Tag Archives: RG Kar Hospital

Abhishek Banerjee on RG Kar: রং না দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতীদের ধরুন! আরজি করে হামলার নিন্দা অভিষেকের

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বুধবার মধ্যরাতে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ‘অপরাধী’দের খুঁজে বার করতে হবে পুলিশকে। অন্য দিকে, আরজি করে হামলার ঘটনায় পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীই গুন্ডা পাঠিয়েছেন মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে দমাতে।

Mamata Banerjee: আরজি করে হামলা চালিয়েছে রাম-বাম ‘জোট’! পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে এখনও ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার মমতা

কলকাতা: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ‍্যে রাজভবনে গেলেন মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়। তবে টি পার্টিতে ঢুকেই সরাসরি রাজভবনের বাইরের বারান্দায় চলে যান মুখ‍্যমন্ত্রী। গতকালের ঘটনা নিয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ‘কাদের উপর রাগ’ কড়া ভাষায় জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাম-রামের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি এবং সিপিআইএমকে একহাত নিলেন মমতা। মুখ‍্যমন্ত্রীর সঙ্গেই রাজভবনে গিয়েছেন কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে এলেও আপাতত তিনি রাজভবনের উত্তর গেট লাগোয়া বারান্দাতেই বসে রয়েছেন। টি পার্টিতে ঢুকেই সরাসরি রাজভবনের বাইরের বারান্দায় চলে যান। সূত্রের খবর রাজভবনের টি পার্টিতে কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কলকাতা পৌরসভার মেয়রকেও। যদিও মুখ্যমন্ত্রী দু’জনকে নিয়েই রাজভবনের ভেতরে ঢুকেছেন। তা নিয়েই কার্যত ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ‘হে ভারত, আজি তোমারি সভায়..’ দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা মমতার, নাম না করে ‘সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল’কে খোঁচা মুখ‍্যমন্ত্রীর

এদিন মুখ‍্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজভবনের ভিতরে অনেকেই আসেন, অনেকেই আমন্ত্রিত। তাই আমি টিম নিয়ে আসবো, আমার একা আসতে সমস্যা আছে। বলেছিলাম আমি। বাংলার মাটিটা সংস্কৃতি এর এটা মনে রাখতে হবে।’’ রাজভবনের বাইরেই তিনি জানালেন, ‘‘রাজভবনের ভেতরে এক ফোটা জলও আমি মুখে দিইনি।’’

বুধবার রাতে আরজি করে ঘটে যাওয়া তাণ্ডবলীলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ‍্যমন্ত্রী দুষলেন অন‍্য রাজনৈতিক দলগুলিকেই। তাঁর কথায়, ‘‘ভিডিও দেখুন তাহলেই বুঝতে পারবেন। ফেক ভিডিও তৈরি করা অপরাধ নয়? পুলিশ পুলিশের কথা বলবে আমি বলা শোভা পায় না। যার কাজ সে করবে। আমার ডিসি খুব অসুস্থ। সারা গায়ে রক্ত। ও অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। মাথায় লেগেছে। ১৫ জন পুলিশ কর্মী আহত। ছাত্র-ছাত্রীরা ভাল। আমি ওদের সমর্থন করি। ওদের উপর আমার কোন রাগ নেই। কিন্তু আমার রাগ হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঢুকে ঘোলা জলে মাছ ধরছে।’’

মুখ‍্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাম ও রাম একত্রিত হয়ে গন্ডগোল করেছে। ছাত্রদের কোনও দোষ নেই। পুলিশ যখন ইনকোয়ারি করছিল কিছু লিক হয়নি। মৃত্যু টা সমবেদনাদায়ক। এটা একটা সামাজিক ব্যাধি। কাল উত্তর প্রদেশে ও এক ঘটনা ঘটেছে। একটাই শাস্তি ফাঁসি দিয়ে দাও। প্রকৃত দোষী যেন শাস্তি পায়। নিরাপরাধ যেন শাস্তি না পায়।’’

আরও পড়ুন: এবার পথে শিক্ষকরাও! আরজি কর কাণ্ডে আগামীকাল কর্মবিরতির ডাক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের

আরজি করের তদন্তে পুলিশের পাশেই দাঁড়ালেন মমতা। মুখ‍্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের পুলিশও ৩৪ জনকে ডেকেছিল। রবিবার পর্যন্ত সময় তো ছিল পুলিশের। কোর্ট যা ভাল বুঝেছে তা করেছে। সিবিআই যেমন বলেছে কোর্ট, যারা পরিষেবা যেমন দিচ্ছে না তারাও যেন কাজে যোগ দেয়। আমিও অনেকবার আবেদন করেছি। যারা কাল ঘটনা ঘটিয়েছেন তারা কেউ ছাত্র নয়, তারা কেউ বিজেপি, কেউ ডিওয়াইএফআই-এর। আমার কাছে তিনটে ভিডিও আছে। আমার যিনি ডিসি তাঁকে একঘণ্টা খুঁজে পাওয়া যায়নি।’’

আরও পড়ুন: হোটেলে থাকছেন? বিছানার নীচে জলের বোতল ফেলতে ভুলবেন না! ৯৯% শতাংশ লোকজনই জানেন না কারণ

রাজভবনের পক্ষ থেকে কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার ও কলকাতা পুরসভার মেয়রের কাছে আমন্ত্রণ যায়নি। এই বিষয়ে খানিক ক্ষুব্ধ মুখ‍্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলার তদন্ত হয়েছিল কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বেই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে কলকাতা পুলিশ ও পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও রেখেছিলেন রাজ্যপাল।

RG Kar Rape-Murder: আরজি করের চিকিৎসক মৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর মোড়! তদন্তে নেমেই সিবিআই-য়ের বিরাট পদক্ষেপ

কলকাতাঃ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া চিকিৎসক মৃত্যু তদন্তে নয়া মোড়। চার পড়ুয়া চিকিৎসককে তলব সিবিআইয়ের। ইতিমধ্যেই পৌঁছে ওই চারজন পৌঁছে গিয়েছে সিজিও কমপ্লেক্সে। আরজি করের ঘটনায় এর আগে কলকাতা পুলিশ তিন ইন্টার্ন এবং এক হাউজস্টাফকে ডেকে পাঠিয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবারে ফের ৪ পড়ুয়া চিকিৎসককে তলব। মোট ৮ জনকে তলব করা হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে। জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ঘটনার দিন কয়েকজন ঘটনার দিন রাতে কর্তব্যরত ছিলেন।

এ দিন সকালে আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষিতা ও নিহত চিকিৎসকের বাড়ি যায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। ঠিক সেই সময়ই ওই ঘটনার তদন্তে সিবিআই আরও তিন জনকে তলব করে। সূত্রের খবর, অপসারিত সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠ, এক মহিলা চিকিৎসক, চেস্ট মেডিসিনের প্রধানকে তলব করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। এরপরই দুপুরে চার চিকিৎসক পড়ুয়াকে তলব।

আরও পড়ুনঃ আরজি করের চিকিৎসক মৃত্যুতে চাঞ্চল্যকর মোড়! তদন্তে নেমেই সিবিআই-য়ের বিরাট পদক্ষেপ

আরজি কর-কাণ্ডে মঙ্গলবারই সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাতেই মামলা সংক্রান্ত নথিপত্র হস্তান্তরিত হয়। এরপর বুধবার সকালে ধৃত অভিযুক্তকেও নিজেদের হেফাজতে নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেইসঙ্গে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা। সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রাইকে৷ তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়৷ জানা গিয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে ২০ সদস্যের একটি সিবিআই দল কাজ করবে৷ জয়েন্ট ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসার রয়েছে এই টিমে৷ রয়েছেন ডিআইজি পদ মর্যাদার অফিসারও৷

RG Kar Incident Impact: জেলার হাসপাতালগুলো কতটা সুরক্ষিত‍? অভিজ্ঞতার কথা জানালেন স্বাস্থ্যকর্মীরা

নদিয়া: আরজি করের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা রাজ্য তথা দেশ। ইতিমধ্যেই মোমবাতি মিছিল থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, মহিলাদের রাত দখল সমস্ত প্রতিবাদের ভাষায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। আদালতের নির্দেশে এই ঘটনার তদন্তভার পেয়েছে সিবিআই। তবে শুধুই কি আরজি কর? নাকি এই এরকম ছোট বড় কমবেশি ঘটনার সাক্ষী আছে জেলার অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকেরাও? আরজি করের ঘটনার পরে কর্মস্থলের অভিজ্ঞতা নিয়ে কী জানালেন তাঁরা?

নদিয়ার শান্তিপুরে আছে একটি সরকারি মহকুমা হাসপাতাল। এখানে উন্নত পরিকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও একাধিক বিরল থেকে বিরলতম রোগের চিকিৎসা ও অস্ত্রপোচারের খবর নানান সময়ে উঠে এসেছে শিরোনামে। এখানকার চিকিৎসকরা নিজেদের কাজে খুবই পারদর্শী এবং ধন্বন্তরি বলে স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। তবে এই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক বা নার্সিং স্টাফরা এমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন কখনও হননি বলে আমাদের জানিয়েছেন।

আর‌ও পড়ুন: রাত দখল করতে পথে মহিলাদের জনস্রোত, হাল ফেরাতে কী কী বললেন তাঁরা?

শান্তিপুর হাসপাতালের নার্সিং সুপারিনটেনডেন্ট প্রতিমা ঘোষ বলেন, আমি আমার সার্ভিস লাইফে এত বড় ঘটনার সম্মুখীন এর আগে হইনি। তবে আজ যেটি আরজি করে হয়েছে মহিলা হিসেবে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। এই হাসপাতালে আমি দু’বছর আগে এসেছি, এখানে তেমন কোন‌ও বড়সড় ঘটনা ঘুরতে দেখিনি। যদি কোন‌ও ছোট বড় ঘটনা আমার চোখের সামনে ঘটে, সেটি সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাই। তাঁরাই সেটির সমাধান করার ব্যবস্থা করেন। আমরা যে কাজটি করি তাতে রোগীদের জীবন নির্ভর করে। অনেক সময় কোন‌ও মুমূর্ষু রোগী এলে পরে তাঁদের পরিবারের লোকেদের মানসিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকে না। এতে অনেক সময় খারাপ পরিস্থিতি দেখা দেয়, তবে আমরাও সহনশীলতার সঙ্গে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করি। ফলে তেমন বাড়াবাড়ি কিছু হয় না। বরং পরে ভুল বুঝতে পেরে সাধারণ মানুষ আমাদের কাছে এসে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।

এছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মীদের জন্য সরকার থেকে কোয়ার্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই আবাসন থেকে হাসপাতাল আসার রাস্তাগুলি কতটা সুরক্ষিত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, সমস্ত জায়গাতেই ভাল-মন্দ মিশিয়ে থাকে। সেগুলো সবাই মিলে আমরা সমাধান করার চেষ্টা করি। হাসপাতাল থেকে কোয়ার্টার অনেকটাই দূরে। তবে আজ পর্যন্ত তেমন কোনও লাঞ্ছনা বা অন্য কোনও অভিযোগ আমি পাইনি। তা সত্ত্বেও সকলেরই বাড়তি সতর্ক থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।

শান্তিপুর হাসপাতালের সহকারী সুপার সোমা দাস বলেন, যেহেতু আমরা পাবলিক সার্ভেন্ট, তাই আমাদের অনেক সময় নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে। আমি মানুষ হিসেবে চাইছি যেই পরিষেবা আমরা এখানে দিয়ে থাকছি, তাতে আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক। বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্বিগুণ হলে সকলের মঙ্গল হবে। শুধু মহিলা বলে নয়, পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে প্রত্যেকেরই আরও নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেন তিনি।

মৈনাক দেবনাথ

RG Kar Murder: এবার পথে শিক্ষকরাও! আরজি কর কাণ্ডে আগামীকাল কর্মবিরতির ডাক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের

কলকাতা: আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে এবার পথে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। আগামীকাল শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ‍্যালয়ের অধ‍্যাপকরা কর্মবিরতির ডাক দিলেন। দুপুর একটা থেকে তিনটে অরবিন্দ ভবনে অবস্থান-বিক্ষোভের ডাক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির।

ধর্ষণ ও খুনের তথ্য লোপাটের চেষ্টায় আর.জি.কর হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর,শিক্ষক ডাক্তার -শিক্ষার্থী-নার্সদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে ও ডাক্তার-ছাত্রী খুনের ন্যায়বিচারের দাবিতে, ১৬ অগাস্ট শুক্রবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাকযাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির।

আরও পড়ুন: ‘হে ভারত, আজি তোমারি সভায়..’ দেশবাসীকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা মমতার, নাম না করে ‘সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল’কে খোঁচা মুখ‍্যমন্ত্রীর

তথ্য লেপাটের চেষ্টা-সহ বিভিন্ন দাবিকে সামনে রেখেই এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত। আপাতত আগামীকালই কর্মবিরতির ডাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের। পাশাপাশি ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর একটা থেকে তিনটে অরবিন্দ ভবনে অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হবেন শিক্ষকরা।

আরও পড়ুন: হোটেলে থাকছেন? বিছানার নীচে জলের বোতল ফেলতে ভুলবেন না! ৯৯% শতাংশ লোকজনই জানেন না কারণ

প্রসঙ্গত আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিত্‍সককে ধর্ষণ এবং খুনের প্রতিবাদে ইতিমধ‍্যেই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিত্‍সরকরা। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে চিকিৎসকদের কর্ম বিরতি, অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে।

Reclaim the Night: রাত দখল করতে পথে মহিলাদের জনস্রোত, হাল ফেরাতে কী কী বললেন তাঁরা?

উত্তর ২৪ পরগনা: এমন প্রতিবাদ এর আগে হয়ত দেখেনি কেউ। মহিলাদের উপর নৃশংস অত্যাচার, খুন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা অতীতে ঘটলেও, আরজি কর কাণ্ড যেন টলিয়ে দিয়েছে নারীর স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার ভিতকে। এরই প্রতিবাদে এক নতুন ইতিহাসের সাক্ষী থাকল রাজ্য।

বুধবার মধ্যরাতে কলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নারী শক্তির দখলে চলে গেল রাজপথ। আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের চরম শাস্তির দাবির পাশাপাশি নারী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি নিয়ে মধ্যরাতে মিছিল করলেন মহিলারা। সেই মিছিলে সহযোগী হিসেবে পুরুষরাও যোগ দেন। জেলার সর্বত্রই দেখা গেল মহিলাদের ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’স্লোগানে মুখরিত হতে। উত্তর ২৪ পরগনার নিউ টাউন থেকে শুরু করে দমদম, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, হাবরা, অশোকনগর, গোবরডাঙা, বনগাঁ, সোদপুর, ব্যারাকপুর, পানিহাটি, বেলঘড়িয়া সহ জেলার প্রতিটি জায়গায় মহিলাদের রাজপথে নেমে প্রতিবাদের শামিল হতে দেখা গিয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: বাড়ি থেকে শুরু করে রিসর্ট, হাতির হানায় লণ্ডভণ্ড মাদারিহাট

কিন্তু এটাই কি শেষ? একদিনের এই গর্জনে পর কি আর হবে না মহিলাদের উপর অত্যাচার! ধর্ষণ বা মহিলাদের উপর অত্যাচারের এই ব্যাধি সারাতে আদৌ কি কোন‌ও উপায় আছে? বিভিন্ন স্কুলগুলিতে সেক্স এডুকেশন চালু করলে কি কিছুটা হলেও বদলাতে পারে মহিলাদের প্রতি সমাজের এমন কুরুচিকর দৃষ্টিভঙ্গি? এই প্রসঙ্গে কী বললেন রাত দখল করতে রাজপথে নামা বিভিন্ন বয়সের মহিলারা?

শিক্ষিকা থেকে গৃহবধূ, মা থেকে দিদিদের মুখে ফুটে উঠল ঠিক কেমন সমাজ আশা করছেন তার বর্ণনা। কীভাবে আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দিলে এই ধরনের ব্যাধি সমাজ থেকে কিছুটা হলেও নির্মূল করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তাঁরা, সেটাও বিস্তারিত জানান। নির্যাতিতা তরুণীর উপর যে নৃশংসতা রাজ্যবাসী দেখেছে, তা যেন আর কোন‌ও মহিলাকে দেখতে না হয় সেই লক্ষ্যেই সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলের ডাক শোনা গেল এদিনের নারী শক্তিদের গলায়।

রুদ্রনারায়ণ রায়

RG Kar Doctor Murder Impact: আরজি কর কাণ্ডের রেশ, জেলার এই হাসপাতালে চিকিৎসা করতে এসে বিপাকে রোগীরা

বীরভূম: আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্যব্যাপী চিকিৎসকরা। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে চিকিৎসকদের কর্ম বিরতি, অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে। ষষ্ঠ দিনে পড়েছে রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের কর্ম বিরতি। এদিকে চিকিৎসকদের টানা আন্দোলনের জেরে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা করাতে আসা রোগীরা।

রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে ইনডোরের চিকিৎসা পরিষেবা কার্যত হচ্ছে না বলে অভিযোগ রোগীদের।আউটডোর পরিষেবা বুধবার থেকে চালু করা হলেও স্বাধীনতা দিবসের কারণে বৃহস্পতিবার তা বন্ধ থাকছে। সব মিলিয়ে রোগীদের ভোগান্তি ক্রমশই বাড়ছে।

আর‌ও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের ঝড় তীব্র গতিতে আছড়ে পড়ল গ্রামে গ্রামে, মধ্যরাতে যা হল…

প্রসঙ্গত আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চার দিন বন্ধ ছিল রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের আউটডোর পরিষেবা। এর পর বুধবারথেকে এই পরিষেবা চালু হয়। যদিও হাসপাতালের আউটডোরে পরিষেবা চালু করে দেওয়া হলেও রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়ারা এখনও কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা জানিয়েছেন দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত এই কর্ম বিরতি চলবে।

সৌভিক রায়

West Medinipur News: লেখিকা রোশেনারা খান সূচনা করেন আন্দোলন, মহিলাদের সঙ্গে পায়ে পা মেলান পুরুষেরাও 

পশ্চিম মেদিনীপুর: “আমরা বিচার চাই”। রাজপথ থেকে শহর মুখরিত হল এক বাক্যে। মোমবাতির শিখায় আলোকিত হলগোটা শহর। We Want Justice এই কথাকে সামনে রেখে রাজ্য জুড়ে চলল আন্দোলন। স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন জেলায় জেলায় চলল সুবিচার চেয়ে মেয়েদের রাত জাগো কর্মসূচি। মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে অন্যান্য জেলার পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরেও হাজারও হাজারও পড়ুয়া, গৃহবধূ, মহিলারা পা মেলান। মহিলাদের সঙ্গে সুবিচার চেয়ে আন্দোলনে পুরুষেরা। স্বাধীনতা দিবসের আগে বিপ্লবের জেলা মেদিনীপুর এক অনন্য অভিজ্ঞতার সাক্ষী রইল।

আরও পড়ুনঃ পেশায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসক, তাও দেশকে স্বাধীন করার জন্য নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন আন্দোলনে, কে জানেন?

আগুনের দীপ্ত শিখা জ্বেলে মেদিনীপুরের সূচনা হয় রাত জাগো কর্মসূচি। বিশিষ্ট লেখিকা রোশেনারা খানের হাত ধরে সূচনা হয় এই আন্দোলনের। মেদিনীপুর শহরেহাজারও হাজারও মেয়ে, মহিলারা আন্দোলনে নামে। সুবিচারের দাবিতে এবং নারী নিরাপত্তা জোরদার করতে সমস্বরে চিৎকার করে প্রতিবাদ জানায়। শুধু তাই নয় এ দিন মহিলাদের সঙ্গে পুরুষেরাও অংশ নেয় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে। মশাল হাতে বিক্ষোভে নামে পুরুষেরা। স্বাভাবিকভাবে শহর মেদিনীপুরে এক অভিনব বিক্ষোভ আন্দোলনের সাক্ষী জেলার মানুষ।

একইভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত হয়েছে। অরাজনৈতিক ব্যানারে বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনে নেমেছে মহিলা ও পুরুষেরা। ১৪ অগাস্ট সন্ধ্যার পর হাতে মোমবাতি নিয়ে পথে হাঁটলেন স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অধ্যাপক, চিকিৎসক গৃহবধূ থেকে শতাধিক মানুষ। মহিলাদের সঙ্গে সুবিচার চেয়ে মোমবাতি হাতে হাঁটলেন বাড়ির পুরুষেরা।

স্বাভাবিকভাবে আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যের কোনায় কোনায় উত্তাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। নারী নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে এবং রাতে যাতে স্বাচ্ছন্দে মেয়েরা বাড়ির বাইরে বের হতে পারে সেই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত্তের দাবিতে এবং নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দিকে দিকে এই আন্দোলন। অংশ নিল মেদিনীপুর।

রঞ্জন চন্দ

RG Kar Doctor’s Death Update: আরজি করে অধ্যক্ষকে ঘেরাও! তুমুল বিক্ষোভ! গো ব্যাক স্লোগান! কী প্রতিশ্রুতি প্রিন্সিপালের…?

কলকাতা: দফায় দফায় বিক্ষোভ-আন্দোলনে মুখর আর্জি কর মেডিক্যাল কলেজ। ১৪ অগাস্ট রাতের ঘটনা ও নিরাপত্তাহীনতা প্রশ্নে দুপুর থেকেই অধ্যক্ষকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভে ফেটে পরেন আন্দোলনকারী নার্সরা। আরজি কর হাসপাতালে ঢোকার মুখেই নার্সিং স্টাফেদের বিক্ষোভের মুখে পরেন অধ্যক্ষ। এরপরেই তিনি প্রতিবাদ বিক্ষোভের মুখে দু-তিন দিনের মধ্যে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও তাতে সন্তুষ্ট নন বিক্ষোভকারীরা। অবিলম্বে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। সবমিলিয়ে চরমে ওঠে পরিস্থিতি।

বুধবার রাতের ঘটনার পর থেকেই চূড়ান্ত বিক্ষোভ প্রতিবাদে মুখর আরজি কর। বৃহস্পতিবার প্রিন্সিপাল আসতেই তাঁকে উদ্দেশ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপরেই অধ্যক্ষ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। বুধবার মধ্যরাতে যে ঘটনা ঘটেছে সেইরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য যা যা করার তা করার দাবিতেই মূলত বিক্ষোভে ফেটে পড়েন আন্দোলনরত নার্সরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর দাবিও তোলেন আন্দোলনরত চিকিৎসক ও নার্সরা।

বিক্ষোভের মুখে অধ্যক্ষ জানান, “১৫০ জন অতিরিক্ত সুরক্ষা বাহিনী হাসপাতালে মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক দুদিন লাগবে আসতে। এখনও পর্যন্ত এমনটাই আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ছাত্র-ছাত্রীদের আস্বস্ত করে জানান প্রিন্সিপাল। কিন্তু তাঁর বিবৃতিতে কার্যত অখুশি আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। গত ৯ অগাস্টের ঘটনার পরে ইতিমধ্যেই অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে তা সত্ত্বেও কেন তাঁদের নিরাপত্তা যথাযথ হল না সেই প্রশ্ন তুলে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।

এমন পরিস্থিতিতে অফিসের বাইরেই অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখেন আন্দোলনরত নার্স ও চিকিৎসকেরা। প্রিন্সিপালকে অফিসে ঢুকতে দেননি তাঁরা। বুধবারের ঘটনার পর কেন এখনও এফআইআর করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? সেই দাবি তুলে সোচ্চার হন তাঁরা।