Bangla News: ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্ক রীতিমতো ঘিরে ধরেছে বাংলাকে। বিশেষ করে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজন তটস্থ। ঘূর্ণিঝড় দানা কোথায় আছড়ে পড়বে, কতটা তাণ্ডবলীলা চালাবে, এই সমস্ত ভেবেই অস্থির হচ্ছেন মানুষজন। তার মধ্যেই প্রশাসনের তরফ থেকে সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষজনও ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছেন। অন্যদিকে এর মধ্যেই বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন।
Tag Archives: Cyclone Dana
Cyclone Dana Latest Update: স্থলভাগ থেকে এই মুহূর্তে কতদূরে দাপাচ্ছে ‘দানা’? কতক্ষণ ধরে চলতে পারে তুমুল তাণ্ডব? সাইক্লোনের বড় আপডেট
Cyclone Dana Update: ওড়িশায় ল্যান্ডফল হবে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র, দিঘায় শুরু ঝোড়ো হাওয়া
দীপাবলীর আকাশে ‘দানা’-র অশনি সংকেত। বঙ্গোপসাগরে অতি শক্তিশালী নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। আর শক্তি বাড়িয়ে সেই ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসছে উপকূলে। এই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ ওড়িশার উপকূল। হাওয়া অফিসের রিপোর্টে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় দানা মোকাবিলায় প্রথম থেকেই তৎপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। এবার দিঘায় নামল এনডিআরএফ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ডানা মোকাবিলায় তিনটি এনডিআরএফ টিম জেলায় এসেছে। একটি টিম থাকবে হলদিয়ায়, একটি এগরায় এবং বাকি এনডিআরএফ দলটি থাকবে রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্র দিঘায়।
Cyclone Dana: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ কতটা বিপজ্জনক? কখন ল্যান্ডফল করবে? নামকরণ কীভাবে? জেনে নিন বিস্তারিত
কলকাতা: ঋতুপর্ণ ঘোষ একদা লিখেছিলেন মন খারাপ হলে কুয়াশা হয়। আবার, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে ডিপ্রেশনের বাংলা না কি নিম্নচাপ! কথাগুলোর ওঠার কারণ নিম্নচাপের দুর্যোগ যেন আর কিছুতেই পিছু ছাড়তে চাইছে না। সবাই বলবেন বিপদ যখন প্রাকৃতিক, তখন তা প্রকৃতির খেয়াল বলে মেনে নিতেই হবে। তবে উৎসবের মরশুমে নিম্নচাপ, বৃষ্টি ঘনিয়ে এলে মন খারাপ হয় বইকি। দুর্গাপুজোয় সেই আশঙ্কার মেঘ ঘনাতে ঘনাতেও কেটে গিয়েছে। এবার নজর কালীপুজোয়। তবে তার আগে সব নজর ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-য় ৷
Cyclone Dana(ঘূর্ণিঝড় দানা) Live Updates
বুধবার রাতেই শক্তি বাড়বে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র। রাত সাড়ে ১১টার পর তা ‘প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে’ পরিণত হবে, জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে শক্তি আরও বাড়বে। এই মুহূর্তে ‘দানা’র প্রভাবে সমুদ্রের উপর ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইছে। বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূল এলাকায় বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা দুই রাজ্যেই ভারি বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের কারণে তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন– ‘গুলি আমি চালাইনি’, কৃষ্ণসার হত্যা নিয়ে সলমনের মন্তব্যে নতুন করে তোলপাড় নেটদুনিয়া !
‘দানা’ গত দুই মাসে ভারতীয় উপকূলে আছড়ে পড়া দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। এর আগে অগাস্টের শেষ দিকে এসেছিল ‘আসনা’। তবে ঘূর্ণিঝড়গুলির নামের বাহার সত্যিই নজর টানে। যেমন তিতলি, বিপর্যয়, নিসর্গ, ফণি ইত্যাদি।
ঝড়ের তীব্রতা: ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, উপকূলীয় অঞ্চলে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিমি। যা সর্বাধিক ঘণ্টায় ১২০ কিমি পর্যন্ত বাড়তে পারে। ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকালের মধ্যে ঝড় আছড়ে পড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
‘দানা’-র প্রকোপ থেকে পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ আংশিকভাবে রেহাই পেলেও পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ডাউন টু আর্থ-এর তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, বালেশ্বরের কাছাকাছি বিশেষ করে ধামরা বন্দরের কাছে ‘দানা’ আছড়ে পড়তে পারে।
ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাব্য অঞ্চল থেকে কলকাতা অনেকটাই দূরে। তবে এর প্রভাব তিলোত্তমাতেও পড়বে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ২৪ অক্টোবর রাত এবং ২৫ অক্টোবর সকালে এই শহরেও ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সঙ্গে ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
২২ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের ন্যাশনাল বুলেটিনে বলা হয়েছে, “পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ গত ৬ ঘণ্টায় পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে ৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা বেগে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ২২ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় এটি এই অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত ছিল… পারাদ্বীপ (ওড়িশা) থেকে প্রায় ৬৯০ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে, সাগরদ্বীপ (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে ৭৪০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং খেপুপাড়া (বাংলাদেশ) থেকে ৭১০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে।”
আরও পড়ুন– প্রভাসকে ভালবেসে আর বিয়েই করলেন না, কোন দুই নায়িকার কথা উঠল নায়কের জন্মদিনে বুঝতে পারছেন?
বুলেটিনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, “২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। এই গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় সর্বাধিক ৬০ কিমি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” এরপর ধীরে ধীরে গতিবেগ বাড়বে, “২৪ অক্টোবর সকালে ৬০ থেকে ৭০ কিমি প্রতি ঘণ্টা থেকে সর্বাধিক ৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা এবং ২৪ অক্টোবর রাত থেকে ২৫ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত ১০০ থেকে ১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা থেকে সর্বাধিক ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছাবে। এরপর ধীরে ধীরে গতি কমে আসবে।”
পাশাপাশি বলা হয়েছে, “২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে সমুদ্রের আবহাওয়া অশান্ত থেকে অতি অশান্ত হয়ে উঠতে পারে। ২৪ অক্টোবর সকাল থেকে ২৫ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া উচ্চ থেকে অতি উচ্চ হতে পারে। এরপর ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হবে।” এই সময় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
‘দানা’ নামকরণ
WMO-এর ক্রান্তীয় সাইক্লোন নামকরণ পদ্ধতি অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-এর নামকরণ করেছে কাতার। আরবিতে ‘দানা’ শব্দের অর্থ উদারতা। অঞ্চলের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ক্রান্তীয় সাইক্লোনের নামকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ত্রাণ ব্যবস্থা
ইতিমধ্যেই ওড়িশায় ২০টি এবং পশ্চিমবঙ্গে ১৪টি এনডিআরএফ দল মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে নৌবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডও। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া এবং ওড়িশার পারাদ্বীপে হেলিকপ্টার এবং দূরবর্তী অপারেটিং স্টেশন তৈরি করেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড। ওড়িশা সরকারের এক কর্তা সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ২০টি এনডিআরএফ দলের পাশাপাশি ওড়িশা ডিজাস্টার র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (ওড্রাফ)-এর ৫১টি দল এবং ১৭৮টি অগ্নিনির্বাপক দলও ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে।
ওড়িশা সরকার ১৪টি জেলার ৩,০০০ গ্রাম থেকে ১০ লক্ষের বেশি মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বলে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৪টি জেলায় বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
Mobile Use In Cyclone Dana: আতঙ্কের সাইক্লোন দানা, যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে সতর্কতা! ঝড়ের সময় ফোনের ব্যবহার নিয়ে সাবধান
Cyclone Dana update: উড়বে না কোনও বিমান, দানার আশঙ্কায় কতক্ষণ বন্ধ থাকবে কলকাতা বিমানবন্দর? বড় ঘোষণা
Cyclone Dana in Kolkata: ধেয়ে আসছে ‘দানা’, কলকাতায় এবার এমন কিছু হতে পারে, শুনে শিউরে উঠবেন! খুব সাবধান, বড় সতর্কবার্তা
Cyclone Dana Update: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়! আবহাওয়ার খেলা শুরু! দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি কতদিন? দিন-তারিখ বলে দিল আলিপুর
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি
Electronic Devices: বাজ পড়লেও আর চিন্তা নেই, সুরক্ষিত থাকবে টিভি, ফ্রিজ, মোবাইল! শুধু করতে হবে ‘এই’ ছোট্ট কাজ
Cyclone Dana Alert: শক্তি আরও বাড়াবে সাইক্লোন, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায়
বীরভূম: আবার ধেয়ে আসছে সাইক্লোন ‘ দানা’। আবহাওয়া দফতরের বার্তার দিকেই তাকিয়ে আছেন বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দারা।ঠিক কত পরিমাণ বৃষ্টি হবে, কতটা বিপদের মধ্যে পড়তে হবে!আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে কুয়ে নদী সংলগ্ন প্রায় ১৫টি গ্রাম।
যদিও বীরভূম জেলা প্রশাসন ও লাভপুরের স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্যোগ মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।বিপর্যয় মোকাবিল টিম-সহ পঞ্চায়েত কর্মীদের ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে।
Cyclone Dana(ঘূর্ণিঝড় দানা) Live Updates
চলতি বছরের আগস্টের পর সেপ্টেম্বর এক মাসের ব্যবধানেই তিনটি বাঁধ ভেঙে বন্যা কবলিত ঠিবা অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম তার মধ্যে বলরামপুর, চতুর্ভুজপুর, কাঁদরকুলা, রামঘাঁটি, জয়চন্দ্রপুর, শীতলগ্রাম কার্যত বিধ্বস্ত।
পুজোর আগে থেকেই বৃষ্টির জল কমতেই লাভপুরে কুয়ে নদী স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে নদীর তীরবর্তী স্থানীয় বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই দ্রুততার সঙ্গে বস্তা ভরতিবালি, মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন – Cyclone Dana Landfall: বিদ্যুতের তার সাইক্লোনে মারাত্মক হয়ে ওঠে, মরণ ফাঁদ না হয়ে ওঠে, জোরকদমে তৎপর প্রশাসন
হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন, লাভপুর পঞ্চায়েত সমিতি, সেচ দফতর সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে উন্নত প্রযুক্তিতে স্থায়ীভাবে বাঁধ কবে নির্মাণ হবে। কবেই বা জল ঢোকা বন্ধ হবে গ্রামের পর গ্রামে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বিধ্বস্ত হওয়া গ্রামবাসীরা।
নতুন করে আবারও নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে সংকেত ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বেগ বাড়ছে লাভপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাসিন্দাদের।জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা যায়, কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙে শুধু ঠিবা অঞ্চলেই কৃষি জমির ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৩৯২ হেক্টর।আর লাভপুর ব্লকে কৃষি জমির ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২১৬৬ হেক্টর জমি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ফসল বিমা-সহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধার আবেদন জমা নেওয়া হয়েছে।শীঘ্রই ক্ষতিগ্রস্তরা সুবিধা পাবেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন হওয়ায় কিছুটা হলেও স্থানীয় বাসিন্দারা সব হারিয়ে আবারও নতুনভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। এই সময় আবারও নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ের কারণে লাভপুর জলমগ্ন হয়ে যায় উৎকণ্ঠায় সকলে।সবার একটাই প্রার্থনা বৃষ্টিপাত হলেও যেনস্বাভাবিক থাকে সবকিছু।
Souvik Roy