Tag Archives: 21 July TMC

TMC 21 July : কলকাতায় ফিরলেন অভিষেক, ২১ জুলাই নিয়ে কী বার্তা মমতার?

কলকাতা: রবিবার ২১ জুলাই। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে তৃণমূলের মহা সমাবেশ। সাজো সাজো রব শহর কলকাতায়। জেলায় জেলায় প্রস্তুতি বৈঠক। ধর্মতলায় মেগা শোয়ের প্রস্তুতি। উত্তরবঙ্গ-দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন কর্মী-সমর্থকরা। বিধানসভা উপনির্বাচনে ঘাসফুলের সুনামির পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার অপেক্ষা। শুক্রবারই কলকাতায় ফিরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

TMC 21st July: ২১-এর মঞ্চ থেকেই ২৬-এর বার্তা! ভিড় জমাচ্ছেন জেলার তৃণমূল কর্মীরা

কলকাতা: এ বছর ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের মূল মঞ্চ ৫২ ফুট বাই ২৪ ফুট। এখানে থাকবেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা, সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী এবং আমন্ত্রিতরা। ৪৮ বাই ২৪ ফুটের আর একটি মঞ্চ থাকছে। এখানে বসবেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। এছাড়াও ৪০ বাই ২৪ ফুটের আরও একটি মঞ্চ থাকছে। মূল মঞ্চে ওঠার জন্য সিঁড়ি নয়৷ থাকতে পারে র‍্যাম্প। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতা কর্মীরা। গীতাঞ্জলী, মালদহ, মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। প্রায় ৫০০০ কর্মীকে সেখানে আনা হয়েছে। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে রয়েছে ৩০ হাজার কর্মীর থাকার বন্দোবস্ত।

TMC 21 july rally: সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না, তবু ২১ জুলাই হাজির নাজির আলম

সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেন না, অথচ প্রতি বছর একুশের মঞ্চে আসেন বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন নাজির আলম। উত্তর দিনাজপুর থেকে একুশের সমাবেশে যোগ দিতে কলকাতায় হাজির নাজির।

লোকসভা ভোটের জয়ের পর তৃণমূলের সামনে এবার ২১ জুলাইয়ের মেগা ইভেন্ট। ব্যবস্থাপনাও নজরকাড়া। ধর্মতলায় প্রস্তুতি শেষের পথে। এবার মূল সমাবেশ মঞ্চ হিসাবে তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে। তৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেস এখন বড় দল। তাই শীর্ষ নেতৃত্ব, অভ্যাগত, আমন্ত্রিত, নেতাদের নিয়ে প্রায় ৫০০ জন বসতে পারেন, এমনভাবেই বড় করে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ।

Mamata Banerjee on 21 july: শৃঙ্খলাই শেষ কথা! দলে থাকতে গেলে কী কী করতে হবে জানিয়ে দিলেন মমতা

কলকাতা: ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট এখন তৃণমূলের পাখির চোখ। চলতি বছর লোকসভা ভোটের ফলাফলের পর দলের কমজোরী জায়গাগুলোও অধিক যত্ন সহকারে দেখা হচ্ছে তৃণমূলের অন্দরে। সে দিক থেকে, ২০২৪ সালের ২১ জুলাইয়ের তাৎপর্য আলাদাই। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ঝেড়ে ফেলে সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন দলের নেতারা।
দলকে আরও বেশি করে জনমুখী করার বার্তা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এবার থেকে পারফরম্যান্স দেখেই পদ। পুরনো-নতুন ভারসাম্য রেখেই চলতে হবে বলে জানান তিনি। জাতীয় রাজনীতিতে আরও বেশি করে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাসঙ্গিক করা তাঁর লক্ষ্য বলে জানান মমতা।

তৃণমূল সুপ্রিমো জানান, দলীয় শৃঙ্খলাই শেষ কথা। দলের সিদ্ধান্ত না মানলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, বাঁকুড়ার ঘটনায় তার প্রমাণও মিলেছে।

মমতার সাফ কথা, “লোকসভায় একাধিক আসন পেয়ে ঘরে বসে থাকলাম তা চলবে না। দল একাধিক কর্মসূচী নিচ্ছে। তার পাশাপাশি স্থানীয় ভাবে জনসংযোগ করায় কোনও ফাঁকি দেওয়া যাবে না। পারফরম্যান্স শেষ কথা। পদ আঁকড়ে বসে থাকলাম, আর ফল দিতে পারলাম না, এটা চলবে না।” তিনি জানান, পঞ্চায়েত, পুরসভা থেকে সাংগঠনিক নেতা প্রত্যেকে কে কী কাজ করছেন তার মূল্যায়ণ করবে দল।

মমতা জানান, নেতা ধরে পদোন্নতি আর নয়। কাজই হবে দলীয় পদোন্নতি ও ভোটে লড়ার মাপকাঠি। বেশি করে সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হবে। দলের কথা দলের অন্দরেই বলতে হবে। তাঁর কথায়, “সাংসদ হয়ে গেলাম মানে দিল্লি অভিমুখে চলে গেলাম তা নয়। নিজের এলাকায় নিয়মিত সময় দিতে হবে।”

আরও পড়ুন- উড়বে ড্রোন, বহুতলের ছাদ থেকে চলবে নজরদারি, ২১ জুলাই কেমন নিরাপত্তা ধর্মতলায়? 

জাতীয় রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর আরও চড়াবেন মমতা। জোটে থাকার দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে তৃণমূল। কিন্তু কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের দাদাগিরি না-পসন্দ। বিভাজনের রাজনীতি নয়, উন্নয়নের অস্ত্রেই বাজিমাত। ২১ জুলাইয়ের এলাহি আয়োজন ও প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই নজরে এসেছে। ধর্মতলায় সমাবেশে
হাজির থাকবেন সব সাংসদ, বিধায়করা। হাজির থাকতে পারেন ইন্ডিয়া জোটে শামিল হওয়া দুই শরিকের প্রতিনিধিরা। আসবেন অখিলেশ যাদব, কিরণময় নন্দ ও উদ্ধব শিবিরের নেতারা। হতে পারে যোগদান, ২১শের মঞ্চেই।

21 July rally: ৫০০ জনের বিরাট মঞ্চ! ১৩টি জায়ান্ট স্ক্রিনে লাইভ, আর কী কী থাকছে ২১ জুলাইয়ের সাজে?

কলকাতা: লোকসভা ভোটের জয়ের পর তৃণমূলের সামনে এবার ২১ জুলাইয়ের মেগা ইভেন্ট। ব্যবস্থাপনাও নজরকাড়া। ধর্মতলায় প্রস্তুতি শেষের পথে। এবার মূল সমাবেশ মঞ্চ হিসাবে তিনটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে। তৃণমূল সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেস এখন বড় দল। তাই শীর্ষ নেতৃত্ব, অভ্যাগত, আমন্ত্রিত, নেতাদের নিয়ে প্রায় ৫০০ জন বসতে পারেন, এমনভাবেই বড় করে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ।

ত্রি-স্তরীয় মূল মঞ্চটি মাটি থেকে পর্যায়ক্রমে ১১, ১২ ও ১৩ ফুট উঁচু। দৈর্ঘ্য-প্রস্থ যথাক্রমে ৮০ ও ৪২ ফুট। ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও খোলা মঞ্চেই হচ্ছে সমাবেশ। মঞ্চ ঘেরা হবে দলীয় পতাকা তেরঙ্গার রঙে। এসপ্ল্যানেড ও পার্ক স্ট্রিট চত্বরে থাকছে প্রায় ১৩টি জায়ান্ট স্ক্রিন। এছাড়া শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় থাকছে জায়ান্ট স্ক্রিনে অনুষ্ঠান দেখার সুবিধা। প্রায় ৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।

তিনটি মঞ্চের একটিতে থাকবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা দলের প্রথম সারির শীর্ষ নেতৃত্ব। দ্বিতীয় মঞ্চে থাকবেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা। তৃতীয় মঞ্চে থাকবেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। সোশ্যাল মিডিয়া পেজে লাইভ দেখানো হবে সমাবেশ। সূত্রের খবর, মঞ্চে দিল্লির মসনদকে উদ্দেশ্য করে বিশেষ বার্তা থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরসারি ধন্যবাদ জানাতে একুশে জুলাইয়ের সভায় হাজির হচ্ছেন দেউচা-পাচামি কয়লা শিল্পাঞ্চলের আদিবাসী শিল্পীরা। শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য আলাদা করে পোশাক তৈরি করেছেন তাঁরাও। উল্লেখ্য, এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা প্রকল্প হতে চলেছে দেউচা পাচামি।

মুখ্যমন্ত্রীর প্যাকেজ ঘোষণার পর জমি দিতে রাজি হয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার জমিদাতা। তাঁদের মধ্যে বহু জনকে ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সম্প্রতি নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণের পর তাঁরা জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি করবেন। প্রস্তাবিত দেউচা-পাচামির কয়লা প্রকল্পের জন্য জমিদাতাদের চাকরি ও ক্ষতিপূরণের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশের বেশি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বহু জমিদাতা ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।

আরও পড়ুন- বাইডেন বা কোহলি নয়, নেটদুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার নরেন্দ্র মোদির! কত জানেন?

কর্মযজ্ঞ যত তীব্র, ততই দুর্বল হয়েছে প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার কয়লা প্রকল্প বিরোধী আন্দোলন। প্রসঙ্গত, গত বছর থেকেই দেউচা পাচামিতে শুরু হয়ে গিয়েছে সমীক্ষার কাজ। সেই কাজ শুরু করেছে কোল ইন্ডিয়া। প্রথমে পাহাড়ি গ্রামে খননকাজ চলছে। যে কয়লা উঠেছে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। কোল ইন্ডিয়ার রাঁচির পরীক্ষাগারে তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আদিবাসীদের সাথে প্রশাসন ও শাসক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভূমিপুত্ররা তাদের খুশি জানাতে সরাসরি হাজির হচ্ছেন ধর্মতলায় শহীদ সমাবেশে।

সূত্রের খবর, দেউচার পাঁচামির একাধিক আদিবাসী ভাই বোনেরা যেমন থাকবেন, তেমনিই বীরভূম থেকে প্রচুর আদিবাসী শিল্পীও আসতে চলেছেন। এই সমাবেশে যোগ দিতে তাঁদের বিশেষ পোশাক তৈরি হয়েছে। বাসে চেপে তারা ভোর বেলায় চলে এসেছেন ধর্মতলায়। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এর মাধ্যমে শিল্পায়নের ভূমিকায় যে আদিবাসীরা খুশি সেই বার্তাও দেওয়া হয়ে গেল।

উড়বে ড্রোন, বহুতলের ছাদ থেকে চলবে নজরদারি, ২১ জুলাই কেমন নিরাপত্তা ধর্মতলায়?

কলকাতা: রবিবার ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যে লোকসভা ভোটে ভাল ফলের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম বার্ষিক সম্মেলন। তাই, সমাবেশ উপলক্ষে এবার আরও কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে প্রস্তুত শহিদ দিবসের মঞ্চ। সেই মূল মঞ্চের নিরাপত্তা ভাগ করা হয়েছে তিনটি জোনে।

আরও পড়ুন- ২১ জুলাইয়ে তৃণমূলের পাখির চোখ উত্তরবঙ্গ! অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা থেকেও আসছেন নেতারা

জোন ১-এর মধ্যেই আবার প্রথম জোনকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ডায়াস ও ভিক্টোরিয়া হাউজ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ১ জন ডিসি, ৩ জন এসি, ৫ ইনস্পেক্টর, ৫ জন এসআই/ সার্জেন্ট, ৩০ জন নিরস্ত্র পুলিশ, ৯৫ জন সাদা পোশাকে পুলিশ (মহিলা ও পুরুষ), ৪০ জন র‍্যাফ (মহিলা ও পুরুষ)। এছাড়াও মঞ্চের সামনে ডি জোনের বাইরে থাকবে ২০ জনের উইনার্স টিম।

জোন ২ হল মঞ্চর পিছন দিক ও সংলগ্ন এলাকা। এই জোনকে সাতটি ভাগে ভাগ করে নজরদারি চলবে। তার মধ্যে পাঁচটি জায়গায় ছাদ থেকে চলবে নজরদারি। জোন ২-এ নিরাপত্তার দায়িত্বে ১ জন ডিসি, ৩ জন এসি, ৬ জন ইনস্পেক্টর, ১২ জন এসআই, ১৭ জন এএসআই, ৬৫ জন নিরস্ত্র পুলিশ, ১০ জন সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবেন। জোন ৩ অর্থাৎ ডি জোনের বাইরে চৌরঙ্গী স্কোয়ার ও স্টেটসম্যন হাউস সংলগ্ন অংশ। এই জোন পাঁচটা ভাগে ভাগ করে থাকছে পুলিশ। নিরাপত্তার দায়িত্বে ১ জন ডিসি, ৫ জন এসি, ৭ জন ইনস্পেক্টর, ১৮ জন এসআই, ১৯ জন এএসআই, ১০৪ জন নিরস্ত্র পুলিশ, ২ জন সাদা পোশাক পরা পুলিশ থাকবেন।

এছাড়াও ২১ জুলাইকে কেন্দ্র করে গোটা শহর ১০ জোনে ভাগ করে করা হয়েছে পুলিশি বন্দোবস্ত। প্রত্যেক জোনে ৫ থেকে ৭টি করে পিকেট থাকবে। প্রত্যেক জোনের কোথাও একজন তো কোথাও দু’জন ডিসি। যাদের অধীনে থাকবেন অন্তত ৭০-৮০ জন করে পুলিশ। এছাড়াও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মঞ্চের আশপাশের বহুতলগুলি থেকে নজরদারি চলবে। মেট্রো রেলেও থাকছে অতিরিক্ত পুলিশ। চলবে ড্রোনে নজরদারিও। মঞ্চকে কেন্দ্র করে ৮টি জায়গার ছাদে থেকে ভিডিও করা হবে। থাকবে অ্যান্টি সাবোটাজ টিম।

লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরে তৃণমূলের বৃহত্তর সমাবেশ হতে চলেছে এটি। ব্যাপক জমায়েত হবে ধরে নিয়েই ধর্মতলাতেই শহিদ দিবস পালন হচ্ছে। একাধিক জেলা থেকে প্রচুর গাড়ি আসার সম্ভবনা রয়েছে অনুষ্ঠান স্থলের দিকে। ফলে তিনটে জোনে ভাগ করে করা হচ্ছে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। এ জোনে থাকবে ৭ টি পার্কিং প্লেস, বি জোনে ১৫ টি পার্কিং প্লেস, সি জোনে ১৯ টি পার্কিং প্লেস। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ডিসি ট্রাফিকের নেতৃত্বে বুধবার রাত ৯টা থেকে ডিউটি মোতায়েন থাকতে বলা হয়েছে। যাতে গাড়িগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিং করা যায়। শহরের ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পিকেট থাকবে পুলিশের, ১৫ টি জায়গায় রাখা থাকবে অ্যাম্বুল্যান্স।

21 july rally 2024 TMC: ২১ জুলাইয়ে তৃণমূলের পাখির চোখ উত্তরবঙ্গ! অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরা থেকেও আসছেন নেতারা

কলকাতা: রবিবার ২১ জুলাই ধর্মতলার সমাবেশে উত্তরবঙ্গ থেকে রেকর্ড জমায়েত চায় তৃণমূল। লোকসভা ভোটের ফলে উত্তরের জমি শক্ত হয়েছে। কোচবিহার আসন জয় করেছে শাসকদল। বাকি একাধিক আসনেও ব্যবধান অনেক কমিয়েছে তারা। ৩১ বছরে পদার্পণ করছে ২১ জুলাইয়ের শহিদ তর্পন অনুষ্ঠান। রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে চলতি বছর ২১ জুলাই নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ লোকসভা ভোটের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম ঘোষিত কর্মসূচী এটি।

২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে শাসক শিবিরের পাখির চোখ কোচবিহার থেকে মালদহ পর্যন্ত একাধিক বিধানসভা আসন৷  তাই চা বলয়, রাজবংশী এলাকা থেকে ব্লক ভিত্তিক জমায়েতে জোর দিয়েছে শাসক দল। উত্তরবঙ্গ থেকে ট্রেনে আসছেন শাসকদলের নেতা-কর্মীরা। এছাড়া সড়কপথেও আসছেন তারা। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে দাবি, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার বেশি জমায়েত হবে উত্তরের জেলা থেকে। এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে পাহাড়ে তৃণমূলের বন্ধুদল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা হইহই করে জিতেছে।

অনীত থাপার দলের অনেকেই সমাবেশে হাজির থাকবেন। উত্তরের চা বলয় থেকে রাজ্যসভার সাংসদ পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবারের ২১ জুলাই সমাবেশে আগামীর বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে লক্ষ্য উত্তরের বিধানসভা আসন। করোনা পরিস্থিতির জেরে ২০২০-২১ সালে সমাবেশ হয়েছিল ভার্চুয়াল। তবে সেই ভার্চুয়াল সমাবেশ ঘিরেই ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছিল এই রাজ্যের পাশাপাশি ভিন রাজ্যেও। এবার অবশ্য মূল সমাবেশ অফলাইন। ধর্মতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দেবেন দুপুর ১টা নাগাদ। সেখানে থাকবেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, অরুপ বিশ্বাস সহ একাধিক নেতা।

আরও পড়ুন- ১০০ বন্দিকে মুক্তি দিয়ে জেলে আগুন প্রতিবাদীদের! জ্বলছে বাংলাদেশ, কার্ফু জারি

প্রথম সারির অন্যান্য নেতাদেরও উপস্থিতি থাকবে। ভিন রাজ্যের দলীয় কার্যালয়েও সভা লাইভ দেখানো হবে একটি কেন্দ্রীয় জায়গায়। সেখানেই মঞ্চ থাকবে। সেই রাজ্যের নেতারা থাকবেন। জায়েন্ট স্ক্রিন থাকবে। দুপুর ১২টা থেকে হবে সমাবেশ। দুপুর ১২টা থেকে অন্যান্য নেতাদের -সহ মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তব্য লাইভ দেখানো ও শোনানো হবে। কলকাতায় আসতে না পারলে এভাবেই দেখা যাবে অনুষ্ঠান।

ধর্মতলায় থাকবে শহিদ তর্পণের ব্যবস্থা। সকাল ৬টা থেকেই সেখানে হাজির থাকবেন দলের প্রথম সারির নেতারা। শ্যামবাজার, গিরিশ পার্ক, লেকটাউন, পার্ক স্ট্রিট, এসপ্ল্যানেড, চেতলা, টালিগঞ্জ, হাজরা-সহ একাধিক জায়গায় থাকছে জায়ান্ট স্ক্রিন। বাংলার পাশাপাশি ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়, গোয়ায় যেখানে তৃণমূলের অফিস আছে সেখানেও শোনানো হতে পারে বক্তৃতা। ধর্মতলায় হাজির থাকবেন সাংসদরা। তাঁরাও বক্তব্য রাখবেন। দুপুর ১টায় জায়ান্ট স্ক্রিনে শোনানো হবে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বক্তৃতা। এছাড়াও যে সব রাজ্যে ইউনিট আছে সেখানেও অনুষ্ঠান সম্প্রচারের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

 

TMC: মালদহ, দিনাজপুর, শিলিগুড়ি, কোচবিহার…! কলকাতায় একুশের সমাবেশে যোগ দিতে উত্তর থেকে দলে দলে হাজির তৃণমূল কর্মীরা

কলকাতা: ২১-এর সমাবেশ সফল করতে রাজ্যের প্রত্যেক জেলা থেকেই আসছেন বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থকেরা। বৃহস্পতিবার উত্তরের জেলা থেকে রওনা দিয়েছিলেন কর্মীরা। শুক্রবার সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে এসে পৌছলেন তাঁরা। যোগদানকারীদের সাহায্য করতে প্রত্যেক জেলার স্টেশন চত্বরে খোলা হয়েছে সহায়তা কেন্দ্র। জেলার নেতা এবং কর্মীরা সকলেই একই ট্রেনে রওনা দিয়েছেন।

মালদহ থেকে দুই দিনাজপুর, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের স্টেশনে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিল করে এসে তাঁরা ট্রেনে ওঠেন। কোচবিহার লোকসভা আসন জয়ের পরে, এবারে সেই জেলা থেকে প্রচুর কর্মী-সমর্থক আসবেন বলে আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব৷ দিনহাটার বামনহাট স্টেশন  থেকে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেসে কলকাতা রওনা হয়েছিলেন৷ এছাড়াও নিউ কোচবিহার স্টেশন, সন্ধ্যায় পদাতিক এক্সপ্রেস ও সরাইঘাট এক্সপ্রেসেও কলকাতার পথে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা রওনা হয়েছিলেন বৃহস্পতিবার।

শুক্রবার সকালে তাঁরা কলকাতা চলে এসেছেন। এদিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দেখা যায় সকলের হাতে ছিল দলের পতাকা। স্টেশনের প্লাটফর্মে মিছিল ও দলের স্লোগান দিতে দিতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা রওনা হন সল্টলেকে ক্যাম্পের পথে। তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এবছরও কর্মীদের নিয়ে  কলকাতার এই সমাবেশে তাঁরা যোগ দিতে এসেছেন। পাশাপাশি বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর রেল স্টেশন থেকে তৃণমূল কর্মীরা ট্রেনে চেপে রওনা হয়েছেন কলকাতা অভিমুখে।

বুধবার সন্ধ্যার পর বৃহস্পতিবার ভোরে প্রচুর তৃণমূল কর্মী-সমর্থক রওনা হন কলকাতা অভিমুখে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা থেকে কলকাতা অভিমুখে রওনা হয়েছিলেন যাঁরা ইতিমধ্যেই কলকাতার শিবিরে পৌঁছে গেছেন।  বৃহস্পতিবার তেভাগা এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক। বালুরঘাট থেকেও  তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। তাঁরাও কলকাতায় পৌঁছে যাবেন। জেলা থেকে আসা কর্মীদের থাকার জন্য সল্টলেক, কসবা-সহ একাধিক স্থানে ক্যাম্প করা হয়েছে।

 

21 July: ২১ জুলাইতে এবার বিরাট চমক! তোলপাড় ফেলে দিতে চায় তৃণমূল! কী এমন ঘটতে চলেছে?

কলকাতা: ২১ জুলাই, শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। জেলা সভাপতি, বিধায়ক ও সাংসদদের চিঠি। লোকসভা ভোটে ভাল ফলের প্রেক্ষিতে রেকর্ড জমায়েত করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। ব্লক ধরে ধরে প্রস্তুতি বৈঠক করতে বলা হয়েছে। বিশেষ নজরে উত্তরের একাধিক জেলা। কোচবিহার জয়ের পরে এবার উত্তর দিয়ে বিশেষ জমায়েতের প্রস্তুতি।

এক সাংসদের দল থেকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল, ২১ জুলাই দেখেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের নানাবিধ নাটকীয় উত্থান-পতন। বিগত দু’দশক ধরে এই দিনটিই তৃণমূলের অঘোষিত বার্ষিক রাজনৈতিক সমাবেশ। এই দিনটির তাৎপর্য তৃণমূলে ঠিক কতটা তা একটা ঘটনার দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

২০১১ সালের ১৩ মে (বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছিল) ৩৪ বছরের বাম শাসনে ধস নামিয়ে রাজ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের পর আলাদা করে কোনও বিজয় উৎসব করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

আরও পড়ুন: ‘কাউকে বেকার করে দেওয়ার অধিকার আমাদের নেই,’ হকার সমস্যা নিয়ে মুখ খুললেন মমতা, দিলেন কী নির্দেশ?

সেদিন বেলা গড়াতেই জনাদেশ স্পষ্ট হয়ে যায়, আর এরপরই দৃশ্যত আপ্লুত মমতা জানিয়ে দেন, জয়ের উদযাপন হবে ২১ জুলাই শহিদ তর্পণের দিন। তবে এই ২১ জুলাইয়ের ইতিহাস তৃণমূলের জন্মের আগেই ঘটে গিয়েছে। একুশের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রতিবছর ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দলের আগামী দিনের লক্ষ্যপূরণের বার্তা দিয়ে থাকেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার রাজনীতিতে এই দিনটিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবই দেখে রাজনৈতিক মহল।