Tag Archives: puja recipes 2024


Taaler Fuluri Easy Recipe: আসছে ভাদ্রমাস, মা-ঠাকুরমার হাতের চেনা স্বাদের তালের ফুলুরি বানান বাড়িতেই! রইল সহজ রেসিপি

রাকেশ মাইতি, হাওড়া: ‘ তাল ফুলুরি ‘ পাকা তালের শ্রেষ্ঠ রেসিপির মধ্যে একটি। তাল ফুলুরি-র জনপ্রিয়তা দারুণ। গরমের দিনে কচি তালশাঁস মানুষের অত্যধিক আকর্ষণের। তালশাঁস শেষ হলেই মানুষ অপেক্ষায় থাকেন পাকা তালের। পাকা তাল মানেই ঘরে ঘরে তাল ফুলুরি। খুব সাধারণ একটি রেসিপি। যা কম-বেশি প্রায় সকলের পরিচিত। অল্প কয়েকটা উপকরণ দিয়েই তৈরি তাল ফুলুরি। মিষ্টি স্বাদের, তেলেভাজা গরম গরম বেশ লোভনীয় এই খাবার। পাকা তালের শাঁস বের করে অনেকই নতুন হাতে তাল ফুলুরি তৈরি করেন। মোটেও কঠিন কাজ নয়, তবে অনেকেরই হয়তো, নিজে হাতে তৈরি ফুলুরি ঠিক মত হয় না। তাঁদের জন্য এই সহজ রেসিপি। ঠিক যেন আগেকার দিনে মা ঠাকুরমার হাতে তৈরি তাল ফুলুরির স্বাদে ফিরে যাওয়া।

উপকরণ- পাকা তাল, পরিমাণ মতো চাল গুঁড়ি বা চালের গুঁড়ো, ময়দা, চিনি, পরিমাণমতো লবণ। অনেকই পছন্দ করেন জোয়ান বা মৌরি দিয়ে ফুলুরি।

আরও পড়ুন : দুধের চেয়েও বেশি! ক্যালসিয়ামের পাহাড়! এই খাবারগুলি নিয়মিত খেলেই হাড়ের সুস্থতা হাতের মুঠোয়

পদ্ধতি-প্রথমে পাকা তালের শাঁস এক বাটি নিন। তার সঙ্গে এক বাটি চাল গুঁড়ি মিশিয়ে নিন। এ বার তাতে অল্প পরিমাণ ময়দা দিয়ে ভাল করে মেখে, পরিমাণমতো চিনি দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এ বার অল্প অল্প জল দিয়ে পাতলা করে ব্যাটার বা মিশ্রণ তৈরি করুন। একদম পাতলা নয়। তবে গাঢ় করে গুলতে হবে। ওই ব্যাটারে স্বাদমতো লবণ দিয়ে, ভাল করে ফেটিয়ে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে ভাল করে ফেটানো হলে তবেই ফুলুরি ভিতরে ফাঁপা ভাব তৈরি হবে। ব্যাটারে তৈরি হলে ছোট ছোট করে গোলা  ছাঁকা ও ডুবো তেলে দিয়ে একটু কড়া করে ভেজে নিলেই তৈরি সুস্বাদু তাল ফুলুরি।

Puja Special Recipe: মালাইকারি, সর্ষে-পোস্ত তো অনেক হল, পুজোয় এইভাবে বানান ডুমুর-চিংড়ি, হাত চেটে খাবে সব্বাই

কলকাতা: পুুজো মানেই কবজি ডুবিয়ে খানা-পিনা। মাছ-মাংস- চিংড়ি… কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন? তবে তেল-ঝাল মশালাদর খাবার থেকে বিরতি নিতে চাইলে পুজোর দুপুরে  বানিয়ে নিন সুস্বাদু ডুমুর চিংড়ি!

বিভিন্ন জরুরি খনিজে ভরপুর ডুমুর। এতে রয়েছে জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনের মতো যৌগ। শিশুদের তো বটেই, বয়স্ক এবং অন্তঃসত্ত্বাদের রক্তে আয়রনের অভাব পূরণের জন্য ডুমুর খেতে বলা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পুষ্টিবিদরা অনেক সময়েই সকালে খালি পেটে ডুমুর ভেজানো জল খাওয়ার পরামর্শ দেন।

ডাক্তারি মতে ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, পেট এবং হার্টের পক্ষে দারুন কার্যকরীল ডুমুরে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিক্সিড্যান্ট। পাশাপাশি ডুমুর রক্তে হিমগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এক কথায় ডুমুর-এর উপকারিতার জুড়ি নেই।

ডুমুর চিংড়ি মানাতে লাগবে কচি ডুমুর, চিংড়ি, নারকেল, অল্প তেল, ধনেগুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো, শুকনো ও কাঁচা লঙ্কা, আদা এবং অল্প ঘি।

কীভাবে বানাবেন? প্রথমে কচি ডুমুর পরিষ্কার করে কেটে ধুয়ে রাখুন। এবার হলুদ-নুন দিয়ে ভাপিয়ে নিন। এদিকে ছোট করে কাটা আলু তেলে ভেজে নিন। সিদ্ধ করে রাখা ডুমুর ও চিংড়ি মাছ আলাদা করে তেলে ভেজে তুলে নিন। পাত্রে অল্প তেল দিয়ে গোটা মশলার ফোড়ন দিন। বাটা মশলা দিয়ে ভাল করে নেড়েচেড়ে ভেজে নিন। প্রথমে ডুমুর তারপর আলু দিন। এরপর নারকেল দিয়ে কষিয়ে নিন। ভাল করে কষানো হলে চিংড়ি মাছ দিন। ঝোল ফুটে এলে ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।

রাকেশ মাইতি

Famous Food: ফুচকার ভিতর সাদা সাদা দানা! কী ভরা ওগুলো জানেন? একবার খেলে স্বাদ ভুলতে পারবেন না, জানুন

মুর্শিদাবাদ: কোথাও ফুচকা, কোথাও গোলগাপ্পা তো কোথাও পানিপুরি। নাম যাই হোক না কেন, গোটা ভারত জুড়ে একচ্ছত্র আধিপত্য চালায় এই বিশেষ মশলাদার খাবারটি। শুধু নাম শুনলেই জিভের তলায় বাসনা জেগে ওঠে না, এমন মানুষ হাতে গুণে বের করতে হয়, ভারতের যে কোনও প্রদেশে।

এই ফুচকার নানা রকম প্রভেদও মানুষ আবিষ্কার করে ফেলেছে। শুধু তেঁতুল জলে এখন আর ক্রেতার মন ভরে না। তাই বাজারে এসেছে কাজু বাদামের ফুচকা। যা কিনতে কান্দিতে ভিড় জমছে। শুধু তাই নয় সামনেই দুর্গাপুজো। দুর্গাপুজোতে নিজের প্রিয় মানুষকে নিয়ে খেতে পারেন এই ফুচকা।

আরও পড়ুন: একজন IAS এবং IPS অফিসারের মধ্যে মূল পার্থক্য কীসের? কে বেশি শক্তিশালী? উত্তর চমকে দেবে

ফুচকা এমন একটি সুস্বাদু, মুচমুচে খাবার, যার নাম শুনলেই জিভে জল আসে। নানা প্রান্তে নানা নামে বেশ জনপ্রিয় এই পদটি। কোথাও গোলগাপ্পা, তো কোথাও পানিপুরি বা গুপচুপ নামে বিখ্যাত এই মুচমুচে টক-ঝাল-নোনতা স্ন্যাক্স। তবে এবার বাজার কাঁপাচ্ছে কাজু বাদাম ফুচকা। যা ইতি মধ্যে ভালই সাড়া ফেলেছে। তবে ৪০ টাকা প্রতি প্লেট হিসেবে বিক্রি করে মাসে প্রায় ৩০হাজার টাকা অর্থ উপার্জন করছে ফুচকা বিক্রেতা।

আরও পড়ুন: দেশের সেরা ১০ স্কুল কোনগুলি? দেখে নিন IIRF র‍্যাঙ্কিং, কলকাতার কোন স্কুল?

একদা ছিল টোটো আর সেই টোটো গাড়ি হয়ে যায় ফুচকার দোকান। যা বর্তমানে স্বর্নিভরতার পথ বেছে নিয়ে অভিনব চিন্তাভাবনা নিয়ে সাধারণ ফুচকা থেকে কাজু ফুচকা ও দই ফুচকার ষ্টল খুলেছিলেন। বর্তমানে কাজু ফুচকা সকলের পছন্দ। তাই কাজু বাদামকে মুখরোচক করে ফুচকা আকারে তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। যা খাচ্ছেন ফুচকাপ্রেমীরা।

তবে ফুচকা, পানিপুরি, গোলগাপ্পা- নাম শুনেই জিভে জল চলে এল তো? সেই সঙ্গে নাকে এল তেঁতুল জলের গন্ধ। কোথাও বা পুদিনা মেশানো একটু অন্যরকম স্বাদ জলের। আর তার সঙ্গে টক-ঝাল স্বাদের কথা মনে করেই মন ভাল হয়ে যায় সকলের। ফুচকা খেতে ভালবাসেন না এমন লোক নেহাতই হাতেগোনা। হালফিলে অনেক ধরনের ফুচকাই পাওয়া যায়। চাটনি ফুচকা, দই ফুচকা, মিষ্টি জল দিয়ে ফুচকা, ঘুগনি দিয়ে ফুচকা। তবে ফুচকাপ্রেমীদের কাছে কিন্তু বাজার কাঁপাচ্ছে এই কাজুর ফুচকা ।

কৌশিক অধিকারী

Puja Special Recipe: রসগোল্লা-পান্তুয়া ফেল, এ’বছর পুজোয় বানিয়ে ফেলুন অন্যস্বাদের পেঁপের লাড্ডু

লাড্ডু তো অনেক খেয়েছেন, কিন্তু পেঁপের লাড্ডু খেয়েছেন কখনও? না খেয়ে থাকলে এবার পুজোর মিষ্টির তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই অভিনব লাড্ডু। খুব সহজেই, সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে, খুব কম সময়েই বানিয়ে ফেলতে পারবেন এই লাড্ডু
লাড্ডু তো অনেক খেয়েছেন, কিন্তু পেঁপের লাড্ডু খেয়েছেন কখনও? না খেয়ে থাকলে এবার পুজোর মিষ্টির তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই অভিনব লাড্ডু। খুব সহজেই, সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে, খুব কম সময়েই বানিয়ে ফেলতে পারবেন এই লাড্ডু
পেঁপের লাড্ডু তৈরির জন্য লাগবে কাঁচা পেঁপে ২ কাপ, এলাচগুঁড়ো অর্ধেক চা-চামচ, কনডেন্সড মিল্ক অর্ধেক কৌটো। লাগবে পরিমাণমত ঘি, গুঁড়ো দুধ ২ টেবিল চামচ ও ফুড কালার কয়েক ফোঁটা।
পেঁপের লাড্ডু তৈরির জন্য লাগবে কাঁচা পেঁপে ২ কাপ, এলাচগুঁড়ো অর্ধেক চা-চামচ, কনডেন্সড মিল্ক অর্ধেক কৌটো। লাগবে পরিমাণমত ঘি, গুঁড়ো দুধ ২ টেবিল চামচ ও ফুড কালার কয়েক ফোঁটা।
প্রথমে গ্যাসে একটা প্যান বসিয়ে তাতে পেঁপে কেটে দিন। পেঁপের জল শুকিয়ে এলে তাতে ঘি দিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ ভাজতে হবে। এরপর কনডেন্সড মিল্ক ও এলাচগুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
প্রথমে গ্যাসে একটা প্যান বসিয়ে তাতে পেঁপে কেটে দিন। পেঁপের জল শুকিয়ে এলে তাতে ঘি দিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ ভাজতে হবে। এরপর কনডেন্সড মিল্ক ও এলাচগুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
 পেঁপে হালুয়ার মত হয়ে আসলে তাতে সামান্য ঘি ও গুঁড়ো দুধ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে এই মিশ্রণ শক্ত হয়ে যাবে।
পেঁপে হালুয়ার মত হয়ে আসলে তাতে সামান্য ঘি ও গুঁড়ো দুধ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন।
 এবার হাতের তালুতে ঘি মাখিয়ে এই মিশ্রণ থেকে নাড়ুর আকারে গড়ে নিলেই তৈরি জিভে-জল-আনা পেঁপের লাড্ডু।
এবার হাতের তালুতে ঘি মাখিয়ে এই মিশ্রণ থেকে নাড়ুর আকারে গড়ে নিলেই তৈরি জিভে-জল-আনা পেঁপের লাড্ডু।
এই লাড্ডু তৈরির প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং খেতে খুবই সুস্বাদু। পুজোয় বিজয়ার মিষ্টির তালিকায় রাখতেই পারেন পেঁপের লাড্ডু
এই লাড্ডু তৈরির প্রক্রিয়া খুবই সহজ এবং খেতে খুবই সুস্বাদু। পুজোয় বিজয়ার মিষ্টির তালিকায় রাখতেই পারেন পেঁপের লাড্ডু

Puja Special Recipe: পুজোর ঘরোয়া আড্ডায় এইভাবে বানিয়ে নিন মাংসের চপ, কাড়াকাড়ি পড়ে যাবে

কলকাতা: বৃষ্টির সন্ধ্যায় গরমা গরম চপ না হলে মনটা ভরে না। আর এবার যেহেতু দেরিতে বর্ষা এসেছে, পুজোর দিনগুলোও ভাসতে পারে বৃষ্টিতে। ঘরে বসে পুজো পরিক্রমা দেখতে দেখতে মুখ চালাতে ইচ্ছা করা অস্বাভাবিক না। কিন্তু স্বাদে গন্ধে দুর্দান্ত চপ বলতে এক কথায় মাটন চপের কথাই মনে আসে। পুজোর দিনে ঘরে বসে থাকলে মাটন মাস্ট! কী ভাবে ঘরেই বানাবেন সুস্বাদু মাটন চপ? দেখে নিন রেসিপি।

মাটন চপ তৈরির জন্য মাংস কাটা হতে হবে খাসির পাঁজর থেকে। কোমল, সুস্বাদু মাটন চপ বা ল্যাম্ব চপের জন্য রিব বা পাঁজরের মাংসই জরুরি। এই চপগুলি সাধারণত আভেনে, গ্রিল, বারবিকিউ বা তাওয়ায় পৃথকভাবে রান্না করা হয়।

মাটন চপের মূল ব্যাপার হল ম্যারিনেশন। মাংস ম্যারিনেট করে আপনি যত বেশিক্ষণ রেখে দিতে পারেন, স্বাদ তত ভাল হবে। কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা ম্যারিনেট করা ভাল। কী ভাবে করবেন? এই চপের ক্ষেত্রে ম্যারিনেশনই আসল। কী কী উপকরণ লাগে দেখে নিন।

প্রথম ম্যারিনেশন
▢১.৫ কেজি মাটন
▢ ১ চা চামচ ধনে গুঁড়া
▢ ১ চা চামচ লাল মরিচের গুঁড়া
▢ ১ চা চামচ লবণ
▢ ১/৩ চা চামচ হলুদ গুঁড়া
▢ ১.৫ টেবিল চামচ আদা রসুন পেস্ট
▢ ১/২ চা চামচ লেবুর রস
▢ ১/২ চা চামচ সাদা ভিনিগার

দ্বিতীয় ম্যারিনেশন
▢২টি পেঁয়াজ মাঝারি আকারের
▢ ১.৫ টেবিল চামচ দই
▢১.৫ টেবিল চামচ শুকনো পুদিনা পাতা
▢ ১/৩ চা চামচ গরম মসলা পাউডার
▢ ব্রাশ করার জন্য তেল

কাটা এবং কুচোনো মাংস ধুয়ে একটি ছাকনিতে রাখুন, যাতে সমস্ত জল বেরিয়ে যায়।
এবার একটি মিক্সিং বাটিতে ধনে গুঁড়ো, লাল মরিচ গুঁড়ো, লবণ, হলুদ গুঁড়ো, আদা রসুনের পেস্ট, লেবুর রস, ভিনিগার দিয়ে ভাল করে মেশান।
এবার মাংসটা ওই মশলা দিয়ে ভাল করে মাখান। তার পর এক ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রেখে দিন।
পেঁয়াজগুলো লম্বালম্বি করে কেটে গরম তেলে ভাজুন। পেঁয়াজ বাদামি হয়ে গেলে নামিয়ে নিয়ে ঠান্ডা হতে দিন।
এবার এই মিশ্রনে শুকনো পুদিনা পাতা, দই, গরম মশলা যোগ করুন। এছাড়াও আপনার হাতের সাহায্যে ভাজা পেঁয়াজ গুঁড়ো করে এতে মিশিয়ে দিন।
এবার একটা ফয়েল দিয়ে বাটিটি ঢেকে রাখুন এবং কমপক্ষে 8 ঘণ্টা বা সারারাত ফ্রিজে রাখুন।

ম্যারিনেশন শেষে মশলা মাখানো মাটন ফয়েল থেকে বের করে নিন। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে কিছুটা তেল ছিটিয়ে দিন এবং তার পর ননস্টিক কড়াইয়ে ভেজে নিন মাঝারি আঁচে। মাইক্রোওয়েভেও দিতে পারেন। ১৮০ ডিগ্রি তাপমাত্রা সেট করে ৩০ মিনিট রাখুন। তাতেই তৈরি হয়ে যাবে গরম গ্রম মাটন চপ।

ব্যাস, আর কী! একটু লেবুর রস দিয়ে পরিবেশন করুন।

Traditional Recipe:বাড়িতেই বানাতে পারেন বাংলার ঐতিহ্যবাহী গয়না বড়ি, কীভাবে বানাবেন? রইল রেসিপি

হাওড়া: বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি গ্রামীণ শিল্প গয়না বড়ি! এবার বাড়িতেই খুব সহজেই বানাতে পারেন এই বড়ি। এক সময় গ্রামে-গঞ্জে কুমড়ো বড়ি, ফুল বড়ি, বড় বড়ি, মসলা বড়ির মত নানারকম বড়ি তৈরি হত। তবে সবথেকে আকর্ষণীয় ছিল গয়না বড়ি।

বাংলার প্রায় সব জেলাতেই গয়না বড়ির কদর রয়েছে। দেখা যেত গ্রামের মহিলাদের মধ্যে দু-একজন এই বড়ি ভাল তৈরি করতে পারেন। অন্যান্য বড়ি গ্রামের মানুষ নিজেরা দিতে পারলেও গয়না বড়ি গড়তে পারতেন না সবাই। কাজেই,গ্পারামে যাঁরা গয়ান বড়ি বানাতে পারতেন,তাঁদের কদর-ই ছিল আলাদা। কালের নিয়মে সে-সব হারিয়ে যেতে বসেছে আজ। তবে খাদ্য রসিক বাঙালি খাবারে অভিনবত্ব বরাবরই খোঁজ করে। সেই দিক থেকে গয়না বড়ির মত বাংলার ঐতিহ্যবাহী বড়ি আজও মানুষের আকর্ষণে। মা-ঠাকুমাদের পোক্ত হাতে তৈরি গয়না বড়ির যে আকর্ষণ, তার অনেকটাই মেটাতে পারবেন আপনিও।

গয়না বড়ি বানাতে লাগেবিউলির ডাল ,বাটা মশলা (জিরে, তেজ পাতা, আদা, হিং) লঙ্কা এবং নুন। ডাল ভিজিয়ে ভাল করে বেটে নিতে হবে। অন্যদিকে মশলা বেটে ডালের সঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর কাপড়ের মধ্যে বা প্লাস্টিক পেপারে বাটা ডাল নিয়ে থালায় ছড়িয়ে দেওয়া পোস্ত, তিল বা চাল গুঁড়োর উপর গয়নার আকারে বড়ি দিলেই তৈরি ‘গয়না বড়ি’।

রাকেশ মাইতি