Tag Archives: Kite

Bengali News: চিনা মাঞ্জায় মরণ ফাঁদ, মানুষ থেকে পাখি নিস্তার নেই কারোর

হাওড়া: নিষিদ্ধ চিনা মাঞ্জায় শুধু যে মানুষের বিপদ হচ্ছে তা নয়, পাখিরাও এর বাড়াবাড়িতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে। উৎসবের রেশ ফিকে হলেও চিনা মাঞ্জার দাপটে প্রাণহানির ঘটনা লেগেই রয়েছে। পুলিশ নজরদারি চালিয়েও পুরোপুরি ঠেকিয়ে উঠতে পারেনি।

আরও পড়ুন: জটিল রোগ নিয়ে জন্মানো সদ্যজাতদের এবার জেলাতেই উচ্চমানের চিকিৎসা

বিশ্বকর্মা পুজো বা পৌষ পার্বণে ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। একসময় ঘুড়ি ওড়াতে ব্যবহার হত সুতির সুতো। কিন্তু বর্তমানে ঘুড়ি ওড়াতে ব্যবহার হচ্ছে চিনা মাঞ্জার সুতো। যে সুতো দীর্ঘদিন গাছপালায় আটকে থাকে, সহজে নষ্ট হয় না। এতেই বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে পশু-পাখি, এমনকি মানুষের। এই মারাত্মক সুতোয় আটকে গ্রামাঞ্চলে শয়ে শয়ে পাখি প্রাণ হারাচ্ছে।

ঘুড়ি ওড়ানোর মরশুম চলে গেলেও চিনা মাঞ্জা থেকে বিপদ এখনও দূর হয়নি। কারণ ঘুড়ির সুতো এখনও নানান জায়গায় গাছে, বিভিন্ন পোস্টে আটকে আছে। এগুলো লাইলন সুতা দিয়ে তৈরি হওয়ায় সহজে নষ্ট হয় না। ফলে খাবার খুঁজতে গিয়ে কাক, পায়রা, বক মাছরাঙার মত পাখিরা এই সুতোয় আটকে পড়ে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। আবার রাতের অন্ধকারে বাদুড়, পেঁচা’র মত নিশাচররাও এই চিনা মাঞ্জার সুতোয় বিপদে পড়ছে। আন্য দিকে জলা জঙ্গলে মাটিতে পড়ে থাকা সুতোয় বন্য প্রাণীরা আটকে পড়ছে। এই সুতোয় জড়িয়ে সাইকেল, বাইক আরোহীরা মৃত্যু মুখে পর্যন্ত পড়ছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই প্রসঙ্গে পরিবেশকর্মী শুভজিৎ মাইতি জানান, এই চিনা মাঞ্জা মারাত্মক ক্ষতিকারক। সারা বছরে কত পশু-পাখি এর জন্য মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে তার হিসাব থাকে না। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ঘুড়ি ওড়াতে ব্যবহার হতো সুতির সুতো। সেই সুতো শিশির, রোদ জলে পড়ে অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু এই চিনা মাঞ্জা সুতো মাসের পর মাস অবিকৃত অবস্থায় থেকে যায়। তাতেই যত বিপদ ঘটছে। নিষিদ্ধ হলেও বিভিন্ন দোকানে নিশ্চিন্তে বিক্রি হচ্ছে চিনা মাঞ্জার সুতো।

রাকেশ মাইতি

Kite Festival: সরস্বতী পুজোর নীল আকাশ ছেয়ে যাবে ভালবাসার ঘুড়িতে!

জলপাইগুড়ি: রাত পোহালেই সরস্বতী পুজো, সেইসঙ্গে প্রেম দিবসও বটে। এবার ভ্যালেন্টাইনস ডে’র দিনই হবে বাগদেবীর আরাধনা। আর সেই উপলক্ষে বুধবার তিস্তা পাড়ে উড়বে ভালবাসার ঘুড়ি।

আরও পড়ুন: ৫ হাজার টাকা করে দেবে রাজ্য! সমুদ্রসাথী’র ঘোষণায় খুশি মৎস্যজীবীরা

মূলত বিশ্বকর্মা পুজোতেই ঘুড়ি ওড়ার চল আছে। তবে জলপাইগুড়ির তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা রীতি মেনে সরস্বতী পুজোতেও লাটাই নিয়ে নেমে পড়েন মাঠে। ঘুড়ির ঝাঁকে আকাশ রঙিন হয় পাড়ায় পাড়ায়। তবে ক্রমশই এই ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি যেন হারিয়ে যাচ্ছে। পুনরায় ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে সরস্বতী পুজোর দিন ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ফলে বুধবার দুপুর থেকেই ভোকাট্টা ধ্বনিতে মুখরিত হতে চলেছে জলপাইগুড়ির জুবলি পার্ক।

১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিনে আকাশে ভাসবে লাল, নীল সহ বিভিন্ন রঙের, নানা ধরনের, রকমারি আকারের ঘুড়ি। আবার সেই কৈশোরের স্মৃতি উস্কে তিস্তা পাড়ের নীল আকাশ হয়ে উঠবে রং-বে-রঙের ঘুড়ির মুক্তাঞ্চল। শহরের ইতিহাসকে বর্তমানে প্রাসঙ্গিক করতে সরস্বতী পুজোর দিন ঘুড়ি উৎসব এবং প্রতিযোগিতার আয়োজন করল জলপাইগুড়ির এক সংস্থা। এখন সেই উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। তৈরি হচ্ছে নানা রঙের এবং আকারের ঘুড়ি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

শুধু উৎসব আয়োজন করাই নয় ঘুড়ির ঐতিহ্যকেও ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট তৎপর এই সংস্থার সদস্যরা। মানুষের মুখ থেকে হারিয়ে যাওয়া চাঁদিয়াল, ময়ূরপঙ্খী, চৌরংগী, পেটকাটির পাশাপাশি উড়োজাহাজ, বাক্স ঘুড়িও থাকবে এই ঘুড়ি উৎসবে।

সুরজিৎ দে

Makar Sankranti 2024: পৌষ পার্বণের নীল আকাশে পাখির মতো উড়বে ঘুড়ি! কোনটা ট্রেন্ডিং এবার? জানুন

রাকেশ মাইতি, হাওড়া : আবার বাড়ছে ঘুড়ির চাহিদা! পৌষের নীল আকাশে পাখির মতো ভেসে বেড়াচ্ছে রংবেরঙের ঘুড়ি। মুঠোফোন ছেড়ে আবার শীতের দুপুরে গায়ে রোদ মেখে ঘুড়ির সুতোয় শান দিচ্ছে নতুন প্রজন্ম। ছেলে বুড়ো মিলেমিশে একাকার এ সময়। পিঠে উৎসবের আগে ঘরে ঘরে চলছে পিঠের তোড়জোড়। সব দিক থেকে গ্রামাঞ্চলে এই তিন দিনের পিঠের উৎসব দারুণ আকর্ষণের।

এই পার্বণে নতুন প্রজন্ম মেতে থাকে ঘুড়ি সুতোয়। একদিকে যেমন পরিবারের মা কাকিমা ঠাকুমা চরম ব্যস্ত থাকেন। ঠিক তেমনই  ঘুড়ি নিয়ে ব্যস্ত থাকে কচিকাঁচারাও। এ ছবি দীর্ঘ দিন দশকের পর দশক ধরে চলছে। তবে গত কয়েক বছর নতুন প্রজন্ম ঘুড়ির উৎসব থেকে অনেকটাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। স্মার্টফোন বা অনলাইন গেম আসক্তির কারণে। তবে এবার গেমের আসক্তি কমে চাহিদা বেড়েছে ঘুড়ির সুতোর।

পুজোর পর থেকেই দোকানে দোকানে যেমন ঘুড়ির সুতোর পসরা সেজেছে। তেমনি সেই ঘুড়ি সুতো কিনতে দারুণ আগ্রহ দেখাচ্ছে নতুন প্রজন্ম। এ প্রসঙ্গে বিক্রেতা জানান, এবার পৌষ পার্বণের অনেক আগে থেকেই দারুণ বিক্রি ঘুড়ি সুতো। এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি রয়েছে পার্বণের। ফলে আরও বাড়বে ঘুড়ির চাহিদা।

বাঁদর ঘুড়ি ওড়াচ্ছে ! অবাক কান্ড দেখে হাসির ফোয়ারা সোশ্যাল মিডিয়াতে

আমাদের দেশে নতুন বছরের শুরুতেই হিন্দুদের মহা উৎসব মকরসংক্রান্তি শুরু হয়ে যায়। সব বয়সের লোকেরাই এই উৎসবে পরিপূর্ণভাবে যোগদান করে বিশেষ করে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্করা। ভিন্ন রঙের , ভিন্ন আকারের ঘুড়ির বাহারে আকাশ রঙের খেলায় মেতে ওঠে। প্রীতিটি বাড়ির ছাদে লোকেদের জমায়েত এবং সঙ্গে চলে খাওয়া দাওয়া ও গান বাজনা। সত্যি এইসব সুন্দর মুহূর্তকে ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আমাদের দেশে এমন দৃশ্য সবার কাছেই খুবই পরিচিত। এমন উৎসবের পরিবেশে আপনি কি কখনও বাঁদরকে ঘুড়ি ওড়াতে দেখেছেন ?

ছোট থেকেই আমরা আমাদের চারিপাশে বাঁদরদের এমন অনেক কীর্তিকলাপ দেখেছি যা আমাদের হতবাক করে দেয়। ইন্টারনেটও বাঁদরের অনেক মজার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে আমরা তাদের মানুষের মতোই এমন অনেক কাজ করতে দেখেছি যা আমাদের চোখকে অবাক করে দিয়েছে। বাঁদরের হাস্যকর সব ক্লিপ আজও আমাদের প্রানখুলে হাসতে এবং আমাদের স্ট্রেস ভুলে যেতে সাহায্য করে।
চারিদিকে যখন উৎসবের মেজাজ , লোকেদের মুখচোখে প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারাবার আর ঘুড়ির লড়াইয়ে জিতে যাওয়ার উচ্ছাস ,ঠিক তখনি একটি বাঁদরকে একটা বাড়ির ছাদে বসে ঘুড়ি ওড়াতে দেখা যায়। অবাক হচ্ছেন কি ? ব্যাপারটা আশ্চর্য্যের হলেও একদম সত্যি। মানুষকে নকল করে সম্প্রতি বাঁদরের এই ঘুড়ি ওড়াবার ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে।

এমন ঘটনার সাক্ষী ওখানকার অনেক বাসিন্দাকেই এই ভাইরাল ভিডিওতে উল্লাস করতে শোনা গেছে। এই অবাক করা দৃশ্যে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়াতে হাসির ফোয়ারা উঠেছে। মানুষ যে ঘুড়ি ওড়াতে পটু সেকথা আর নতুন কি , কিন্তু কোন বাঁদর যে এতো সুন্দরভাবে ঘুড়ি ওড়াতে পারে সেটা হয়তো চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। তাই ভিডিওটি এখানে দেখুন-

 

View this post on Instagram

 

A post shared by ♡ ❣️?????? (@sad_status_songs_)


গত ১৪ই জানুয়ারী এই ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা হয়। সেখানে দেখা যায় দূরে একটা বাড়ির ছাদে একটি বাঁদর আরামে বসে ঘুড়ির স্ট্রিং ধরে এদিক ওদিক টান মারছে, ঠিক যেভাবে মানুষ আকাশে আরও উঁচুতে ঘুড়ি ওড়াতে চেষ্টা করে। বাঁদরটিকে খুবই কৌতূহলের সঙ্গে ঘুড়িটিকে আস্তে আস্তে টেনে নিচে নামাতে দেখা যায়। মুহূর্তেই সে ঘুড়িটিকে এদিকে ওদিকে ঘুরিয়ে দেখতে থাকে। হয়তো বোঝার চেষ্টা করছিল কিভাবে এটা আকাশে ওড়ানো যায়।

ভিডিওটির টেক্সচুয়াল লেআউটে লেখা আছে “ইয়ানহা কে বান্দর তাক পতংবাজি কে শৌকিন হ্যায়। (এখানে বানররাও ঘুড়ি ওড়ানো পছন্দ করে)।
ভিডিওর ভিজ্যুয়াল ফুটেজ দেখে মনে হয় ভিডিওটি রাজস্থানের জয়পুরে রেকর্ড করা হয়েছে। এই হাস্যকর ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হওয়ার পর থেকে ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ এবং ৪৪০ হাজার লাইকস পেয়েছে। নেটিজেনরা কমেন্ট বক্সে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

একজন ব্যবহারকারী রসিকতা করে লিখেছেন “ইয়ে সহি সে উদ নেহি রাহা (এটি সঠিকভাবে উড়ছে না)”
অপর একজন ব্যঙ্গ করে বলেছেন “ইয়ে ইন্ডিয়া হ্যায়, ইয়ানহা পার কুছ ভি হো সক্ত হ্যায় ইয়াহা (এটা ভারত, এখানে অনেক কিছুই ঘটতে পারে),”
অনেকে আবার হাসির ইমোজি পোস্ট করে নিজেদের অনুভূতি কমেন্ট বক্সে প্রকাশ করেছেন।