Tag Archives: puja recipes 2024


Puja Special Recipe: পুজোর দুপুরে জমে যাবে ধোঁয়া-ওঠা ভাত আর ইলিশের মাথা দিয়ে কচুশাক

দক্ষিণ ২৪ পরগনা : বাঙালি মানেই মেছো। মাছ ছাড়া বাঙালির খাওয়া যেন সম্পূর্ণ হয় না! আর মাছ যদি ইলিশ হয়, তো কথাই নেই। পুজোয় অনেকেই বাড়িতে জমিয়ে পেটপুজো করতে ভালবাসদেন। মেনুতে একদিন রাখতেই পারেন ইলিশের মাথা দিয়ে কচুশাক আর ধোঁয়া-ওঠা ভাত… হলফ করে বলা যায়, সবাই হাত চেটে খাবে।

রান্নাটি খুব সহজ। উপকরণ-ও সাধারণ। লাগবে ইলিশ মাছের মাথা,কচুর শাক­, কালোজিরে অথবা পাঁচফোড়ন, কাঁচা লঙ্কা, শুকনো লঙ্কা, হলুদগুঁড়ো, সর্ষের তেল আর নুন, লেবুর রস।

কচুর শাক কেটে, ধুয়ে, নুন ও হলুদ দিয়ে সেদ্ধ করুন। এবার সেদ্ধ শাক একটা ঝুড়িতে ঢেলে দিন। এইভাবে শাক সেদ্ধ করে জল ফেলে দিলে গলা ধরার ভয় থাকে না। এবার অন্য কড়াইতে ইলিশের মাথা ভেজে নিন। সেই তেলে কালোজিরে,কাঁচা লঙ্কা এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন । কিছুক্ষণ ভেজে তাতে সেদ্ধ করে রাখা শাক দিয়ে মাঝারি আঁচে ভাজতে থাকুন । যখন দেখবেন শাকটা অনেকটা শুকিয়ে এসেছে , তখন মাছের মাথাভাজা ভেঙে মিশিয়ে দিন। আর-ও কিছুক্ষণ ভাজতে থাকুন। শাকের উপরে তেল ভেসে উঠলে লেবুর রস ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।

সুমন সাহা

Puja Special Recipe: এবার পুজোয় ‘মুঘলাই দাওয়াত’, বানিয়ে ফেলুন আমন্ড-কাজুর মিশেলে চিকেন মহারানি

কলকাতা: একটা সময় ছিল যখন বাঙালি বাড়িতে মাংস মানেই ছিল পাঁঠার মাংস। তারপর পাঁঠার জায়গা দখল করল মুরগি। দামে কম, মানে ভাল এবং স্বাস্থ্যকর এই চিকেন এখন বাঙালি হেঁশেলের নয়নের মণি। চিকেন মানেই হয় আলু দিয়ে ঝোল কিংবা কষা নিদেনপক্ষে চিলি চিকেন। রোজ রোজ একই ধরনের রান্না খেতে খেতে সবাই বোর হয়ে যায়। কিন্তু এ’বছর পুজোয় স্বাদ বদলাতে বানিয়ে ফেলুন মুঘলাই খানা চিকেন মহারানি।

ক্লাউড কিচেন শেফ কল্পনা দাস বলেন, চিকেন মহারানির জন্য হাড়যুক্ত মাংস নেওয়াই ভাল। পিসগুলি যেন বড় হয়। চিকেন ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। দই ভাল করে ফেটিয়ে রাখুন।  কসৌরি মেথি হাতের তালুতে ঘঁষে উঁড়ো করে নিন।এবার দই, নুন, কসৌরি মেথি, কাশ্মীরী লঙ্কার গুঁড়ো, আদা-রসুন বাটা একসঙ্গে মেখে একটা পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্ট চিকেনে মাখিয়ে দুই ঘণ্টার জন্য ম্যারিনেট করে রাখুন। অন্যদিকে আমন্ড গরম জলে এক ঘণ্টা মত ভিজিয়ে রাখুন।

রান্নার আগে তৈরি করে নিন স্পেশাল মশলা। কীভাবে বানাবেন? গোটা ধনে, জিরে এবং মৌরি শুকনো খোলায় ভাজুন। মশলাগুলি বেশি ভাজার দরকার নেই। অল্প ভাজলেই সুগন্ধ বার হবে। তখনই গ্যাস বন্ধ করে দিন। মশলার রং পরিবর্তন হয়ে গেলে সুগন্ধটা চলে যায়। একটি বড় পেঁয়াজ ঝিরিঝিরি করে কুচিয়ে নিন। অন্য দুটি পেঁয়াজ, আদা, রসুন এবং কাঁচালঙ্কা মিক্সিতে বেটে নিন। লঙ্কার পরিমাণ নিজেদের স্বাদ অনুযায়ী দেবেন।

এবার মিক্সিতে খোসা বিহীন আমন্ড, কাজু এবং অর্ধের কাপ দুধ দিয়ে একটা মিহি পেস্ট বানিয়ে নিন। বাকি অর্ধেক কাপ দুধ আলাদা করে সরিয়ে রাখুন।  এবার এতে পেঁয়াজ-আদা-রসুন বাটা দিয়ে কষাতে থাকুন। কাঁচা গন্ধ চলে গেলে তাতে দিয়ে দিন ম্যারিনেট করা চিকেন। ফের ভাল করে কষান।এবার এতে দিয়ে দিন স্পেশাল মশলা। পুরো মশলা দেবেন না। দুই চামচ মশলা দিলেই হবে। কষাতে কষাতে তেল ছাড়তে শুরু করবে, মাংস নরম হবে।

চিকেন সিদ্ধ হয়ে গেলে তাতে আমন্ড-কাজু বাটা দিয়ে ফের কষান। এতে বাকি দুধটুকু দিয়ে কষাতে থাকুন। রান্না হয়ে গেলে কিছুক্ষণ চিকেন ঢাকা দিয়ে রাখুন।লাচ্ছা পরোটা, নান, বাটার নান, তন্দুরি রুটি, রুমালি রুটি, জিরা রাইস, পোলাও, সবের সঙ্গেই জমে যাবে চিকেন মহারানি।

অনির্বাণ রায়

Puja Special Recipe: ষষ্ঠীর দুপুরে নস্টালজিয়া… ধোঁয়া-ওঠা ভাত আর পুরনো কলকাতার ‘কাতলা মাছের ভাপা’

কলকাতা: মাছের বৈচিত্র যেমন আকারে প্রকারে, গন্ধে-বর্ণে, তেমনই রান্নার পদ্ধতিতেও! এক এক জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন তরিবতে লেখা হয়েছে তার স্বাদনামা। আর বাঙালি মানেই তো মেছো! যত-ই চাইনিজ-জাপানিজ-কন্টিনেন্টাল খাবারের রমরমা হোক, একটুকরো মাছ পেলে বাঙালি যেন শান্তিতে ঢেকুড় তোলে। পুজোয় অনেকেই বাড়ির খাবার পছন্দ করেন এবং অবশ্যই বাঙালির খাবার। ষষ্ঠী বা সপ্তমীর দুপুরে গরম ভাতের সঙ্গে বানিয়ে নিন কাতলা মাছের ভাপা

এটি পুরনো কলকাতার বহু প্রাচীন একটি পদ। একসময় ঠাকুমা-দিদিমার হেঁশেলে দারুণ জনপ্রিয় ছিল। কাতলা মাছের ভাপা বানাতে লাগবে কাতলা মাছ,টক দই, কাঁচা লঙ্কা, হলুদ গুঁড়ো, সর্ষে বাটা পোস্ত ও কাঁচা লঙ্কা বাটা, পরিমাণ মত নুন,সামান্য চিনি, রান্নার জন্য সর্ষের তেল।

মাছের টুকরোগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে, নুন হলুদ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এবার কড়ায় তেল গরম করে মাছের টুকরোগুলোকে ভেজে তুলে নিতে হবে। খুব বেশি কড়া করে ভাজবেন না।
এবার একটা বড় টিফিন বাক্সে পরিমাণ মত সর্ষে বাটা, পোস্ত ও কাঁচালঙ্কা বাটা দিয়ে মিশিয়ে নিন। এরপর এক এক করে দু চামচ টক দই, সামান্য হলুদ গুঁড়ো, ১ চামচ চিনি, কয়েকটা চেরা কাঁচা লঙ্কা ও ২-৩ চামচ মত কাঁচা সর্ষের তেল দিয়ে সবটা ভাল করে মিশিয়ে নিন।

ভাপার জন্য মশলা তৈরি। এবার ভেজে রাখা মাছের টুকরোগুলো টিফিনবাক্সে বসিয়ে ভাল করে মশলা মাখিয়ে নিন। টিফিনের ঢাকনা এঁটে দিন। কড়াইয়ে বেশ কিছুটা জল দিয়ে তার উপর একটা স্ট্যান্ড বসিয়ে টিফিন বাক্স রেখে উপর থেকে ঢাকা দিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫-২০ মিনিট রান্না করলেই তৈরি কাতলা মাছের ভাপা।

Puja Special Recipe: পুজোতেও ডায়েটিং? অষ্টমীর দুপুরে বাজিমাত করবে ডায়েট খিচুড়ি

চলছে বর্ষা ঋতু। এসময় খিচুড়ি পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুব কম আছে। খিচুড়ি রান্নায় অধিক ক্যালরির চাল ব্যবহার করায় ডায়েটের জন্য অনেকে খিচুড়ি থেকে দূরে থাকেন।
চলছে বর্ষা ঋতু। এসময় খিচুড়ি পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুব কম আছে। খিচুড়ি রান্নায় অধিক ক্যালরির চাল ব্যবহার করায় ডায়েটের জন্য অনেকে খিচুড়ি থেকে দূরে থাকেন।
তবে, যারা বেশি কার্বোহাইড এড়িয়ে যেতে চাল ছাড়াও খিচুড়ি খেতে চান, আজকের রেসিপি তাদের জন্য। চাল ছাড়াই সহজে বাড়িতে বানয়ে ফেলুন খিচুড়ি।
তবে, যারা বেশি কার্বোহাইড এড়িয়ে যেতে চাল ছাড়াও খিচুড়ি খেতে চান, আজকের রেসিপি তাদের জন্য। চাল ছাড়াই সহজে বাড়িতে বানয়ে ফেলুন খিচুড়ি।
খিচুড়ি প্রস্তুতির জন্য উপকরণ হিসাবে প্রয়োজন ডালিয়া, মসুর ডাল সবজি, ভেজিটেবল অয়েল, জিরে, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, টমেটো, ধনে গুঁড়ো, হলুদ, মরিচ, গরম মশলা, লবণ।
খিচুড়ি প্রস্তুতির জন্য উপকরণ হিসাবে প্রয়োজন ডালিয়া, মসুর ডাল সবজি, ভেজিটেবল অয়েল, জিরে, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, টমেটো, ধনে গুঁড়ো, হলুদ, মরিচ, গরম মশলা, লবণ।
প্রথমে ডালিয়া ও ডাল একসঙ্গে ভালো ভাবে ধুয়ে নিয়ে ২০ মিনিট শুকিয়ে নিন। এবার উনানে অল্প আঁচে তেল গরম করে জিরে ফোড়ন দিন। অল্প ভাজা হলে পেঁয়াজ দিয়ে বাদামি রং ধরার আগেই আদা-রসুন বাটা দিয়ে দিন। কয়েক মিনিট পর গুঁড়া মশলা দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন।
প্রথমে ডালিয়া ও ডাল একসঙ্গে ভালো ভাবে ধুয়ে নিয়ে ২০ মিনিট শুকিয়ে নিন। এবার উনানে অল্প আঁচে তেল গরম করে জিরে ফোড়ন দিন। অল্প ভাজা হলে পেঁয়াজ দিয়ে বাদামি রং ধরার আগেই আদা-রসুন বাটা দিয়ে দিন। কয়েক মিনিট পর গুঁড়া মশলা দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন।
তারপর টমেটোর টুকরোগুলো ঢেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন মশলা আর তেল আলাদা হয়ে গিয়েছে। এবার কিমা আর মসুর ডাল দিয়ে রাঁধুন। এই মিশ্রণে সবজি, ডালিয়া, চিকেন স্টক কিউব, মশলা, লবণ ও মরিচ দিয়ে মিশিয়ে নিন। কিছুটা গরম হয়ে এলে আঁচ কমিয়ে নিন।
তারপর টমেটোর টুকরোগুলো ঢেলে দিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন মশলা আর তেল আলাদা হয়ে গিয়েছে। এবার কিমা আর মসুর ডাল দিয়ে রাঁধুন। এই মিশ্রণে সবজি, ডালিয়া, চিকেন স্টক কিউব, মশলা, লবণ ও মরিচ দিয়ে মিশিয়ে নিন। কিছুটা গরম হয়ে এলে আঁচ কমিয়ে নিন।
এরপর আরো কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন। তারপর উনান থেকে নামিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার ঢাকনা খুলে গরম গরম খিচুড়ি পরিবেশন করুন।
এরপর আরো কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন। তারপর উনান থেকে নামিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার ঢাকনা খুলে গরম গরম খিচুড়ি পরিবেশন করুন।

Puja Special Recipe: সর্ষে বাটায় ভাপা বা ঝাল নয়, এবার পুজোয় জমজমাট আনারস দিয়ে ইলিশ

 বাঙালি মানেই ইলিশের প্রেমে পাগল!সর্ষে বাটায় ভাপা বা বেগুন দিয়ে পাতলা ঝোল তো অনেক খেলেন, এবার পুজোয় বানিয়ে ফেলুন আনারস দিয়ে ইলিশ।
বাঙালি মানেই ইলিশের
প্রেমে পাগল!সর্ষে বাটায় ভাপা বা বেগুন দিয়ে পাতলা ঝোল তো অনেক খেলেন, এবার পুজোয় বানিয়ে ফেলুন আনারস দিয়ে ইলিশ।
আনারস-ইলিশ রাঁধতে লাগবে আনারস কুচি, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা, আদা, পাতিলেবুর রস, হলুদগুঁড়ো, নুন, চিনি ও সর্ষের তেল।
আনারস-ইলিশ রাঁধতে লাগবে আনারস কুচি, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা, আদা, পাতিলেবুর রস, হলুদগুঁড়ো, নুন, চিনি ও সর্ষের তেল।
প্রথমে ইলিশের টুকরো পরিষ্কার করে ধুয়ে পাতিলেবুর রস ও সামান্য নুন দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। এরপর মশলা তৈরি করে নিন।
প্রথমে ইলিশের টুকরো পরিষ্কার করে ধুয়ে পাতিলেবুর রস ও সামান্য নুন দিয়ে ম্যারিনেট করে রাখতে হবে। এরপর মশলা তৈরি করে নিন।
এরপর ওই মশলায় আনারস কুচি দিয়ে নাড়তে হবে‌। কিছুক্ষণ পর নুন ও চেরা কাঁচা লঙ্কাগুলি দিয়ে কষান।
এরপর ওই মশলায় আনারস কুচি দিয়ে নাড়তে হবে‌। কিছুক্ষণ পর নুন ও চেরা কাঁচা লঙ্কাগুলি দিয়ে কষান।
 মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে আগে থেকে ম্যারিনেট করে রাখা ইলিশের টুকরোগুলি দিয়ে হালকা হাতে মাছের সঙ্গে মশলাগুলি মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর আঁচ কমিয়ে মিনিট পনেরো ঢেকে রাখুন।
মশলা থেকে তেল ছেড়ে এলে আগে থেকে ম্যারিনেট করে রাখা ইলিশের টুকরোগুলি দিয়ে হালকা হাতে মাছের সঙ্গে মশলাগুলি মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর আঁচ কমিয়ে মিনিট পনেরো ঢেকে রাখুন।
 মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে উপর থেকে চেরা কাঁচালঙ্কা আর সামান্য ধনেপাত কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
মাছ সেদ্ধ হয়ে এলে উপর থেকে চেরা কাঁচালঙ্কা আর সামান্য ধনেপাত কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

Puja Special Resipe: চপ-কাটলেট-ফ্রাই-এর সঙ্গে মেয়োনিজ চাই-ই-চাই, কেনা নয়, মেয়োনিজ বানান বাড়িতেই, রইল রেসিপি

পুজোয় অনেকেই প্যান্ডেল হপিং নয়, ঘরোয়া আড্ডা পছন্দ করেন। আর আড্ডা মানে সঙ্গে দেদার চপ-কাটলেট-ফ্রাই! সঙ্গে চাই মেয়োনিজ। বাজারচলতি নানা ব্র্যান্ডের মেয়োনিজ পাওয়া যায়। কিন্তু সে-সব আদৌ স্বাস্থ্যকর নয়! গাদাগাদা ফ্যাট-কোলেস্টেরল! কাজেই, বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মেয়োনিজ।
পুজোয় অনেকেই প্যান্ডেল হপিং নয়, ঘরোয়া আড্ডা পছন্দ করেন। আর আড্ডা মানে সঙ্গে দেদার চপ-কাটলেট-ফ্রাই! সঙ্গে চাই মেয়োনিজ। বাজারচলতি নানা ব্র্যান্ডের মেয়োনিজ পাওয়া যায়। কিন্তু সে-সব আদৌ স্বাস্থ্যকর নয়! গাদাগাদা ফ্যাট-কোলেস্টেরল! কাজেই, বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন মেয়োনিজ।
মেয়োনিজ তৈরি করতে লাগবে একটা ডিম, এক টেবিলচামচ সর্ষেগুঁড়ো, এক টেবিলচামচ হোয়াইট ভিনিগার, পরিমাণমত নুন, তেল, এক চা-চামচ লেবুর রস।
মেয়োনিজ তৈরি করতে লাগবে একটা ডিম, এক টেবিলচামচ সর্ষেগুঁড়ো, এক টেবিলচামচ হোয়াইট ভিনিগার, পরিমাণমত নুন, তেল, এক চা-চামচ লেবুর রস।
প্রথমে ফুড প্রসেসরে ২ চা-চামচ তেল, ডিম, সর্ষেগুঁড়ো, ভিনিগার ও নুন দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ৩০ সেকেন্ড পর মিশ্রণটায় হালকা হলদেটে রং ধরলে ব্লেন্ডার চালু অবস্থাতেই খুব ধীরে তেল মেশাতে হবে।
প্রথমে ফুড প্রসেসরে ২ চা-চামচ তেল, ডিম, সর্ষেগুঁড়ো, ভিনিগার ও নুন দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ৩০ সেকেন্ড পর মিশ্রণটায় হালকা হলদেটে রং ধরলে ব্লেন্ডার চালু অবস্থাতেই খুব ধীরে তেল মেশাতে হবে।
মিশ্রণের হলদেটে রং কমে আসলে ব্লেন্ডার চালু থাকা অবস্থাতেই লেবুর রস মিশিয়ে আরও ১৫-২০ সেকেন্ড ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মেয়োনিজ।
মিশ্রণের হলদেটে রং কমে আসলে ব্লেন্ডার চালু থাকা অবস্থাতেই লেবুর রস মিশিয়ে আরও ১৫-২০ সেকেন্ড ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে মেয়োনিজ।
তবে মেয়োনিজ সবসময় খাওয়া উচিৎ নয়। এ'নিয়ে পুষ্টিবিদ দেবারতি ঘোষ জানান, মেয়োনিজ ওজন বাড়ায়, এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও উপকারী নয়।
তবে মেয়োনিজ সবসময় খাওয়া উচিৎ নয়। এ’নিয়ে পুষ্টিবিদ দেবারতি ঘোষ জানান, মেয়োনিজ ওজন বাড়ায়, এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও উপকারী নয়।
মেয়োনিজ শরীরে অস্বাস্থ্যকর চর্বি জমাতে পারে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। মেয়োনিজের অত্যধিক ব্যবহার শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়, হার্টের জন্য-ও ভাল নয়।
মেয়োনিজ শরীরে অস্বাস্থ্যকর চর্বি জমাতে পারে। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। মেয়োনিজের অত্যধিক ব্যবহার শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায়, হার্টের জন্য-ও ভাল নয়।

Puja Special Recipe: ইলিশ কিংবা পনির নয়, এবার পুজোর ভোজে বানিয়ে ফেলুন অন্য স্বাদের পটলের পাতুরি

ভাজা হোক কিংবা দোলমা, বাঙালি মানেই পটল-প্রেমী! আর রোজকার আলু পটলের ঝোল বা ডালনা তো আছেই! কিন্তু পুজোর দুপুরে স্বাদ বদলাতে বানিয়ে ফেলুন একেবারে অন্যরকমপটলের পাতুরি। সবাই হাত চেটে খাবে
ভাজা হোক কিংবা দোলমা, বাঙালি মানেই পটল-প্রেমী! আর রোজকার আলু পটলের ঝোল বা ডালনা তো আছেই! কিন্তু পুজোর দুপুরে স্বাদ বদলাতে বানিয়ে ফেলুন একেবারে অন্যরকমপটলের পাতুরি। সবাই হাত চেটে খাবে
 পুজোয় অনকেই বাড়ির খাবার পছন্দ করেন। কাজেই ষষ্টী বা সপ্তমীর দুপুরে বানিয়ে ফেলুন সর্ষে পোস্তয় মাখোমাখো পটলের পাতুরি।রেসিপি দিয়েছেন আসানসোলের একটি বাঙালি রেস্তোরাঁর অন্যতম শেফ বর্ণালী দেবনাথ
পুজোয় অনকেই বাড়ির খাবার পছন্দ করেন। কাজেই ষষ্টী বা সপ্তমীর দুপুরে বানিয়ে ফেলুন সর্ষে পোস্তয় মাখোমাখো পটলের পাতুরি।রেসিপি দিয়েছেন আসানসোলের একটি বাঙালি রেস্তোরাঁর অন্যতম শেফ বর্ণালী দেবনাথ
পটলের পাতুরি বানাতে পটলের পাশাপাশি লাগবে সর্ষে পোস্ত বাটা, নারকেল কোড়া, টক দই, কলা পাতা, সর্ষের তেল, নুন, হলুদ এবং কাঁচালঙ্কা ।
পটলের পাতুরি বানাতে পটলের পাশাপাশি লাগবে সর্ষে পোস্ত বাটা, নারকেল কোড়া, টক দই, কলা পাতা, সর্ষের তেল, নুন, হলুদ এবং কাঁচালঙ্কা ।
পটলগুলি লম্বালম্বি করে দু'ভাগে কেটে, নুন-হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। অন্য একটি পাত্রে সর্ষে পোস্ত বাটা, নারকেল কোড়া, টক দই, কাঁচালঙ্কা, স্বাদমতো নুন এবং সর্ষের তেল ভালভাবে মিশিয়ে নিন।
পটলগুলি লম্বালম্বি করে দু’ভাগে কেটে, নুন-হলুদ মাখিয়ে ভেজে নিন। অন্য একটি পাত্রে সর্ষে পোস্ত বাটা, নারকেল কোড়া, টক দই, কাঁচালঙ্কা, স্বাদমতো নুন এবং সর্ষের তেল ভালভাবে মিশিয়ে নিন।
ওই মিশ্রণের সঙ্গে পটলগুলি মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর কলা পাতায় দুটি করে পটল রেখে, সেটিকে ভালভাবে মুড়ে সুতো দিয়ে বেঁধে নিন। এবার ঢাকা দিয়ে কম আঁচে পনেরো মিনিট রান্না করতে হবে। পনেরো মিনিট পরে ঢকা খুলে একটা প্লেটের সাহায্যে সাবধানে উল্টে নিতে হবে। আবার সাত আট মিনিট মত কম আঁচে রান্না করতে হবে।
ওই মিশ্রণের সঙ্গে পটলগুলি মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। তারপর কলা পাতায় দুটি করে পটল রেখে, সেটিকে ভালভাবে মুড়ে সুতো দিয়ে বেঁধে নিন। এবার ঢাকা দিয়ে কম আঁচে পনেরো মিনিট রান্না করতে হবে। পনেরো মিনিট পরে ঢকা খুলে একটা প্লেটের সাহায্যে সাবধানে উল্টে নিতে হবে। আবার সাত আট মিনিট মত কম আঁচে রান্না করতে হবে।

Chomchom from Belakoba: উপরে কড়া, ভিতরে তুলতুলে রসাল মৌচাক! বেলাকোবার চমচমের রহস্যময় রেসিপি এসেছিল টাঙ্গাইল থেকে

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: সামনেই পুজো আর পুজো মানেই বাঙালির মিষ্টিমুখ হবে না তা কী হয়! আর উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িবাসীর মিষ্টিমুখের প্রসঙ্গ এলেই সর্বাগ্রে থাকে বেলাকোবার চমচম। বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন এই মিষ্টির স্বাদ নিতে। নরম তুলতুলে নয়, কড়া। উপরটা যতটা শক্ত, ভিতরটা ততটা নয়। স্থানীয়দের কথায়,মৌচাকের রসের মতোই রসাল।

তবে এই বিখ্যাত, ঐতিহ্যপূর্ণ চমচমের ইতিহাস জানেন? টাঙ্গাইল থেকে বেলাকোবা। যাত্রাটা নেহাত সহজ ছিল না। স্বাধীনতার আগে যখন মানচিত্র টুকরো হতে যাচ্ছে, তখনই যোগসূত্র তৈরি হয়ে যায় এই দুই জনপদের। তখনও টাঙ্গাইল জেলাসদর হয়নি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে চলে যাওয়ায়, টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী নদীর পাড়ের বসতি ছেড়ে পরিবার নিয়ে বেলাকোবায় চলে এসেছিলেন দুই বন্ধু। তাঁদের সঙ্গেই আসে পোড়াবাড়ির চমচমের ‘রহস্যময়’ রেসিপি। পরবর্তীতে যা কিনা বেলাকোবার চমচম হিসেবে খ্যাত হয়েছে‌।

আরও পড়ুন : উপকারিতায় ঠাসা হলেও এই বিশেষ ক্ষেত্রে চরম ক্ষতি লালশাকে! জানুন কারা এই পাতা মুখে তুললেই সর্বনাশ!

কিন্তু এখনও মেলেনি এই চমচমের জি.আই ট্যাগ। এর আগে জিআই ট্যাগ পেয়েছে সরভাজা। অনেক আগেই ট্যাগ পেয়েছিল রসগোল্লা।আর দীর্ঘদিন ধরে চমচম তৈরি করেও এখনও জিআই ট্যাগ মেলেনি জলপাইগুড়ির এই ব্যবসায়ীদের। খানিক মুখ ভার হলেও এখনও তাঁরা আশাবাদী, হয়তো তাদেরও মিলবে ভৌগোলিক ইঙ্গিত ট্যাগ।রহস্যময় এই চমচমের রেসিপি এখনও পর্যন্ত বাইরে কোথাও কেউ জানে না। ফলে জিআই তকমা পাওয়ার ষোলআনা দাবিদার তাঁরাই। এখন অপেক্ষা কবে তাদের এই আশা পূর্ণ হয়!

Bengali Fish: স্বাদে মাংসকে হার মানাবে! মারকাটারি পুষ্টিগুণ, দেখতে সাপের মতো ত্যাড়া ব্যাকা, বলুন তো কী?

রোজ একঘেয়ে রুই-কাতলা মাছের কালিয়া, ঝোল খেতে কার ভাল লাগে! আবার অনেকেই দামি ইলিশ, ভেটকি বা রুই-কাতলা মাছ ছাড়া অন্য ছোট মাছ পছন্দ করেন না। এবার সহজপ্রাপ্য বান মাছ দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন একটু অন্যরকম পদ বান মাছের ঝাল। অফিসের তাড়াহুড়োয় চটজলদি একবার বানিয়ে খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে এই বান মাছের ঝাল। (সুস্মিতা গোস্বামী)
রোজ একঘেয়ে রুই-কাতলা মাছের কালিয়া, ঝোল খেতে কার ভাল লাগে! আবার অনেকেই দামি ইলিশ, ভেটকি বা রুই-কাতলা মাছ ছাড়া অন্য ছোট মাছ পছন্দ করেন না। এবার সহজপ্রাপ্য বান মাছ দিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন একটু অন্যরকম পদ বান মাছের ঝাল। অফিসের তাড়াহুড়োয় চটজলদি একবার বানিয়ে খেলে বারবার খেতে ইচ্ছা করবে এই বান মাছের ঝাল। (সুস্মিতা গোস্বামী)
প্রথমেই মাছগুলোকে সাইজ অনুযায়ী ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে। কড়াইতে সরষের তেল গরম করে নুন হলুদ মাখিয়ে এপিঠ ওপিঠ উল্টে পাল্টে ভালভাবে ভেজে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন কোনভাবেই যেন মাছ ভেঙে না যায়। এবার ওই তেলেই সামান্য গোটা জিরে, এলাচ দারচিনি লবঙ্গ শুকনো লঙ্কা ও তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে হালকা নেড়ে নিয়ে তাতে কুঁচিয়ে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
প্রথমেই মাছগুলোকে সাইজ অনুযায়ী ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে। কড়াইতে সরষের তেল গরম করে নুন হলুদ মাখিয়ে এপিঠ ওপিঠ উল্টে পাল্টে ভালভাবে ভেজে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন কোনভাবেই যেন মাছ ভেঙে না যায়। এবার ওই তেলেই সামান্য গোটা জিরে, এলাচ দারচিনি লবঙ্গ শুকনো লঙ্কা ও তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে হালকা নেড়ে নিয়ে তাতে কুঁচিয়ে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে ভেজে নিতে হবে।
রং পরিবর্তন হয়ে এলে তাতে বেটে রাখা পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচালঙ্কার পেস্ট দিয়ে একটু নেড়ে নিয়ে এবার তাতে একে একে পরিমাণ মতন নুন, লঙ্কার গুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, হলুদ ও সামান্য মিট মশলা ছড়িয়ে বেশ ভালভাবে নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিতে হবে।
রং পরিবর্তন হয়ে এলে তাতে বেটে রাখা পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচালঙ্কার পেস্ট দিয়ে একটু নেড়ে নিয়ে এবার তাতে একে একে পরিমাণ মতন নুন, লঙ্কার গুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো, ধনেগুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, হলুদ ও সামান্য মিট মশলা ছড়িয়ে বেশ ভালভাবে নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিতে হবে।
অপরদিকে দু চামচ টক দই ভালভাবে ফেটিয়ে নিয়ে কড়াইয়ের মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। এতে রান্নার স্বাদের পাশাপাশি রং টাও ফুঁটে ওঠে। এভাবেই একইসঙ্গে সব মশলা ভালভাবে নেড়ে চেড়ে কষিয়ে নিতে হবে। উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে সামান্য চিনি। মশলা কষে গিয়ে তেল ছাড়লে উপর থেকে কিছুটা গরম জল দিয়ে নেড়ে দিতে হবে। ঝোল ফুটে এলে তার মধ্যে একে একে ভেজে রাখা মাছের টুকরো গুলো দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এতে সহজেই মাছের মধ্যে ঝোল ঢুকে গিয়ে স্বাদ বাড়িয়ে তোলে।
অপরদিকে দু চামচ টক দই ভালভাবে ফেটিয়ে নিয়ে কড়াইয়ের মধ্যে ঢেলে দিতে হবে। এতে রান্নার স্বাদের পাশাপাশি রং টাও ফুঁটে ওঠে। এভাবেই একইসঙ্গে সব মশলা ভালভাবে নেড়ে চেড়ে কষিয়ে নিতে হবে। উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে হবে সামান্য চিনি। মশলা কষে গিয়ে তেল ছাড়লে উপর থেকে কিছুটা গরম জল দিয়ে নেড়ে দিতে হবে। ঝোল ফুটে এলে তার মধ্যে একে একে ভেজে রাখা মাছের টুকরো গুলো দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এতে সহজেই মাছের মধ্যে ঝোল ঢুকে গিয়ে স্বাদ বাড়িয়ে তোলে।
এরপর ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে ঝোল ফুটে গিয়ে গা মাখা হয়ে এলে উপর থেকে কয়েকটা চেড়া কাঁচালঙ্কা ও সামান্য গরম মশলা ছড়িয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি বান মাছের ঝাল। একবার বাড়িতে বানিয়ে খেলে ছোট থেকে বড় সকলের মন কাড়বে। গরম গরম ভাতের সঙ্গে জাস্ট জমে যাবে।
এরপর ঢাকা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিয়ে ঝোল ফুটে গিয়ে গা মাখা হয়ে এলে উপর থেকে কয়েকটা চেড়া কাঁচালঙ্কা ও সামান্য গরম মশলা ছড়িয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি বান মাছের ঝাল। একবার বাড়িতে বানিয়ে খেলে ছোট থেকে বড় সকলের মন কাড়বে। গরম গরম ভাতের সঙ্গে জাস্ট জমে যাবে।

Hilsa Offbeat Recipes: সরষেবাটা, ভাপা তো অনেক খেলেন, এ বার সহজেই রাঁধুন ইলিশের কোরমা ও পোলাও! রইল চটজলদি রেসিপি

বাজারে গেলেই এখন ইলিশের ছড়াছড়ি। মাছে ভাতে বাঙালি ইলিশ দেখলে অন্যমাছের দিকে খানিক কমই ঝোঁকেন! ইলিশ ভাপে কিংবা কালোজিরে-কাচা লঙ্কার পাতলা ঝোল তো অনেক খেয়েছেন এবার একটু
বাজারে গেলেই এখন ইলিশের ছড়াছড়ি। মাছে ভাতে বাঙালি ইলিশ দেখলে অন্যমাছের দিকে খানিক কমই ঝোঁকেন! ইলিশ ভাপে কিংবা কালোজিরে-কাচা লঙ্কার পাতলা ঝোল তো অনেক খেয়েছেন এবার একটু “অন্যরকম ইলিশ”-এর বাহারি পদ রেঁধে চেখে দেখুন । কীভাবে বানাবেন, কী কী পদ হতে পারে বিস্তারিত জানুন।
মুখি কচুতে ইলিশ: ইলিশ মাছগুলোকে লবণ হলুদ লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে মেখে হালকা ভেজে নিতে হবে। এরপর সেই তেলে কচুর ছড়া দিয়ে অন্যান্য মশলা দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে তাতে জল দিয়ে ফুটিয়ে মাছ গুলো দিয়ে খানিকক্ষণ রান্না করে নিলেই রেডি মুখি কচু ইলিশ ঝোল।
মুখি কচুতে ইলিশ: ইলিশ মাছগুলোকে লবণ হলুদ লঙ্কাগুঁড়ো দিয়ে মেখে হালকা ভেজে নিতে হবে। এরপর সেই তেলে কচুর ছড়া দিয়ে অন্যান্য মশলা দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে তাতে জল দিয়ে ফুটিয়ে মাছ গুলো দিয়ে খানিকক্ষণ রান্না করে নিলেই রেডি মুখি কচু ইলিশ ঝোল।
লেবু ইলিশ: মাছের সঙ্গে হলুদ, লবণ, লঙ্কাগুঁড়ো কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর কড়াইয়ে তেলের মধ্যে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে হালকা নেড়ে একে একে আদা বাটা ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে ইলিশ মাছের টুকরোগুলো দিতে হবে। এরপর পরিমাণমতো জল দিয়ে ফুটিয়ে কাঁচা লঙ্কা ও সামান্য লেবুর রস ছড়িয়ে দিয়ে ২-৩ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে নিলেই সুস্বাদু লেবু ইলিশ তৈরি।
লেবু ইলিশ: মাছের সঙ্গে হলুদ, লবণ, লঙ্কাগুঁড়ো কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর কড়াইয়ে তেলের মধ্যে পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে হালকা নেড়ে একে একে আদা বাটা ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে ইলিশ মাছের টুকরোগুলো দিতে হবে। এরপর পরিমাণমতো জল দিয়ে ফুটিয়ে কাঁচা লঙ্কা ও সামান্য লেবুর রস ছড়িয়ে দিয়ে ২-৩ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে নিলেই সুস্বাদু লেবু ইলিশ তৈরি।
ইলিশের কোরমা: মাছের সব টুকরোগুলো বাটা মশলা, লঙ্কার গুঁড়ো, টকদই ও লবণ দিয়ে ভালভাবে মেখে ঘণ্টাখানেক ম্যারিনেট করতে হবে। কড়াইয়ে তেল, ঘি গরম করে মিহি করা পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো ইলিশ মাছ, এলাচ, দারচিনি ও তেজপাতা দিয়ে ১০ মিনিট কষার পর তেল উপরে ভেসে উঠলে চিনি ও কিশমিশ দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করলেই তৈরি সুস্বাদু ইলিশ কোরমা।
ইলিশের কোরমা: মাছের সব টুকরোগুলো বাটা মশলা, লঙ্কার গুঁড়ো, টকদই ও লবণ দিয়ে ভালভাবে মেখে ঘণ্টাখানেক ম্যারিনেট করতে হবে। কড়াইয়ে তেল, ঘি গরম করে মিহি করা পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে তাতে মাখানো ইলিশ মাছ, এলাচ, দারচিনি ও তেজপাতা দিয়ে ১০ মিনিট কষার পর তেল উপরে ভেসে উঠলে চিনি ও কিশমিশ দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করলেই তৈরি সুস্বাদু ইলিশ কোরমা।
ইলিশ পোলাও: মাছের টুকরোগুলোতে আদা, রসুন, লবণ ও দই মেখে ম্যারিনেট করে কড়াইয়ে তেল গরম করে দারচিনি, এলাচ দিয়ে নেড়ে বাটা পেঁয়াজ দিয়ে মসলা কষিয়ে মাছ দিয়ে কম আঁচে ঢেকে রান্না করে নিন। এবার, অন্য পাত্রে মাছের মশলা দিয়ে চাল কিছুক্ষণ ভেজে পরিমাণ মত জল ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে পোলাও বানিয়ে নিন। এবার একটি বড় পাত্রে পোলাওয়ের ওপর মাছ বিছিয়ে বাকি পোলাও দিয়ে বেরেস্তা দিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখলেই রেডি ইলিশ পোলাও।
ইলিশ পোলাও: মাছের টুকরোগুলোতে আদা, রসুন, লবণ ও দই মেখে ম্যারিনেট করে কড়াইয়ে তেল গরম করে দারচিনি, এলাচ দিয়ে নেড়ে বাটা পেঁয়াজ দিয়ে মসলা কষিয়ে মাছ দিয়ে কম আঁচে ঢেকে রান্না করে নিন। এবার, অন্য পাত্রে মাছের মশলা দিয়ে চাল কিছুক্ষণ ভেজে পরিমাণ মত জল ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে পোলাও বানিয়ে নিন। এবার একটি বড় পাত্রে পোলাওয়ের ওপর মাছ বিছিয়ে বাকি পোলাও দিয়ে বেরেস্তা দিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখলেই রেডি ইলিশ পোলাও।