Tag Archives: competition

Chess Competition: পড়ুয়াদের একাগ্রতা বাড়াতে দাবা প্রতিযোগিতার উদ্যোগ জেলায়!

দক্ষিণ দিনাজপুর: ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল ফর স্কুল এবং দাবাচিয়া সংস্থার পক্ষ থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দাবা প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। বালুরঘাটে অবস্থিত জেলা প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন বালুছায়াতে এই দাবা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন: নিরাপত্তায় জোরদার মালদহের সোনার মার্কেট চত্বর! ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন পুলিশ

এই প্রতিযোগিতাকে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করেছেন জেলা দাবা সংস্থা। যেখানে জেলার প্রায় কয়েকশো পড়ুয়ারা এই দাবা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। মূলত ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়ারা অংশগ্রহণ করবে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমান প্রজন্ম দিন দিন মোবাইলে গেমস খেলায় আসক্ত। মাঠে খেলতে যাওয়ার যে প্রবণতা তাও কমে যাচ্ছে দিনের পর দিন। চার দেওয়ালে বন্দী হয়ে বেছে নিয়েছে মোবাইল কিংবা কম্পিউটার গেম। এই সব গেম তাদের বিপদগামী করে তুলছে। আর এই গেমের প্রতি আসক্তি টেনে আনছে ঘোর বিপদ। সেই সমস্ত ছেলেমেয়েদেরকে চিহ্নিত করে দাবা খেলার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মাস্টারমশাইরা। এতে তাদের একাগ্রতাও এবং পড়াশোনায় মনঃসংযোগ বাড়বে বলে তারা আশা করছেন।

সুস্মিতা গোস্বামী

International Karate Competition: আন্তর্জাতিক ক্যারাটেতে বড় সাফল্য পূর্ব বর্ধমানের

পূর্ব বর্ধমান: কলকাতায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় জেলার বড় সাফল্য। পূর্ব বর্ধমান জেলার ঝুলিতে এল একাধিক পদক। বেশ কয়েকটি দেশের কয়েক হাজার প্রতিযোগীদের মধ্যে থেকে পদক আনল জেলার ২৮ জন কৃতী প্রতিযোগী।

অল ইন্ডিয়া সেইসিনকাই সিতো-রিউ ক্যারাটে ফেডারেশন নামক এক সংস্থার পরিচালনায় কলকাতায় আয়োজিত হল অষ্টম আন্তর্জাতিক ক্যারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪- ইন্ডিয়ান চ্যালেঞ্জার্স কাপ। অল ইন্ডিয়া সেইসিনকাই সিতো-রিউ ক্যারাটে ফেডারেশন সংস্থার পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ক্যারাটে ফেডারেশনের রেফারি হানসি প্রেমজিৎ সেনের তত্বাবধানে এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল।

আর‌ও পড়ুন: পানের চা, শরবত খেয়েছেন? পানপাতার ব্যবহারে বিপ্লব ঘটিয়েছেন মহিষাদলের হরিপদ

প্রতিযোগিতাটি জুলাই মাসের ২৬, ২৭, ২৮ তারিখ অনুষ্ঠিত হয়েছিল কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। যে প্রতিযোগিতায় সফলতা অর্জন করে পূর্ব বর্ধমান জেলার ২৮ জন প্রতিযোগী। প্রতিযোগিতা শেষে তাদের ঝুলিতে আসে মোট ৪০ টি পদক। এই প্রসঙ্গে ক্যারাটে ও মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক দেবাশিস কুমার মণ্ডল জানান, আমাদের এহেন সাফল্যে আমরা সকলেই খুব খুশি হয়েছি। আমরা চাই আমাদের স্টুডেন্টরা আগামী দিনে আরও এগিয়ে যাক। সবটাই ওদের পরিশ্রমের ফল। ভারত ছাড়াও এই প্রতিযোগিতায় নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ওমান প্রভৃতি দেশের প্রায় সাড়ে ছয় হাজার প্রতিযোগী অংশ নেয়। পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রতিযোগিরা মোট ৯ টি সোনা, ১১ টি রুপো এবং ২০ টি ব্রোঞ্জ পদক জেতে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঈশানি গুপ্তা, শ্রেয়সী ঘোষ, মেঘনা রায় নামের তিন প্রতিযোগী কাতা ও কুমিতে, উভয় বিভাগেই দুটি করে স্বর্ন পদক জিতেছেন। আন্তর্জাতিক স্তরের এই সাফল্যে খুশি ক্যারাটে প্রশিক্ষক দেবাশিস কুমার মণ্ডল সহ প্রত্যেকেই। ক্যারাটে ও মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষক দেবাশিস’বাবুর কথায়, ছাত্র-ছাত্রীদের মার্শাল আর্ট শেখা বিশেষভাবে প্রয়োজন। তাঁর কথায়, মার্শাল আর্টস শিখলে রাস্তা ঘাটে বিভিন্ন সময় বিপদ থেকে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব। তাছাড়া এটা খুব ভাল একটা স্পোর্টস। বিভিন্ন জায়গায় যেমন বিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় সহ অলিম্পিকেও এই খেলা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও এটা অনুশীলন করলে প্রচুর শরীরিক উপকারিতা পাওয়া যায়। সকলের এই খেলা শেখা উচিত বলে মনে করি আমি।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Modeling Competition: ইউটিউব দেখে মডেলিংয়ে বাজিমাত! ফ্যাশন শো’তে প্রথম বন্ধ চা বাগানের তরুণ…

আলিপুরদুয়ার: ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল মডেল হওয়ার। কিন্তু সঠিক প্রশিক্ষণ না থাকাটা সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হচ্ছিল বিশেষ বিশ্বা’র। শেষে ইউটিউব এই তরুণের স্বপ্নপূরণ করল। মাত্র ১৭ বছর বয়সে মডেলিংয়ে সেরার পুরস্কার পেলেন বন্ধ চা বাগানের এই তরুণ।

ইউটিউব দেখে মডেলিং শেখেন বিশেষ বিশ্বা। তারপরই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে প্রথম স্থান অর্জন করলেন। থাকেন ভারত -ভুটান সীমান্তের বন্ধ দলসিংপাড়া চা বাগানে। বিশেষের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, এই এলাকায় সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধার অভাব। সেখানে মডেলিং আর‌ও অনেক দূরের বিষয়। তাছাড়া অভাবের সংসারে ভাল জামাকাপড় নেই। একটু ঠিকঠাক পোশাক কিনতে হলে যেতে হয় আলিপুরদুয়ার সদরে। মডেল হতে গেলে প্রয়োজন সঠিক প্রশিক্ষণের, যা এখানে সম্ভব ছিল না। তবুও বিশেষ হাল ছাড়েননি। যেখানেই মডেলিং শো হত সেখানে চলে যেতেন। অনুষ্ঠানগুলি থেকেই যা শেখার শিখেছেন।

আর‌ও পড়ুন: দোকানের খাবারে শুধুই বিষ! হানা দিতেই যা যা দেখা গেল

এই বিষয়ে বিশেষ বিশ্বা বলেন, বিখ্যাত মডেল হওয়া আমার জীবনের লক্ষ্য। তার জন্যই কোথাও মডেলিং শো হলে সেখানে চলে যাই। জয়ী হওয়ার লক্ষ্য থাকে না, বরং শিখতে যাই। কীভাবে নিজের হাঁটাচলা, কথাবলা, জীবনযাত্রা উন্নত করা যায় সে সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি। বালুরঘাটে সম্প্রতি একটি ফ্যাশন শো হয়েছিল। সেখান থেকে জয়ী হয়ে নিজের এলাকায় ফিরেছেন বিশেষ। গ্রামের ছেলের এই সাফল্য দেখতে ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁর জয়ে সকলেই আপ্লুত।

অনন্যা দে

Go As You Like Competition: সুভাষের বাল্য অবস্থা থেকে এখনের সমাজ, অভিনয় নাকি বাস্তবতা?

পশ্চিম মেদিনীপুর: কোথাও ছোট্ট সুভাষ ভিখারিনীকে নিজের টিফিন দিচ্ছেন, কোথাও আবার ব্যাট, বল, ফুটবল রেখে ছেলেমেয়েরা বুঁদ হয়ে আছেন মোবাইলে। আবার কোথাও পথের শিশুরা এখনও ডাস্টবিনের খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। এইসব দেখে বাস্তব মনে হলেও আদতে তা নয়।

আসলে ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়ারা ফুটিয়ে তুলেছে নানা বাস্তব চিত্র। কোথাও আবার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বর্তমান দিনে মা-বাবার ব্যস্ততার কারণে শিশুরা বিপথগামী হচ্ছে সেই দৃশ্য। আবার গ্রামীণ এলাকায় বাবা-মায়ের স্নেহ-মমতায়, আদর-যত্নে বড় হয়ে উঠছে তাদের ছেলেমেয়ে। কোথাও ছোট্ট কৃষ্ণ ননী খাচ্ছে। একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতায় সমাজের এমনই সব সচেতনতামূলক নানান ছবি ফুটিয়ে তুলেছে ছোট্ট ছোট্ট ছেলেমেয়ে থেকে বড়রা।

আর‌ও পড়ুন: নদীর জলের তোড়ে ভাঙল পারাপারের সাঁকো

পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদাতে দেউলি নজরুল সাংস্কৃতিক সংঘের আয়োজনে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছিল যেমন খুশি সাজো প্রতিযোগিতা। সমাজের সামাজিক উন্নতিতে এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন সমাজ সচেতনতামূলক দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছে কচিকাঁচা থেকে বাড়ির বড়রাও। শুধু তাই নয় তাদের অভিনয় কুশলতা এবং ভাবনা-চিন্তা আপনাকে ভাবিত করবে।

সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ, সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই ভাবনা চিন্তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।

রঞ্জন চন্দ