Tag Archives: RG Kar

RG Kar Case Protest: নিজের জন্মদিন পালন নয়, ‘We Want Justice’ পোস্টার হাতে রাস্তায় মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস

ঈরণ রায় বর্মন, কলকাতা: ১৮ অগাস্ট ২০২৪। বাংলার ফুটবল ইতিহাসে এই দিনটা লেখা থাকবে আজীবন। ডার্বি বাতিল। তবুও যুবভারতীর পথে লাল-হলুদ এবং সবুজ-মেরুন সমর্থকরা। চিরাচরিত ইলিশ-চিংড়ি লড়াই ভুলে ইস্ট-মোহন এবার একজোট। ‘‘দুই গ্যালারির এক স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর।’’ এই স্লোগানে মুখরিত হল বাইপাস।‌

দুই চিরশত্রু দলের সমর্থকদের মুখে স্লোগান উঠল ‘‘ঘটি-বাঙাল ভাই ভাই। আরজি করের বিচার চাই।’’ ফুটবলপ্রেমীদের চার ঘণ্টার বেশি প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বাড়তি মাত্রা যোগ করল মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বোসের উপস্থিতি। জীবনের নিজের অন্যতম সেরা দিনের আনন্দ বাদ দিয়ে প্রতিবাদে হাজির হলেন বাগান নেতা। রবিবার অর্থাৎ ১৮ অগাস্ট ছিল শুভাশিসের জন্মদিন। তবে নিজের জন্মদিনের আরম্ভর বাদ দিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই স্ত্রী কস্তুরীকে নিয়ে যুবভারতী সংলগ্ন কাদাপাড়ায় উপস্থিত শুভাশিস।‌

আরও পড়ুন- রাশিফল ১৯ অগাস্ট: দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

লাল হলুদ, সবুজ মেরুন সমর্থকদের করতালিতে মুখরিত হল শুভাশিসের উপস্থিতি। প্রতিবাদে যোগ দিয়েই শুভাশিসের মুখে স্লোগান, উই ওয়ান্ট জাস্টিস। কঠোর শাস্তি চাই দোষীদের। আসলে নিজের জন্মদিন হলেও রবিবার ফুটবলপ্রেমীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখে ঘরে বসে থাকতে পারেননি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট অধিনায়ক শুভাশিস বোস। তিনি সস্ত্রীক পথে নেমে দাবি তুললেন, আরজি কর কাণ্ডের ঘটনায় ন্যায়বিচারের।

আরও পড়ুন– ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ ফাস্ট ফুড রেস্তোরাঁয়! চেখে দেখলেন খাবারও! নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়লেন নাইজেরিয়ান যুবক

পথে নেমে বাগান অধিনায়ককে প্রতিবাদ করতে দেখে তিন প্রধানের সমর্থকরাই এ জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। রবিবার প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শুভাশিসের এক হাতে ছিল পোস্টার অন্য হাতে জাতীয় পতাকা। নিউজ18 বাংলার মুখোমুখি হয়ে শুভাশিস বলেন, ‘‘একজন নাগরিক হিসেবে পথে নেমেছি। এটা আমার কর্তব্য মনে হয়েছে। এই মক্কারজনক ঘটনা যারা করেছে তারা উপযুক্ত শাস্তি পাক সেটাই চাই। আর একটা কথা বলতে চাই কলকাতার রাস্তায় মেয়েরা যদি বেরোতে ভয় পায় কিংবা একা যদি বের হতে না পারে তাহলে আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। নারী সুরক্ষা সুরক্ষিত করতেই হবে।’’ শুভাশিস আরও বলেন, ‘‘আমরা ম্যাচ খেলতে পছন্দ করি। ম্যাচ বাতিল হলে ভাল লাগে না। কেন ম্যাচ বাতিল করা হল তা পুলিশ ও প্রশাসনের ব্যাপার। কিন্তু আরজি কর হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে তার ন্যায়বিচার চাই। সেই কারণে পথে নেমেছি।’’

পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শুভাশিসের স্ত্রী কস্তুরী ছেত্রী বলেন, ‘‘একটাই কথা বলব উই ওয়ান্ট জাস্টিস। আমরা বিচার চাইতেই পথে নেমেছি।’’ প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় স্ত্রী কস্তুরীকে নিয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগান অধিনায়ক। নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্ট করেন তিনি। সঙ্গে প্রতিবাদে রাস্তায় নামার ছবিও দেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময় নিজেদের বিশেষ মুহূর্তের ছবি শুভাশিস করলেও এদিন জন্মদিনের কোন ছবি পোস্ট করেননি। আসলে নিজের ২৯ বছর বয়সে জন্মদিনটা ব্যতিক্রমী রাখতে চেয়েছিলেন শুভাশিস।

RG Kar Doctor Murder Case: আরজি কর কাণ্ডে সরব এবার হরভজন সিং, বাংলার সরকার ও সিবিআইকে দিলেন খোলা চিঠি

আরজি কর কাণ্ড ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। মহিলা ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রতিবাদ ও আন্দোলনের আঁচ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব হচ্ছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা. এবার আরদি কাণ্ডে বিচারের দাবিতে সরব হলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার হরভজন সিং।

ঘটনার নিন্দা করার পাশাপাশি দ্রুত বিচারের আর্জি জানিয়েছেন হরভজন সিং। সাত দিনের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও কেন এখনও বিচার হল না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারকা অফ স্পিনার। আরজি কর কাণ্ড নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং সিবিআইকে চিঠি লিখেছেন ভাজ্জি। দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শেষ করার দাবি জানিয়েছেন আপ সাংসদ।

নিজের ইনস্টাগ্রামে খোলা চিঠিতে হরভজন সিং লিখেছেন,”মেডিক্যাল কলেজের মত জায়গায় যেখানে মানুষের প্রাণ বাঁচানো হয়, সেখানে কেন নিরাপদ থাকবেন না একজন মহিলা ডাক্তার। প্রশাসন কেন তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে পারল না? পরিস্থিতি এমন হলে কীভাবে ডাক্তাররা সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাবেন? ঘটনার দ্রুত বিচার চাই।”

আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: বলুন তো, কোন প্রাণীর ঘামের রং গোলাপি? উত্তর অজানা ৯৯ শতাংশের

প্রসঙ্গত, শুধু হরভজন সিং নয়। আরজি করের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন জশপ্রীত বুমরাহ, ঋদ্ধিমান সাহা, মহম্মদ সিরাজ সহ একাধিক বর্তমান ও প্রাক্তন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। সকলের একটাই দাবি। দ্রুত বিচার হোক আরজি কর কাণ্ডের। কঠোরতম শাস্তি পাক ঘটনায় মূল দোষী বা দোষীরা।

Supreme Court: গোটা দেশের নজরে, আরজি কর কাণ্ডে এবার স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল সুপ্রিম কোর্ট!

কলকাতা: আরজি কর মামলা এবার বড় মোড় নিল। বাংলার এই মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে। কোনও আবদেন নয়, বরং স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আরজি কর মামলা গ্রহণ করল। আগামী মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই মামলাটি শুনবে। জানা গিয়েছে, আগামী ২০ অগাস্ট রয়েছে শুনানি।

কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ ও অন্যান্যদের বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সমস্ত রাজ্য পুলিশ বাহিনীকে প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর পরিস্থিতির রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই আন্দোলন এখন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বস্তরে।

রাজ্যকে পাঠানো চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে। গত ৯ অগাস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে।

এই ঘটনায় পরের দিন কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। এরপরেই কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়।

RG Kar Victim Father Mother: ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রতিবাদ রোধের চেষ্টা করছেন!’ সমালোচনায় RG Kar নির্যাতিতার বাবা-মা

সুবীর দে,পানিহাটি: এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ করলেন আরজি করের নির্যাতিতা ডাক্তারি ছাত্রীর বাবা-মা। প্রতিবাদ আন্দোলন ঘিরে পুলিশি ভূমিকার সমালোচনা করে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুললেন নির্যাতিতা ডাক্তারী ছাত্রীর বাবা-মা।

নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা বলেন, ”মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত কথা বলছেন। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন। বলছেন বিচার চাই। আবার তিনি আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। উনি কি সাধারণ মানুষকে ভয় পাচ্ছেন? উনি কেন দ্বিচারিতা করছেন? যারা মুক্তকণ্ঠে এই ঘটনার প্রতিবাদ করছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাদের কণ্ঠকে রোধ করার চেষ্টা করছেন।”

আরও পড়ুন: কিছু লুকোচ্ছেন সন্দীপ ঘোষ? বয়ানে কী কী সন্দেহজনক? গভীর রাতে বৈঠকে সিবিআই

এদিকে, নির্যাতিতা ছাত্রীর মা বলেন, ”আমরা রাজ্য ও দেশবাসীকে একটাই বার্তা দিতে চাই। আমরা তাদের সঙ্গে সবসময় আছি। যারা এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী নিচ্ছেন, তারা সেগুলো নেওয়ার আগে তাদের লক্ষ্মী সুরক্ষিত কিনা, একবার ভাববেন।”

R G Kar Case: পুলিশ কমিশনারকে করা হোক ‘জিজ্ঞাসাবাদ’! এবার সুখেন্দু শেখরের মন্তব্যে সায় বিজেপির দিলীপ-শমীকের

কলকাতা: ‘প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা অবশ্য প্রয়োজনীয়’। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের এ হেন পোস্ট ঘিরে রীতিমতো উত্তাল রাজ্য রাজনীতি৷ দলের সাংসদের এই পোস্ট নিয়ে ইতিমধ্যেই উষ্মাপ্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ৷ অন্যদিকে, সাংসদের এই মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার৷ এবার তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যের পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ এবং শমীক ভট্টাচার্যও।

দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই আত্মহত্যার তত্ত্ব খাড়া করতে চাইছিল পুলিশ। আগে পুলিশ কমিশনারকে সাসপেন্ড করে তাঁর ইউনিফর্ম কেড়ে নেওয়া উচিত। তারপর সিবিআই যা করবে করবে।’’

আরও পড়ুন: এবার সুখেন্দু শেখরকেই তলব লালবাজারে! তৃণমূল সাংসদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে তুমুল শোরগোল

অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের যোগসাজসেই আরজি কর কাণ্ডের ঘটনাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল পুলিশ। আমরা প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করা হোক। সুখেন্দু শেখর রায় আমাদের ভিন্ন রাজনৈতিক অবস্থানের একজন মানুষ। তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির একজন নেতা। তাঁর দাবিকে স্বাগত জানাচ্ছি। এটাই হচ্ছে এখন একমাত্র পথ। কারণ, প্রয়োজনীয় তথ্য লোপাট করে দিয়েছে পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মিলে। তাই সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি পুলিশ কমিশনারকে হেফাজতে নিয়েও সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া চালানো এই মুহূর্তে অত্যন্ত প্রয়োজন।’’

আরও পড়ুন: আর জি কর নিয়ে বিস্ফোরক পোস্ট সুখেন্দু শেখরের! সমর্থন সুকান্তর…পাল্টা মন্তব্য কুণালের

এদিনের পোস্টে সুখেন্দু শেখর লিখেছিলেন, ‘সিবিআইয়ের উচিত স্বচ্ছ ভাবে কাজ করা৷ প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং পুলিশ কমিশনারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে অবশ্যই জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত৷ জানতে হবে কে আত্মহত্যার কাহিনিটা হাওয়ায় ভাসিয়েছিল৷ কেন দেওয়াল ভাঙা হয়েছিল, কোন প্রভাবশালীর প্রভাবে রাইয়ের এত দৌরাত্ম্য ছিল৷ কেন ঘটনার ৩ দিন পরে স্নিফার ডগ ব্যবহার করা হয়৷ এরকম আরও ১০০টা প্রশ্ন আছে৷ ওদের কথা বলাতেই হবে’৷

অন্যদিকে, সুখেন্দু শেখর রায়ের পুলিশ কমিশনার নিয়ে এই মন্তব্যের পাল্টা ব্যাখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তিনি উল্লেখ করেছেন, পুলিশ যথাযথ তদন্ত করেছে। দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন পুলিশ কমিশনার। তাই সুখেন্দু শেখর রায়ের মতো সিনিয়র নেতার থেকে এই মন্তব্য বর্তমান পরিস্থিতিতে কাম্য নয়।

সূত্রের খবর, সুখেন্দু শেখর রায়ের স্নিফার ডগ সংক্রান্ত তথ্য নিয়েই লালবাজারে তলব করা হয়েছে তাঁকে৷ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নিফার ডগ ঘটনাস্থলে যাওয়া নিয়ে ‘ভুল তথ্য’ দিয়ে পোস্ট করেছিলেন উনি। স্নিফার ডগ ৯ অগাস্ট অর্থাৎ, ঘটনার পরের দিনই ও ১২ অগাস্ট পাঠানো হয়েছিল তদন্তের জন্য। সেই কারণে, সাংসদকে u/s 35(1) BNS নোটিস পাঠানো হয়েছে৷

CBI: কিছু লুকোচ্ছেন সন্দীপ ঘোষ? বয়ানে কী কী সন্দেহজনক? গভীর রাতে বৈঠকে সিবিআই

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে তিন দিন অতিক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা দিল্লির সিবিআই টিমের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে জানা গিয়েছে। সেই বৈঠকে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে ধোঁয়াশার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।

আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বয়ানে অসঙ্গতি ও ধোঁয়াশা রয়েছে বলে খবর। আরজি করের ঘটনায় অভিযুক্তকে আড়ালের চেষ্টা করেছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ? এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে চারিদিকে। আর সেই সূত্রেই তদন্তের গতিপ্রকৃতি, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে বৈঠক চলে শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের জের, রাজ্যগুলিকে বড় নির্দেশ দিল কেন্দ্র! দু’ঘণ্টা অন্তর রিপোর্ট

গত দুদিনের মতো রবিবারও তৃতীয়বার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলছে সন্দীপকে। দিল্লির সিবিআই টিমের সঙ্গে কলকাতার স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের অধিকারীকদের মধ্যে হয় সেই বৈঠক। এই ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা সংশয়পূর্ণ বলে মনে করছে সিবিআই।

Central Government: আরজি কর কাণ্ডের জের, রাজ্যগুলিকে বড় নির্দেশ দিল কেন্দ্র! দু’ঘণ্টা অন্তর রিপোর্ট

কলকাতা: আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে তাদের আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কে তথ্য দিতে বলল কেন্দ্র। দু’ঘণ্টা অন্তর সেই রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠাতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি হয়েছে।

রাজ্য প্রশাসনকে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে নোটিসে জানানো হয়েছে। ইমেল, ফ্যাক্স বা হোয়াট্‌সঅ্যাপের মাধ্যমে রিপোর্ট দিতে পারবে রাজ্য। রিপোর্ট যাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কন্ট্রোল রুমে। শুধু তা-ই নয়, যদি কোনও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে তবে তৎক্ষণাৎ তা কেন্দ্রকে জানাতে হবে।

আরও পড়ুন: সাত বছর! এমন প্রাণীর কথা কখনও শোনেননি, বিজ্ঞানীরাও চমকে উঠছেন! জেনে আঁতকে উঠবেন

কেন্দ্রের কাছে রাজ্যগুলির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে যাতে সব রকম তথ্য থাকে, সেই কারণেই এই নির্দেশ বলে জানানো হয়েছে। গত ১৬ অগস্ট রাজ্যগুলির কাছে এসে পৌঁছেছে এই বার্তা।

RG Kar Case: ‘মনে হচ্ছে ভগবান মুখ ফিরিয়েছেন…!’ চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে ভয়ে তটস্থ রোগীরা

আসানসোল: বাড়ি ফিরে যেতে যেতে এক রোগী কাতর সুরে বলেই ফেললেন, “মনে হচ্ছে ভগবান মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন আর বোধহয় রক্ষে নেই। আসলে ভগবানের উপরই যদি হামলা হয়, তাহলে তো এমনটা হওয়ারই ছিল। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চলছে চিকিৎসকদের প্রতিবাদ, কর্মবিরতি। আর তাতেই আশঙ্কার কালো মেঘ দেখছেন রোগীরা।”

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে শনিবার দেশ জুড়ে কর্মবিরতি রেখেছিলেন চিকিৎসকরা। বন্ধ রাখা হয়েছিল আউটডোর পরিষেবা। যার ফলে হাসপাতালে এসেও চিকিৎসা পাননি বহু রোগী। বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে হতাশ হয়ে। সমাজ বলে, চিকিৎসকরা ভগবানের দ্বিতীয় রূপ। আর তাদের কর্মবিরতির ফলে রীতিমতো ভয় পাচ্ছেন রোগীরা। রোগীর পরিবারের আত্মীয়-স্বজনরা। অসুস্থতায় চিকিৎসকের সাহায্য না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা।

চিকিৎসকদের কর্মবিরতির এই ছাপ খুব স্পষ্টভাবেই পড়েছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে। জেলা হাসপাতালে বন্ধ রয়েছে আউটডোর পরিষেবা। আউটডোর কার্যত খাঁ-খাঁ করছে। তবে রোগীদের স্বার্থে এমার্জেন্সি বিভাগ চালু রাখা হয়েছে। সেখানে রয়েছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা নিয়ে বহির্বিবিভাগে আসা রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আর ভগবানের এমন রূপ দেখে রোগীরা রীতিমতভয় পেয়েছেন।

অনেকেই বলছেন,  বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলেই তাঁদের ভয় লাগছে। কেউ অসুস্থ হলে কী ভাবে চিকিৎসা করানো যাবে, ঠিকঠাক মতো চিকিৎসা পাওয়া যাবে কি না, এইসব ভেবে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। চিকিৎসা ক্ষেত্রে চলা এই অস্থিরতা রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে সাধারণ মানুষকে। আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে যেভাবে চিকিৎসকরা সরব হয়েছেন, তাতে সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা। তাই সকলেই বলছেন, যত দ্রুত সম্ভব আরজি.কর কাণ্ডে কড়া শাস্তি দেওয়া হোক। তাহলেই স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি। কাটবে অস্থিরতা।

নয়ন ঘোষ

RG Kar Case: কার ঘরে থাকতেন সঞ্জয়? সেই রাতে কি ফোনে কথা কারও সঙ্গে? যা জানতে পারল সিবিআই…

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রাই ঘনিষ্ঠ এক এএসআই-এর বয়ান রেকর্ড করল সিবিআই। সূত্রের খবর, ফোর্থ ব্যাটেলিয়নে ওই পুলিশ কর্মীর ঘরেই থাকতেন সঞ্জয়। ঘটনার আগে ও পরে সঞ্জয়ের গতিবিধি ও বডি ল্যাঙ্গোয়েজ জানতেই ওই পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।

কী ভাবে একজন সিভিক হয়ে ব্যাটেলিয়নের ব্যারাকে থাকার অনুমতি পেয়েছিলেন সঞ্জয়? খোঁজ নিয়েছে সিবিআই। কেন ওই পুলিশ কর্মী অভিযুক্তকে ঘরে থাকতে দিয়েছিলেন? তাও জানতে চেয়েছে সিবিআই। ঘটনার আগে ও পরে সঞ্জয়ের সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মীর সাক্ষাৎ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। সেক্ষেত্রে দুজনের ফোনে কথা হয়েছিল কিনা, কল ডিটেলস রেকর্ড থেকে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: এখনও খুলল না আরজি কর রহস্যের জট, সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! তলব জবাবও

এদিকে, আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত সঞ্জয়ের মনস্তত্ব পরীক্ষা করতে দিল্লি থেকে কলকাতায় সিবিআইয়ের বিশেষ দল। সূত্রের খবর, অভিযুক্তের মনস্তত্ব জানতে চায় সিবিআই, তাই এই বিশেষ দলকে আনা হচ্ছে। এই বিশেষ দল কলকাতায় এসে সঞ্জয়ের ব্যবহার এবং অভ্যাস পরীক্ষা করবে এবং সেই সঙ্গে পরীক্ষা করবে সঞ্জয়ের মনস্তত্ব।

সিবিআই সূত্রে খবর, আরজি করের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে সঞ্জয় ছাড়াও, আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে নির্যাতিতার সহকর্মী, সেই দিন দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদেরও। ঘটনার তদন্ত করতে শনিবার সঞ্জয়কে নিয়ে তার নিজের বাড়ি এবং পুলিশের ব্যারাকেও গিয়েছিল সিবিআই। এবার দিল্লি থেকে মনস্তস্ববিদদের একটি দলকে আনা হচ্ছে।

আরজি কর হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার এক দিনের মধ্যেই গ্রেফতার হয় আরজি কর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত। আরজি করের নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট ছিল যে, নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসককে। তাই সঞ্জয়ের কোনও মানসিক বিকৃতি আছে কি না তাও মনস্তত্ববিদরা খুঁজে বার করতে পারেন বলে মত বিশষজ্ঞদের।

Sandip Ghosh: এখনও খুলল না আরজি কর রহস্যের জট, সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! তলব জবাবও

কলকাতা: আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষকে এবার West Bengal Orthopedic Association থেকে অপসারণ করা হল। সিবিআই তদন্ত শেষ হয়ে নির্দোষ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত এই সংগঠনের ব্যানারে কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। গোটা ঘটনা নিয়ে তার জবাব তলব করেছে সংগঠন।

এদিকে, শনিবার প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা পর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের সদ্য প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ সিবিআই দফতরে যান সন্দীপ। এরপর সেই রাত সওয়া ১১টা নাগাদ সন্দীপ সিজিও থেকে বেরোন। শনিবার সকালে সন্দীপ ছাড়াও কলকাতা পুলিশের তিন কর্মীও সিজিওতে গিয়েছিলেন। সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবার সকালে সন্দীপকে আবার ডাকা হয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে।

আরও পড়ুন: শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় সহ আরজি কর চত্বরে নিষিদ্ধ মিটিং, মিছিল! নির্দেশিকা জারি পুলিশের

সূত্রের খবর, সন্দীপকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোন অবস্থায়, কীভাবে মিলেছিল ধর্ষিতা ও খুন হওয়া চিকিৎসকের দেহ? পুলিশ যাওয়ার আগে দেহ কি কারও নির্দেশে মৃত চিকিৎসকের পরিবারের কাছে আত্মহত্যার কথা দাবি করেছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার? ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট দেখেছেন সন্দীপ ঘোষ? এর আগে ঘটনার রাতে কে কোথায় ছিল, তা জানতে আরজি করের রেজিস্টারও বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সেদিন ডিউটিতে থাকা স্টাফদের সঙ্গেও কথা বলেছে সিবিআই অফিসাররা।