নয়াদিল্লি: সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া প্রসঙ্গে দলের অস্বস্তি বাড়ালেন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও।
তিনি ইস্তফা প্রসঙ্গে বলেন, “আমি আর পারছি না। সংসদ পদ থেকে মুক্তি চাই। রাজনীতি ছাড়ছি কিন্তু নীতি ছাড়ব না।” পাশাপাশি কবে সরকারি ভাবে সাংসদ পদ ছাড়বেন তা-ও জানালেন তিনি। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জানালেন, আগামী সপ্তাহেই দিল্লিতে গিয়ে দেবেন ইস্তফা দেবেন জহর সরকার।
আরও পড়ুন: পলিগ্রাফ টেস্টে কী প্রশ্ন করা হয় সঞ্জয়কে? RG Kar মামলার সুপ্রিম শুনানির আগেই ফাঁস
সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম। ‘ইন্ডিয়ার’ শরিক দল তৃণমূলের সাংসদের ইস্তফা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আপনার সিদ্ধান্তে বিস্মিত এবং হতাশ। সংসদে আপনার মতো মানুষ দরকার। আপনি তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। আমি আপনার বিরক্তির কারণ বুঝতে পারছি, আশাকরি আপনি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন”।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই দাম ফাঁস! আইফোন ১৬ সিরিজের মডেল কিনতে কত খরচ হবে জানেন?
রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করে শাসক দলের অস্বস্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিলেন জহর সরকার। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছেন তিনি। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে সুর চড়িয়ে এর আগেই দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। কিন্তু এই প্রথম শাসকদলের কোনও সাংসদ ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।