Tag Archives: Vocational Training

South Dinajpur News: ভোটে জিতেছেন কিন্তু জানেন না তাঁদের কী কাজ! পঞ্চায়েত সদস্যদের দিচ্ছে জেলা প্রশাসন

দক্ষিণ দিনাজপুর: পঞ্চায়েত গঠনের পর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের অধিকাংশই নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য জানা নেই। সেই কথা মাথায় রেখেই সরকারি প্রকল্প ও দ্বায়িত্ব পালনে নিজেদের ভূমিকা জানাতে বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিল বালুরঘাট ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতি।

ব্লকের তরফে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সেখানেই পঞ্চায়েত সদস্যদের সরকারি নানা প্রকল্প, দায়িত্ব ও কর্তব্যপালনে নানা পরামর্শ দিয়েছেন ব্লকের অফিসাররা। বিশেষ প্রশিক্ষণ ও পাঠ দেন বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সম্বল ঝাঁ। এমনকি এই প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন খোদ জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা।

প্রশিক্ষণ শিবিরে সদস্যদের পরিবেশ ও সবুজ রক্ষার বার্তা দেওয়ার জন্য অভিনব উদ্যোগ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট ব্লকে ১১টি পঞ্চায়েত রয়েছে। পঞ্চায়েতগুলির প্রধান, উপপ্রধান বাদে ১৯৮ জন সদস্য রয়েছেন। প্রথম দিন ৪৭ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাকি সদস্যদের ধাপে ধাপে বালুরঘাট ব্লক ও পঞ্চায়েতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগত পঞ্চায়েত সদস্যদের প্লাস্টিক বর্জনের জন্য বাজারের জন্য ব্যাগ দেওয়া হয়েছে৷ এমনকি ওই পঞ্চায়েত সদস্যদের মাধ্যমেই গ্রামে গ্রামে পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা দেওয়া হবে৷ এছাড়াও আম্রপল্লি গাছের চারা বিলি করা হয়।

এ বিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানান,”সরকারি নানা প্রকল্প রয়েছে। সেই প্রকল্পগুলি সম্পর্কে সদস্যদের ওয়াকিবহাল করা এবং সামাজিক দায়িত্ব সম্পর্কে পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানদের পাশাপাশি সদস্যদের আলোচনা ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতারও বার্তা দেওয়া হয়।”

একটি পঞ্চায়েত কী কী কাজ করতে পারে, তা নিয়ে কথাও বলা হয়৷ কোন কাজগুলি পঞ্চায়েতের আওতায় পড়ে না তাও আলোচনা করেন প্রশিক্ষকরা৷ গ্রাম পঞ্চায়েতের সম্পদ কোনগুলি এবং কী ভাবে তার রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিৎ, সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনাও শিবিরে করা হয় এ দিন৷

পাশাপাশি এক জন প্রধান, উপপ্রধান বা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক ঠিক কেমন হওয়া উচিৎ, তাও বুঝিয়ে বলেন প্রশিক্ষকরা৷ কোনও ভাবেই যেন পদাধিকারীরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করেন, তাও বলা হয়েছে শিবিরে। পাশাপাশি, পঞ্চায়েতের অর্থ কমিশনের কাজ, পতঙ্গবাহিত রোগের কাজ, কী কী করণীয় এবং নানা প্রকল্প সম্পর্কে সদস্যদের ওয়াকিবহাল করা হচ্ছে। এছাড়া গ্রামে কোথাও বাল্যবিবাহ রোধে পদক্ষেপ বা চাইল্ড প্রটেকশনের নানা কাজ সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল করা হচ্ছে।

সুস্মিতা গোস্বামী

IIIT Course: স্কিল ডেভেলপমেন্টের সরকার অনুমোদিত বেসিক ও অ্যাডভান্স কোর্স ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গ্রামীণ এলাকার মেধাবী ছাত্রছাত্রী ও বেকার যুবক যুবতীদের কথা মাথায় রেখে ভাঙ্গরে তৈরি হল আই আই আই টি অর্থাৎ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি-র একটি নতুন ক্যাম্পাস। ভারতবর্ষের আইআইআইটি ২৫ টি ক্যাম্পাসের সঙ্গে আরও একটি নতুন ক্যাম্পাস সংযোজিত হল ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে।

আরও পড়ুনঃ বড় খবর! একাদশের প্রথম সেমেস্টারের দিনক্ষণ জানিয়ে দিল সংসদ! কবে থেকে শুরু? জানুন

মূলত শিক্ষার্থী এবং শিক্ষিত অথচ বেকারদেরবর্তমান যুগের উপযোগী করে তাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে এদিনের এই ক্যাম্পাসের চালু হল। বেসিক কোর্সের পাশাপাশি থাকছে অ্যাডভান্স লেভেলের কিছু কোর্স। শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীরা নয় যেকোনো বয়সের ব্যক্তিরাই এই ক্যাম্পাসে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। গ্রাজুয়েশন বা মাস্টার ডিগ্রী কমপ্লিট করার পর তারা জীবনে কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে সে নিয়ে কিন্তু চিন্তিত হয়ে পড়ে। তারা কি করবে বা কিভাবে তারা এগিয়ে যাবে সেটা কিন্তু ভেবে উঠতে পারে না। তার পাশাপাশি আরওএকটি বড় সমস্যা পয়সার অভাব।এই সমস্ত গ্রামীণ এলাকাতে একটা ছেলে বা একটা মেয়ে তারা এগিয়ে গেলেও পয়সার অভাবে পিছিয়ে আসতে হয়।

আর তাই এবার সেই কথা উনি মাথায় রেখে ভাঙড়ে এই ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি ক্যাম্পাসে মাত্র দু হাজার টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হওয়া যাবে। এই সমস্ত কোর্সগুলি অন্যান্য জায়গাতে করতে গেলে প্রায় দ্বিগুণ টাকার প্রয়োজন। মূলত এখানে সাইবার সিকিউরিটি ওয়েব ডিজাইনার হার্ডওয়ার নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং মাল্টিমিডিয়ার মত বিভিন্ন ধরনের কোর্স গুলি এখানে শেখানো হবে। যাতে গ্রামীণ এলাকার শিক্ষিত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা কর্মসংস্থানে এগিয়ে আসতে পারে।

সুমন সাহা

Jute Bag: প্লাস্টিক সরিয়ে পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যাগ তৈরিতে রোজগারের দিশা

দক্ষিণ দিনাজপুর: পাট জাত জিনিসের চাহিদা জেলা জুড়ে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। ফলে এই পাট দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করতে বহু মানুষ বালুরঘাট শহরে ভিড় করছেন। আশেপাশের বহু মহিলাদের পাটজাত সামগ্রী তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রায় কয়েক মাস ধরে চলছে এই প্রশিক্ষণ পর্ব। মহিলারা যাতে পাটজাত দ্রব্য সামগ্রী বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারেন, সেই লক্ষ্যে এই প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নিজেদের হাতে তৈরি একাধিক ডিজাইনের ছোট বড় হাতব্যাগ, পুতুল, ফুলদানি সাধারণ মানুষদের মন জয় করেছে।

প্রসঙ্গত, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের এই যুগে পরিবেশকে বাঁচানই আমাদের কাছে এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় বারবার প্লাস্টিক ব্যবহার কমিয়ে আনার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, প্লাস্টিক ব্যবহার ও প্রকৃতিতে মিশে যেতে অক্ষম প্লাস্টিক বর্জ্য সাংঘাতিক ক্ষতি করছে পৃথিবীর ভারসাম্যের। আর এই সুযোগেই উঠে আসছে পাটের ব্যাগ তৈরি এবং ব্যবহারের চল। পাট যথেষ্ট পরিবেশ বান্ধব। পাটের সূক্ষ সেলুলোজকে প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা এই ব্যাগ সহজেই মাটির সঙ্গে মিশে যায়। কোন‌ওরকম পরিবেশ দূষনের সম্ভাবনা নেই। তাই পাটের তৈরি এইসব ব্যাগের বহুল ব্যবহার ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন: মুষলধারে বৃষ্টির সুযোগে চা বাগান শ্রমিকদের বাড়ি তছনছ করল বুনো হাতি

এমনকি বর্তমানে মহিলাদের স্বনির্ভর করতে সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগগুলির মধ্যে অন্যতম হল পাট দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী তৈরি করা। দেশের পাশাপাশি পাটের তৈরি এইসব জিনিসের চাহিদা আছে বিদেশের বাজারে‌ও। দূষণ রুখতে পরিবেশ বান্ধব পাটের ব্যবহার বাড়াতে উৎসাহ জোগাচ্ছে সরকার‌ও। এই সকল জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। আর সেক্ষেত্রে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মহিলাদের। সহজলভ্য পাটের কাজ শিখে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন তাঁরা।

সুস্মিতা গোস্বামী

Utkarsh Bangla: পথ দেখাচ্ছে কচুরিপানা! উৎকর্ষ বাংলার হাত ধরে রোজগারের নতুন দিশা

মুর্শিদাবাদ: গয়না থেকে কচুরিপানা, উৎকর্ষ বাংলায় প্রশিক্ষণ নিয়ে হরেক রকম জিনিস তৈরি করা শিখছে আজকের প্রজন্ম। আর এই পথ ধরেই হয়ে উঠছে স্বনির্ভর। এইদিকে লক্ষ্য রেখেই বহরমপুরে উৎকর্ষ বাংলার সেমিনার আয়োজন করা হল।

উৎকর্ষ বাংলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আগামী দিনে সাবলম্বী হতে পারবেন। সেই লক্ষ্যে দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। বিভিন্ন ধরনের গয়না তৈরি থেকে শুরু করে মাটির কাজ এমনকি পাটের সামগ্রী তৈরির কাজও শিখছে সবাই।

আরও পড়ুন: গান লিখে দিকে দিকে ছড়িয়ে দেন পরিবেশ রক্ষার বার্তা, ৭৪-এর বৃদ্ধর উদ্যোগ অবাক করবে

এই উৎকর্ষ বাংলা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা জানান, বর্তমানে পাট থেকে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা শেখানো হচ্ছে। এছাড়াও কচুরিপানা থেকে হস্তশিল্পের নজরকাড়া সরঞ্জাম তৈরি হচ্ছে আজকের দিনে। এইভাবেই বাংলার মানুষের কাছে পরিত্যাজ্য কচুরিপানা হয়ে উঠেছে রোজগারের পথ দেখানোর নতুন হাতিয়ার।

জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ জেলায় উৎকর্ষ বাংলায় প্রশিক্ষণে নিয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ ক্রমশ বাড়ছে। হস্তশিল্প থেকে টেলারিং, মাটির কাজ থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ সবকিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এখানে। উৎকর্ষ বাংলার মাধ্যমে বহরমপুরে ৩০০ জনের বেশি কর্মী প্রার্থী আবেদন করেছিলেন। যার কারণে বহরমপুর ব্লকে প্রশিক্ষিতদের নিয়ে শুরু হয় কর্মশালা। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলার বহুকেন্দ্রে চলছে উৎকর্ষ বাংলার প্রশিক্ষণ। বহরমপুর রবীন্দ্র সদনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক রাজশ্রী মিত্র সহ উৎকর্ষ বাংলার নোডাল আধিকারিক সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা । অন্যদিকে এই প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি সকলে।

কৌশিক অধিকারী

New Library: এইভাবে বই পড়ার পুরনো অভ্যাস ফিরতে চলেছে

পশ্চিম বর্ধমান: অনেক প্রবীণ ব্যক্তি রয়েছেন, যারা এখনও বই পড়তে ভালবাসেন। অনেকেই রয়েছেন, যারা স্মার্টফোনে সময় কাটানোর বদলে বইয়ের পাতা উল্টে সময় কাটানো পছন্দ করেন। কিন্তু সবসময় হাতের কাছে সেই সুযোগ থাকে না। থাকে না সব ধরনের বই। তাই বিশেষ উদ্যোগ জেলায়। যার হাত ধরে ফিরবে অবসর সময়ে বই পড়ার সেই পুরানো অভ্যাস।

আসানসোলের সালানপুরের নুনী গ্রাম পঞ্চায়েতে তৈরি হয়েছে কারু শিল্পী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যা মূলত একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পাশাপাশি বিশেষ লাইব্রেরিও। যেখানে একাধিক ধরনের বই রাখা হয়েছে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের জন্য যেমন বই রাখা হয়েছে, তেমনই বই রাখা হয়েছে বড়দের জন্য। অবসর সময়ে যাতে মানুষজন এসে এখানে নিশ্চিন্তে বই পড়ে সময় কাটাতে পারেন, তার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: কাঠের পেঁচা ছেড়ে এই জিনিসে মন দিতেই হাল ফিরেছে নতুনগ্রামের শিল্পীদের

সদ্য এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং লাইব্রেরিটির উদ্বোধন করেছেন বারাবনির বিধায়ক তথা আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সহায়তা এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের নির্দেশে এই বিশেষ লাইব্রেরি গড়ে তোলা হয়েছে। নুনী গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে এই কারুশিল্পী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি। যার ফলে এলাকার মানুষ বিশেষভাবে উপকৃত হবেন। তাছাড়াও এখানে আগামী দিনে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে খবর।

জানা গিয়েছে, চার লক্ষ টাকার বেশি ব্যয় করে এই বিশেষ লাইব্রেরি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের বই রাখা হয়েছে। এখানে এসে অবসর সময় কাটানোর জন্য এলাকার মানুষকে আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অধীনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলে বহু শিল্পী উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যার ফলে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি তৈরি হওয়ায় দারুন খুশি এলাকার মানুষ।

নয়ন ঘোষ

Free Computer Training: এবার বিনা খরচে শিখুন কম্পিউটার! কোথায়, কীভাবে দেখুন….

হাওড়া: চাকরি প্রস্তুতির জন্য বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ। লেখাপড়া থেকে কর্মসংস্থান, সর্বত্র‌ই বর্তমানে কম্পিউটার ছাড়া প্রায় কিছুই করা সম্ভব নয়। সেই দিকে গুরুত্ব দিয়ে এবার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ।

শুনতে অবাক মনে হলেও একদম সত্যি, মূলত দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ। চাকরির ক্ষেত্রে টাইপিং সহ প্রাথমিক পর্যায়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ প্রয়োজন হয় বহু সময়। আবার অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে কম্পিউটার শিক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। বেসরকারি অধিকাংশ স্কুলেই কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে। আবার জেলার কিছু সরকারি স্কুলেও কম্পিউটার শিক্ষার সুব্যবস্থা আছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শৈশব থেকেই কম্পিউটার প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।

আরও পড়ুন: ৯৫ বছর বয়সে বিলুপ্তপ্রায় শিল্পকে টিকিয়ে রাখার একক লড়াইয়ে প্রভাসবাবু

সেই পরামর্শের দিকে লক্ষ্য রেখে অল্প বয়স থেকেই বিভিন্নভাবে ছাত্রছাত্রীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ। বহু পরিবার আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে ইচ্ছে থাকলেও সন্তানদের ছোট থেকে কম্পিউটার শিখাতে পারে না। এবার সেই দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দুর্দান্ত সুযোগ এসে গিয়েছে। এই সুবিধা হাওড়ার উদয়নারায়নপুর ব্লকের গড় ভবানীপুর পুরাতন বাজার এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে। গত প্রায় তিন বছর ধরে দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েদের জন্য এখানে বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা অর্ক পাল জানান, গ্রামের দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েরা যাতে কোনওভাবে কম্পিউটার শিক্ষার দিক থেকে পিছিয়ে না পড়ে তা মাথায় রেখে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

রাকেশ মাইতি

Environmental Training Camp: গ্রীষ্মের ছুটিতে প্রকৃতির পাঠশালা

নদিয়া: প্রকৃতি পাঠশালা শান্তিপুরে। ঝুমুরিয়া গ্রাম নিকটস্থ গোলদোয়া অঞ্চলে সেভ জলঙ্গির উদ্যোগে এবং শান্তিপুর সেতুর সহযোগিতায় অনূষ্ঠিত হল ‘প্রকৃতির পাঠশালা’৷ গ্রীষ্মের ছুটিতে প্রকৃতির সঙ্গে শিশুদের নিবিড় মেল বন্ধন ও আত্মিক যোগাযোগ ঘটানোর উদ্দেশ্যে প্রায় দেড়শো ছাত্র-ছাত্রীকে কলাবাগান, পাটের ক্ষেত এবং জলাশয়কে খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা এবং সেখানকার পরিবেশ, মাটি, গাছপালা ও কীটপতঙ্গ সমস্ত কিছুর সঙ্গে এক নিবিড় যোগাযোগের এক বিশেষ রূপরেখা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

সেভ জলঙ্গির সভাপতি যতন রায়চৌধুরী জানান, বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশমুখি করার জন্যই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রকৃতির পাঠশালার প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত আন্দামানের শিক্ষক কুন্তল সিংহ রায়৷ যতনবাবু আরও জানান, কুন্তলবাবু খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে শ্যাওলা, ছোট ছোট উদ্ভিদ, গাছ, পুকুর, নদীর সঙ্গে পাখি, সাপ, ব্যাঙ, মাকড়সা, শামুক সহ বিভিন্ন ছোট বড়ো প্রাণীর যে সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্কের সঙ্গে বাস্তুতন্ত্রের যে মেলবন্ধন সেগুলি হাতে কলমে শিখিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রীদের৷

আরও পড়ুন: সন্তান হাঁটতে না পারলে এই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসুন, ফিজিওথেরাপি করে পাবেন নিশ্চিত সাফল্য

প্রকৃতি পাঠশালার প্রশিক্ষক এবং রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত কুন্তল সিংহ রায় জানান, তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি নিজের প্যাশন হিসাবে এই কাজকে বেছে নিয়েছেন৷ কুন্তলবাবুর বক্তব্য, ছাত্র-ছাত্রীদের জানা দরকার পরিবেশের সমস্ত জীব ও কীটপতঙ্গদেরও স্বাধীনভাবে বাঁচার অধিকার আছে৷ পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ রুখতে ছাত্র-ছাত্রীদেরই এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান৷ এমন কর্মসূচির মধ্যে দিয়েই সেগুলো ঘটা সম্ভব হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মৈনাক দেবনাথ