Tag Archives: Ratha Yatra 2024

Ratha Yatra 2024: খামখেয়ালি আবহাওয়ার ধাক্কা সামলে রথে ভাল ব্যবসার আশায় নার্সারি মালিকরা

পশ্চিম বর্ধমান: আর কয়েকদিন পরই রথযাত্রা। আসছে রবিবার প্রভু জগন্নাথদেব ভাই-বোনকে সঙ্গে নিয়ে পাড়ি দেবেন মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে। প্রথা অনুযায়ী রথযাত্রার দিন বৃক্ষরোপণ করা হয়, যা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করেন বহু মানুষ। তাই রথ যাত্রার আগে এই সময়টায় নার্সারিগুলিতে দেখা যাচ্ছে প্রস্তুতির ছবি। মন্দা কাটিয়ে ব্যবসা বৃদ্ধির আশায় প্রবল ব্যস্ত নার্সারির কর্মচারীরা থেকে শুরু করে মালিকরা।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরে আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনার জন্য দক্ষিণবঙ্গের মানুষকে রীতিমত নাজেহাল হতে হয়েছে। তীব্র গরমের কারণে বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন নার্সারির মালিকরা। তাঁরা বলছেন, গরমের জন্য গাছের পরিচর্যা করা রীতিমত কঠিন হয়ে পড়েছিল। কর্মচারীরা রোদে গরমে কাজ করতে পারছিলেন না। তার উপর প্রচন্ড তাপ গাছের ক্ষতি করেছে। সবমিলিয়ে প্রচুর পরিমাণে গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে রথযাত্রার হাত ধরে সেই মন্দা এবার কাটবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনা কমাতে উঠে পড়ে লাগল এই জেলা, কী হল জানেন?

পশ্চিম বর্ধমানের বুদবুদের নার্সারির মালিক বিকাশ ঘোষ বলেন, যেখানে প্রত্যেক বছর উৎপাদন অনুযায়ী ১০ শতাংশ গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, সেখানে এবার ৪০ শতাংশ গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আবার গাছগুলিকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। টুকটাক গাছ বিক্রি শুরু হয়েছে। রথযাত্রার দিন যেহেতু বৃক্ষ রোপণের নিয়ম রয়েছে, তাই ওই দিন থেকে ব্যবসা বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন করছেন।

রথযাত্রার দিনটির কথা মাথায় রেখে তুমুল ব্যস্ততা নার্সারিগুলিতে দেখা যাচ্ছে। নার্সারি কর্মচারীরা সমস্ত গাছ তৈরি করে রাখছেন। কারণ এদিন একসঙ্গে বহু ক্রেতা ভিড় জমান। ফল, ফুল সবমিলিয়ে গাছের শেষ মুহূর্তের পরিচর্যা চলছে। সেগুলিকে তৈরি করা হচ্ছে ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। আম, লেবু, পেয়ারা ইত্যাদি ফলের গাছগুলি বেশি সংখ্যায় রাখা হচ্ছে। কারণ এগুলোর চাহিদা থাকে বেশি। পাশাপাশি বিভিন্ন মরশুমি ফুলের গাছও তাঁরা তৈরি রাখছেন।

নয়ন ঘোষ

Ratha Yatra 2024: রথে হাজার হাজার জগন্নাথ পাড়ি দেবে বর্ধমানের এই জায়গা থেকে

পূর্ব বর্ধমান: রথযাত্রা উপলক্ষ্যে বর্ধমানের নতুনগ্রামের শিল্পীদের ব্যস্ততা বর্তমানে তুঙ্গে উঠেছে। সম্পুর্ণ গ্রাম জুড়ে তৈরি হচ্ছে প্রায় ১২ হাজার জগন্নাথ। নতুনগ্রামের তৈরি এইসকল জগন্নাথ পাড়ি দেবে কলকাতা সহ আরও বিভিন্ন জায়গায়। গ্রামের প্রত্যেক শিল্পী এখন ব্যস্ত জগন্নাথ তৈরিতে। গ্রামে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই শিল্পীরা জগন্নাথ মূর্তি তৈরি করছেন। তবে শুধু পুরুষরা নয়, এই কাজে হাত লাগিয়েছেন বাড়ির বধূরাও।

প্রত্যেক বছর‌ই রথযাত্রা উপলক্ষ্যে হাজার হাজার জগন্নাথ তৈরি হয় নতুনগ্রাম জুড়ে। কাঠের জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা নিয়ে শিল্পীরা রথযাত্রার আগের দিন পাড়ি দেন বিভিন্ন জায়গায়। লক্ষ্মীলাভের আশায় সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন গ্রামের শিল্পীরা। এই প্রসঙ্গে নতুনগ্রামের শিল্পী গৌরাঙ্গ ভাস্কর বলেন, এই সময় আমরা জগন্নাথ তৈরিতে ব্যস্ত থাকি। সব বাড়িতে বাড়িতে এখন জগন্নাথ তৈরি হচ্ছে। গ্রাম জুড়ে প্রায় ১২-১৩ হাজার জগন্নাথ মূর্তি তৈরি হচ্ছে। দমদম, নাগেরবাজার, শ্রীরামপুর, গুপ্তিপাড়া, কালীঘাট সহ যেখানে রথের মেলা হয় আমরা বিভিন্ন জায়গায় এই জগন্নাথ মূর্তি নিয়ে যাই।

আরও পড়ুন: লরির ধাক্কায় উড়ে গেল বাইক চালক! ভয়ঙ্কর কাণ্ড হাওড়ার রাস্তায়

সাধারণত বর্ধমানের নতুনগ্রামে শিল্পীরা কাঠের পেঁচা, গৌর নিতাই, ফার্নিচার সহ বিভিন্ন আধুনিক জিনিসও তৈরি করেন। বর্তমানে ভাল কদর বেড়েছে এই গ্রামের শিল্পীদের। এখনকার তৈরি জিনিস এখন বিদেশেও পাড়ি দেয়। আবার অনেকসময় বিদেশীরাও আসেন বর্ধমানের এই গ্রামে। তবে বছরের অন্যান্য সময় শিল্পীরা বিভিন্ন জিনিস তৈরি করলেও রথযাত্রার আগের এই সময়টায় ব্যস্ত থাকেন জগন্নাথ মূর্তি তৈরিতে। ছোট থেকে বড় নানান মাপের মূর্তি তৈরি করেন শিল্পীরা। এই বিষয়ে নতুনগ্রামের শিল্পী সুব্রত ভাস্কর বলেন, ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকার বেশি দামের জগন্নাথ আমরা বিক্রি করি। এবার আমি ২৫ হাজার টাকার জগন্নাথ মূর্তিও তৈরি করেছি। জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা তিনটে মূর্তি আমরা একটা সেট হিসেবেও বিক্রি করি। এই সময় আমাদের বিক্রি ভাল হয়। রথযাত্রার বেশ কয়েক মাস আগে থেকে আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিই।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Rathayatra 2024 Lucky Zodiacs: রথযাত্রা থেকেই কাঁপাবে ৪ রাশি, জগন্নাথ-বলভদ্র-সুভদ্রার আশীর্বাদে জীবন জুড়ে বিরাট সাফল্য

রথযাত্রা সারা দেশের এক গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব ৷ অত্যন্ত শুভ একটি তিথি যেই তিথিতে যে কোনও কাজে হাল দিলে সেই কাজ অত্যন্ত শুভ হতে পারে ৷ প্রতীকী ছবি ৷

সারা দেশের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশের মাটিতেও আগামী ৭ জুলাই পালিত হবে রথযাত্রা (খেয়াল রাখতে হবে আন্তর্জাতিক টাইম জোনের নিরিখে যতটা যা পরিবর্তন) ৷ প্রতীকী ছবি ৷
সারা দেশের সঙ্গে সঙ্গে বিদেশের মাটিতেও আগামী ৭ জুলাই পালিত হবে রথযাত্রা (খেয়াল রাখতে হবে আন্তর্জাতিক টাইম জোনের নিরিখে যতটা যা পরিবর্তন) ৷ প্রতীকী ছবি ৷
এই রথযাত্রাতেই এক বিরাট মুহূর্তের সূচনা হতে চলেছে এরফলে তিন রাশির জাতক-জাতিকাদের হাতে বিরাট অঙ্কের টাকা পয়সা আসতে চলেছে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
এই রথযাত্রাতেই এক বিরাট মুহূর্তের সূচনা হতে চলেছে এরফলে চার রাশির জাতক-জাতিকাদের হাতে বিরাট অঙ্কের টাকা পয়সা আসতে চলেছে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
এই রথযাত্রা থেকেই ঘুরছে তিন রাশির ভাগ্য ৷ প্রচুর টাকা রোজগার করতে পারবেন জাতক-জাতিকারা, জীবনে আসবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় ৷ প্রতীকী ছবি ৷
এই রথযাত্রা থেকেই ঘুরছে তিন রাশির ভাগ্য ৷ প্রচুর টাকা রোজগার করতে পারবেন জাতক-জাতিকারা, জীবনে আসবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় ৷ প্রতীকী ছবি ৷
বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের মাথায় জগন্নাথদেবের আশীর্বাদে জীবন আরও সুন্দর হতে চলেছে ৷ আর্থিক পরিস্থিতি অনুকূল হতে চলেছে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
বৃষ রাশির জাতক-জাতিকাদের মাথায় জগন্নাথদেবের আশীর্বাদে জীবন আরও সুন্দর হতে চলেছে ৷ আর্থিক পরিস্থিতি অনুকূল হতে চলেছে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
ব্যবসা বাণিজ্যে নতুন করে সুযোগ সুবিধা আসতে চলেছে ৷ সূর্যের শুভ প্রভাবে এবার জীবন আরও সুন্দর হতে চলেছে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
ব্যবসা বাণিজ্যে নতুন করে সুযোগ সুবিধা আসতে চলেছে ৷ সূর্যের শুভ প্রভাবে এবার জীবন আরও সুন্দর হতে চলেছে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
মিথুন রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য জীবন আগের থএেক আরও ভাল হতে চলেছে ৷ প্রতিটি কাজেই সাফল্য পাবেন, জীবন হবে স্বপ্নপূরণের রূপকথা ৷ প্রতীকী ছবি ৷
মিথুন রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য জীবন আগের থএেক আরও ভাল হতে চলেছে ৷ প্রতিটি কাজেই সাফল্য পাবেন, জীবন হবে স্বপ্নপূরণের রূপকথা ৷ প্রতীকী ছবি ৷
টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ির সঙ্গে বিশাল অঙ্কের সম্পত্তি পাবেন জাতক-জাতিকারা ৷ চাকরিজীবীদের বাড়তে পারে বেতন ৷ ব্যবসা বাণিজ্যের জন্যও আরও ভাল সময় আসতে চলেছে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
টাকা পয়সা বাড়ি গাড়ির সঙ্গে বিশাল অঙ্কের সম্পত্তি পাবেন জাতক-জাতিকারা ৷ চাকরিজীবীদের বাড়তে পারে বেতন ৷ ব্যবসা বাণিজ্যের জন্যও আরও ভাল সময় আসতে চলেছে ৷ প্রতীকী ছবি ৷
কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা নতুন সম্পত্তি কিনতে পারবেন ৷ কেরিয়ারে উন্নতি হতে চলেছে, প্রতিটি কাজেই ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন ৷ প্রতীকী ছবি ৷
কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকারা নতুন সম্পত্তি কিনতে পারবেন ৷ কেরিয়ারে উন্নতি হতে চলেছে, প্রতিটি কাজেই ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন ৷ প্রতীকী ছবি ৷
বাধা বিপত্তি কেটে যাবে, আর্থিক অবস্থা আগের থেকে আরও ভাল হতে চলেছে, কেননা শনিদেব তাঁর মূল ত্রিকোণ রাশি কম্ভতে বক্রি অবস্থায় থাকছেন ৷ প্রতীকী ছবি ৷
বাধা বিপত্তি কেটে যাবে, আর্থিক অবস্থা আগের থেকে আরও ভাল হতে চলেছে, কেননা শনিদেব তাঁর মূল ত্রিকোণ রাশি কম্ভতে বক্রি অবস্থায় থাকছেন ৷ প্রতীকী ছবি ৷
বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য রথযাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে ৷ মনের সমস্ত ইচ্ছাপূরণ হবে এবার ৷ প্রতীকী ছবি ৷
বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য রথযাত্রা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে ৷ মনের সমস্ত ইচ্ছাপূরণ হবে এবার ৷ প্রতীকী ছবি ৷
দাম্পত্য জীবনে এবার আরও সুখ, আরও শান্তির হবে ৷ দাম্পত্য জীবন থেকে পারিবারিক শান্তি সবই পাবেন জাতক-জাতিকারা ৷ প্রতীকী ছবি ৷
দাম্পত্য জীবনে এবার আরও সুখ, আরও শান্তির হবে ৷ দাম্পত্য জীবন থেকে পারিবারিক শান্তি সবই পাবেন জাতক-জাতিকারা ৷ প্রতীকী ছবি ৷
উপরোক্ত বিষয় মানতে নিউজ ১৮ বাংলা বাধ্য বা অনুরোধ করেনা নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন ৷ প্রতীকী ছবি ৷
Disclaimer: উপরোক্ত বিষয় মানতে নিউজ ১৮ বাংলা বাধ্য বা অনুরোধ করেনা নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন ৷ প্রতীকী ছবি ৷

Ratha Yatra: কাঠের রথে জিয়া নস্টাল! আষাড় মাস এলেই হাতছানি দেয় ছোটবেলা

বাঁকুড়া: তাল পাতার ভেঁপু, গ্রীষ্মের দুপুরে আমের আচার কিংবা ২ টাকার পেপসি। এই তিন জিনিসের নাম শুনে বা পড়ে আজ‌ও হয়ত অনেকে ‘নস্টালজিয়া’য় আক্রান্ত হন। নস্টালজিয়ার সঞ্চারের আরও একটি জায়গা তৈরি হচ্ছে বাঁকুড়াতে। ছোট ছোট কাঠের রথ। ৯০-এর দশকের বাচ্চাদের স্বপ্ন ছিল রথযাত্রা দিনে তাদের একটি করে ছোট কাঠের রথ থাকবে। যাতে ঘণ্টা লাগিয়ে মালা পরিয়ে টানতে টানতে ঘোরা হবে গোটা পাড়া।

ধীরে ধীরে যুগ বদলেছে, সময় পাল্টেছে। বাচ্চাদের হাতে এখন অতি বুদ্ধিমান মুঠোফোন। বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের বেড়াজালে অনলাইন ক্লাসের চাপে এবং জীবনের রেসে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে সেসব ছেলেবেলা এখন প্রায় হারিয়ে গেছে বললে ভুল হবে না। তবুও রথ যাত্রার আগে যেন আবারও নব্বইয়ের দশকে ফিরে যান বাঁকুড়ার কিছু রথ প্রস্তুতকারকরা। কীসের একটা আশায় তাঁরা কাঠ দিয়ে তৈরি করেন ছোট ছোট রথ। সেরকমই ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়ার মাচানতলায়। কাঠ কেটে রথ তৈরি করতে দেখা গেল এক রথ প্রস্তুতকারককে।

আর‌ও পড়ুন: সেতু নির্মাণে গতি মন্থরতা, যানজটে নাকাল বারুইপুর

বিভিন্ন আকারের রথ রয়েছে। একেবারে ছোট থেকে শুরু করে তিন ফুট উচ্চতা পর্যন্ত। দামও ভিন্ন ভিন্ন। আড়াইশো টাকা থেকে শুরু করে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা পর্যন্ত দামের রথ পাওয়া যাচ্ছে। অর্ডার দিয়েও তৈরি হচ্ছে রথ। প্রখর রোদের মাঝে রথের কাজ করতে দেখে মুখ তুলে তাকাচ্ছেন পথ চলতি মানুষজন। পাশে এসে উজ্জ্বল চোখে কাঠের রথ দেখছে ছোট ছোট বাচ্চারা। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা। এখন শুধুই অপেক্ষা রথ যাত্রার। রথ প্রস্তুতকারক রথীন শীল বলেন, প্রতিবছর এই সময়টাতে বিভিন্ন আকারের রথ বিক্রি হয়। বাচ্চা থেকে বয়স্ক সকলেই রথ কিনে নিয়ে যান। এছাড়াও প্রত্যেকের বাড়িতে রয়েছেন গোপাল। সেই কারণেই রথের জনপ্রিয়তা পৌঁছেছে অন্য মাত্রায়।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

Ratha Yatra 2024: মাহেশের রথযাত্রা এখনও অনেক দেরি, অক্ষয় তৃতীয়াতে হয়ে গেল চন্দন যাত্রা, কী সেই সনাতন রীতি

হুগলি:  হুগলির মাহেশর জগন্নাথ মন্দিরে রথ যাত্রার শুভ আরম্ভ হয় অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে চন্দন যাত্রার মাধ্যমে। কথিত আছে এই দিনেই নাকি জগন্নাথ দেব রাজা ইন্দ্রদ্যুম্মকে স্বপ্ন দিয়েছিলেন তার সারা গায়ে চন্দনের প্রলেপ দেওয়ার জন্য। সেই থেকেই প্রতি বছর এই দিনে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির এর মতন হুগলির মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের জগন্নাথ বলরাম এবং সুভদ্রাকে কপালে চন্দনের পট্টি পড়ানো হয়।

কথিত ইতিহাস অনুযায়ী, রাজা ইন্দ্রদ্যুম্মকে জগন্নাথ দেব স্বপ্নাদেশ দিয়ে বলেন গরম থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তাকে চন্দন প্রলেপ দিতে বলা হয়। এর ঠিক ৪২ দিন বাদে রাজার কাছে আবার স্বপ্ন আসে যেখানে ঠাকুর বলেন চন্দনের জন্য তার মাথা ধরে গেছে তাই তাকে স্নান করাতে হবে।

আরও পড়ুন – Tarapith Mandir: তারাপীঠে তারা মা-র মন্দিরে বড়সড় রদবদল, একাধিক মন্দির এখন নতুন জায়গায়, ভক্তরা আকূল

ঠাকুরের আদেশ অনুযায়ী রাজা ১০৮ টি কলসির জল দিয়ে জগন্নাথ দেবকে স্নান করান। সেই থেকেই চন্দন যাত্রার ৪৫ দিন বাদে জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা উৎসব পালন হয়। এই স্নান এর পরে ঠাকুরের নাকি খুব জ্বর আসে। তাই জন্য স্নান যাত্রার পরে ১২ দিনের জন্য ঠাকুরকে গর্ভগৃহে নিভৃত বাসে রাখা হয়। ১২ দিনের মধ্যে জগন্নাথ দেব সুস্থ হয়ে ওঠেন তারপর তাকে নিয়ে রথযাত্রা শুরু হয়।

মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সকাল থেকেই মানুষজন ভিড় করেছিলেন চন্দন উৎসব দেখার জন্য কপালে চন্দনের প্রলেপ পড়ানোর জন্য এলাকার স্থানীয় মহিলারা আগের দিন রাত থেকেই চন্দন বাটতে শুরু করে দেয়। চন্দন বাটা হয়ে গেলে সেই চন্দনকে একটি বিশেষ কাপড়ের চুবিয়ে রাখা হয়। ও সেই কাপড়ের পট্টিটি চন্দন যাত্রা দিন জগন্নাথ দেবের কপালে লাগিয়ে দেওয়া হয়।

চন্দন যাত্রা অনুষ্ঠান শেষে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী বলেন, উৎসব আজ থেকে শুরু হল চন্দন যাত্রা উৎসব। আজকের পর থেকে টানা ৪২ দিন ধরে চলবে চন্দনযাত্রা উৎসব। বলা হয় এই দিন থেকেই রথযাত্রা আরম্ভ হয়। তিনি আরওবলেন অবশেষে চন্দন যাত্রার মধ্যে হয় মাহেশের রথের শুভ আরম্ভ হল। আজ থেকে ঠিক ৪৭ দিন বাদে মহেশের রথের চাকা গড়াবে।

আবার ভক্তবৃন্দদের ঢল নামবে মহাপ্রভু জগন্নাথ এর রথের টান দেওয়ার জন্য। আজ থেকে শুরু হয় পুরীতে জগন্নাথ দেবের রথ তৈরির কাজ,আর মাহেশে সূচনা হয় চন্দন যাত্রা উৎসবের। আজ থেকে আগামী ৪২ দিন ধরে চলবে জগন্নাথ দেবের মাথায় চন্দন লেপন। তারপর হবে স্নান যাত্রা উৎসব। বলা যায় চন্দন যাত্রা দিয়ে আজ থেকে মাহেশে রথযাত্রারও সূচনা হয়ে গেল।চন্দন যাত্রায় মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে সকাল থেকে ভক্তদের ভীর।মন্দিরের গর্ভগৃহের দ্বার খোলার পর শুরু হয় চন্দন যাত্রা উৎসব।

মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত জগন্নাথ মন্দির সেবা ট্রাস্টের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানান,অক্ষয় তৃতীয় হল একটি অত্যন্ত শুভ দিন।বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার পরশুরামের আবির্ভাব দিবস।অক্ষয় তৃতীয়াতেই জগন্নাথের চন্দন যাত্রা উৎসব হয়। ৬২৮ বছর ধরে দারু কাঠের জগন্নাথ মূর্তি একই রকম রয়েছে।কোনো ক্ষয় নেই।এটাই মাহেশ জগন্নাথের মাহাত্ম্য।

Rahi Halder