Tag Archives: RG Kar Hospital

Nabanna on RG Kar Issue: আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদের ডাক! বিশৃঙ্খলা এড়াতে আরও নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে সাবধানী নবান্ন

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে সুবিচার চেয়ে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় পথে নেমে আন্দোলন করছে বিভিন্ন সংগঠন৷ ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ৷ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁদের বৃহত্তর একটি অংশ৷ এমনকি, এর মধ্যেই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে বেশ কয়েকটি সংগঠন৷ সূত্রের খবর, তাই সব দিক বিচার বিবেচনা করে বাড়ানো হতে চলেছে রাজ্যের প্রশাসনির ভবন, নবান্নের নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷

জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক দিন নবান্নের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবেন অতিরিক্ত পুলিশ কর্মী। আরজি কর ইস্যু কে মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: ‘লোকদেখানো আন্দোলন’ নয়! মানুষের চোখে ধরা পড়ুক সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপের ঐক্যের ছবি, বার্তা দিল্লির

একাধিক সংগঠন ইতিমধ্যেই নবান্ন অভিযানে ডাক দিয়েছে আরজিকর ইস্যুকে সামনে রেখে। পাশাপাশি, বর্তমান পরিস্থিতিতে নবান্নের সংলগ্ন এলাকাতেও বিক্ষোভের আশঙ্কা করছে রাজ্য পুলিশ। তাই সবদিক মাথায় রেখেই নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নবান্নের বলেই সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: ‘সব বহিরাগত!,’ শিণ্ডে সরকারকে অপমান করতেই বিক্ষোভ, নাবালিকা-শ্লীলতাহানি কাণ্ডে দাবি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর

অন্যদিকে, আগামিকাল বৃহস্পতিবারও স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি৷ আন্দোলনের প্রথমসারিতে থাকার কথা সুকান্ত-শুভেন্দু-দিলীপের৷ আজ, বুধবার থেকেই শ্যামবাজারে মঞ্চ বেঁধে সূচনা হয়েছে বিজেপির পাঁচ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির৷

Badlapur-Kolkata Harassment Case: হাসপাতাল বা স্কুল, কোথাও নিরাপদ নন মহিলারা; কলকাতা থেকে বদলাপুরে ক্ষোভের চিত্রটা একই, ঠিক কী ঘটেছে

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাই হোক, কিংবা মহারাষ্ট্রের বদলাপুরই হোক, মানুষের রাগ-ক্ষোভ চরমে গিয়ে পৌঁছেছে। আসলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী নিগ্রহ, ধর্ষণ-খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। বোঝা যাচ্ছে, মেয়েরা স্কুলে কিংবা হাসপাতালে কিংবা কর্মক্ষেত্রে কোথাওই সুরক্ষিত নয়।

সম্প্রতি কলকাতার আরজি কর হাসপাতালেই তরুণী চিকিৎসককে নৃশংস ভাবে খুন এবং ধর্ষণ করা হয়েছে। যার জেরে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে গোটা দেশেই। সেই প্রতিবাদ-আন্দোলনের মাঝেই মহারাষ্ট্রের বদলাপুরের এক স্কুলে যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে চার বছরের দুই শিশুকন্যাকে। ফলে কলকাতার মতো করেই প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছে বদলাপুরও। সেখানে এমন পরিস্থিতি যে, ইন্টারনেট অবধি বন্ধ রাখতে হয়েছে। মঙ্গলবার প্রচুর মানুষ সেখানে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। উত্তেজিত আন্দোলকারীরা স্কুলে চড়াও হয়ে ভাঙচুরও করেছেন। এখানেই শেষ নয়, রেল স্টেশনে গিয়ে পড়েছে সেই আন্দোলনের আঁচ। বহুক্ষণ অবরোধ-বিক্ষোভ চলে সেখানেও।

যৌন নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত সাফাইকর্মীকে পাকড়াও করা হয়েছে। আর এই ঘটনাটির তদন্ত করছে সিট। সরকারের বক্তব্য, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে অভিযুক্তকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। এদিকে আবার আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে কটাক্ষ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এমনকী নির্যাতিতা এবং মৃত তরুণী চিকিৎসকের ছবি প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় বিস্ময়ও প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ আদালত। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, কলকাতার ঘটনা থেকে শুরু করে বদলাপুরের সংঘর্ষের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি।

বদলাপুর সংঘর্ষের গোটা বিষয়:

মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে ৪ বছরের দুই শিশুকন্যাকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে স্কুলের সাফাইকর্মীর বিষয়ে। গত ১৪ অগাস্টের ঘটনা। কিন্তু পদক্ষেপ গ্রহণে দেরি হয়ে যাওয়ার কারণে মঙ্গলবার অভিভাবকদের রাগ তুঙ্গে গিয়ে পৌঁছয়। গোটা থানে জেলাতেই প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠে। স্কুল ভাঙচুর হয়। এরপর প্রতিবাদকারীরা চড়াও হয় রেলস্টেশনে। এই সংঘর্ষের পরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল। আর ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে সিট-এর হাতে।

সিট-এর মাথায় কে থাকবেন?

বদলাপুরে স্কুল ভাঙচুর করেছেন আন্দোলনকারীরা। এমনকী রেল স্টেশনে অবরোধও করেন তাঁরা। যার জেরে বিভিন্ন জায়গায় থমকে গিয়েছিল ট্রেন চলাচল। এর পাশাপাশি বেশ কিছু ট্রেনের রুট বদলে দেওয়া হয় আর ট্রেন ছাড়তে কিংবা গন্তব্যে পৌঁছতেও দেরি হয়ে যায়। বদলাপুর সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সিনিয়র পুলিশ ইনস্পেক্টর, পুলিশ ইনস্পেক্টর এবং হেড কনস্টেবল অর্থাৎ তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বদলাপুরের সংঘর্ষের বিষয়টা তদন্ত করার জন্য আইপিএস আরতি সিংকে সিট-এর মাথায় বসানো হয়েছে। সেখানে উজ্জ্বল নিকম হবেন পাবলিক প্রসিকিউটর।

আরও পড়ুন: নির্মম! পরকীয়ার অভি‌যোগে গৃহবধূর সঙ্গে যা করল এলাকাবাসী…! গুরুতর জখম মহিলা

১০ ঘণ্টা পর চালু হয়েছে রেল পরিষেবা:

হাজার হাজার আন্দোলনকারী স্টেশনে অবরোধ করে রেল চলাচল ব্যাহত করে দিয়েছিলেন। আন্দোলনকারীদের প্রতিহত করার জন্য লাঠিচার্জও করা হয়েছে। প্রায় ১০ ঘণ্টার চেষ্টায় রেলওয়ে ট্র্যাক থেকে সকলকে সরানো হয় এবং তারপরে স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল। সেখান থেকে আটক করা হয় একাধিক বিক্ষোভকারীকে। আসলে নির্যাতিত দুই শিশুর পরিবারের অভিযোগ, এফআইআর দায়ের করতে দেরি করেছিল পুলিশ। কয়েক ঘণ্টা ধরে তাঁদের থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছিল। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবারের ওই বিক্ষোভ।

বদলাপুরে কী ঘটেছিল?

স্কুল প্রাঙ্গণেই দুই শিশুকন্যাকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম অক্ষয় শিন্ডে। পেশায় সে স্কুলেরই সাফাইকর্মী। ১৪ অগাস্ট এই কাণ্ড ঘটিয়ে শিশুকন্যাদের ভয় দেখিয়েছিল সে। বর্তমানে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ওই অভিযুক্তকে। যদিও পরিবারের অভিযোগ, গত ১৬ অগাস্ট অভিযোগ দায়ের করতে গেলে দীর্ঘ সময় ধরে তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ফলে জনসাধারণের আক্রোশ চরমে পৌঁছেছিল। সেই কারণে গত ২০ অগাস্ট বিক্ষোভ শুরু হয়।

কলকাতা তরুণী চিকিৎসকের ঘটনা:

নিজের কর্মক্ষেত্রে তথা কলকাতা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালেই নৃশংস ভাবে ধর্ষণ এবং খুন হতে হয়েছে তরুণী চিকিৎসককে। আর শ্বাসরোধ করার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। গত ৯ অগাস্ট করা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে যে, ওই তরুণী চিকিৎসকের শরীরে ১৬টি এক্সটার্নাল এবং ৯টি ইন্টার্নাল ইনজুরি পাওয়া গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে যে, ওই তরুণীর যৌনাঙ্গে বলপূর্বক পেনিট্রেশন-এর প্রমাণ মিলেছে। ফলে যৌন নিগ্রহের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। নির্যাতিতা ওই মহিলা চিকিৎসকের গালে, ঠোঁটে, নাকে, ঘাড়ে, হাতে এবং হাঁটুতে ক্ষতচিহ্ন দেখা গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তরুণীর গোপনাঙ্গেও রয়েছে ক্ষতর দাগ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, চিকিৎসকের মৃত্যুর আগেই তৈরি হয়েছে এই ক্ষতগুলি। এর পাশাপাশি মস্তিষ্ক, ঘাড় এবং দেহের অন্যান্য অংশের পেশিতেও মিলেছে ক্ষতচিহ্ন।

হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় পদক্ষেপ:

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুরের বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হয়েছে তিন পুলিশ অফিসারকে। বিভাগীয় তদন্ত ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে কলকাতা পুলিশ।

চিকিৎসকদের ধর্মঘট কবে উঠবে?

অন্যদিকে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) বুধবার দিল্লিতে সমস্ত RDA-এর সঙ্গে কলকাতার ঘটনায় ধর্মঘটের বিষয়ে একটি বৈঠক করবে। চিকিৎসকদের ধর্মঘট চলবে না কি শেষ হবে, সেটাই আলোচনা করা হবে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের লিখিত নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সে থাকবেন ৯ জন সদস্য এবং ৫ জন এক্স-অফিসিও সদস্য। সিজেআই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ তা মঙ্গলবারের শুনানিতে স্পষ্ট করে দিয়েছে।

জারি রয়েছে প্রতিবাদ-আন্দোলন:

কলকাতা আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক খুনের ঘটনায় প্রতিবাদ-আন্দোলন জারি রয়েছে। স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রতিবাদে যোগ দেবেন ভারতীয় ক্রিকেট তারকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। ইতিমধ্যেই বুধবার সকাল ১১টা থেকে পাঁচ দিনব্যাপী প্রতিবাদ শুরু করতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশন থেকে শুরু হবে মিছিল। অন্যদিকে গোটা রাজ্যের নারীরা নিজেদের মতো করে প্রতিবাদ জারি রেখেছেন বিভিন্ন জায়গায়। মঙ্গলবার শুনানিতে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

কলকাতার ঘটনা

গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে উদ্ধার হয়েছিল ট্রেনি চিকিৎসকের দেহ। গত ৮ অগাস্ট রাতে কর্তব্যরত অবস্থাতেই নৃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছে তাঁকে। ধর্ষণ করা হয়েছিল ওই চিকিৎসককে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। প্রথমে কলকাতা পুলিশ ঘটনার তদন্ত করলেও আপাতত এই ঘটনার তদন্তভার সঁপে দেওয়া হয়েছে সিবিআই-এর হাতে। গোটা কলকাতা এই নিয়ে সরব হয়েছে। আপাতত ধর্মঘটে গিয়েছেন সমগ্র দেশের চিকিৎসকেরা।

Sandip Ghosh RG Kar Ex Principal: হাসপাতালের চিকিৎসা বর্জ্য নিয়েও সন্দীপের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ! মামলা এবার হাইকোর্টে

কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সিবিআইয়ের নজরে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বেশ কয়েকদিন ধরেই টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাঁকে। এবার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।

সন্দীপের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলে আখতার আলির দাবি, মৃতদেহ নিয়ে ব্যবসা থেকে বেআইনি আর্থিক লেনদেনে জড়িত সন্দীপ ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, টাকা পয়সা সংক্রান্ত সমস্ত নীতি ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে চলতেন সন্দীপ ঘোষ। অ্যাকাউন্ট অফিসারের সমস্ত কিছু অগ্রাহ্য করে উল্টে পছন্দের লোককে যাতে দ্রুত টাকা পাওয়া যায় তার জন্য চাপ দিতেন। এমনকী পড়ুয়াদের নম্বর বাড়ানোর বদলে ঘুষও নিতেন বলে অভিযোগ সন্দীপের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: আপনার হৃদয় কেমন আছে? খেয়াল রাখেন? ঘুমের সময় কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন বড় বিপদ জানুন

হাসপাতালে বিভিন্ন জায়গাতে সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য পিডব্লিউডি (PWD)-কে বাদ দিয়ে বাইরে থেকে তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে সেই কাজ করানো হত। হাসপাতালের যে কোনও কাজের জন্য তাঁকে বিভিন্ন ভাবে ভাগ করে এক লাখ টাকার কমে করানো হত, যাতে ই-টেন্ডার না করতে হয়,সমস্তটাই বেআইনি এবং ইচ্ছাকৃতভাবে করতেন সন্দীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১,২৫,০০০ টাকা, যশস্বী স্কলারশিপ জানেন তো? কীভাবে আবেদন জানুন

তাঁর আরও দাবি, ক্ষতিকারক বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট বা বর্জ্য তার নিজস্ব ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর মাধ্যমে বাইরে বিক্রি করা হত। এমনকী হাসপাতালের লাওয়ারিশ লাশ বিক্রি করারও বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।

সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি-সহ আরও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে ইডি তদন্তের আর্জি জানিয়ে মামলার আবেদন করা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের এজলাসে। সঙ্গে আখতার আলির তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তার আবেদনও জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টে।

অভিজিৎ চন্দ

RG Kar Doctor Murder Protest: তুলির টানে আগুনের ফুলকি! অন্য ভাষায় আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ

বাঁকুড়া: বিপ্লব ও প্রতিবাদের আদিম ভাষা হল শিল্প এবং সংস্কৃতি। ইতিহাস সাক্ষী, শিল্পকলার মাধ্যমে বড় বড় ঐতিহাসিক আন্দোলনের মোড় ঘুরে গেছে বহুবার। প্রতিবাদের ভাষায় বারবার দেখা গেছে শিল্পকে। মধ্য যুগ থেকে শুরু করে আধুনিক যুগ পর্যন্ত পাল্টেছে সবকিছু। কিন্তু পাল্টায়নি প্রতিবাদের ভাষা। সেই কথার‌ই যেন আর‌ও একবার প্রমাণ দিলেন বাঁকুড়ার শিল্পীরা। বিচার চেয়ে প্রতীকি ছবি এঁকে প্রত্যেকেই তুলে ধরলেন সমাজের কলুষতা। ছবি এঁকে মৌন হয়ে চেয়ে নিলেন জাস্টিস। এই প্রতিবাদ মৌন হলেও যেন চিৎকার করছিল প্রত্যেকটি ছবি।

প্রতীকি ছবিগুলির রয়েছে গভীর অর্থ। মঙ্গলবার রাত আটটা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত বাঁকুড়া শহরের কৃষক বাজারে প্রতীকি ছবি এঁকে আরজি কর কাণ্ডের সঠিক বিচার চেয়ে প্রতিবাদ জানালেন বাঁকুড়ার শিল্পীরা। তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠল আগুনের ফুলকি। বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী এবং শিক্ষক শ্রী মহাদেব বলেন, সারা পৃথিবীর মানুষ একটা জিনিস চাইছে, তা হল সঠিক বিচার বা জাস্টিস। আমরাও সেটাই চাইছি। তবে মৌন থেকে শিল্পকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছি প্রতিবাদ জানাতে।

আরও পড়ুন: হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হল না, সাপে কাটা কিশোরের মৃত্যুতে কর্মবিরতির প্রভাব?

গত কয়েকদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে নারী সুরক্ষা, নারী স্বাধীনতা এবং সমাজের কলুষতা। সাংস্কৃতি কর্মী মুকুল মুখার্জী বলেন, আরজি করে যে বর্বরোচিত ঘটনা ঘটেছে তারপর শ্রমজীবী মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এটা একটা অশনি সঙ্কেত। এই চিন্তা দূর হোক। সঠিক বিচার আসুক। সমাজ সচেতন হোক। সে কারণেই শিল্পীরা জমা হয়েছেন।

যে ছবিগুলি আঁকা হয়েছে তাতে ব্যবহার করা হয়েছে কালো রং। অধিকাংশ ছবিতেই প্রাধান্য পেয়েছে সাদা-কালোর মেলবন্ধন। এই বিবর্ণ ছবিগুলি বলছে বিবর্ণ সমাজের গল্প। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে সামাজিক ভাব, আবেগ এবং মানবিকতা। সেই কারণেই প্রতীক হিসেবে কালো রং-কে বেছে নিয়েছেন বাঁকুড়া শিল্পীরা। প্রত্যেকটি ছবি আঁকা হয়েছে অত্যন্ত চিন্তা-ভাবনা করে এবং প্রতিটি ছবি বিশেষ অর্থ বহন করে। এমনটাই জানালেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী সৌম্যকান্তি মুখোপাধ্যায়।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী

RG Kar Hospital Case: আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে সরব বিদেশও! ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’ ধ্বনি হলিউডে পার্কে

উত্তর কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র আরজি কর হাসপাতাল। শহরের তো বটেই রাজ্যেরও বহু মানুষ নির্ভর করেন এই আরজি কর হাসপাতালের উপর।
উত্তর কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র আরজি কর হাসপাতাল। শহরের তো বটেই রাজ্যেরও বহু মানুষ নির্ভর করেন এই আরজি কর হাসপাতালের উপর।
সুবিচারের আশায় হলিউডও। তিলোত্তমার মর্মান্তিক পরিণতি নাড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, নদীয়া থেকে নিউ ইয়র্ককে, হুগলী টু হিউস্টনকে।
সুবিচারের আশায় হলিউডও। তিলোত্তমার মর্মান্তিক পরিণতি নাড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, নদীয়া থেকে নিউ ইয়র্ককে, হুগলী টু হিউস্টনে।
কলকাতার বুকে ‘আরজি করের’ মতো পুরনো এবং নামী হাসপাতালের সেমিনার রুমে তিলোত্তমার উপর ঘটে যাওয়া পাশবিক বর্বরতার বিরুদ্ধে পুরো ভারতবর্ষ যেমন গর্জে উঠেছেন, তেমনি মার্কিন মুলুকে থাকা সমস্ত প্রবাসী ভারতীয়রাও পথে নেমেছেন।
কলকাতার বুকে ‘আরজি করের’ মতো পুরনো এবং নামী হাসপাতালের সেমিনার রুমে তিলোত্তমার উপর ঘটে যাওয়া পাশবিক বর্বরতার বিরুদ্ধে পুরো ভারতবর্ষ যেমন গর্জে উঠেছেন, তেমনি মার্কিন মুলুকে থাকা সমস্ত প্রবাসী ভারতীয়রাও পথে নেমেছেন।
গত ১৮ ই অগাস্ট লস অ্যাঞ্জেলস এবং লস অ্যাঞ্জেলস-এর নিকটবর্তী এলাকার ভারতীয়রা, বিশেষত বাঙালিরা জমায়েত হয়েছিলেন জনপ্রিয় লেক হলিউড পার্কে। তাঁদের করো হাতে ছিল কালো পতাকা, করো হাতে ‘ WE WANT JUSTICE’ লেখা পোস্টার বা করোর পোস্টারে লেখা ‘JUSTICE DELAYED IS JUSTICE DENIED’।
গত ১৮ ই অগাস্ট লস অ্যাঞ্জেলস এবং লস অ্যাঞ্জেলস-এর নিকটবর্তী এলাকার ভারতীয়রা, বিশেষত বাঙালিরা জমায়েত হয়েছিলেন জনপ্রিয় লেক হলিউড পার্কে। তাঁদের করো হাতে ছিল কালো পতাকা, করো হাতে ‘ WE WANT JUSTICE’ লেখা পোস্টার বা করোর পোস্টারে লেখা ‘JUSTICE DELAYED IS JUSTICE DENIED’।
তবে এই মিছিলে যেটা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে তা হল দুঃখ-কষ্ট-রাগে মাখা এক আবেগ, যে আবেগ মিশে গিয়েছিল হলিউডের আকাশে বাতাসে।

তবে এই মিছিলে যেটা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে তা হল দুঃখ-কষ্ট-রাগে মাখা এক আবেগ, যে আবেগ মিশে গিয়েছিল হলিউডের আকাশে বাতাসে।
শুধু এই একটা দিন না, প্রবাসের চরম ব্যস্ততার জীবনের মধ্যে তাঁরা তাঁদের এই প্রতিবাদ জারি রাখবেন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না তিলোত্তমার ওপর হওয়া বর্বরতার সুবিচার মেলে।
শুধু এই একটা দিন না, প্রবাসের চরম ব্যস্ততার জীবনের মধ্যে তাঁরা তাঁদের এই প্রতিবাদ জারি রাখবেন ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না তিলোত্তমার ওপর হওয়া বর্বরতার সুবিচার মেলে।

RG Kar case doctors protest: রহস্যের জট কাটবে কবে? চাপ বাড়াতে সিজিও থেকে স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে চিকিৎসকরা

কলকাতা: আরজি কাণ্ডে এখনও দেশজুড়ে চলছে প্রতিবাদ। তদন্ত কলকাতা পুলিশের হাত থেকে গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআই সেই অনুযায়ী আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে টানা জিজ্ঞাসাবাদও করছে। চিকিৎসকরা এবার তাঁদের আন্দোলন নিয়ে গেলেন সিজিও কমপ্লেক্সে।

মঙ্গলবারই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযানের কর্মসূচি ছিল চিকিৎসকদের। কিন্তু একই দিনে এবিভিপির কর্মসূচি থাকায় ডাক্তারদের প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে বুধবার। বুধবার সেই মতো চিকিৎসকরা সিজিও কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করেন। দ্রুত বিচারের দাবি এবং প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে এই দিন প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।

আরও পড়ুন: মেট্রোয় স্বল্পবসনা নারীর ভিডিও করছিলেন যুবক! নজরে পড়তেই শাস্তি দিলেন মহিলা, দেখুন ভিডিও

চিকিৎসকদের আরজি কর অভিযানকে কেন্দ্র করেই কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয় সিজিও কমপ্লেক্স চত্বর। এদিন এই প্রতিবাদ কর্মসূচী আয়োজিত হয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তারস ফ্রন্টের উদ্যোগে। বিচারের পাশাপাশি প্রতিবাদীদের অভিযোগ গত দু’দিন ধরে আরজি করে আসছেন না বর্তমান অধ্যক্ষ। আরজি কর কাণ্ডের রেশ যে এত সহজে কাটবে না এবং চিকিৎসকরা যে বিচার না পাওয়া পর্যন্ত হাল ছাড়বেন না তা বোঝাই যাচ্ছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে।

আরও পড়ুন: তিনতলা থেকে মাথায় ভেঙে পড়ল এসির ইউনিট! মৃত্যু কিশোরের, দেখুন ভয়ঙ্কর ভিডিও

পাশাপাশি বুধবার থেকেই আরজি কর নিয়ে শ্যামবাজারে ধরনায় বসতে চলেছে বিজেপি। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার  স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে নামবে বঙ্গ বিজেপি।

Sandip Ghosh: কার নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন সন্দীপ? আরজি কর তদন্তে জবাব খুঁজছে মরিয়া সিবিআই

কলকাতা: নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন৷ তাই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরেও কেন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে দেরি হয়েছিল৷ আরজি কর কাণ্ডে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে হাসপাতালের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি কেন এত দেরি করেছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে সিবিআই-এর সামনে এমনই দাবি করেছেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ৷ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ কার নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন, সেই প্রশ্নেরই জবাব খুঁজতে এখন মরিয়া সিবিআই-এর তদন্তকারীরা৷

গত ছ দিন ধরে সন্দীর ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই৷ আজও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিয়েছেন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ৷ গত ৯ অগাস্ট সকালে হাসপাতালের চারতলার সেমিনার রুমে ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল৷ অভিযোগ ওঠে, তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতেই অনেকটা দেরি হয়৷ কেন এতটা দেরি হল, সন্দীপ ঘোষকে সেই প্রশ্নই করেন সিবিআই তদন্তকারীরা৷ সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষ দাবি করেছেন, উপর মহলের নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন প্রথমে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি৷ সবুজ সঙ্কেত আসতেই অভিযোগ জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷

আরও পড়ুন: মিমি চক্রবর্তীকে ধর্ষণের হুমকি, কলকাতা পুলিশের নজরে আনলেন অভিনেত্রী নিজেই

ওই তরুণী চিকিৎসককে যে হত্যা করা হয়েছে, খালি চোখে দেখেই তা বোঝা যাচ্ছিল বলে সিবিআইকে জানিয়েছেন একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী৷ তিনি নিজে অভিজ্ঞ চিকিৎসক হয়ে কেন এই বিষয়টি বুঝতে পারলেন না, সন্দীপ ঘোষকে সেই প্রশ্নও করেছেন সিবিআই কর্তারা৷

এর পাশাপাশি, সেমিনার রুমের সংলগ্ন অংশের সংস্কার কাজও কেন তড়িঘড়ি শুরু করা হয়েছিল, সেই প্রশ্নও করা হয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে৷ এক্ষেত্রেও উপরমহলের দিকেই দায় ঠেলার চেষ্টা করেছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ৷ তিনি দাবি করেছেন, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেই সংস্কার কাজ শুরুর নির্দেশ দেন তিনি৷

ইতিমধ্যেই সিবিআই সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে৷ হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক এবং কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এবং নির্যাতিতার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে সন্দীপ ঘোষের বয়ান মিলিয়ে দেখছে সিবিআই৷ পাশাপাশি পুলিশের থেকে পাওয়া এবং নিজেদের সংগ্রহ করা তথ্যপ্রমাণও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা৷

CISF at RG Kar: আরজি করে সিআইএসএফ-এর ডিজি! নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আলোচনা, কবে থেকে হাসপাতালে আধা সেনা?

কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো বুধবার সকালেই আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছল সিআইএসএফ৷ গতকালই সুপ্রিম কোর্ট আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্বে সিআইএসএফকে মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছিল৷

এ দিন সকাল ৯টা নাগাদই আরজি কর হাসপাতাল চত্বরে আধিকারিকদের নিয়ে পৌঁছে যান সিআইএসএফ-এর ডিজি কুমার প্রতাপ সিং৷ হাসপাতালে পৌঁছেই কলকাতা পুলিশের কমব্যাট ফোপ্সের ডিসি কানোয়ার ভূষণের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ এর পর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক দ্বৈপায়ন ঘোষের সঙ্গেও আলোচনা করেন সিআইএসএফ কর্তা৷

আরও পড়ুন: মিমি চক্রবর্তীকে ধর্ষণের হুমকি, কলকাতা পুলিশের নজরে আনলেন অভিনেত্রী নিজেই

আলোচনা করার পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন অংশও ঘুরে দেখেন সিআইএসএফ কর্তা৷ হাসপাতালের কোথায় নিরাপত্তার জন্য কতজন জওয়ান প্রয়োজন, প্রাথমিক ভাবে সেই হিসেব করে নেন সিআইএসএফ আধিকারিকরা৷ হাসপাতালের কোথায় কটি গেট রয়েছে, কতগুলি বিভাগ রয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা সেরে নেন তাঁরা৷ হাসপাতালের কোন অংশে নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রয়োজন, তাও খতিয়ে দেখেন সিআইএসএফ আধিকারিকরা৷

তবে হাসপাতাল পরিদর্শন করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিআইএসএফ কর্তা কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷ তিনি শুধু বলেন, ‘আমাদের কাজটা আমাদের করতে দিন৷’

Kolkata Police: কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ, আরজি কর ভাঙচুর কাণ্ডে তিন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করল লালবাজার

কলকাতা: গত ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর চালিয়েছিল একদল উন্মত্ত জনতা৷ এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট৷ এবার হাসপাতাল ভাঙচুর কাণ্ডে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে  দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ও একজন ইনস্পেক্টরকে সাসপেন্ড করল লালবাজার। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর৷ ঘটনার দিন ওই তিন জনই আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন৷

পুলিশের উপস্থিতি সত্ত্বেও কী করে আরজি কর হাসপাতালে হাজার হাজার উন্মত্ত জনতা ঢুকে পড়ল, তা নিয়ে এ দিনও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷

আরও পড়ুন: মিমি চক্রবর্তীকে ধর্ষণের হুমকি, কলকাতা পুলিশের নজরে আনলেন অভিনেত্রী নিজেই

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় যে পুলিশের গাফিলতি ছিল, কয়েকদিন আগে সাংবাদিক বৈঠকে তা কার্যত স্বীকার করে নেন নগরপাল বিনীত গোয়েল৷ তিনি জানিয়েছিলেন, ১৪ তারিখে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফর্ত বিক্ষোভ থেকে হাসপাতাল ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে যাবে, তা ভাবতে পারেনি পুলিশ৷ এমন কি, কোথায় কত মানুষ জড় হতে পারে, সেই হিসেবও করতে পারেনি লালবাজার৷

হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রায় চল্লিশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বহু সাধারণ মানুষকে, নোটিসও পাঠান হয়েছে সন্দেহভাজন অনেককেই৷ হাসপাতাল ভাঙচুর কাণ্ডের তদন্তে ১৫ সদস্যের সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দলও গঠন করেছে কলকাতা পুলিশ৷

RG Kar protest in East Bengal gallery: ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে ন্যায়বিচারের দাবি, শামিল ফুটবলাররাও!ময়দানে চলছে প্রতিবাদ

কলকাতা: অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কায় গত রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের মধ্যে ডার্বি বাতিল করেছিল পুলিশ৷ অভিযোগ উঠেছিল, বড়ম্যাচের গ্যালারিতেও আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের ঝড় উঠতে পারে বলেই ডার্বি বাতিল করা হয়েছিল৷ তবে ডার্বি বাতিল হলেও মঙ্গলবার কলকাতা লিগে ইস্টবেঙ্গল গ্যালারিতে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করে লেখা স্লোগান দেখা গেল৷

শুধু তাই নয়, গোলের পর আরজি কর কাণ্ডে ন্যায়বিচার চেয়ে বার্তা দিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররাও৷

আরও পড়ুন: মিমি চক্রবর্তীকে ধর্ষণের হুমকি, কলকাতা পুলিশের নজরে আনলেন অভিনেত্রী নিজেই

এ দিন কলকাতা লিগে রেনবোর বিরুদ্ধে নিজেদের মাঠেই খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল৷ সেই খেলাতেই গ্যালারিতে লাল হলুদ পতাকার উপরে আরজি করের পাশে থাকার বার্তা লিখে এনেছিলেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা৷ ব্যানারে লেখা হয়, তোমার শহর আমার শহর পাশে আছি আরজিকর। উই ওয়ান্ট জাস্টিস। খেলার শেষে সমর্থকরা গ্যালারিতে স্লোগানও দেন।

বড়ম্যাচ বাতিলের পর ইতিমধ্যেই ডুরান্ড কাপের খেলা কলকাতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ যদিও কলকাতা লিগের খেলা চলছে৷ এ দিনের ম্যাচে ২-০ গোলে জয়ী হয় ইস্টবেঙ্গল৷ ম্যাচের ৭৪ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল৷ সঞ্জীব ঘোষের প্রথম গোলের পরও আরজি কর কাণ্ডে ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়ে বার্তা লেখা একটি জার্সি তুলে ধরেন লাল হলুদ ফুটবলাররা৷ একটি অনুশীলন জার্সির মধ্যে লেখা ছিল “উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর আরজি কর”।  এর আগে কলকাতা লিগের ম্যাচে একই ভাবে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিলেন মহমেডান ফুটবলাররাও৷

গত রবিবার ডার্বি বাতিলের পর বেনজির ভাবে জোট বেঁধেছিলেন কলকাতার তিন বড় দলের সমর্থক৷ যুবভারতীর সামনে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন তাঁরা৷ এ দিনই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডানের কর্তারা একসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে ডুরান্ড কাপের সেমি ফাইনাল এবং ফাইনাল খেলাগুলি কলকাতায় করার আর্জি জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসনের কাছে৷