Tag Archives: local sweet

Jamai Sasthi 2024: ক্ষীরের জাম ও খেজুর পড়ুক জামাইয়ের শেষ পাতে!

মুর্শিদাবাদ: জামাইষষ্ঠীতে ভুরিভোজ হয় সর্বত্রই। কিন্তু তার মধ্যে চমক না থাকলে চলে। চিরাচরিত পদের পাশাপাশি এবার ক্ষীরের জাম ও খেজুর পাতে তুলে দিয়ে চমকে দিন জামাইকে।

জাম ও খেজুর জামাইদের পাতে বরাবর‌ই থাকে। তবে এবার ক্ষীরের তৈরি জাম ও খেজুর তৈরি হচ্ছে। কান্দি শহরের এক প্রখ্যাত মিষ্টির দোকান এই ক্ষীরের জাম ও খেজুর তৈরি করে সকলকে চমকে দিয়েছে। জামাইষষ্ঠীর আগে সেই বিশেষ মিষ্টি কিনতে উপচে পড়ছে শ্বশুর-শাশুড়িদের ভিড়।

আর‌ও পড়ুন: সিকিমে বিপর্যয়ের ধাক্কা, উত্তরের নদীতে ফের হড়পা বান, ডুবল ট্রাক্টর

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ তার মধ্যে অন্যতম হল জামাই ষষ্ঠী। আর জামাইষষ্ঠী মানে হরেক রকমমিষ্টির সম্ভার। জামাইষষ্ঠী বাংলা ও বাঙালির একটি প্রাচীন পার্বণ। জ্যৈষ্ঠ মাসের যে দিনটিতে জামাইষষ্ঠী, সে দিন আসলে মা ষষ্ঠীর পুজো। এটি আবার অরণ্য ষষ্ঠী নামেও প্রসিদ্ধ। মা ষষ্ঠী এই চরাচরের গৃহস্থ বাঙালির সন্তানদের আদর-যত্নে রক্ষা করে থাকেন, এমনটাই বিশ্বাস করে হিন্দু বাঙালিরা। জামাইষষ্ঠীতে মুলত জাম, আম, খেজুর দেওয়া হয় জামাইয়ের পাতে। কিন্তু সেই খেজুর ও জাম যদি হয় ক্ষীরের তৈরি, তাহলে তো আর কথাই নেই।

৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই বিশেষ ধরনের জাম ও খেজুর। যা জামাইষষ্ঠীতে শেষ পাতে মন ভরিয়ে দেবে আপনার জামাইয়ের। তাহলে আর দেরি কেন, আপনিও কিনে আনুন।

কৌশিক অধিকারী

Bengali Sweets: কাঁচাগোল্লার হারিয়ে যাওয়া স্বাদ আবার ফিরবে? মিষ্টি দোকানের বিরাট কাণ্ড

উত্তর ২৪ পরগনা: সংযুক্তিকরণে মিলবেআসবে বাণিজ্যিক সাফল্য, আশায় কাঁচাগোল্লার শহর বসিরহাটের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। দুই সংগঠনের মেলবন্ধনেই আসবে কাঙ্খিত বাণিজ্যিক সাফল্য, এমই আশায় প্রহর গুনছেন বসিরহাটের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা।

রাজ্যের প্রসিদ্ধ মিষ্টির তালিকা যখন তুলে ধরা হয় তখন প্রথম সারিতেই আসে বসিরহাটের কাঁচাগোল্লার নাম। অতীতের চাঁদ সওদাগরের আমল হোক বা বারো ভূঁইয়াদের বসিরহাট আক্রমণের সময়, সর্বক্ষেত্রেই এখানকার কাঁচাগোল্লা মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। স্বয়ং মহানায়ক উত্তম কুমার বসিরহাটে অমানুষ সহ একাধিক চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে এসে প্রেমে পড়েছিলেন এই কাঁচাগোল্লার। আর সেই কাঁচাগোল্লার শহর বসিরহাটের মিষ্টি ব্যবসায়ীরাই দীর্ঘদিন ধরে নানান সমস্যার সম্মুখীন। তাঁদের মূল অভিযোগ, বেশ কিছু বছর ধরে তাঁরা ভাল কাঁচাগোল্লা তৈরির মূল উপকরণ উৎকৃষ্ট মানের ছানা পাচ্ছেন না।

আরও পড়ুন: এই রাজপরিবারের সব সদস্য ডিঙি নৌকা চালাতে জানেন, বাড়ি থেকে বেরোলেই চাপতে হয় তাতে

বর্তমানে বসিরহাটের শহরতলি এলাকায় যে উৎকৃষ্ট মনের ছানা তৈরি হয় সেগুলি প্রায় সবটাই কলকাতার মিষ্টির দোকানগুলোর উদ্দেশে পাড়ি দেয়। তাই ভাল মিষ্টি তৈরি করতে একাধিক বাধার মুখোমুখি হচ্ছিলেন বসিরহাট, টাকি ও বাদুড়িয়া শহরের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে কখনও ফুড লাইসেন্সিংয়ের সমস্যা, আবার কখনও কর্মচারীদের দাবি দাওয়া মেটাতে গিয়েও তাঁদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। মোটের উপরে প্রায় দুই দশক ধরে নানান সমস্যায় জেরবার ছিলেন এই মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারকরা। এবার সেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হল বসিরহাটের টাকি রোড চৌমাথা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।

মিষ্টি ব্যবসায়ীদের এই সংগঠনটি এবার পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধল। এদিন বসিরহাটের টাকি রোড পার্শ্বস্ত একটি কমিউনিটি হলে বসিরহাট টাকি রোড চৌমাথা মিষ্টান্ন ব্যবসা কল্যাণ সমিতি ও রাজ্য মিষ্টান্ন ব্যাবসায়ী সমিতির একটি সংযুক্তিকরণ সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভার মূল লক্ষ্যই ছিল মহকুমাজুড়ে বসিরহাটের যে সমস্ত মিষ্টি ব্যবসায়ীরা নানান সমস্যার মধ্যে পড়েন তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্যার সমাধান করা। টাকি, হাসনাবাদ, হাড়োয়া বসিরহাট ও বাদুড়িয়া সহ একাধিক এলাকার ঐতিহ্যশালী মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মচারীরা এই সংযুক্তিকরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

বসিরহাট টাকি রোড চৌমাথা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির তরফে প্রদীপ ঘোষ বলেন, মিষ্টি প্রস্তুত করতে গিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতাম। সেই সমস্যার সমাধান করতেই আমরা রাজ্য মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে সংযুক্ত হলাম। বসিরহাটের একাধিক মিষ্টি ব্যবসায়ী যেমন চন্দন ঘোষ, তাপস মণ্ডলরা এই সংযুক্তকরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি রাজ্য মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সেখানকার সভাপতি সন্দীপ সেন ও সম্পাদক তাপস দাস সহ একাধিক পদাধিকারীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

জুলফিকার মোল্যা

Bengali Video: জিভে জল আনা ক্লাস হচ্ছে বাঁকুড়ায়! হাতে মিষ্টি নিয়ে অপেক্ষায় স্যারে’রা…

বাঁকুড়া: স্কুল কলেজে অঙ্ক, ইংরেজির ক্লাস হতে দেখেছেন। কিংবা পদার্থবিদ্যা এবং রসায়নের প্র্যাক্টিকাল ক্লাস হতেও দেখা যায় প্রতিটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই। তবে শ্রেণিকক্ষের মত করে বাঁকুড়ায় দেখা গেল অভিনব একটি প্র্যাক্টিকাল ক্লাস। যে ক্লাস করলে আপনার জিভে জল চলে আসবে। রসে টইটুম্বুর মিষ্টি তৈরি করার ক্লাস হচ্ছে যে!

আরও পড়ুন: গরমের শুরুতেই বাজারে হিট হালকা লালচে এই ঠান্ডা পানীয়! আগে কখনও খাননি

জিভে জল আনা মিষ্টি তৈরির হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন বাঁকুড়ার বড় বড় মিষ্টান্ন ব্যাবসায়ীরা। যারা শিখতে এসেছেন তাঁদের কেউ গৃহবধূ, আবার কেউ স্বনির্ভর হতে মিষ্টি তৈরি করা শিখতে চান। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ অধিকার জেলা শিল্প কেন্দ্র, বাঁকুড়া মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ৭ দিন ব্যাপী মিষ্টান্ন দ্রব্য তৈরির প্রশিক্ষণ শিবির চলছে জুনবেদিয়ার গুইরাম ভবনে। এখন‌ও পর্যন্ত মোট ৩০ জন মিষ্টি তৈরি শিখতে অংশগ্রহণ করেছেন।

বাঁকুড়ার প্রসিদ্ধ মিষ্টি নিকুতি। এছাড়াও তৈরি করে রাখা আছে মালাইকারি, মালপোয়া, মন্ডা এবং হানিডিউ। এ যেন মিষ্টির আখড়া। পুরোনো ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্নকে তুলে ধরতে এবং আধুনিক মিস্টান্নকে স্বাগত জানাতে সম্পূর্ণ পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে, মুখে মাস্ক এবং মাথায় কভার লাগিয়ে চলছে মিষ্টি তৈরির প্রশিক্ষণ শালা। কী উপকরণ লাগবে, ঠিক কতটা গরম হবে মন্ড সব কিছুই হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে। উপকরণ থেকে প্রণালী, সবরকম খুঁটিনাটি যত্ন সহকারে বুঝিয়ে দিচ্ছেন মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

সাত দিন ব্যাপী এই মিষ্টি তৈরির প্রশিক্ষণ শিবির পেয়েছে বিপুল জনপ্রিয়তা। বাঁকুড়ার মিষ্টান্নের নাম ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে। ১৬ মার্চ এই শিবিরের শেষ দিন। প্রয়োজন হলে তারিখ পরিবর্তনও হতে পারে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী