Tag Archives: Tiger

Bonbibi Puja: বাঘের ডেরায় বনবিবির আরাধনা, ভোগে দেওয়া হল জ্যান্ত মোরগ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাঘের ডেরায় হল বনবিবির পুজো! সুন্দরবন ও তার বাসিন্দাদের রক্ষাকর্তা বলে ধরা হয় এই বনবিবিকে। তাঁর‌ই আরাধনা উপলক্ষে ভোগে দেওয়া হল জ্যান্ত মোরগ।

কুলতলির মৈপীঠে জঙ্গলের মধ্যে গত ৬৫ বছর ধরে হয়ে আসছে বনবিবির এই আরাধনা। তিনদিন ধরে এলাকায় চলবে উৎসব। এই পুজোকে ঘিরে লাখো মানুষের ঢল নামে। পুজো দিতে নৌকা করে ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গলের পথে রওনা দেন দর্শনার্থীরা। এই কটা দিন ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। ঝুঁকি নিয়েই নির্ধারিত সংখ্যার থেকে বেশি যাত্রীকে নৌকায় তুলে বনবিবির পুজোয় নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: মহিলার তলপেট থেকে বেরোল ৩ কেজির টিউমার! নজির গড়ল মফস্বলের হাসপাতাল

এই প্রসঙ্গে কুলতলির যুগ্ম বিডিও সৌরভ দাশগুপ্ত বলেন, এই মেলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। আমরা সতর্ক আছি যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে। তবে আগামিদিনে এই মেলার জন্য আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য মৈপীঠের প্রত্যন্ত গ্রাম নগেনাবাদ। নদীতে মাছ-কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় জীবন চলে গিয়েছে অনেকের। বাঘের দেবতা হল বনবিবি। মৎস্যজীবিদের কথায়, এই বনবিবিকে পুজোয় সন্তুষ্ট করতে পারলে বাঘের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

বনবিবিকে সন্তুষ্ট করতে পুজো উপলক্ষে জীবিত মোরগ জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। আজমলমারি জঙ্গলে বনবিবির পুজো হয়। বাঘের খাদ্য হিসেবেই জীবিত মোরগকে জঙ্গলে ছাড়া হয়।

সুমন সাহা

Fisherman Death: বাঘের আক্রমণে নয়, নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে অন্য কারণে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীর মৃত্যু

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের বাঘের পেটে যাওয়াটা কোন‌ও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু এবার আর বাঘের আক্রমণে নয়, মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে তলিয়ে মৃত্যু হল এখানকার এক তরুণ মৎস্যজীবীর। মৃত ব্যক্তির নাম সালাউদ্দিন লস্কর (১৮)।

মর্মান্ত ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত চরাবিদ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমড়োখালি কাছারিপাড়া গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে করে নিয়ে যায়। নিয়মমাফিক ওই মৎস্যজীবীর দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: জেলার মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে আর শিলিগুড়ি ছুটতে হবে না

প্রতিবেশীদের থেকে জানা গিয়েছে, এদিন বাড়ির অদূরে নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন সালাউদ্দিন। নদীতে পাতা জাল তুলতে গিয়ে কোন‌ওভাবে জলের টানে ভেসে যান। বেশ কিছুক্ষণ নিখোঁজ থাকার পর গ্রামের বাকিরা বিষয়টি টের পান। এরপর তাঁরা ছুটে আসেন নদীর ধারে। তারপর নদীতে নেমে বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি চলে।

প্রায় ছয় ঘণ্টা পর খোঁজ মেলে সালাউদ্দিনের। ততক্ষণে সব শেষ হয়ে গেছে। এত কম বয়সী এক তরুণের মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কেউ। পরিজনদের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও শোকে ভেঙে পড়েছেন। এদিকে ঠিক কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা জানার জন্য তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সুমন সাহা

Calcutta High Court: টেনে নিয়ে গিয়েছিল বাঘ, মৃতদের পরিবারকে চার সপ্তাহের মধ্যে পাঁচ লাখ করে ক্ষতিপূরণ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাঘের আক্রমণে মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ হাইকোর্টের। চার সপ্তাহের মধ্যে সুন্দরবনের মৃত দুই মৎস্যজীবীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ৫ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে।

নিয়ম অনুযায়ী বৈধভাবে মাছ ধরতে গিয়ে বা মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে সুন্দরবনে বাঘের হানায় মৎস্যজীবীদের মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা। কুলতলির বাসিন্দা দুই মৃত মৎস্যজীবীর পরিবার‌ও ক্ষতিপূরণের জন্য বারবার প্রশাসনের কাছে দরবার করে। কিন্তু তা না মেলায় অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন তাঁরা। সেই মামলার শুনানি শেষে রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নির্দেশ দেন, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে দুই মৃত মৎস্যজীবের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে।

আরও পড়ুন: আসানসোলে শত্রুঘ্ন’র প্রচারে চমক

২০২২ সালের নভেম্বর মাসে জঙ্গলে মাছ-কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছিল কুলতলির কাঁটামারির বাসিন্দা দিলীপ সর্দারের। দিলীপের স্ত্রী শেফালি সর্দার জানান, বন দফতরের বৈধ অনুমতি নিয়েই জঙ্গলে গিয়েছিলেন দিলীপ। কিন্তু বন দফতর-সহ সমস্ত সরকারি দফতরে আবেদন নিবেদন করেও ক্ষতিপূরণ মেলেনি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। মৈপিঠের বাসিন্দা অমল দণ্ডপাঠকে বাঘে আক্রমণ করেছিল ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর। গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দিন দু’য়েক পর ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি তিনি প্রয়াত হন। স্ত্রী তপতীর দাবি, অমলও বৈধ অনুমতিপত্র নিয়েই জঙ্গলে ঢুকেছিলেন। তবু ক্ষতিপূরণ দিতে গড়িমসি করে প্রশাসন।

মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় বাঘে আক্রান্ত পরিবারগুলির অধিকার নিয়ে কাজ করছে। এর আগে এপিডিআর-এর উদ্যোগেই কুলতলির বাসিন্দা শান্তিবালা নস্কর স্বামী লখিন্দর নস্করের মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতে গিয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে ক্ষতিপূরণ পান শান্তিবালা। এবারও এপিডিআর-এর উদ্যোগেই গত সপ্তাহে আদালতের দ্বারস্থ হন শেফালি, তপতীরা। আবেদনকারীদের তরফে আইনজীবী ছিলেন কৌশিক গুপ্ত এবং শ্রীময়ী মুখোপাধ্যায়। শ্রীময়ী বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে দুই পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রত্যন্ত এলাকার এইসব মানুষজন আগে আদালত পর্যন্ত পৌঁছতে পারতেন না। এখন আসছেন। ফলে বিচারও পাচ্ছেন। এপিডিআর-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সহ সম্পাদক মিঠুন মণ্ডল বলেন, নানা অজুহাতে এদের ক্ষতিপূরণ আটকে রাখে প্রশাসন। ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয় পরিবারগুলি। আমরা চাই, কোনও গড়িমসি না করে বাঘের আক্রমণে মৃত ও জখম প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।

সুমন সাহা

Kaziranga National Park: ঘুরতে গিয়ে বাঘ দেখার নিশ্চয়তা চান? ট্যুর প্ল্যানে থাকুক কাজিরাঙা

নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশ-বিদেশের পশুপ্রেমী ও পর্যটকরা বিখ্যাত একশৃঙ্গ গন্ডার দেখার জন্য এতদিন কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানে ছুটে যেতেন। অসমের এই জাতীয় অরণ্য সত্যিই তার বৈশিষ্ট্যের জন্য অনন্য। কিন্তু শুনলে অবাক হবেন এখন গন্ডারের পাশাপাশি বাঘ দেখার জন্যও প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক ছুটে যাচ্ছেন কাজিরাঙায়।

কিছু বছর আগেও কাজিরাঙায় সেভাবে বাঘের দেখা পাওয়া যেত না। কিন্তু গত কয়েক বছরে বিষয়টা সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। এখন সেখানে যথেষ্ট মাত্রায় বাঘের দর্শন পাওয়া যাচ্ছে। পর্যটকরা কাজিরাঙায় ঘুরতে গেলেই বাঘের দর্শন পাবেন এটা প্রায় নিয়ম হয়ে উঠেছে। তার ফলে ক্রমশই পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে।

আর‌ও পড়ুন: ‘গাছতলার বিহু’ দেখেছেন? অসমের মাত্র দুটি জেলায় জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান এবং টাইগার রিজার্ভ সদ্য শেষ হওয়া আর্থিক বছরে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক পেয়েছে। অতীতের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে সবচেয়ে বেশি দেশি ও বিদেশি পর্যটক গিয়েছিল। মোট ১২ হাজার ৬৯৭ জন পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। আর তার হাত ধরে কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষের বছরে আয় বেড়েছে ৪৭ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬৭৮ টাকা। আপনার যদি বাঘ দেখার শখ থাকে তবে সুন্দরবনের পাশাপাশি কাজিরাঙাকেও তালিকায় রাখতে পারেন, নিরাশ হবেন না।

Wild Animals in Heatwave: জ্বলন্ত গরমে হাঁসফাঁস করছে বন্যপ্রাণীরাও! স্নান করানো, ফ্যান চালানো, বিশেষ বন্দোবস্ত টাইগার রেসকিউ সেন্টারে

ঝড়খালি: তাপপ্রবাহের কবলে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। মানুষের পাশাপাশি হাসফাঁস করছে বন্যপ্রাণ। শরীর ঠান্ডা রাখতে ঝড়খালি টাইগার রেসকিউ সেন্টারে দু’বেলা স্নান করানো হচ্ছে বাঘেদের। খাঁচার সামনে বসানো হয়েছে স্ট্যান্ড ফ্যান। দেওয়া হচ্ছে ওআরএস ও ভিটামিন সি ট্যাবলেট।

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এই সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত জল ঘাম হয়ে বের হয়। এদের শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে মানুষের শরীরে হাজারও সমস্যা দেখা দেয়।

আরও পড়ুন: সোমবারই আবহাওয়ায় বদল! উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রবেশ, বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যে স্বস্তির বৃষ্টি

দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বুধবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। এ দিন এমনই সাবধানবাণী শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর৷ মানুষের মতো বন্যপ্রাণীদের শরীরেও সমস্যা দেখা দেয়। ঝড়খালি টাইগার রেসকিউ সেন্টারে তাই জন্তুজানোয়ারের যত্ন নেওয়া হচ্ছে যতটা সম্ভব। গরমের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে ক্রমাগত।

Royal Bengal Tiger: স্ট্যান্ড ফ্যান-ওআরএস-বাথটবে ‘রয়্যাল’ আয়োজন রয়্যাল বেঙ্গলদের জন্য

দক্ষিণ ২৪ পরগনার: রয়্যাল বেঙ্গলদের গরমের হাত থেকে বাঁচতে রয়েল আয়োজন সুন্দরবনের ঝড়খালিতে। কী নেই সেখানে! গত কয়েকদিনের প্রচন্ড গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এই চাঁদিফাটা গরমে হাঁসফাঁস করছে পশুরাও। কাহিল হয়ে পড়েছে সুন্দরবনের রাজা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’ও। তাই তাদের শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ আয়োজন বন দফতরের।

এই গরমের দাবদাহ থেকে বাঁচতে নানা ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ঝাড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে বর্তমানে তিনটি বাঘ আছে। তারা যাতে এই গরমে কোন‌ওভাবেই গরমে কষ্ট না পায় সে জন্য পশু চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী নানা আয়োজন করা হয়েছে। এই গরমে যাতে এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকা বাঘেরা কোন‌ওভাবে কষ্ট না পায় সেই কারণে দু’বেলা দীর্ঘক্ষণ ধরে পাইপের মাধ্যমে জল ছিটিয়ে তাদের স্নান করানো হচ্ছে। পাশাপাশি ভিটামিন-সি ট্যাবলেট এবং ওআরএস জলেগুলে খাওয়ানো হচ্ছে এই এখানকার বাঘেদের।

আর‌ও পড়ুন: দুই বোনের সে কী ঝগড়া! গম্ভীরা উৎসবেই শুধু এক হন চামুন্ডা ও বুড়াকালী

অন্যদিকে ২৪ ঘণ্টাই বাঘেদের খাঁচার সামনে বিশালাকার স্ট্যান্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছারাও বাঘেদের এনক্লোজারের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে বাথটাব। এবার আরও নতুন তিনটি বাথ টাব তৈরি করা হচ্ছে বাঘেদের জন্য। এছাড়াও প্রাকৃতিক পুকুর রয়েছে বাঘেদের স্নানের জন্য। এনক্লোজারের মধ্যে ছায়ার ব্যবস্থা করতে ছাউনিও করা হয়েছে। বাঘেদের খাঁচার মধ্যে বড় বড় পাত্রে জল রাখা হয়েছে যাতে নিজেদের প্রয়োজন মত সেই জল খেতে পারে বাঘ। বাঘেদের শরীরকে শীতল রাখতে এই সমস্ত ব্যবস্থা করা হলেও তাঁদের খাবারের মেনুতে আপাতত অন্য কোনও পরিবর্তন করা হয়নি বলেই বন দফতর সূত্রের খবর। তবে দু’বেলাই বাঘেদের খাঁচাগুলিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখছেন সেখানকার কর্মীরা।

সুমন সাহা

Tiger Attack Video: সুন্দরবনে বাঘের মুখ থেকে যেভাবে বেঁচে ফিরলেন মৎস্যজীবী

কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক মৎস্যজীবী চিকিৎসকদের লাগাতার প্রচেষ্টায় জীবন ফিরে পেলেন সুন্দরবনের ওই বাসিন্দা। দীর্ঘ চিকিৎসার পর খানিকটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন তিনি ৷

Holi 2024 Trip: ডুয়ার্সে পর্যটকদের বিরাট উপহার! চাইলেই পান করতে পারবেন বাঘের দুধ! দাম কত জানেন?

জলপাইগুড়ি: গরুর দুধ, ছাগলের দুধ, মহিষের দুধ তো অনেক খেলেন। কিন্তু বাঘের দুধ খেয়েছেন কখনও? অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন কার এমন সাধ্যি যে বাঘমামাকে ধরে এনে তার দুধ জোগাড় করবে!এ বার ডুয়ার্সেই মিলবে বাঘের দুধ। ডুয়ার্স বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য রয়েছে নয়া এই আকর্ষণ।

পর্যটকদের বেশ পছন্দের জায়গা ডুয়ার্স। আর ডুয়ার্সে আসা পর্যটকদের জন্য এ বার বাঘের দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করলেন এক পর্যটন ব্যবসায়ী। রীতিমতো বাঘকে দুইয়ে দুধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা? বিশ্বাস হচ্ছে না… কিন্তু এ রকম ব্যবস্থাই করা হয়েছে ডুয়ার্সের পরিচিত পর্যটন কেন্দ্র ডুয়ার্স ফান সিটি অর্থাৎ উল্টোঘরে।

আরও পড়ুনঃ ব্রেকফাস্ট বা লাঞ্চে রাখুন ‘এই’ খাবার, ওজন ঝরে দোলের আগেই চাবুক চেহারা! সপ্তাহে ৫দিন খান

বানারহাট থানার নাগরাকাটা সংলগ্ন এলাকায় বেশ জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই উলটো ঘর। এখানে একটি পুতুল আকারে বড়ো বাঘ তৈরি করা হয়েছে। আর সেই বাঘের দুধ দোয়ানোর পরে দুধ পান করা যাবে। মূলত, নজেলের মাধ্যমেই কৃত্রিম উপায়ে দুগ্ধ নিষ্কাশনের এই ব্যবস্থা করা হয়েছে পর্যটকদের আনন্দদানের জন্য। অনেককেই বাঘ দুইয়ে দুধ পান করতে দেখা গেল। আর এই ধরনের ব্যবস্থা দেখে খুশি পর্যটকরা।

আরও পড়ুনঃ রোজ রোজ এই ভুল করছেন নাকি? বিরাট ক্ষতি হচ্ছে কিডনির! চিকিৎসকের কথায় শিউরে উঠবেন

পর্যটকরা জানিয়েছেন, এ ধরনের বাঘ এবং বাঘ দুইয়ে দুধ পান করার বিষয় কোথাও দেখা যায় না। তা ছাড়া, এই উল্টাঘরে সময় কাটানোর মতো অনেক ব্যবস্থা রয়েছে। এ বিষয়ে ডুয়ার্স ফান সিটির কর্ণধার শেখ জিয়াউর রহমান বলেন, “পর্যটকদের ভাল লাগার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা ছাড়াও পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য একাধিক ব্যবস্থা রয়েছে। ডুয়ার্সে এসে এই বাঘের দুধ খাওয়ায় মজেছে বহু পর্যটক। সকলেই মজা বেশ উপভোগ করছেন এখানে এসে।

সুরজিৎ দে

Tiger Attack Video: সুন্দরবনে বাঘের মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন মৎস্যজীবী, তাঁর মুখেই শুনুন সেই অভিজ্ঞতা

কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক মৎস্যজীবী চিকিৎসকদের লাগাতার প্রচেষ্টায় জীবন ফিরে পেলেন সুন্দরবনের ওই বাসিন্দা। দীর্ঘ চিকিৎসার পর খানিকটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন তিনি ৷

Photography Exhibition: বাঘকে ভালবেসে বাঘের নানা মুহূর্তের ছবি নিয়ে তিনজন ফটোগ্রাফারের প্রদর্শনী! 

কলকাতাঃ ভালবাসার দিনে ডোরাকাটার প্রতি ভালবাসা। ভয়ংকর সুন্দর বাঘ। সেই বাঘের নানা মুহূর্ত নিয়ে ছবির প্রদর্শনী। “striped in love”। শীর্ষক তিনজনের ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী সম্প্রতি হয়ে গেল শহরের এক পাঁচতাঁরা হোটেলে। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ-এর অঙ্গ হিসাবে প্রজেক্ট টাইগার-এর ৫০ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রখ্যাত বন্যপ্রাণ বিশারদ বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী, বন্যপ্রাণ চিত্রগ্রাহক কেতন সেনগুপ্ত এবং কলকাতার একটি রেস্টুরেন্ট চেনের কর্ণধার শিলাদিত্য চৌধুরী দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন জঙ্গলের বাঘেদের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি ক্যামেরার লেন্সবন্দি করেন।

আরও পড়ুনঃ চিকিৎসার বিল মেটাতে হাসপাতালই বাধ‍্য করল লোন নিতে! কড়া ব‍্যবস্থা স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশনের 

কানহা হোক বা বান্ধবগড়, রনথম্ভর থেকে উত্তরাখণ্ডের করবেট,এস অসমের মানস অভয়ারণ্য, সুন্দরবন থেকে মহারাষ্ট্রের তারোবা সর্বত্রই ঘুরে বেড়িয়েছেন এই তিনজন। সেখানকার বাঘেদের নানান অসাধারণ মুহূর্তই ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

বিশ্বের ৭৫ শতাংশ বাঘই ভারতেই। একটা সময় বাঘের সংখ্যা দেশে এতটাই কমে যাচ্ছিল যে বিরল বন্য প্রাণীর তকমা পেতে চলেছিল বাঘ। লাগাতার প্রচার,বনকর্মীদের নিরলস চেষ্টার ফলে বন্যপ্রাণ নিয়ে সচেতনতা বাড়ায় সেই বাঘ এখন সারা দেশে প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি। তবে, বাঘ নিয়ে  যাতে মানুষ আরও সচেতন হয় তার জন্যই এই ছবির প্রদর্শনী। ১৪ই ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজো তথা ভ্যালেন্টাইনস ডের দিন কলকাতার পাঁচতাঁরা ওয়েলকাম আর্ট গ্যালারিতে বাঘের নানা ব্যতিক্রমী মুহূর্তের ছবি নিয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন অভিনেত্রী গার্গী রায়চৌধুরী।

ফটোগ্রাফার,তথা কলকাতার একটি নামী রেস্টুরেন্ট চেনের কর্ণধার শিলাদিত্য চৌধুরী জানান, ‘প্রজেক্ট টাইগার এর অন্তর্ভুক্ত এই ছবি। তবে আমার কাছে পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর প্রাণী এই বাঘ। আর এই বাঘের নানান মুহূর্তকে লেন্স বন্দী করতে নানান কসরত করতে হয়েছে। একইসঙ্গে এই বাঘ যে পরিবেশের পক্ষে কতটা প্রয়োজনীয় সেটাও মাথায় ছিল। এই ফটোগ্রাফি প্রদর্শনী আরও অনেক মানুষের কাছে বাঘের প্রতি ভালবাসা আরও বাড়াবে বলে আশা রাখি।’