হাওড়া: নিষিদ্ধ চিনা মাঞ্জায় শুধু যে মানুষের বিপদ হচ্ছে তা নয়, পাখিরাও এর বাড়াবাড়িতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে। উৎসবের রেশ ফিকে হলেও চিনা মাঞ্জার দাপটে প্রাণহানির ঘটনা লেগেই রয়েছে। পুলিশ নজরদারি চালিয়েও পুরোপুরি ঠেকিয়ে উঠতে পারেনি।
আরও পড়ুন: জটিল রোগ নিয়ে জন্মানো সদ্যজাতদের এবার জেলাতেই উচ্চমানের চিকিৎসা
বিশ্বকর্মা পুজো বা পৌষ পার্বণে ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ দীর্ঘদিনের। একসময় ঘুড়ি ওড়াতে ব্যবহার হত সুতির সুতো। কিন্তু বর্তমানে ঘুড়ি ওড়াতে ব্যবহার হচ্ছে চিনা মাঞ্জার সুতো। যে সুতো দীর্ঘদিন গাছপালায় আটকে থাকে, সহজে নষ্ট হয় না। এতেই বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে পশু-পাখি, এমনকি মানুষের। এই মারাত্মক সুতোয় আটকে গ্রামাঞ্চলে শয়ে শয়ে পাখি প্রাণ হারাচ্ছে।
ঘুড়ি ওড়ানোর মরশুম চলে গেলেও চিনা মাঞ্জা থেকে বিপদ এখনও দূর হয়নি। কারণ ঘুড়ির সুতো এখনও নানান জায়গায় গাছে, বিভিন্ন পোস্টে আটকে আছে। এগুলো লাইলন সুতা দিয়ে তৈরি হওয়ায় সহজে নষ্ট হয় না। ফলে খাবার খুঁজতে গিয়ে কাক, পায়রা, বক মাছরাঙার মত পাখিরা এই সুতোয় আটকে পড়ে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। আবার রাতের অন্ধকারে বাদুড়, পেঁচা’র মত নিশাচররাও এই চিনা মাঞ্জার সুতোয় বিপদে পড়ছে। আন্য দিকে জলা জঙ্গলে মাটিতে পড়ে থাকা সুতোয় বন্য প্রাণীরা আটকে পড়ছে। এই সুতোয় জড়িয়ে সাইকেল, বাইক আরোহীরা মৃত্যু মুখে পর্যন্ত পড়ছেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই প্রসঙ্গে পরিবেশকর্মী শুভজিৎ মাইতি জানান, এই চিনা মাঞ্জা মারাত্মক ক্ষতিকারক। সারা বছরে কত পশু-পাখি এর জন্য মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ছে তার হিসাব থাকে না। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ঘুড়ি ওড়াতে ব্যবহার হতো সুতির সুতো। সেই সুতো শিশির, রোদ জলে পড়ে অল্পদিনেই নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু এই চিনা মাঞ্জা সুতো মাসের পর মাস অবিকৃত অবস্থায় থেকে যায়। তাতেই যত বিপদ ঘটছে। নিষিদ্ধ হলেও বিভিন্ন দোকানে নিশ্চিন্তে বিক্রি হচ্ছে চিনা মাঞ্জার সুতো।
রাকেশ মাইতি