Tag Archives: RG Kar Hospital
Junior doctors movement ‘বেজে উঠল ঢাক, শুরু উলুধ্বনি!’ রাস্তাতেই কাটল দুই রাত, স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অনড় চিকিৎসকরা
কলকাতা: লালবাজারের সামেনর রাস্তায় প্রায় বাইশ ঘণ্টা অবস্থানে বসেছিলেন আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামা জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ স্বাস্থ্য ভবনের সামনে তাঁদের ধর্না অবস্থান বুধবার রাতেই তিরিশ ঘণ্টা পার করে ফেলেছে৷ বরং যত সময় যাচ্ছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের এই ধর্না অবস্থানে যোগ দিচ্ছেন অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত বহু বিশিষ্ট জন এবং সাধারণ মানুষ৷
সবমিলিয়ে মঙ্গলবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া জুনিয়র চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য ভবনের ধর্না অবস্থানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় এবং উদ্দীপনা, দুই বেড়েছে৷ আরও সংগঠিত হয়েছে প্রতিবাদের কর্মসূচি৷ বেজেছে ঢাক, দেওয়া হয়েছে উলুধ্বনি৷ আন্দোলনরত চিকিৎসকদের জন্য সাধারণ মানুষের অনেকেই ব্যক্তিগত অথবা দলবদ্ধ ভাবে খাবার, পানীয় জল থেকে শুরু করে জরুরি প্রয়োজনের বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয়েছেন৷
বুধবার সন্ধে বেলা প্রথমে নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজি এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর করা সাংবাদিক বৈঠক এবং তার জবাবে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের জবাবের পরই স্পষ্ট হয়ে যায়, জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতিকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া জটিলতা সহজে কাটবার নয়৷ এর পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না অভিযান চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ তাতেও আন্দোলনকারীদের মধ্যে উৎসাহের কোনও ঘাটতি দেখা যায়নি৷ বরং শোনা গিয়েছে নতুন নতুন স্লোগান, সঙ্গে কলকাতা পুলিশের নগরপাল, স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগের দাবিতে উঠেছে সমবেত আওয়াজ৷
আরও পড়ুন: ‘পিছনে রাজনীতির খেলা’, জুনিয়র চিকিৎসকদের নিশানা করলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা
বুধবার সারাদিন ধরেই স্বাস্থ্য ভবনের সামনের ধর্নাস্থল থেকে একের পর এক স্লোগান দিয়ে গিয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷ রাতের দিকে ধর্নাস্থলে শুরু হয় ঢাক বাজানো৷ দেওয়া হয় উলুধ্বনি৷ আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা স্লোগান দিতে থাকেন, এবার পুজোয় অকাল বোধন, আরজিকরে অসুর নিধন৷ আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা অনেকেই বলেন, এটা আমাদের প্রতিবাদের উৎসব৷
বুধবার সকাল থেকেই আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য বহু সাধারণ মানুষ শুকনো খাবার, জল, বিস্কুট, চা, ওআরএস নিয়ে হাজির হয়েছেন৷ এক সময় পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে আন্দোলনকারীরাই নতুন করে আর কাউকে খাবার না আনার জন্য অনুরোধ করেন৷ কারণ প্রয়োজনের তুলনায় ততক্ষণে অতিরিক্ত খাবার মজুত হয়ে গিয়েছে ধর্নাস্থলে৷
রাজ্য সরকারের মতোই জুনিয়র চিকিৎসকরাও দাবি করেছেন, তাঁরা খোলা মনেই আলোচনা চান৷ কিন্তু তার আগে তাঁদের দেওয়া শর্ত রাজ্যকে মানতে হবে৷ এই টানাপোড়েনের শেষ কোথায় হয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে গোটা রাজ্যের মানুষ৷
Junior doctors reply to government: ‘যাঁরা রাজনীতি দেখছেন, তাঁরাই রাজনীতি করছেন!’ রাজ্যকে জবাব জুনিয়র চিকিৎসকদের
তাঁদের আন্দোলনের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যে মন্তব্য করেছেন, তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক৷ বরং যাঁরা তাঁদের আন্দোলনে রাজনীতি দেখছেন, তাঁরাই আসলে রাজনীতি করছেন বলে রাজ্য সরকারকে পাল্টা জবাব দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা৷
শুধু তাই নয়, কর্মবিরতির জেরে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়লেও তার দায়ও তাঁদের নয় বলেই দাবি করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ আন্দোলনকারীদের আরও দাবি, রাজ্য সরকারের মতো তাঁরাও খোলা মনেই আলোচনা চাইছেন৷ কিন্তু তাঁদের দেওয়া শর্ত পূরণ না হলে আলোচনা সম্ভব নয় বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷
এ দিন সন্ধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়ে দেন, জুনিয়র ডাক্তারদের দেওয়া কোনও পূর্ব নির্ধারিত শর্ত মেনে আলোচনায় বসবে না রাজ্য সরকার৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অভিযোগ করেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের অনড় মনোভাবের পিছনে রাজনৈতিক প্ররোচনা রয়েছে৷
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য আসার পরই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা৷ আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্যতম রুমেলিকা বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমরা সরকারের কাছ থেকে একটা প্রেস বিবৃতি পেলাম, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক৷ রাজ্যে মোট ৯৩ হাজার চিকিৎসকদের মধ্যে জুনিয় চিকিৎসকদের সংখ্যা মাত্র ৭৫০০৷ আমাদের কর্মবিরতিতে যদি রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তার দায় রাজ্যের ও স্বাস্থ্য দফতরের৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে বেহাল অবস্থা সেটাই প্রমাণ হয়৷’
আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক সত্যদীপ সরকার বলেন, ‘আমরাও খোলা মনে আলোচনা করতে চাই৷ তাই আমরা সরাসরি মানুষের সামনে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম৷’ চিকিৎসক হিমাদ্রি শেখর বেরা বলেন, ‘ভোর রাতে ই মেল করার মধ্যে আমাদের অন্তত কোনও রাজনীতি ছিল না৷ যারা এর পিছনে রাজনীতি দেখছেন,তারাই আসলে রাজনীতি করছেন৷ আন্দোলনকারীরা পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন, সদর্থক পদক্ষেপ করে রাজ্যের পক্ষ থেকে তাঁদের ই মেলের জবাব পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে৷’
Bangla Video: বিড়ি শ্রমিকদের জন্য তৈরি হওয়া হাসপাতালে তালা, ভোগান্তিতে রোগীরা!
পুরুলিয়া : পুরুলিয়া জেলার শিল্প সংস্কৃতির আঙিনা মজবুত হলেও জেলায় সেভাবে গড়ে ওঠেনি শিল্প। ধীরে ধীরে জেলার রূপ পরিবর্তন হলেও নানান শিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে। একটা সময় পুরুলিয়ার ঝালদা মহকুমায় বিড়ি শিল্প অনেকখানি বিখ্যাত ছিল। তবে কালের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিড়ি শ্রমিকদের চাহিদা কমেছে। তাই আগের মত আর প্রসার নেই এই শিল্পের। এই শ্রমিকদের জন্য তৈরি হয়েছিল একটি হাসপাতাল। ঝালদা দু নম্বর ব্লকের টালি সেন্টারে রয়েছে বিড়ি শ্রমিকদের এই হাসপাতাল। কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে এই হাসপাতালের সূচনা হয়েছিল।
লোকসভা নির্বাচনের আগে পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ এই হাসপাতালের উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি এই হাসপাতালের দরজায় দেখা যাচ্ছে তালা ঝুলতে। পরিষেবা না পেয়ে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। গত নয় সেপ্টেম্বর থেকে এই সমস্যায় ভুগছেন বিড়ি শ্রমিকেরা। কি কারণেএই হাসপাতালের দরজা বন্ধ সে বিষয়েও কোন সদুত্তর নেই হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসারের কাছে।
আরও পড়ুন: দখল হয়ে যাচ্ছে জেলা পরিষদের জমি, পথে নামলেন সভাধিপতি!
এ বিষয়ে এই হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা মেডিকেল অফিসার পি এন রিড বলেন , তিনি ঠিক জানেনা কি কারণেএই হাসপাতালের দরজা বন্ধ। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন এই বিষয়ে। হাসপাতালে চিকিৎসা করতে আসা এক রোগী বলেন , অনেক দূর থেকে তিনি পায়ে হেঁটে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। কিন্তু ডাক্তার না দেখাতে পেরে তাকে ফিরে যেতে হচ্ছে। এটা তিনি অনেকটাই সমস্যার মধ্যে পড়লেন।
তিন দিন ব্যাপী বন্ধ রয়েছে ঝালদার বিড়ি শ্রমিকদের জন্য তৈরি হাসপাতাল। এর ফলে নানান সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। অনেকেই দূর দূরান্ত থেকে চিকিৎসা করাতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। তারা চাইছেন অবিলম্বে হাসপাতালের দরজা খুলে দেওয়া হোক।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি
RG Kar Murder Accused Sanjay Roy CBI: একটা হেলমেট আর সেই রাত! সঞ্জয় কি আসলে লুকিয়েছে বিশেষ কিছু? জেলে ছুটল CBI
RG Kar Protest: আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গম্ভীরা শিল্পীরা যা করলেন ভাবতে পারবেন না! দেখুন
মালদহ: প্রতিবাদের ভাষা গম্ভীরা। প্রাচীন কাল থেকেই গম্ভীরার মাধ্যমে প্রতিবাদের সুর উঠেছে। আজও সেই ধারা অব্যাহত। দেশ থেকে সমাজে যখনই কোন প্রতিকূলতা তৈরি হয়েছে মালদহের গম্ভীরা গর্জে উঠেছে। গম্ভীরা গান বেঁধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন শিল্পীরা।
বর্তমানে রাজ্য থেকে দেশ তোলপাড় আরজি কর ইস্যুতে। সমাজের প্রতিটি স্তরে মানুষ প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। এমন নারকীয় ঘটনার ঝড় আছড়ে পড়েছে মালদহ জেলাজুড়েও। এবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সামিল হলেন মালদহের গম্ভীরা শিল্পীরা। আরজি কর নিয়ে গম্ভীরার সুরে গান বাঁধলেন শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: ভয়ানক দুর্ঘটনার পর ২৯ দিন কোমায়, স্মৃতিশক্তি একেবারে শেষ! ‘আশিকি’ ছবির অনু এখন কোথায়?
গম্ভীরার ভঙ্গিতে সেই প্রতিবাদের গান বিভিন্ন জায়গায় অভিনয় করে প্রতিবাদে নামবেন মালদহের কুতুবপুর গম্ভীরা দলের শিল্পীরা। শিল্পী অশোক চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরাও আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গান বেঁধেছি নতুন। আগে থেকেই এই আন্দোলনে আমরা সামিল হয়েছি। এবার গম্ভীরা গানের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে এই আন্দোলন ছড়িয়ে দেব।’
আরও পড়ুন: হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরও ভয়ঙ্কর কাজে মেতেছিলেন সন্দীপ! CBI-এর হাতে শিউরে ওঠা তথ্য
গম্ভীরা গান পরিবেশনের মাধ্যমে একদিকে যেমন ঘটনার প্রতিবাদ জানাবেন, পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি করবে। বর্তমানে এই গম্ভীরা দলের শিল্পীরা গান বেঁধে রিহার্সাল করছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে গম্ভীরা গানের মাধ্যমে আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গম্ভীরা গান করবেন।
শিল্পী প্রশান্ত শেঠ বলেন, ‘প্রাচীন কাল থেকেই গম্ভীরা গান প্রতিবাদী গান হিসেবেই পরিচিত। ইংরেজ শাসন থেকে যখন প্রয়োজন পড়েছে গম্ভীরা গান প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরা সেই ধারা অব্যাহত রেখেছি। আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আমরাও গান বেঁধেছি। মানুষের মধ্যে সেই গান ছড়িয়ে দেব। এভাবেই মালদহের গম্ভীরা শিল্পীরা আন্দোলনে নামছেন। তাঁদেরও একটাই দাবি দোষীর শাস্তি-সহ সমাজ সচেতনতা।’
হরষিত সিংহ
Durga Puja 2024: উৎসবে ফেরা নয়, বরং আড়ম্বরহীন পুজোর মাধ্যমেই প্রতিবাদ এই পুজো কমিটির
নদিয়া: উৎসবে ফেরা নয় বরং সহযোগিতার সরকারি অর্থ মূল্য ফিরিয়ে দিয়ে আড়ম্বরহীন দুর্গাপুজোর সিদ্ধান্ত ৭৩ বছরের প্রাচীন নদিয়ার অন্যতম সেরা আকর্ষণ রানাঘাটের চারের পল্লীর। ইতিমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দেখা গেছে অনেকেই ফিরিয়েছেন পুজোয় দেওয়া সরকারি অনুদান। তারা জানিয়েছেন প্রতি বছর উৎসবে মাতি, তবে এবছর নয়। ঘরের মেয়ে অভয়া বিচার পাক তার ঘরের প্রদীপ নিভেছে, এ সময় আনন্দের বহিঃপ্রকাশ নয়। যদিও এ সংখ্যা নিয়ে এবং অনুদান ফেরানোর ফর্ম নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। তবে নদিয়ার রানাঘাটে বহু প্রাচীন এবং সুপরিচিত ৭৩ বছরে পদার্পণ করা স্ট্যান্ড রোডের চারের পল্লী স্পোর্টস এন্ড কালচারাল এসোসিয়েশন রীতি মতন মহুকুমা শাসকের কাছে গিয়ে আবেদনের ভিত্তিতে অনুদান ফিরিয়ে দিয়ে সেই প্রতিলিপি ফ্লেক্স এবং ব্যানারে লাগিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন প্রতিবাদের।
আরও পড়ুনঃ কুলতলিতে বাঘের আতঙ্ক, জাল দিয়ে ঘেরা হয়েছে গোটা গ্রাম
উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, চূর্ণী নদীর ধারে এই পুজো হয়ে আসছে ১৯৫২ সাল থেকে জেলার অন্যতম আকর্ষণ থাকে প্রতি বছরে। এ বছরেও চারদিন ব্যাপী বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড ব্যয়বহুল মণ্ডপসজ্জা এবং প্রতিমা নির্মাণ থেকে তারা বিরত থাকছেন। এলাকাবাসী স্বইচ্ছায় যে সহযোগিতা তুলে দেবেন তাতেই কোনরকমে পুজো সারবেন তারা। একজন মহিলা ডাক্তার যিনি সারা জীবন মানুষের প্রাণ বাঁচানোর শপথ নিয়ে নিজের জীবনকে উপেক্ষা করে অক্লান্ত পরিশ্রম করেন রোগ ব্যাধির সঙ্গে নিয়মিত লড়াই করে আজকের তার নিরাপত্তা কোথায়? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা তো অনেক দূর! শুধু তাই নয় দিকে দিকে এ বিষয়ে একজন মানুষ হিসাবে সাধারণ প্রতিবাদ করতে গিয়েও কখনও কখনও তাদের পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন রোষানলে। এসব ঘটনা থেকে সামগ্রিকভাবে বীতশ্রদ্ধ রানাঘাট চারের পল্লীর নাগরিকরা।
তাদের দাবি, পুজো আসবে পুজো যাবে কিন্তু নিভৃতে থেকে যাবে বিচার। তাই তাদের প্রতিবাদ চলতেই থাকবে এবার পূজোতেও। নিয়ম-নিষ্ঠা ঘরে দেবী দুর্গার আরাধনা হলেও আরম্ভরতা কিছুই থাকছেনা। তবে অভয়ার প্রতি অনাচারের প্রতিবাদ চলবে নানাভাবে। একমাস অতিক্রান্ত কিন্তু এখনও মেলেনি বিচার ! দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে তবেই স্বস্তি পাবে রাজ্যবাসী তখনই হবে আনন্দ উৎসব। এবারে শুধুই প্রতিবাদ এবং বিষাদ কারণ অভয়ার ঘরে নিভেছে প্রদীপ তাই ঝাড়বাতি কিংবা আলোর রোশনাই এবারে থাক বন্ধ।প্রসঙ্গত এই পুজো কমিটি ২০১৬ সালে প্রথম সরকারি অনুদান পায়। তবে এবারের এই মানবিক সিদ্ধান্তে যদি আগামীতে সরকারি তরফে তাদেরকে বঞ্চিত করা হয় তাহলেও তাদের কোনও আক্ষেপ নেই বলেই জানান তারা।
মৈনাক দেবনাথ
Sandip Ghosh RG Kar Case: হাসপাতালে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পরও ভয়ঙ্কর কাজে মেতেছিলেন সন্দীপ! CBI-এর হাতে শিউরে ওঠা তথ্য
কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড়। হাসপাতালে দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। হাসপাতালে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটার পরেও সন্দীপ দমে যাননি।
সিবিআই সূত্রে খবর, নিও নেটাল কেয়ার ইউনিটের ইনজেকশন অ্যাম্পিউলের বরাত নিজের লোককে পাইয়ে দিতে শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। অগাস্টের ৭ তারিখ তৎকালীন এমএসপিভি সঞ্জয় বশিষ্ঠের সই করা টেন্ডার নোটিস ইস্যু হয়। নিও নেটাল কেয়ার ইউনিটের জন্য ইনজেকশন অ্যাম্পিউলের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৪ অগাস্ট ২০২৪।
আরও পড়ুন: শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে এই ‘একটি’ ক্ষতি হবেই! লক্ষণ জেনে সতর্কতা নিন
ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরেও এই বরাত পাইয়ে দিতে বিপ্লব সিংহের মধ্যস্থতায় এক ওষুধ সরবরাহকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গিয়েছিলেন সন্দীপ, চাঞ্চল্যকর দাবি সিবিআইয়ের। অচলাবস্থার সুযোগ নিয়ে চুপিসারে এই টেন্ডারও নিজের লোককে পাইয়ে দিয়ে মুনাফা পেতে পিছু হঠেনি সন্দীপ, দাবি সিবিআইয়ের।
আরও পড়ুন: তৃতীয় বার সেরা বিদ্যালয় পুরস্কার পেল বাংলার এই স্কুল, মন ভাল করা খবরটি মিস করবেন না!
এই টেন্ডার সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তকারী অফিসারেরা। ইতিমধ্যে সঞ্জয় বশিষ্ঠকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বর্তমান এমএসভিপির সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়ের থেকেও খোঁজ নিচ্ছে সিবিআই। সিবিআইয়ের দাবি, ঘটনার পর এই টেন্ডার ক্লোজ করে দেওয়া উচিত ছিল। ক্লোজ না করে নেক্সাস চালিয়ে গিয়েছেন সন্দীপ।
অমিত সরকার
RG Kar Protest: থামবে না প্রতিবাদ! একাধিক জায়গার নাম বদলে হচ্ছে তিলোত্তমা মোড় বা চত্বর! রইল তালিকা
উত্তর ২৪ পরগনা: আরজি কর কাণ্ডে ও পরবর্তীতে রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ মিছিল ও নারীদের সম্মান রক্ষার্থে এমন গণআন্দোলনের রূপ নিতে বিগত কয়েক দশকে দেখেনি গোটা দেশ। চিকিৎসক তরুণীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনার আগে পর্যন্ত মফস্বল এলাকা হিসেবেই পরিচিত ছিল সোদপুর। তবে, নির্যাতিতা তরুনীর মৃত্যুর পর সোদপুরের নাম উঠে এসেছে সকলের মুখে মুখে। নির্যাতিতার বাড়ি এই এলাকায় হওয়ায় রীতিমতো নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্য তথা দেশ এমনকী যা ছড়িয়েছে বিদেশেও। রাজ্যজুড়ে যে আন্দোলন চলছে, সেই আন্দোলনের রেশ দেখা গিয়েছে সোদপুর পানিহাটি এলাকাতেও।
আরও পড়ুনঃ এ কী কাণ্ড দিঘায়! দাউদাউ করে জ্বলে উঠল ৪টি দোকান! প্রবল আতঙ্ক সমুদ্র শহরে
তবে এবার সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন সমাজ মাধ্যম-সহ এলাকায় পোস্টার দিয়ে সোদপুরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ট্রাফিক মোড়ের নাম বদলে তিলোত্তমা মোড় করার দাবি জানালেন আন্দোলনে শামিল হওয়া সাধারণ সোদপুরের নাগরিকরা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় এই ট্রাফিক মোড়ের নাম বদলে তিলোত্তমা মোড় করার পোস্টারও দেখা যাচ্ছে ওই এলাকায়। আর এরই সমর্থনে রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে প্রচার। যে ঘটনা গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে, সেই চিকিৎসক তরুণীর বাড়ি এই এলাকায় হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এই মোড়ের নাম বদলে তিলোত্তমা মোড় রাখার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকেও। যাতে মানুষ অন্তত এই নামের মধ্যে দিয়েই ওই চিকিৎসক তরুনীর সঙ্গে ঘটা নৃশংস ঘটনা ও পরবর্তীতে আন্দোলনের রূপ নেওয়া এই ঘটনার স্মৃতি মনে রাখতে পারেন।
নির্যাতিতার স্কুল চন্দ্রচুড় উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিরতা মুখার্জী এ বিষয়ে জানান, ‘নির্যাতিতা প্রাক্তন ছাত্রী এলাকার কৃতি ছাত্রী হিসেবেই পরিচিত ছিল। ফলে তার এমন করুণ পরিণতিতে তাঁর স্মরণে যদি ট্রাফিক মোড় এলাকার নাম বদলে তিলোত্তমা মোড় রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে আমি আপত্তির কিছুই দেখছেন না।’ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মনীষী ও গুণী ব্যক্তিদের নামে রাস্তা ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের নাম রয়েছে। সোদপুর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা ব্যবহার করেই যেহেতু হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাফেরা করেন সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই তিলোত্তমা মোড় সকলকে চিকিৎসক তরুনীর উপর হওয়া এই অত্যাচার ও তার ধর্ষকদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি যোগাবে বলেও মনে করেন এই শিক্ষিকা।
নারীদের সম্মান রক্ষার্থে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া পাশাপাশি চন্দ্রচূড় হাই স্কুলের প্রাক্তনী সুমিতা রায় জানান যে, যারা এই ট্রাফিক মোড়ের নাম বদলে তিলোত্তমা মোড় রাখার প্রস্তাব দিচ্ছেন, আন্দোলনকারী হিসেবে তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞ তিনি। মধ্যমগ্রাম থেকে সোদপুর পাশাপাশি বিটি রোড ব্যবহার করে যাতায়াত করা হাজার হাজার মানুষের কাছে পরিচিত এই ট্রাফিক মোড় নামটি। তবে, আরজিকর কাণ্ডে পর থেকে এই এলাকার মেয়ের এমন করুণ পরিণতির কোথাও মানুষ জেনেছে। এই ট্রাফিক মোড়ের নাম বদলে তিলোত্তমা মোড় রাখলে, এই জায়গার মধ্যে দিয়েই মানুষ তাঁকে মনে রাখবে। অনেকেই এই গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে ট্রাফিক মোড় হিসেবে জানলেও এবার থেকে এই মোড়কে তিলোত্তমা মোড় হিসেবেই তুলে ধরার বার্তাও দেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ অবিশ্বাস্য! আরজি কর কাণ্ডে শুনানির আগেই যা ঘটল! সব শুনলে আঁতকে উঠবেন
তবে, বিষয়টি নিয়ে নির্যাতিতা তরুনীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাঁরা অবশ্য জানান বিষয়গুলি তাদের ব্যথিত করছে। এছাড়া আর কোনই প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তারা। তবে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সোদপুর ট্রাফিক মোড়ের নাম বদলে তিলোত্তমা মোড় রাখার এই প্রস্তাব।
শুধু তাই নয়, জেলার নানা প্রান্তে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নাম তিলোত্তমা চত্বর করা হয়েছে। যার মধ্যে নৈহাটি থেকে অশোকনগর, হাবরা, বারাসাত, সীমান্ত শহর বনগাঁ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার আন্দোলনকারীরা এই নাম দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কোথাও তিলোত্তমা চত্বরে করা হয়েছে বিক্ষোভ ও অবস্থান-মঞ্চ। কোথাও আবার নির্যাতিতার প্রতিকৃতি করে দেওয়া হয়েছে মালা। নৈহাটির প্রতিবাদ মিছিলে হামলা চালানোর ঘটনার পর ওই স্থানকেই অনেকে তিলোত্তমা চত্বর বলছেন। গুগল ম্যাপেও এই নামেই নৈহাটিতে দেখা যাচ্ছে ওই স্থানকে। নাম হোক বা স্থান, রাজ্যবাসী যে এই নৃশংস ঘটনা কোনভাবেই ভুলতে চাইছে না, যতদিন না প্রকাশ্যে আসে আসল রহস্য, দোষীদের হয় উপযুক্ত শাস্তি, আর তার জন্যই যেন এই তিলোত্তমা চত্বরকে সর্বসম্মুখে তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা আন্দোলনকারী থেকে সাধারণ নাগরিকদের।
Rudra Narayan Roy
RG Kar Doctor Protest: আন্দোলনে অনড়! মধ্যরাতেও গিটারে স্লোগানে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তাররা
কলকাতা: মঙ্গলবার জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযান ছিল। করুণাময়ী থেকে মিছিল করে এসে স্বাস্থ্য ভবনের কাছে ব্যারিকেডের সামনে এলে পুলিশ স্বাস্থ্য ভবনের দিকে যেতে নিষেধ করায় সেখানেই অবস্থান আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। চলছে স্লোগান। যতক্ষণ না পর্যন্ত তাদের সমস্ত দাবি পূরণ হচ্ছে এখানেই শান্তিপূর্ণভাবে ধরনা অবস্থান চালানো হবে। জানান আন্দোলনকারীরা।
রাতেও স্বাস্থ্যভবনের কাছে চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান। গিটার বাজিয়ে গানও চলছে। এই অবস্থায় জুনিয়র ডাক্তাররা রাতে কী খাবেন তা নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তারা খোঁজ নিলেও কোনওরকম সাহায্য নিতে অস্বীকার করে কার্যত সাহায্য প্রত্যাখ্যানই করেন আন্দোলনকারীরা।
গতকাল সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে আন্দোলনকারী জুনিয়ার ডাক্তারদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলা হলেও আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সম্পূর্ণ দাবিদাওয়া পূরণ হয়নি বলে জানান আন্দোলনকারীরা। তাই আন্দোলন জারি থাকবে বলে স্পষ্ট জানালেন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তাররা।