Tag Archives: RG Kar Hospital

RG Kar Doctor Murder Case: ‘যখন পড়বে না মোর…’, পড়ে রইল ফাঁকা বেঞ্চ, বাকরুদ্ধ শিক্ষিকারা! RG Kar-এর নির্যাতিতার জন্য কাঁদছে গোটা স্কুল

উত্তর ২৪ পরগনা: স্বাধীনতা দিবসে এই স্কুলে দাঁড়িয়েই পতাকা তুলতেন আরজি করে ধর্ষণ করে খুন হওয়া নির্যাতিতা তরুণী। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই নজর ছিল তাঁর প্রতি। স্কুলের প্রাক্তনী তথা প্রথম সারির এই ছাত্রীকে যেন কিছুতেই ভুলতে পারছেন না সহপাঠী থেকে স্কুলের শিক্ষিকারা।

তাই আর মৌন নয় শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে সোদপুর চন্দ্রচূড় বিদ্যাপীঠ গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা, ছাত্রী থেকে প্রাক্তনীরাও। স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী তথা আরজি কর হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তার তরুণীর নৃশংস হত্যার কথা ভাবলেই যেন শিউরে উঠছেন সকলে।

আরও পড়ুন: ‘এই রক্তস্নান চলতে পারে না’, আরজি করে গিয়ে ফুঁসে উঠলেন রাজ্যপাল! প্রশ্ন আইনশৃঙ্খলা নিয়ে

ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত হলেও, এখনও আসল রহস্য আসেনি প্রকাশ্যে। মাত্র একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। তবে নির্যাতিতা তরুণীর স্কুলের শিক্ষিকা থেকে সহপাঠী প্রাক্তনীরাও মনে করছেন, একজন নয় এর পিছনে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে।

আরও পড়ুন: খেতে ভাল লাগুক বা না লাগুক, কলা গাছের ‘মজ্জা’ এই মারণরোগ থেকে রেহাই দেবেই! চমকে যাবেন জানলে

এদিন পুরনো সেই ছাত্রীর স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়েও শিক্ষিকাদের চোখ ভরে উঠল জলে। ইতিমধ্যে গ্রেফতারের দাবিতেও তাঁরা পথে নেমেছেন। এখন নির্যাতিতার স্কুলও চায় প্রকাশ্যে আসুক আসল রহস্য, প্রাক্তন ছাত্রীর নৃশংস খুনে দোষীদের হোক ফাঁসির সাজা।

Rudra Narayan Roy

RG Kar Doctor Murder Case: ‘এই রক্তস্নান চলতে পারে না’, আরজি করে গিয়ে ফুঁসে উঠলেন রাজ্যপাল! প্রশ্ন আইনশৃঙ্খলা নিয়ে

কলকাতা: বুধবার রাতে ‘মেয়েদের রাত দখলের’ কর্মসূচির মাঝেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় ঘটনার অকুস্থল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে লাঠি-রড হাতে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে বহিরাগতরা৷ বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে যান রাজ্যপান সিভি আনন্দ বোস।

রাজ্যপালের বক্তব্য, ‘রক্তস্নান চলতে পারে না। মানবতার লজ্জা। চিকিৎসকদের দাবি শুনতে হবে। বাংলায় আইনশৃঙ্খলা নেই। ঘটনার পরদিনই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম৷ চিঠিতেই তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে৷’

আরও  পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বড় বটগাছ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, কোথায় রয়েছে সেই গাছ জানেন? বয়স শুনলে চমকে যাবেন

বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালে তুমুল তাণ্ডব, ভাঙচুর চলে জরুরি বিভাগের একাংশ৷ প্রসঙ্গত, এই জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হলেই উদ্ধার হয়েছিল ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ৷ যদিও পরে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়, ক্রাইম সিন অর্থাৎ, সেমিনার হলে বুধবার রাতে কোনও ভাঙচুর চালানো হয়নি৷

আরও পড়ুন: খেতে ভাল লাগুক বা না লাগুক, কলা গাছের ‘মজ্জা’ এই মারণরোগ থেকে রেহাই দেবেই! চমকে যাবেন জানলে

এদিন আন্দোলনকারী ছাত্ররা তাঁদের দাবি পেশ করেছে রাজ্যপালের সামনে। ইতিমধ্যেই টালা থানার কাছে সংশ্লিষ্ট ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে সিবিআই৷ বৃহস্পতিবার সকালেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর ও ডিআইজি-সহ বিশেষ টিম৷ নিগৃহীতার বাড়িতে সিবিআইয়ের যে দল যাচ্ছে, সূত্রের খবর, সেই দলে রয়েছেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর৷

বিশ্বজিৎ সাহা

Reclaim the Night: মধ্যরাতে নারীদের রাজপথ দখল, মশাল হতে আলোর পথ দেখালেন মহিলারা

আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজপথে রাত জাগল গোটা বাংলা। ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের রাতে রাজপথ দখল করে সেই স্বপ্ন পূরণের নিশ্চয়তা খুঁজলেন নারীরা।
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজপথে রাত জাগল গোটা বাংলা। ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের রাতে রাজপথ দখল করে সেই স্বপ্ন পূরণের নিশ্চয়তা খুঁজলেন নারীরা।
শিলিগুড়িতে স্লোগান উঠল 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'। দেখিয়ে দিল রাস্তা কারোর একার নয়। অবাধ বিচরণের অধিকার সকলের, রাতের অন্ধকারে তারাও নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চায়।
শিলিগুড়িতে স্লোগান উঠল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। দেখিয়ে দিল রাস্তা কারোর একার নয়। অবাধ বিচরণের অধিকার সকলের, রাতের অন্ধকারে তারাও নিরাপদে বাড়ি ফিরতে চায়।
এই শহরে প্রথম প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন এলাকার মহিলা চিকিৎসকরা। তাদের ডাকে শুধু চিকিৎসকরাই নন, মিছিলে সামিল হলেন কলেজ পড়ুয়া থেকে শিক্ষক, চাকরিজীবী, সমাজকর্মী সকলেই।
এই শহরে প্রথম প্রতিবাদের ডাক দিয়েছিলেন এলাকার মহিলা চিকিৎসকরা। তাদের ডাকে শুধু চিকিৎসকরাই নন, মিছিলে সামিল হলেন কলেজ পড়ুয়া থেকে শিক্ষক, চাকরিজীবী, সমাজকর্মী সকলেই।
শয়ে শয়ে মোবাইল ফোনের ফ্লাশ লাইট জ্বলে উঠেছিল প্রতিবাদীদের হাতে। আলোর পথ দেখাতে শিলিগুড়ির পথে নেমেছিলেন মহিলারাও। মিছিলে পা মিলিয়েছেন অনেক বয়স্ক মহিলা।
শয়ে শয়ে মোবাইল ফোনের ফ্লাশ লাইট জ্বলে উঠেছিল প্রতিবাদীদের হাতে। আলোর পথ দেখাতে শিলিগুড়ির পথে নেমেছিলেন মহিলারাও। মিছিলে পা মিলিয়েছেন অনেক বয়স্ক মহিলা।
শিলিগুড়ি শহর তো বটেই, পাশাপাশি খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, বাগডোগরা, শিব মন্দির এবং ইসলামপুরের পথে নামলেন মহিলারা। তাদের পাশে দেখা গিয়েছে পুরুষদেরও।
শিলিগুড়ি শহর তো বটেই, পাশাপাশি খড়িবাড়ি, ফাঁসিদেওয়া, বাগডোগরা, শিব মন্দির এবং ইসলামপুরের পথে নামলেন মহিলারা। তাদের পাশে দেখা গিয়েছে পুরুষদেরও।

RG Kar Hospital News: মধ্যরাত থেকে কাকভোর, ঠিক কী হয়েছিল আরজি কর হাসপাতালে?

বুধবার স্বাধীনতা দিবসের আগের রাতে ‘মেয়েদের রাত দখলে’র কর্মসূচি ঘিরে কলকাতা থেকে জেলা এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখান লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ তবে সোদপুর, আর জি কর, শ্যামবাজারের মতো জায়গায় ছড়ায় উত্তেজনাও৷

অভিযোগ, আর জি করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভিতরে ঢুকে পরে একদল বিক্ষোভকারী৷ তাণ্ডবে থমকে যাওয়া একটি ঘড়িতে দেখা গিয়েছে সেটির কাঁটা রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে থমকে গিয়েছে৷ অর্থাৎ, সেই সময়েই ঘটনা ঘটেছিল বলে মনে করা হচ্ছে৷ তাণ্ডবকারীদের কয়েক জনের হাতে রড এবং লাঠি ছিল বলে অভিযোগ। জরুরি বিভাগের বাইরের কোলাপসিবল গেট ভেঙে উপড়ে ফেলা হয়। ভিতরে ঢুকে সব কিছু লন্ডভন্ড করে দেন তাঁরা।

Reclaim the Night: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদের ঝড় তীব্র গতিতে আছড়ে পড়ল গ্রামে গ্রামে, মধ্যরাতে যা হল…

পুরুলিয়া: আরজি কর হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার ও নারী নিরাপত্তার দাবিতে মধ্যরাতে মিছিলে মিছিলে উত্তাল হল বাংলা। এই ইস্যুতে গোটা রাজ্যের সঙ্গে তোলপাড় হয়েছে পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন অংশ। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি বাদ গেল না প্রান্তিক রঘুনাথপুরের মত এলাকাও।‌

এমনিতেই পুরুলিয়া পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির একটি। কিন্তু এই ইস্যুতে নারীদের নেতৃত্বে পুরুলিয়া শহরের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা ও গ্রামগুলিতেও পথে নামল মানুষজন। আরামের ঘুম শিকেয় তুলে মিছলে হাঁটলেন নারী থেকে পুরুষ সকলে। প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়া শহর ও রঘুনাথপুর মহকুমায় প্রতিবাদে নামতে দেখা যায় দলমত নির্বিশেষে সকলকে।

আর‌ও পড়ুন: কন্যাশ্রী দিবসের মধ্যরাতে নারীদের দখলে রাজপথ, উঠল এই দাবি…

বুধবার সন্ধেয় প্রথমে রঘুনাথপুর মহকুমায় র‍্যালি হয়। রঘুনাথপুর ক্ষুদিরাম চক থেকে এই র‍্যালি শুরু হয়ে নতুন বাসস্ট্যান্ড হয়ে পুনরায় রঘুনাথপুর ক্ষুদিরামচকে এসে শেষ করে। রঘুনাথপুরের শহরবাসী ও রঘুনাথপুরের আশেপাশের গ্রাম থেকে বহু মানুষ এই মিছিলে যোগদান করেন। রঘুনাথপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স, চিকিৎসক সহ কয়েক হাজার মানুষ এই র‍্যালিতে পা মেলান। ‌একইভাবে পুরুলিয়া স্টেশন থেকে রাতে র‍্যালি শুরু হয়ে রথতলা, মধ্যবাজার, চকবাজার হয়ে পোস্ট অফিস মোড়ে শেষ হয়।‌ কয়েক হাজার মানুষ এই র‍্যালিতে পা মেলান।

এই বিষয়ে মিছিলে অংশ নেওয়া মহিলারা বলেন, যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য কেন্দ্র কোথাও মেয়েদের নিরাপত্তা নেই, সেখানে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে। কোথায় তারা সুরক্ষিত। অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তোলেন তাঁরা।

সেই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই গর্জে উঠেছে গোটা রাজ্য। আরজি করের সেই নারকীয় কাণ্ডের প্রতিবাদে গোটা রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভে নেমেছেন মহিলারা। তাঁদের সঙ্গ দিয়েছেন পুরুষরা। কলকাতা শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র একই চিত্র। প্রতিবাদের ঝড় উঠল প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়াতেও।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

CBI on R G Kar Case: নিগৃহীতার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিল সিবিআইয়ের বিশাল টিম! বিশেষ নজর ভাঙচুর কাণ্ডের দিকেও

কলকাতা:  সকালেই মিলেছিল সিবিআই তৎপরতার ইঙ্গিত৷ বেলা গড়াতে না গড়াতেই বিশাল দল নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনায় নিগৃহীতার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা৷ গোটা ঘটনাক প্রেক্ষিতে নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের কী বক্তব্য? কী বয়ান তাঁর মা-বাবার, সূত্রের খবর, সেটাই জানতে চায় সিবিআই৷ এ বিষয়ে নির্যাতিতার মা-বাবার পূর্ণাঙ্গ বয়ানও রেকর্ড করা হয়ে পারে বলে জানা গিয়েছে৷

গত বুধবার রাতে ‘মেয়েদের রাত দখলের’ কর্মসূচির মাঝেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় ঘটনার অকুস্থল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে৷ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে লাঠি-রড হাতে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে বহিরাগতরা৷ তুমুল তাণ্ডব, ভাঙচুর চলে জরুরি বিভাগের একাংশ৷ প্রসঙ্গত, এই জরুরি বিভাগের চার তলার সেমিনার হ’লেই উদ্ধার হয়েছিল ডাক্তারি পড়ুয়ার দেহ৷ যদিও পরে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়, ক্রাইম সিন অর্থাৎ, সেমিনার হ’লে গত বুধবার রাতে কোনও ভাঙচুর চালানো হয়নি৷

আরও পড়ুন:  স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও মোদির মুখে নারী সুরক্ষা প্রসঙ্গ! লাল কেল্লা থেকে বার্তা রাজ্য সরকারদের

ইতিমধ্যেই টালা থানার কাছে সংশ্লিষ্ট ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে সিবিআউ৷ বৃহস্পতিবার সকালেই সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর ও ডিআইজি সহ বিশেষ টিম৷

নিগৃহীতার বাড়িতে সিবিআইয়ের যে দল যাচ্ছে, সূত্রের খবর, সেই দলে রয়েছেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর৷

আরও পড়ুন: দল না দেখে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করার আর্জি! আর জি কর ভাঙচুরে সিপি-র সঙ্গে কথা অভিষেকের

বৃহস্পতিবার মূলত কয়েকটা দলে ভাগ হয়ে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার কথা সিবিআই আধিকারিকদের। সিবিআই সূত্রে খবর, আর জি কর হাসপাতালে যেভাবে গত বুধবার রাতে সিবিআই বেরনোর পরে ভাঙচুর হয়েছে, তাতে প্রমাণ লোপাটের জন্যই এই ভাঙচুর কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে? এছাড়া, এই ভাঙচুরের পিছনে মোটিভ কী? পুলিসের বদলে সিবিআই দিয়ে তদন্ত তা-ও কেন এমন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হল? সে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন  সিবিআই কর্তারা৷ এবার তাঁরা তদন্ত পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে নির্দেশ দেবেন বলেও জানা গিয়েছে।

Reclaim the Night: কন্যাশ্রী দিবসের মধ্যরাতে নারীদের দখলে রাজপথ, উঠল এই দাবি…

মালদহ: কন্যাশ্রী দিবসের মধ্য রাতেই গর্জে উঠল নারী শক্তি। কন্যাশ্রীদের, নারীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে রাস্তায় নামলেন হাজারে হাজারে মহিলা। মূল লক্ষ্য আরজি কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার হলেও মিছিল থেকে উঠে এল সার্বিক নারী নিরাপত্তা ও নারী অধিকারের দাবি। মধ্য রাতের এই আন্দোলনে সামনে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিলেন মহিলারাই।

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক-মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে মেয়েদের স্বাধীনতার দাবিতে ব্যাপক সাড়া ফেলল এই আন্দোলন। গোটা রাজ্যের সঙ্গে মালদহেও রাত দখলে সামিল হলেন হাজার হাজার যুবতী থেকে মহিলা। কেউ মোমবাতি হাতে, আবার কেউ মশাল জ্বালিয়ে নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হলেন। আন্দোলনকারী মেরিনা খাতুন বলেন, রাজ্যে কন্যাশ্রী দিবস পালন হচ্ছে। কিন্তু কন্যাশ্রীদের নিরাপত্তা নেই। আমরা আমাদের নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তায় নেমেছি।

আর‌ও পড়ুন: শঙ্খ ধ্বনি, ফ্ল্যাশ লাইটে নতুন স্বাধীনতার ভোর দেখল কাটোয়া

১৪ অগস্ট রাজ্য জুড়ে পালিত হয় কন্যাশ্রী দিবস। সাহসিকতা সহ বিভিন্ন কাজের জন্য কন্যাশ্রীদের রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সন্মান দেওয়া হয়। সেদিন‌ই মধ্য রাতে রাজ্য জুড়ে এই রাজ্যের কন্যাশ্রীরা প্ল্যাকার্ড, মোমবাতি হাতে নারী নিরাপত্তা চেয়ে পথে নামলেন। আরজি করের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে গলা ফাটালেন এক সুরে। মালদহ শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে মধ্যরাতে শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকা থেকে বহু মহিলাদ এসে জমায়েত করেন। বিক্ষোভ প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি করেন তাঁর।‌ পাশাপাশি এদিন গভীর রাতে শহরের রাস্তা জুড়ে একটি প্রতিবাদ মিছিল করা হয় আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ সহ দোষীদের শাস্তির দাবিতে। আন্দোলনকারী লিলি বিশ্বাস বলেন, রাজ্যে কন্যাশ্রী দিবস পালন হচ্ছে। এদিকে আমাদের কন্যা সুরক্ষিত নয়। সুরক্ষার জন্য আমাদেরকে আন্দোলন করতে হচ্ছে, পথে নামতে হচ্ছে।

সকলেই চান আরজি করের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের কঠোর শাস্তি। পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে মহিলাদের সুরক্ষা, নিরাপত্তার দাবিতে এদিনের আন্দোলন। তাই সমাজের প্রতিটি শ্রেণির মহিলারা এদিনের এই আন্দোলনের সামিল হয়েছিলেন। শুধুমাত্র নিজেদের সুরক্ষার দাবিতে। আন্দোলনকারীরাও প্রশ্ন তুললেন, এই রাজ্যে কন্যাশ্রীদের সুরক্ষা নিয়ে। কন্যাশ্রী সম্মান দেওয়া হলেও সত্যি কি বাংলার কন্যাশ্রীরা সুরক্ষিত? এদিনের আন্দোলন এই প্রশ্ন তুলে দিল।

হরষিত সিংহ

Reclaim the Night: শঙ্খ ধ্বনি, ফ্ল্যাশ লাইটে নতুন স্বাধীনতার ভোর দেখল কাটোয়া

পূর্ব বর্ধমান: ‘মেয়েরা, রাত দখল করো’ আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর এই কথাটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছিল। সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বার্তা থেকে তৈরি হল এক অভূতপূর্ব গণজাগরণ। ১৪ অগাস্টের রাত বাংলার নারীদের দখলে চলে গেল। হাজারে হাজারে মানুষ মধ্যরাতে রাস্তায় হাঁটলেন।

আরজি করে জুনিয়র চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিত হল প্রতিবাদ মিছিল। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরেও বুধবার রাত্রে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় এক হাজার মহিলাকে এই মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত।

আর‌ও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৬০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনল ক্লাব, যা যা হল…

মিছিলে উপস্থিত মহিলাদের হাতে ছিল বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা মূলক বার্তা দিয়ে লেখা কাট আউট। প্রত্যেক মহিলার হাতে ছিল মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জেলে মহিলাদের এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এছাড়াও বেশ কিছু মহিলাকে এই প্রতিবাদ মিছিলে শঙ্খধ্বনি দিতেও দেখা গিয়েছে। তবে শুধু মিছিলে অংশগ্রহণকারী মহিলারাই নয়, কাটোয়া শহরের বেশ কিছু বাড়িতেও এই শঙ্খ ধ্বনি দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়েছে। মোবাইলের আলোতে যেন এক অন্যরকম রূপে দেখা গেল কাটোয়া শহরকে। মিছিলে উপস্থিত অপরূপা ব্যানার্জী জানিয়েছেন, আমরা সবাই একসঙ্গে আছি সেই বার্তা দেওয়ার জন্যই এই মিছিলের আয়োজন। আমাদের সকলের জাস্টিস চাই। দরকার পড়লে আমরা আবার রাস্তায় নামব।

বুধবার রাত্রির প্রতিবাদ মিছিল থেকে দাবি ওঠে, আরজি করের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দিতে হবে। সকলেই একজোট হয়ে ন্যয্য বিচারের দাবিজানিয়েছেন। এছাড়াও মহিলাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। মিছিলে উপস্থিত অর্চিতা দত্ত জানিয়েছেন, আমার মনে হয় সিসিটিভি প্রত্যেকটা জায়গাতেই থাকা উচিত। মেয়ে মানেই সে ঘরে আটকে থাকবে এমনটা কখনওই নয়। প্রত্যেকের নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে। আশা করছি আমরা বিচার পাব এবং সঠিক বিচার পাব।

এই মিছিল কাটোয়া পুরসভার সামনে থেকে শুরু হয়ে কাটোয়া সার্কাস ময়দান নজরুল মূর্তির কাছে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সকলে মৃত চিকিৎসকের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিটের নীরবতা পালন করেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Kolkata High Court: আরজি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ, হাইকোর্টে দায়ের হল মামলা

কলকাতা: স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন প্রতিবাদের রাতেই বহিরাগতদের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেল আর জি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ৷ চলল বেপরোয়া ভাঙচুর৷ রড, লাঠি নিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড টপকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ঢুকে পড়ল বহিরাগতরা৷ এমনকি, পুলিশের পাশাপাশি উপস্থিত চিকিৎসক-নার্সদেরও আক্রমণ করার অভিযোগ উঠল তাঁদের বিরুদ্ধে৷

গত বুধবার রাতে আর জি কর হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় এবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জনস্বার্থ মামলা করলেন আইনজীবী সৌম্য শুভ্র রায়।

জানা গিয়েছে, ই-মেইল মারফত দাখিল করা হয়েছে আবেদন। চিকিৎসক খুনের তথ্য প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যেই বারবার হাসপাতালে আক্রমণ হয়ে থাকতে পারে বলে নিজের আবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই আইনজীবী৷ অবিলম্বে এবিষয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: এবার বাংলা জুড়ে বনধের ডাক শুভেন্দুর! আর জি করে ভাঙচুর কাণ্ডে পথে নামছে বিজেপি?

তাণ্ডবে থমকে যাওয়া একটি ঘড়িতে দেখা গিয়েছে সেটির কাঁটা রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে থমকে গিয়েছে৷ অর্থাৎ, সেই সময়েই ঘটনা ঘটেছিল বলে মনে করা হচ্ছে৷ তাণ্ডবকারীদের কয়েক জনের হাতে রড এবং লাঠি ছিল বলে অভিযোগ। জরুরি বিভাগের বাইরের কোলাপসিবল গেট ভেঙে উপড়ে ফেলা হয়। ভিতরে ঢুকে সব কিছু লন্ডভন্ড করে দেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: ‘আরজি করে হামলা, তাণ্ডব শাসক দলের গুন্ডাদের…’ বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী ! রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি

ভেঙেচুরে ফেলা হয় জরুরি বিভাগের সব কিছুই। টিকিট কাউন্টার, এইচসিসিইউ, সিসিইউ, ওষুধের স্টোররুম হামলাকারীদের হাতে চুরমার হয়ে যায়। মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ে ওষুধপত্র, ইঞ্জেকশনের ভাঙা ভায়াল। ওলোটপালোট করে দেওয়া হয় বেড, আসবাবপত্র। গোটা জরুরি বিভাগ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চুরমার হওয়া কাচ। জরুরি বিভাগের এইচসিসিইউ (হাইব্রিড ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট), সিসিইউ (ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট)-তেও ভাঙচুর চালানো হয়।

TMC removes Santanu Sen: আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুলে দলের রোষে শান্তনু? পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুলে তৃণমূলেই শাস্তির মুখে পড়লেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন৷ এ দিনই রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদকে দলের মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর হাসপাতালের পরিবেশ এবং বর্তমান কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন৷

শুধু তাই নয়, গতকাল তিনি জানয়ে দেন, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে দলের পক্ষে আর কোনও বিবৃতিও দেবেন না৷ শান্তনু সেনের আরও অভিযোগ ছিল, আরজি করে পড়তে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁর ডাক্তারি পড়ুয়া মেয়েকেও৷ আরজি করে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শান্তনুবাবুর স্ত্রী পেশায় চিকিৎসক কাকলি সেনও৷ এর পরেই আজ সকালে শান্তনু সেনকে মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস৷

এ দিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, আরজি কর কাণ্ডের জেরে শান্তনু সেনকে দলের মুখপাত্রের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে৷ গত কয়েকদিন আরজি কর কাণ্ডে শান্তনু সেন যা বলেছেন, তা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত মত বলে জানিয়ে দিয়েছে দল৷ শান্তনু সেনকে পদ থেকে সরানোর ঘোষণা করে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘গতকাল বেহালার মিটিং থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বিষয়টি কিছুটা আপনাদের জানিয়েছিলেন৷ আরজি কর কাণ্ডে শান্তনু সেন যা বলেছেন, তা তাঁর একান্ত ব্যক্তিগত মত৷ দল এর দায়িত্ব নেবে না৷’

আরও পড়ুন: ‘চোখের সামনে মাথা ফাটল ওসি-র! ইট, কাচের বোতল হাতে আরজি করের সামনে ওরা কারা?’

আরজি কর কাণ্ডের পরই ওই হাসপাতালের প্রাক্তনী শান্তনু সেন হাসপাতাল প্রশাসনের বিরুদ্ধে বড়সড় দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার মতো চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছিলেন৷ তাঁর নিশানায় ছিল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ৷ হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার নামেও দুর্নীতি চলে বলে অভিযোগ করেন শান্তনু৷ যা বিপাকে ফেলেছিল শাসক দলকে৷

রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শান্তনুকে আর টিকিট দেয়নি দল৷ এবার তাঁকে দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকেও সরানো হল৷ যদিও এ বিষয়ে শান্তনু সেনের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি৷ যদিও গতকাল তিনি জানিয়েছিলেন, আরজি কর কাণ্ডে মুখ না খুললেও ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজনৈতিক ইস্যুতে দলের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি৷