Tag Archives: Decoity

Jewellery Shop Theft: বজবজের পর জয়নগর, ফের সোনার দোকানে লক্ষাধিক টাকার চুরি

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোনার গয়নার দোকানে চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় যেন বিরাম নেই। বড় থেকে ছোট সমস্ত ধরনের গয়নার দোকানে একের পর এক চুরি, ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। কদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়েছিল‌ এবার ওই জেলার‌ই জয়নগরে গয়নার দোকানে লক্ষাধিক টাকার চুরি হল।

বজবজে দিনে দুপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গোটা জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। তার ক’দিনের মধ্যেই এবার রাতের অন্ধকারে জয়নগরে সোনার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটল। অথচ গত সপ্তাহেই জয়নগর থানার পক্ষ থেকে জয়নগর রুপ অরূপ মঞ্চে এলাকার বিভিন্ন সোনার দোকানদার ও ব্যাঙ্ক কর্মীদের নিয়ে একটি সচেতনামূলক বৈঠক হয়েছিল। বারুইপুর এসডিপিও-র তরফেও সোনার দোকানে চুরি-ডাকাতি ঠেকাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরা হয়। তারপরেও এমন ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত জয়নগর সহ গোটা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার গয়না ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন: সামান্য ঝড়-বৃষ্টিতেই উপড়ে পড়ল গাছ, ব্যাপক যানজট শহরে

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিলিপাড়া বাজার এলাকায় সাহিল জুয়েলার্সে বুধবার গভীর রাতে চুরি হয়। সেই সময় বাইরে বৃষ্টি পড়ছিল। দোকানের ছাদের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে একদল দুষ্কৃতী কয়েক লক্ষ টাকার সোনা ও রুপোর গয়না এবং নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। যাওয়ার সময় দোকানের কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।

এদিন সকালে দোকান খুলতেই চুরির বিষয়টি টের পান দোকানের মালিক। সঙ্গে সঙ্গে জয়নগর থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে জয়নগর থানার পুলিশ এসে পৌঁছয়। সমস্ত কিছু খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করে তাঁরা তদন্তের কাজ শুরু করেছেন। এদিন ওই গয়নার দোকানের মালিক বলেন, দোকানে প্রতিদিন রাতে থাকতাম। কিন্তু ছেলে অসুস্থ থাকায় এদিন রাতে দোকানে না থেকে বাড়িতে ছিলাম। আর তাতেই চরম সর্বনাশ হয়ে গেল। সকালে দোকান খুলে দেখি শোকেস, ড্রয়ার থেকে সোনার ও রুপোর সব গয়না চুরি হয়ে গেছে। সঙ্গে নগদ সাত হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে গেছে। প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকার জিনিস চুরি হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে দোকানের সিন্দুক ভাঙার চেষ্টা করলেও দুষ্কৃতী দল শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় বলে দোকান মালিক জানিয়েছেন।

জেলার একের পর এক গয়নার দোকানে চুরি-ডাকাতি হতে থাকায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন গয়না ব্যবসায়ীরা। তাঁরা এই বিষয়ে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।

সুমন সাহা

Helmet Ban: বেড়ে চলা ডাকাতি ঠেকাতে সোনার দোকানে হেলমেট পরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে গয়নার দোকানে চুরি ও ডাকাতির ঘটনা। সেই সঙ্গে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে নিয়ে যাওয়া অথবা টাকা জমা দেওয়ার সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ পদক্ষেপ পুলিশের।

এদিন বারুইপুরের সোনার তরী কমপ্লেক্সে বারুইপুর পুলিশ জেলার অন্তর্গত স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করেন পুলিশ কর্তারা। সেখানে সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা নিয়ে আলোচনা হয়। বিভিন্ন রকম সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মতের আদান-প্রদান হয়। এই বৈঠকে বারুইপুর পুরসভার আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

আর‌ও পড়ুন: বাজারে সবজির দামে আগুন, চাষিদের ভাগ্যে জুটছে না কিছুই

যেভাবে একের পর এক সোনার দোকানে চুরি ও ডাকাতি হচ্ছে তাতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এই সমস্ত ঘটনায় যাতে হ্রাস টানা যায় সেই বিষয়ে বারুইপুরের এসডিপিও অতীত বিশ্বাস বেশকিছু মূল্যবান পরামর্শ দেন এই বৈঠকে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলি আবার খতিয়ে দেখা হবে। প্রত্যেকটা দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো বাধ্যতামূল। সিসিটিভি ক্যামেরায় ঠিকমতো রেকর্ডিং হচ্ছে কিনা সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে, রেকর্ডিং স্টোরেজের জায়গা সেই দোকান ছেড়ে অন্য জায়গায় রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

সেইসঙ্গে প্রতিটি দোকানে ও ব্যাঙ্কে অ্যালার্ম সিস্টেম রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ফোনের ইমার্জেন্সি ডায়ালে নিকটতম পুলিশ আধিকারিকদের ফোন নম্বর সেভ করে রাখতে হবে। হেলমেট এবং মুখে মাস্ক পরে দোকানে ঢোকা নিষিদ্ধ করার কথা বলেন তিনি। দোকানের সামনে যে কাঁচের দরজা থাকে তাতে কোন‌ওরকম পর্দা বা ব্ল্যাক ফ্লিম না লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে বাইরে থেকে সবটা পরিষ্কার দেখা যায়। সেই সঙ্গে পুরানো সোনা কেনার ব্যাপারে অনেক বেশি সতর্ক ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে দোকানদারদের। সন্দেহজনক কিছু মনে হলেই সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেন তিনি।

সুমন সাহা

Special Bike Squad: সোনার দোকানে ডাকাতি থেকে শিক্ষা, শিল্পাঞ্চল জুড়ে বিশেষ বাইক বাহিনীর টহলদারি

পশ্চিম বর্ধমান: রানিগঞ্জের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিল পুলিশ। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই সোনার দোকান থেকে ডাকাত দল কয়েক কোটি টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছিল। তারপর পুলিশ আধিকারিকের সামনা সামনি হয়ে বেপরোয়াভাবে পিস্তল থেকে গুলি ছুড়তে থাকে। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, এই ডাকাতির আগে দীর্ঘদিন ধরে রেকি করা হয়েছিল। এরপরই নিরাপত্তা জোরদার করতে বিশেষ বাইক বাহিনীর টহলদারি শুরু হল।

সোনা দোকানের এই ডাকাতির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট। করা হয়েছে বড় পদক্ষেপ। যে ছবি ধরা পড়েছে কাঁকসা থানা এলাকায়। নজরদারি বাড়ানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ টিম। আনা হয়েছে বিশেষ বাইক। কাঁকসা থানা এলাকায় দেখা গিয়েছে ব্যস্ত সময়ে বাজার এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে পুলিশের বাইক বাহিনী। যাতে করে এই ধরনের দুষ্কৃতী কার্যকলাপ রুখে দেওয়া যায়, তার জন্যই এমন পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: বৃষ্টির অভাবে মাছের দেখা নেই ভাগীরথীতে, মৎস্যজীবীদের পেটে টান

কাঁকসা থানা এলাকায় দেখা গিয়েছে বিশেষ বাইকে চেপে পুলিশের কর্মীরা টহলদারি চালাচ্ছেন। মূলত ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউট অর্থাৎ ব্যাঙ্ক, গোল্ড লোন সংস্থা ইত্যাদির নিরাপত্তার স্বার্থেই এই নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাজার এলাকায় যে সমস্ত সোনা-রুপোর দোকানগুলি আছে তাদের সামনেও টহলদারি চালাচ্ছে এই বিশেষ টিমের সদস্যরা। এই বিষয়ে কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল জানান, গত ১০ থেকে ১৫ দিন ধরে এই টহলদারি শুরু হয়েছে এবং এই টহলদারি চলবে প্রতিদিন।

প্রসঙ্গত, রানীগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার পরে বেশ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। মূলত যেভাবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই কোটি টাকার সোনা এবং হীরের গরনা নিয়ে ডাকাত দল চম্পট দিয়েছিল, তাতে নিরাপত্তার অভাববোধ করছিলেন অনেকেই। বিষয়টি বুঝেছিলেন জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও। আর তারপরই পুলিশের এই বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে নিরাপত্তা স্বার্থে।

নয়ন ঘোষ

West Bengal news decoity: আবার সোনার দোকানে দুঃসাহসী ডাকাতির ঘটনা, আসানসোলের পরে এবার ডোমজুরে

হাওড়া: ফের সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা। আসানসোলে দুঃসাহসীর ঘটনার রেশ কাটার আগেই ভয়ঙ্কর ডাকাতির ঘটনা ঘটল হাওড়াতে।

জানা গিয়েছে মঙ্গলবার দুপুরে ডাকাতদের একটি দল ডোমজুরের একটি সোনার দোকানে হানা দেয়। তারপরে দোকানের মালিক এবং কর্মচারীদের বন্দুক দিয়ে ভয় দেখানো হয়, বন্দুকের বাট দিয়ে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরে বন্দুক দেখিয়ে সেই কর্মচারীদের বেঁধে দোকানটিতে যথেচ্ছ লুটপাট চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। যদিও ঠিক কত টাকার সোনাদানা লুট করা হয়েছে তা জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: বড় বিপর্যয়, বন্ধ করে দেওয়া হল সিকিম-বাংলা সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

জানা গিয়েছে দুস্কৃতীর দলটিতে ৬ থেকে ৭ জন ছিলেন। সোনা এবং রুপোর গয়না লুট করে বাইকে করে আমতা রোড ধরে দিল্লি রোডের দিকে চম্পট দেয় ডাকাতের দলটি। ডাকাতির পরে  ঘটনার কথা জানতে পেরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ডোমজুর থানার পুলিশ এবং হাওড়া সিটি পুলিশ নাকা তল্লাশি শুরু করেছে দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য।

আরও পড়ুন: বোপরোয়া ডাকাতের সঙ্গে একা লড়ে নায়ক হয়েছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর মেঘনাদ, গ্রেফতার এখনও দুই

ক’দিন আগেই রানিগঞ্জে দুঃসাহসী ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় ৭ জন ডাকাতের সঙ্গে একা লড়াই করেছিলেন এক পুলিশ কর্মী। তার পরে আবার একই ভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটল রাজ্যে।