Tag Archives: RG Kar murder

Mamata Banerjee on Junior Doctors Protest: ‘প্রাইভেট হাসপাতালের ব্যবসা বাড়ছে!’ জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধ মমতার! বৈঠকের ডাক

কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে লাগাতার কর্মবিরতিতে রয়েছেন রাজ্যের সমস্ত জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। এবার ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একমাস তো হয়ে গেল আমি অনুরোধ করব তাড়াতাড়ি ফিরে আসুন, সিবিআইকে বলব তাড়াতাড়ি বিচারের ব্যবস্থা করুন। আসল কেসটা যে নির্যাতিত তাঁকে বিচার দিন।’ মমতা আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারটা দেখে নিও। আমি খুশি বাংলার পুলিশ আন্দোলনে কিছু করেনি। এখানে যত আন্দোলন হয়েছে পারমিশন নেওয়া হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, আমিও বলছি আপনারা কাজে যোগ দিন। আপনারা যদি কথা বলতে চান ৫-১০ জন আসুন, আসতেই পারেন। আপনারা স্বাস্থ্য ভবনে গিয়েছিলেন, আপনাদের যে দাবি ছিল সবপূরণ করা হয়েছে।’

বৈঠকের শেষ অংশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালের অথরিটি যে এজেন্সি নিচ্ছে তাদের দ্বায়িত্ব নিতে হবে। বৃহস্পতিবার সব মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল, জুনিয়র ডাক্তারদের ৬ জন প্রতিনিধি, সিনিয়র ডাক্তারদের সবাইকে এখানে ডাকবে বৃহস্পতিবার। সবার আসার আমন্ত্রণ রইল। যাঁরা আসার আসবেন।’

আরও পড়ুন: সব বাড়ির ফ্রিজেই থাকে এই জিনিস, মাত্র সাতদিন মুখে লাগালে ত্বক হবে স্বচ্ছ কাচের মতো! বিউটিশিয়ানের টিপস

মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের নাম করে বলেন, ‘CMOH, BMOH-দের বলো হাসপাতালকে অ্যাকটিভ করতে। কয়েকটা প্রাইভেট হাসপাতাল একজন ওসিকে ভর্তি করেনি। অনেকে এখানে কাজ করছে না, কিন্তু প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে কাজ করছে। এতে বেসরকারি হাসাপাতালের ব্যবসা বাড়ছে।’

আরও পড়ুন: চাল-ডালে পোকা ধরেছে? কৌটোয় রাখুন এই ‘একটা’ জিনিস! পোকার বংশ থাকবে না

স্বাস্থ্যসচিব বলেন, ‘৭ লাখ মানুষকে পরিষেবা দিতে পারেনি। ২৩ জনের এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে। সিনিয়র ডাক্তাররা আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।’ জুনিয়র ডাক্তারদের অনুরোধের পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর গলায় হুঁশিয়ারিও শোনা গিয়েছে। আর বরদাস্ত করা হবে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়

RG Kar Hospital Case Hearing: ‘নমুনা কে সংগ্রহ করেছেন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ’, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী ডাক্তার হত্যাকাণ্ডের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে বলল সিবিআই

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি ঘিরে আগ্রহ তুঙ্গে। সোমবার এই অপরাধকাণ্ডের শুনানিতে সিবিআই-এর কাছে নতুন স্টেটাস রিপোর্ট চেয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। তরুণী ডাক্তারকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর।

এই ঘটনায় ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে দেশের শীর্ষ আদালতে। সিবিআই-এর তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগৃহীত নমুনা দিল্লিতে এমস-এ পাঠানোর। অর্থা‍ৎ ফরেন্সিক রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই৷

আরও পড়ুন : আরজি কর মামলায় ফের স্টেটাস রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের, পরবর্তী শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর

আইনজীবী তুষার বলেন, ‘‘আমাদের কাছে ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট আছে এবং একটি জিনিস বলা হয়েছে যে যখন সকাল ৯.৩০-টার সময় তরুণীকে পাওয়া গিয়েছিল, তখন দেহ থেকে তাঁর জিনস এবং অন্তর্বাস সরানে ছিল। সেগুলি দেহের কাছেই পড়ে ছিল। অর্ধনগ্ন দেহে ছিল ক্ষতচিহ্ন। তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা সেগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সিবিআই ঠিক করেছে ওই সংগৃহীত নমুনা পাঠাবে এমস এবং অন্যান্য কিছু ল্যাবরেটরিতে।’’ প্রধান বিচারপতি শুনানিতে জানতে চান, মৃতদেহ কখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল? তার চালান কোথায়, সে নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে প্রধান বিচারপতির।

RG Kar Case: ‘মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে ফিরুন, নাহলে…’ জুনিয়র ডাক্তারদের কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের যে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। স্পষ্টতই দেশের প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিল, ”আগামীকাল বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না রাজ্য সরকার। আমরা দুদিন দিচ্ছি আপনাদের। তার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন বলে জুনিয়ররা কাজ করবেন না সেটা বলতে পারেন না।”

এখানেই শেষ নয়, প্রধান বিচারপতি বলেন, ”আমরা বলছি যদি এখন জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেন অবিলম্বে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না সরকার। কিন্তু তাঁরা এর পরেও কাজে যোগ না দিলে আমরা সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়া থেকে আটকাতে পারি না।”

আরও পড়ুন: ময়না তদন্তের ‘সময়’ নিয়ে সংশয়! কে করেছিল সেই ভিডিওগ্রাফ…? কী তাঁর ডেজিগনেশন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে

প্রধান বিচারপতি বলেন, ”আমাদের বলুন, আমরা এই কেসটা নেওয়ার পর আরজিকরে কী কী নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে? অন গ্রাউন্ডে কী কী করা হয়েছে সেটা জানান। জেলাশাসকদের যুক্ত করা হোক সব জেলার হাসপাতালের সঙ্গে এবং যা যা বাকি আছে তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে করে দিতে বলুন।” এরপরই রাজ্যের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ”সিজ ওয়ার্ক চলার জন্য ২৩ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে। ১৫০০ মানুষের কার্ডিওলজিকাল প্রসিডিওর থমকে আছে রাজ্যে। তাঁরা যদি কাজে না ফেরেন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, গত শুনানির দিনেই আপনারা বলেছেন। মেআই হেল্প বুথ Ransacked হয়েছে।”

এরপরই প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ”আপনারা কি আমাদের জানাতে পারেন যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দিয়েছেন?” চিকিৎসকদের আইনজীবী জানান, কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলির জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেননি। এরপরই প্রধান বিচারপতি কড়া সুরে জানিয়ে দেন, ”আমরা বলছি যদি এখন জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ দেন অবিলম্বে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না সরকার। কিন্তু তাঁরা এর পরেও কাজে যোগ না দিলে আমরা সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়া থেকে আটকাতে পারি না।”

চিকিৎসকদের আইনজীবী বলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা বাইরে পরিষেবা দিচ্ছে আমরা তার প্রমাণ দিতে পারি।” প্রধান বিচারপতি পাল্টা বলেন, ”তাঁরা বাইরে পরিষেবা দিতে পারলে ভিতরে এসে পরিষেবা দিতে বলুন। আমরা দুদিন দিচ্ছি আপনাদের। তার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তাররা কাজ করছেন বলে জুনিয়ররা কাজ করবেন না সেটা বলতে পারেন না।” একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ”এসপি এবং ডিএমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন সব সরকারি হাসপাতালের চিকিৎকদের। পুরুষ এবং মহিলা চিকিৎসকদের পৃথক ডিউটি রুম, পৃথক টয়লেট, সিসিটিভির ব্যবস্থা করবেন।”

RG Kar Case SC Hearing: ‘সোশ‍্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে নির্যাতিতার সব ছবি’! কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নয়াদিল্লি: আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হল সুপ্রিম কোর্টে। শুনানি পর্বের শুরুতেই স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ খতিয়ে দেখে মুখবন্ধ খামে জমা পড়া স্টেটাস রিপোর্ট। সোশ‍্যাল মিডিয়া থেকে নির্যাতিতার সমস্ত ছবি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত।

ঘটনার পর পরই সোশ‍্যাল মিডিয়ায় একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে নির্যাতিতা তরুণীর ছবি। এদিনের শুনানিতে এ প্রসঙ্গে কড়া নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবীকে প্রধানবিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘আপনারা এই ছবিগুলো পেলেন কীভাবে?’’

আরও পড়ুন: ব্লাড সুগার কমাবে বাসি রুটি? সঙ্গে খেতে হবে এই জিনিস, পুরনো রুটিতেই কীভাবে কমবে ওজন? বাড়বে হজম? জেনে নিন

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নির্যাতিতার দেহের ছবি সরিয়ে ফেলতে হবে। প্রসঙ্গত, এদিনের শুনানিতে প্রশ্ন তোলা হয় তরুণী চিকিত্‍সকের ময়না তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়েও।

সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ময়নাতদন্ত কখন করা হয়েছে— সেই সময়ের উল্লেখ নেই। যদিও রাজ্যের আইনজীবীর যুক্তি, সব কিছু উল্লেখ রয়েছে। তখন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শুধুমাত্র ১০ বার জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে। পুরোটা পরে তৈরি করা হয়নি তো? অনেক রহস্য রয়েছে।” সেই সংশয়ের প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সন্দেহ হলে তাঁর কাছে রিপোর্ট চাওয়া হোক। সিবিআই-এর তরফও আদালতে জানানো হয়, ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে তাদের মনেও প্রশ্ন রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সেটি এমসে পাঠাতে চায়। আইনজীবী এডুলজির মন্তব্য,তাঁর ২৭ বছরের কর্মজীবনে এমন মামলা তিনি দেখেননি।

RG Kar Protest: অবিশ্বাস‍্য! আরজি কর কাণ্ডে শুনানির আগেই যা ঘটল! সব শুনলে আঁতকে উঠবেন

উত্তর ২৪ পরগনা: নৈহাটিতে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে চলা মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ছিঁড়ে দেওয়া হল মাইকের তার, ছিনিয়ে নেওয়া হল প্রতিবাদীদের গলার চেন, চলল ধস্তাধস্তি। প্রতিবাদ মিছিল ভেস্তে দিতেই এই হামলা বলে দাবি রাস্তায় প্রতিবাদে শামিল হওয়া মানুষদের। জানা যায়, নৈহাটিতে এদিন নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতনের প্রাক্তনীরা একটি প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করে। সেখানে অংশ নিয়েছিল অন্যান্য স্কুলের প্রাক্তনীরাও।

আরও পড়ুনঃ রোজ করুন এই ৩ কাজ! কোলেস্টেরলের পুরোপুরি বেরিয়ে যাবে শরীর থেকে! প্রতিদিন খেলেই বাজিমাত, কমবে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি

অভিযোগ, মিছিল যখন রামকৃষ্ণ মোড়ে প্রবেশ করে, তখন দুষ্কৃতীরা ওই মিছিলে হামলা চালায়। এমনকী প্রতিবাদীদের মারধর করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। প্রতিবাদীদের ব্যবহার করা টোটো আটকে দিয়ে রীতিমত বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয় এলাকায়। এর ফলেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এই প্রতিবাদ মিছিল হলেও, ছিল না পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বলে জানাচ্ছেন প্রতিবাদীরা।

আরও পড়ুনঃ রোজ ছোট্টো এক দুটো দানা! উপকার ভাবনাতীত! ঝপঝপ করে কমবে ওজন!শক্তি হবে লোহার মতো

শিক্ষকদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের মধ্যে মহিলাও ছিল বলে জানাচ্ছেন অনেক নাগরিক। আজ, সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর-কাণ্ডের শুনানি। তার আগেই প্রতিবাদীদের আন্দোলনের মোড় ঘোরাতে দুষ্কৃতীদের এমন হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। বিচারের দাবিতে চলা এই প্রতিবাদ মিছিলে কেন হঠাৎ করে হামলা চালানো হলো তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Rudra Narayan Roy

Jawhar Sircar: সাংসদ পদ থেকে রাজনীতি ছাড়তে চলেছেন জহর সরকার, কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? 

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: আরজি কর আবহে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ প্রাক্তন আমলা জহর সরকারের। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ? News18 বাংলাকে কী জানালেন তিনি? 

প্রশ্ন – রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত কেন নিতে হল?

উত্তর – একমাস হতে চলেছে কলকাতা শহর একদম স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।  আশপাশের সব জায়গায় সারাক্ষণ শুধু প্রতিবাদ আর প্রতিবাদ। এটাকে তো আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে। আমি একমাস ধরে দেখছি। আমি ছদ্মবেশে প্রতিবাদে গিয়েছিও। একটা স্বতঃস্ফূর্ত রাগ আর আক্রোশ রয়েছে সবার মধ্যেই ৷ অভয়াকে নিয়ে নিশ্চয়ই দুঃখের কাণ্ড ঘটেছে ৷ কিন্তু অভয়া ছাড়াও, উদাহরণ হিসাবে তাকে ব্যবহার করে সিস্টেমের বিরুদ্ধে একটা ক্ষোভ। এটাকে মেটাতে হবে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ভাবা ভুল হবে।

আরও পড়ুন– স্টিলের বদলে অ্যালুমিনিয়াম, রাতারাতি বদলে গেল গিরিশ পার্কের মেট্রো লাইন

প্রশ্ন- আপনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, আগের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে চান। এর অর্থ কি ? কোথাও কি কোনও বদল এসেছে? 

উত্তর – আমি আগে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেছি ৷ উনি হলে ঝাঁপিয়ে পড়তেন এই অবস্থা চলতে থাকলে। উনি কিন্তু এখন অনেক সংযত ব্যবহার করছেন। উনি যদি জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে গিয়ে একবার কথা বলতেন তাহলে সব মিটে যেত। আমার ধারণা অবশ্য ৷ আর ওই লোকটি যে প্রিন্সিপাল- তাকে যদি প্রথম দিনেই সাসপেন্ড করে দিতেন, ওর সঙ্গী যারা রয়েছেন তাদেরকেও, তাহলেও হত। সাসপেন্ড করা মানে সরিয়ে দেওয়া ৷ তারপর প্রমাণ হলে দেখা যাবে ৷ কিন্তু সেই একমাস লাগল একে ধরতে, ওকে সরাতে ৷ এটাতেই আমার খারাপ লাগে ৷

আরও পড়ুন– দিনভর মেঘলা আকাশ ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের সম্ভাবনা, বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্য জুড়েই

প্রশ্ন- আপনার এই সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার কথা বলেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কী কথা হল?

উত্তর – মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা হল। এটা খানিকটা ব্যক্তিগত ব্যাপার ৷ উনি বলেছেন আমি শুনেছি। আমি বলেছি উনি শুনেছেন ৷ আমার বক্তব্য আমি চিঠিতে ও পরে কথার মাধ্যমে বলতে পেরেছি। আমি ওনাকে বলেছি, আপনি দয়া করে নিজের হাতে গোটা বিষয়টি নিন শক্ত হাতে ৷ আপনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ডাক্তারদের সঙ্গে বসুন। আর এই রাগটি পুরোপুরি রাজনৈতিক নয় ৷ এই আমার কথা। সামাজিক প্রতিবাদে এটা দাঁড়িয়ে গিয়েছে। আগের উনি হলে সব সিচুয়েশনে ঝাঁপিয়ে পড়তেন ৷ ইমোশনালি ঝাঁপিয়ে যদি পড়তেন প্রথম বা দ্বিতীয় দিনে তাহলেই মিটে যেত।

প্রশ্ন – তৃণমূল কংগ্রেসের কি এই ইস্যুতে আরও সক্রিয় হওয়া উচিত ছিল?

উত্তর – কারও একজন বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। একমাস হয়ে গেল। যদিও এটা অন্ত: রাজনৈতিক ব্যাপার। তবে এটা রিভিউ করা দরকার। আদালত, সিবিআই কী করবে, সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু কলকাতা শহর স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে, এটা তো আর আদালত দেখতে আসবে না।

প্রশ্ন – পদত্যাগের রাস্তা থেকে তাহলে সরে আসছেন না?

উত্তর – আমার নীতি আমি রেখে যাব। কিন্তু রাজনীতিতে আর নয়। অনেক ভাবনাচিন্তা করে সকলের মাঝে বলে ফেলেছি। তাই আর সিদ্ধান্ত বদল নয়। আমি বাইরে থেকেও সাম্প্রদায়িক শক্তি, অগণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে পারব।

প্রশ্ন – আপনি আমলা ছিলেন৷ প্রশাসনিক কাজে আপনার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে ৷ যা ঘটে চলেছে, তা কি প্রশাসনিক আধিকারিকরা মেটাতে পারছেন না?

উত্তর – আমলারা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগের মুখ্য সচিবের উপর আমার কোনও আস্থা নেই। তাঁকে ছোটবেলা থেকে জানি। সে যে কী করে মুখ্য সচিব হল তাও বুঝিনি। বর্তমান মুখ্য সচিবের আমলা হিসাবে দারুণ সুনাম আছে। আগের জন কীসব লোক? এরা ভয়ে মরে? নাকি বলতে চায় না? ওপিনিয়ন দেয় না? আমলাদের কাজ চিকিৎসকের মত। খালি হ্যাঁ হ্যাঁ করলে হবে না। যেটা খারাপ সেটা তো বলতে হবে। বুদ্ধবাবু আমার উপর রেগে গেলেন। আমি কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। আবার ওরা দিল্লিতে রেগে গিয়েছিল আমি সেখান থেকে আরেক জায়গায় চলে গেলাম।

প্রশ্ন – আপনি আপনার দলের অন্দরে এই ইস্যুগুলো বলেছিলেন আগে?

উত্তর – আমি দলের সঙ্গে আগেও এই বিষয়ে কথা বলেছি ৷ কথা না বলে কি কেউ ‘Political Suicide’ করে।

Jhargram News: আরজি কর কাণ্ডে বিচার চেয়ে হাসপাতালের ভেতরে ছবি এঁকে প্রতিবাদ চিকিৎসকদের

ঝাড়গ্রাম: আরজি করে নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে পথে নেমেছে সর্বস্তরের মানুষ। চলছে প্রতিবাদ, চলছে চিকিৎসকদের আন্দোলন। আরজি করের সেই ঘটনা ৩০ দিন অতিক্রম করেছে। অভিযোগ ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল দোষীরা এখনও অধরাই রয়েছে। দোষীদের গ্রেফতার এবং ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এবার হাসপাতালের ভেতরে নির্যাতিতার প্রতীকী ছবি এঁকে প্রতিবাদ  চিকিৎসকদের।

আরও পড়ুন- কোনও দিন বুড়ো হয় না, বয়স বাড়লেও আবার কমে যায়! জানেন কোন প্রাণী? 

শনিবার রাত্রে ঝাড়গ্রাম গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে এবং বহির্বিভাগের বাইরের মেঝেতে নির্যাতিতার প্রতীকী ছবি এঁকে বিচার চেয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে মেঝেতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘তিলোত্তমা’কে। আর তার উপরে লেখা আছে, “আর কবে”, অর্থাৎ ঘটনার ৩০ দিন পার। কিন্তু দোষীদের এখনও কোনও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হল না। তাই তারা আর কবে লিখে বিচার চেয়েছে। নির্যাতিতার প্রতীকী  ছবির নীচে “justice delayed is justice denied” লিখেছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন- পৃথিবীর সবচেয়ে দামী খাবার এই ‘কালো সোনা’! সবজি, মাছ বা মাংস নয়!…বলুন তো কী!

হাসপাতালের বহির্বিভাগের বাইরের মেঝেতে একজন নারীকে কয়েকটা কালো হাত গ্রাস করতে চলেছে এই চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন চিকিৎসকরা। আর তার নিচেই লেখা রয়েছে, “stop violence against women” ঝাড়গ্রাম গভর্নমেন্ট  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক আলপনা চরে বলেন, “এখনও আমরা বিচার পাইনি। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল দোষী তাদের এখনও ধরা হয়নি। আগেও আমাদের নিরাপত্তা ছিল না আর এখনও পর্যন্ত আমাদের সেভাবে কোনও নিরাপত্তা প্রদান করা হয়নি।”

বিচারের দাবিতে আজকে আমরা হাসপাতালে জরুরি বিভাগ এবং বিভাগের মেঝেতে ছবি একে প্রতিবাদ জানালাম। এখানে ছবি আঁকার একটাই উদ্দেশ্য হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগীরাও যেন জানতে পারে এখনও বিচার পাইনি আর জি কর”। ঝাড়গ্রাম গভর্নমেন্ট  মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন , বিচার না পাওয়া পর্যন্ত প্রতিবাদ ও আন্দোলন জারি থাকবে।

বুদ্ধদেব বেরা  

RG Kar Big Update: আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই ৩ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে FIR বৌবাজার থানায়! তালিকায় কারা কারা?

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ড ঘিরে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। রবিবার ফের চিকিৎসা জগতে চাঞ্চল্যকর মোড়! এবার বিপাকে তিন চিকিৎসক। ডাক্তার বিরুপাক্ষ বিশ্বাস, ডাক্তার অভিক দে ও ডাক্তার রঞ্জিত সাহার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ দায়ের বউবাজার থানায়।

পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী অঞ্জন মণ্ডল-সহ আরও বেশ কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক অভিযোগ এনেছেন এই তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ওই জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, অভিযুক্ত তিন ডাক্তার ভয় দেখাচ্ছিলেন তাঁদের। এই মর্মেই বৌবাজার থানা এফআইআর দায়ের করেছে ওই তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: এগোচ্ছে নিম্নচাপ…! ভারী বৃষ্টিতে কাঁপবে উপকূল! দক্ষিণবঙ্গের কোথায় কোথায় সতর্কতা? জানিয়ে দিল আলিপুর

এদিকে আরজি কর তদন্তে আজও সিবিআই দফতরে এলেন আরজি করের এমএসভিপি সপ্তর্ষী চট্টোপাধ্যায়। এই নিয়ে তৃতীয় দিন তিনি সিবিআই দফতরে এলেন। দু্র্নীতি মামলায় ইতিমধ্যে প্রচুর নথি সংগ্রহ করেছে সিবিআই। সেই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখার জন্য উনি আসছেন বলে সূত্রের খবর।