উত্তর ২৪ পরগনা: স্কুলের মধ্যে ছাতা মাথায় দিয়ে বসে পড়ুয়াদের! সুন্দরবনের দুলদুলি পুকুরিয়া আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দেখা গেল এমনই অবাক দৃশ্য। অবশ্য এটা করা ছাড়া ওই ছোট ছোট পড়ুয়াদের আর কোনও উপায় নেই। কারণ স্কুলের ছাদ থেকে চাঙড় ভেঙে ভেঙে পড়ছে। তাই নিজেদের মাথা বাঁচাতে ছাতা টাঙিয়ে চলছে ক্লাস।
উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বসেই চলে প্রতিদিনের পঠন-পাঠন। স্কুল ভবনের অবস্থা এতটাই খারাপ যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এর আগে বেশ কয়েকদিন ধরেই ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ছে। এদিনও যখন স্কুল চলছিল তখন চাঙড় ভেঙে পড়ে। অল্পের জন্য রক্ষা পায় ছাত্র-ছাত্রীরা। তাই বাধ্য হয়ে ছাতা মাথায় দিয়ে স্কুল করছে ছাত্র-ছাত্রীরা।
আরও পড়ুন: শ্যাওড়া, ঘেটু ও ডুমুর গাছ’ই দেবতা! বুড়ো বাবা আর দেবী মনসার পুজো এখানে মিলেমিশে একাকার
এই পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত অভিভাবকরা জানিয়েছেন, যতদিন না স্কুল ভবনের সংস্কার হচ্ছে ততদিন তাঁরা সন্তানদের আর স্কুলে পাঠাবেন না। স্কুলের এই বেহাল অবস্থা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক রুদ্রপ্রসাদ মণ্ডল। তিনি বলেন, বহুবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।
জলপাইগুড়ি: এবার বর্ষার শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গে চলছে ভারী বর্ষণ। এরই মধ্যে জলপাইগুড়ির বাজারে দেখা মিলল এক অন্যরকমের আধুনিক ছাতার। যে ছাতার তলায় থাকলে নাকি গরমের দিনেও খানিক ঠান্ডা অনুভূত হবে, আবার ভারী বর্ষায় বৃষ্টির জলও গা স্পর্শ করতে পারবে না। তবে এই আধুনিক ছাতা বাজারে আসতেই চাপে পড়ে গিয়েছেন সাধারণ ছাতা ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ছাতা সারাইয়ের কারিগররা।
ঠিক কেমন এই আধুনিক ছাতা? দেখতে আর পাঁচটা সাধারণ ছাতার মতই। আকারে খানিকটা বড়। ছাতা ব্যবসায়ীদের কথায়, এই ছাতার কাপড় বেশ উন্নতমানের। তাই প্রখর রোদেও রোদের তাপ এই ছাতার কাপড় ভেদ করতে পারে না। ফলত গরম কম লাগে। অনেকে মজা করে একে বলেন ‘এসি ছাতা’।
আরও পড়ুন: বাঁধের অংশ তলিয়ে গিয়েছে নদীতে, আতঙ্কের প্রহর গুনছে গ্রামের মানুষ
এই ছাতা ভারী বর্ষণেও বেজায় কাজের। বৃষ্টির জল ছাতা চুঁয়ে চুঁয়ে শরীরে পড়বে না। বিষয়টা জানাজানি হতেই অনেকে এই নতুন ধরনের ছাতা কিনতে দোকানে ভিড় করছেন। প্রায় ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা দরে বিকোচ্ছে এই আধুনিক ছাতা। দাম খানিক বেশি হলেও বেশি দাম দিয়ে উন্নত মানের আধুনিক ছাতা কিনতে কার্পণ্য করছে না জলপাইগুড়িবাসী। সাধারণ ছাতার বিক্রিও আধুনিক ছাতার চাপে তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বাজারে এখন আধুনিক ছাতার চাহিদা তুঙ্গে তা বলাই বাহুল্য।
সুরজিৎ দে
Just another WordPress site