Tag Archives: Election Results

Lok Sabha Elections Results 2024 TMC: মালদহে জেলার সব বিধানসভায় কেন ভরাডুবি তৃণমূলের? প্রশ্ন দলেরই অন্দরে

মালদহ: রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের জয় জয়কারের মধ্যেও ‘ভরাডুবি’ মালদহে। রাজ্যে তৃণমূলের সবচেয়ে শোচনীয় ফল উত্তরবঙ্গের এই জেলায়। জেলায় দুই লোকসভা আসনের একটিতে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। অন্যটিতে জয় বিজেপির। তৃণমূলের ভাড়ার ‘শূন্য’। জেলার ১২টি বিধানসভার সবকটিতেই পিছিয়ে রাজ্যের শাসক দল।

২০২১ বিধানসভায় জেলার ১২ বিধানসভা আসনের মধ্যে আটটিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল। অথচ, ২০২৪ এর নির্বাচনে জেলার কোনও লোকসভা আসন  জিততে না পারার কাঁটা থেকেই গেল শাসকদলের অন্দরে। তৃণমূলের আরও উদ্বেগের কারণ, জেলার সমস্ত বিধানসভায় এবারের লোকসভার ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল। এরমধ্যে রয়েছে নিজেদের জেতা আটটি বিধানসভাও। শুধু তাই নয়, মালদহে তৃণমূলের দখলে থাকা মানিকচক, মোথাবাড়ি এবং বৈষ্ণবনগর বিধানসভায় তৃণমূল চলে গিয়েছে একেবারে তৃতীয় স্থানে।

আরও পড়ুন: মায়ের মৃত্যুতে চোখে জল নয়, বরং ব্যান্ড-ডিজে বাজিয়ে মহানন্দে শেষযাত্রা পরিবারের

নিজেদের দখলে থাকা সুজাপুর বিধানসভায় কংগ্রেসের চেয়ে ৮৩ হাজার ৬২৯ ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস। নিজেদের জেতা মানিকচক বিধানসভায় বিজেপির থেকে ৪৮ হাজার ৭১০ ভোটে পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে তৃণমূল। মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিধানসভা কেন্দ্র মোথাবাড়িতে তৃণমূল পিছিয়ে ৪৫ হাজার ৬৮৮ ভোটে। বৈষ্ণবনগর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী বিজেপির চেয়ে ৪০ হাজার ৯৮৭ ভোটে পিছিয়ে। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র রতুয়ায় কংগ্রেসের চেয়ে তৃণমূল পিছিয়ে ৩৩ হাজার ৮৫৯ ভোটে। দলকে লিড এনে দিতে ব্যর্থ তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীও। তাঁর মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল পিছিয়ে ১৫ হাজার ৯২১ ভোটে। এমনকি নিজের বুথেও জিততে পারেননি তৃণমূল জেলা সভাপতি। জেলার আরেক মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বিধানসভা হরিশ্চন্দ্রপুরে চার হাজার ৩৪৩ ভোটে পিছিয়ে তৃণমূল।

আরও পড়ুন: চিরাগ পাসোয়ান থেকে কুমারস্বামী- মোদির মন্ত্রিসভায় কারা? বাংলা থেকেই বা কে মন্ত্রী হতে পারেন?

জেলার ১২ টি বিধানসভার মধ্যে ছয়টিতে এগিয়ে কংগ্রেস। ছয়টিতে বিজেপি। ইংরেজবাজার বিধানসভায় বিজেপি তৃণমূলের চেয়ে ৯৮ হাজার ৪০৪ ভোটে লিড পেয়েছে। মালদহ বিধানসভায় তৃণমূল পিছিয়ে ৬৩ হাজার ৪২৯ ভোটে। অন্যদিকে গাজোল বিধানসভায় ৩৮ হাজার ৮৭১ এবং হবিবপুর বিধানসভায় ৩৬ হাজার ৯৫২ ভোটে বিজেপির চেয়ে পিছিয়ে শাসক দল তৃণমূল। দলের ভরাডুবি হতেই জেলা তৃণমূলে শুরু হয়ে গিয়েছে চাপানউতর। কাঠগড়ায় জেলা নেতৃত্ব। দলের জেলা সভাপতি এবং জেলা চেয়ারম্যানকে নিশানা করে মুখ খুলছেন তৃণমূলের জেলার একাধিক নেতা। যদিও তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ভোটের ফল এতটা খারাপ কেন তা পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। পর্যালোচনার আগে এবিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।

Lok Sabha Election results: মালদহে তৃণমূলের ফল নিয়ে মুখ খুললেন দলের সংসদ মৌসম বেনজির নূর

মালদহ: বিস্ফোরক তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ মৌসম বেনজির নূর। মালদহে দলের ভরাডুবি নিয়ে সরব মৌসম। দলের জেলা নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় তুললেন মৌসম। জেলায় কোনও বিধানসভায়, কোনও ব্লকে দলের লিড নেই। এমন ফল ভাবতে পারেননি মৌসম। বিধায়ক, মন্ত্রী, জেলা সভাপতিদের বুথেও হার। ‘দল যাঁদের দায়িত্ব দিয়েছিল, যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, ওঁরা কী করলেন?’ কটাক্ষ মৌসমের।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে যারা ঘুরতে যেতে যান তাদের জন্য সুখবর, বাড়ছে স্পেশ্যাল ট্রেনের সংখ্যা

“উত্তর মালদহ আসন জেতার মত অবস্থায় ছিল দল। উত্তর মালদহে বাইরে থেকে প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মৌসম। উত্তর মালদহে প্রার্থী নিয়ে কর্মীদের ক্ষোভ ছিল। বাইরে থেকে প্রার্থী নিয়ে অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন। পরে কর্মীরা নামলেও, ভোটাররা প্রার্থী মেনে নিতে পারেনি”, বললেন মৌসম। শুধু তাই নয়, তাঁর মতে, খারাপ ফলের জন্য জেলা নেতৃত্বের ব্যর্থতায়  দায়ী, মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক অনেক চেষ্টা করেছেন। সঙ্গে তাঁর আরও প্রশ্ন, গোটা রাজ্যের নেত্রীর ওপর আস্থা রয়েছে, অথচ মালদহে কোথায় ঘাটতি?

দলের ফলাফল নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার নিরিখে নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেবেন বলে জানিয়েছেন মৌসম। ২০২১ সালের মৌসমের সভাপতিত্বে মালদহ জেলার ১২টি বিধানসভার মধ্যে আটটিতে জয় পায় তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গ তুলে মৌসম বলেন, “জেলা সভাপতি থেকে দলকে ভালো রেজাল্ট দিয়েছিলাম। এবার কেন এত খারাপ ফল? ব্লক, বিধানসভা ধরে ধরে পর্যালোচনা করা উচিত”।

উল্লেখ্য, এবার লোকসভায় উত্তর মালদহ আসনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন মৌসম। এজন্য প্রস্তুতিও শুরু করেন তিনি। কিন্তু, শেষমুহূর্তে মালদহ উত্তরে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে তৃণমূল। প্রার্থী ঘোষণার পরেই এনিয়ে আক্ষেপ জানিয়েছিলেন মৌসম। নিজে ভোটে দাঁড়ালে বিজেপিকে হারাতে পারতেন, এমনটাই আক্ষেপ ছিল মৌসমের। ফল প্রকাশের পরেও বিজেপিকে হারাতে না পারা নিয়ে হতাশ মৌসম। মালদহে ফলপ্রকাশ হতেই ক্ষোভের সুর তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৌসমের গলায়। আগামী বিধানসভায় ভালো ফলের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতির প্রয়োজন, মত মৌসমের। যদিও মৌসুমের কটাক্ষ নিয়ে মন্তব্যে নারাজ মালদা জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। তিনি বলেন, “এখনও পর্যালোচনা করে উঠতে পারিনি। পর্যালোচনার পরেই বলতে পারব জেলায় দলের বিপর্যয় কেন?”

Lok Sabha Elections 2024 Results: জয়ের পরেই কামারপুকুরে পুজো, পরিবারকে পাশে নিয়ে উচ্ছ্বাস মিতালী বাগের

হুগলি: যেদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন আরামবাগ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন মিতালী বাগ তার পরের দিনেই সকাল সকাল কামারপুকুর মঠে এসে পুজো দিয়েছিলেন মিতালী। আর লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার পরে দিনেই সকালে আবারও মাকে নিয়ে কামারপুকুর মাঠে এসে পুজো দিলেন তৃণমূলের আরামবাগ প্রার্থী মিতালী বাগ।

মঙ্গলবার দিনভর টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে এগিয়েছে নির্বাচনী ফলাফল। আরামবাগ লোকসভায় দুই বার স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি এসে সভা করেছিলেন। অনেকেই মনে করছিল আরামবাগে এবার মোদী ম্যাজিক হবে। তবে সেইসব তত্ত্বকে ভুল প্রমাণিত করে পদ্ম ছাপিয়ে আরামবাগে ফুটেছে ঘাসফুল। ৬ হাজার ৩৯৯ ভোটে আরামবাগ থেকে জয়লাভ করেন তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগ , তার পরই বুধবার সকাল সকাল মা ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কামারপুকুর মঠে উপস্থিত হন মিতালি।

আরও পড়ুনElections Results 2024: ভোটে জিতলেন স্বামী, সুন্দরী বিদেশি তারপর যা করলেন…চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না!

এই দিন ঠাকুর রামকৃষ্ণের চরণে ফল অর্পণ করে পুজোদেন তিনি। তিনি জানান শিবরাত্রির দিন কামারপুকুর মঠে উপস্থিত থাকার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওনাকে ডেকে ছিলেন। তাকে প্রার্থী করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। তাই ওনার সঙ্গে কামারপুকুর মঠের প্রতি একটা আধ্যাত্মিক যোগ আছে বলে তিনি মনে করেন।তাই প্রার্থীর ঘোষণার পরেই তিনি মঠে পুজোদিয়েছিলেন। আবার জয়ের পরেই তিনি কামারপুকুর মঠে পুজোদিতে এসেছেন বলে জানান।

রাহী হালদার

Narendra Modi on Election Results 2024 : লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পরে প্রথম প্রতিক্রিয়া নরেন্দ্র মোদির, কী বললেন তিনি?

নয়াদিল্লি: লোকসভায় মনের মতো ফল করেনি বিজেপি, ৪০০ পার করার লক্ষ্যমাত্রা রাখলেও আপাতত যা ট্রেন্ড তাতে কোনও রকমে যাদু সংখ্যা পার করেছে এনডিএ। তার পরে এই প্রথম প্রতিক্রিয়া জানালেন নরেন্দ্র মোদি।

এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, “টানা তৃতীয় বার মানুষ এনডিএ-র উপর ভরসা রেখেছেন। এটা ভারতের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মানুষ যে ভরসা রেখে তাতে আমরা কৃতজ্ঞ, আমরা গত এক দশকে যেমন কাজ করেছি, তেমনই ভাল কাজ করার আশ্বাস দিচ্ছি”।

আরও পড়ুন: ওড়িশায় বিজেপির কাছে চাপে বিজেডি, লোকসভায় পিছিয়ে থাকলেও বিধানসভায় লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী ‘পাপ্পু’

দেশ জুড়ে কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে গেরুয়া ঝড়। হিন্দি বলয়েও আশানুরূপ ফল করতে পারেনি বিজেপি। একটা সময়ে যাদু সংখ্যা পেরোতেও হিমশিম খাচ্ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। শুধু তাই নয়, অযোধ্যার লোকসভা কেন্দ্র ফৈজাবাদেও বিপুল ভোটে হারতে হয়েছে বিজেপিকে। বাংলায় প্রচুর সভা করেও আশানুরূপ ফল পায়নি বিজেপি। তাই টানা তৃতীয় বার সরকারে থাকলেও কিছুটা চাপে রয়েছে বিজেপি।

২০১৯ সালের লোকসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার জন্য মন্ত্রিসভায় অনেক বেশি প্রাধান্য পেয়েছিলেন বিজেপির সাংসদরা। কিন্তু এ বার এনডিএ সরকারে বিজেপির পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হবে শরিক দলগুলোকেও, বিশেষ করে নীতীশ কুমারের আরজেডি এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর টিডিপিকে।

Bihar Election Result 2024 : বিহারে ১৫টি আসনে এগোতেই নীতীশের সঙ্গে যোগাযোগ কংগ্রেসের, সরকার গঠনে বড় ভূমিকা নিতে পারে জেডিইউ

পটনা: দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চাপে পড়লেও বিহারে ভাল ফল করতে পারে এনডিএ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিহারে ৪০টি আসনের মধ্যে ১৬টি আসনে লড়ে ১৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে জেডিইউ, ১৩টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। সেই সঙ্গে ৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে এলজেপিআরভি।

সারা দেশের ট্রেন্ড থেকে বোঝা যাচ্ছে বেশ লড়াই করছে ইন্ডিয়া জোট। ৫৪৩টি আসনের লোকসভায় ২৯৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ, পাশাপাশি ২২৮টি আসনে এগিয়ে ইন্ডিয়া জোট। কেন্দ্রে ১৫টি আসনে জিততে পারলে সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে নীতীশ কুমারের জেডিইউ। সরকার গঠনে বার বার ভূমিকা নিয়েছে নীতীশ, কংগ্রেস হোক বা বিজেপি, বার বার জোট বদলেছে জেডিইউ।

আরও পড়ুন: ওড়িশায় বিজেপির কাছে চাপে বিজেডি, লোকসভায় পিছিয়ে থাকলেও বিধানসভায় লড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী ‘পাপ্পু’

২০২০ সাল থেকেই তিন বার জোট বদলে চলতি বছর বিজেপির সঙ্গে জোট গড়েছেন নীতীশ। তাই এ বার নীতীশ কোন দিকে যাবেন তাই নিয়েই রয়েছে প্রশ্ন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও ১৬টি আসন জিতেছিল জেডিইউ। এ বার ট্রেন্ড অনুযায়ী আসন সংখ্যা কমেছে বিজেপির।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৪৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ৯৪টি আসনে। সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭৩টি আসন। তাই কেন্দ্রে সরকার গঠনে এ বার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে এনডিএর ছোট শরীক দলগুলি। সেই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, বিজেপির সঙ্গে থাকবেন তো নীতীশ?