Tag Archives: Ambulance

Cattle Ambulance Service: গবাদিপশুদের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স! এক ফোনে সমাধান, জেনে রাখুন নম্বর

মালদহ: গবাদিপশুর চিকিৎসা পরিষেবায় অ্যাম্বুলেন্স। জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করলেই দ্রুত মিলবে চিকিৎসা পরিষেবা। আপনাকে অসুস্থ গবাদিপশু নিয়ে কোথায় যেতে হবে না। বরং আপনার বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে চিকিৎসক ও মেডিকেল টিম। শুধুমাত্র ফোন করে জানতে হবে কোথায় কী হয়েছে।

মালদহে চালু হওয়া গবাদিপশুর এই অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আছে টোল ফ্রি নম্বর। সেই নম্বরে ফোন করলেই দ্রুত অ্যাম্বুলেন্স সহ মেডিকেল টিম পৌঁছে যাবে। গবাদিপশুর চিকিৎসার জন্য এই অ্যাম্বুলেন্সের টোল ফ্রি নম্বরটি হল ১৯৬২। গরু, ছাগল সহ অন্যান্য গবাদিপশু গুরুতর অসুস্থ হলে এই টোল ফ্রি নম্বরে ফোন করলেই মিলবে চিকিৎসা পরিষেবা। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে পশু চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলায় ঘুরে ঘুরে আমরা চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকি। অনেক সময় অসুস্থ গবাদি পশুকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়া যায় না। তাই এই উদ্যোগ। সেখানে ফোন আসলেই আমরা পরিষেবা দিতে ছুটে যাই।

আর‌ও পড়ুন: গোটা গ্রামের ভরসা এখন তিনি, রোহিনীর দেখানো পথেই পা সবার

এই অ্যাম্বুলেন্সে গবাদি পশুদের চিকিৎসক ও মেডিকেল টিম গোটা জেলা ঘুরে বেড়ায়। কোথাও কোনও এমার্জেন্সি কল এলেই ছুটে গিয়ে সেখানে গবাদি পশুদের চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে থাকেন। এর মাধ্যমে বহু গবাদি পশুর মালিক তাঁদের অসুস্থ গবাদি পশুদের জন্য চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন।

হরষিত সিংহ

Toto Ambulance: টোটো অ্যাম্বুলেন্সের হাত ধরে মেদিনীপুরের স্বাস্থ্য পরিষেবায় বিরাট বদল

পশ্চিম মেদিনীপুর: এবার শহরের ঘিঞ্চি এলাকায়, গলিতে গলিতে পৌঁছে যাবে অ্যাম্বুলেন্স। আর অসুবিধা হবে না রোগীর পরিষেবায়। শহরের যে কোনও প্রান্তিক এলাকা থেকে মুমূর্ষ রোগীদের সহজেই পৌঁছে দেওয়া যাবে হাসপাতালে। টোটো অ্যাম্বুলেন্সের হাত ধরে মেদিনীপুর শহরের স্বাস্থ্য পরিষেবায় এমনই ভোল বদল ঘটতে চলেছে।

আর‌ও পড়ুন: ইদের দিন দাতাবাবার মাজারে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী, প্রাক্তন আইপিএস-এর চমক

শহরে যখন টোটো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে তখনই টোটোতেই এক অনন্য ভাবনা। ব্যাটারি চালিত টোটোয় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা চালু করেছেন মেদিনীপুরের বাসিন্দা বজরংলাল আগরওয়াল। তিনি বিনামূল্যে এই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দিচ্ছেন। বজরংলাল আগরওয়ালের সহায়তায় এবং স্থানীয় সবুজ সংগ্রামী সংঘ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলাদের উদ্যোগে এই পরিষেবা চালু হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: শেষ বেলায় চৈত্র সেলের জমজমাট বিকিকিনি

টোটোতেই থাকছে স্বয়ংক্রিয় শয্যা, রোগীর পরিজনদের বসার ব্যবস্থা সহ অত্যাধুনিক নানা প্রযুক্তি। নতুন এই পরিষেবা চালু হওয়ায় বেশ সুবিধা হবে মেদিনীপুরের মানুষজনের। মেদিনীপুর শহরের পুরসভা এলাকার ছোট ছোট গলির ভেতরে বড় অ্যাম্বুলেন্সের প্রবেশ করতে অনেকটাই সমস্যা হয়। সেই সব জায়গায় অতি সহজে পৌঁছে যাবে এই ব‍্যাটারি চালিত টোটো অ্যাম্বুলেন্স। মুমুর্ষু রোগীকে মুহূর্তের মধ্যে সে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও শহরের নার্সিং হোমেগুলোতে পৌঁছে দেবে।

রঞ্জন চন্দ

Poor Road: স্বাধীন ভারতের লজ্জার ছবি! অসুস্থ হলে আজ‌ও ডুলি’ই ভরসা এই গ্রামে

পুরুলিয়া: পর্যটনের কারণে পুরুলিয়া সর্বক্ষেত্রেই চর্চিত। আবার এটাই বাংলার অন্যতম পিছিয়ে পড়া জেলা বলে পরিচিত। তবে গত কয়েক বছরে জেলার চিত্রটা খানিকটা বদলেছে। রাজ্যে পালাবদলের পর পিছিয়ে পড়া এই জেলায় অনেক ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতাটর এতগুলো বছর পেড়িয়ে যাওয়ার পর আজও বঞ্চিত বাঘমুন্ডি ব্লকের তুনতুড়ি সুইসা গ্রাম পঞ্চায়েতের জোড়ডি গ্রামের জোড়ডি টলার বাসিন্দারা।

পুরুলিয়ার এই প্রান্তিক গ্রামে প্রায় ৩০০ টি পরিবারের বসবাস। স্বাধীনতার পর পেরিয়েছে এতগুলো বছর, কিন্তু এই গ্রামে আজ‌ও নেই কোনও রাস্তা। জোড়ডি গ্রাম থেকে তিলোকডি মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন থেকে চার কিমি রাস্তা খানাখন্দে ভরা। যার ফলে বর্ষার সময় গ্রামে ঢোকে না অ্যাম্বুলেন্স। পাকা রাস্তা পর্যন্ত ডুলিতে করে নিয়ে যেতে হয় গর্ববতী মহিলা ও অসুস্থদের।‌ রাস্তা বেহাল থাকার কারণে একটা সময় ঘোড়া ব্যবহার করতেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। এখন আর ঘোড়ার ব্যবহার না হলেও ডুলিতে করে অসুস্থ রোগীদের নিয়ে যেতে হয়।

আর‌ও পড়ুন: স্বাধীনতার এতদিন পর পাকা হচ্ছে কাঠের সেতু

তাই অবিলম্বে রাস্তার দাবি জানিয়েছেন এই গ্রামের বাসিন্দারা। তার জন্য প্রয়োজন পড়লে তাঁরা নিজেদের জমি ছাড়তেও রাজি আছেন। এদিকে শীঘ্রই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অষ্টমী কুইরি।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Local News: দুয়ারে রেশনের পর জেলায় নতুন আরেক প্রকল্প, দেখুন বিস্তারিত

পূর্ব বর্ধমান: দুয়ারের রেশনের পর জেলায় চালু হল আবারও এক নতুন পরিষেবা। এই পরিষেবার কথা জানলে সকলকেই অবাক হবেন। পূর্ব বর্ধমানে এবার যে নতুন পরিষেবা চালু করা হয়েছে তাতে জেলার বহু মানুষ বিশেষভাবে সুবিধা পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক কী সেই পরিষেবা? কীভাবেই বা এই পরিষেবা সকলের কাজে লাগবে?

সাধারণত ছোট থেকে বড় প্রায় অনেকেই আছেন যাঁদের বিভিন্ন কারণে দাঁতের সমস্যায় ভুগতে হয়। দাঁতের সমস্যা হলে ছুটে যেতে হয় চিকিৎসকের কাছে। তবে এখনও জেলায় অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁদের বয়স হয়ে যাওয়ার কারণে অথবা আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন না। এবার তাঁদের আর চিন্তা নেই। বাড়ির দুয়ারে মিলবে দাঁতের চিকিৎসা করার সবরকম ব্যবস্থা। পূর্ব বর্ধমান জেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার একটি ভ্রাম্যমান দন্ত চিকিৎসা অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধন করা হয়।

আরও পড়ুন: সুবোধের স্যাক্সোফোনে আজও মজে সবাই! দেখুন ভিডিও

এই দন্ত চিকিৎসা অ্যাম্বুলেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমানের পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, দুয়ারে রেশন পৌঁছেছে, দুয়ারের সরকার পৌঁছেছে, সেরকমই এবার থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ দুয়ারে দাঁতের চিকিৎসার সুবিধা পৌঁছে যাবে। দাঁত ভাল রাখা এবং দাঁতের চিকিৎসা খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। প্রত্যন্ত গ্ৰামের সাধারণ মানুষের কথা ভেবে সম্প্রতিক দুয়ারে দন্ত চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে দক্ষিণবঙ্গ সহ রাজ্যের তিনটি জেলাতে এই মোবাইল দন্ত চিকিৎসা পরিষেবা অ্যাম্বুলেন্স চালু করা হয়েছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F ‌

এই প্রসঙ্গে বর্ধমান দন্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরফ থেকে অধ্যাপক চিকিৎসক জহর রায় বলেন, বিভিন্ন প্রান্তিক মানুষকে এই সুবিধা প্রদান করা হবে। বর্ধমানের পুরপ্রধান পরেশচন্দ্র সরকার বলেন, এই অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে দাঁতের সমস্ত রকম চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। এটি জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় পরিষেবা প্রদান করবে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Bengali News: টোটোর মধ্যে স্কুল! রইল বাকিটাও…

উত্তর ২৪ পরগনা: টোটোর মধ্যে স্কুল! এমনই অবাক দৃশ্য দেখতে পাবেন সুন্দরবনে গেলে। সেই সঙ্গে টোটো অ্যাম্বুল্যান্স’ও নজরে আসবে। গোটা বিষয়টা জানার জন্য নিশ্চয়ই কৌতুহলী হয়ে উঠেছেন? আসুন, এই প্রতিবেদন থেকে সেটা জেনে নিন।

আরও পড়ুন: সামনেই দোল, অ্যারারুট দিয়ে এই পদ্ধতিতে বাড়িতে ভেষজ আবির তৈরি করুন

উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বসিরহাট মহাকুমার হিঙ্গলগঞ্জের কনকনগর সৃষ্টিধর ইনস্টিটিউশনে এমন অভিনব উদ্যোগ দেখা গেল। স্কুলের প্রধান শিক্ষক পুলক রায় চৌধুরির উদ্যোগে একটি টোটোকে মডিফাই করে তৈরি করা হয়েছে স্টুডেন্টস অ্যাম্বুল্যান্স।

করোনা কালে স্কুল যখন বন্ধ ছিল সেই সময় ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা যাতে একেবারে বন্ধ হয়ে না পড়ে তাই স্কুলের শিক্ষকদের উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার পাঠ দেওয়া হত। তার জন্যই ওই টোটোতে তৈরি করা হয়েছিল ভ্রাম্যমান স্কুল। তবে বর্তমানে ভ্রাম্যমান স্কুলের প্রয়োজন ফুরনোয় তা এবার অ্যাম্বুল্যান্সের রূপ দেওয়া হল।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

হিঙ্গলগঞ্জের এই স্কুলে প্রায় দেড় হাজার ছাত্রছাত্রী আছে। এই প্রত্যন্ত এলাকায় যাতায়াত ব্যবস্থা তেমন উন্নতও নয়। জরুরি সময়ে গাড়ি পেতে সমস্যায় পড়তে হয়। স্কুলের কোনও ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী থেকে শুরু করে স্কুলের সঙ্গে যুক্ত কোনও ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে যাতে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা যায় তার জন্যই এই ভ্রাম্যমান অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি করা হয়েছে। টোটো অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে রাখা থাকছে বেড, প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম, অক্সিজেন সিলিন্ডার। এখান থেকে বহু কৃতি ছাত্র উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। প্রত্যন্ত গ্রাম্য এলাকার স্কুলেও অভিনব উদ্যোগে যেন পথ দেখাল। সব মিলিয়ে হিঙ্গলগঞ্জের স্কুলের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এলাকার মানুষ।

জুলফিকার মোল্লা

Bengali News: সরকারি টাকা মানেই হরির লুট! কেনার পর শুধু শুধু পড়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স, অসুস্থের কাজে লাগে না

হুগলি: দরকারে একদিকে যখন মানুষ পরিজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পায় না, তখন গোঘাটে পঞ্চায়েত অফিসে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স। অবস্থা এমনই যে শুধু শুধু অ্যাম্বুলেন্স পড়ে আছে, কিন্তু গ্রামের রোগীরা হাসপাতালে যাওয়ার জন্য সেটা ব্যবহার করতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবে এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: গোবরে ডুবছে ডানকুনি! সুপ্রিম নির্দেশ উড়িয়ে রমরমিয়ে চলছে ২০০-এর বেশি অবৈধ খাটাল

দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে গোঘাটের হাজিপুর পঞ্চায়েতের এই অ্যাম্বুলেন্সটি। ফলে ক্ষোভে ফুঁষছেন স্থানীয়রা। বিধায়ক তহবিলের অর্থে এই অ্যাম্বুলেন্সটি কেনা হয়েছিল। কিন্তু সেটি ব্যবহার না করে পঞ্চায়েত অফিসের ভিতরে দিনের পর দিন ফেলে রাখায় খারাপ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে এটি সারিয়ে গ্রামের মানুষের পরিষেবায় আবার ব্যবহার করার দাবি তোলা হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন‌ও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে মোটা টাকা খরচ করে বেসরকারি গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের। সব মিলিয়ে সরকারি টাকা খরচ করে এই অ্যাম্বুলেন্সটি কেনা হলেও তা মানুষের কোন‌ও কাজে লাগছে না।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

গ্রামবাসীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে শাসকদলের অঞ্চল সভাপতি মীর আফসার আলি জানান, গ্রামের স্বার্থে তৎকালীন বিধায়ক তাঁর তহবিল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন ঠিকই, কিন্তু বেশ কিছুদিন চলার পর তা বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। খুব শীঘ্রই ওই অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা শুরু হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন।

শুভজিৎ ঘোষ

Bengali News: এক সময় অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছে, সেই গাড়ি আজ ডাস্টবিন!

বীরভূম: সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দশতলা বিল্ডিং থেকে রোগীদের পুরোনো বিল্ডিংয়ে আনার জন্য ২০১৯ সালে দুটি ই-অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন তৎকালীন বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়।কিন্তু সেই অ্যাম্বুলেন্স দুটি এখন পরিণত হয়েছে আবর্জনা ফেলার পাত্রে। ঠিক এমনই দৃশ্য নজরে এল সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

আরও পড়ুন: গুলতি দিয়ে শিকারের চেষ্টা, মারাত্মক অবস্থা জাতীয় পাখির

স্বাভাবিকভাবেই সাড়ে সাত লাখ টাকার দুটি ই-অ্যাম্বুলেন্স থাকা সত্ত্বেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে সিউড়ির তৎকালীন বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায় রোগীদের কথা চিন্তা করে এই ই-অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেন। মূলত হাসপাতালের অধিকাংশ ওয়ার্ড নতুন দশতলা ব্লিডিংয়ে থাকলেও ডিজিট্যাল এক্স-রে, সিটি স্ক্যান এবং মেজর ওটি রয়েছে পুরাতন ব্লিডিংয়ে। তাই রোগীদের ডিজিট্যাল এক্স-রে, সিটি স্ক্যান এবং ওটি’র জন্য নিয়ে যেতে হয় পুরাতন ব্লিডিংয়ে। এই পথ রোগীদের স্ট্রেচারে শুইয়ে টেনে নিয়ে যাওয়াটা সমস্যার হচ্ছিল। কারণ খানাখন্দ ভরা রাস্তায় পড়ে শরীরের ব্যথা পাচ্ছিলেন রোগীরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3

সেই সমস্যা দূরীকরণের জন্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি তৎকালীন বিধায়কের কাছে একটি ই-অ্যাম্বুলেন্সের আবেদন জানান হয়। সেই মত বিধায়ক প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকার দুটি ব্যাটারি চালিত ই- অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছিলেন। সেই অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার পর কিছুদিন তাতে করে রোগীদের এই বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হত। কিন্তু তারপর থেকে ব্যবহার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে ওটি কার্যত ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে।

সৌভিক রায়

Bengali News: স্ট্রেচার‌ অকেজো! গাড়ির বেহাল দশায় কর্ম বিরতিতে ১০২ অ্যাম্বুলেন্সের চালকরা, বিপাকে রোগীরা

হুগলি: অ্যাম্বুলেন্স চালকদের কর্মবিরতিতে চরম বিপাকে পড়েছেন গর্ভবতীরা। বেতন বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আরামবাগের ১০২ অ্যাম্বুলেন্স চালকরা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। এর প্রভাবে প্রসূতি ও সদ্যোজাত শিশুদের নিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন পরিজনরা।

আরও পড়ুন: এই গ্রামে কারোর বিয়ে থাকলেই ছুটি দেয় স্কুলে! কারণ জানলে আরও অবাক হবেন

জানা গিয়েছে, আরামবাগ মহকুমায় যে সমস্ত অ্যাম্বুলেন্স আছে তার প্রায় সবগুলোই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথ উদ্যোগে ১০২ অ্যাম্বুলেন্সগুলি গ্রিন এমআরআই হেল্প সার্ভিস নামের একটি কোম্পানিকে তত্ত্ববোধনের দায়িত্ব দিয়েছে। চালকদের অভিযোগ, ওই বেসরকারি কোম্পানির পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্সগুলি ঠিকমত মেরামত করা হয় না। ফলে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পরিষেবা দিতে গিয়ে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অ্যাম্বুলেন্সের হর্ন, হুটার, উইল রেঞ্জ, এমনকি স্ট্রেচারও ঠিক নেই।

চালকদের আরও অভিযোগ, অ্যাম্বুলেন্সগুলির ফিটনেস ঠিকঠাক নেই। তাঁরা ঠিক সময়ে বেতন পাননা বলেও অভিযোগ। ফলে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সগুলি নিয়ে পরিষেবা দিতে চরম সমস্যায় পড়তে হয়, তেমনই সংসার চালাতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বলে দাবি। এইসমস্যার কথা বার বার ওই কোম্পানিকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে চালকরা জানিয়েছেন। তাই বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করছেন তাঁরা।আর তাতেই চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে গর্ভবতী মহিলা থেকে শুরু করে অন্যান্য রোগীদের।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

রোগীর আত্মীয়রা জানান, অ্যাম্বুলেন্সে পরিষেবার জন্য ফোনে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে ক্যামেরার সামনে না বললেও গ্রিন এমআরআই হেল্প সার্ভিস কোম্পানির অধিকারিকরা মৌখিকভাবে জানান, তাঁরা বিষয়গুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তবে কবের মধ্যে এই সমস্যা মিটবে সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

শুভজিৎ ঘোষ

Miracle Incident: গর্তে পড়েই ফিরল ‘মৃত’-এর প্রাণ! অ্যাম্বুল্যান্স লাফিয়ে উঠতেই ভিতরে নড়ে উঠল… অলৌকিক ঘটনা!

কাইথাল: হাসপাতাল মৃত বলে ঘোষণা করে দিয়েছিল, গ্রামের বাড়িতে শুরু হয়ে গিয়েছিল শেষকৃত্যানুষ্ঠানের তোড়জোড়। ১০০ কিলোমিটার দূরের হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে ৮০ বছরের দাদুর ‘দেহ’ নিয়ে ফিরছিলেন নাতিরা। হঠাৎই ভাঙাচোরা রাস্তায় লাফিয়ে ওঠে অ্যাম্বুল্যান্স। আর তখনই ঘটে যায় সেই ঘটনা।

বৃহস্পতিবার হরিয়ানার কাইথালের ধান্ড এলাকায় রাস্তার গর্তে পড়ে লাফিয়ে ওঠে একটি অ্যাম্বুল্যান্স। আর ঠিক তখনই ভিতরে থাকা অসুস্থ বৃদ্ধ নাড়তে শুরু করেন হাত, যাঁকে ঘণ্টা কয়েক আগেই মৃত বলে ঘোষণা করে দিয়েছিল হাসপাতাল। গাড়ি ঘুরিয়ে আবার নিয়ে যাওয়া হয় একটি হাসপাতালে। তারপর সেখানেই ফের শুরু হয় বৃদ্ধের চিকিৎসা। তাঁর পরিস্থিতি এখনও আশঙ্কাজনক। তবে এমন ঘটনায় তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন পরিবারের সদস্য এমনকী চিকিৎসকরাও।

আরও পড়ুন: সংক্রান্তিতে আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন! মেঘলা আকাশ, কুয়াশার দাপটে কোন কোন জেলা হবে নাজেহাল

জানা গিয়েছে, হরিয়ানার কর্নাল জেলার নিসিং শহরের বাসিন্দা, অশীতিপর দর্শন সিং ব্রার গত চারদিন ধরেই পাতিয়ালার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেটরে। গত বৃহস্পতিবার বৃদ্ধকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

তাঁর নাতি বলওয়ান সিং বলেন, ‘সকাল ৯টায় আমরা খবর পাই দাদুর মৃত্যু হয়েছে। তারপর শেষকৃত্যের জন্য প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়। সেখানে জড়ো হয়েছিলেন আত্মীয়-প্রতিবেশীরা। দাহের কাঠও জোগাড় করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারই মধ্যে ঘটে গেল এই অলৌকিক ঘটনা। দাদু সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন, এই প্রার্থনা করি।’

পরিবারের তরফে জানান হয়েছে, দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে জানান, বৃদ্ধ জীবিত এবং শ্বাস চলছে। কর্নালের এনপি রাওয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে।

এমন অদ্ভুত ঘটনা ঘটল কী করে!

রাওয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নেত্রপাল বলেন, ‘ওই বৃদ্ধির নাড়ি চলছিল, রক্তচাপ ছিল। এমনকী যখন তাঁকে এখানে নিয়ে আসা হয়, তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্টও ছিল। এই অবস্থায় কোনও ভাবেই একটি মানুষকে মৃত ঘোষণা করা যায় না। কীভাবে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল জানি না। হতে পারে কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল। অথবা, একেবারে অন্য কিছু।’