ভিতরের কেউ জড়িত আছে৷ যদি তাই হয় ওঁর বন্ধুবান্ধব সহ যাদের উপরেই সন্দেহ হচ্ছে, তাঁদের ডেকে কথা বলা হবে৷”

এ দিন আবারও দোষীর ফাঁসির দাবি তোলেন মমতা। সেই সঙ্গে পুলিশকে তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মুখ‍্যমন্ত্রী।

RG Kar Doctor Murder Case: আরজি কর-কাণ্ডে এবার আসরে মহিলা কমিশন, প্রথমেই গেল লালবাজার! চাপ বাড়ছে সরকারের উপর

উত্তর ২৪ পরগনা: আরজি কর-কাণ্ডে শহরের এসে পৌঁছলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের দু’সদস্যের প্রতিনিধি দল। বিমানবন্দর থেকে নেমেই এদিন সোজা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। আর তারপরই যান নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পানিহাটির বাড়িতে।

কর্তব্যরত অবস্থায় হাসপাতালের রেস্ট-রুমে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করে খুন করা ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে এখনও উঠছে নানা প্রশ্ন। মৃত্যুর তদন্ত-সহ প্রকৃত দোষীদের ধরতে আন্দোলনে বসেছেন আরজি কর-সহ অন্যান্য হাসপাতালের পড়ুয়া ডাক্তারেরা। ফলে একদিকে চিকিৎসা পরিষেবাও ভেঙে পড়েছে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে।

আরও পড়ুন: প্রবল মারে চশমার কাচ ঢোকে চোখে, দেওয়ালে ঠোকা হয় মাথা, আরজি কর কাণ্ডে ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর তথ্য

সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই নৃশংস ঘটনার তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখতে পাশাপাশি গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে জাতীয় মহিলার কমিশনে রিপোর্ট জমা দেবেন বলেও জানান কমিশনের অন্যতম সদস্য ডেলিনা খনড়ুপ। এদিন কলকাতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বেরিয়েই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে রওনা দেয় এই দল। এরপর সেখান থেকেই নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন।

আরও পড়ুন: ‘ভিতরের কেউ আছে’, আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সন্দেহ মমতার

মঙ্গলবার ঘটনাস্থল অর্থাৎ আরজি কর হাসপাতালেও যাবেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে তাঁরা জাতীয় মহিলা কমিশনে জমা দেবেন। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে আরও অতিরিক্ত দিন থেকে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখবেন তাঁরা বলেও জানা গিয়েছে। ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও যে প্রশ্ন উঠছে, সে বিষয়টিও বিশেষ বিবেচনায় দেখা হবে বলে জানা গিয়েছে কমিশন সূত্রে।

Rudra Narayan Roy

Mamata Banerjee: সোদপুর থেকে ফিরেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী! আরজি কর-কাণ্ডের জেরে অবশেষে নজরে সরকারি হাসপাতাল

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন হওয়া মহিলা চিকিত্‍সকের বাড়িতে যান মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়। এদিন সোদপুরে নিহত চিকিত্‍সকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ‍্যমন্ত্রী। সোদপুর থেকে ফিরেই বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার মুখ্য সচিব, কলকাতা পুলিশের সিপিকে নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতাল গুলির সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন মুখ‍্যমন্ত্রী। আরজি করের তদন্ত নিয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে, এমনটাই জানা গিয়েছে এই বৈঠকে।

আরও পড়ুন: টকটকে লাল নয়, ঘন নীল! বলুন তো কোন প্রাণীর রক্তের রং নীল? এক লিটারের দামই ১০ লাখ!

এ দিন দুপুরে সোদপুরে আর জি করের নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রায় আধ ঘণ্টা মৃতার বাবা মা-সহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মুখ‍্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে জড়িত থাক তাকে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। আমরা চাই এই কেসটা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে হোক। আমরা এটাতে ফাঁসির দাবি জানাব।’’

আরও পড়ুন: বলুন তো কোন জিনিস বাগানে সবুজ, বাজারে কালো আর ‘বাড়িতে লাল’ হয়? রান্নাঘরেই আছে কিন্তু! ৯৯% লোকজনই ভুল উত্তর দিয়েছেন

সেইসঙ্গে ঘটনার তদন্তে কলকাতা পুলিশকে সময়সীমাও বেঁধে দিলেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রায় ৪৫ মিনিট নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনারও।

RG Kar Doctor Death: আরজি কর কাণ্ডের জেরে চলছিল বিক্ষোভ, মারা গেলেন রোগী! চিকিৎসা না মেলার অভিযোগ

মুর্শিদাবাদ: বুকে ব্যথা নিয়ে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসা না মেলার অভিযোগ! ডাক্তারের দেখা নেই। সেই কারণেই মৃত্যু হল এক রোগীর, এমনই দাবি পরিবারের। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য।

বিক্ষোভের আঁচ শহরের হাসপাতাল ছাড়িয়ে দাবানলের মতো ছড়িয়ে গিয়েছে জেলা হাসপাতালগুলিতেও। যার জেরে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালেও বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তার ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। এ দিকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় সোমবার দুপুরে। সূত্রের খবর,

সকাল ৮টা নাগাদ বুকে ব্যথা নিয়ে বহরমপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় পিয়ারুল শেখকে। কিন্তু সাড়ে বারোটা বেজে গেলেও রোগীর চিকিৎসা করানো যায়নি। তার পরই মৃত্যু হয় পিয়ারুলের।
মৃতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পিয়ারুলকে ভর্তি করার চার ঘণ্টা পরেও চিকিৎসক না আসার কারণেই মৃত্যু হয় তাঁর। এমারজেন্সি বিভাগে ফেলে রাখা হয় কিন্তু কোনও চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় চিকিৎসকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা।

 আরও পড়ুন- স্ত্রীকেও ছাড়েনি সঞ্জয়! কী কী করেছিল তাঁর অসুস্থ মেয়ের সঙ্গে? মুখ খুললেন শাশুড়ি

আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার জেরে রবিবার থেকেই কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র ডাক্তার ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের। সোমবার সকালে একটি বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। দোষীদের শাস্তি দাবির দাবিতে চলে বিক্ষোভ। সেই কারণেই রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না বলেই অভিযোগ।

R G Kar doctor murder update: চার চিকিৎসককে লালবাজারে তলব, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ! ঘুরবে আর জি কর তদন্তের মোড়?

কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডের তদন্তের কিনারা করার জন্য কলকাতা পুলিশকে আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তা না হলে তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

এই পরিস্থিতিতে আর জি কর মামলার তদন্তে যথেষ্টই চাপে কলকাতা পুলিশ৷ আজই লালবাজারে আর জি কর হাসপাতালের চার জন চিকিৎসককে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন তদন্তকারীরা৷ এদের মধ্যে তিন জন জুনিয়র চিকিৎসক এবং একজন হাসপাতালের হাউস স্টাফ৷ গত বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের চেস্ট মেডিসিন বিভাগে এই চার জনের সঙ্গেই ডিউটিতে ছিলেন নিহত মহিলা চিকিৎসক৷ একসঙ্গে রাতের খাবারও খেয়েছিলেন তাঁরা৷ ওই চার জনের বয়ান জানতে এবং তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতেই এ দিন তাঁদের লালবাজারে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷

আরও পড়ুন: আর জি কর কাণ্ডে ধৃত ‘বড়মাপের অপরাধী, সর্বোচ্চ শাস্তির চেষ্টা!’ দাবি নগরপালের, খুনের উদ্দেশ্য জানার চেষ্টায় পুলিশ

এ দিন সোদপুরে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মা সহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি৷ আর জি কর কাণ্ডে বার বারই একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগ উঠছে৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রীও বলেন, ‘ওঁর (নিহত চিকিৎসক) বাবা মা বলেছেন ভিতরের কেউ জড়িত আছে৷ যদি তাই হয় ওঁর বন্ধুবান্ধব সহ যাদের উপরেই সন্দেহ হচ্ছে তাঁদের ডেকে কথা বলা হবে৷ যিনি বাড়িতে প্রথম খবর দিয়েছিলেন, তাকেও ডেকে কথা বলতে বলেছি৷ আমি চাই পুলিশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তদন্ত শেষ করুক৷ তার পরেও যদি রবিবার পর্যন্ত যদি তাঁরা কুলকিনারা করতে না পারেন, তাহলে এই কেসটা আমরা সিবিআইকে দিয়ে দেব৷ কারণ ভিতরেরও তো অনেকে আছে৷’

মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই নগরপাল বিনীত গোয়েল জানান, তদন্তে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই ঘটনায় আর কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও গ্রেফতার করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন নগরপাল৷ তিনি আরও জানান, পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করতে যে কেউ সশরীরে হাজির অথবা হেল্পলাইন মারফৎ তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারেন৷

RG Kar murder case update: আরজি করের ঘটনায় সোমবার বড় দাবি পেশ করল চিকিৎসকদের সংগঠন, কী পদক্ষেপ তাঁদের?

কলকাতা: আরজি করে চিকিৎসক নির্যাতন এবং খুনের ঘটনায় সোমবার একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছে আরজি কর রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। শুধু তাই নয়, কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে ক্ষমা চাইতে হবে, সোমবার তাঁরা এমন দাবিও তুলেছেন।

আগের মতোই জুনিয়র ডাক্তারের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা নিয়ে আরজি করের রেসিডেন্ট চিকিৎসকরা বিচারবিভাগীয় তদন্তে অনড় রয়েছেন। সেই সঙ্গে আরজি করের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত ছিলেন তাঁদের পদত্যাগ গ্রহণ করে লিখিত দিতে হবে এবং  এই এদের কাউকে অন্য কোথাও বহাল করা যাবে না, এমন দাবিও তুলেছে আরজি কর রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন।

আরও পড়ুন: প্রেমিকাকে নিয়ে পলাতক ভাই, দিদিকে গণধর্ষণ তরুণীর পরিবারের! অভিযোগ রেকর্ড করা হয় দৃশ্য

সেই সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তরফে লিখিত ক্ষমা চাইতে হবে, শনিবার আন্দোলনকারীদের নিগ্রহের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে পুলিশ কমিশনারকেও, এমনই দাবি জানিয়েছে আরজি করের চিকিৎসক সংগঠন। নির্যাতিতার পরিবারতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে, এই দাবিও সোমবার তুলেছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন: আরজি করের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা হাই কোর্টে, কবে শুনানি?

দাবি না মানা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা-সহ সব ধরনের পরিষেবা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবার নির্যাতিতার সোদপুরের বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন প্রায় ৪৫ মিনিট নিহত চিকিৎসকের সোদপুরের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলও।

পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যে জড়িত থাক তাকে দ্রুত শাস্তি দিতে হবে। আমরা চাই এই কেসটা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে হোক। আমরা এটাতে ফাঁসির দাবি জানাব। ওখানে নার্সরা ছিল। কী করে এই ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না। পুলিশকেও বলেছি। ওর বাবা-মাও বলছে ভিতরের কেউ আছে। আমি পুলিশকে বলেছি দেখতে”।

RG Kar Doctor Murder Case Post Mortem Report: প্রবল মারে চশমার কাচ ঢোকে চোখে, দেওয়ালে ঠোকা হয় মাথা, আরজি কর কাণ্ডে ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর তথ্য

কলকাতা: আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহে যে ধরনের এবং যত সংখ্যক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে, তা কি এক জনের পক্ষে করা সম্ভব? শুধু কি সঞ্জয় একা না কি অন্য কেউ ঘটনার রাতে সঙ্গী ছিল তার? জানতে মরিয়া কলকাতা পুলিশ। সেদিন রাতে হাসপাতালের জরুরি বিল্ডিংয়ের সেমিনার রুমে ঠিক কী হয়েছিল? ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।

ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়ে কলকাতা পুলিশের দাবি, খুন-ধর্ষণের আগে মারধরে প্রবল বল প্রয়োগ করা হয়েছিল নির্যাতিতার উপর। তারই ইঙ্গিত মিলেছে ময়না তদন্তের রিপোর্টে। কোন আঘাত কীভাবে হয়েছে, তারই ইঙ্গিত রয়েছে রিপোর্টে। এমনকী নিজেকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন নির্যাতিতা। ধস্তাধস্তি হয়েছিল। বাধা দিতে চেয়েছিলেন নির্যাতিতা। তিনি যে বাধা দিয়েছিলেন তারও প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তর হাত ও মুখে আঁচড়ের ক্ষত দাগ মিলেছে।

আরও পড়ুন: ‘ভিতরের কেউ আছে’, আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সন্দেহ মমতার

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানানো হয়েছে নির্যাতিতা তরুণীর কোথায় কী ভাবে ক্ষত হয়েছিল। চোখের ক্ষত ভাঙা চশমার কাচে ঘটেছে। সঞ্জয়ের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে প্রতিরোধ করেছিলেন ওই চিকিৎসক। প্রবল ধস্তাধস্তিতে চশমার কাচ ভেঙে যায়। কাচ ভেঙে ক্ষত এবং চোখ থেকে রক্ত বেরিয়ে পড়ে। মাথায় আঘাত রয়েছে। ধস্তাধস্তির সময় চিৎকার রুখতে নির্যাতিতার মুখ চেপে দেওয়ালে ঠুকে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে আর কে জড়িত? ধৃত সঞ্জয়ের সঙ্গী কোনও মহিলা নাকি পুরুষ? বাড়ছে ধোঁয়াশা

মুখে আঁচড়ের ক্ষত রয়েছে। বল প্রয়োগ করে তরুণীর মুখ চেপে ধরা হয়েছিল। ছটফট করছিলেন তরুণী। সঞ্জয়ের প্রবল শক্তি দিয়ে বল প্রয়োগ করার জন্য তারই নখে তরুণীর মুখে ক্ষত হয়েছিল। শ্বাসরোধ করতে গলা টেপা হয়। ভেঙে যায় থাইরয়েড কার্টিলেজ। চিৎকার রুখতে মুখ ও গলা ক্রমাগত টিপে ধরা হয়েছিল। গলা টিপে শ্বাসরোধ করা হয়, শ্বাস আটকে গিয়ে মৃত্য়ু হয় চিকিৎসক তরুণীর। যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত মিলেছে। বিকৃত যৌন লালসা এবং মদ্যপ থাকার কারণে ক্রমাগত আঘাত হয়েছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত সঞ্জয়ের হাত ও মুখে আঁচড়ের ক্ষত রয়েছে। নির্যাতিতা নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাতেই তার নখের ক্ষত মিলেছে অভিযুক্তর শরীরে।

অমিত সরকার