Tag Archives: RG Kar Hospital
কর্মবিরতি জারি রাখার সিদ্ধান্ত চিকিৎসকদের, স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ জুনিয়ার ডাক্তারদের
RG Kar Junior Doctor Protest: স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে জুনিয়ার ডাক্তাররা, হাতে কী? দেখুন ভিডিও
RG Kar Protest: তিলোত্তমার ‘বিচার’ চেয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাতে স্টকহোমের রাস্তায় বাঙালিদের সঙ্গে স্থানীয়রাও
RG Kar Doctor Murder Case: ‘আমার মেয়েকে যেভাবে গলা টিপে…’ আরজি কর কাণ্ডে বিস্ফোরক নির্যাতিতার মা! কী ঘটল এবার?
উত্তর ২৪ পরগনা: সিবিআই গোটা ঘটনার তদন্ত করছে, আদালত যেটা ভাল বুঝবে সেটাই করবে। ফলে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলার নেই তাঁদের। তবে আশা ছাড়েননি বলেও জানালেন আরজি কর তদন্তে নির্যাতিতার মা। সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে সোমবারের সওয়াল জবাবে উঠে আসা নানা বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, নির্যাতিতার মা বলেন ময়নাতদন্তের চালান সহ যে বিষয়গুলি তোলা হয়েছে সে বিষয়ে সিবিআই তদন্ত করে দেখবে, এর থেকে বেশী আর কিছুই বলার নেই তাঁদের। ডাক্তারদের আন্দোলন তুলে নেওয়া প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মা জানান এই সিদ্ধান্ত একান্তই ডাক্তাররা নেবেন। তাঁরা যদি নিজেদের নিরাপদ না মনে করেন তবে কী ভাবে কাজে যোগ দেবেন! পাশাপাশি এই দিন নির্যাতিতার পরিবারের তরফ থেকে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনকে গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ জানান।
মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে ফেরার যে আহ্বান জানিয়েছেন সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নির্যাতিতার মা জানান, দেশের মানুষ আমার মেয়েকে এখন তাঁদের পরিবারের মেয়ে ভাবছেন। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি তাঁরা উৎসবে ফিরতে পারেন তবে আমার কিছুই বলার নেই। আমার বাড়িতেও মেয়ে দুর্গাপুজো করত ফলে আমার বাড়িতে আর কোনওদিন আলো জ্বলবে না। আমার ঘরের প্রদীপ নিবে গিয়েছে। আমি কি করে মানুষকে বলব উৎসবে ফিরতে!
এক মাস অতিক্রান্ত, যদি মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারে এমন ঘটনা ঘটত, তবে কি তিনি পারতেন প্রশ্ন তোলেন নির্যাতিতার মা! রাজ্যের মানুষকে উৎসবে ফেরার যে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, তাতে নিয়ে অমানবিক মনে হচ্ছে, কারণ আমি তো মেয়ের মা। আমি তো সন্তান হারিয়েছি, তাই আমার অমানবিক মনে হচ্ছে। আমার মেয়েকে যেভাবে গলা টিপে হত্যা করে প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে, সেভাবেই আন্দোলনের গলা টিপে মারতে চাওয়া হয়েছে বলেও এদিন অভিযোগের সুর শোনা গেল নির্যাতিতার মায়ের গলায়।
কারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে, কাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল? প্রশ্ন শুনেই নির্যাতিতার মার উত্তর, “পুলিশ প্রশাসন হাসপাতাল প্রশাসন-সহ সকলেই এর পিছনে কাজ করছে”। তবে একইসঙ্গে তিনি বলেন, আন্দোলনকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও, বাবা-মা হিসেবে তাঁরাই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন শেষ পর্যন্ত।
ডাক্তারদের আন্দোলনে স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার। তা নিয়ে নির্যাতিতার মা বলেন ‘২৩ কেন, এক মাসে অনেক ক্রিটিকাল রোগী মারা যায়। কিন্তু তার সঙ্গে আন্দোলনের কি সম্পর্ক?’
Rudra Narayan Roy
RG Kar Protest: গন্ধরাজের সুগন্ধে বেঁচে থাকবেন তিলোত্তমা! বৃক্ষপ্রেমীদের অভিনব প্রতিবাদ, দেখুন
পশ্চিম বর্ধমান : আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ চলছে রাজ্য তথা দেশজুড়ে। এমনকি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও দেখা যাচ্ছে প্রতিবাদ। সকলেই সঠিক বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। এমন অবস্থায় অভিনব প্রতিবাদের ছবি দেখা গেল দুর্গাপুরে। যেখানে একটি গাছের মাধ্যমে অভয়ার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস বৃক্ষপ্রেমী সংগঠনের। যে প্রতিবাদ সকলের নজর কেড়েছে।
দুর্গাপুরের একটি বৃক্ষ প্রেমী সংগঠন গ্রীন ভলান্টিয়ার্স। শহরের সবুজ রক্ষা করতে এই সংগঠনটি নানা রকম পদক্ষেপ করে। আর এই সংগঠনের সদস্যরা সবুজায়নের মাধ্যমে আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদের ভাষা খুঁজে নিয়েছেন বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে জানিয়েছেন প্রতিবাদ। গন্ধরাজ ফুলের সুগন্ধে তিলোত্তমার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস করছেন তারা। গন্ধরাজ গাছে মালা পড়িয়ে তিলোত্তমার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদকে সন্মান রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের
এই সংগঠনের সম্পাদক কাজী নিজামউদ্দিন বলছেন, তরুণী চিকিৎসকের ওপর নির্মম অত্যাচার এবং হত্যার ঘটনায় গোটা রাজ্য উত্তাল হয়েছে। সকলে প্রতিবাদ করছেন। কেউ মোমবাতি মিছিল করছেন, কেউ রাত দখলে রাস্তায় নামছেন। তারাও প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। কিন্তু তাদের প্রতিবাদের ভাষা অন্য। তারা প্রতিবাদের পাশাপাশি তিলোত্তমার স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীর একটি ব্যক্তিগত মালিকানার জায়গায় গ্রিন ভলান্টিয়ার্স এর তরফ থেকে ৫০ টি গাছ লাগানো হয়েছে। সেখানেই একটি গাছ লাগানো হয়েছে অভয়ার স্মৃতিতে। এখানে গন্ধরাজ গাছের ফুলে সুগন্ধে তাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। মালা পরিয়ে তাকে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। নামকরণ করা হয়েছে তিলোত্তমা স্মৃতি উদ্যান।
নয়ন ঘোষ
Sandip Ghosh Wife: সিবিআই দফতরে সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি জমা সন্দীপ পত্নীর, ডাকা হবে সঙ্গীতাকে…? বাড়ছে জল্পনা!
কলকাতা: দুর্নীতি তদন্তে সন্দীপ ঘোষ ও তার স্ত্রীর সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছিল ইডির তরফে। তদন্তে একাধিক বাড়ির হদিস ইতিমধ্যেই পাওয়া গিয়েছে। এই সংক্রান্ত ও সন্দীপের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় নথি সিবিআই দফতরে জমা দিলেন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষ। এই সূত্রে আগামী দিনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হতে পারে সঙ্গীতা ঘোষকেও। এমনটাই সূত্রের খবর।
এদিকে আর্থিক অনিয়মের মামলায় গ্রেফতার হওয়া আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে হাজির করাবে সিবিআই। তাঁকে ভার্চুয়ালি পেশের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
সূত্রের খবর, গতকাল সন্ধ্যায় ইডি দফতরে গিয়ে নথি জমা করেন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রী। এর আগে সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশিতে উদ্ধার হয় একাধিক চাঞ্চল্যকর নথি। সূত্রের খবর, সন্দীপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে তাঁর বাড়ি থেকেই।আদালতে নথি জমা দিয়ে এমনটাই দাবি জানিয়েছে সিবিআই।
এছাড়াও সন্দীপের বিরুদ্ধে মিলেছে বেনিয়মের একাধিক অভিযোগ। ‘২০২২-২৩ সালে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয় ৮৪ জন এমবিবিএস হাউস স্টাফকে’, ‘নিয়োগ কমিটির সই ছাড়াই চলে নিয়োগপ্রক্রিয়া’, লাইসেন্সহীন ৩ সংস্থাকেও সন্দীপ ঘোষ টেন্ডার দেন বলেও দাবি সিবিআইয়ের।
প্রসঙ্গত, আরজি করে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার পর থেকেই সিবিআইয়ের আতশকাচের নীচে ছিলেন সন্দীপ। গত ১৬ অগস্ট থেকে ওই মামলায় তাঁকে প্রায় টানা জেরা করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তার মধ্যেই উঠে আসে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ। গত ২ সেপ্টেম্বর সেই মামলাতেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
RG Kar Protest: আরজি করে ‘থ্রেট কালচার’ অভিযোগ! সেই ৫১ জন জুনিয়ার চিকিৎসককে তলব কর্তৃপক্ষের
কলকাতাঃ আরজি কর হাসপাতালের ৫১ জন ছাত্রছাত্রীকে হাসপাতালে প্রবেশ এবং কলেজের কোনরকম কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করায় নিষেধাজ্ঞা। নিষেধাজ্ঞা জারি করল আরজি কর কর্তৃপক্ষ। এদের বিরুদ্ধে আর জি কর হাসপাতালে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করা বিভিন্ন হুমকির অভিযোগ ওঠায় এই সিদ্ধান্ত।
ক্যাম্পাসে ভয়ের পরিবেশ তৈরি, পরীক্ষায় ছাত্রছাত্রীদের ফেল করানো, আর্থিক অনিয়ম, বিভাগীয় প্রধানদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তাঁদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ হিসাবেও নাম উঠে এসেছে ৫১ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আরজি করের আন্দোলনকারীদের একাংশের। আরজিকরের অভিযুক্ত ৫১ জন অভিযুক্তকে তদন্তের আওতায় আনা হলো। আরজি কর হাসপতালে/কলেজ ক্যাম্পাস/ইনস্টিউশান ক্যাম্পাস প্রবেশে রেস্ট্রিকশন করা হলো।যাদের বিরুদ্ধে অনেকের অভিযোগ ছিল। ২০০-৩০০ জন স্টুডেন্টের স্বাক্ষর করা অভিযোগ জমা পড়েছে।
আরও পড়ুনঃ গেট থেকে গ্রেফতার ১৪ সিপিআইএম কর্মী! লাল ব্রিগেডের লালবাজার অভিযান ঘিরে তুমুল উত্তেজনা
RG Kar Protest: নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আরজি কর! কী হবে আজ বিকেল ৫টায়? কাজে ফিরবেন কি জুনিয়ার ডাক্তাররা? তাকিয়ে গোটা দেশ
কলকাতাঃ মঙ্গলের সকাল থেকেই আরজিকর হাসপাতালে নিরাপত্তার কড়াকড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশ ও হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে গেটে। সোমবার দুপুরেই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আরজি কর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের।
আরও পড়ুনঃ গেট থেকে গ্রেফতার ১৪ সিপিআইএম কর্মী! লাল ব্রিগেডের লালবাজার অভিযান ঘিরে তুমুল উত্তেজনা
সোমবার রাতে জুনিয়র চিকিৎসকরা সাংবাদিক বৈঠকে জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা বলেন, ‘‘শুধুমাত্র জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যব্যবস্থার অংশ নয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ফলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা যদি ভেঙে পড়ে, তবে তা রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে যথেষ্ট সংখ্যায় সিনিয়র ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবের দিকে ইঙ্গিত করছে।” তাঁদের অভিযোগ, ‘‘পুলিশি গাফিলতির ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। স্বাস্থ্য দুর্নীতির বিষয়েও বাস্তবে কোনও পদক্ষেপ হয়নি। সন্দীপ ঘোষ, অভিক দে বা বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করা অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো হল।”
আরও পড়ুনঃ হিরো আলমকে গণধোলাই, কান ধরে ওঠবস! আদালত চত্বরে যা ঘটল দেখে তাজ্জব সকলে
সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের দ্বিতীয় শুনানি শেষ হতেই প্রশাসনিক বৈঠকে পুজো প্রস্তুতিতে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের সভাঘরে বৈঠকে তিনি বললেন, “১ মাস ১ দিন হয়ে গিয়েছে এবার উৎসবে ফিরুন। সিবিআই তদন্ত শেষ করুক দ্রুত।” এর পরিপ্রেক্ষিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন,” মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে ফিরতে বলেছেন এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে এই বক্তব্য ফিরিয়ে নিতে হবে। আমরা সরকারের উদ্দেশে জানাতে চাই, আগামিকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে রাজ্য সরকার আমাদের এই দাবিগুলো মিটিয়ে দিক, তবেই আমরা কর্মবিরতি প্রসঙ্গে ওঁদের আবেদন নিয়ে ভেবে দেখতে পারি।”
RG Kar Protest: ‘সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর হতাশ, আগে সরকার আমাদের দাবি মানুক, তারপর…’ যা বললেন জুনিয়র ডাক্তার-রা
কলকাতা: সোমবার দুপুরেই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আরজি কর মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে হবে জুনিয়র চিকিৎসকদের।
সোমবার রাতে জুনিয়র চিকিৎসকরা সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ”আজ সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর আমরা হতাশ। সিবিআই তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি।” জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা বলেন,” শুধুমাত্র জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যব্যবস্থার অংশ নয়। জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতির ফলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা যদি ভেঙে পড়ে, তবে তা রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে যথেষ্ট সংখ্যায় সিনিয়র ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবের দিকে ইঙ্গিত করছে।” তাঁদের অভিযোগ, ” পুলিশি গাফিলতির ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। স্বাস্থ্য দুর্নীতির বিষয়েও বাস্তবে কোনও পদক্ষেপ হয়নি। সন্দীপ ঘোষ, অভিক দে বা বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করা অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো হল।”
জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, ” আমরা রাজ্য সরকারের কাছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কড়া ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশান নেওয়ার দাবি জানাতে পারি। ডাক্তারদের জন্য আলাদা রেস্টরুম, শৌচালয় থাকতে হবে। প্রত্যেকটি রেস্টরুমের বাইরে নিরাপত্তা রক্ষী, সিসিটিভি থাকতে হবে। ওয়ার্ড এবং OT-র বাইরেও যথাযথ নিরাপত্তা-ব্যবস্থার কথা আমরা বলেছি।” তাঁদের কথায়, ” ২৩ জনের মৃত্যুর জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের ‘দায়ী’ করা হচ্ছে। কিন্তু প্রত্যেকদিন সঠিক ‘রেফারেল সিস্টেম’-এর অভাবে কতজন রোগীদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়, তা সরকার জানে না।শুধু বড় বড় ভবন তৈরি করলে স্বাস্থ্যপরিষেবা তৈরি করা যায় না। জেলার মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে যদি সরকার এতই ভাবুক হয়, তাহলে কেন জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি হচ্ছে না?”
জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, ” আমাদের কাছে খবর আছে,আরজি কর হাসপাতালের উপরতলায় যে ঘর ভাঙ্গা হয়েছে, সেই নোটিশে সই করেছিলেন স্বাস্থ্য সচিব,স্বাস্থ্য অধিকর্তা।” আগামিকাল বেলা বারোটায় করুণাময়ী থেকে আমরা স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের ডাক দিয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি,” পুলিশ কমিশনারকে অব্যাহতি নিতে হবে। ডিসি সেন্ট্রাল-এর বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। গণতান্ত্রিকভাবে প্রত্যেকটি কলেজে নির্বাচন করাক সরকার।”
সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের দ্বিতীয় শুনানি শেষ হতেই প্রশাসনিক বৈঠকে পুজো প্রস্তুতিতে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের সভাঘরে বৈঠকে তিনি বললেন, “১ মাস ১ দিন হয়ে গিয়েছে এবার উৎসবে ফিরুন। সিবিআই তদন্ত শেষ করুক দ্রুত।” এর পরিপ্রেক্ষিতে জুনিয়র চচিকিৎসকরা বলেন,” মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে ফিরতে বলেছেন এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা। মুখ্যমন্ত্রীকে অবিলম্বে এই বক্তব্য ফিরিয়ে নিতে হবে। আমরা সরকারের উদ্দেশে জানাতে চাই, আগামিকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে রাজ্য সরকার আমাদের এই দাবিগুলো মিটিয়ে দিক, তবেই আমরা কর্মবিরতি প্রসঙ্গে ওঁদের আবেদন নিয়ে ভেবে দেখতে পারি।”